দলের অনেকেই নিজেকে জাহির করতে অনুপ্রবেশকারীদের সুযোগ দিচ্ছে: আশা

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা বলেন, তারা বলেছিলেন নিরাপদ থাকতে হলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা জরুরী, নইলে এ দেশ জঙ্গীবাদের রাষ্ট্রে পরিণত হবে। একদিনে আওয়ামীলীগের ৫ লক্ষ লোককে মেরে ফেলবে বলেও তারা বলেছিলেন। অথচ মাত্র ৪৫ মিনিটের আল্টিমেটামে দেশ ছেড়ে তিনি ও তার দোসররা পালিয়ে গেছেন।

১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে বন্দর চুনাভুড়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন ইব্রাহিম।

আবুল কাউছার আশা আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচাইতে নির্যাতিত দল বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যন্ত ধৈর্য্য ধারন করে তাদেরকে ভুল প্রমাণ করেছে। আমাদের উপর যে জুলুম, অত্যাচার হয়েছে এতে করে তারা অনেক কিছুই পাওনা হয়েছে। পাওনা পরিশোধ হয়নি, তাই বলে এই না যে পাওনা পরিশোধ হবে না। এখনো ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কথা বলেন আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা।

এলাকায় থাকতে দেওয়া হয়েছে ভালোভাবে থাকেন। এখনো অনেক কিছু করেন, কখনো আনসার, কখনো চোর, কখনো রিকসাওয়ালার বেশে চলে আসেন। তবে যতই মুখোশ বদল করে চলেন না কেনো যখন বাংলাদেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা যখন লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে আসে তখন আর মুখোশধারীদের কোন অবস্থান থাকেনা। যারা অনলাইনে দেখছেন বা শুনছেন তাদের বলবো কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর দরবারে মাফ চান, মানুষের কাছে মাফ চান।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তার রাজনীতি করার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। তারা শাপলা চত্বরে আলেমদের হত্যা করেছে, ডান্ডাবেড়ি পরিয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কত মানুষ নিহত হয়েছে কিন্তু ক্ষমা চায় নি। তারা অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে গেছে। তাদের ভিতর কোন পরিবর্তন নেই, অনুশোচনা বোধও নেই। তারা হচ্ছে এক কথায় অহংকারী, আর অহংকারী সরাসরি আল্লাহর দুশমন। তাই তাদেরকে সাথে নেযার কোন কারন নেই। আমাদের মধ্যে অনেকে ভুল করছে, নিজেকে জাহির করার জন্য দল ভারি করার জন্য অনুপ্রবেশকারীদের সুযোগ দিচ্ছি।

এটা থেকে আমাদেরকে সরে আসতে হবে। দল করলে কোন ব্যাক্তির না শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লোক হতে হবে। মৃত্যুর ভয় আমার নেতৃরও ছিলো, বার বার তার উপর হামলা করা হয়েছে কিন্তু তার ভিতর সৎ সাহস ছিলো তাই তৃনমূলের কথা ভেবে তিনি কোথাও যান নি। তাই আমাদের কর্ম যাতে তাদের মত না হয় সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। রিজিকে মালিক আল্লাহ, যেটা বরাদ্ধ আছে সেটা আসবেই। সেটা হালাল ভাবে নিবো নাকি হারাম ভাবে সেটার দায়িত্ব আমার। যারা হারামের পথে ছিলো তারা মাত্র ৪৫ মিনিটের আল্টিমেটামে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আপনার আমার অবস্থা যেন পালিয়ে যাওয়া দলের মত না হয়।

বক্তব্য শেষে আবুল কাউছার আশার সাথে তাল মিলিয়ে স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে নেতাকর্মীরা।

এসময় উপস্থিত সকলের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

নবীগঞ্জ কদম রসুল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জিসাদ এর সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আওলাদ হোসেন, ১৪নং ওয়ার্ডের মোঃ সোহেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি হুমায়ুন মুন্না, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুয়েল, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পাপ্পু আহমেদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আওয়ামীলীগ অপরাধ করেছে বলেই জনরোষের ভয়ে তারা পালিয়েছে: মামুন

