বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে যা বললেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর হোসাইন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে একেবারেই টগবগে তরুণ আলমগীর হোসাইন ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি ভোটের হিসেবে তৃতীয় হয়েছিলেন। ভোট পেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের সমর্থিত দলীয় প্রার্থীর চেয়েও বেশি। এবার তিনি তৃতীয় নয়, তিনি এবার ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ের আশা নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। নিয়মিত তিনি করছেন বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ। তরুণ বয়সে তিনি জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেই বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মত দাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। বন্দরের একটি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক পরিবার থেকে ওঠে আসা আলমগীর হোসাইন স্বপ্ন দেখেন বন্দরবাসীর উন্নয়নে। লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে তিনি মানুষের সেবার ব্রত হয়ে নির্বাচনে যাচ্ছেন।

তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা এবং নির্বাচিত হলে বন্দরবাসীর জন্য তিনি কি কি করবেন সেই সব বিষয় তিনি জানালেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন তার বন্দরবাসীকে নিয়ে স্বপ্নের কথা। সেই সঙ্গে তিনি ভোট প্রার্থনা করেছেন ভোটারদের কাছে। তিনি এও দাবি করেছেন যারা প্রার্থী হবেন তাদের মধ্যে প্রার্থীর যোগ্যতা ও প্রার্থীদের কার কি অতীত সেই সব বিষয়ও জেনে শুনে যেনো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয় সেই বিষয়েও তিনি ভোটারদের প্রতি অনুরোধ রেখেছেন।

কেন আপনি বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবারো নির্বাচনে দাড়াবেন জানতে চাইলে আলমগীর হোসাইন বলেন, কারন বন্দর ইউনিয়ন থেকে কোন প্রার্থী নাই। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও ছিল না। বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাহেবের ছেলে আমি। ২০১৪ সালেও আমি নির্বাচন করেছিলাম। সেই নির্বাচনে আমি তৃতীয় হয়েছিলাম। আওয়ামীলীগের প্রার্থী ছিলেন এবিএম কাশেম। তিনি কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি তার চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছিলাম দলীয় সমর্থন ছাড়া।

তরুণ এই রাজনীতিক আরও বলেন, আমি আওয়ামীলীগের পরিবার থেকেই রাজনীতিতে আসছি। আমার বাবা জোহা সাহেবের রাজনীতি করেছেন। অনেকেই দাবি করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তারা। আসলেই যারা দাবি করেন- তারা কতটুকু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করেন সেটা বন্দরবাসীর জেনে নেয়ার অনুরোধ করি।

তিনি বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, দলমত নির্বিশেষে ভাল ব্যক্তিকেই ভোট দিবেন। যাতে বন্দর উপজেলাবাসীর সার্বিক উন্নয়ন হয়। মাদকমুক্ত বন্দর উপজেলা হয়। আমি এটুকুই চেষ্টা করব। আমার প্রধান কাজই হবে বন্দর উপজেলা থেকে মাদকমুক্ত করা। ইভটিজিং মুক্ত করা। মানুষের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা। আমি নির্বাচিত হলে আমার সকল কাজ হবে নিঃস্বার্থে। আমার টাকা পয়সার প্রতি কোন লোভ নাই। কখনও ছিলওনা। আমার সম্পর্কে জানতে আমার এলাকার আশপাশে যারা আছেন তাদেরকে কাছে জানতে চাইলে আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমি কেমন মানুষ।

তিনি বলেন, আমি আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছি। আইন পেশায় আমার স্যার বন্দর থানা যুবলীগ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু।

তিনি আরও বলেন, আমি চাই আগামী নির্বাচনে যারা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাড়াবেন তাদের সম্পর্কে ভোটারগণ জানুক। জেনে শুনে তারা যেনো ভোট দেয়। কে কেমন ব্যক্তি এসব জেনে শুনে যেনো ভোট প্রদান করেন সেটাই বন্দরবাসীর ভোটারদের কাছে আমার অনুরোধ।

সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর হোসাইন আওয়ামীলীগের দলীয় কোন সংগঠনের পদে না থাকলেও তিনি আওয়ামীলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত। তিনি বলেন, আমার বাবা বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় দীর্ঘ ১৭/১৮ বছর ধরে। আমার বড় ভাই অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। আমার কোন পদ না থাকলেও রাজপথে আমি সক্রিয় রাজনীতি করেছি। ২০০২ সাল থেকে বিএনপি জামাত জোটের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।

তরুণ বয়সে আপনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে গত ২০১৪ সালে নির্বাচন করেছিলেন। তরুণ বয়সে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাড়ানোর আপনার মুল উদ্দেশ্য কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিন্তু তরুণদের অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন এবং জাতীয় সংসদে গিয়েছেন। তারা এমপি হয়েছেন। তন্ময়ের মত একজন তরুণ কিন্তু এখন জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি সবচেয়ে কম বয়সে এমপি হলেন। আমি মনে করি তরুণরাই পারবে সমাজকে পরিবর্তন করতে। সমাজের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে। সমাজের মানুষকে শান্তিতে রাখতে। আমার একটাই উদ্দেশ্য মানুষের শান্তি কামনা করা। এসব কারনেই আমি উৎসাহ পেয়ে নির্বাচনে এসেছিলাম।

এছাড়াও তিনি বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে আমার একটাই কথা- গত নির্বাচনে আমাকে আপনারা ভালবেসে ভোট দিয়েছিলেন। আমি অল্পের জন্য পাস করতে পারিনি। আপনারা সকল প্রার্থীর মধ্যে বাছাই করে জেনে শুনে ভোট দিবেন এবং ভাল মানুষকে ভোট দিবেন। আমি আওয়ামীলীগের সমর্থনেই নির্বাচন করব। আওয়ামীলীগ বা অন্য কোন দল বুঝিনা। আমি বন্দরের সর্বস্তরের মানুষের ভোট প্রার্থনা করি।

ক্রীড়া প্রেমী এই তরুণ রাজনীতিক পুরান বন্দর টাইগার ক্রীড়া সংঘের সভাপতি। তিনি বলেন, সেখান থেকে আশপাশের যেসব গ্রামগুলো থাকে যারা খেলাধুলা করে। আমি আমার ব্যক্তিগতভাবে যারা অর্থের টানাপোড়ানে থেকে লেখাপড়া করে তাদের কলম খাতা ফাইল এসব দিয়ে থাকি। এটা আমার সামর্থ যতটুকু আমি করি- আর কি।

তিনি বলেন, আমার অতীত কোন খারাপ রেকর্ড নেই। আপনারা কোন খারাপ রেকর্ড আমার খুজে পাবেন না। এমনকি আমার বাবা যখন চেয়ারম্যান ছিলেন উনারও কোন খারাপ রেকর্ড নেই। তিনি কোন বিচার শালিশি করে টাকা পয়সা খাইছেন এসব কেউ বলতে পারবেন না। আমি আমার বাবার মতই মানুষের সেবা করতে চাই। সর্বপরি বলতে পারি আমাদের বংশে কারো সম্পর্কে কোন খারাপ রেকর্ড নেই ইনশাহআল্লাহ। যদি কোন খারাপ দিক কেউ বের করতে পারেন তাহলে যেনো তারা আমাকে ভোট না দেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আইন সম্পাদক নির্বাচিত অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দীন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আইন বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির একজন ন¤্র ভদ্র আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দীন। ২৩ মার্চ শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাকে সোনারগাঁয়ের এই কৃতি সন্তানকে আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।

জানাগেছে, ২৩ মার্চ শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম নয়ন। কমিটিতে আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দীন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সুফিয়ান দিপু ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সজীবকে নির্বাচিত করা হয়।

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের এই দুই নেতা। যেখানে সভাপতি করা হয় শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আমিরুল ইসলাম ইমন, হারুন অর রশিদ মিঠু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন।

শনিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহাল রেখে ১৯জনকে সহ-সভাপতি, ১০জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৩ জনকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, ৯ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও আরও ৫ জনকে সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে রাখা হয়েছে। একজন প্রচার সম্পাদক ও সহ-প্রচার সম্পাদক আরও ৪ জন। সাধারণ সদস্য পদে রাখা হয়েছে ৭৩ জন যুবদল নেতাকে।

আজাদের কর্মীদের নাই কদর, আগের মত নাই তহরী!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে আলোচিত তরুণ রাজনীতিক নজরুল ইসলাম আজাদ। মুলত জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে জেলার রাজনীতিতে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তিনি। সেই সুবাদে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে দলীয় মনোনয়নও ভাগিয়ে আনেন। কিন্তু নির্বাচনে তিনি মাঠেই দাড়াতে পারেননি।

নেতাকর্মীরা বলছেন, এর আগে শুধু আড়াইহাজার নয় জেলার অন্যান্য থানার নেতারাও আজাদের পিছনে ঘুরেছেন। কেউবা পদ পদবীর লোভে কেউবা মাসিক তহুরী বিনিময়ে। মহানগরীর অনেক নেতাও আজাদের পিছনে রাজনীতি করেছেন। তবে জাতীয় নির্বাচনের পর আজাদের কাছে তার কর্মীদের কদর কমে গেছে। অনেকেই পদ পদবী পাবার আশায় ঘুরেও পদ না পেয়ে এখন আজাদের বিরুদ্ধে বিষোধগার করেন নেতাকর্মীরা। মাসিক তহরীও আজাদ তার বলয়ের কর্মীদের দিচ্ছেন না। যে কারনে আজাদের পিছনে আগের মত নেতাকর্মীদের ঢল দেখা যায়না।

নেতাকর্মীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীরা আন্দোলনে না থাকলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের পিছনে ঠিকই দৌড়াতেন। এমনকি যেদিন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি সেইদিন কর্মসূচি পালন না করলেও নারায়ণগঞ্জ কোর্টে আজাদের হাজিরার দিন কোর্টে গিয়ে কর্মীরা দেয় শোডাউন। অথচ ওইদিন খালেদা জিয়ার মুক্তির কর্মসূচিতে ছিলেন না।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদের আশায় মহানগরীর রাজনীতি ছেড়ে আড়াইহাজারে রাজনীতি করেছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি। কিন্তু মহানগর যুবদলের কমিটি হলেও সেখানে কোন পদেই ঠাঁই পাননি তিনি। একই পদের লোভে মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজলও মহানগরীর রাজনীতি ছেড়ে আড়াইহাজারে গিয়ে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু তিনিও পাননি মহানগর কমিটিতে পদ। জেলা যুবদলের সেক্রেটারি পদে আসতে চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক। তিনি শুধুমাত্র আড়াইহাজার কেন্দ্রীক রাজনীতিতে ছিলেন। মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ পেয়েও আড়াইহাজারে গিয়ে রাজনীতি করেছেন রাফিউদ্দীন রিয়াদ। একই সঙ্গে মহানগর ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন ও এরশাদ আলীও মহানগরীর রাজনীতি ছেড়ে আজাদের পিছনেই দৌড়ালেন। এদের ছাড়াও অন্যান্য থানার বেশকজন নেতা আড়াইহাজার মুখী রাজনীতি করেছিলেন।

এসব চাটুকার দলের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচি পালন না করলেও আজাদের পিছনে দাড়ানোই ছিল তাদের প্রধান কাজ। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় না থাকলেও তারা আজাদ কোর্টে হাজিরা দিতে আসলেই তাদের শোডাউন দেখা যেতে। কিন্তু বর্তমানে আজাদের সেই শোডাউনে ভাটা পড়েছে। এসব কর্মীদের আগের মত আজাদের কাছে কদর নেই। নেতাকর্মীদের খোজ খবরও রাখছেন না আগের মত। যে কারনে এসব কর্মীদের অনেকেই আজাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। আগের মত তাদের তহুরীও দিচ্ছেন না আজাদ।

