ফতুল্লায় সেনসিবল ফ্যাশনের শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিভিন্ন দাবি সহ কারখানার বন্ধের প্রতিবাদে ফারিহা গ্রুপের সেনসিবল ফ্যাশনের শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল সহ সড়ক অবরোধ করেছে। তারা বিশৃঙ্খলা না করলে দীর্ঘ সময় ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ৮টা হতে দুপুর পর্যন্ত ফতুল্লার পুলিশ লাইনের গেইটের সামনে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, ফতুল্লার টাগারপাড় এলাকায় অবস্থিত ফারিহা গ্রুপের সেনসিবল ফ্যাশন। এই কারখানায় কয়েকশত শ্রমিক রয়েছে। মালিকপক্ষের লোকজন কথায় কথায় শ্রমিক ছাটাই করে। আর শ্রমিক ছাটাই করলেও শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের পাওনা বুজিয়ে দেয়া হয় না। বিনা কারণে শ্রমিকদের সাথে স্টাফরা খারাপ আচরণ করে। এমনকি কারখানার ভিতরে ক্যানটিন না দিয়ে কাউকে নাস্তা খাওয়ার জন্য বাহিরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয় না। এছাড়াও সকাল ৮ টার এক মিনিট পর কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। রাস্তায় যানজট থাকলেও দুপুরে ২ টার এক মিনিট পর গেইটের সামনে হাজির হলেও ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। মালিকের কঠিক এবং মনগড়া নিয়ম বাতিল করতে হবে।

তারা আরো জানান, কোন কারণ ছাড়া এবং শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার বিষয় কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে হঠাৎ করে কারখানা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও মালিকের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শ্রমিকদের নানা ভাবে হয়রানী সহ হুমকি দেয়া হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, সেনসিবল ফ্যাশনের শ্রমিকদের কোন ধরনের বকেয়া না থাকা সত্বেও তারা রাস্তায় এসে সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং বিক্ষোভ করে। তাদের সাথে কথা বলে মালিকপক্ষের আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মালিকপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লোকজন সাথে নিয়ে সমস্যার সমাধান করে শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বতর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সেলিম ওসমান ও আইভীকে গ্রেপ্তার করে না’গঞ্জবাসীকে শান্তিতে থাকতে দিন: টিপু

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, খুনি সেলিম ওসমান এখনো বাংলাদেশে রয়েছে তাকে গ্রেপ্তার করুন আর খুনের মামলার আসামি হয়ে মেয়র আইভী বাড়িতে বসে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে বৈঠক করে এবং ষড়যন্ত্র করছে। আমি নারায়ণগঞ্জের এসপি ও ডিসিকে বলতে চাই অনতিবিলম্বে খুনি সেলিম ওসমান ও মেয়র আইভীকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জবাসীকে সুখে শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিবেন।

১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকেলে মহানগরীর কিল্লারপুল এলাকায় বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ এবং শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৫ আগস্টের পরে একটি ঘোষণা দিয়েছেন ১৬ বছর আওয়ামী লীগ যা করেছে বিএনপি তা করবে না। বিএনপি কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দখলবাজ এবং মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রশ্রয় দিবো না। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এ সকল অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদেরকে ধরে প্রশাসনকে খবর দিবেন আর প্রয়োজনে আমাদেরকে বলবেন আমরা এসে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করব। বিএনপিতে তাদের কোন স্থান নেই।

মহানগর ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল সহ প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জের নবাগত ডিসি জাহিদুল ইসলামের যোগদান

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে যোগদান করলেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকেলে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, সিভিল সার্জন, ড. মোঃ মনিরুজ্জামান, উপপরিচালক (উপসচিব), স্থানীয় সরকার, মুহম্মদ শামীম কিবরিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা), মো: মাশফাকুর রহমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মোঃ সাকিব-আল-রাব্বি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মোঃ জাহিদ হাসান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রমুখ।

এর আগে, গত ৯ ই জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত বছরের ২ নভেম্বর জাহিদুল ইসলাম রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। একই বছরের ৩০ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