ডেস্ক রিপোর্ট

সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, যারা পালিয়েছে, তাদেরকে কিন্তু আপনারা পালাতে বলেন নাই। তারা অপরাধ করেছে বলেই ভয়ে পালিয়ে গেছে, জনরোষের ভয়ে পালিয়ে গেছে।

আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা পালাতে পারেননি, এখনো এলাকায় আছেন, আপনারা শান্তিতে বসবাস করেন। কোন উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়াবেন না। আপনারা বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করবেন না। বিএনপিতে আপনাদের অনুপ্রবেশের কোন প্রয়োজন নাই। বিএনপি এমনিই মাটি ও মানুষের দল। বিএনপির জনসমর্থন সাধারণ মানুষের মধ্যেই রয়েছে। আপনাদের মত চিহ্নিত অপরাধীদের আমাদের দলে অনুপ্রবেশের কোন সুযোগ আমরা দেবো না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টিতে ১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কদমতলী এম.ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা এবং শীতবস্ত্র উপহার বিতরণে এসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুন মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, অতীতে সমাজ এবং বিচার ব্যবস্থায় জুলুম-অত্যাচার চলতো। ভুমিদস্যুতা চলতো। মাদক ব্যবসা চলতো। মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারতো না। এই এলাকাকে সন্ত্রাসের জনপদ সৃষ্টি করা হয়েছিল, মাদক ও অস্ত্রের সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছিল। আমরা শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। আমাদের নেতা-কর্মীরা সারাক্ষণ সতর্ক পাহাড়া দিচ্ছে। আমাদের নেতৃবৃন্দ জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা অশান্তি চাইনা, বিএনপি অশান্তি সৃষ্টিকারী কোন দল নয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অকিল উদ্দীন ভুঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন ভুইয়া, নাসিক ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা সহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

‘শামীম ওসমান, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান পালিয়েছে, জনগণ সন্ত্রাসী চায় না’

সান নারায়ণগঞ্জ

স্থানীয় জনগণ ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “২০০৮ সালে শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ১০ টাকা কেজি দরে চাল ও ঘরে ঘরে চাকরি। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। আওয়ামী লীগ সারাদেশে লুটপাট চালিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। ১৫ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তোপের মুখে শামীম ওসমান বোরখা পরে পালিয়ে গেছে, তার ভাই সেলিম ওসমান এবং ভাতিজা আজমীর ওসমানও পালিয়েছে। জনগণ আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখতে চায় না এবং কাউকে বিনা ভোটে ক্ষমতায় বসতে দেবে না।”

১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেল ৪টায় বন্দর রাজবাড়ী বালুর মাঠে বিএনপির উদ্যোগে মহানগরীর ২২নং ওয়ার্ডে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

বন্দর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ আহাম্মেদ, বন্দর থানা বিএনপি অ্যাডভোকেট রকিবুল হাসান শিমুল, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাসেল।

সভায় বিএনপির অন্যান্য নেতারা সরকারের ব্যর্থতা ও লুটপাটের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেন এবং জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।

সোনারগাঁও বারদী ইউনিয়নে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে আলোচনা সভা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বারদি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শীর্ষ নেতারা তারেক রহমানের ৩১ দফা জনগণ ও নেতাকর্মীদের মাঝে বিস্তারিত তুলে ধরেন। ১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে বারদী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া হাই স্কুল মাঠে এই আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মুন্সি এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলী আজগর।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মেম্বার, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছাত্তার মেম্বার, করিম মেম্বার, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ সেলিম হোসেন দিপু।

