আবারো ইকবালের প্রচারণায় বাধা, বেপরোয়া বাবু ওমরের সন্ত্রাসী বাহিনী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণায় আবারো বাধা সৃষ্টি করেছেন অপর ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী বাবু ওমরের সন্ত্রাসী বাহিনী। এর আগে ইকবালের দুই সমর্থকের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছিল। এবার ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ি, মাইক্রোফোন, মাইকের ব্যাটারি, মেশিন ও মোবাইলে ফোন ভাংচুর করেছে বাবু ওমরের সন্ত্রাসীরা। নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে বাবু ওমরের বাহিনী।

জানাগেছে, ২৩ মার্চ শনিবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সিকদারের বাড়ির মোড় এলাকায় ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণায় এ ঘটনা ঘটিয়ে বাধা সৃষ্টি করা হয়।

তালা প্রতীকে ইকবালের প্রচারণার মাইক ব্যবসায়ী শাহজাদা ও সিএনজি অটোরিক্সার ড্রাইভার নীরব জানান, তারা সিএনজি অটোরিক্সায় মাইক লাগিয়ে সাদিপুর ইউনিয়নের সিকদার বাড়ি মোড়ে তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবালের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় ঢাকা মেট্টো-ল-৩৩-৩৪০৩ নম্বরের একটি বাইক যোগে দু’জন লোক এসে তাদেরকে তালা প্রতীকের মাইকিং করতে বাধা দেয় এবং গাড়ি থেকে মাইক্রোফোন, মেশিন, ব্যাটারী ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে।

এছাড়া ভবিষ্যতে কখনো এই ইউনিয়নে টিউবওয়েল ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর প্রচারণা চালাতে আসলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। ওই সময় হামলাকারীরা যাওয়ার সময় বলে যায় সাদিপুরে শুধু বাবু ওমরের টিউবওয়েল প্রতীকের প্রচারণাই থাকবে।

এর আগে একই ইউনিয়নে ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুই সমর্থকের উপর হামলা চালিয়েছিল বাবু ওমরের সন্ত্রাসী বাহিনী। দুজনকে পিটিয়ে আহত করেছিল। উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তা বাবু ওমরকে হুশিয়ার করলেও বাবু ওমরের সন্ত্রাসী বাহিনী আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।

এ ব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল বলেন, গোটা উপজেলায় তালা প্রতীকের গণজোয়ার দেখে অন্য প্রার্থীর লোকেরা এই ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিব এবং নির্বাচন কমিশনকেও জানাবো।’

সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির জানান, ‘সাদিপুরে তালা প্রতীকের প্রচারণায় বাধা প্রদান ও মেশিন ভাংচুরের অভিযোগ পেয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ফতুল্লায় গেসু ও আজমত বাহিনীর ৫০ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বেপরোয়া আজমত আলী ও গেস ওরফে কাইল্লা গেসু বাহিনীর ৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২২ মার্চ শুক্রবার রাতে ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানোর ঘটনায় ২৩ মার্চ শনিবার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই এলাকার মফিজ উদ্দীনের ছেলে হামলায় আহত আব্দুল গফর।

এই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম হোতা চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী আজমত আলীকে। মামলায় আজমত আলী সহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ্যসহ আরও ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ- ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকার চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু ও তার ভাই আজমত আলী বাহিনী সরকারী দলের নাম ব্যবহার করে কুতুবআইলের শিল্পাঞ্চলের গার্মেন্টের ঝুট সেক্টর এককভাবে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। এলাকায় আজমত আলী ও গেসু বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যারা এলাকায় নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা ও ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে আসছে। সেখানে এককভাবে প্রভাব বিস্তার করতে বিশাল একটি বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে নাজেহালের শিকার হতে হয়। সেই বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়াও মাদক ব্যবসা করে বেড়ায় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

