সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সরকার দলীয় কোন কোন মন্ত্রীর (এম.পি/নেতা সহ) বিরোধী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্য ইতোমধ্যে দেশবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ শুনে আসছে। কিন্তু সম্প্রতিকালে সরকারী দলের গুন কীর্ত্তনের কথাও জনগণ শুনছে। গণমানুষ এটাও জানতে পারলো যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় কেসিনিও চললেও কর্তারা তা চোখে দেখে নাই। যুক্তি হিসাবে এর পিছনে দুটি কারণ হতে পারে।
(এক) তারা (বাহিনী) কেসিনিও জুয়া সম্পর্কে জানতো না, যদি তাই হয় তবে তারা ব্যর্থ, অনুপযুক্ত। (দ্বিতীয়) তারা (বাহিনী) জানতো কিন্তু কারো না কারো অথবা নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য কেসিনিওর ভাগ ভাটোয়ারা পেয়েই তা বিনা বাধায় চলতে দিয়েছে, তবে গণ মানুষ দ্বিতীয় যুক্তিটিই বিশ্বাস করছে, দায়িত্ব নিয়েই আমি একথা বলছি। হালে কেসিনিও অভিযান এখন থমকে গিয়েছে, যে ভাবে গর্জে উঠেছিল, সে ভাবে বর্ষে নাই। পত্রিকার সংবাদ ও গণ মানুষের গুঞ্জন থেকে শোনা যাচ্ছিল যে, কেসিনিও গড্ ফাদাররা অভিযানের আওতায় রয়েছে। কিন্তু সে সংবাদ এখন “গুড় বালি।” শুধুমাত্র একজন শীর্ষ নেতার “ব্যাংক একাউন্ট জব্দ” ও “বিদেশ ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা” ছাড়া গড্ ফাদারদের বিরুদ্ধে অভিযান সম্পর্কীত কোন পদক্ষেপই গৃহিত হয় নাই, একমাত্র একজন গড্ ফাদার ছাড়া যিনি কেরানীগঞ্জ টু হাসপাতাল, হাসপাতাল টু কেরানীগঞ্জ আসা যাওয়ার মাধ্যমেই মিডিয়ার খোরাক হচ্ছেন। কেসিনিও বিরোধী অভিযান ভাটা পড়তেই বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফরহাদের নিঃশংষ হত্যা দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। আবরার হত্যা হয়েছে তার সহপাঠীদের দ্বারা। সহপাঠীদের কোন ক্ষতি সে করে নাই, তারপরও তাকে নিহত হতে হয়েছে ফেসবুকে একটি ষ্টেটাচ দেয়ার অপরাধে। কি ছিল সে ষ্টেটাচে। পত্রিকার ভাষ্যে জানা যায় যে, শেখ হাসিনা সরকারের সাথে ভারতের মোদী সরকারের চুক্তির সমালোচনা, যেখানে আবরার চুক্তিটিকে অসম বলে দাবী করে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেছে যাতে বাংলাদেশ কোন প্রকার লাভবান হয় নাই বলে মন্তব্য রয়েছে। এ হত্যাকান্ডে যে নেতৃত্ব দিয়েছে সে ইস্কন নামক হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্য (পত্রিকার ভাষ্যমতে)।
মিয়ারমার বা ভারতের মত বাংলাদেশ কোন সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে নহে, বাংলাদেশের মানুষও অসাম্প্রদায়িক। তারপরও প্রিয়া সাহাদের মত উগ্রবাদী হিন্দু সাম্প্রদায়িক যারা মুসলমান বিদ্বেষী তাদের মূখে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের নিকট অভিযোগ তুলছে। অথচ অভিযোগের বিন্দুমাত্র লেষমাত্র সত্যতা নাই। প্রসঙ্গত: উল্লেখযোগ্য যে, চাকুরী অথবা প্রমোশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কোন বৈষম্য নাই যেমনটি রয়েছে পাশ্ববর্তী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতে। অমিত ও প্রিয়া সাহা ভুক্ত ধর্মাম্বলীরা এখন রাষ্ট্রীয় বড় বড় পদ পর্যাদার আসীন রয়েছে। তারপরও অভিযোগের একটি মাত্র কারণ তা হলো মুসলিম বিদ্বেষী সংস্কৃতির বহির প্রকাশ, এছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না। ট্রাম্পের নিকট বাংলাদেশী কোন মুসলমান যদি এ ধরনের অভিযোগ তুলতো, তবে বুঝা যেতো রাষ্ট্র বিরোধী কত মামলা তার ঘারে চেপে বসত, যা প্রিয়া সাহা ব্যপারে কার্যকর হয় নাই, যদিও এ মর্মে সরকারের ২/১ মন্ত্রীর লম্ব ঝম্প খুবই চলছিল। এটাও ভারত তোষনের একটি বৈশিষ্ট বটে।