এখনো পুলিশের মামলা বাণিজ্য অব্যাহত: সমন্বয়ক হাসনাত

ডেস্ক রিপোর্ট

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমোদের স্বপ্ন ছিল ৫ আগস্টের পর আমাদের ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। কিন্তু আমরা দেখছি কামার, কুমার, খেটে খাওয়া মানুষ, রাজমিস্ত্রি রিকশাচালক, শ্রমজীবী, পেশাজীবী মানুষ তাদের অভ্যুত্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থায় রয়েছে। আমরা যখন সিএনজিওয়ালাদের সঙ্গে কথা বলি, তখন শুনি তাদেরকে চাঁদা দিয়ে রাস্তায় সিএনজি চালাতে হয়। ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হয়।

১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে পথসভা ও গণসংযোগে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, পুলিশ এখনো মামলা বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে। ৫ আগস্টের পর পুলিশ হওয়ার কথা ছিল জনতার পুলিশ। আমরা চেয়েছিলাম জনতার পুলিশ ক্ষমতার কাঠামো ভেঙে জনতার কাতারে নিমে আসবে। কিন্তু দেখছি মামলা বাণিজ্য। মামলা দিয়ে এই দেশে ব্যবসার নতুন একটা উপলক্ষ্য তৈরি করা হয়ছে। আমরা ৫ আগস্টের পর যে স্বপ্ন দেখেছি তা দিন দিন স্থিত হতে যাচ্ছে। এই স্বপ্ন দিন দিন আশাহত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই আমাদের প্রোক্লেমেশন রেজুলেশনে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করতে হবে। এই রেজুলেশনে আমাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে প্রোক্লেমেশন ঘোষণা করতে হবে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর যে শাসন ব্যবস্থা প্রণয়ন করছে, কায়েম করছে, সে শাসন ব্যবস্থা হলো আইয়ামে জাহেলিয়া। এই আইয়ামে জাহেলিয়ায় আমরা মানুষ হিসেবে স্বীকৃত ছিলাম না। আমরা নাগরিক হিসাবে স্বীকৃত ছিলাম না। এ আইয়ামে জাহেলিয়ার সময় এই নারায়ণগঞ্জ ছিল শামীম ওসমানের, সেলিম ওসমানের নারায়ণগঞ্জ।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সমান নায্য হিস্যা রয়েছে। এখানে কোনো ব্যক্তির ইতিহাস হিস্যা রাখবেন না। এদেশ কারো বাবার পেতৃক সম্পত্তি না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে নিয়ে পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব না। সুতরাং যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করছেন, আপনাদেরকে সতর্ক করতে চাই। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ আপনাদের কম্প্রোমাইজ পলিটিক্সকে আমরা নির্বাসনের ব্যবস্থা করব। আপনারা যদি মনে করেন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করবেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরে আনবেন। আমাদের লাশের ওপর দিয়ে তাদের রাজনীতিতে ফিরে আসতে হবে। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে হয় ছাত্র নাগরিক থাকবে না হয় আওয়ামী লীগ থাকবে। আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে, শাপলা চত্বরের বিচার নিশ্চিত করত হবে। আমরা বিগত ৩টা ইলেকশনে ভোট দিতে পারিনি। আবার যারা ভোট দিয়েছে ১০টি দিয়েছে। তারা দিনের ভোট রাতে দিয়েছে। এই যে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে, তার জন্য অবশ্যই বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

গণসংযোগ ও পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, মুখপাত্র আরেফীন মুহাম্মাদ হিজবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন মাহমুদ, শওকত আলী, তামিম আহমেদ প্রমুখ।

আপনাদেরও আওয়ামীলীগের মত পরিণতি হবে: সমন্বয়ক হাসনাত

ডেস্ক রিপোর্ট

তরুণ প্রজন্মের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হলে আওয়ামীলীগের মত পরবর্তীতে নীতিনির্ধারকদের পরিণতি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের সর্বপ্রথম তাদের বিচার হতে হবে। যেসব টকশোজীবী, মিডিয়াপাড়া, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীরা আওয়ামী লীগের মানবাধিকারের জন্য সরব হয়েছেন, তারা ফ্যাসিবাদের তেল, নুন, ঘি খেয়ে এতোদিন ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব কলমগুলো লিখবে আমরা সেই কলমগুলো ভেঙে দিবো, যেসব মিডিয়া কথা বলবে সেসব মিডিয়ার বিপক্ষে আমাদের অবস্থান থাকবে। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব মগজ তাদের চিন্তা প্রসারিত করবে তাদের চিন্তার বিপক্ষে আমাদের শক্ত অবস্থান থাকবে। আপনারা যদি তরুণ প্রজন্মের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হন আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে পরবর্তীতে যারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আসবে তাদেরও একই পরিণতি হবে।