মামলায় আসামী করা হয় বাহিনীর প্রধান আজমত আলী ও কাইল্যা গেসু, মনির হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্রাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হ্নদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেয়মান, রহিম বাদশা, শামীম, ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানাগেছে, আসামীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শত্রুতা করে আসছিল। এর জের ধরে গত ২২ মার্চ শুক্রবার সন্ধায় আব্দুল গফুরের ছেলে আজিম রামারবাগ মসজিদ সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী হামলা চালায়। দেশী ও বিদেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আজিমকে আহতের খবর তার আত্মীয়স্বজনেরা এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় গেসু ও আজমত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় ১৫ জন আহত হন। হামলাকারীরা পরে আহতদের দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা ভাংচুর চালিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নাছিমা পেলনা এমপির সমর্থন, লড়াইয়ে ফেন্সী ও শ্যামলী চৌধুরী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৫টি বছর সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নানের চেয়ার নিয়ে দুই ভাইস চেয়ারম্যানের টানাটানি ছিল আলোচিত। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের দ্বারে কাছেও যায়নি ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন ও নাছিমা আক্তার। যদিও নাছিমা আক্তার স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার পিছনে থেকেই উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড করে আসছিলেন। কিন্তু সেই এমপি খোকার সমর্থন পায়নি নাছিমা আক্তার।

জানাগেছে, এবারের নির্বাচনে ভাইম চেয়ারম্যান পদে দাড়িয়েছেন নাছিমা আক্তার। তিনি বর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থন তিনি পাননি। এমনকি সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সমর্থনও পায়নি নাছিমা আক্তার। এখানে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সমর্থন পেয়েছেন মাহামুদা আক্তার ফেন্সী। এই জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সভাপতিও এমপি খোকা। দীর্ঘদিন এমপির রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে পিছনে থাকলেও জনপ্রিয়তা শূণ্যের কোঠায় থাকায় নাছিমা আক্তারকে সমর্থন দেয়নি এমপি।

এদিকে জানাগেছে, এবারের নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার পদ্মফুল প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সমর্থন নিয়ে ভোটের মাঠে বেশ আলোচনায় হাঁস প্রতীকের প্রার্থী মাহামুদা আক্তার ফেন্সী। তবে তার সঙ্গে পাল্লা দেয়ার চেষ্টা করছেন ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ফরিদা পারভীন শ্যামলী চৌধুরীও। এছাড়াও নির্বাচনে হেলো আক্তার কলস প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।

সোনারগাঁয়ে ইকবালকে সমর্থন দিয়ে সরে যাচ্ছেন শাহআলম রূপন! চলছে গুঞ্জন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নানা জল্পনা কল্পনার সঙ্গে এখন সোনারগাঁয়ে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে কোন সময় মাইক প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহআলম রূপন নির্বাচনে অপর তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবালকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন। যদিও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যাহারের কোন সুযোগ নেই।

তবে অতীতে অনেক প্রার্থীই নির্বাচনের আগে কাউকে সমর্থণের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন তা নজির রয়েছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে কায়সার হাসনাত নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা আগে মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সরে দাড়ান। সোনারগাঁয়ে অনেকেই বলেছেন ভোটের মাঠে নড়বড়ে অবস্থা থাকায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপনের জয়ের কোন সম্ভাবনাই নেই। তবে রূপনের বসে পড়ার এমন গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিলে সেটা হবে আবু নাইম ইকবালের জন্য সুবিধার। কারন শাহআলম রূপনের যে কটা ভোট রয়েছে তা গিয়ে পড়বে ইকবালের বাক্সে। দুজনই পৌরসভা এলাকার প্রার্থী।

তবে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টির সত্যতা জানতে ২৩ মার্চ শনিবার রাত সোয়া ৯টায় মোবাইল ফোনে শাহআলম রূপনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। যদিও শাহআলম রূপনের সমর্থকদের অনেকেই বলছেন, নির্বাচন আসলে নানা ধরনের গুজব ও গুঞ্জন ছড়ানো হয়। এসব গুঞ্জন ছড়িয়ে শাহআলম রূপনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। শাহআলম রূপন নির্বাচনে থাকবেন এবং ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল পর্যন্তই থাকবেন।

জানাগেছে, আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল। এছাড়াও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন মাইক প্রতীকে, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন চশমা প্রতীকে, বাবুল ওমর বাবু টিউবওয়েল প্রতীকে, মনির হোসেন উড়োজাহাজ প্রতীকে ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

