‘কালাম সেনারা লড়াই করে মরবে কিন্তু পুলিশের ভয়ে পালিয়ে যাবেনা’
সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। জেলার রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী দুই প্রার্থী কোনঠাসা হয়ে পড়লেও সোনারগাঁয়ে এখনও মাঠ চাঙ্গা রেখেছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। উল্টো তার নির্বাচনী ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় ও জনসমর্থনের কাছে বেশ হোচট খাচ্ছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন। কারন এই নির্বাচনে স্থানীয় এমপি ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন কালামের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম সহ অন্তত ১৫ জন। কিন্তু এখানে মহাজোটের প্রার্থী দেয় আওয়ামীলীগ।
ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ে বাদ পড়ে যান মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে সিংহ প্রতীকে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। ওই নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন মাহফুজুর রহমান কালাম। কায়সার হাসনাতের পক্ষে কাজ করেছিলেন মোশারফ হোসেন।
ওই নির্বাচনের মাত্র ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাসায় পুলিশ হানা দেয়। বেশকজন নেতাকর্মীকে আটকও করেছিল পুলিশ। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সেখানে পুলিশ হানা দেয়। সেদিন রাতেই নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান কায়সার হাসনাত। তারপর থেকে কায়সার হাসনাতের হুদিস পাওয়া যায়নি সোনারগাঁয়ে।
ওই বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম। আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে লড়াই করছেন মাহফুজুর রহমান কালাম। তার পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সহ উপজেলার সাতজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও আরও ৯০ জন জনপ্রতিনিধি।
মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম তার ফেসবুকে লিখেছেন, পুলিশের ভয়ে মাহফুজুর রহমান কালাম কখনো পিছনের দরজা দিয়ে দুই তলা থেকে চঙো বেয়ে পালিয়ে যায় নাই। কালাম সেনারা লড়াই করবে মরবে পালিয়ে যাবেনা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ সোনারগাঁয়ে একবারই ঘটেছিল, ২য় বার ঘটানোর স্বপ্ন দেখে লাভ নাই। পরিশেষে বলি পাগলের সুখ মনে মনে আন্ধার রাইতে তারা গনে……….।’ তিনি মাহফুজুর রহমান কালামের ছোট ভাই।