ফতুল্লায় ২ ইয়াবা বিক্রেতা গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গত ২৪ ঘন্টায় মাদক বিরোধী অভিযানে চালিয়ে ১৭৫পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গত ১৩ মার্চ ১নং বাবুরাইল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এ অভিযান চালিয়ে ২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। সে মৃত কবির হোসেনের ছেলে। থানার আরেক টীম দেলপাড়া এলাকা থেকে ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মৃত কদম আলীর ছেলে রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

ফতুল্লায় মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় অনাবিল পরিবহনের গাড়ীর মালিকের সাথে চাঁদা বাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় চাঁদাবাজদের সাথে মারামারি সংঘঠিত হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে গত ১২মার্চ বিকেলে। এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় অনাবিল পরিবহনের যাত্রীবাহী গাড়ির মালিক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সোহেল ইব্রাহীম, সাইফুলসহ ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।

এ মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন রামদাসপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান কবিরের ছেলে মিজানুর রহমান। সে ফতুল্লা থানাধীন শান্তিধারা এলাকায় বসবাস করছে। তার মালিকানাধীন ৬টি অনাবিল পরিবহন যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে।

এই রোডে চলা চলে চাঁদা নিয়ে শান্তিধারা এলাকার সোহেল, ইব্রাহিম, জাবেদ ও সাইফুল ইসলাম গংদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপর্যায় মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন গাড়ীর চালককে মারধর করে গত ১২ মার্চ বিকেলে। এলাকাবাসী জানায়, তাদের মধ্যে গাড়ীর কিস্তি টাকা নিয়ে একে অপরের সাথে বিরোধ চলছে।

ফতুল্লায় ব্যর্থ প্রেমিকের আত্মহত্যা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিপুন নামে এক কলেজছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ১৩ মার্চ বুধবার সকালে ফতুল্লার ভূইগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিপুন ফতুল্লার উত্তর ভূইগড় এলাকার জুয়েল মিয়ার ছেলে ও মুন্সীগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদরে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাজেদ মিয়া জানান, সকালে নিপুনের কলেজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় মত কলেজে না যাওয়ায় তার মা নিলা আক্তার ঘরের দরজায় ধাক্কা দেন। ছেলে দরজা না খোলায় আশপাশের লোকজনকে তিনি ডেকে আনেন। তারা জানালা দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে নিপুনের মরদেহ ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, এক মেয়ের সঙ্গে নিপুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। যে কারণে গত কয়েক দিন যাবত নিপুন হতাশ হয়ে পড়েছিল। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিপুন আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবার জানিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান এসআই মাজেদ মিয়া।

ফতুল্লায় ৫৭ ড্রাম চোরাই তেল উদ্ধার, ১৬ জনকে আসামী করে মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় ৫৭ ড্রাম চোরাই তেল উদ্ধার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুুলিশ। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় চোরাই তেল সিন্ডিকেটের সদস্য ইকবাল হোসেন, রুবেল, কামাল হোসেন, লোকমান হোসেন, রাসেল, ইব্রাহীম সহ ১৫/১৬ জনকে আসামী করা হয়।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আব্দুল জলিল মাতুব্বর তার সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সদের এবং ফতুল্লা থানা পুলিশের সহায়তায় ফতুল্লা মডেল থানাধীন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে সংবাদ পায় যে, ফতুল্লার বালু ঘাট (লঞ্চ ঘাট) এলাকার তেল সিন্ডিকেট চক্রের সরদার ইকবাল হোসেন তার তেলের দুইটি গোডাউনের মধ্যে চোরাই জ্বালানি তেল রাখিয়া ক্রয়-বিক্রয় করিতেছে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে এসআই আব্দুল জলিল মাতুব্বর তার সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সদের এবং ফতুল্লা থানা পুলিশের সহায়তায় উক্ত স্থানের তেল চোর সিন্ডিকেট চক্রের আস্তানায় হানা দিয়ে ৫৭টি ড্রামের মধ্যে রক্ষিত জ্বালানি তেল পরিমান সাত হাজার ছয়শত লিটার ডিজেল, তিন হাজার ষাট লিটার অকটেন, তিনশত ষাট লিটার পেট্রোল উদ্ধার করে বিধি মোতাবেক জব্দ করিয়া ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর-৩৯,তারিখ-১২/০৩/২০১৯ ধারা-১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ খ(১) এবং সিন্ডিকেটের সদস্য ইকবাল হোসেন সহ রুবেল, কামাল হোসেন, লোকমান হোসেন রাসেল, ইব্রাহীম সহ ১৫/১৬ জনের বিরুদ্দে মামলা দায়ের করা হয়।

উক্ত আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে পরস্পর যোগসাজসে বাংলাদেশ সরকারকে শুল্ক/কর ফাঁকি দিয়ে এবং জাহাজ থেকে চুরি করিয়া পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল অবৈধভাবে মজুদ রাখিয়া প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয় করিয়া আসিতেছিল। জানাযায় যে, উক্ত সিন্ডিকেটদের পিছনে অনেক স্বার্থন্বেষী মহল যুক্ত আছে ও নিয়মিত মাসোহারা পায়।

নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) নারায়ণগঞ্জ জেলায় যোগদানের পর হতে ভূমিদস্যূ, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করিয়া সর্ব মহলে প্রসংশিত হয়েছেন। ইহা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জবাসীর সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ লাঘবের জন্য শহরে হকার মুক্ত ফুটপাত ও যানজট মুক্ত শহর উপহার দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জবাসীর মনের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জ জেলা শহরে অনেক কথিত একাধিক জুয়ার আসরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযান চালানো হয় ও জুয়ারীদের গ্রেপ্তার করিয়া আদালতে সোপর্দ করেন। যা সর্ব মহলে প্রসংশিত হয়েছেন। ইদানিং অবৈধ তেল চোরা কারবারীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

পুলিশের এই অভিযানকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য ঘোষিত তেল চোরাকারবারীদের অন্যতম সদস্য পলাতক আসামী ইকবাল হোসেন তার গডফাদারদের ও স্বার্থন্বেষী মহলকে বাঁচানোর জন্য এবং পুলিশের এই অভিযানকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য, পুলিশের মনোবলকে ভাঙ্গার জন্য কতিপয় পুলিশ অফিসারের নামে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য, উপাত্ত বিহীন মন গড়া একটি পিটিশন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেন। উক্ত পিটিশনটি প্রাথমিক তদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তথা ভুমিদস্যূ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদ, জুট সন্ত্রাসী সহ মাদক ও তেল চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। যাহা আরো বেগবান করা হয়েছে।

আড়াইহাজারে অটো চালক হত্যা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া এলাকায় ১২মার্চ মঙ্গলবার রাতে নূরে আলম নামে এক অটো চালক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। গাড়ির চাকা নিয়ে বিরোধের জের ধওে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

ওই সময় অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম নামে অটো মিস্ত্রিকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে মর্গে প্রেরণ করে। আটক শফিকুল ইসলাম ওই এলাকার মিছির আলীর ছেলে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে নিহতের ভাই সাত্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নুর আলম অটোর চাকা মেরামত করতে শফিকুলের গ্যারেজে দেয়। পরে তাকে চাকা পাল্টে অন্য অটোর চাকা দেয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে প্রথমে লোহার পাইপ দিয়ে বুকে ‘গা’ মারা হয়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উপরে তুলে ফের মাটিতে আছাড়া দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী গ্যারেজ মালিক শফিকুল ইসলামকে স্থানীয় জন দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। বুধবার সকালে নিহতের ভাই সাত্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

সোনারগাঁয়ে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, দুই মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে মো: রাসেদ ও মো: নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৩ মার্চ বুধবার ভোর রাতে সোনারগাঁয়ের মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের এসআই মুক্তার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোর রাতে মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকায় কুমিল্লা থেকে রাজধানী ঢাকা মিরপুরগামী একটি কভার্ডভ্যান (ঢাকা-মেট্টে-ন ১৩-৯৪০৮) তল্লাশী করা হয়। এসময় ৪০ কেজি গাঁজাসহ মো: রাসেদ ও মো: হাবিব নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী মো: রাসেদ বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার লেবুবুনিয়ায় এলাকার হাবিব মল্লিকের ছেলে ও হাবিব কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার সুলতানপুর এলাকার মৃত কবির হোসেনের ছেলে।