স্থানীয় ভোটাররা মনে করছেন নির্বাচনে জনপ্রিয়তার দিক থেকে তালা প্রতীকের আবু নাইম ইকবাল সবচেয়ে বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। যদিও নির্বাচনের শুরুর দিকে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম থেকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু ওমরকে শুধুমাত্র সমর্থনের ঘোষণা দিলেও পরবর্তীতে ফোরামের বেশির ভাগ জনপ্রতিনিধিরা এখন কাজ করছেন ইকবালের পক্ষে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে বাবু ওমরের পক্ষে মৌখিক ঘোষণার কথা বলেছিল ফোরাম। কার্যত এখন ইকবালের পক্ষে জনপ্রতিনিধিরা। এরি মাঝে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে শাহআলম রূপন নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়ে আবু নাইম ইকবালকে সমর্থণের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। যদিও এমন গুঞ্জনের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হতে শাহআলম রূপনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জাতীয়পার্টি করেও এখন বিএনপি করা যায়: বললেন তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে এখন জাতীয়পার্টির রাজনীতি করেও বিএনপির রাজনীতি করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। নারায়ণগঞ্জের বেশকজন বিএনপির পদধারী নেতা যারা জাতীয়পার্টির রাজনীতিতে জড়িত ওইসব নেতাদের ইঙ্গিত করে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমুলক সভায় ২২ মার্চ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরের মজলুম মিলনায়তনে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম বুলবুল, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, শহর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জমসের আলী ঝন্টু সহ বেশকজন বিএনপি নেতা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয়পার্টির এমপি একেএম সেলিম ওসমানের সঙ্গে কাজ করছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিরোধীতা করে এসব নেতারা প্রকাশ্যে সরকারির দলের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেন।

জাতীয় নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী অভিযোগ করেছিলেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাশেম শকু তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে হুমকি দিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমাবেশ সিরাজদৌল্লা ক্লাব মাঠে করতে দেয়নি বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ ভুইয়া। নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে সমাবেশ করে মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার ঘোষণা দিয়েছিলেন মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করতে যত টাকা লাগবে হান্নান সরকার দিবেন। নির্বাচনে দিন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুুকুল বিএনপির ধানের শীষ প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এসএম আকরাম। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিম ওসমানের জনসভায় মিছিল নিয়ে যোগদান করেছিলেন মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহামুদা আক্তার।

মুুলত ওইসব বিষয়কে ইঙ্গিত করে তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, সেদিন নজরুল ইসলাম খানের সামনে বক্তব্যে বলেছিলাম আমি কর্মীদের পাশে আছি। আমি দায়িত্ব না নিলে, আমি না করলে প্রয়াত শ্রমিকদল নেতা নজরুলের শোকসভা হতোনা। আমি দায়িত্ব না নিলে নজরুল ইসলাম খান এখানে আসতো না। আমি দায়িত্ব না নিলে জাহাঙ্গীর কমিশনার যে নাকি ৫০/৬০টি মামলা নিয়ে মৃত্যুবরণ করলো তার শোকসভা হতো না। কেন করত না? কারন বিএনপির মধ্যে এখন আর ত্যাগ কথাটাই নাই।

তিনি কমিটি প্রসঙ্গে বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলা কমিটির ব্যাপারে আমি কোন কমিটি সাবমিট করিনি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি আমাকে বলেছিলেন এ কমিটি করতে। কিন্তু আমি বলেছিলাম ‘না’, আলোচনার মাধ্যমে কমিটি করতে চাই। আমি পত্র-পত্রিকায়ও বলেছি আলোচনার মাধ্যমে কমিটি হবে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে কমিটি না করে টাকাওয়ালা, ব্যবসায়ীরা, ব্যাংক লুটেরা যেভাবে বুদ্ধি দিয়েছে সেভাবে কমিটি করা হলো। আবার এ কমিটিতে জাতীয়পার্টির যারা বড় নেতা তারাও ছিল। আশ্চর্য বিষয় এখন জাতীয়পার্টি করেও বিএনপি করা যায়।

এ প্রসঙ্গে তিনি তার অতীত টেনে বলেন, আমি যখন ট্রেড ইউনিয়ন করি আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে শ্রমিক সংগঠন সিরিয়াসলি করি। এক জায়গায় গেলাম এক মালিকের ছেলে বলে আমি ট্রেড ইউনিয়ন করব। আমি বললাম আপনি করতে পারবেননা। ট্রেড ইউনিয়ন করে দুটি দল করা যায়না। এখন বিএনপি করে দুটি দল করা যায়। আমি তারেক রহমানকে পরিষ্কারভাবে বলেছিলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরও বলেছিলাম, আমি টকশোতেও বলি বিএনপি হলো আমাদের অস্থিত্বের প্রশ্ন, আমাদের রক্ত। আমাদের জীবন হলো বিএনপি। এ বিএনপি রক্ষা করার জন্য তিনটা শর্ত আছে, যুদ্ধে নামতে হলে আপনাকে সেনা বাহিনী বাছাই করতে হিবে। আমি তারেক রহমানকেও বলেছি, টকশোতে একথা বলি, পত্র-পত্রিকায়ও লিখি। ওয়ান ইলেভেন থেকে বিএনপি কোন শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেনি। বিএনপি যদি গত নির্বাচন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে তাহলে বিএনপি স্বর্ণ যুগে প্রবেশ করবে।

