সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, মানুষকে ভয় দেখিয়ে কারো দলে নেয়া যায় না, যাবে না। মানুষদের ভালবাসা দিয়ে দলের প্রতি টানতে ও আনতে হবে। রাজনীতি এখন ভালো মানুষ থেকে দূরে চলে গেছে। আজ যারা ভালো মানুষ রাজনীতিতে আগমনে আসার চেষ্টা করছে তাদের দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। রাজনীতিতে আগমন কম, রাজনীতি যদি ভালো মানুষ না আসে তাহলে আমাদের নৌকা ভোট ব্যাংক বাড়বে না। যে যে এলাকায় আছেন, আপনারা ভালো নেতৃত্বে খোজে বের করুণ।
তিনি আরও বলেন, আমার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত সোনার মানুষ গড়ে তুলেতে পারি নাই। আমি গর্বিত একজন ছাত্র নেতা, যখন বঙ্গবন্ধু হত্যা পর রাজপথে তার হত্যার বিচারের দাবিতে মিছিল করে ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার পর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যূদের প্রশ্রয় দেবেন না। শুধু নারায়ণগঞ্জ শহর নয়, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ নয় পুরো জেলা জুড়েই উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে এবং হচ্ছেপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্দর ২৭নং ওয়ার্ডের তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬শ ব্যাগ, ১৮’শ খাতা, ৬’শ কলম ও ৬’শ পেন্সিল বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আনোয়ার হোসেন স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও বিদ্যালয়ে পাঠাবেন। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও আগামিদিনে উচ্চপদস্থ পদে নিয়োগ পাবে এবং তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলের সাথে সমানতালে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে প্রতিটি বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করার চেষ্টা করছেন। কিছু সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করে সকলের জন্য এ ব্যবস্থা চালু করা হবে যেন বাচ্চারা আরো বেশি বিদ্যালয়মুখী হয় এবং দেশকে আমরা একটি শিক্ষিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উপহার দিতে পারি। আপনাদের যেকোন সমস্যায় আমার দরজা খোলা আছে আপনারা সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আপনারা দোয়া করবেন তিনি বাঁচলে এদেশ আরো উন্নত হবে, আর আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখলে আমি আপনাদের পাশে থাকবো।
শৈশব নিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, শিশু কালে আমি দেওভোগ মাদ্রাসা থেকে কোরআন শিক্ষা নিয়ে ছিলাম। ধর্ম হলো মানুষের ঈমান, আমি ধর্ম পালন করবো আর মানুষের কাছে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বো এই কথা বলে প্রচার করব, এটা কেমন ইবাদত। এবাদত হলো গোপন জিনিস, ধর্ম পালন করে মহান আল্লাহকে সন্তোষ করবো।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক স্কুলকে স্বাধীনতা পর জাতীয়করণ করে ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জাতীয়করণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বছরের প্রথম দিনেই প্রায় কোটি কোটি শিক্ষার্থী বিনা বেতনে শিক্ষার বই বিনামূল্যে পেয়ে যাচ্ছেন। বিনা বেতনের সরকারি স্কুলে ভর্তি হয়ে বছরের পর বছর শিক্ষা নিচ্ছে। শিক্ষা জাতি মেরুদন্ড, যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি যত উন্নত।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সন্তানরা স্কুল কলেজের নামে কোথায় যাচ্ছে? তার খবর নিতে হবে। তা না হলে আপনার অনুপস্থিতিতে অপরাধে জড়িয়ে পড়বে। বিনোদনের নামে শহীদ মিনার, ফেরি ঘাটে তাদের পাওয়া যায়।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার সন্তানের মত শিক্ষা দিয়ে এই সকল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পাঠ দিন। তাহলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ৬৩ হাজার স্কুলের মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে, তা বাস্তবায়িত হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে বন্দরের ৩১নং ফুলহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১নং কুড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৩নং চাঁপাতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬’শ শিক্ষার্থীর মাঝে এসব শিক্ষা সামগ্রি বিতরণ করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি ভূঁইয়া, নাসিক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম, ৩১নং ফুলহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব খান, ২১নং কুড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম খানম ও ২৩নং চাঁপাতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকেয়া, সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু, বন্দর থানা সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ রব এবং আওয়ামীলীগ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমূখ।