শামীম ওসমানের জনসভায় কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের শোডাউন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ইভটিজিং ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে সভাস্থলে যোগদান করেছে।

২ মার্চ (শনিবার) নগরীর ২নং রেল গেটস্থ আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। জনসভাকে প্রাণবন্ত করতে বন্দর থেকে দুলাল প্রধানের নেতৃত্বে হাজার হাজার লোক সমাগমের একটি বিশাল মিছিল ৫নং ঘাট দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী পাড় হয়ে রাজপথ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে সভাস্থলে উপস্থিত হয়।

এসময় প্রত্যেকে মাথায় লাল-সবুজের সংমিশ্রনে ফিতা বেঁধে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।মিছিলে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি তানভীর আহম্মেদ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রানা প্রধান, যুবলীগ নেতা এসএ রানা, মো:বারেক ও রফিকসহ অনেকে।

সোনারগাঁয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়ার পুরস্কার বিতরণে আবু নাঈম ইকবাল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের ১০৬ নং হামছাদী ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

২ মার্চ শনিবার বিকালে বিদ্যালয়ে মাঠে আয়োজিত এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বৈদ্যেরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ডাঃ আবদুর রউফ ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও ভট্টপুর মডেল স্কুলের সভাপতি আবু নাইম ইকবাল।

হাফেজ হাজী আলমগীর, আব্দুর রহমান, ডাঃ এমদাদুল হক, আবু ছিদ্দিক মেম্বার, খন্দকার মুজিবুর মেম্বার প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহাজাহান উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক নৃত্য ও গান পরিবেশিত হয়। পরে অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলেন দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

শামীম ওসমানের সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতা মুরাদের বিশাল শোডাউন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের সমাবেশ সফল করতে অয়ন ওসমানের দিক নির্দেশনায় বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করেছেন ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ নেতা মমিন হোসেন মুরাদ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে যোগদান করেছেন।
২ মার্চ শনিবার দুপুরে ফতুল্লা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে সভাস্থলে যোগ দিয়েছেন মুরাদ।  এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার অনিক আহাম্মেদ শাওন, আরমান, জনি, নাহিদ, শুভ, জাহিদ তালুকদার শুভ, শামীম, হাসান, ফারুক, পাবেল, রিফাত, মুন্নাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী।

অয়ন ওসমানের পক্ষে মহানগর ছাত্রলীগ সেক্রেটারির শোডাউন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের সমাবেশ সফল করতে অয়ন ওসমানের দিক নির্দেশনায় বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু।
২ মার্চ শনিবার বিকালে নগরীর দুই নম্বর রেলগেইটস্থ শামীম ওসমানের জনসভায় বন্দর থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগদান করেন হাসনাত রহমান বিন্দু।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ নেতা আরিফ আহমেদ, অপু, সজিব, দীপ্ত, ডালিম, সুসমিত, মিজান, ফয়সাল, রাজু, বিশাল, আকাশ, সুমন, ফাহাদ, বাপ্পি, ইমরান, শিবলী, মুন্না, আজমী, চমক, শামীম, সৌরভসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা। এসময় হাসনাত রহমান বিন্দুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাদের স্লোগানে স্লোগানে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ কম্পিত হয়।

অয়ন ওসমানের নির্দেশনায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির তাঁক লাগালো মিছিল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের জনসভাকে সফল করতে অয়ন ওসমানের দিক নির্দেশনায় প্রায় সাত হাজার নেতাকর্মীকে নিয়ে জনসভায় উপস্থিত হয়ে চমক দেখিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ।
২ মার্চ শনিবার বিকালে নগরীর দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও  শামীম ওসমানের বিশাল ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে নেতাকর্মীদের উপস্থিত হন আজিজুর রহমান আজিজ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা ছাত্রলীগ নেতা আজহারুল ইসলাম সোহেল, দিপ্ত শিকদার, সৈয়দ মোস্তাক আহম্মেদ হাসিব, মোরছালিন মোল্লা, ফয়সাল মমিন, আনোয়ারুল ইসলাম রনি, সাকীরিন শাওন, নিনাদ, রেদওয়ান, ফাহিম, আনন্দ, বাদল, পলাশ, রাতুল, রেজায়ুল সরকার, রবিন, সাজু আহম্মেদ, বিজয়, রেজোয়ান, ইরফান, রাতুলসহ নেতৃবৃন্দরা।

অয়ন ওসমানের পক্ষে রিয়াদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বিশাল শোডাউন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের সমাবেশ সফল করতে অয়ন ওসমানের পক্ষে বিশাল শোডাউন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ।  ২ মার্চ শনিবার বিকেলে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সদর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দরের ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দরা পৃথকভাবে শহরের ২নং রেলগেটে সভাস্থলে যোগদান করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, সরকারি তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা তামিম ইসলাম জয়, মো: হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা নাসিম মাহমুদ তপন, শাহরিয়া বাপ্পি, আহাম্মেদ কাউছার, সঞ্জয়, রনজিৎ, শুভ রায়, শান্ত, সুমিত, রাকিব, ফরহাদ, আবির, শরীফ, রাফেল, সুজন, সজীব, অর্পন, শুভ চন্দ্র দে, ঝিতু, খালিফ দান, রাসেল, সুজন, জিসান, দিপ্ত, আরিফ, মহিউদ্দিন, রাহাত, সাদ্দাম, হাবীব, লিয়ন, ওয়াসিম, বাবু, রহমান, সাগর, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান জুয়েল, বাসেদ, শাহরিয়া রেজা হিমেল, ফয়সাল, শুভ, ইমরান, মমিন, পাপ্পু, মুরাদ, প্রান্ত, সোনাগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, আইন কলেজের ভিপি এমএম হাসান, জিএস আমজাদ হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা।

শুধু বিএনপি নয়, শামীম ওসমানের জনসভার সামনে জলকামান, এপিসি সাজোয়া যান!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সচারাচর বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ জলকামান, এপিসি অর্থাৎ আর্ম পুলিশ কার, সাজোয়ান যান ব্যবহার করে থাকেন কিংবা নাশকতার পূর্বে প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। তবে এবার নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আওয়ামীলীগ নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের আয়োজিত জনসভার সামনে দেখা গেল জলকামান, এপিসি, সাজোয়া যান। তবে এসব দেখে শামীম ওসমানের সমাবেশে আগত অনেক সাধারণ কর্মী সমর্থকরা মিডিয়া কর্মীদের কাছে জানতে চান, এটা কি পুলিশের রণপ্রস্তুতি নাকি জনসভাকে নিরাপত্তা দিতে এই ব্যবস্থা? যেমনটা বিএনপির নাশকতা ঠেকাতে পুুলিশকে এমন প্রস্তুতি দেখা যায়।

এমন প্রস্তুতি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, এত বড় একটি জনসভা। জনসভায় নিরাপত্তা দিতে এবং যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।’ জলকামান, এপিসি সাজোয়া যান কেন রাখা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি বলেন, শামীম ওসমান সহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর চাষাড়া বোমা হামলা হয়েছিল সেটা কি তিনি জানতেন? তাই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’

জানাগেছে, ২ মার্চ শনিবার বিকেল ৩টা থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় অনুুষ্ঠিত শামীম ওসমানের জনসভায় যোগদান করেন। নেতাকর্মীদের আগমনে সভা স্থল থেকে চাষাড়া পর্যন্ত জমায়েত হয়। শামীম ওসমানের ডাকা এই সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের কঠোর নিরাপতা বেষ্টনী দেখা যায়। সাজোয়া জান, আর্ম পুলিশ কার, জলকামান নিয়ে ডিবি পুলিশের বেশকটি টিম দায়িত্ব পালন করেছেন। মহান স্বাধীনতা দিবস ও নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন, মাদক সন্ত্রাস ভূমিদস্যূ নির্মূলে শামীম ওসমান এই জনসভার আয়োজন করেন।

জনসভায় নারায়ণগঞ্জে মাদক সন্ত্রাস ভূমিদস্যূ ঘুষ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন দেশব্যাপী আলোচিত আওয়ামীলীগ নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষ শান্তি চায়। সাধারণ মানুষ মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বাঁচতে চায়। সাধারণ মানুষ ভূমিদস্যূদের হাত থেকে বাঁচতে চায়। সাধারণ মানুষ অন্যায় অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়। আমাদের মেয়েরা ইভটিজিং ্এর হাত থেকে বাঁচতে চায়।

শামীম ওসমান বলেন, আমাদের দলের মাঝেও ভাল খারাপ আছে। পুুলিশের মাঝেও ভাল খারাপ আছে। মসজিদের ইমামদের মাঝেও ভাল খারাপ আছে। আপনারা ভয় পাবেন না। এর মধ্যেই আমাদের লড়াই করতে হবে। আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি, মাদক সন্ত্রাস ইভটিজিং ভূমিদস্যূ খারাপ কাজ, মানুষের উপর জুলুম যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।

এর আগে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের শেষ সময়। কদিন বাঁচবো জানি না। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কথায় কথায় বলেন এটা পুলিশের দায়িত্ব। এটা প্রশাসনের দায়িত্ব। নো, নো, এটা তাদের একার দায়িত্ব না। এটার দায়িত্ব হচ্ছে সবার আগে আওয়ামীলীগের দায়িত্ব। এই নারায়ণগঞ্জকে সম্মান দিয়েছেন আমার নেত্রী। তাই জনগণের পাশে দাড়াতে আওয়ামীলীগকে। জনগণকে বলতে হবে, জনগণ আমরা আপনাদের পাশে আছি। কোন অন্যায় অত্যাচার হলে আমরা তার প্রতিরোধ গড়ে তুলব। আমাদেরকে সহযোগীতা করবেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ র‌্যাব বিজিবি জেলা প্রশাসন, জজ ম্যাজিস্ট্রেট আইনের মাধ্যমে বিচার করবেন। পরিস্কারভাবে জানাতে চাই জীবনের শেষ সময়ে বলতে চাই, আমাদের বয়স বাড়ছে কিন্তু সাহস কমে নাই। আমরা লড়াই করতে চাই। সেই লড়াই হবে সুশাসনের পক্ষে লড়াই।

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগে ভন্ড নেতা রয়েছে বলে দাবি করে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, সিএস আরএস পর্চা দেখে আওয়ামীলীগ করান। খন্দকার মোস্তাকদের আওয়ামীলীগ করতে দিয়েন না। ইউটিউবে নাকি জামাতের সাথে কোন নেতা নেত্রীর কথা ভাইরাল হয়। আমার ভাই ইউটিউবও নাই ফেসবুকও নাই। আমার ফেসও নাই, বুকও নাই। আমার জীবনেও ফেসবুক কি জিনিস আমি বুঝিনা দেখি নাই। আপনারা ফেসবুক দেখেন, কার সাথে নাকি কার কানেকশন। জামায়াতের সাথে নাকি কার কানেকশন ইউটিউব ফেসবুকে ভাইরাল হইছে।’

তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া ও জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের প্রসংশা করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক আমি মনে করি সারাদেশের মধ্যে বেস্ট জেলা প্রশাসক। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার এই কয়দিন ধরে আসছে। পরপর তিন বার পুরস্কার পেয়েছেন বেস্ট পুুলিশ সুপার হিসেবে। তিনি কিসে কাজ করছেন। তিনি কাজ করছেন মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে। অথচ একটি পত্রিকায় লিখছে আজকে নাকি পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলব? ওই লোকাল পত্রিকা গোয়েন্দা সংস্থার উদ্বৃত্ত দিয়ে নিউজ করছে আজকে নাকি পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলব।

তিনি বলেন, আমি আইন শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা। আমরা আইন প্রেণতা। আমি আইনের ছাত্র। যদিও কোন পত্রিকায় বলা হয় দুইটা গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে আজকে নাকি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ পুলিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করবে। আগামী আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ এটা উত্থাপন করা হবে।

এমপি শামীম ওসমান ওই জনসভার সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই, সেক্রেটারি আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সেক্রেটারি এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সেক্রেটারি ইয়াসিন মিয়া, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, শেখ সাফায়েত আলম সানি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আজিজুর রহমান আজিদ ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রধান প্রমুখ।

মাদক সন্ত্রাস ঘুষ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন শামীম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে মাদক সন্ত্রাস ভূমিদস্যূ ঘুষ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন দেশব্যাপী আলোচিত আওয়ামীলীগ নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষ শান্তি চায়। সাধারণ মানুষ মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বাঁচতে চায়। সাধারণ মানুষ ভূমিদস্যূদের হাত থেকে বাঁচতে চায়। সাধারণ মানুষ অন্যায় অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়। আমাদের মেয়েরা ইভটিজিং ্এর হাত থেকে বাঁচতে চায়।

শামীম ওসমান বলেন, আমাদের দলের মাঝেও ভাল খারাপ আছে। পুুলিশের মাঝেও ভাল খারাপ আছে। মসজিদের ইমামদের মাঝেও ভাল খারাপ আছে। আপনারা ভয় পাবেন না। এর মধ্যেই আমাদের লড়াই করতে হবে। আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি, মাদক সন্ত্রাস ইভটিজিং ভূমিদস্যূ খারাপ কাজ, মানুষের উপর জুলুম যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।

২ মার্চ শনিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন, মাদক সন্ত্রাস ভূমিদস্যূ নির্মূলে শামীম ওসমানের নিজের আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের শেষ সময়। কদিন বাঁচবো জানি না। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কথায় কথায় বলেন এটা পুলিশের দায়িত্ব। এটা প্রশাসনের দায়িত্ব। নো, নো, এটা তাদের একার দায়িত্ব না। এটার দায়িত্ব হচ্ছে সবার আগে আওয়ামীলীগের দায়িত্ব। এই নারায়ণগঞ্জকে সম্মান দিয়েছেন আমার নেত্রী। তাই জনগণের পাশে দাড়াতে আওয়ামীলীগকে। জনগণকে বলতে হবে, জনগণ আমরা আপনাদের পাশে আছি। কোন অন্যায় অত্যাচার হলে আমরা তার প্রতিরোধ গড়ে তুলব। আমাদেরকে সহযোগীতা করবেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ র‌্যাব বিজিবি জেলা প্রশাসন, জজ ম্যাজিস্ট্রেট আইনের মাধ্যমে বিচার করবেন। পরিস্কারভাবে জানাতে চাই জীবনের শেষ সময়ে বলতে চাই, আমাদের বয়স বাড়ছে কিন্তু সাহস কমে নাই। আমরা লড়াই করতে চাই। সেই লড়াই হবে সুশাসনের পক্ষে লড়াই।

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগে ভন্ড নেতা রয়েছে বলে দাবি করে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, সিএস আরএস পর্চা দেখে আওয়ামীলীগ করান। খন্দকার মোস্তাকদের আওয়ামীলীগ করতে দিয়েন না। ইউটিউবে নাকি জামাতের সাথে কোন নেতা নেত্রীর কথা ভাইরাল হয়। আমার ভাই ইউটিউবও নাই ফেসবুকও নাই। আমার ফেসও নাই, বুকও নাই। আমার জীবনেও ফেসবুক কি জিনিস আমি বুঝিনা দেখি নাই। আপনারা ফেসবুক দেখেন, কার সাথে নাকি কার কানেকশন। জামায়াতের সাথে নাকি কার কানেকশন ইউটিউব ফেসবুকে ভাইরাল হইছে।’

তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া ও জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের প্রসংশা করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক আমি মনে করি সারাদেশের মধ্যে বেস্ট জেলা প্রশাসক। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার এই কয়দিন ধরে আসছে। পরপর তিন বার পুরস্কার পেয়েছেন বেস্ট পুুলিশ সুপার হিসেবে। তিনি কিসে কাজ করছেন। তিনি কাজ করছেন মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে। অথচ একটি পত্রিকায় লিখছে আজকে নাকি পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলব? ওই লোকাল পত্রিকা গোয়েন্দা সংস্থার উদ্বৃত্ত দিয়ে নিউজ করছে আজকে নাকি পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলব।

তিনি বলেন, আমি আইন শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা। আমরা আইন প্রেণতা। আমি আইনের ছাত্র। যদিও কোন পত্রিকায় বলা হয় দুইটা গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে আজকে নাকি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ পুলিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করবে। আগামী আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ এটা উত্থাপন করা হবে।

এমপি শামীম ওসমান ওই জনসভার সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই, সেক্রেটারি আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সেক্রেটারি এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সেক্রেটারি ইয়াসিন মিয়া, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, শেখ সাফায়েত আলম সানি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আজিজুর রহমান আজিদ ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রধান প্রমুখ।

বিকেল ৩টা থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগদান করেন। নেতাকর্মীদের আগমনে সভা স্থল থেকে চাষাড়া পর্যন্ত জমায়েত হয়। শামীম ওসমানের ডাকা এই সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের কঠোর নিরাপতা বেষ্টনী দেখা যায়। সাজোয়া জান, আর্ম পুলিশ কার, জলকামান নিয়ে ডিবি পুলিশের বেশকটি টিম দায়িত্ব পালন করেছেন।

