‘কালাম সেনারা লড়াই করে মরবে কিন্তু পুলিশের ভয়ে পালিয়ে যাবেনা’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। জেলার রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী দুই প্রার্থী কোনঠাসা হয়ে পড়লেও সোনারগাঁয়ে এখনও মাঠ চাঙ্গা রেখেছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। উল্টো তার নির্বাচনী ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় ও জনসমর্থনের কাছে বেশ হোচট খাচ্ছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন। কারন এই নির্বাচনে স্থানীয় এমপি ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন কালামের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম সহ অন্তত ১৫ জন। কিন্তু এখানে মহাজোটের প্রার্থী দেয় আওয়ামীলীগ।

ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ে বাদ পড়ে যান মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে সিংহ প্রতীকে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। ওই নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন মাহফুজুর রহমান কালাম। কায়সার হাসনাতের পক্ষে কাজ করেছিলেন মোশারফ হোসেন।

ওই নির্বাচনের মাত্র ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাসায় পুলিশ হানা দেয়। বেশকজন নেতাকর্মীকে আটকও করেছিল পুলিশ। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সেখানে পুলিশ হানা দেয়। সেদিন রাতেই নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান কায়সার হাসনাত। তারপর থেকে কায়সার হাসনাতের হুদিস পাওয়া যায়নি সোনারগাঁয়ে।

ওই বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম। আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে লড়াই করছেন মাহফুজুর রহমান কালাম। তার পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সহ উপজেলার সাতজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও আরও ৯০ জন জনপ্রতিনিধি।

মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম তার ফেসবুকে লিখেছেন, পুলিশের ভয়ে মাহফুজুর রহমান কালাম কখনো পিছনের দরজা দিয়ে দুই তলা থেকে চঙো বেয়ে পালিয়ে যায় নাই। কালাম সেনারা লড়াই করবে মরবে পালিয়ে যাবেনা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ সোনারগাঁয়ে একবারই ঘটেছিল, ২য় বার ঘটানোর স্বপ্ন দেখে লাভ নাই। পরিশেষে বলি পাগলের সুখ মনে মনে আন্ধার রাইতে তারা গনে……….।’ তিনি মাহফুজুর রহমান কালামের ছোট ভাই।

নারায়ণগঞ্জে নাবা স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার তল্লা এলাকায় অবস্থিত নাবা স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ২৩ মার্চ শনিবার সকাল ১১টায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া পদকপ্রাপ্ত ক্রীড়া সংগঠক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর (ঢাকা বিভাগ দক্ষিণ) কে ইউ আকসির।

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রুমীর সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ সোনিয়া আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম কর কমিশনার মর্তুজা শরীফুল ইসলাম রানা, লায়নের রিজিওনাল চেয়ারপারসন কাজী মোহাম্মদ গোলাম হোসেন, সাধারণ পাঠাগারের সভাপতি মো. জাহিদ হোসেন লাভলু ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘প্রেস নারায়ণগঞ্জ’ এর সম্পাদক প্রকাশক মো. ফখরুল ইসলাম।

নির্বাচনে অরাজকতা, অবৈধ তদবির, অস্থিরতাকে ছাড় দেয়া হবেনা: এসপি হারুন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হবে। কোন প্রকার অরাজকতা করতে দেয়া হবেনা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তার সবকিছুই করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। কোন অরাজকতা, অবৈধ তদবির, অস্থিরতাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবেনা।’

২৪ মার্চ রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে তিনটি উপজেলা পরিষদের প্রার্থীদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জের এই পুলিশ সুপার। এতে আড়াইহাজার, সোনারগাঁও ও রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন: ‘পাট মন্ত্রী প্রভাব বিস্তার করছেনা’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপি এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে অন্যান্য প্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলনের পর এবার সেই মন্ত্রীর পক্ষে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন আরও কজন প্রার্থী। আগের দিন ২৩ মার্চ শনিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। যদিও ওইদিন তারা দাবি করেছিলেন তারা ৭ জন।