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হবে কিনা সেটার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ৫ আগস্ট হয়ে গেছে।সেই সিদ্ধান্ত নতুন করে নেওয়ার কিছুই নাই।এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুর্নবাসিত হবে কিনা সেটা এখন প্রাসঙ্গিক আলাপ নয়। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আবার যারা তাদেরকে পুনর্বাসনের কথা বলবে, আওয়ামী লীগের উপস্থিতি ছাড়া নির্বাচন পার্টিসিপেটরি হবে না। এসব কথা যারা বলবে আমরা ধরে নিবো গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের জাহিলিয়াতের রাজনীতি কায়েমে তাদেরও ইন্ধন ছিল।

এই ছাত্র নেতা বলেন, বিপ্লবের দালিলিখ স্বীকৃতির জন্য আজকে বিপ্লবীদের রাস্তায় রাস্তায় পথসভা করতে হচ্ছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পরিণতি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগের শাসন নিষিদ্ধ হবে কিনা সেটি চূড়ান্ত হয়েগিয়েছিল ৫ আগস্ট। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজকে বিপ্লবীরা এই বিপ্লবের লিখিত দালিলিক স্বীকৃতির জন্য যেখানে অপেক্ষা করছে, অন্যদিকে আজকে রাষ্ট্রযন্ত্র এই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্নভাবে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তরুণদের মাইসান করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মান হবে অতীত সময়ে যারা রাজনীতি করেছে তাদের অভিজ্ঞতা ও তরুণ প্রজন্মের ভয়ভীন মনোভাব-এই দুটোর সংমিশ্রণে। কিন্তু এখানে যদি তরুণদের মাইনাস করার কোন ধরনের চিন্তা থাকে, গণঅভ্যুত্থানের একক এজেন্ডার প্রবণতা আমরা দেখতে পাচ্ছি।

তরুণদের অর্জনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদেরকে রক্ত দিতে হয়েছে, ভয়কে জয় করতে হয়েছে। কারণ আমাদের যে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি ও প্রতিহিংসার রাজনীতির সংস্কৃতি, তা আমাদের তরুণদেরকে আশাহত করেছে। আমরা জনকল্যাণমূলক কাজ করতে পারি নাই। আমরা রাষ্ট্রের মধ্যে নাগরিক হয়ে উঠতে পারি নাই। আমাদের অতিতের যে রাজনৈতিক কাঠামো রয়েছে সেটা আমাদের নাগরিক অধিকার থেকে ইতিহাসের স্তরে স্তরে বঞ্চিত করেছে। এই বঞ্চিতের ক্ষোভ থেকে ক্ষোভের আগুন দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়েছি।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে মিশনপাড়া পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগ করেন। পরে সেখান থেকে গাড়ি যোগে সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুলাহ আল আমিন, যুগ্ম আহবায়ক আলী আহসান জোনায়েদ সহ মুখপাত্র আরেফীন মুহাম্মদ হিজবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী, তামিম আহমেদ সহ প্রমুখ।

মহানগরীর ১১নং ওয়ার্ডে বিএনপির শীতবস্ত্র বিতরণে সাখাওয়াত ও টিপু

সান নারায়ণগঞ্জ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকেলে মহানগরীর কিল্লারপুলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময়ে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ তুলে দেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

মহানগরীর ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহাবুব উল্লাহ তপন, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর বিএনপি নেতা সরকার আলম, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মীর ইয়ামিন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, সোহেল গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ দিপু, প্রচার সম্পাদক মো.সেলিম, সহ- প্রচার সম্পাদক মিঠুন মিয়া, কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, মহানগর যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন, রেজাউল করিম রেজা, আরিফুল ইসলাম নয়ন, নাসের হক ইমন, রতন, টুলু, জনি, রোকন, সোহেল, বলাই, রনিসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ষড়যন্ত্র করছে আইভী: টিপু