নৌকার প্রার্থী মোশারফ, এমপি খোকার ভবিষৎ রাজনীতিতে হুমকি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৪র্থ ধাপে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১ মার্চ শুক্রবার রাতে ওই তিনটি উপজেলা পরিষদে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনটি উপজেলা নিয়েই গঠিত নারায়ণগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসন। ওই তিনটি আসনের বর্তমান তিন এমপির কট্টর বিরোধীদের হাতেই তুলে দেয়া হয়েছে নৌকা প্রতীক। এ তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় তিন এমপির সম্পর্ক সাপে নেউলে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই তিন এমপিকে ঠেকাতে প্রকাশ্যে সরাসরি মাঠে ছিলেন তাদেরকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনিত করেছে আওয়ামীলীগ।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে বর্তমানে এমপি হিসেবে রয়েছেন মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। মোশারফ হোসেন হলেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কায়সার হাসনাত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে পুলিশ তার বাড়িতে হামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর করলে কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান।

জাতীয় নির্বাচনের আগে মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের নির্বাচনী বেশকটি সভায় এমপি খোকার বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য রেখেছিলেন। এমনকি বলেছিলেন, এমপি খোকা আপনি হাওয়ার মাঝে ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এমপি হয়েছিলেন। সোনারগাঁয়ে আপনার কোন ভোট নাই। আপনি বাড়িতে গিয়ে ঘুমান।’ গত ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মনোনয়ন পান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে সোনারগাঁও আসনটি আওয়ামীলীগ জাতীয়পার্টিকে ছেড়ে দিলে এখানে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা। গত নির্বাচনেও কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে গেলে এখানে এমপি নির্বাচিত হন খোকা। এ নির্বাচনে খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। কালাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি পাননি। এর আগে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুইবার নির্বাচনে করে তিনি পরাজিত হয়েছেন।

এদিকে আগেই নেতাকর্মীরা ধারণা করে আসছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে রাজনীতিতে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ধরাশয়ী খেলেও যদি মোশারফ হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এখানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তাহলে সেটা হবে সোনারগাঁয়ে এমপির খোকার রাজনীতি ঝুকি ও রাজনীতিতে হুমকি। এখানকার রাজনীতিতে এবার উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন কিংবা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের। তবে এই দুজনের কেউ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এখানে বেশ রাজনীতিতে বেকায়দায় পড়বেন এমপি খোকা- এমনটা ধারণা ছিল নেতাকর্মীদের। সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে দুজনই পাকাপোক্ত। এদের কেউ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এমপি খোকা তাদের কারো উপরে চেপে বসতে পারবেন না। চলবে না খবরদারীও।

সোনারগাঁয়ের সাধারণ মানুষ মনে করছেন, একজন এমপির কাজ হলো আইন প্রনয়ণ করা। সেক্ষেত্রে উপজেলা পরিষদের আওতায় থাকে যাবতীয় অবকাঠামোগত উন্নয়মুলক কাজগুলো। ফলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রনে থাকবে বেশির ভাগ কাজ। মোশারফ হোসেন এখানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এমপি খোকার খবরদারিত্ব থাকবে না। মোট কথা এখানে এমপির ক্ষমতা হ্রাস পাবে। আবার রাজনৈতিকভাবে এমপি খোকার চেয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী মোশারফ হোসেন। নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সোনারগাঁয়ে এমপি খোকার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবে।

আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সূত্রে, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের এমপি নির্বাচিত হন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর কায়সার তার আপন চাচার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কায়সার হাসনাতের সমর্থন পান কালাম এবং কায়সার হাসনাতের সমর্থন ছাড়াই চাচা মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রন নিয়ে চেয়ারম্যান গ্রুপ ও এমপি গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এমনকি টেন্ডারবাজি নিয়েও সংঘর্ষ হয়। সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প যাদুঘরের একটি টেন্ডারবাজি নিয়ে জাতির জনকের প্রতিকৃতিও ভাংচুরের ঘটনা ঘটনায়। ওই সময় কায়সার হাসনাতের পাশে ছিলেন কালাম। মোশারফ হোসেনের কারনে অনেকটা কোণঠাসা থেকে কালামই তখন কায়সার হাসনাতকে টিকিয়ে রেখেছিলেন।

