সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে সন্তান ও স্ত্রীকে ফিরে পেতে জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর আবেদন করেছেন জহিরুল ইসলাম বিপ্লব নামের এক মাদরাসা শিক্ষক। শিক্ষক বিপ্লব নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলাধীন আলীনগর কবরস্থান ১নং মাধবপাশা বালুর মাঠ গ্রামের মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে।
আবেদনে ওই শিক্ষক জানান, নারায়ণগঞ্জ শহরের সদর থানাধীন ২নং বাবুরাইল এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে সেলিনা আক্তার শাফিকে বিগত ১৯৯৬ সালের ২০জানুয়ারী ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করেন।
তাদের সংসারে ৩টি সন্তানও রয়েছে। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে তাদের সংসার সুখেই কাটছিল। কিন্তু ইদানীং স্ত্রী সেলিনা আক্তার শাফি তার পিতা-মাতার কু-পরামর্শে গত ২১ সেপ্টেম্বর শিক্ষকের ছোট ছেলে তানভীরকে নিয়ে তার মায়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় বলে মোবাইলে জানায়। এমনকি কয়েকদিন পর সে বাসায় ফিরবে বলে এও জানায়।
তিনি বলেন, এর ২দিন পর গৃহবধূ শাফির মোবাইলে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া গেলে তার ছোট ভাই আরিফের মোবাইলে কল দিলে। আরিফ নিজে কথা না বলে তার মায়ের কাছে দেন। শাশুড়ীর কাছে তার মেয়েকে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বললে আমার শাশুড়ী আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, আমার মেয়ে বাসায় আসেনি তুমি আমার মেয়েকে কি করেছো তুমি জানো এই কথা বলে মোবাইল বন্ধ রাখে। পরে বাসায় গিয়ে আমার ছেলের প্যান্ট খুঁজতে গিয়ে খুলে দেখি আমার জমাকৃত ৪০ হাজার টাকা ও ২ভরি স্বর্ণালংকার ও দামী শাড়ী-কাপড় খোঁয়া দেখতে পেয়ে তাদের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তারা মোবাইল রিসিভ করেননা।
বর্তমানে এ বিষয়ে চরম শংকার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। মাদরাসা শিক্ষক বিপ্লব তার স্ত্রী-সন্তানকে ফিরে পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তদন্তপূর্বক কার্যকরি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।