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার নেতৃতাধীন সরকার ভারতের সাথে ৭টি চুক্তি ও ৩টি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ একটি অনির্বাচিত পার্লামেন্ট হলেও চুক্তির বিষয়বস্তু সেখানে আলোচনা হয় নাই। সকল চুক্তির বিষয়বস্তু জনগণ জানতে পরে নাই, যতটুকু জেনেছে তা হলো প্রধানমন্ত্রীর মূখ থেকে। ফেনী নদীর পানি ভারতকে দেয়া হয়েছে, অথচ তিস্তা নদীর পানি নিয়ে বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের কান্না ভারতের বরফ গলে নাই। এ ধরনের চুক্তি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার অধিকার তো একজন নাগরিকের অবশ্যই রয়েছে। তারপরও সাংবিধানিক অধিকার তথা মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগ করাতেই সরকারী দলের হাতে আবরার ফরহাদকে নিঃসংষভাবে খুন হতে হলো। বিরোধী দল যে ভূমিকা রাখে নাই, আবরার সে ভূমিকা রেখেছে।
বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার প্রাক্কালে লর্ড ক্লাইভ ও মীর জাফর আলী খাঁ’র সাথে চুক্তি হয়ে ছিল। সে চুক্তির সারমর্ম তখন জানা যায় নাই, যখন জানা গেল তখন “বাংলা” ব্রিটিশদের পদতলে। বিশিষ্ট গবেষক বাংলাদেশ জাতীয আর্কাইভস এর পদস্থ কর্মকর্তা মীর ফজলে আহমদ চৌধুরী তার গবেষনা গ্রন্থ দলিলপত্রে পলাশীর যুদ্ধ গ্রন্থে ‘জাফর আলী খাঁন ও ইংরেজদের মধ্যে চুক্তিপত্র’ শিরোনামের অধ্যায়ে বলেন “মীরজাফর আলী খাঁন এর সঙ্গে ইংরেজদের মোট তিনটি চুক্তি হয়। প্রথমটি গোপনে পলাশীর যুদ্ধের পূর্বে এবং অন্য দুটি সিরাজ-উদ-দ্দৌলার পতনের পরে ইংরেজরা মীরজাফরকে নবাব ঘোষণা করার পর। ১০ই মে গোপন চুক্তিটিতে ১৫ই রমজান ১১৭০ হিজরী সনে সম্পাদিত হয়ে ছিল। এই চুক্তিটিতে ইংরেজী মাস বা তারিখ উল্লেখ নেই। তবে অনেকের মতে ১৭৫৭ সালে হয়েছিল। প্রথমে এই চুক্তিটিতে ১২টি শর্ত বা অনুচ্ছেদ ছিল। পরবর্তীতে আরো একটি অতিরিক্ত অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়।
মীরজাফর আলী খাঁন এর সঙ্গে সন্ধি: ১৭৫৭ আমি আল্লাহ এবং আল্লাহর নবীর নামে শপথ করছি যে, যতক্ষণ জীবন আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই সন্ধির শর্তাবলী মেনে চলব। (এই অংশটুকু মীর জাফর আলী খাঁন নিজ হাতে লিখেন)। মীর মোহাম্মদ জাফর খাঁন বাহাদুর বাদশা আলমগিরের সেবক। এই সন্ধিটি এডমিরাল এবং কর্ণেল ক্লাইভ (সাবুদ জং বাহাদুর) গভর্ণর ড্রেক এবং মিঃ ওয়াট এর সঙ্গে সম্পাদিত। যাতে নিন্মবর্ণিত শর্তাবলী সংযুক্ত ছিল।
আর্টিকেল-১: যে সকল শর্ত সমূহ, শান্তিকালীন সময়ে নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা মনসুর উলমূলক শাহ কুলি খান বাহাদুর, হায়বাত জং এর সময়ে সম্পাদিত হয়েছিল, আমি সেগুলি মানতে সম্মত আছি।
আর্টিকেল-২: ইন্ডিয়ান অথবা ইউরোপিয়ান যেই হোন, যারা ইংরেজের শক্র, তারা আমারও শক্র।