আগের দিন নির্বাচনে গাজীর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকার প্রার্থী সহ তিন প্রার্থী। মূলত ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ওই প্রার্থীরা এই ধরণের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেন তাঁরা।

২৪ মার্চ রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহজাহান ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ ভূইয়া এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা এ দাবি করেন।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ২০০৯ সালে আমি প্রথম আনারস মার্কায় নির্বাচন করি। আমার প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন বিএনপির নুরুজ্জামান খান। তিনি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিলে আমি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলীয় কোন প্রতীক না পেয়ে আনারস মার্কা নিয়ে হিসেবে জয়ী হই।

তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জে সাড়ে তিন লাখ ভোটার ও কেন্দ্র রয়েছে ১৮৭টি। কেন্দ্রগুলোতে যতগুলো বুথ রয়েছে সেখানে একজন করে এজেন্ট দিলেও কমপক্ষে ৮’শ এজেন্টের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ যারা নির্বাচন করেছে তারা সমস্ত কেন্দ্রে একজন করে এজেন্ট দিতে পারবে কিনা এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ রয়েছে। যার কারণে তারা মিথ্যা অপপ্রচার করে বানোয়াট তথ্য দিয়ে এলাকার ভোটারদের বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য এ অপপ্রয়াস চালিয়েছে। সেখানে ৭ প্রার্থীর অভিযোগের কথা বললেও সবাই উপস্থিত ছিলেননা।

আগের দিন শনিবার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অংশগ্রহণকারী ৭ প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাবিবুল কাদির তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, মহিলা ভাইস চেয়াম্যান প্রার্থী হ্যাপী বেগম ও শায়লা তাহমিন সিথী। তবে ওইদিন এই তিন প্রার্থীকেই মন্ত্রী একটি প্যানেল করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন তারা।

ফতুল্লার গেসু ও আজমত বাহিনীর সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা রামারবাগ এলাকায় কাইল্লা গেসু ও আজমত আলীর সন্ত্রাসী বাহিনীর গ্রেপ্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলো। আগের দিন ফতুল্লা মডেল থানায় গেসু ও আজমত বাহিনীর ৫০ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন হামলায় আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর।

আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর দাবি করেন- নিজেরা রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও জাতীয় নির্বাচনে একটি পক্ষের হয়ে কাজ করার জেরে এই আক্রমন হয়েছে। সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার দাবি করার পাশাপাশি শান্তিপ্রিয় রামারবাগে নিরাপত্তা ও শান্তি ফেরানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।

২৪ রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতদের স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে হামলায় আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর, ফুফু সেলিনা, সিথী, আহত আকাইদের বাবা আব্দুর রাজ্জাক, খালা শাহিদা, ফুফু রওশন, চাচী রাহিমা, আহত নাজমুলের মামা রাজ্জাক এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিটি পুলিশের সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল গফুর অভিযোগ করেন, কুতুবআইল কাঠের পুল এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু দীর্ঘদিন যাবত এলাকার বাইরের স্কুল কমিটিগুলো নিয়ন্ত্রণ করতো। আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক স্পিড বোট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের পরামর্শ চলি।

আহত আকাইদের বাবা রাজ্জাক বলেন, আমরা ঝুট ব্যবসার সাথে জড়িত নই। গিয়াসউদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু, তার ছোট ভাই জুট ব্যবসায়ী আজমত, মুরাদ, রাজিব, নজরুল, জসীম ও হেলাল রামারবাগ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি বলেই দেশী ও বিদেশী অস্ত্র-সন্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। তাঁরা রামারবাগে মাদকের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে কাজ করছিল। আমার ছেলে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। সে কিংবা আমি কেউই রাজনীতির সাথে জড়িতনা। আমরা শুধু মোস্তফা কামালের পক্ষে থাকাতেই এই হামলা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি। একই সাথে রামারবাগ এলাকায় নিরাপত্তা ও শান্তি ফেরানোর দাবি জানাই।