তিনি আরও বলেন, যেখানে যে অবস্থাতেই আমরা দলটা করছি। কিন্তু দলটা নষ্ট করে দিয়েছে ঢাকার কিছু কেন্দ্রীয় নেতা। তাই মনের দুঃখে এখন আর কথা বলতে ইচ্ছে করেনা। কিছু কেন্দ্রীয় নেতা কেউ প্লেনের টিকেট পাইয়া, কেউ মধু পাইয়া, কেউ যেভাবেই হোক কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝাইয়া, ভুল পরামর্শ দিয়া, তাবেদারী করে যাদের পক্ষে কাজ করলো তারা আজকে আমাদের দলের মধ্যে নাই। তারা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে পদত্যাগ করেছে। আবার জিজ্ঞাসা করলে বলে কেন্দ্রীয় পদ রাখছি। টাউটের একটা সীমা থাকা উচিত। টাউট করা, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা, দলের লোকদের সাথে বেঈমানী করার একটা সীমা থাকা উচিত। এসব নিয়ে মনের মধ্যে কষ্ট লাগে।

প্রস্তুতিমুলক সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সহ-সভাপতি মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সাগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুবায়েত হাসান সায়েম, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন প্রধান প্রমূখ।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালনে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসটি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিবস পালন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির টানা দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতি।

গত ১৯ মার্চ দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে এই কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতির জনকের পরিবারের নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম একরামুল হক।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এই কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতি ও সেক্রেটারি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আহাম্মদ ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা, যুগ্ম সাধারণ সাধারণ অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ মোল্লা, আপ্যায়ণ বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, লাইব্রেরি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুবাস বিশ্বাস, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন, সমাজ সেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাশেদ ভূঁইয়া, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে অ্যাডভোকেট হাসিব উল হাসান রনি, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট নুসরাত জাহান তানিয়া, অ্যাডভোকে মশিউর রহমান ছাড়াও সিনিয়র আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুদ উর রউফ, নারায়ণগঞ্জ আদালতের জিপি অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট নূর জাহান বেগম ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন সহ অন্যান্য আইনজীবীরা।

টাউটের একটা সীমা থাকা দরকার: তৈমূর আলম খন্দকার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, যেখানে যে অবস্থাতেই আমরা দলটা করছি। কিন্তু দলটা নষ্ট করে দিয়েছে ঢাকার কিছু কেন্দ্রীয় নেতা। তাই মনের দুঃখে এখন আর কথা বলতে ইচ্ছে করেনা। কিছু কেন্দ্রীয় নেতা কেউ প্লেনের টিকেট পাইয়া, কেউ মধু পাইয়া, কেউ যেভাবেই হোক কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝাইয়া, ভুল পরামর্শ দিয়া, তাবেদারী করে যাদের পক্ষে কাজ করলো তারা আজকে আমাদের দলের মধ্যে নাই। তারা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে পদত্যাগ করেছে। আবার জিজ্ঞাসা করলে বলে কেন্দ্রীয় পদ রাখছি। টাউটের একটা সীমা থাকা উচিত। টাউট করা, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা, দলের লোকদের সাথে বেঈমানী করার একটা সীমা থাকা উচিত। এসব নিয়ে মনের মধ্যে কষ্ট লাগে।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমুলক সভায় ২২ মার্চ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরের মজলুম মিলনায়তনে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

