নারায়ণগঞ্জে মন্ত্রী গাজীর বিরুদ্ধে ৭ প্রার্থীর অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৭ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে পাট ও বস্ত্র গাজী গোলাম দস্তগীরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন। ২৩ মার্চ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন। তবে যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন নির্বাচনে তারা সকলেই মন্ত্রী গাজীর অনুগামী নেতাকর্মী হিসেবে রাজনীতি করে আসছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীর অভিযোগ করেন- মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তসীর নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও আরও দুজন ভাইস চেয়ারম্যান পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন। ওই তিনজন প্রার্থীর বাহিরে অন্যান্য প্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করতে গেলে হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। এতে নির্বাচনী প্রচারণা বাধাগ্রস্থ করছেন মন্ত্রী গাজী। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের তাবিবুল কাদির তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, টিয়া পাখি প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, টিউবওয়েল প্রতীকে মোতাহের হোসেন নাদিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে নাসরিন আক্তার চম্পা, সেলাই মেশিন প্রতীকে হ্যাপী বেগম ও কলস প্রতীকের প্রার্থী শায়লা তাহমিন সিথী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা লিখিত অভিযোগে জানান, পাট ও বস্ত্রী মন্ত্রী গাজীর হস্তক্ষেপে নির্বাচনী প্রচারে ৩ জনের একটি প্যানেল করা হয়েছে। এই প্যানেলে তিন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসঁ প্রতীকের প্রার্থী ফেরদৌসী আক্তার নীলা রয়েছেন। এই তিন প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ ও মাইকিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে অন্য প্রার্থীরা কোন প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছেনা এবং প্রার্থীদের প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি-ধমকি, ভয়-ভীতি দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করা নেতাকর্মী সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে। প্রার্থীদের পোস্টার ছিড়ে ফেলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে আইনশঙ্খলা বাহিনী কোন সহযোগিতা করছেননা।

সংবাদ সম্মেলনে বেশকটি ছবি দেখিয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তমাল অভিযোগ করেন, তাঁর নির্বাচনী প্রচারে ৭টি মাইক ও মাইকের মেশিন ভেঙে ফেলে তাঁর গাড়ির চালককে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি তাঁর নিজের গাড়িতেও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আক্রমন করা হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান হারেজ অভিযোগ করেন, গত ১৫ মার্চ মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হামলা করেছে। নির্বাচনী সকল প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে।

প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূইয়া অভিযোগ করেন, তাকে মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সিথি অভিযোগ করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়াম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের অংশগ্রহণ উন্মুক্ত থাকলেও মন্ত্রী বিভিন্ন গোপন বৈঠক করে আমাদের বাধা দিচ্ছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি ওই তিন প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার ব্যাপারেও নির্দেশনা দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর মনোনিত তিন প্রার্থীর নাম ও প্রতীক খচিত প্রচারপত্র তুলে ধরেন তিনি।

অন্যদিকে প্রার্থীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান সংবাদকর্মীদের কাছে বলেন, ‘রূপগঞ্জের ৭ প্রার্থীর দেয়া লিখিত অভিযোগ কমিশনে পাঠানো হয়েছে। একটি ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেয়া হবে। হামলা-মামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

নৌকার পক্ষে আব্দুল হাই, প্রমাণ চাইলেন সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের ঘাটি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে মাঠে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই। ১৮ মার্চ সোমবার সোনারগাঁয়ে এক অনুষ্ঠানে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের ঘাটি সেটারও প্রমাণ দিতে বলেছেন তিনি। আগামী ৩১ মার্চ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রমান দিতে চান সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের ঘাটি। তবে এই নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির আওতাধীন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে লড়ছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেছেন, আমরা সবাই নৌকার কর্মী এবং নৌকাকে বিজয়ী করাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। জননেত্রী শেখ হাসিনা সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের ভুলে যাননি। তাই তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সোনারগাঁয়ে নৌকার প্রার্থী দিয়েছেন। নির্বাচনটি একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে নেত্রীকে নৌকার বিজয় উপহার দিতে চাই।

১৮ মার্চ সোমবার দুপুরে সোনারগাঁয়ে কাচপুুর শিল্পনগীর এলাকায় নৌকার প্রতীকের এক কর্মী সভায় এসব কথা বলেন আব্দুল হাই।

কর্মী সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরও বলেছেন, ৩১ মার্চ’ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করে আবারও আমাদের প্রমাণ করতে হবে সোনারগাঁয়ের মাটি সর্বদা নৌকার ঘাঁটি।