অন্যদিকে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বেপরোয়া আজমত আলী ও গেস ওরফে কাইল্লা গেসু বাহিনীর ৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২২ মার্চ শুক্রবার রাতে ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানোর ঘটনায় ২৩ মার্চ শনিবার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই এলাকার মফিজ উদ্দীনের ছেলে হামলায় আহত আব্দুল গফর। এই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম হোতা চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী আজমত আলীকে। মামলায় আজমত আলী সহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ্যসহ আরও ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ- ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকার চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু ও তার ভাই আজমত আলী বাহিনী সরকারী দলের নাম ব্যবহার করে কুতুবআইলের শিল্পাঞ্চলের গার্মেন্টের ঝুট সেক্টর এককভাবে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। এলাকায় আজমত আলী ও গেসু বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যারা এলাকায় নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা ও ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে আসছে। সেখানে এককভাবে প্রভাব বিস্তার করতে বিশাল একটি বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে নাজেহালের শিকার হতে হয়। সেই বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়াও মাদক ব্যবসা করে বেড়ায় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

মামলায় আসামী করা হয় বাহিনীর প্রধান আজমত আলী ও কাইল্যা গেসু, মনির হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্রাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হ্নদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেয়মান, রহিম বাদশা, শামীম, ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানাগেছে, আসামীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শত্রæতা করে আসছিল। এর জের ধরে গত ২২ মার্চ শুক্রবার সন্ধায় আব্দুল গফুরের ছেলে আজিম রামারবাগ মসজিদ সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী হামলা চালায়। দেশী ও বিদেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আজিমকে আহতের খবর তার আত্মীয়স্বজনেরা এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় গেসু ও আজমত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় ১৫ জন আহত হন। হামলাকারীরা পরে আহতদের দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা ভাংচুর চালিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সোনারগাঁয়ে চেয়ারম্যান জিন্নাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম বহির্ভূত কাজ করার জন্য সংগঠনের সদস্য সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক।

ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম না মানলে ওই সদেস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জহিরুল হক। তিনি স্থানীয় একটি অনলাইন বলেছেন, আমরা নিজেরা কিছু রাজনৈতিক বিষয়কে সামনে এসে নিজেদের মধ্যে একটি ঐক্য গড়ে তুলেছি। সোনারগাঁ উপজেলার সাধারণ নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত এমন মেয়র, চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের নিয়ে এ ফোরাম গঠন করা হয়েছে। আমাদের অভিভাবক শামীম ওসমান এ ফোরামের অন্যতম উপদেষ্টা। যার হাত ধরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি পরিচালিত হয়। এমন একজন লোকের সমন্বয়ে গঠন করা জনপ্রতিনিধি ফোরাম। যার সভাপতি সোনারগাঁয়ের ২বারের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। এ ফোরামে থেকে ফোরামের নির্দেশ না মানলে তার বিরুদ্ধে ঐক্য ফোরামের নিয়ম অনুযায়ী তার রিুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, তবে আমরা ফোরামের সব সদস্য একত্রিত হয়েই এ সিদ্ধান্ত নিবো। ফোরামে থাকবে অথচ নিজের স্বার্থে ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম মানবেনা এটা হতে পারেনা। আগামী সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য ফোরামের এক সদস্য ও সনমান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ ফোরামের নিয়ম না মেনে নিজের স্বার্থে ফোরাম সমর্থন দেয়নি এমন এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

এছাড়া জাহিদ হাসান জিন্নাহ গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও লিয়াকত হোসেন খোকার প্রচারনা তেমন দেখা যায়নি। যখন কায়সার হাসনাতের সিংহ মার্কা মাঠ ছেড়ে দেয় ঠিক তার একদিন আগে লিয়াকত হোসেন খোকার প্রচারনা নামেন তিনি এ নিয়ে ওই সময় সমালোচনার ঝড় উঠে। তার কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই জিন্নাহ আবারও পুরোনো রূপে ফিরে যান।

সংগঠনটির সূত্রে জানাগেছে, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে নারায়ণগঞ্জ- (সোনারগাঁ) আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সোনারগাঁয়ে ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ১টি পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলদের নিয়ে একটি ঐক্য গড়ে তোলেন। তার নাম দেওয়া হয় সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ফোরামের উদ্ধোধন করেন। ফোরামের সভাপতি করা হয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে। সাধারণ সম্পাদক হন বারদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল হক।

সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে ঐক্য ফোরামের সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা, মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া ও ৭ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর কালামের ঘোড়া প্রতীককে সমর্থন করে সেখানে সনমান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ মোশারফ হোসেনকে সমর্থন দেন। একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লিয়াকত হোসেন খোকাকে সমর্থন না দেওয়া ফের ঐক্য ফোরামের বাহিরে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থন দেওয়া ঐক্য জনপ্রতিনিধি ফোরামের ভবিষ্যৎ ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতি সংশ্লিষ্টরা।

‘শামীম ওসমানের হাত ধরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি পরিচালিত হয়’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের হাত ধরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি পরিচালিত হয় বলে দাবি করেছেন সোনারগাঁয়ে জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক। সংগঠনের নিয়মের বাহিরে কাজ করা সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বলতে গিয়ে এমন কথা বলেন জহিরুল হক।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম বহির্ভূত কাজ করার জন্য সংগঠনের সদস্য সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক।

ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম না মানলে ওই সদেস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জহিরুল হক। তিনি স্থানীয় একটি অনলাইন বলেছেন, আমরা নিজেরা কিছু রাজনৈতিক বিষয়কে সামনে এসে নিজেদের মধ্যে একটি ঐক্য গড়ে তুলেছি। সোনারগাঁ উপজেলার সাধারণ নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত এমন মেয়র, চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের নিয়ে এ ফোরাম গঠন করা হয়েছে। আমাদের অভিভাবক শামীম ওসমান এ ফোরামের অন্যতম উপদেষ্টা। যার হাত ধরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি পরিচালিত হয়। এমন একজন লোকের সমন্বয়ে গঠন করা জনপ্রতিনিধি ফোরাম। যার সভাপতি সোনারগাঁয়ের ২বারের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। এ ফোরামে থেকে ফোরামের নির্দেশ না মানলে তার বিরুদ্ধে ঐক্য ফোরামের নিয়ম অনুযায়ী তার রিুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, তবে আমরা ফোরামের সব সদস্য একত্রিত হয়েই এ সিদ্ধান্ত নিবো। ফোরামে থাকবে অথচ নিজের স্বার্থে ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম মানবেনা এটা হতে পারেনা। আগামী সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য ফোরামের এক সদস্য ও সনমান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ ফোরামের নিয়ম না মেনে নিজের স্বার্থে ফোরাম সমর্থন দেয়নি এমন এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

এছাড়া জাহিদ হাসান জিন্নাহ গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও লিয়াকত হোসেন খোকার প্রচারনা তেমন দেখা যায়নি। যখন কায়সার হাসনাতের সিংহ মার্কা মাঠ ছেড়ে দেয় ঠিক তার একদিন আগে লিয়াকত হোসেন খোকার প্রচারনা নামেন তিনি এ নিয়ে ওই সময় সমালোচনার ঝড় উঠে। তার কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই জিন্নাহ আবারও পুরোনো রূপে ফিরে যান।

সংগঠনটির সূত্রে জানাগেছে, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে নারায়ণগঞ্জ- (সোনারগাঁ) আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সোনারগাঁয়ে ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ১টি পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলদের নিয়ে একটি ঐক্য গড়ে তোলেন। তার নাম দেওয়া হয় সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ফোরামের উদ্ধোধন করেন। ফোরামের সভাপতি করা হয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে। সাধারণ সম্পাদক হন বারদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল হক।

সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে ঐক্য ফোরামের সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা, মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া ও ৭ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর কালামের ঘোড়া প্রতীককে সমর্থন করে সেখানে সনমান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ মোশারফ হোসেনকে সমর্থন দেন। একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লিয়াকত হোসেন খোকাকে সমর্থন না দেওয়া ফের ঐক্য ফোরামের বাহিরে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থন দেওয়া ঐক্য জনপ্রতিনিধি ফোরামের ভবিষ্যৎ ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতি সংশ্লিষ্টরা।

