নমিনেশন ভিত্তিক রাজনীতিক দুই তরুণ বিএনপি নেতা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলায় সাঁজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু সেই খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জের দুই তরুণ রাজনীতিক। তারা মুলত মাঠের নয় নমিনেশন ভিত্তিক রাজনীতি করেন সেটাও তারা প্রমাণ করেছেন। এর মধ্যে একজন আবার গিয়েছেন রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে। সঙ্গে সরকারি দলের এমপিও।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিক মনোনয়ন বাছাইয়ে দুজনই বিএনপির টিকেট পান। কিন্তু চূড়ান্ত মনোনয়নে বাদ যান একজন। একজন নির্বাচনে মাঠেই দাড়াতে পারেননি। আরেকজনের হুদিস পাওয়া যাচ্ছেনা বিএনপির রাজনীতিতে। একজন আড়াইহাজারে আন্দোলনের নামে ফটোসেশন করলেও আরেকজন তাতেও নারাজ। তাকে কোন কর্মকান্ডেই দেখা যায়নি। তবে তিনি পারদর্শ তার চাটুকার কর্মীদের দিয়ে বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটিতে বড় বড় পদে আসীন করতে।

নেতাকর্মীরা বলছেন, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরাই চলে গেছেন পর্দার আড়ালে। কেউ কেউ আবার বিএনপির ভরাডুবির পর মাঠে না থাকলেও দেখা যায় দলীয় নেতাদের বিপদে ছুটে যাচ্ছেন তাদের পাশে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতি থেকে প্রায় হারিয়ে গেছেন। কেউ কেউ বলছেন দিপু ভূঁইয়া আর রাজনীতি করবেন না। তিনি তার অঢেল ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। যে কারনে তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ তেমন একটা রাখছেন না।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসন থেকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন নজরুল ইসলাম আজাদ। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা তাকে চূড়ান্তভাবে মনোনিত করলেও নির্বাচনের মাঠে ছিল তিনি চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। যার ফলে সারা দেশের মধ্যে এ নজরুল ইসলাম আজাদ পেয়েছিলেন সবচেয়ে লজ্জাজনক ভোট। নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে। নির্বাচনের পর বিএনপির একাধিক কর্মসূচী পালন হলেও ছিলেন না তিনি কোন কর্মসূচীতে। এমন কি গত মাসে জেলা বিএনপির শ্রমিকদলের নেতা নজরুল ইসলামের জানাযাতেও আসেননি এ ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া নেতা।

এছাড়াও জানাগেছে, নির্বাচনের পর থেকে আজাদ তার অনুসারি নেতাকর্মীরাও তার সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। নির্বাচনের পর নেতাকর্মীদের নিয়ে বসেননি তিনি। এ নিয়ে নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশ না শর্তে তার অনুগামী এক কর্মী বলেন, আমরা ভুল করেছি এমন নির্বাচনমুখী নেতার রাজনীতি করে। আর আমরা তার নির্বাচন করে এখন বাড়িঘর ছাড়া। কিন্তু রাখছেন না আমাদের কোন খোঁজখবর। এছাড়া নির্বাচনের আগেই তিনি জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন একাধিকবার। নির্বাচনে মনোনয়নে ছিল তার বিশাল নাটকীয়তা। যার ফলও পেয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। তার পক্ষে ছিল না বিএনপি নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু একজন নির্বাচন কেন্দ্রীক রাজনৈতিক হিসেবে পরিচিত। ধন কুবের এই নেতা কখনই বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলেন না। নিজের গাঁ বাঁজিয়ে দলে টিকে রয়েছেন। কমিটি ও তার কর্মীদের জন্য পদপদবী কেনা ছাড়া তার আর কোন রাজনীতি নাই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে প্রাথমিকভাবে তাকে মনোনিত করা হলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন থেকে বাদ পড়ে যান দিপু ভুঁইয়া। এ আসনে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। দিপু ভূইয়া নির্বাচনের আগেও বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে যেমন ছিলেননা তেমনি নির্বাচনের পর আরও তিনি উধাও হয়ে গেছেন। কেউ কেউ বলেছেন তিনি আর রাজনীতি করবেন না। নির্বাচনে পর থেকে বিএনপির কোন কর্মসূচি তো দূরের কথা বিএনপির কোন নেতার মৃত্যুর সংবাদ শুনেও তিনি জানাযাতেও যান না। কদিন আগেও শ্রমিকদল ও মৎস্যজীবী দলের দুই নেতা মারা গেলেও তারা আসেননি।