কর্মী সভায় কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সবুর খাঁনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামীলীগের আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ হোসাইন প্রমুখ।

হাত পা ভেঙ্গে গলায় ঝুঁলিয়ে দিবেন সোনারগাঁ থানা পুলিশের ওসি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচনে জাল ভোট দিতে আসলে তার হাত পা ভেঙ্গে গলায় ঝুঁলিয়ে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘আগের দিন রাতে কেউ যদি চিন্তা করেন জাল ভোট দিতে আসবেন। তবে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসবেন। তাদের আর বাড়ি ফিরে যেতে দেওয়া হবেনা। সোজা জেল হাজতে পাঠানো হবে।’

১৮ মার্চ সোমবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সভায় ওসি মনিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করলে যে প্রার্থীই যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। কোন প্রার্থী এলাকায় প্রতিপক্ষের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হতে পারবেন না। যদি কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটান তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে তার ভাই মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল, শাহজালাল মিয়া, বাবুল হোসেন বাবু ওমর, এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া, শাহ আলম রূপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার, মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, হেলেনা আক্তার ও ফরিদা পারভীন শ্যামলী চৌধুরী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) খোরশেদ আলম, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মো. জসিমউদ্দিন, সোনারগাঁ থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশ) আলমগীর হোসেন।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) খোরশেদ আলম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন জনগণকে উপহার দেওয়ার জন্য অঙ্গীকার করেছেন। আমরা তার দায়িত্ব পালন করছি।

ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমরের বিরুদ্ধে পোস্টার ছেড়া, অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা। ওসি অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

সোনারগাঁয়ে ঘোড়া নিয়ে মাঠে ৭ চেয়ারম্যান, এক মেয়র ও ওয়ার্ডে নির্বাচিত ৯০ জনপ্রতিনিধি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৩১ মার্চ। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সঙ্গে একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম। কালাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে দাড়িয়েছেন। তার পক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সোনারগাঁও পৌর মেয়র সহ উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত মেম্বারগণ সহ পৌরসভার কাউন্সিলররাও। এসব জনপ্রতিনিধিরা এখন ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এদের সঙ্গে পিছন থেকে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী কালামের পক্ষে সমর্থন জুগিয়েছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।

জানাগেছে, সোনারগাঁও উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা রয়েছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে ৭ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দুই জন জাতীয় পার্টি ও আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এসব চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৭ জন রয়েছেন নৌকার প্রতীকের বিরুদ্ধে অর্থাৎ কালামের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে। একই সঙ্গে সোনারগাঁও পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র সাদেকুর রহমানও কাজ করছেন কালামের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে। এমনকি পৌরসভা নির্বাচনে যিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন সেই অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বীও কাজ করছেন ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে।

মাহফুজুর রহমান কালামের পক্ষে কাজ করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান কালাম, নূরে আলম ও ফারুক ভূঁইয়াও। শুধু এসব চেয়ারম্যানরাই নয় তার পক্ষে কাজ করছেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানেরাও। যাদের মধ্যে জানপ্রাণ দিয়ে মাঠে নেমেছেন সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দীন সাবু, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব রহমান সরকার সহ অন্যান্য সাবেক চেয়ারম্যানরাও। ঘোড়া নিয়ে পুরোদমে মাঠে রয়েছেন বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুর রউফ, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হা-মীম সিকদার শিপলু, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ও কাচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর।

এসব জনপ্রতিনিধি ছাড়াও কালামের পক্ষে কাজ করছেন পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচিত ৯০ জন জনপ্রতিনিধি। সোনারগাঁয়ে ব্যাপক আলোচিত জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম। এই ফোরাম থেকে কালামকেই প্রার্থী হিসেবে সমর্থন ঘোষণা করা হয়। এই ফোরামের সভাপতি স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও সেক্রেটারি হিসেবে রয়েছেন চেয়ারম্যান জহিরুল হক। এসব পর্যবেক্ষনে দেখা যায় এসব জনপ্রতিনিধিরা যখন নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তখন মাঠে নৌকার প্রচারে বেশ প্রভাব পড়েছে। সেই সঙ্গে সোনারগাঁয়ে হাসনাত পরিবারের পরিবার কেন্দ্রীক রাজনীতি থেকে নেতাকর্মীরাও মুক্তি চায়। যে কারনে স্থানীয় আওয়ামীলীগের বিরাট অংশ এখন প্রকাশ্যেই নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কালামের পক্ষে কাজ করছেন।