আর্টিকেল-৩: বাংলা বিহার এবং ঊড়িষ্যায় ফরাসিদের যে সমস্ত ফ্যক্টরিও অন্যান্য স্থপনাসমূহ রয়েছে সেগুলি ইংরেজদের দখলে যাবে। আমি কখনই তাদেরকে উক্ত তিনটি স্থানে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি দেব না।
আর্টিকেল-৪: নবাব কর্তৃক কলকাতা দখল ও লুন্ঠনের ফলে ইংলিশ কোম্পানীর যে, ক্ষতি হয়েছে এবং সেজন্য সৈন্যদলের রক্ষণাবেক্ষনের জন্য যে, অর্থ ব্যয় হয়েছে তা বিবেচনা করে আমি এক কোটি টাকা প্রদান করবো।
আর্টিকেল-৫: কলকাতা বসবাসকারি ইংরেজদের যে সকল মালামাল লুন্ঠন হয়েছে, সেজন্য আমি ৫০ লক্ষ টাকা দিতে সম্মত হলাম।
আর্টিকেল-৬: করকাতায় বসবাসকারি সুধীজন, মুসলমান এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ যাদের সম্পদ লুন্ঠন হয়েছে তাদের জন্য ২০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে।
আর্টিকেল-৭: কলকাতা বসবাসকারি আরমেনিয়ান যাদের সম্পদ লুন্ঠন হয়েছে, সেজন্য আমি ৭ লক্ষ টাকা প্রদান করবো। বরাদ্ধবৃত অর্থ এডমিরাল এবং কর্ণেল ক্লাইভ (সাবুদ জং বাহাদুর) কর্তৃক দেশীয়, ইংরেজ, সকল সুধীজন, এবং মুসলমানদের মধ্যে বিতরণ করবেন এবং বাকি অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক যাকে উপযুক্ত মনে করবেন তাকে বন্টন করবেন।
আর্টিকেল-৮:কলকাতার চারদিকে যে খাদ আছে সেগুলি বেশ কয়েকজন জমিদারের দখলে। আমি ইংরেজ কোম্পানীকে খাদ ব্যতীত ছয়শত গজ জমি প্রদান করব।
আর্টিকেল-৯: কলকাতার দক্ষিণ দিকে কলপি পর্যন্ত যে পরিমাণ ভূমি আছে সেগুলি ইংরেজ কোম্পানী, জমিদারির অন্তর্ভূক্ত হবে এবং সেখানকার সকল কর্মকর্তা তাদের অধীনস্থ হবে। অন্যান্য জমিদারের মত তারাও (অর্থাৎ কোম্পানী) ও একইভাবে রাজস্ব প্রদান করবে।
আর্টিকেল-১০: গঙ্গা নদীর নিকটবর্তী হুগলিতে আমি কোন নতুন দূর্গ নির্মাণ করব না।
আর্টিকেল-১১: প্রদেশ ৩টিতে সরকার প্রতিষ্ঠা করার সঙ্গে সঙ্গেই যথাসম্ভব শীঘ্র আমি উপরোক্ত অর্থ বিশ্বস্থতার সহিত প্রদান করব। ১৫ই রমজান ৪র্থ বর্ষ রাজস্বকাল। (এই ১১টি অনুচ্ছেদ সম্পাদিত হওয়ার পর আরও একটি অতিরিক্ত শর্ত সংযুক্ত করা হয়)।
আর্টিকেল-১২: এই অনুচ্ছেদ বা আর্টিকেল গুলি এই শর্তে গৃহিত করা হল যে, মীরজাফর আলী খাঁন বাহাদুর উপরোক্ত শর্তাবলী শপথ করে নিশ্চিত এবং বাস্তবায়িত করবেন। যা সম্মানিত ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানী ঈশ্বরকে স্বাক্ষী রেখে ঘোষণা করছে যে, আমরাও আমাদের শক্তিদ্বারা মীরজাফর খাঁন বাহাদুরকে বাংলা বিহার ঊড়িষ্যা প্রদেশের সুবেদার পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সাহায্য করব এবং তার সকল প্রকার শক্রদের বিরুদ্ধে যখনই তিনি সাহায্যের জন্য আহবান করবেন, তখনই সর্বাত্বক সাহায্য করব। উপরোক্ত অনুচ্ছেদ বা শর্তাবলী তখনই কার্যকর হবে যখন তিনি নবাব হবেন (সূত্র: এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব প্রনীত সুবে বাংলার সিপাহসালার বেঈমান মীর জাফর আলী খাঁন আর নয় পলাশী-আর নয় মীর জাফর পৃঃ ১১-১২ থেকে সংগ্রহিত)।”
মীর জাফর আলী খাঁ নায়েবে আলী বর্দি খাঁর শুধু নাতিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন প্রধান সেনাপতি। সেনাপতি দেশপ্রেম দেখাতে পারে নাই। যা দেখাতে পেরেছে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফরহাদ।