আরো উপস্থিত ছিলেন বারদী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নাছির মেম্বার, ইমামুদ্দিন, দাইয়ান, রাজ্জাক মেম্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ জামাল হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল মুন্সি, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হালিম, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি পনির মুন্সি, দাইয়ান, হারুন, আমিনুল, বারদী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুল আলী, যুগ্ম আহবায়ক কামাল, মারুফ বারদী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, বারদী ইউনিয়ন কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, বারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আইয়ুব, মোকুল, তোফাজ্জল, মামুন, হেলন, ফজুল, মোতালেব সহ কয়েক শত নেতা কর্মী।

জেলা বিএনপির কমিটি আনতে পাঁচ মোড়লের টানাটানি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটির নিয়ন্ত্রণ পেতে ৫ মোড়লের চলছে টানাটানি। নিজেরা নেতৃত্বে বসতে না চাইলেও তাদের অনুগামীদের নেতৃত্বে বসানোর লড়াইয়ে নেমেছেন তারা। গত ২৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তারপর থেকেই চলছে কারা আসছে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও গুঞ্জন।

নেতাকর্মীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতিকে পেছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করেন এমন ৫জন শীর্ষ নেতা রয়েছেন, যাদেরকে নেতাকর্মীরা মোড়ল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এদের মাঝে আবার জেরা বিএনপির রাজনীতিতে দুটি সিন্ডিকেট রয়েছে। সিন্ডিকেট ভিত্তিক রাজনীতিতে দুইদিকের দুই শীর্ষ নেতা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এদের মধ্যে একজন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, অপর সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া।

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটে আছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক।

অন্যদিকে দিপু ভুঁইয়ার নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদু রহমান সুমন, সাবেক এমপি এম আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।

২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর গিয়াসউদ্দীন ও খোকনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের পর আজাদ সিন্ডিকেটের নেতারা ব্যাকফুটে ছিলেন। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে তদন্ত কমিটির সুপারিশে জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর ফ্রন্টফুটে চলে আসছেন আজাদ অনুগামীরা। যদিও এদের মধ্যে আজহারুল ইসলাম মান্নানের সঙ্গে দুই সিন্ডিকেটের সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

এদিকে খবর বেরিয়েছে যে, জেলা বিএনপির কমিটির জন্য নজরুল ইসলাম আজাদ অনেক আগেই মামুন মাহামুদ ও মাসুকুল ইসলাম রাজীবের নেতৃত্বে কমিটির খসড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে জমা দিয়েছেন। যদি সিনিয়র জুনিয়র মিলিয়ে কমিটি হয় তাহলে পরের নামে চলে আসছে কাজী মনির অর্থবা মান্নান। এক্ষেত্রে আজাদ ‍অনুগামীদের সমস্যা হবে না। কিন্তু বিপাকে পড়েছেন দিপু ভুঁইয়া সিন্ডিকেট। দিপু ভুঁইয়া চাচ্ছেন গোলাম ফারুক খোকনকে আহ্বায়ক ও শহিদুল ইসলাম টিটুকে সদস্য সচিব পদে রেখে জেলা বিএনপির কমিটি আনতে। কিন্তু বিতর্কের কারনে খোকনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। যদিও শেষতক খোকনকে টিকাতে না পারলে টিটুকে কমিটিতে আনার জোর লবিং করছেন দিপু ভুঁইয়া ও সুমন।

আরো জানাগেছে, দিপু ভুঁইয়া ও সুমন সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সখ্যতা রয়েছে। তিনি এই সিন্ডিকেটকে নানাভাবে সহযোগীতা করে আসছেন। অনেকেই জানিয়েছেন, রিজভী মাহমুদুর রহমান সুমনের উকিল শ্বশুর। অন্যদিকে আজাদ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সখ্যতা আছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। কাজী মনির ও মির্জা ফখরুলের সম্পর্কে বন্ধুত্ব আছে। এই সিন্ডিকেটকে মির্জা ফখরুল নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকেন।

