ফতুল্লায় প্রবাস-ফেরত স্বামীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে এনজিও কর্মকর্তা!

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় স্ত্রী সন্তান থাকা সত্বেও প্রবাস ফেরত যুবকের স্ত্রী অন্তরাকে (২০) নিয়ে পালিয়ে গেছে পল্লী মঙ্গল নামক এনজিও কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন। স্ত্রীকে ফেরত পেতে বিভিন্ন জায়গায় হন্য হয়ে খুজে বেড়াচ্ছে প্রবাসী ফেরত বাবুল মিয়া। ৬ জানুয়ারী সোমবার প্রবাসী ফেরত বাবুল মিয়া বাদী হয়ে মোফাজ্জলের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানাশ লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বক্তাবলীর ছোট মধ্যনগর এলাকার বাবুল মিয়া সৌদি আরব থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী অন্তরা পল্লী মঙ্গল এনজিও বক্তাবলী শাখা থেকে এক লাখ টাকা লোন নেয়। সেই সুবাদে এনজিও অফিসের শাখার ম্যানেজার মোফাজ্জলের পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ে তাদের মধ্যে মোবাইলে এবং সামনে সামনি কথাবার্তা হয়। অন্তরার স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মোফাজ্জল। স্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের খবর পেয়ে গত তিন মাসে আগে দেশে ফিরে আসে বাবুল। পরে স্ত্রীর বিষয় সকল খোজ খবর নিয়ে মোফাজ্জলকে চাপ সৃষ্টি করার পর সে ওয়াদাবদ্ধ হয় আর কোনদিন অন্তরার সাথে সম্পর্ক সহ কোন ধরনের যোগাযোগ রাখবে না। কিন্তু গত ২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার স্বামীর অনুপস্থিতিতে মোফাজ্জল কৌশলে অন্তরাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাবুল বাসায় এসে দেখে তার স্ত্রী ঘরে নাই এবং ঘরে থাকা ৪০/৪৫ হাজার টাকা এবং স্বর্ণালংকার নাই। পরে বাবু্ল স্ত্রীকে খুজতে তার শশুর বাড়িতে গিয়ে দেখে সেখানে নাই। পরে এনজিও অফিস পঞ্চবটি শাখায় এসে মোফাজ্জলের খবর নিতে আসলে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে, অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে পল্লী মঙ্গল নামক এনজিও থেকে মোফাজ্জল হোসেনকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। এটা নিশ্চিত করেছে পল্লী মঙ্গল এনজিও’র হেড অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার খোরশেদ আলম।

অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই জয়নাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পর মোফাজ্জলের খোজে তার কর্মস্থল এবং তার বাসা পঞ্চবটির শান্তিনগরে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফতুল্লায় ১০ ইটভাটাকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান পরিচালনা করে ১০ ইটভাটাকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৬ জানুয়ারী সোমবার দিনব্যাপী বক্তাবলী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী সচিব মো. রেজওয়ান-উল-ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকার নিউ ন্যাশনাল ব্রিকের দুটি ভাটাকে দুই লাখ টাকা, চর বক্তাবলী পূর্ব গোপালনগর এলাকার মেসার্স তাজ ব্রিকস ম্যানুফেকচারিংকে এক লাখ, মেসার্স নজরুল ব্রিকসকে দুই লাখ, মেসার্স খাদিজা ব্রিকসকে দুই লাখ, মেসার্স নিজাম ব্রিকসকে এক লাখ, মেসার্স বিছমিল্লাহ ব্রিকসকে ২ লাখ, সান ব্রিকসকে দুই লাখ, মেসার্স এ এস বি ব্রিকসকে দুই লাখ ও মেসার্স বোখারি ব্রিকসকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক এএইচএম রাশেদ ও সহকারী পরিচালক মো. মোবারক হোসেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা: শামীম ওসমান সহ ১৫৬ জন আসামি

ডেস্ক রিপোর্ট

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জে মো. সাব্বির (২০) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে প্রধান আসামি করে ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শামীম ওসমানপুত্র অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতিসহ নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যক্তিরা।