বন্দরে ইয়াবা উদ্ধার, ৩ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অভিযান চালিয়ে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১’শ ৩০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ১৭ মার্চ রবিবার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মাদক ব্যবসায়ীরা হলো- বন্দর থানার মদনপুর আন্দিরপাড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল, ছালেনগর এলাকার ছোবহান মিয়ার ছেলে সজিব ও একই এলাকার মাছুম মিয়ার ছেলে হৃদয়।

জানাগেছে, রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণ?গঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি পুলিশের এসআই আতাউর রহমান আফাদ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মদনপুর নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া ডিগ্রী কলেজের সামনে থেকে মাদক ব্যবসায়ী রাসেলকে ১’শ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

অপরদিকে একই রাতে বন্দর ফাঁড়ীর এএসআই রাশিদুল ইসলাম শাহীমসজিদ খালপাড় থেকে ৩০পিছ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী সজিব ও হৃদয়কে আটক করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের সোমবার দুপুরেই নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করেছে বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে কেক কাটা ও মিলাদ মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। ১৭ মার্চ রবিবার রাতে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের কার্যালয়ে এ মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্থ্যতা কামনা করে দোয়া করা হয়।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক মাহমুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মাহাবুব চৌধুরী, কৃষকলীগের সভাপতি রহমত উল্লাহ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, কার্য্যকরী সদস্য লিটন চৌধুরী, মুশফিকুর রহমান সবুজ, মোশারফ হোসেন, জহিরুল ইসলাম ও সবুজ জনি প্রমূখ।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করেছে বন্দরের নব উদ্যোগ যুব সংঘ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নবউদ্যোগ যুব সংঘের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা, আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ মার্চ রবিবার রাতে বন্দর থানার ঘারমোড়া এলাকায় নব উদ্যোগ যুব সংঘের কার্যালয়ে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের উপদেষ্টা ও দক্ষিণ ঘারমোড়া পাকা জুম্মা জামে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির পক্ষে দোয়ায় অংশ নেন মোঃ আলমাছ মিয়া, হাজী কিবরিয়া মাষ্টার, হাজী আশেক মাহমুদ, আনিছ উদ্দিন লিখন, শহিদুল্লাহ মিয়া, পিয়ার মোহাম্মদ ও চরঘারমোড়া পঞ্চায়েত কমিটির কার্যকরী সদস্য আবুল কালাম।

এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহীন তাহেরী সিনহ ছাড়াও আয়োজক কমিটির মধ্যে উপস্থিত সংগঠনটির সভাপতি মোঃশাহজালাল, সাধারণ সম্পাদক সবুজ মিয়া, কোষাধ্যক্ষ আলতা মাসুল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোমেন, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান আলামিন, সদস্য দিদার মিয়া, মোঃরাসেল, শাহ আলম, মোঃ শাহাদাত হোসেন, আব্দুস সালাম বাবু, হারেছ মোল্লা, মাসুদ, জব্বর মিয়া, মোঃহাসান, অলি আহমদ ও আহমেদ টিটু প্রমূখ।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করলো বন্দরের বিশ্বনবী (সাঃ) আলিম মাদরাসা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বিশ্বনবী (সাঃ) ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ মার্চ রবিবার সকালে থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিশ্বনবী ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার হলরুমে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশগ্রহণ করেন মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সরদার আবু তালেব মিয়া ও কমিটির সকল সদস্য ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। দোয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনাসহ তার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করা হয়।

সাকির মুক্তিপণ চাওয়া আসামী কিভাবে খালাস পায়? নাজমুল আলম সজলের প্রশ্ন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে শিশু সাদমান সাকির মুক্তিপণ চাওয়া আসামী কিভাবে খালাস পায় সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন শিশুটি নিখোঁজের ১০ মাস পর কেন তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে বক্তব্য দিচ্ছেন নিখোঁজের বাবা ওমর খালেদ এপন। এমন প্রশ্ন রেখে সাংবাদিকদের প্রতি তিনি অনুরোধ রেখে বলেছেন সঠিক সংবাদ প্রকাশ করতে এবং নিখোঁজ শিশুর মুল ঘটনা উদঘাটনে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রেখেছেন।