যদিও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের বিষয়টি পুরোপুরি তারেক রহমানের ‍উপর নির্ভর করছে। অনেকেই জানিয়েছেন তারেক রহমান জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। সেই সার্চ কমিটি গোপনে কাজ করছেন। সার্চ কমিটি খসড়া কমিটি তারেক রহমানের কাছে সুপারিশ করে পাঠাবে। পরবর্তীতে তারেক রহমানের ব্যক্তিগত গোয়েন্দার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করবেন। কারো প্রেসক্রিপশনে একক কর্তৃত্ব বজায় রাখতে কারো মুঠোবন্ধি কমিটি দিবেনা বিএনপি।

 

স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম মনোনিত প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারণা

ডেস্ক রিপোর্ট

‘হোসিয়ারি শিল্পের নতুন দিনের পরিবর্তনের সূচনা চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের (২০২৫-২০২৭) নিবার্চনে স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম মনোনীত প্যানেল এর সাধারণ গ্রুপের পরিচালক ও এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটি এলাকায় ভোটারদের কাছে লিফলেট বিতরণ করে দোয়া ও ভোট চাইলেন তাদের নির্বাচনি প্রচারনায়।

৮ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার (৯ই জানুয়ারি) সকালে উপরোক্ত প্যানেলের প্রার্থীরা নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরে হোসিয়ারী মালিক দের কাছে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

এসময় নির্বাচনি প্রচারনায় অংশগ্রহণ করেন সাধারণ গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, মোঃ আওলাদ হোসেন, দিদার খন্দকার, বাবুল চন্দ্র দাস, মোঃ লুৎফর রহমান ফকির ও এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী মোঃ মাসুদ রানা, নারায়ণ চন্দ্র্র মজুমদার, মোঃ মোক্তার হোসেন, মোঃ মাসুম মোল্লা, মোঃ ফারুক হোসেন, ইবনে মোঃ আলো কাওসার। এ সময় হোসিয়ারী শ্লিপের মালিকরা তাদের লিফলেট সাদরে গ্রহণ করে প্রার্থীদের সাথে কুশলবিনিয়ম করেন।

হোসিয়ারী নির্বাচন: স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম মনোনিত প্যানেলের প্রচারণা

ডেস্ক রিপোর্ট:

‌’হোসিয়ারী শিল্পের নতুন দিনের পরিবর্তনের সূচনা চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের (২০২৫-২০২৭) নিবার্চনে স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম মনোনীত প্যানেল এর সাধারণ গ্রুপের পরিচালক ও এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থীরা নয়ামাটি এলাকায় ভোটারদের কাছে লিফলেট বিতরণ করে দোয়া ও ভোট চাইলেন তাদের নির্বাচনী প্রচারনায়।

৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে উপরোক্ত প্যানেলের প্রার্থীরা নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরে হোসিয়ারী মালিক দের কাছে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী ও রিয়া হোসিয়ারীর স্বত্বাধিকারী হাজ্বী মোঃ মোক্তার হোসেন প্রচারনা শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত হোসিয়ারী শিল্পের সাথে যুক্ত থেকে ব্যবসা পরিচালনা করছি। এবারই প্রথম এ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরামের প্যানেলে।

মোক্তার হোসেন আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদেরকে সহোযগিতা করা। প্রচারনা চালাতে গিয়ে হোসিয়ারী মালিকদের ভালো সাড়া পেয়েছি। আমি আশাবাদী নির্বাচনে মালিকরা একটা পরিবর্তনের জন্য তাদের পছন্দের প্যানেলকে নির্বাচিত করবে।

এ সময় সঙ্গে ছিলেন- সাধারণ গ্রুপের পরিচালক প্রার্থী দিদার খন্দকার, নাজমুল হক, এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক প্রার্থী মাসুদ রানা সহ অন্যান্যরা।

সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপককে বিদায়ী সংবর্ধনা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও সরকারি কলেজের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বৃদ্ধি ও শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক-শিক্ষার্থী মতবিনিময় সভা এবং সদ্য বিদায়ী অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কলেজের মুক্তমঞ্চে এ সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও প্রফেসর আশরাফুজ্জামান এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কালিদাস সরকার।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম বলেন, আমি জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখে এই কলেজে যোগদান করেছি। আমি এই কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিত ভাবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান বলেন, আমি ১৯৯২ইং সনে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করি, পরবর্তী সময়ে ২০০৬ইং সনে অধ্যক্ষ হিসেবে পদোন্নতি পাই এবং ২০২৪ইং সনের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সফলতার সাথে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করি। যোগদান করার সময় কলেজটিতে মাত্র একটি ভবন ছিল, পর্যায়ক্রমে বিজ্ঞান ভবন, আইসিটি ভবন ও অনার্স ভবন নির্মিত হয়েছে, পূর্বের চেয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পিছনে আমার অনেক অবদান রয়েছে। আমি কলেজের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। আমি ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার সোনারগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অদ্য ৯ জানুয়ারী-২৫ইং তারিখে স্ব-সম্মানে কলেজ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, আল্লাহ হাফেজ।

বিদায়ী সহকারী অধ্যাপক কালিদাস সরকার বলেন, প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে হবে, তবেই ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। কলেজে শিক্ষকতাকালীন সময়টা শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের সাথে অনেক আনন্দে কেটেছে, কিন্তু গত ১ আগষ্ট থেকে অবসরে গিয়েছি, প্রতিটা মুহুর্ত আমার অনেক কষ্টে কাটছে, মিস করছি সবাইকে, এই কলেজের শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি, চলার পথে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, তাহলে আমাকে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁও সরকারি কলেজের প্রভাষকবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, কলেজের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি কাজি নজরুল ইসলাম টিটু, বিএনপি নেতা শাহজাহান মেম্বার, সাফির উদ্দিন মজনু, কলেজ গভর্নিংবডির সাবেক সদস্য ইদ্রিস আলী, আশরাফ কবির, সোনারগাঁও সিকা’র সভাপতি কামাল মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক সেকান্দার আলী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সোনারগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামানের বিদায় উপলক্ষে শিক্ষক পরিষদ বিদায় সংবর্ধনা জানান। তারা বলেন, আজ এক গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সঙ্গে আমরা আপনাকে বিদায় জানাতে এসেছি। সোনারগাঁও সরকারি কলেজের মানোন্নয়ন ও শিক্ষার ক্ষেত্রে আপনার অসাধারণ অবদান আমাদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। “যেতে নাহি দিব”, হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।

আপনার বহুমুখী প্রতিভা, অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠান একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশেষত, আপনার মনোবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষনের অনন্য দক্ষতা আমাদের শিক্ষার্থীদের মনের গভীরে জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছে। আপনার শিখন পদ্ধতি ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের শুধু বিদ্যা অর্জনের পথ দেখায়নি, তাদের জীবন গড়ার প্রেরণাও দিয়েছে। আপনার বিদায় জানাতে আজ আমরা ভাষাহীন, নির্বাক। আপনার সুখ সমৃদ্ধ ও কল্যাণকন দীর্ঘজীবন কামনা করছি।

ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ জামিনে মুক্ত

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পেয়েছে। তবে রাসেল মাহমুদ মিথ্যা ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছে বলে দাবি তার পরিবারের।

৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান রাসেল মাহমুদ।

রাসেল মাহমুদের আইনজীবী জানান, যুবদল নেতা আনু হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পেয়েছে। এই মামলায় রাসেল মাহমুদ কোনোভাবে জড়িত নয় বিধায় উচ্চ আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। প্রতিহিংসাবসত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোনিতভাবে আনু হত্যা মামলায় ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদকে আসামী করা হয়। রাসেল মাহমুদ সহ তার স্ত্রী কোনোভাবে জড়িত নয়। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা সঠিক তদন্ত করলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