তৈমূর আলম খন্দকার আরও বলেন, সেদিন নজরুল ইসলাম খানের সামনে বক্তব্যে বলেছিলাম আমি কর্মীদের পাশে আছি। আমি দায়িত্ব না নিলে, আমি না করলে প্রয়াত শ্রমিকদল নেতা নজরুলের শোকসভা হতোনা। আমি দায়িত্ব না নিলে নজরুল ইসলাম খান এখানে আসতো না। আমি দায়িত্ব না নিলে জাহাঙ্গীর কমিশনার যে নাকি ৫০/৬০টি মামলা নিয়ে মৃত্যুবরণ করলো তার শোকসভা হতো না। কেন করত না? কারন বিএনপির মধ্যে এখন আর ত্যাগ কথাটাই নাই।

তিনি কমিটি প্রসঙ্গে বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলা কমিটির ব্যাপারে আমি কোন কমিটি সাবমিট করিনি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি আমাকে বলেছিলেন এ কমিটি করতে। কিন্তু আমি বলেছিলাম ‘না’, আলোচনার মাধ্যমে কমিটি করতে চাই। আমি পত্র-পত্রিকায়ও বলেছি আলোচনার মাধ্যমে কমিটি হবে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে কমিটি না করে টাকাওয়ালা, ব্যবসায়ীরা, ব্যাংক লুটেরা যেভাবে বুদ্ধি দিয়েছে সেভাবে কমিটি করা হলো। আবার এ কমিটিতে জাতীয়পার্টির যারা বড় নেতা তারাও ছিল। আশ্চর্য বিষয় এখন জাতীয়পার্টি করেও বিএনপি করা যায়।

এ প্রসঙ্গে তিনি তার অতীত টেনে বলেন, আমি যখন ট্রেড ইউনিয়ন করি আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে শ্রমিক সংগঠন সিরিয়াসলি করি। এক জায়গায় গেলাম এক মালিকের ছেলে বলে আমি ট্রেড ইউনিয়ন করব। আমি বললাম আপনি করতে পারবেননা। ট্রেড ইউনিয়ন করে দুটি দল করা যায়না। এখন বিএনপি করে দুটি দল করা যায়। আমি তারেক রহমানকে পরিষ্কারভাবে বলেছিলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরও বলেছিলাম, আমি টকশোতেও বলি বিএনপি হলো আমাদের অস্থিত্বের প্রশ্ন, আমাদের রক্ত। আমাদের জীবন হলো বিএনপি। এ বিএনপি রক্ষা করার জন্য তিনটা শর্ত আছে, যুদ্ধে নামতে হলে আপনাকে সেনা বাহিনী বাছাই করতে হিবে। আমি তারেক রহমানকেও বলেছি, টকশোতে একথা বলি, পত্র-পত্রিকায়ও লিখি। ওয়ান ইলেভেন থেকে বিএনপি কোন শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেনি। বিএনপি যদি গত নির্বাচন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে তাহলে বিএনপি স্বর্ণ যুগে প্রবেশ করবে।

প্রস্তুতিমুলক সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সহ-সভাপতি মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সাগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুবায়েত হাসান সায়েম, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন প্রধান প্রমূখ।

ঘনিষ্ঠ কর্মীরাই এখন মন্ত্রী গাজীর বিরুদ্ধে তুললেন অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

এক সময় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন তারা। প্রত্যেকেই আশা দেখেছিলেন মন্ত্রী তাদের সুযোগ করে দিবেন নির্বাচনে। কেউ কেউ আশা করেছিলেন কারো পক্ষে অবস্থান নিবেন। কিন্তু মন্ত্রী তা নিলেও যাদের পক্ষে অবস্থান নেননি মন্ত্রী সেই সাত প্রার্থী এখন অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তবে মন্ত্রীর সঙ্গে যার সপে নেউলে সম্পর্ক সেই শাহজাহান ভূঁইয়ার পক্ষেই কাজ করছেন তিনি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ ছাড়াও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তার সমর্থিত প্রার্থীদের বাহিরে অন্যান্য প্রার্থীর পক্ষে নেতাকর্মীরা কাজ করতে গিয়ে হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে এক জোট হয়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন সাত প্রার্থী।

নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৭ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে পাট ও বস্ত্র গাজী গোলাম দস্তগীরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন। ২৩ মার্চ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন। তবে যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন নির্বাচনে তারা সকলেই মন্ত্রী গাজীর অনুগামী নেতাকর্মী হিসেবে রাজনীতি করে আসছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীর অভিযোগ করেন- মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তসীর নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও আরও দুজন ভাইস চেয়ারম্যান পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন। ওই তিনজন প্রার্থীর বাহিরে অন্যান্য প্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করতে গেলে হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। এতে নির্বাচনী প্রচারণা বাধাগ্রস্থ করছেন মন্ত্রী গাজী। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের তাবিবুল কাদির তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, টিয়া পাখি প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, টিউবওয়েল প্রতীকে মোতাহের হোসেন নাদিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে নাসরিন আক্তার চম্পা, সেলাই মেশিন প্রতীকে হ্যাপী বেগম ও কলস প্রতীকের প্রার্থী শায়লা তাহমিন সিথী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা লিখিত অভিযোগে জানান, পাট ও বস্ত্রী মন্ত্রী গাজীর হস্তক্ষেপে নির্বাচনী প্রচারে ৩ জনের একটি প্যানেল করা হয়েছে। এই প্যানেলে তিন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসঁ প্রতীকের প্রার্থী ফেরদৌসী আক্তার নীলা রয়েছেন। এই তিন প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ ও মাইকিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে অন্য প্রার্থীরা কোন প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছেনা এবং প্রার্থীদের প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি-ধমকি, ভয়-ভীতি দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করা নেতাকর্মী সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে। প্রার্থীদের পোস্টার ছিড়ে ফেলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে আইনশঙ্খলা বাহিনী কোন সহযোগিতা করছেননা।

সংবাদ সম্মেলনে বেশকটি ছবি দেখিয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তমাল অভিযোগ করেন, তাঁর নির্বাচনী প্রচারে ৭টি মাইক ও মাইকের মেশিন ভেঙে ফেলে তাঁর গাড়ির চালককে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি তাঁর নিজের গাড়িতেও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আক্রমন করা হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান হারেজ অভিযোগ করেন, গত ১৫ মার্চ মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হামলা করেছে। নির্বাচনী সকল প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে।

প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূইয়া অভিযোগ করেন, তাকে মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সিথি অভিযোগ করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়াম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের অংশগ্রহণ উন্মুক্ত থাকলেও মন্ত্রী বিভিন্ন গোপন বৈঠক করে আমাদের বাধা দিচ্ছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি ওই তিন প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার ব্যাপারেও নির্দেশনা দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর মনোনিত তিন প্রার্থীর নাম ও প্রতীক খচিত প্রচারপত্র তুলে ধরেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জের পালপাড়ায় সম্পত্তি নিয়ে লড়াইয়ে চাচা-ভাতিজা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে রীতিমত লড়াইয়ে নেমেছেন চাচা-ভাতিজা। সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে আপন চাচার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত সাধারণ ডায়েরীর মাধ্যমে অভিযোগ ঠুকে দিয়েছেন ভাতিজা। ভাতিজা দাবি করছেন-তার বাবার অর্জিত সম্পত্তি দখলে নিতে তার চাচারা তাদের উপর জুলুম করছেন। এমন বিষয়টি আবার অস্বীকার করে চাচা বলেছেন পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে ভাতিজা নয় তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের পুরাতন পালপাড়া এলাকার শাহেদ আলীর ছেলে মো: সোহান তার আপন চাচা মো: বাবুল হোসেন, আবুল কাশেম ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

ভাতিজার অভিযোগে জানাগেছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে আপন চাচাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল ভাতিজা সোহানের। এমন বিরোধের জের ধরে তার চাচারা বিভিন্ন সময় সোহানকে প্রাণনাশের হুমকি দিতো। এমনকি তার বাবা শাহেদ আলীকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। গত ১৯ মার্চ শহরের ফকিরটুলা মসজিদের সামনে সাড়ে ৭টার দিকে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তারই চাচা বাবুল হোসেন, আবুল কাশেম, জাকিরসহ অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজন।

ভাতিজা সোহান আরও অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার বাবার একমাত্র ছেলে। আমার আর কোন ভাই নেই। ছোটবেলা থেকেই তারা আমাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। আমার বাবার খুব কষ্টে গড়া সম্পত্তির উপর আমার চাচাদের কু-নজর পড়েছে। তারা আমাকে ও আমার বাবাকে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা পূর্বের চেয়েও আরও হিংস্র রুপ ধারণ করেছে। কারণ আমাকে মেরে ফেলতে পারলে আমার ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করতে পারবে তারা। তারই জের ধরে গত ১৯ মার্চ আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। তাদের এই আচরণে আমি সইতে না পেরে আইনের আশ্রয় নেই এবং সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি। আমি চাই প্রশাসন যেন এই বিষয়টিকে একটু গুরুত্ব সহকারে দেখে।