শিশু সাদমান সাকি নিখোঁজের বিষয়ে গত ১৬ মার্চ শনিবার এক মানববন্ধনে নিখোঁজের বাবা সৈয়দ ওমর খালেদ এপন তার বক্তব্যে কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলকে জড়িয়ে বক্তব্য রাখা ও তা পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নাজমুল আলম সজল। তিনি দাবি করেছেন সাকির বাবার সঙ্গে তার কোন ধরনের শত্রুতা নেই। তিনি আরও প্রশ্ন রেখেছেন, নিখোঁজের পর মামলায় অভিযোগে সজলের নাম আনা হয়নি। তিনজন গ্রেপ্তার হওয়া আসামীও সজলের নাম বলেনি। তিনজন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনেও সজলের নাম আসেনি। কিন্তু ১০ মাস পর কেন সাকির বাবা এপন মানববন্ধন করে সজলের নাম বলছেন সে বিষয়েও তিনি প্রশ্ন রেখেছেন।

১৮মার্চ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল বলেন, ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক দেড়টায় এপনের ছেলে সাকি তার বাসার সামনে তার ভাতিজা তাসিমের সাথে খেলাধুলা করছিল। ওই সময় সাকির বাবা এপন বাসায় ছিলেন। ওই সময় এপনের ভাই সৈয়দ সাদিম আহমেদ তার ছেলে তাসিমকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় তার ছেলেও বাসায় দিয়ে যায়। আনুমানিক দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের সময় বাসা হতে বের হয়ে তার ছেলেকে খোজাখুজি করে। পরবর্তীতে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

তিনি জানান, এজাহার পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। মামলায় দুজন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রস্তম আলী ও এসআই শামীম হোসেন এবং পরবর্তীতে পিবিআই এর কর্মকর্তা আশরাফুল আলম তদন্ত করেন। তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে উল্ল্যেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সন্ধিগ্ধ আসামী জিল্লুর রহমান, সোহেল আহমেদ অররা ওও আবদুর রহমান তপনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে সাক্ষ্য প্রমান না পাওয়া উক্ত মামলায় গত বছরের ১ জুন চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল বলেন, সাকির বাবা এপন তার দায়েরকৃত অভিযোদে কোথাও আমার নাম বা আমার সংশ্লিষ্টতা উল্ল্যেখ করে নাই। এমনকি সন্দিগ্ধ ৩ জন আসামী যাদেরকে আদালত হতে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল তারাও কোথাও আমার সংশ্লিষ্টতা উল্ল্যেখ করে নাই। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল আহমেদকে অররা রিমান্ড চাওয়ার সময় তার ফরোয়াডিংয়ে উল্লেখ করা হয় যে, উক্ত আসামী ২০১৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে অভিযোগকারী ওমর খালেদ এপনের মোবাইলে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে এবং ওইদিন আসামীর দেয়া মোবাইলে সাড়ে ৪ হাজার টাকা বিকাশেও পাঠায় এপন। কিন্তু পরবর্তীতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়ায় খালাস পায়।

নাজমুল আলম সজল বলেন, এখন আমার প্রশ্ন হলো আসামী ধরার পর টাকা চাওয়ার পরও এবং আসামীর নম্বরে টাকা বিকাশ করার পরেও কিভাবে উক্ত আসামীরা খালাস পায়? নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পূর্বে মামলাটি আরো অধিক তদন্তের জন্য পিবিআই এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই এর উপ-পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল আলম আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং মোট ৭ জন সাক্ষীর জবানবন্ধি লিপিবদ্ধ করে এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে গত বছরের ১২ জুন।

নাজমুল আলম সজল বলেন, চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিলের দীর্ঘ ৪ মাস পর নিখোঁজ শিশুর বাবা এপন আমার বিরুদ্ধে অযাচিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য এবং আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে একটি মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে তার ছেলে সাকির বিষয়ে আমাকে দায়ী করে। প্রথম মানববন্ধনে সাকির বাবা এপন তার বক্তব্যে বলেছিল যে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াতে তাকে নাকি আমি হুমকি প্রদান করেছিলাম এবং নির্বাচন থেকে সড়ে না দাড়িয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তার ছেলে সাকিকে আমি অপহরণ করি।

এমন অভিযোগের বিষয়ে সজল বলেন, ১৬নং ওয়ার্ডে ৭ জন প্রতিদ্বন্ধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। নির্বাচনে আমি ৪ হাজার ৮’শ ৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হই। যেখানে ওমর খালেদ এপন ভোট প্রাপ্ত হয় ১২০টি এবং তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তার সাথে কিভাবে আমার শুত্রুতা হয় বোধগম্য নয়। তার সাথে যদি আমার শুত্রুতাই থাকে তাহলে তার অভিযোগের প্রথমেই তো আমার নাম থাকার কথা কিন্তু ১০ মাস পরে কেন?