আড়াইহাজার-রূপগঞ্জে কোণঠাসা বিদ্রোহী: সোনারগাঁয়ে লড়ছেন কালাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয়পার্টি অংশগ্রহণ করেনি। ফলে দুটি দলের কোন প্রার্থীও নেই। তিনটি উপজেলায় রয়েছে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। কিন্তু জেলার আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জে ইতিমধ্যে কোণঠাসা অবস্থায় আছেন বিদ্রোহী প্রার্থী ইকবাল হোসেন মোল্লা ও তাবিবুল কাদির তমাল। যেখানে সোনারগাঁয়ে অনেকটা পুরোদমে বুক ফুলিয়েই নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। দুটি উপজেলায় নৌকা প্রার্থীদের পক্ষে রয়েছেন স্থানীয় দুই এমপি। কিন্তু সোনারগাঁয়ে মহাজোটের এমপি রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে। ফলে বেশ ভিন্নতা সৃষ্টি হয়েছে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন পরিষদের টানা দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। এক সময় তার সঙ্গে বর্তমান এমপি এবং পাট ও বস্ত্র গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে সাপে নেউলে সম্পর্ক থাকলেও সেই বিরোধ চুকিয়ে এখন তারা একজোট হয়েছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও গাজীর মনোনয়ন ঠেকাতে ৩০ জনের বেশি মনোনয়ন ক্রয় করেছিলেন।

এখানে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তাবিবুল কাদির তমাল আনারস প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। কিন্তু তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামতেই পারছেন না। প্রচারণা চালানোর মত নেতাকর্মীও তিনি পাচ্ছেন না। ফলে বেশ বেকায়দায় পরে গত ২৩ মার্চ নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী গাজীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় বাধা ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেন তমাল। তারপর তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে শাহজাহান ভূঁইয়া বলেছেন, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর প্রতিটি কেন্দ্রে ও বুথে এজেন্ট দেয়ার সামর্থ্য আছে কিনা সন্দেহ হয়।

এদিকে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। এখানে টানা দুইবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও পরবর্তীতে তিনি কেন্দ্রীয় চাপে তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। এখানে মনোনয়ন চেয়েছিলেন শাহজালাল মিয়া ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ভূঁইয়াও। তবে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আনারস প্রতীকে নির্বাচনে দাড়িয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন মোল্লা। তিনি স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ভাগিনা। এখানে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় দুই ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আড়াইহাজারে নির্বাচনী কোন আমেজই নেই। আনারস প্রতীকে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ইকবাল হোসেন মোল্লা নির্বাচনী প্রচারণায়ই চালাতে পারছেন না। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীও তেমন একটা প্রচারণায় নেই। নির্বাচনের আগেই মনে হচ্ছে এখানে নৌকার বিজয় নিশ্চিত।

অন্যদিকে ভিন্ন চিত্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। এখানে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। তিনি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। চাচা ভাতিজা এবার একজোট হয়ে নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। তবে এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম।

আরও জানাগেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম সহ অন্তত ১৫ জন। কিন্তু এখানে মহাজোটের প্রার্থী দেয় আওয়ামীলীগ।

ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ে বাদ পড়ে যান মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে সিংহ প্রতীকে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। ওই নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন মাহফুজুর রহমান কালাম। কায়সার হাসনাতের পক্ষে কাজ করেছিলেন মোশারফ হোসেন।

ওই নির্বাচনের মাত্র ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাসায় পুলিশ হানা দেয়। বেশকজন নেতাকর্মীকে আটকও করেছিল পুলিশ। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সেখানে পুলিশ হানা দেয়। সেদিন রাতেই নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান কায়সার হাসনাত। তারপর থেকে কায়সার হাসনাতের হুদিস পাওয়া যায়নি সোনারগাঁয়ে। আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে লড়াই করছেন মাহফুজুর রহমান কালাম। তার পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সহ উপজেলার সাতজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও আরও ৯০ জন জনপ্রতিনিধি।

মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে তৈমূরের জাগানিয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে সরেছেন প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্তিত্ব বলতে এখনও সেই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারই। কমিটিতে না থাকলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নামকাওয়াস্তে কমিটি গঠন করা হলেও তৈমূর আলমের সঙ্গে শোডাউনে পাল্লা দিতে পারেনি দলের কোন কর্মকান্ডেই। এবারও তৈমূর আলম খন্দকার তার অস্তিত্বের জাগানিয়া দিতে আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস মঙ্গলবার শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।

জানাগেছে, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন মঙ্গলবার বিশাল শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এ উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যে গত ২২ মার্চ শুক্রবার বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে মাসদাইরে তার মজলুম মিলনায়তনে প্রস্তুতিমুলক সভাও করেছেন। যেখানে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। জেলা কমিটিতে সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ এবং মহানগর বিএনপির কমিটিতে সাবেক এমপি আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সেক্রেটারি করা হয়। এর আগে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার ও কাজী মনির ছিলেন সেক্রেটারি। মহানগর কমিটির আগে ছিল শহর বিএনপির কমিটি। শহর বিএনপির কমিটিতে সভাপতি ছিলেন প্রয়াত জাহাঙ্গীর আলম ও বতর্মান মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল ছিলেন সেক্রেটারি। ওই সময় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একক নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব ছিল তৈমূর আলমের হাতে।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার সভাপতি নির্বাচিত হন। কাজী মনিরকে সেক্রেটারি করা হলেও তিনি দলীয় কর্মকান্ড ও রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন নিষ্ক্রিয়। যে কারনে তৈমূর আলম খন্দকার পুরো জেলার নেতাদের চাঙ্গা রাখতে নিজে একাই বিএনপির কর্মকান্ডকে সামনে নিয়ে গেছেন। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা নির্বাচিত হন তৈমূর আলম খন্দকার।

কিন্তু রহস্যজনক কারনে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তৈমূর আলম খন্দকারকে বাদ দিয়ে জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কমিটিতে তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে যেসব নেতারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন সেইসব নেতাদের বাদ দেয়া হয়। দুএকজনকে কমিটিতে নামকাওয়াস্তে রাখা হলেও অপরিিিচত কিংবা নিষ্ক্রিয় নেতাদের রাখা হয় রাজপথের নেতাদের সামনে। রীতিমত রাজপথের নেতাকর্মীদের অপমান অপদস্থ করা হয় ওই কমিটি গঠনের মাধ্যমে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়েননি তৈমূর আলম খন্দকার ও তার নেতাকর্মীরা। জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হলেও এই কমিটির চেয়ে বড় শোডাউন এখনও দিতে পারেন তৈমূর আলম খন্দকার। কারন তিনি যখন জেলা বিএনপির রাজনীতিতে নেতৃত্বে ছিলেন তখন তিনি পুুরো জেলার অলিগলিতেও নেতাকর্মী সৃষ্টি করেছেন। এতে তার বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে। ফলে এখনও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্তিত্ব বলতে তৈমূর আলম খন্দকার ও তার বিশাল কর্মী বাহিনীকেই বুঝায়। তেমনি আবারো তিনি জাগানিয়া দিবেন মহান স্বাধীনতা দিবসে। যদিও তিনি এসব দিবসগুলোতে প্রতি বছরই বিশাল শোডাউন করে থাকেন।

সোনারগাঁয়ে নৌকা নিয়ে কায়সার ও মাসুদ দুলাল: নৌকার পাশে প্রশাসন, ভয় নাই

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে মাঠে নেমেছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল সহ কেন্দ্রীয় নেতারাও। ওই সময় কেন্দ্রীয় আরও বেশকজন নেতা ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ২৪ মার্চ রবিবার বিকেলে সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার এলাকায় নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালান এসব নেতারা।