তিনি আরো বলেন, আনু মারা যাওয়ার পর আনুর সম্পত্তি তার ভাইয়েরা দখল করে নিয়েছে। বাবার সম্পদ ছেলে মেয়েরা পায়। কিন্তু ভাইয়েরা কেন দখল করে নিলো। আনুর মৃত্যুর পিছনে সম্পত্তি দখলের বিষয় রয়েছে বলে আমি মনে করছি।

এখানে উল্লেখ্যযে, চলতি বছরের গত ২৬ আগস্ট দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সাবেক যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনু। ঐ দিন রাতে নগরীর মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন সেঞ্চুরী হেলেনা এপার্টমেন্টের নিচে লিফটের খালি জায়গায় জমে থাকা পানিতে ভাসতে দেখা যায়। তিনি হেলেনা কটেজ এর ৯ম তলার ভাড়াটিয়া ছিলেন।

নিহত আনোয়ার হোসেন আনু নাসিকের ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের ছোট ভাই এবং মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। এ ঘটনায় ২৭ আগস্ট নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম বাদশা বাদী হয়ে নিহতের ভাতিজা ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শহরের বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়ার মেয়ে ও রাসেল মাহমুদের স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্না (৪২), নিহতের মেয়ে জান্নাত আরা জাহান প্রেরনা (২১), নিহতের পুত্র সারিদ হোসেন (১৯), শহরের বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়ার দুই ছেলে নুর আলম (৪৫) ও কাজল (৩২) এবং মেয়ে রোকসানা আক্তার পুতুল (৪৬), বিসিক শিল্পনগরীর মার্টিন গার্মেন্টস এর গলি এলাকার বাসিন্দা গোল মোহাম্মদ। এদের মধ্যে ঘটনার পরপরই নিহতের মেয়ে ও পুত্রসহ ৫ জনকে আটক করেছিল ফতুল্লা থানা পুলিশ। পরে মামলাটি পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পান। পরে পিবিআই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে রাসেল মাহমুদ ও পাপিয়া আক্তার পান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

সেক্রেটারি পদে ক্লিন ইমেজধারী ও তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্ব চান তারেক রহমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ২৪ ডিসেম্বর বিলুপ্ত ঘোষণার পর নেতৃত্বশূণ্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের মাধ্যমে নেতৃত্বে ফিরে পেতে যাচ্ছে জেলা বিএনপি। যদিও নেতৃত্ব বাছাইয়ে জটিলতার মধ্যে পড়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদে নেতৃত্বের বিরাট সংকট দেখা দিলেও সেক্রেটারি কিংবা সদস্য সচিব পদে যোগ্য একাধিক নেতা রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। যাদের মধ্য থেকে ক্লিন ইমেজধারী ও তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্ব চাচ্ছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পঙ্খানুপঙ্খুভাবে নেতৃত্ব বাছাই শেষে ঘোষণা করা হবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।

কেন্দ্রীয় বেশকজন নেতা জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আহ্বায়ক কমিটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। একই সঙ্গে নির্বাচনের পূর্বে সামনে যদি বড় ধরণের কোনো আন্দোলনের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে যারা রাজপথে থেকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন এমন নেতৃত্ব চাচ্ছেন শীর্ষ নেতারা। অতীতে ব্যর্থ হয়েছেন কিংবা নেতৃত্ব পেয়েও রাজপথে ছিলেন না এমন কাউকে রাখতে চাচ্ছেনা কেন্দ্রীয় বিএনপি।