এই মামলায় আসামি করতে দেখা গেছে, ঢাকা, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, ঝালকাঠি, মেহেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর এবং কুমিল্লা জেলার মানুষকে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জুলাই দুপুর ২টার দিকে ছাত্র-জনতা চিটাগাংরোডে আন্দোলন করার সময় আসামিরা রিভলবার, পিস্তল, কাটা রাইফেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে উপস্থিত হোন। এরপর ১-১৫ আসামির নির্দেশে ও ১৬-৬৫ নম্বর আসামির অর্থায়নে ও ৬৬-৮০ নম্বর আসামির পরিকল্পনায় আন্দোলনরত মানুষের ওপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে। সেসময় সাব্বির গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে আন্দোলনকারীরা নারায়ণগঞ্জ খানাপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, কোর্টের নির্দেশে আমরা মামলা নিয়েছি। আসামি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। এই বিষয়ে বাদী বলতে পারবেন।

রূপগঞ্জে তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহর থেকে রানী (২৯) নামে এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ জানুয়ারী সোমবার সকালে উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ৫ নম্বর সেক্টরের গুতিয়াবো এলাকা থেকে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে। পরে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে তার পরিচয় জানা যায়।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নিহত রানী রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের মো. কাশেমের মেয়ে।

নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, সোমবার সকাল ৮ টার দিকে পূর্বাচল উপশহরের ৫ নম্বর সেক্টরের গুতিয়াবো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অজ্ঞাত এক তরুণীর গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তাদের একজন পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় লাশের পাশ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, গত রাতে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলেই তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে গেছে।

লাশ শনাক্তের বিষয়ে পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ নিয়ে তরুণীর পরিচয় শনাক্ত হয়। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা থানায় আসছেন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা হবে। দ্রুতই আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারবো বলে আশা করছি।’

নারায়ণগঞ্জে কম্বল বিতরণ করে গেলেন সেই ডাক্তার সাবরিনা চৌধুরী

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন চিকিৎসক ও বন্দিনী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। ৫ জানুয়ারী শনিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন সহ বিভিন্ন স্থানে কম্বল বিতরণ করা হয়।

জানা গেছে, দিনব্যাপী রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ও রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া, ২ নং রেল গেইট, ডিআইটি, মণ্ডলপাড়া কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন এলাকায় ৫শ কম্বল বিতরণ করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনে গরীব- অসহায় ও ছিন্নমূল শিশুরা ঘুমিয়ে আছে। এ সময় ইয়াসিন নামে এক শিশুকে প্লাস্টিকের তৈরি বস্তা মুড়িয়ে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় শিশুটির গায়ে কম্বল মুরিয়ে দেন ডা. সাবরিনা। এতে শিশুটি বেশ খুশি হয়ে যায়।

কম্বল বিতরণ শেষে ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘শীতকালে শীতের কাপড় না থাকলে কতটুকু কষ্ট হয় সেটা আমি জানি। আমার জীবনে কষ্টকর সময় পার করে এসেছি, ঠান্ডায় কেমন লাগে আমি তা জানি। কাশিমপুরে অনেক ঠান্ডা পড়ে।

তিনি আরও বলেন, আমি যেহেতু মানবাধিকার সংগঠনের সাথে কাজ করি। আমি মনে করি, আজ তাদের জন্য যেটুকু করেছি, এটা মানুষের অধিকার। এটা কোন দান নয়। আমি সংগঠনের পক্ষ থেকে সেই অধিকার নিশ্চিত করেছি। আগামীতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প সহ অনেক কিছু করতে চাই।

বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান এম. ইব্রাহীম পাটোয়ারী বলেন, বন্দিনী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ডা. সাবরিনার অর্থায়নে ৫শ কম্বল বিতরণ করা হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কম্বল বিতরণ শেষে নারায়ণগঞ্জে কম্বল বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সচিব সেলিম আহমেদ ডালিম বলেন, গরীব- অসহায় ব্যক্তিদের খুঁজে খুঁজে ডা. সাবরিনা কম্বল দিয়েছে। এবারের কার্যক্রম শেষে তিনি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতায় তার পাশে আছি।

এ সময় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান এম. ইব্রাহীম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সচিব সেলিম আহমেদ ডালিম সহ সংগঠনের আরও অনেক নেতৃবৃন্দরা।