যোগ্যতার প্রমাণ দিলেন ইকবাল পারভেজ, আবারো কর্মীরা চাঙ্গা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি ইকবাল পারভেজ। ওই নির্বাচনের আগে আড়াইহাজারে আওয়ামীলীগের সিংহভাগ নেতাকর্মীরা চেয়েছিলেন ইকবাল পারভেজকে। কিন্তু টানা তৃতীয় বারের মত এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম। নেতাকর্মীদের দাবি- জনপ্রিয়তায় নয় শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে এখানে এমপি থাকায় নজরুল ইসলাম বাবুকে মনোনয়ন দেয়া হয়। কারন প্রশাসনিক ক্ষমতাটা যেনো সঠিক ব্যবহৃত হয়। সে কারনেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও ইকবাল পারভেজ মনোনয়ন পাননি। তবে এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি দেখিয়েছেন তার বিজয়। তার রাজনৈতিক যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন তিনি। আবারো আড়াইহাজারে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হযে ওঠেছেন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তিনি এর আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে গিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজের জন্য মনোনয়ন চেয়ে কাজ করেছিলেন। শুধু তাই নয় নজরুল ইসলাম বাবুর বিরোধী সরাসরি বক্তব্যও রেখেছিলেন হেলো সরকার।

এবারের নির্বাচনে নজরুল ইসলাম বাবু চেয়েছিলেন বর্তমান পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজাহাল মিয়াকে। কিন্তু জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল হেলো সরকারের পক্ষে সুপারিশ করে কেন্দ্রে নাম পাঠায়। ফলে এখানে মনোনয়ন ইকবাল পারভেজের ঘনিষ্টজন পান হেলো সরকার। তার মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে কাজ করেছিলেন ইকবাল পারভেজ। আবারো আড়াইহাজারে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানাগেছে, এর আগে আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ করেছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের চার নেতা। দলটি থেকে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক কৌতুহল দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছে নৌকার মাঝি। মনোনয়ন পেতে লবিং করে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ ভূঁইয়া, থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঞা মুহাম্মদ আলাউদ্দিন ও উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হোলো সরকার।

অন্যদিকে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছেন স্থানীয় নজরুল ইসলাম বাবুর ভাগিনা ও থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন মোল্লা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শরীফুল ইসলাম শরীফ। তবে আওয়ামীলীগ থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ঝর্ণা রহমানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন মনোনয়ন দিবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামীলীগ। ফলে এ দুটি পদে একাধিক প্রার্থী থাকতে পারবেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও তার পক্ষে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা না থাকায় তিনি নির্বাচন নিয়ে এখন আর কোন কথাই বলছেন না। তার পক্ষে তেমন কোন গ্রহণযোগ্যতা ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সমর্থন দেখা যায়নি।

চেয়ারম্যান পদে হেলো সরকারের পক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ইকবাল পারভেজের সমর্থন থাকতে পারে বলে আগেই নেতাকর্মীরা ধারণা করেছিলেন। এমনকি তার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে লবিং করতেও পারেন ইকবাল পারভেজ বলেও জানায় নেতাকর্মীরা। কারন কয়েক বছর ধরে হেলো সরকার ইকবাল পারভেজের পক্ষে আড়াইহাজারে কাজ করে আসছিলেন। এদিকে রশিদ ভূইয়া কেন্দ্রীয়ভাবে লবিং করছিলেন। সম্ভাবনা দেখছেন টানা দুইবার চেয়ারম্যান থাকা অনেক চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এ বছর মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামীলীগ। ফলে শাহজালাল মিয়া মনোনয়ন না পেলে রশিদ ভ্ূঁইয়া কিংবা হেলো সরকারের হাতেও ওঠবে পারে নৌকা প্রতীক- এমনটাও নেতাকর্মীরা বলেছিলেন।

তবে এক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপির ভাগিনা ইকবাল হোসেন মোল্লাকে জোড়ালোভাবে নির্বাচনে দেখা যেতে পারে এবং ইকবাল হোসেন মোল্লার পক্ষেই হয়তো এমপি বাবুর সমর্থনও থাকতে পারে। কারন ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামীলীগের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী হতে পারলে তাকেও স্বাগত জানানো হবে। এখন দেখার বিষয় আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কি নাটক অপেক্ষা করছে। কারন এক ধাপ রাজনৈতিক জয়টা ছিনিয়ে এনেছেন ইকবাল পারভেজ। এখানে হেলো সরকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে বর্তমান এমপির অবস্থান একেবারেই নড়বড়ে হয়ে যাবে। কারন এখানে নেতাকর্মীদের প্রথম পছন্দ ইকবাল পারভেজ। জাতীয় নির্বাচনের আগে এখানে পরিবর্তনের শ্লোগান তুলে নেতাকর্মীরা ইকবাল পারভেজকেই চেয়েছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