তবে ভাতিজাকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে চাচা মো: বাবুল হোসেন বলেন, শাহেদ আলী তো আমার বড় ভাই এবং বাবাতুল্য। বাপ-দাদার সম্পত্তি নিয়ে তার সাথে একটু কথাবার্তা হয়েছে মাত্র। এখন তিনি যদি মনে করেন আমার নামে জিডি করবে তাহলে আমার কিছু করার নাই।’ অপর চাচা আবুল কাশেম বলেন, আমাদের নামে সাধারণ ডায়েরী করেছে আমার তো জানা নাই। সব বিষয়ে তো আর মোবাইলে বলা যায় না। আমি সময় করে আপনার সাথে দেখা করবো।

রূপগঞ্জে ভোট গ্রহণের আগেই পিছু হটলেন তারা, পরাজয় অভিসম্ভাবী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও নির্বাচনী প্রচারণায় পুরোদমে নামতে পারেনি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৭ জন প্রার্থী। মুলত এখানে মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের সমর্থিত ও দলীয় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আরও দুজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে পারেনি। বর্তমান পরিস্থিতি অনুমেয় তাদের পরাজয় এখন অভিসম্ভাবী। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই তারা নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাড়িয়েছে। নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় ব্যর্থ হয়ে তারা নারায়ণগঞ্জে এসে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী গাজীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। এখন তাদের নেতাকর্মীরা পরাজয়ের দিন গুণছেন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৭ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে পাট ও বস্ত্র গাজী গোলাম দস্তগীরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন। ২৩ মার্চ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন। তবে যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন নির্বাচনে তারা সকলেই মন্ত্রী গাজীর অনুগামী নেতাকর্মী হিসেবে রাজনীতি করে আসছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীর অভিযোগ করেন- মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তসীর নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও আরও দুজন ভাইস চেয়ারম্যান পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন। ওই তিনজন প্রার্থীর বাহিরে অন্যান্য প্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করতে গেলে হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। এতে নির্বাচনী প্রচারণা বাধাগ্রস্থ করছেন মন্ত্রী গাজী। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের তাবিবুল কাদির তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, টিয়া পাখি প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, টিউবওয়েল প্রতীকে মোতাহের হোসেন নাদিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে নাসরিন আক্তার চম্পা, সেলাই মেশিন প্রতীকে হ্যাপী বেগম ও কলস প্রতীকের প্রার্থী শায়লা তাহমিন সিথী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা লিখিত অভিযোগে জানান, পাট ও বস্ত্রী মন্ত্রী গাজীর হস্তক্ষেপে নির্বাচনী প্রচারে ৩ জনের একটি প্যানেল করা হয়েছে। এই প্যানেলে তিন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসঁ প্রতীকের প্রার্থী ফেরদৌসী আক্তার নীলা রয়েছেন। এই তিন প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ ও মাইকিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে অন্য প্রার্থীরা কোন প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছেনা এবং প্রার্থীদের প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি-ধমকি, ভয়-ভীতি দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করা নেতাকর্মী সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে। প্রার্থীদের পোস্টার ছিড়ে ফেলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে আইনশঙ্খলা বাহিনী কোন সহযোগিতা করছেননা।

সংবাদ সম্মেলনে বেশকটি ছবি দেখিয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তমাল অভিযোগ করেন, তাঁর নির্বাচনী প্রচারে ৭টি মাইক ও মাইকের মেশিন ভেঙে ফেলে তাঁর গাড়ির চালককে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি তাঁর নিজের গাড়িতেও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আক্রমন করা হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান হারেজ অভিযোগ করেন, গত ১৫ মার্চ মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হামলা করেছে। নির্বাচনী সকল প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূইয়া অভিযোগ করেন, তাকে মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সিথি অভিযোগ করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়াম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের অংশগ্রহণ উন্মুক্ত থাকলেও মন্ত্রী বিভিন্ন গোপন বৈঠক করে আমাদের বাধা দিচ্ছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি ওই তিন প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার ব্যাপারেও নির্দেশনা দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর মনোনিত তিন প্রার্থীর নাম ও প্রতীক খচিত প্রচারপত্র তুলে ধরেন তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