সোনারগাঁয়ে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, বিরুর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা

সান নারাযণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবু জাফর চৌধুরী বিরু সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার পাকুন্দা এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ তোলা হয়েছে সোনারগাঁ থানায় দায়েরকৃত মামলায়। তিনি কায়সার হাসনাত সমর্থক।

অভিযোগ সূত্রে, উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর ১৬ অক্টোবর বুধবার বিকেলে স্থানীয় এলাকায় স্বনাতন ধর্মাবলম্বীদের লক্ষী পূজার অনুষ্টানে যাওয়ার পথে একই এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ বীরুর সমর্থক সামসুদ্দিন খান আবু, লিপন চৌধুরী ও আমীর হোসেন পাকুন্দা এলাকায় রাস্তায় গতি রোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

এসময় মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর প্রতিবাদ করলে ক্ষীপ্ত হয়ে সামসুদ্দিন খান আবু, লিপন চৌধুরী, আমীর হোসেন, মামুন মিয়া, মোতালিব মিয়া ওরফে টারজেন, আমিনুল ইসলাম ও মোক্তার সহ ১৫/২০জন সন্ত্রাসী তাদের হাতে থাকা দা, ছেনা, লোহার রড ও দেশীয় তৈরি লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতারীভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। তার ডাক চিৎকারে তার ছেলে রোমান ও রুবেল তাকে বাঁচাতে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে থাকা ছেন, দা, লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রোমান ও রুবেলকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।

এ সময় আশপাশের লোকজন তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় আহত মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর সহ তার ছেলেদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রোমানের অবস্থা আশঙ্খা জনক।

এ বিষয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবিরের মেয়ে জামাতা আশিকুর রহমান রানা বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আহত মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর বলেন, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার ও আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডাঃ বিরুর লোকজন আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে। আমার ছেলে রুমান মিয়া বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

অপরদিকে সামসুদ্দিন খান আবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন মেম্বার সহ তার পরিবারের উপর হামলার ঘঠনা ঘঠেছে এ কথা সত্য। কিন্তু এ বিষয়ে আমি জড়িত নই।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার ঘঠনায় থানায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।