ভোটের হিসেব নয়, কোন প্রার্থী ক্ষমতাধর সেই আলোচনায় সরগরম চায়ের দোকান

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

একটা সময় নির্বাচন আসলে এলাকার অলিগলির চায়ের দোকানগুলোতে প্রার্থীর ভোটের হিসেব নিয়ে চলতো সরগরম আলোচনা। তবে এখন আর প্রার্থীদের ভোটের হিসেব নিয়ে আলোচনা হয়না। এখন হয় কোন প্রার্থী বেশি ক্ষমতাধর শক্তিধর যিনি কেন্দ্র দখল করে ভোট বাক্স ভরে জয়ী হতে পারবেন। কোন প্রার্থীর পক্ষে থানার ওসি, কার পক্ষে এসপি কিংবা কোন প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় এমপি- এসব আলোচনায়ই এখন চায়ের দোকানগুলোতে সরগরম অবস্থা। কার জনপ্রিয়তা বেশি, কে ভাল কিংবা কে মন্ধ সেই হিসেবে আর এখন ভোটারদের আলোচনার মাঝে ওঠে আসেনা। যদিও ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেছেন, ‘প্রিভিয়াস কোন নির্বাচনের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে না।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ মার্চ। ইতিমধ্যে ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার এই নির্বাচনে ২৬ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে যারা ইতিমধ্যে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন যার যার প্রতীক নিয়ে। যার মধ্যে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় দুই ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচি হয়েছেন। সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে আওয়ামীলীগের শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থীও নাই। নির্বাচনে নাই দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি। এখানে এই নির্বাচনটি শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের নির্বাচন। ফলে নির্বাচনটিই আমেজহীন।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির শোচনীয় হারের পরপরই সামনে চলে আসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও উপজেলা নির্বাচনে নাই নারায়ণগিঞ্জ বিএনপি। বিএনপি না থাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে। অনেকটা আওয়ামীলীগ বনাম আওয়ামীলীগের নৌকার লড়াই। বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় নারায়ণগঞ্জের সবগুলো উপজেলা পরিষদই নির্বাচন হয়ে পড়েছে আমেজহীন। তেমন একটা উৎসব দেখা যাচ্ছেনা। ভোটারদের মাঝেও নেই তেমন একটা সাড়া। জনগণের মাঝে ঠুকে গেছে নির্বাচনে জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয়না। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গেলেও তা নিয়েও ভোটারদের মাঝে আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা।

অতীত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, নির্বাচন এলেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। মিছিল-মিটিং আর মাইকের আওয়াজে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে আওয়াজ তুলে নিজের পছন্দের প্রার্থীর গুণগান। এখন চায়ের দোকানে ভোটের হিসেবে নিয়ে হয়না। এখন আলোচনা হয় শক্তিশালী কার বেশি। কে কেন্দ্র দখল করে বাক্স ভরতে পারবেন। এবার নারায়ণগঞ্জের তিনটি উপজেলাই শুধুমাত্র ক্ষমতাসীনদল আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে। যদিও রূপগঞ্জে এনপিপির একজন প্রার্থী থাকলেও তা নিয়ে জনগণের কোন আগ্রহ নেই।