সাকির বাবা এপনের ওই বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি সদর মডেল থানায় লিখিত দেন বলেও দাবি করেন সজল এবং ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর এপন প্রথম মানববন্ধন করে। মানববন্ধনের পর একজন সাংবাদিকের সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তার কথাও যার অডিও রেকর্ড তিনি সাংবাদিকদের শোনান। সংবাদ সম্মেলনে অহেতুক হয়রানির চেষ্টা ও সুনাম ক্ষুন্ন না করতে সাংবাদিকদের প্রতি সঠিক সংবাদ প্রকাশের জন্য অনুরোধ জানান জনপ্রিয় এই কাউন্সিলর।

জানাগেছে, গত ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে ঘরের বাহিরে খেলতে গিয়ে দেওভোগ কাঠের দোতলা বড় মসজিদ এলাকা থেকে শিশু সাদমান সাকি নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর ১৩ দিন পর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিখোঁজের বাবা সৈয়দ ওমর খালেদ এপন একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

এর আগে গত ১৬ মার্চ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এক নিখোঁজ সাকির উদ্ধার চেয়ে এক মানববন্ধনে সৈয়দ ওমর খালেদ এপন বক্তব্য দেন তার ছেলে নিখোঁজের পিছনে শামীম ওসমানের লোকজন জড়িত। কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের নাম উল্লেখ্য করে এপন দাবি করেন সজলরাই তার ছেলেকে অপহরণ করেছে। তারা শামীম ওসমানের লোক হওয়ায় পুুলিশ তাদের ধরছেনা।

তবে ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রফিউর রাব্বী, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সেক্রেটারি আবদুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদির সহ বেশকজন যারা মুুলত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর ঘনিষ্ঠ লোকজন হিসেবে পরিচিত। আর শামীম ওসমানের সঙ্গে মেয়র আইভীর রাজনৈতিক দ্বন্ধ রয়েছে। যেখানে নাজমুল আলম সজল রাজনীতি করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে।

নিখোঁজের বাবার ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ১৭ মার্চ রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে প্রতিবাদ করেছে এসোসিয়েশন। প্রতিবাদ সভায় হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কবির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ডের জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন কাউন্সিলর। কিন্তু ১৭ মার্চ রবিবার স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সাদমান সাকি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে মানববন্ধনে নিখোঁজের বাবা এপনের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।

এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানির বড় ভাই নাজমুল আলম সজল। এর আগে নাজমুল আলম সজল শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে শেখ সাফায়েত আলম সানি সারাদেশের মধ্যে তিনিই একজন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে কোন ধরনের বিতর্কের বাহিরে থেকে দায়িত্ব শেষ করেছেন। তাদের আরেক ভাই মাহাবুবুর রহমান চঞ্চল ছাত্রলীগে দায়িত্বশীল নেতা ছিলেন। আওয়ামীলীগের একট রাজনৈতিক পরিবার। এই তিন কৃতি রাজনীতিকের বাবাও একজন আওয়ামীলীগ নেতা ও জনসেবক ছিলেন। বিতর্কের বাহিরে থেকেই তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছেন। যেখানে নারায়ণগঞ্জে ছাত্র সমাজের আইডল হিসেবে খ্যাতি পেযেছেন সাফায়েত আলম সানি।

সোনারগাঁয়ে তিন বখাটের কারাদণ্ড, ইভটিজিং প্রতিরোধে চলবে অভিযান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল কলেজের সামনে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অপরাধে তিন বখাটেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। ১৮ মার্চ সোমবার দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তিন বখাটেকে কারাদণ্ড দেন।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান, সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের সামনে ছাত্রীদের ইভটিজিং করার দায়ে সোমবার সকালে বখাটে শাহীন, শিমুল ও আবদুল্লাহকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বখাটে শাহীনকে ৩মাস, শিমুলকে ৪ মাস ও আবদুল্লাহকে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্ত বখাটে শাহীন সোনারগাঁ পৌর এলাকার দিঘীরপাড় গ্রামের ছোবহান মিয়ার ছেলে, শিমুল পৌর এলাকার আমিনপুর গ্রামের মাইনউদ্দিনের ছেলে এবং আব্দুল্লাহ দিঘীরপাড় গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, সোনারগাঁয়ে ইভটিজিং প্রতিরোধে নিয়মিত পুলিশের এই অভিযান চলবে। সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে বখাটেরা অঙ্গভঙ্গি করে ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছে। তাদের প্রতিরোধ করতে আইনের আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