সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
শৈশব কালের মাঠ দেলপাড়া খেলার মাঠের গ্যালারী উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। এ সময় তিনি ১৯৬০ সালের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা হোসেনকে ধন্যবাদ জানান।
২৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের দেলপাড়া খেলার মাঠের প্রায় ১৯ লাখ টাকার ব্যয়ে ৩০০ আসন বিশিষ্ট একটি গ্যালারি উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যানন মনিরুল আলম সেন্টু, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা হোসেন, মাঠ কমিটির সেক্রেটারি মোজাম্মেল হোসেন, আবুল কাশেম, আব্দুর হামিদ, জামান, মান্নু খান, হাজী বিল্লাল হোসেন, উপ-সহকারি প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ওয়ালিউল্লাহ, সাফায়েত হোসেন শুভ, মোস্তাহিদ ও কামরুল ইসলাম প্রমূখ।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন, তারই জন্মদিনে তার শৈশবে স্মৃতিময় দেলপাড়া খেলার মাঠের নবনির্মিত গ্যালারি উন্মুক্ত করছি। দেশের উন্নয়নের প্রধান উদ্যোক্তা প্রধানমন্ত্রীর জন্য সকলে দোয়া চাই ও উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় বজার রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি। আজ দেলপাড়া খেলার মাঠের কাজের উদ্বোধন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। ১৯৬০ সালে দিক আমাকে এই মাঠে ফুটবলের সেমি-ফাইনাল খেলায় গোল কিপার হিসেবে আনা হয়ে ছিল। সেখানে একটি আমার দলের বিরুদ্ধে প্লান্টিক দিয়েছিলেন রেফারি, সেই প্লান্টিক আমি গোলকিপার হয়ে আটকিয়ে দিয়ে দলকে জয়ী করে ফাইনালে উঠিয়েছিলাম। সেই কারণে, উপস্থিত দর্শকরা আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন, আমাকে তাদের মাথায় উপরে তুলে। শুধু তাই নয়, ফাইনালে আমার বদলে মোহামেডান দলের গোলকিপার ননীকে এনেছিল আমার দল। কিন্তু মাঠে নামানো আগে আমাকে গোলকিপার করার জন্য উপস্থিত দর্শক শ্লোগান দিয়েছিলেন। সেই পদক্ষেপে দলের টিম ম্যানেজমেন্ট, আমাকে খেলার অর্ধেক ও ননীকে বাকি অর্ধেক করে খেলায় খেলিয়েছিলেন। সে কারণে এই মাঠটি আমার শৈশবে একটি অংশ হিসেবে স্মৃতি পাতায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান, কুতুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা হোসেনের মাধ্যমে যখন জেলা পরিষদের গ্যালারি করার আবেদন টেবিলে পায়। তখন থেকে এটা সুন্দরভাবে করার প্রত্যয় নেই, তার সাথে এই গ্যালারী দ্রুত সময়ে উদ্বোধন ঘোষণা দেই। স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান এই উদ্বোধনে থাকার কথা ছিল, কিন্তু তার শরীর অসুস্থ কারণে আসতে পারেনি। তিনি আমাকে বলেছেন, আপনি পুরো নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের অন্যতম। আপনি আমার (শামীম ওসমান) পক্ষে সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাবেন।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে শুধু শহর ও ফতুল্লা নয় পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে, আরো হবে। শত বর্ষ পর এই জেলা পরিষদগুলোকে উন্নয়নের কাজে লাগাতে জেলা পরিষদের নতুন পর্ষদ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীরা। তার নিদের্শনায় আমি কাজ করছি, করে যাবো।’
ইউপি চেয়ারম্যান সেন্টুর বিষয়ে বলেন, অন্য দলের হয়ে কুতুবপুরে চেয়ারম্যান হলেও উন্নয়নের স্বার্থে তিনি আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তার কৌশলে এই কুতুবপুরে বেশিভাগ রাস্তা আরসিসি করা হচ্ছে, সাথে হচ্ছে উন্নতমানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা। অনেক কাজ চলমান রয়েছে। এই মাঠের গ্যালারি নির্মাণে চেয়ারম্যান সেন্টুর চাহিদা ছিল।