আজাদের কর্মীদের নাই কদর, আগের মত নাই তহরী!
সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে আলোচিত তরুণ রাজনীতিক নজরুল ইসলাম আজাদ। মুলত জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে জেলার রাজনীতিতে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তিনি। সেই সুবাদে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে দলীয় মনোনয়নও ভাগিয়ে আনেন। কিন্তু নির্বাচনে তিনি মাঠেই দাড়াতে পারেননি।
নেতাকর্মীরা বলছেন, এর আগে শুধু আড়াইহাজার নয় জেলার অন্যান্য থানার নেতারাও আজাদের পিছনে ঘুরেছেন। কেউবা পদ পদবীর লোভে কেউবা মাসিক তহুরী বিনিময়ে। মহানগরীর অনেক নেতাও আজাদের পিছনে রাজনীতি করেছেন। তবে জাতীয় নির্বাচনের পর আজাদের কাছে তার কর্মীদের কদর কমে গেছে। অনেকেই পদ পদবী পাবার আশায় ঘুরেও পদ না পেয়ে এখন আজাদের বিরুদ্ধে বিষোধগার করেন নেতাকর্মীরা। মাসিক তহরীও আজাদ তার বলয়ের কর্মীদের দিচ্ছেন না। যে কারনে আজাদের পিছনে আগের মত নেতাকর্মীদের ঢল দেখা যায়না।
নেতাকর্মীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীরা আন্দোলনে না থাকলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের পিছনে ঠিকই দৌড়াতেন। এমনকি যেদিন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি সেইদিন কর্মসূচি পালন না করলেও নারায়ণগঞ্জ কোর্টে আজাদের হাজিরার দিন কোর্টে গিয়ে কর্মীরা দেয় শোডাউন। অথচ ওইদিন খালেদা জিয়ার মুক্তির কর্মসূচিতে ছিলেন না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদের আশায় মহানগরীর রাজনীতি ছেড়ে আড়াইহাজারে রাজনীতি করেছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি। কিন্তু মহানগর যুবদলের কমিটি হলেও সেখানে কোন পদেই ঠাঁই পাননি তিনি। একই পদের লোভে মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজলও মহানগরীর রাজনীতি ছেড়ে আড়াইহাজারে গিয়ে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু তিনিও পাননি মহানগর কমিটিতে পদ। জেলা যুবদলের সেক্রেটারি পদে আসতে চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক। তিনি শুধুমাত্র আড়াইহাজার কেন্দ্রীক রাজনীতিতে ছিলেন। মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ পেয়েও আড়াইহাজারে গিয়ে রাজনীতি করেছেন রাফিউদ্দীন রিয়াদ। একই সঙ্গে মহানগর ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন ও এরশাদ আলীও মহানগরীর রাজনীতি ছেড়ে আজাদের পিছনেই দৌড়ালেন। এদের ছাড়াও অন্যান্য থানার বেশকজন নেতা আড়াইহাজার মুখী রাজনীতি করেছিলেন।
এসব চাটুকার দলের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচি পালন না করলেও আজাদের পিছনে দাড়ানোই ছিল তাদের প্রধান কাজ। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় না থাকলেও তারা আজাদ কোর্টে হাজিরা দিতে আসলেই তাদের শোডাউন দেখা যেতে। কিন্তু বর্তমানে আজাদের সেই শোডাউনে ভাটা পড়েছে। এসব কর্মীদের আগের মত আজাদের কাছে কদর নেই। নেতাকর্মীদের খোজ খবরও রাখছেন না আগের মত। যে কারনে এসব কর্মীদের অনেকেই আজাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। আগের মত তাদের তহুরীও দিচ্ছেন না আজাদ।