সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
মুন্সীগঞ্জ জেলায় ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিলেন ওই জেলার এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে নারায়ণগঞ্জে এনে বিয়ে দিতে গেলে এবার নারায়ণগঞ্জের আরেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। শুধু বাল্য বিয়ে বন্ধই নয় বাল্য বিয়ে দেয়া হলে পরিবারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক। এভাবে দুই জেলার দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কঠোর ভুমিকায় স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়।
জানাগেছে, ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ফতুল্লায় রামারবাগ এলাকার আবদুর রবের ছেলে বরকত উল্লাহর সঙ্গে মুুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি এলাকার মোক্তার হোসেন শেখের ১৫ বছরের কিশোরী মেয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি চলে।
এমন খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক। সেখানে গিয়ে মেয়েটির বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং পরিবারের সদস্যদের বাল্য না দিতে হুশিয়ার করে দেন।
এর আগে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মত হাসিনা আক্তার ওই ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। মুন্সীগঞ্জ জেলায় মেয়েটির বিয়ে বন্ধ করে দিলে ওই মেয়েটিকে নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় বিয়ের প্রস্তুতি নেন। এর আগে টঙ্গিবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান এবং পরবর্তীতে ইউএনও নাহিদা বারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলে তাদেরকে বুঝিয়েছি। তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে বলেছেন কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে তাদের ছেলের বউ করবে না।