নির্বাচনী প্রচারণায় সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত বলেছেন, আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবাই একত্রে সম্মেলিতভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন।

কায়সার হাসনাত আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমাদের পাশে প্রশাসন আছে, আওয়ামীলীগ আছে, আমাদের কোন ভয় নেই। ভয়কে জয় করেই আগামী ৩১ মার্চ নৌকাকে বিজয়ী করে প্রমাণ করতে হবে আমরা আওয়ামীলীগ আমরা ঐক্যবদ্ধ। নৌকা বিজয়ী করতে যুবলীগ ছাত্রলীগ মহিলালীগ কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালাবে। যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস কওে, গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করেন তারা কখনো ভয় পায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের সেই গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েছেন। সেই গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে আমরা মাঠে আছি মাঠে থাকবো।

নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা দীপক কুমার ভৌমিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি নেকবর হোসেন নাহিদ সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

সোনারগাঁয়ে কালামের ঘোড়াকে বিজয়ী করতে নির্বাচনী মাঠে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের ঘোড়া প্রতীকের বিজয় ছিনিয়ে আনতে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম।

জানাগেছে, আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের ঘোড়া প্রতীকের বিজয় আনতে নির্বাচনী মাঠে একট্টা হয়ে নেমেছেন উপজেলার বর্তমান ও সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানেরা। নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে তারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে ২৪ মার্চ রবিবার উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মীরেরবাগ এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে নির্বাচনী বৈঠকে তারা একত্রিত হয়ে উঠান বৈঠক করেন।

উঠান বৈঠকে তারা সোনারগাঁবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, মাহফুজুর রহমান কালাম একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ও দক্ষ সংগঠক। তিনি আওয়ামীলীগকে জড়িয়ে তিনযুগ পার করেছেন। নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে তাদের পাশে গিয়ে দাড়িয়েছেন। এর আগে তিনি দুইবার নির্বাচন করেছেন। আল্লাহ তার সহায় হয়নি। তাই তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি। কারণ আল্লাহ যাকে চান তাকেই ক্ষমতায় বসান। আর আপনারা যদি চান তাহলে হয়তো আল্লাহ তার উপর সহায় হতে পারেন। সেজন্য আগামী ৩১ মার্চ ঘোড়া মার্কায় ভোট দিয়ে কালামকে সেই সুযোগ করে দিবেন এটাঁই আপনাদের কাছে আমাদের জোড়ালো অনুরোধ।’

উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বারদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল হক, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডাঃ আবদুর রব, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান টুলু চেয়ারম্যান, লিটন চেয়ারম্যান, হানিফ চেয়ারম্যান, বর্তমান চেয়ারম্যান হামীম সিকদার শিপলু, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান সামসু ও সনমান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু প্রমুখ।

প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করে ভোট দিবেন: সোনারগাঁয়ের আবু নাইম ইকবাল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সোনারগাঁয়ের মানুষ আমাকে এতো ভালোবাসে তা জানতাম না। আপনাদের এই ভালবাসাই আমার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার একমাত্র পুঁজি। আমি আপনাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। আপনারা ভোটাররা আগামী ৩১ মার্চ ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আপনার ভোট আপনি আপনার পছন্দের প্রার্থীকে দিবেন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করে ভোট দিবেন। যদি আপনারা মনে করেন আমি ভাইস-চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য তাহলে আমাকে তালা মার্কায় একটি ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।

২৩ মার্চ শনিবার স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তি ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আবু নাইম ইকবাল। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের উলুকান্দি এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী, স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ ভোটারদের সাথে এই মতবিনিময় সভাটি অনুুষ্ঠিত হয়।