সান নারায়ণগঞ্জ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি সাবেক এমপি সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াত আইবি গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, খুনি সেলিম ওসমান এখনো বাংলাদেশে রয়েছে তাকে গ্রেপ্তার করুন আর খুনের মামলার আসামি হয়ে মেয়র আইভী বাড়িতে বসে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে বৈঠক করে এবং ষড়যন্ত্র করছে। আমি নারায়ণগঞ্জের এসপি ও ডিসিকে বলতে চাই অনতিবিলম্বে খুনি সেলিম ওসমান ও মেয়র আইভীকে গ্রেপ্তার করবে নারায়ণগঞ্জবাসীকে সুখে শান্তিসে বসবাস করার সুযোগ করে দিবেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ এবং শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মহানগরীর কিল্লারপুলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৫ই আগস্টের পরে একটি ঘোষণা দিয়েছেন ১৬ বছর আওয়ামী লীগ যা করেছে বিএনপি তা করবে না। বিএনপি কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দখলবাজ এবং মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রশ্রয় দিবো না।‌ যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এ সকল অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদেরকে ধরে প্রশাসনকে খবর দিবেন আর প্রয়োজনে আমাদেরকে বলবেন আমরা এসে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করব। বিএনপিতে তাদের কোন স্থান নেই।

মহানগর ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহাবুব উল্লাহ তপন, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর বিএনপি নেতা সরকার আলম, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মীর ইয়ামিন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, সোহেল গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ দিপু, প্রচার সম্পাদক মো.সেলিম, সহ- প্রচার সম্পাদক মিঠুন মিয়া, কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, মহানগর যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন, রেজাউল করিম রেজা, আরিফুল ইসলাম নয়ন, নাসের হক ইমন, রতন, টুলু, জনি, রোকন, সোহেল, বলাই, রনিসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

নারায়ণগঞ্জের আদর্শ স্কুলের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দোয়া

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদর্শ স্কুল নারায়ণগঞ্জ এর ৫০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে স্কুলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার স্কুল প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়।

আদর্শ স্কুল নারায়ণগঞ্জের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ স্কুল নারায়ণগঞ্জ এর ম্যানেজিং কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুর রহমান বাঙ্গালী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক সোসাইটি অফ নারায়ণগঞ্জের পরিচালক মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শাহীন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মাওলানা আব্দুল জব্বার, ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন, আদর্শ স্কুল নারায়ণগঞ্জ এর উপাধ্যক্ষ মাসুদ করিম মোল্লা, আদর্শ স্কুল এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য খন্দকার আবুল খায়ের ও রবিউল আলম খান, টিচার্স কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদউদ্দিন আহমেদ, প্রাক্তন ছাত্র ও সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, প্রাক্তন ছাত্র ডা: মফিজুল ইসলাম, ইসলামীক সোসাইটি অফ নারায়ণগঞ্জের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা ওমর ফারুকসহ স্কুলের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পূর্বে নারায়ণগঞ্জের কিছু শিক্ষানুরাগীর উদ্যোগে আদর্শ মানুষ গড়ার লক্ষ্যে “আদর্শ স্কুল নারায়ণগঞ্জ” প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ইসলামিক সোসাইটি অফ নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক পরিচালিত আদর্শ স্কুল হচ্ছে আদর্শ মানুষ গড়ার কারখানা। এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র, হামলা মামলার শিকার হতে হয়েছে। তারপরেও আদর্শ স্কুলের অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারেনি। আদর্শ স্কুলে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা দেয়া হয় যাতে করে আদর্শ স্কুলে শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী জীবনে একজন ভালো আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে।

এসময় ইসলামিক সোসাইটি অফ নারায়ণগঞ্জ এবং আদর্শ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে স্কুলটিকে আগামীতে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত উন্নীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

সবশেষে স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রয়াত নেতৃবৃন্দের স্মরণে এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষকমন্ডলী এবং শিক্ষার্থীদের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