চুক্তির সব শর্তাবলী জানা, দেখার এবং আলোচনা সমালোচনার অধিকার প্রত্যেকটি সাধীন দেশের নাগরিকের রয়েছে, পরাধীন নাগরিক হলে বিষয়টি আলাদা। যে ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের নাগরিকে নহে সে রাষ্ট্র ব্যবস্থা বা কর্মকান্ড নিয়ে কোন মন্তব্য করার অধিকার তার নাই, কাজ করবে আর ভাত খাবে এটাই তার পাওনা। কিন্তু অধিকারের প্রশ্নে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক অবশ্যই অবশ্যই একটি সংবিধানের আওতাভুক্ত। সংবিধান হলো একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিকের সাথে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সাথে একটি চুক্তিনামা যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা সমালোচনাসহ নাগরিকদের মত প্রকাশের নিজস্ব অধিকারের নিশ্চয়তা রয়েছে। সে অধিকার প্রয়োগের যে সরকার বাধা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সে সরকারই স্বৈরাচার এবং স্বৈরাচারের রূপরেখা বলতে এটাকেই বুঝায়।
সরকার আর জনগণ এক নহে। বর্তমান বিশ্বে আন্ত: রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় কেহ কারো বন্ধু নয়। বরং সম্পর্কটি নির্ভর করে স্বার্থগত সংঘাত (Conflict) অথবা স্বার্থগত আপোষ (Compromise)। আমার নিজস্ব মতামত এই যে, There is no Friendships relation in between the state to state. But the relationship is related to compromise or conflict. বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাথে Conflict এ জড়াতে চায় নাই বলেই সরকার Compromise করছে। ফলে ফেনী নদীর পানি দিয়েছে কিন্তু তিস্তা নদীর পানি আনতে পারে নাই। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহণের সূযোগ দেয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের সুযোগ দেয়ার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবী, বন্দরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবে এমনিতেই প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। কনটেইনার জটে পড়ে পণ্য নিয়ে খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে অপেক্ষা থাকতে হচ্ছে দিনের পর দিন। নতুন করে ভারতীয় পণ্য খালাসের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করা হলে শত শত দেশী ব্যবসায়ী পথে বসবেন এবং নিত্যপণ্যের দাম আরো বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সাধারণ ব্যবসায়ীদের অনুমান, একই বন্দর ব্যবহার করা হলেও ভারতীয় ব্রবহারকারীরা ভিআইপি মর্যাদা পাবেন এবং এর মাধ্যমে দেশী ব্যবহারকারীদের স্বার্থ মারাতœকভাবে ক্ষুন্ন হবে (সূত্র: জাতীয় পত্রিকা ১৪/১০/২০১৯)। ভারতের সাথে সরকারের Compromise কি শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থে?
ভারতের সাথে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত চুক্তির সমালোচনা করে আবরার ফরহাদ নিঃসংষভাবে নিহত হয়েছে, সরকার দলীয় এক জেলার নেতা বহিষ্কার হয়েছে। চুক্তির বিষয়ে সমালোচনায় সরকারী দলের নাখোশ হওয়ায় সরকারের আতে ঘা লাগার কথাই স্বরন করিয়ে দেয়। এ বিষয়ে যদি সরকারের স্বচ্ছতা থাকে তবে চুক্তির বিষয়াদি জনগণের সামনে ব্যাখ্যা করা উচিৎ, নতুবা সন্দেহের বেড়াজালে সরকারকেই ভোগ করতে হবে।
লেখক: তৈমূর আলম খন্দকার
আইনজীবী ও কলামিস্ট