অন্যদিকে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বলছেন, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে না থাকায় আড়াইহাজারে নির্বাচনী আমেজ নেই বলেই চলে। বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ভোটের মাঠের উত্তাপ নেই। বিএনপির আরেক সমর্থক বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। আর উপজেলা নির্বাচনে তো বিএনপি অংশগ্রহণই করছে না। আগামী ৩১ তারিখ ভোট দিতে যাবনা।

পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি, ছাড় পাবেন না: বন্দর থানার ওসি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে যান পরিবহন সেক্টরের শ্রমিক নেতারা। তবে ওইসব শ্রমিক নেতাদের তিনি পাল্টা হুংকার দিয়ে বুঝিয়েছেন ফুল দিয়ে এসে ওসির সঙ্গে ভাও দিতে আসলেও অন্যায়কারী শ্রমিক নেতা যদি চাঁদাবাজি করে তাহলে ছাড় পাবেন না।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিস রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমের বিনিময়ে যারা বেঁচে থাকতে চায় শুধু তাদেরকেই শ্রমিক বলেনা, শ্রমিকের আরো অনেক সংজ্ঞা রয়েছে। যারা শ্রমিকবান্ধব নেতা তাদের আমি সব সময় পছন্দ করি। আইন ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে শ্রমিক নেতারা কাজ করলে তাদের আমি স্যালুট জানাই।

১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মদনগঞ্জ আন্তঃজিলা ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতির পক্ষে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানাতে আসলে শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন বন্দর থানার ওসি।

এয়াড়াও ওসি আরো বলেন, আইন সবার জন্য সমান। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। বন্দরে কেউ মাদক ব্যবসা কিংবা পরিবহন চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকলে ছাড় পাবেননা। বন্দরকে আমি পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপূর্ণ থানায় পরিনত করতে বদ্ধপরিকর।

বন্দরের মদনগঞ্জ আন্তঃজিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েলের নেতৃত্বে ফুলেল অভ্যর্থনাকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ণের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, মিজানুর রহমান, মিন্টু মিয়া, মোঃ নিয়ন সহ সমিতির সদস্যরা।

সোনারগাঁয়ে শক্তিশালী, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে নড়বড়ে বিদ্রোহী প্রার্থী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তিনটি উপজেলা পরিষদেই আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী তিন প্রার্থী। যাদের মধ্যে সোনারগাঁয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম বেশ শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী দুই প্রার্থী নড়বড়ে। তবে আড়াইহাজারে শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাড়িয়েছেন। যদিও সেখানে স্থানীয় এমপির ভাগিনা ইকবাল হোসেন মোল্লা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে কেউ কেউ ইকবাল হোসেন মোল্লাকেও নৌকার প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকারকে শক্তিশালী মনে করছেন না।

এদিকে এই নির্বাচনে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দুই জন ভাইস চেয়ারম্যান। অন্যদিকে বাকি উপজেলায় বাকি পদগুলোতে ২৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন। প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন তিন জন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের চেয়েও মোটামুটি শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থীরাও। যার মধ্যে সোনারগাঁয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম বেশ শক্তিশালী প্রার্থী। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ২৬জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্ধ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসার।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী ১২ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্ধ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পাওয়া মোশারফ হোসেনকে তার দলীয় প্রতীক নৌকা তুলে দেন নির্বাচন কর্মকর্তা। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম নেন ঘোড়া প্রতীক। ফলে আগামী ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নৌকা প্রতীক ও ঘোড়া প্রতীকে হবে নির্বাচনী লড়াই।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা শিক্ষানুরাগী আবু নাইম ইকবাল পেয়েছেন তালা প্রতীক। বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন নিয়েছেন মাইক প্রতীক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন চশমা প্রতীক, বাবুল ওমর বাবু পেয়েছেন টিউবওয়েল, মনির হোসেন পেয়েছেন উড়োজাহাজ ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া পেয়েছেন বই প্রতীক।