সোনারগাঁয়ে ইকবালের প্রচারণায় বাধা, থানায় অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিয়ে তার প্রচারণার সরাঞ্জামাদী ভাংচুরের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে তালা প্রতীকের প্রার্থী ইকবালের নির্বাচনী প্রচারনায় বাধা, ভাংচুর ও মারধর করেছে টিউভওয়েল প্রতীকের প্রার্থী বাবু ওমরের সমর্থকরা।

২৩ মার্চ শনিবার উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সিকদার বাড়ি এলাকায় ওই ঘটনার পর ২৪ মার্চ রবিবার সোনারগাঁ থানায় আবু নাইম ইকবাল বাদী হয়ে এই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে, আগামী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র আবু নাঈম ইকবালের তালা প্রতীকের পক্ষে প্রচারনায় যায় শাহাজাদা ও মুরাদ মাহমুদ। এসময় সাদিপুর ইউনিয়নের সিকদারবাড়ী এলাকায় পৌচ্ছালে সাদিপুর এলাকার আবদুর রব মোল্লার ছেলে পারভেজ ও মাইনুদ্দিন মোল্লার ছেলে মোস্তফা তাদের পথরোধ করে তালা প্রতীকের প্রচারনা করার জন্য নিষেধ করে। এ নিয়ে শাহাজাদা ও পারভেজের সাথে তর্কবির্তক হয়। তর্কের এক পর্যায়ে পারভেজ ও মোস্তফা তাদের শাহাজাদা ও মুরাদ মাহমুদকে মারধর করে তাদের ব্যবহৃত মাইক ও সিএনজি ভেঙ্গে দেয়। আহত শাহাজাদা ও মুরাদ স্থানীয় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবারো সীমানা নিয়ে মুখোমুখী জেলা ও মহানগর যুবদল!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যত কমিটি গঠন করা হচ্ছে ততই সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা বাড়ছে। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কমিটি গঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। যে কোন সময় নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিস্ফোরণ সৃষ্টি হতে পারে। জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিশেষ নেতাদের সুবিধার্থে মহানগরীর মুল এলাকা জেলা বিএনপিতে অন্তর্ভূক্ত করে আবার জেলা বিএনপির এলাকা মহানগরীতে অন্তর্ভূক্ত করে কমিটি গঠন করার পরে অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো সেই নির্দেশনা মানছেনা। এবার নতুন করে জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা সীমানা নিয়ে মুখোমুখী অবস্থান করছেন।

জানাগেছে, ২৩ মার্চ শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম নয়ন। এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের এই দুই নেতা। যেখানে সভাপতি করা হয় শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আমিরুল ইসলাম ইমন, হারুন অর রশিদ মিঠু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন।

শনিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহাল রেখে ১৯জনকে সহ-সভাপতি, ১০জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৩ জনকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, ৯ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও আরও ৫ জনকে সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে রাখা হয়েছে। একজন প্রচার সম্পাদক ও সহ-প্রচার সম্পাদক আরও ৪ জন। সাধারণ সদস্য পদে রাখা হয়েছে ৭৩ জন যুবদল নেতাকে।

কমিটিতে দেখা গেছে, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের অনেকেই আবার মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত। যেখানে মহানগর যুবদলের আওতাধীন কমিটির বন্দর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান রিপনকে রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পদে। আবার বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদকে রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। এদের ছাড়াও বেশকজন নেতা মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত তাদেরকেও রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের আওতাধীন কমিটিতে। অনেকেই আবার মহানগর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে জড়িত এমন নেতাদেরও রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের কমিটিতে।

তবে এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন জেলা যুবদলের আওতাধীন। যে কারনে ওই ৫টি ইউনিয়নের যুবদলের নেতারা স্বাভাবিকভাবেই জেলা যুবদলের কমিটিতে থাকবে।’ মহানগরীর রাজনীতিতে জড়িত এমন নেতাদের কেন জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের রাজনীতিটা করার সুযোগ করে দিতেই জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে।’ তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদের উদাহরণ টেনে বলেন, অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব। সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাও মহানগরীর ভিতরে। তিনিও কিন্তু জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি সে রকমই।’