শাওন হত্যা মামলায় এসআই কনক ৫ দিনের রিমাণ্ডে

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওন হত্যা মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। ৬ জানুয়ারী সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুমের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, শাওন হত্যা মামলায় সাবেক এস আই কনককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ২০২২ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মিছিল নিয়ে বের হলে তৎকালীন এসপি রাসেলের নির্দেশে পুলিশ আমাদের উপর নির্বিচারে গুলি করে। আমাদের মারধর করে। সেদিন এসআই কনকের গুলিতে আমাদের শাওন মৃত্যুবরণ করে। সেই মামলার আসামি কনককে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা ৭দিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম, আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এই শাওন হত্যার বিচার অবশ্যই হতে হবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাওন হত্যা মামলার ১৬ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমান কনক ওরফে মাহফুজুল হককে ঢাকা এয়ারপোর্টের ১৩ এপিবিএন থেকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেলা ও মহানগর বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে তৎকালীন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান কনকের হাতে থাকা ‘চাইনিজ রাইফেল’ থেকে ছোড়া গুলি যুবদল কর্মী শাওনের শরীরে বিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় বিএনপির পাঁচ হাজার অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করে নিহতের ভাই মিলন মামলা করেছিলেন। সেই মামলা প্রসঙ্গে মিলন দাবি করেন, ‘এই মামলার বিষয়ে তিনি বা তার পরিবারের কেউ কিছু জানে না। পুলিশ তাদের কাছে একটি সাদা কাগজে সই নিয়েছে।’

এ ঘটনার দুই বছর পর ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর শাওনের বড় ভাই মো. মিলন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এস আই কনক সহ সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্যসহ (এমপি) ৫২ জনকে আসামি করা হয়।

বিএনপির সংস্কারপন্থীদের উস্কানীতে মান্নানের বিরুদ্ধে মহিলালীগ নেত্রীর মিথ্যাচার!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আওয়ামীলীগ সরকার আমলের সাড়ে ১৫ বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। হামলা মামলা জেল জুলুমের নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন মান্নান। কিন্তু ৫ আগস্টের বিএনপির সংস্কারপন্থীরা সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে মাঠে নেমেছেন। মাঠে নেমেই রাজপথের ত্যাগী নেতা মান্নানকে কোনঠাসা করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন সংস্কারপন্থীরা। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মান্নানের বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছেন একজন বিতর্কিত মহিলা লীগ নেত্রীকে। সংস্কারপন্থীদের উস্কানীতে মান্নানের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যাচার করেছেন ওই নারী।

৫ জানুয়ারী রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে একটি ৪তলা ভবন দখলের অভিযোগ করেছে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার মমতাজ বেগম। লিখিত বক্তব্যে সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ মেম্বার দাবি করেন, তিনি তার জমিতে ৪তলা ভবন নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সকারের পতনের পর আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার ছেলে খায়রুল ইসলাম সজিবের নেতৃত্বে জুয়েল, রিপন, আলী নূর, খোরসেদ ও বাবুসহ অন্যান্যরা গিয়ে তার বাড়ি দখল করে নেয়।

এদিকে জানাগেছে, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আজহারুল ইসলাম মান্নানের জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয় এলাকায় দূর্ধর্ষ নারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা মহিলা লীগ নেত্রী মমতাজ মেম্বার। মান্নান ও তার আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে একের পর এক মামলা হামলা করে দূরে রাখা হয়। মান্নানের জায়গায় জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ করে মমতাজ বেগম বসবাস করে আসছিল। আদালতে এ নিয়ে মান্নান মামলা করলে সেখানে মামলায় মান্নান জয়ী হোন এবং পরবর্তীতে আপিলেও মান্নান জমির মালিকানা ফিরে পান। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে জায়গা ছাড়তে চাননি মমতাজ বেগম। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলে এলাকাবাসীর সহায়তায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাই মান্নানের জমি উদ্ধার করে তাকে বুঝিয়ে দেন।

কিন্তু এ নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় নেমেছেন বিএনপির দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী সংস্কারপন্থীরা। তারা মান্নানকে বিতর্কিত করতে অপচেষ্টায় নেমেছেন। সেই লক্ষ্যেই প্রথমে থানা পুলিশ ও পরবর্তীতে সেনা ক্যাম্পেও মহিলাকে পাঠায় সংস্কারপন্থীরা। সেখানে যাবতীয় কাগজপত্র দাখিল করেন মান্নান। মান্নানের কাগজপত্র বৈধ থাকায় প্রশাসন এ নিযে বাড়াবাড়ি করেনি। কিন্তু এরপরেও থেমে নেই সংস্কারপন্থীরা। তারা ওই মহিলা লীগ নেত্রীকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন মান্নানের বিরুদ্ধে।