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা আক্তার পেয়েছেন পদ্ম ফুল, হেলেনা আক্তার পেয়েছেন কলস, ফরিদা পারভীন শ্যামলী চৌধুরী পেয়েছেন ফুটবল ও মাহমুদা আক্তার ফেন্সী পেয়েছেন হাঁস প্রতীক।

তবে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল, শাহআলম রূপন ও বাবুল হোসেন ওমর তিনজনই চেয়েছিলেন তালা প্রতীক। তাদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় তারা লটারিতে যান। লটারিতে আবু নাইম ইকবাল তালা প্রতীক পান এবং প্রথম হন বাবুল হোসেন ওমর ও দ্বিতীয় হন শাহআলম রূপন।

একইভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলেনা আক্তার, ফরিদা পারভীন ও মাহামুদা আক্তার ফেন্সী চান কলস প্রতীক। তাদের মধ্যেও কোন সমঝোতা না হওয়ায় লটারিতে কলস প্রতীক পান হেলেনা আক্তার। তবে আলোচনায় থাকা দুই প্রার্থী ফেন্সী ও শ্যামলী চৌধুরী লটারিতে হেরে যান। পরে দ্বিতীয় হওয়া ফেন্সী নেন হাঁস প্রতীক ও শ্যামলী চৌধুরী নেন ফুটবল প্রতীক।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রূপগঞ্জের ১২ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি শাহজাহান ভূ্ইঁয়া। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তাবিবুল কাদির তমাল পেয়েছেন আনারস প্রতীক ও এনপিপি এর প্রার্থী এস আলম পেয়েছেন আম প্রতীক।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া নিয়েছেন টিয়া পাখি প্রতীক, মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ভূঁইয়া পেয়েছেন চশমা প্রতীক, মোতাহার হোসেন নাদিম পেয়েছেন টিউবওয়েল, আবদুল আলীম সরকার পেয়েছেন বই প্রতীক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ পেয়েছেন তালা প্রতীক।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নীলা পেয়েছেন হাঁস প্রতীক, নাসরিন আক্তার চম্পা পেয়েছেন ফটুবল প্রতীক, সায়লা তাহসিন সিথি পেয়েছেন কলস প্রতীক ও হ্যাপী বেগম পেয়েছেন সেলাই মেশিন প্রতীক।

তবে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া ও মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ভূ্ইঁয়া দুজনেই চশমা প্রতীক মনোনয়ন পত্রে চেয়েছিলেন। কিন্তু উদারতা দেখিয়ে স্বপন ভূঁইয়া চশমা প্রতীক ছেড়ে দিয়ে তিনি টিয়া পাখি প্রতীক নেন। যদিও নাসরিন আক্তার চম্পা ও সায়লা তাহসিন সিথি দুজনই চেয়েছিলেন কলস প্রতীক। পরে তাদের মধ্যে লটারিতে ভাগ্য নির্ধারণ করা হলে সিথি কলস প্রতীক পান এবং চম্পা ফুটবল প্রতীক নেন।

অন্যদিকে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি ইকবাল হোসেন মোল্লা আনারস প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সেলিম রেজা তাদের প্রতীক বরাদ্ধ দেন। একই দিন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রফিকুল ইসলাম ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে ঝর্ণা রহমান বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন।

নির্বাচনের ট্রেডিশন চেঞ্জ হবে: বললেন নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন কর্মকর্তা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেছেন, প্রিভিয়াস কোন নির্বাচনের মত এই উপজেলা নির্বাচন হবে না। নির্বাচনের ট্রেডিশন চেঞ্জ হবে। সরকার চায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোন ধরনের প্রভাববিস্তার চলবে না। কেউ সে রকম চেষ্টা করলেও আমরা ছাড় দিব না। তাই সকলের সহযোগীতা কামনা করি। আমরা কঠোর হতে চাইনা।