তারা সাত খুন থেকে ত্বকী পর্যন্ত অনেক খুন গুম করেছিল: সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে জিম্মি করে রেখেছিল। তারা নারায়ণগঞ্জের জনগণকে জিম্মি করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রতিটি সেক্টরকে দখল করে রেখেছিল। তারা নারায়ণগঞ্জের মানুষের অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছে। তারা নারায়ণগঞ্জে হত্যা, গুন খুন ও নির্যাতনর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে দমিয়ে রেখেছিল। নারায়ণগঞ্জে সেভেন মার্ডার থেকে শুরু করে ত্বকীকে হত্যা পর্যন্ত করে তাদের লাশ শীতলক্ষায় ডুবিয়ে রেখেছিল। তারা নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে নারায়ণগঞ্জকে তাদের কপ্জায় রাখতে চেয়েছিল। আমরা আর নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হতে দিতে পারি না। এই নারায়ণগঞ্জ হবে শান্তির নারায়ণগঞ্জ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মহানগরীর কিল্লারপুলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে জনগণের রাজত্ব চলবে কোন ব্যক্তি বা সন্ত্রাসের রাজত্ব চলবেনা। নারায়ণগঞ্জের জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে এমন নারায়ণগঞ্জে হবে। সেই নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলতে হলে আমাদেরকে আমাদের নেতা তারেক রহমান যে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে সেটাকে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই ৩১দফা আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে আপনারা এগুলো পড়বেন। এবং আগামীতে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আপনারা জয়যুক্ত করবেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে।

মহানগর ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহাবুব উল্লাহ তপন, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর বিএনপি নেতা সরকার আলম, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মীর ইয়ামিন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, সোহেল গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ দিপু, প্রচার সম্পাদক মো.সেলিম, সহ- প্রচার সম্পাদক মিঠুন মিয়া, কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, মহানগর যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন, রেজাউল করিম রেজা, আরিফুল ইসলাম নয়ন, নাসের হক ইমন, রতন, টুলু, জনি, রোকন, সোহেল, বলাই, রনিসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল: সজল

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, একটি ফ্যাসিবাদী সরকার সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। জুলুম নির্যাতনের সর্বোচ্চ পর্যায় ছিল এই আওয়ামী লীগ সরকার। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশ থেকে বসেও কিন্তু এদেশ কিভাবে চলবে তার চিন্তা ভাবনা সব সময় দেশ নিয়েছিল। আগামীতে বাংলাদেশকে কিভাবে পরিচালনা করবেন তারই ধারাবাহিকতায় এই ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের সংস্কারের একটি তালিকা তৈরি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মহানগরীর কিল্লারপুলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, এখানে সবাই মা-বোনেরা আছেন। আপনাদের জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১দফার মাধ্যমে মহিলাদের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করবেন। সমাজে নারীরা আর পিছিয়ে থাকবে না। এ ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে আপনারা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আপনারা আর পরিবারের বোঝা হয়ে থাকবেন না। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে আপনারা সাশ্রয় মূল্যে সকল জিনিসপত্র কিনতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই অঞ্চলটি কিন্তু দীর্ঘদিনের অবহেলিত। দীর্ঘ ১৭ বছর কিন্তু আমরা এই অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারিনি। ইনশাল্লাহ এখন থেকে আপনারা আমাদেরকে আপনাদের পাশে পাবেন আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে স্মরণ করবেন আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমাদের দ্বারা আপনাদের যাতে সবসময় উপকার হয় যেন ক্ষতি না হয় সেই দৃষ্টিটা সব সময় থাকবে।

মহানগর ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহাবুব উল্লাহ তপন, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর বিএনপি নেতা সরকার আলম, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মীর ইয়ামিন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, সোহেল গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ দিপু, প্রচার সম্পাদক মো. সেলিম, সহ-প্রচার সম্পাদক মিঠুন মিয়া, কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, মহানগর যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন, রেজাউল করিম রেজা, আরিফুল ইসলাম নয়ন, নাসের হক ইমন, রতন, টুলু, জনি, রোকন, সোহেল, বলাই, রনিসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সর্বশেষ সংবাদ