তবে এ বিষয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের সরাসরি সরল উক্তি যে, এটি মুলত আমাদের জায়গা ছিলো। এই মহিলা ও তার স্বামী মিলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা এটা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিলো। আমরা বিভিন্ন হামলা মামলার কারণে আমাদের জমিতে যেতে পারি নাই। আমরা আমাদের জায়গা পুনরুদ্ধার করার পর দলের হাইকমান্ডকেও জানিয়েছি, জমির কাগজপত্র ও বিভিন্ন প্রমানাদিও তাদের কাছে পাঠিয়েছি। একই জিনিস আমরা ডিসি সাহেবকেও দিয়েছি, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও দিয়েছি। আমরা আমাদের জমি পুনরুদ্ধার করেছি, কারো জমি দখল করিনি।

জেলা বিএনপির নেতৃত্ব বাছাইয়ে তারেক রহমানের ‘সার্চ কমিটি’!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সহসাই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছেনা এটা প্রায় নিশ্চিত। একইভাবে জেলার ৪ মোড়ল বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম ও মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়ার পছন্দসই তাদের প্রেসক্রিপশনে জমা দেয়া খসড়া কমিটির অনুমোদনও পাচ্ছেনা। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে যোগ্য একাধিক নেতার সমারোহ থাকলেও জেলা বিএনপির কর্ণধার অর্থাৎ আহ্বায়ক কিংবা সভাপতি পদে নেতৃত্ব দেয়ার মত নেতার সংকট তৈরি হয়েছে নারায়ণগঞ্জে।

এদিকে বিশ্বস্থ সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃত্ব নির্ধারণে গোপনে ‘সার্চ কমিটি’ গঠন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একটি খসড়া কমিটি তারেক রহমানের হাতে জমা দিয়ে সুপারিশ করবে। একই সঙ্গে তারেক রহমান তার ব্যক্তিগত গোয়েন্দা দিয়ে তথ্য সংগ্রহের সাথে সার্চ কমিটির সুপারিশ মিলিয়ে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় বেশকজন নেতার সঙ্গে আলোচনা শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করবেন।

তারেক রহমানের গঠিত সার্চ কমিটিতে কারা রয়েছেন এমনটা কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি। যদিও অনেকেই জানিয়েছেন, যেভাবে গোপনে জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে ঠিক একইভাবে তারেক রহমান সার্চ কমিটির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ ও খসড়া কমিটি গ্রহণ করবেন। সার্চ কমিটির দেয়া সুপারিশের কারণও ব্যাখ্যা করা থাকবে। খুব দ্রুত সার্চ কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটির সুপারিশ করে তারেক রহমানের হাতে জমা দিলে কমিটি দ্রুত ঘোষণা করা হবে। যদিও সার্চ কমিটির উপর পুরোপুরি তারেক রহমান নির্ভর করবেন না।

এদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদে নেতৃত্বের সংকটের কারনে আবারো ঘুরেফিরে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নাম চলে আসছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের অনেকেই চাচ্ছেন তৈমূর আলমের হাতে আবারো নির্বাচনকালীন কমিটি তুলে দিতে। এর কারন হিসেবে নেতারা বলছেন, এক সময় জেলা বিএনপির সভাপতি পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম। তিনি এখন বার্ধক্যের কারনে দায়িত্ব পরিচালনা করতে পারবেন না। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের ব্যর্থতার কারনেই তার কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় বিএনপি। যদিও কাজী মনির নির্বাচনের কারনে দায়িত্ব নিতেও নারাজ। একইভাবে মারাত্মক দোষে দুষ্ট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। যে কারণে কমিটি সদ্য বিলুপ্ত করা হলো।

এরপর আলোচনায় আছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। তাকে জেলা বিএনপির সভাপতি কিংবা আহ্বায়ক পদে রাখতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বিমত রয়েছে নানা কারনে। অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে আবারো সদস্য সচিব পদে বসানোর চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তাকে আহ্বায়ক পদে এখনই যোগ্য মনে করছেন না কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ ছাড়াও গেল কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে দিয়ে কমিটি আনার চেষ্টা করছেন দিপু ভুঁইয়া। এভাবে জুনিয়র কমিটি দেয়ার চিন্তায় নেই কেন্দ্রীয় বিএনপি। কেন্দ্রীয় বিএনপি ও তারেক রহমানের পছন্দ আহ্বায়ক পদে সিনিয়র কোনো নেতার সঙ্গে সদস্য সচিব পদে মধ্যমসারির নেতাকে বসানো। নজরুল ইসলাম আজাদ চাচ্ছেন মামুন মাহামুদ ও মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে দিয়ে কমিটি। কিন্তু দিপু ভুঁইয়া, মাহামুদুর রহমান সুমন কিংবা আজাদের একক পছন্দে তাদের পকেট কমিটি দিতে নারাজ তারেক রহমান।