১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ দেয়ার আগে প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি এর আগে বলেন, আমরা কোন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ পেলে আপনাদের শোকজ করব। আপনারা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করলে তা যদি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার আমরা দেখতে পাই তাহলেও আপনাদের শোকজ করব। সুতরাং আপনারা আমাদের যদি ব্যস্ত রাখতে চান তাহলে আপনাদেরও আমরা ব্যস্ত রাখবো। আমরা চাই নির্বাচনটি সুষ্ঠ সুন্দর হোক। আপনারা প্রতীক পাওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রস্তাবিত প্রতীক দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন আমরা এবার ছেড়ে দিলাম। কিন্তু প্রতীক বরাদ্ধের পর কোন ধরনের আচরণবিধি লংঘন করলে ছাড় দেয়া হবে না।

এদিকে জানাগেছে, আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দুই জন ভাইস চেয়ারম্যান। অন্যদিকে বাকি উপজেলায় বাকি পদগুলোতে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন। প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন তিন জন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের চেয়েও মোটামুটি শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থীরাও। যার মধ্যে সোনারগাঁয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম বেশ শক্তিশালী প্রার্থী। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ২৬ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্ধ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসার।

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী ১২ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্ধ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পাওয়া মোশারফ হোসেনকে তার দলীয় প্রতীক নৌকা তুলে দেন নির্বাচন কর্মকর্তা। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম নেন ঘোড়া প্রতীক। ফলে আগামী ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নৌকা প্রতীক ও ঘোড়া প্রতীকে হবে নির্বাচনী লড়াই।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা শিক্ষানুরাগী আবু নাইম ইকবাল পেয়েছেন তালা প্রতীক। বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন নিয়েছেন মাইক প্রতীক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন চশমা প্রতীক, বাবুল ওমর বাবু পেয়েছেন টিউবওয়েল, মনির হোসেন পেয়েছেন উড়োজাহাজ ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া পেয়েছেন বই প্রতীক।

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা আক্তার পেয়েছেন পদ্ম ফুল, হেলেনা আক্তার পেয়েছেন কলস, ফরিদা পারভীন শ্যামলী চৌধুরী পেয়েছেন ফুটবল ও মাহমুদা আক্তার ফেন্সী পেয়েছেন হাঁস প্রতীক।

তবে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল, শাহআলম রূপন ও বাবুল হোসেন ওমর তিনজনই চেয়েছিলেন তালা প্রতীক। তাদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় তারা লটারিতে যান। লটারিতে আবু নাইম ইকবাল তালা প্রতীক পান এবং প্রথম হন বাবুল হোসেন ওমর ও দ্বিতীয় হন শাহআলম রূপন।

একইভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলেনা আক্তার, ফরিদা পারভীন ও মাহামুদা আক্তার ফেন্সী চান কলস প্রতীক। তাদের মধ্যেও কোন সমঝোতা না হওয়ায় লটারিতে কলস প্রতীক পান হেলেনা আক্তার। তবে আলোচনায় থাকা দুই প্রার্থী ফেন্সী ও শ্যামলী চৌধুরী লটারিতে হেরে যান। পরে দ্বিতীয় হওয়া ফেন্সী নেন হাঁস প্রতীক ও শ্যামলী চৌধুরী নেন ফুটবল প্রতীক।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রূপগঞ্জের ১২ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি শাহজাহান ভূ্ইঁয়া। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তাবিবুল কাদির তমাল পেয়েছেন আনারস প্রতীক ও এনপিপি এর প্রার্থী এস আলম পেয়েছেন আম প্রতীক।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া নিয়েছেন টিয়া পাখি প্রতীক, মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ভূঁইয়া পেয়েছেন চশমা প্রতীক, মোতাহার হোসেন নাদিম পেয়েছেন টিউবওয়েল, আবদুল আলীম সরকার পেয়েছেন বই প্রতীক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ পেয়েছেন তালা প্রতীক।

এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নীলা পেয়েছেন হাঁস প্রতীক, নাসরিন আক্তার চম্পা পেয়েছেন ফটুবল প্রতীক, সায়লা তাসনিম সিথি পেয়েছেন কলস প্রতীক ও হ্যাপী বেগম পেয়েছেন সেলাই মেশিন প্রতীক।

তবে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া ও মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ভূ্ইঁয়া দুজনেই চশমা প্রতীক মনোনয়ন পত্রে চেয়েছিলেন। কিন্তু উদারতা দেখিয়ে স্বপন ভূঁইয়া চশমা প্রতীক ছেড়ে দিয়ে তিনি টিয়া পাখি প্রতীক নেন। যদিও নাসরিন আক্তার চম্পা ও সায়লা তাসনিম সিথি দুজনই চেয়েছিলেন কলস প্রতীক। পরে তাদের মধ্যে লটারিতে ভাগ্য নির্ধারণ করা হলে সিথি কলস প্রতীক পান এবং চম্পা ফুটবল প্রতীক নেন।

অন্যদিকে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি ইকবাল হোসেন মোল্লা আনারস প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সেলিম রেজা তাদের প্রতীক বরাদ্ধ দেন। একই দিন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রফিকুল ইসলাম ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে ঝর্ণা রহমান বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন।

নৌকার প্রার্থী মোশারফের হাতে হাসনাত পরিবারের ভবিষৎ রাজনীতি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে এক সময় হাসনাত পরিবার মানেই মনে করা হতো আওয়ামীলীগ পরিবার। সেই পরিবারের রাজনীতির মাধ্যমে উত্থান ঘটেছে মাহফুজুর রহমান কালাম। সেই কালামের হাতেই হাসনাত পরিবারের রাজনীতি ইতি টানবে যদি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালামের কাছে পরাজিত হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন। ফলে হাসনাত পরিবারের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে মোশারফ হোসেনের হাতে এখন নৌকা। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বেশ জোরে সোড়ে ধাক্কা খেয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠতে এবার আওয়ামীলীগ তাদের সুযোগ দিয়েছে। সেই সুযোগে এখন বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী কালাম। কালামের জয় হলেই হাসনাত পরিবারের রাজনীতি এখানেই শেষ শায়ান্নে চলে যাবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন মাহফুজুর রহমান কালাম। তিনি সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন আওয়ামীলীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকে লড়বেন। তিনি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। আপাতত নির্বাচনী পরিস্থিতি বলছে দুজনের মধ্যে বেশ ভোটের লড়াই হবে। কারো জয়ের সম্ভাবনা কম নয়।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী ১২ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্ধ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পাওয়া মোশারফ হোসেনকে তার দলীয় প্রতীক নৌকা তুলে দেন নির্বাচন কর্মকর্তা। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম নেন ঘোড়া প্রতীক। ফলে আগামী ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নৌকা প্রতীক ও ঘোড়া প্রতীকে হবে নির্বাচনী লড়াই।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা শিক্ষানুরাগী আবু নাইম ইকবাল পেয়েছেন তালা প্রতীক। বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন নিয়েছেন মাইক প্রতীক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন চশমা প্রতীক, বাবুল ওমর বাবু পেয়েছেন টিউবওয়েল, মনির হোসেন পেয়েছেন উড়োজাহাজ ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া পেয়েছেন বই প্রতীক।

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা আক্তার পেয়েছেন পদ্ম ফুল, হেলেনা আক্তার পেয়েছেন কলস, ফরিদা পারভীন শ্যামলী চৌধুরী পেয়েছেন ফুটবল ও মাহমুদা আক্তার ফেন্সী পেয়েছেন হাঁস প্রতীক।

তবে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল, শাহআলম রূপন ও বাবুল হোসেন ওমর তিনজনই চেয়েছিলেন তালা প্রতীক। তাদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় তারা লটারিতে যান। লটারিতে আবু নাইম ইকবাল তালা প্রতীক পান এবং প্রথম হন বাবুল হোসেন ওমর ও দ্বিতীয় হন শাহআলম রূপন।

একইভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলেনা আক্তার, ফরিদা পারভীন ও মাহামুদা আক্তার ফেন্সী চান কলম প্রতীক। তাদের মধ্যেও কোন সমঝোতা না হওয়ায় লটারিতে কলস প্রতীক পান হেলেনা আক্তার। তবে আলোচনায় থাকা দুই প্রার্থী ফেন্সী ও শ্যামলী চৌধুরী লটারিতে হেরে যান। পরে দ্বিতীয় হওয়া ফেন্সী নেন হাঁস প্রতীক ও শ্যামলী চৌধুরী নেন ফুটবল প্রতীক।

কবি মিতা প্রধানের ‘জলে ভেজা কাব্য’ এর মোড়ক উন্মোচন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের গুণী লেখক মিতা প্রধানের ‘জলে ভেজা কাব্য’ এর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে। নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে একই স্কুলের গর্বিত ছাত্রী মিতা প্রধানের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও প্রতিনিধি সহ ছাত্র-ছাত্রীরা।

বন্দরের মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদরুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিচালনা কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি মো. কবির হোসাইন, হাবিবুর রহমান, মো. আবু ইউসুফ ভূইয়া, ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, শিক্ষক প্রতিনিধি হাসিনা আক্তার, মো. দুলাল মিয়া, মাহফুজা আক্তার ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক প্রতিনিধি মোসাম্মৎ রাহিমা বেগম।

অতিথি বক্তারা বলেন, কবি মিতা প্রধান আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন গর্বিত ছাত্রী। এই ছাত্রী একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। আগামীর পথে সময়ের সাথে আলোর সন্ধানে মিতা প্রধান এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশায় মিতার উত্তর উত্তর সফলতা কামনা করছি। পরিশেষে কবি মিতা প্রধান সকলের উদ্দেশ্যে আন্তরিক ভালোবাসায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে একটি স্বরচিত লেখা পাঠ করেন এবং বলেন, আমি মাটি ও মানুষের কবি হতে চাই। সকলের হৃদয়ে স্থান করে আমি আমার সত্ত্বাকে আরও জাগ্রত করে তুলতে চাই। সেই জন্য সকলের দোয়া ও আন্তরিক সহযোগিতা চাই।

সোনারগাঁও বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর জামিন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির ১০ নেতাকর্মী সোনারগাঁও থানার একটি নাশকতার মামলায় জামিন পেয়েছেন। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে এ জামিন পান। এর আগে তারা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন।

আদালত সূত্রে জানাগেছে, জামিন পেয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সাবেক সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হারুণ অর রশীদ মিঠু, পৌর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপন সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জে তিনটি উপজেলা নির্বাচনে ২৬জন প্রার্থীর যার যে মার্কা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দুই জন ভাইস চেয়ারম্যান। অন্যদিকে বাকি উপজেলায় বাকি পদগুলোতে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন। প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন তিন জন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের চেয়েও মোটামুটি শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থীরাও। যার মধ্যে সোনারগাঁয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম বেশ শক্তিশালী প্রার্থী। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ২৬ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্ধ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসার।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী ১২ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্ধ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পাওয়া মোশারফ হোসেনকে তার দলীয় প্রতীক নৌকা তুলে দেন নির্বাচন কর্মকর্তা। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম নেন ঘোড়া প্রতীক। ফলে আগামী ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নৌকা প্রতীক ও ঘোড়া প্রতীকে হবে নির্বাচনী লড়াই।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা শিক্ষানুরাগী আবু নাইম ইকবাল পেয়েছেন তালা প্রতীক। বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন নিয়েছেন মাইক প্রতীক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন চশমা প্রতীক, বাবুল ওমর বাবু পেয়েছেন টিউবওয়েল, মনির হোসেন পেয়েছেন উড়োজাহাজ ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া পেয়েছেন বই প্রতীক।