সোনারগাঁয়ের এই শিক্ষানুরাগী আরও বলেন, আমি নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রসারের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় ও তাদের দুঃসময়ে পাশে থেকে মানবিক কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি। রাজনীতি মানে উন্নয়ন, রাজনীতি মানে মানবসেবা, রাজনীতি মানে দেশের সেবা করা। আর মানবতার তাগিদ নিয়ে কাজ করার জন্যই রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। আমার রাজনীতি করার মূল উদ্দেশ্য সুখে দুঃখে আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই। অনেকেই নিজের ব্যবসাকে প্রসার করার জন্য রাজনীতি করেন। কিন্তু আমি মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছি এবং সেটাই করে যেতে চাই।

তিনি বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছি।’

বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মজুমদারের আয়োজিত ও সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভায় অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহŸায়ক অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী, সোনারগাঁও পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ দুলাল মিয়া, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ মতিউর রহমান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি নবী হোসেন প্রমুখ।

আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল। এছাড়াও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন মাইক প্রতীকে, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন চশমা প্রতীকে, বাবুল ওমর বাবু টিউবওয়েল প্রতীকে, মনির হোসেন উড়োজাহাজ প্রতীকে ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

মানুষের সেবা করতেই প্রার্থী হয়েছি: ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মানুষের সেবা করতেই প্রার্থী হয়েছি। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। আমি আপনাদের সেবা করব। আপনাদের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকবো।

সোনারগাঁয়ের এই শিক্ষানুরাগী আরও বলেন, আমি নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রসারের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় ও তাদের দুঃসময়ে পাশে থেকে মানবিক কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি। রাজনীতি মানে উন্নয়ন, রাজনীতি মানে মানবসেবা, রাজনীতি মানে দেশের সেবা করা। আর মানবতার তাগিদ নিয়ে কাজ করার জন্যই রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। আমার রাজনীতি করার মূল উদ্দেশ্য সুখে দুঃখে আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই। অনেকেই নিজের ব্যবসাকে প্রসার করার জন্য রাজনীতি করেন। কিন্তু আমি মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছি এবং সেটাই করে যেতে চাই।

তিনি বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছি।’

২৩ মার্চ শনিবার স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তি ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আবু নাইম ইকবাল। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের উলুকান্দি এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী, স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ ভোটারদের সাথে এই মতবিনিময় সভাটি অনুুষ্ঠিত হয়।

সোনারগাঁও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সোনারগাঁয়ের মানুষ আমাকে এতো ভালোবাসে তা জানতাম না। আপনাদের এই ভালবাসাই আমার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার একমাত্র পুঁজি। আমি আপনাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। আপনারা ভোটাররা আগামী ৩১ মার্চ ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আপনার ভোট আপনি আপনার পছন্দের প্রার্থীকে দিবেন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করে ভোট দিবেন। যদি আপনারা মনে করেন আমি ভাইস-চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য তাহলে আমাকে তালা মার্কায় একটি ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।

বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মজুমদারের আয়োজিত ও সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভায় অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহŸায়ক অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী, সোনারগাঁও পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ দুলাল মিয়া, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ মতিউর রহমান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি নবী হোসেন প্রমুখ।

আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল। এছাড়াও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন মাইক প্রতীকে, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন চশমা প্রতীকে, বাবুল ওমর বাবু টিউবওয়েল প্রতীকে, মনির হোসেন উড়োজাহাজ প্রতীকে ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

হিউম্যান রাইটস সম্মাননা পেলেন পুুলিশ পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইও-২) মোঃ সাজ্জাদ রোমন হিউম্যান রাইটস সোসাইটি থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটি নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করেন।

২৩ মার্চ শনিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার এলাকায় অবস্থিত জেলা সরকার গ্রন্থাগারে সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে পুলিশ পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমনকে এই সম্মাননা দেয়া হয়।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির মহাসচিব রহিমা আক্তার, সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির জেলা সভাপতি মীর আনোয়ার হোসেন ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