সেক্রেটারি পদে আরো আলোচনায় সামনে আছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। এরা আবার শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলমের পছন্দের তালিকায় তাদের নাম চলে গেছে লন্ডনে। সদস্য সচিব পদে আসতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন।

এই যখন অবস্থা তখন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদে কাকে দায়িত্ব দিবেন তারেক রহমান? ব্যর্থতার দায়ে বিলুপ্ত কমিটির নেতা কাজী মনির ও মামুন মাহামুদের উপর সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন কমিটি দেয়ার প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারছেন না তারেক রহমান। যার মধ্যে কমিটি নিতে কাজী মনিরের রয়েছে অনীহা। সদস্য সচিব পদে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকলেও আহ্বায়ক পদে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে। এসব কারনে আবারো ঘুরেফিরে তৈমূর আলম খন্দকারের নাম সামনে চলে আসছে।

ইতিমধ্যে তৈমূর আলম মিডিয়াতে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘দলের প্রয়োজনে বিএনপি ডাকলে পাশে থাকবো’। এই মুহুর্তে জেলা বিএনপির দায়িত্ব আবারো তৈমূর আলমের উপর তুলে দিলে তিনি নিবেন সেটার আভাসও দিয়েছেন। সামনের নির্বাচনে জেলার ৫টি সংসদীয় আসন এলাকায় বিজয় নিশ্চিত করতে তৈমূর আলমের মত একজন মুরুব্বী জেলা বিএনপিতে প্রয়োজনীয়তা এখনই দেখা দিয়েছে। তারেক রহমানের সার্চ কমিটি তৈমূর আলমের নাম প্রস্তাব করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

দুইদিন পূর্বেও রূপগঞ্জে বিএনপির ওলামাদলের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৈমূর আলম। তৈমূর আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হলেও সেই মামলার বাদী বাবুল সর্দার চাখারীকেই উল্টো যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমাণ্ডে চেয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা কেন্দ্রীয় বিএনপি। জেলা বিএনপির ওই কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্তের কমিটির সুপারিশে তাদের কমিটি বিলুপ্ত করা হয় বলে জানানো হয়।

সোনারগাঁও বারদী ইউনিয়ন কৃষক দলের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়ন কৃষকদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ জানুয়ারী সোমবার রাতে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন করেন উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ফজলুল হক মেম্বার ও সদস্য সচিব বাবুল হোসেন বিজয়।

তোফাজ্জল হোসেনকে সভাপতি, ফরিদ মিয়াকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক, আবু তৈয়বকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বিল্লাল হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়াও কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে আছেন ওহাব মিয়া, শাহিন মৃধা, রফিকুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, হানিফা, নবী হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আমির মুন্সী, কামাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মনছুর আলী, রফিক মিয়া, হাতেম আলী, ছাইদুল ইসলাম, নূর উদ্দীন, জিয়ারুল ইসলামকে নির্বাচিত করা হয়।

সোনারগাঁও পিরোজপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ জানুয়ারী সোমবার রাতে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন করেন উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ফজলুল হক মেম্বার ও সদস্য সচিব বাবুল হোসেন বিজয়।

কমিটিতে দেলোয়ার বেপারীকে সভাপতি, হাবিবুর রহমান হাবিবকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, জোনাব সিকদার শাকিলকে সাধারণ সম্পাদক, আমির হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, আনোয়ার হেসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়াও কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে আছেন শাহজালাল মিয়া, সাঈদ হাসান ছুল্লু, জহিরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, জাকির হোসেন, নুরউদ্দীন মিয়া, সামসুজ্জামান সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নিজামউদ্দীন প্রধান, সাইফুল ইসলাম, সুমন মাহামুদ, রাশেদ মিয়াকে নির্বাচিত করা হয়।

 

সর্বশেষ সংবাদ