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা আক্তার পেয়েছেন পদ্ম ফুল, হেলেনা আক্তার পেয়েছেন কলস, ফরিদা পারভীন শ্যামলী চৌধুরী পেয়েছেন ফুটবল ও মাহমুদা আক্তার ফেন্সী পেয়েছেন হাঁস প্রতীক।

তবে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল, শাহআলম রূপন ও বাবুল হোসেন ওমর তিনজনই চেয়েছিলেন তালা প্রতীক। তাদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় তারা লটারিতে যান। লটারিতে আবু নাইম ইকবাল তালা প্রতীক পান এবং প্রথম হন বাবুল হোসেন ওমর ও দ্বিতীয় হন শাহআলম রূপন।

একইভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলেনা আক্তার, ফরিদা পারভীন ও মাহামুদা আক্তার ফেন্সী চান কলস প্রতীক। তাদের মধ্যেও কোন সমঝোতা না হওয়ায় লটারিতে কলস প্রতীক পান হেলেনা আক্তার। তবে আলোচনায় থাকা দুই প্রার্থী ফেন্সী ও শ্যামলী চৌধুরী লটারিতে হেরে যান। পরে দ্বিতীয় হওয়া ফেন্সী নেন হাঁস প্রতীক ও শ্যামলী চৌধুরী নেন ফুটবল প্রতীক।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রূপগঞ্জের ১২ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি শাহজাহান ভূ্ইঁয়া। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তাবিবুল কাদির তমাল পেয়েছেন আনারস প্রতীক ও এনপিপি এর প্রার্থী এস আলম পেয়েছেন আম প্রতীক।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া নিয়েছেন টিয়া পাখি প্রতীক, মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ভূঁইয়া পেয়েছেন চশমা প্রতীক, মোতাহার হোসেন নাদিম পেয়েছেন টিউবওয়েল, আবদুল আলীম সরকার পেয়েছেন বই প্রতীক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ পেয়েছেন তালা প্রতীক।

এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নীলা পেয়েছেন হাঁস প্রতীক, নাসরিন আক্তার চম্পা পেয়েছেন ফটুবল প্রতীক, সায়লা তাহসিন সিথি পেয়েছেন কলস প্রতীক ও হ্যাপী বেগম পেয়েছেন সেলাই মেশিন প্রতীক।

তবে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া ও মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ভূ্ইঁয়া দুজনেই চশমা প্রতীক মনোনয়ন পত্রে চেয়েছিলেন। কিন্তু উদারতা দেখিয়ে স্বপন ভূঁইয়া চশমা প্রতীক ছেড়ে দিয়ে তিনি টিয়া পাখি প্রতীক নেন। যদিও নাসরিন আক্তার চম্পা ও সায়লা তাহসিন সিথি দুজনই চেয়েছিলেন কলস প্রতীক। পরে তাদের মধ্যে লটারিতে ভাগ্য নির্ধারণ করা হলে সিথি কলস প্রতীক পান এবং চম্পা ফুটবল প্রতীক নেন।

অন্যদিকে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি ইকবাল হোসেন মোল্লা আনারস প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সেলিম রেজা তাদের প্রতীক বরাদ্ধ দেন। একই দিন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রফিকুল ইসলাম ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে ঝর্ণা রহমান বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে মাদক বিরোধী সমাবেশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ, জেলা কারাগার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেল সুপার সুভাস চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ রাব্বী মিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক শামসুল আলম ও গণপূর্ত অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন। এতে প্রায় এক হাজার ৮০০ কারাবন্দী অংশগ্রহণ করে।

কারাবন্দীদের মাদকদ্রব্য সেবন, বহন, পাচার ও ব্যবসার পথ পরিহার করে সুন্দর জীবন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে মাদক বিরোধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বশেষ সংবাদ