এদিকে মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছেন, বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন মহানগর যুবদলের আওতাধীন ছিল এবং থাকবে। এটা নড়চড় হবে না।’

এর আগে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে রাখা হয়। আবার জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটির ক্ষেত্রে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা রাখা হয় মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে। যদিও জেলা ও মহানগর শ্রমিকদলের ক্ষেত্রেও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে নেতা রাখা হয় মহানগর শ্রমিক দলের কমিটিতে। মহানগর যুবদলের কমিটির ক্ষেত্রে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে রাখা হয় বেশকজন নেতাকে। যাদের মধ্যে সেক্রেটারি মন্তুর বসবাস সিদ্ধিরগঞ্জে। অথচ জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিবের পদে রয়েছেন। এর আগের বছর কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন জেলা ও মহানগর বিএনপির মুল দলের কমিটি যেভাবে হয়েছে সেভাবেই অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো পরিচালত হবে। কিন্তু তা কেন্দ্রীয় নেতারাই রিজভীর নির্দেশনা মানছে না। ফলে নারায়ণগঞ্জে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের মধ্যে বিরোধ বিরাট আকার ধারণ করছে।

নির্বাচনের পর কমিটি গঠনের মাধ্যমে যুবদলের জাগানিয়া!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে জেলা যুবদলের অস্তিত্বই দেখা যায়নি। যদিও গত ১৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ৮ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিটি ঘোষণা করা হলেও কমিটির নেতারা ছিলেন নিষ্ক্রিয়। শুধুমাত্র দুজন নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে দেখা গেলেও বাকি নেতাদের ‘ভাইয়েরা’ ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে তাদের নির্বাচনে ছায়াও দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের পর বিশাল এক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের মাধ্যমে জাগানিয়া দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল। যে কমিটিতে সক্রিয়দের নিচের পদে রেখে নিষ্ক্রিয়দের রাখা হয় উপরের পদে।

তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেছেন, আমরা প্রায় দুই যুগ পর নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছি। খুব সময়ের মধ্যে আমরা দ্রæত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছি। যেটা আগের কমিটিগুলো পারেনি। ফলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ছোট খাটো ভুলত্রæটি থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে নেতাকর্মীরা ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন বলে আমি বিশ^াস করি।

এদিকে জানাগেছে, ২৩ মার্চ শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম নয়ন।

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের এই দুই নেতা। যেখানে সভাপতি করা হয় শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আমিরুল ইসলাম ইমন, হারুন অর রশিদ মিঠু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন।

শনিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহাল রেখে ১৯জনকে সহ-সভাপতি, ১০জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৩ জনকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, ৯ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও আরও ৫ জনকে সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে রাখা হয়েছে। একজন প্রচার সম্পাদক ও সহ-প্রচার সম্পাদক আরও ৪ জন। সাধারণ সদস্য পদে রাখা হয়েছে ৭৩ জন যুবদল নেতাকে।

কমিটিতে দেখা গেছে, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের অনেকেই আবার মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত। যেখানে মহানগর যুবদলের আওতাধীন কমিটির বন্দর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান রিপনকে রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পদে। আবার বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদকে রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। এদের ছাড়াও বেশকজন নেতা মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত তাদেরকেও রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের আওতাধীন কমিটিতে। অনেকেই আবার মহানগর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে জড়িত এমন নেতাদেরও রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের কমিটিতে।

তবে এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন জেলা যুবদলের আওতাধীন। যে কারনে ওই ৫টি ইউনিয়নের যুবদলের নেতারা স্বাভাবিকভাবেই জেলা যুবদলের কমিটিতে থাকবে।’ মহানগরীর রাজনীতিতে জড়িত এমন নেতাদের কেন জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের রাজনীতিটা করার সুযোগ করে দিতেই জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে।’ তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদের উদাহরণ টেনে বলেন, অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব। সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাও মহানগরীর ভিতরে। তিনিও কিন্তু জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি সে রকমই।’

সর্বশেষ সংবাদ