এরি মধ্যে বেশকটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পদে নেতৃত্ব বাছাইয়ের জন্য গোপনে ‌’সার্চ কমিটি’ গঠন করেছেন তারেক রহমান। এই কমিটি আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পদে দুজনের নাম তারেক রহমানের কাছে সুপারিশ করবেন। সেই নামের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং তারেক রহমানের বিশেষ গোয়েন্দা প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে কমিটি চূড়ান্ত করে সেটা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত দিবেন তারেক রহমান।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটিতে সেক্রেটারি পদে আলোচনায় আছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির বর্তমান সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। উপরোক্ত এসব নেতাদের অনেকেই আবার শীর্ষ নেতাদের মাধ্যমে, কেউ কেউ নিজেদের মত করে নেতৃত্বে আসতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। মামুন মাহামুদকে আহ্বায়ক পদে বসানো যায় কিনা সেটা নিয়ে ভাবছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় অনেক নেতা জানিয়েছেন, এলাকায় ক্লিন ইমেজধারী ও পরিচ্ছন্ন নেতাদের হাতে নেতৃত্ব ওঠবে। যারা ৫ আগস্টের পর মামলা বানিজ্য, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, নৈরাজ্য, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে রাখবেন না তারেক রহমান।

একই সঙ্গে অতীতে যাদেরকে নিয়ে নানা বিষয়ে বিতর্ক আছে এবং নানা অপকর্মের কারনে বিতর্কিত, এ ছাড়াও ৫ আগস্টের পূর্বে যারা রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন না, যারা বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামীলীগের সঙ্গে আতাত করে ব্যবসা বানিজ্য করেছে বুক ফুলিয়ে চলেছেন সেইসব ব্যক্তিদের রাখতে চাচ্ছেনা কেন্দ্রীয় বিএনপি।

ইতিমধ্যে উপরোক্ত ৫ আগস্টের পর যেসব কারনে জেলা বিএনপি সহ বেশকটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সুতরাং যেসব কর্মকান্ডের কারনে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে সেই একই কর্মকান্ডে জড়িতদের কমিটিতে রাখবেন না তারেক রহমান।

অন্যদিকে কমিটি গঠনের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের নেতাদের চেষ্টার বিষয়ে জানাগেছে, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ চাচ্ছেন মামুন মাহামুদ ও মাসুকুল ইসলাম রাজীবের নেতৃত্বে জেলা বিএনপি হোক। কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া চাচ্ছেন গোলাম ফারুক খোকন ও শহিদুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে জেলা বিএনপির কমিটি হোক। কিন্তু বিতর্কের কারনেই গিয়াসউদ্দীন ও খোকনের কমিটি বিলুপ্ত করে বিএনপি। ফলে খোকনের সম্ভাবনা ফিকে। যদিও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই জানান- কারো প্রেসক্রিপশনে মুঠোবন্ধি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি দিবেনা তারেক রহমান। যোগ্যতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে রাজপথের ত্যাগী নির্যাতিতদের নেতৃত্বে কমিটি হবে।

অনেকেই জানিয়েছেন, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব দুটি পদেই তরুণ নেতৃত্ব চাচ্ছেনা বিএনপি। একজন সিনিয়র নেতাকে আহ্বায়ক পদে রেখে আরেকজন কার্যত তরুণ নেতাকে সদস্য সচিব পদে রেখে কমিটি গঠন করতে চায় বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতাদের মতামত। সেক্ষেত্রে সিনিয়রদের মধ্যে বর্তমানে নাম চলে আসে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। সেক্ষেত্রে তাদের দুজনের যেকোনো একজনকে আহ্বায়ক পদে রেখে সদস্য সচিব পদে মামুন মাহামুদকে দিয়েই কমিটি হতে পারে।

যদিও অনেকেই আবার মত দিয়েছেন মামুন মাহামুদকে আহ্বায়ক পদে রেখে তরুণ নেতাদের মধ্য থেকে একজন ক্লিন ইমেজধারী রাজপথের নেতাকে সদস্য সচিব পদে বসানোর। আবার অনেকেই ধারণা করছেন- শেষতক সিনিয়র জুনিয়র মিলিয়ে কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সেক্ষেত্রে তরুণ নেতাদের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রাখা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