বন্দর নির্বাচন ঠেকাতে প্রস্তুত মুকুল, পরিষদ থাকছে বিএনপি জামাতের নিয়ন্ত্রণে

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এক এমপির ইশারায় বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঠেকাতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন বন্দর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল। ফলে আবারো দায়িত্বে থাকছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদা আক্তারও। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের মতই মামলার জটিলতায় আটকানোর পরিকল্পনা করে নির্বাচন ঠেকানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন বিএনপির এই নেতা। তারা তিনজনই বিএনপি ও জামাতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও স্থানীয় এমপি একেএম সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করেন মুকুল ও মাহামুদা।

বিশ^স্তু সূত্রে জানাগেছে, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে। এর বিষয় থাকবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের এনায়েতনগর এলাকা নিয়ে। ওই এনায়েতনগর এলাকার কিছু অংশ ভোটার রয়েছে সিটি কর্পোরেশনের সীমানার ভিতরে। আবার সিটি কর্পোরেশনের কিছু ভোটার রয়েছে এনায়েতনগর এলাকায়। ফলে সীমানা সংক্রান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিতের আদেশ চেয়ে রিটের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। একইভাবে এটি খারিজ বা দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে গেলে বন্দর ইউনিয়নের কিছু অংশের এলাকা কেন সিটি কর্পোরেশনে অন্তভূক্ত করা হবেনা তা জানতে চেয়েও আদালতে রিট করা হবে। মোট কথা বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঠেকাতে হবে। এসব রিট করার জন্য ইতিমধ্যে বাদীও ম্যানেজ করেছেন মুকুল। তার বাসায় গত সপ্তাহে এ বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে বলেও বিশ^স্ত সূত্রে জানাগেছে।

এর কারন হিসেবে জানাগেছে, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক মনেনায়ন পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ানের। যদিও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ থেকে সুফিয়ান ছাড়াও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ মিয়া ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সালামের নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এই প্রার্থীর চেয়ে শক্তিশালী লবিং সুফিয়ানের হাতেই ওঠবে নৌকা প্রতীক সেটা অনুমেয়। ফলে স্থানীয় এমপি একেএম সেলিম ওসমানের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। কারন সুফিয়ান মেয়র আইভীর ঘনিষ্ঠ কর্মী। আর উপজেলা পরিষদেই থাকে সকল ধরনের কাজ। এমপির তদারকি করার এখতিয়ার থাকলেও তার প্রধান কাজ আইন প্রনয়ণ করা। ফলে বন্দরের পুরো নিয়ন্ত্রন চলে যাবে মেয়র আইভীর হাতে। কিন্তু বর্তমানে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেও তিনি সেলিম ওসমানের পক্ষে সকল কাজ করেন। সেলিম ওসমানের চাটার দলের কর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত পেয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে। আর বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। ফলে এখানে মুকুলকে বিএনপিও প্রার্থী করবে না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও মুকুল ধুপে টিকবে না। ফলে নির্বাচন ঠেকানোর প্রস্তুতি নিয়েছে মুকুল।

টানা প্রায় দশ বছর ধরে বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল। গত ৫ বছর ধরে উপজেলা পরিষদের তিনটি পদেই নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপি ও জামাতের তিনজন নেতা। তবে এবার দীর্ঘদিন পরে হলেও বিএনপি ও জামাতের রাহুমুক্ত হবে এমনটা নিয়ে আওয়ামীলীগের বেশকজন প্রার্থী মাঠে নেমেছিলেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ডজন খানিক ছাড়িয়ে গেছে প্রচারণায়। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ার পথে। বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের মত আটকে যাওয়ার উপক্রম।

বন্দর উপজেলা পরিষদে টানা দুইবার চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন আতাউর রহমান মুকুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা সাইফুল ইসলাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহামুদা আক্তার। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আতাউর রহমান মুকুল স্থানীয় সরকারি দলের এমপির সঙ্গে সখ্যতা রেখেই উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির নেতা হলেও তিনি অনেকটা সরকারি দলের নেতার ভুমিকায় ছিলেন বেশ জোড়ালো। তবে এক্ষেত্রে সুবিধা করতে পারেননি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করলেও সরকারি দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে মাহামুদাকে কমই দেখা গেছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত ইসলামীর নেতা সাইফুল ইসলাম গত ৫ বছরের বেশির ভাগ সময় ছিলে কারাগারে। আবার ছিলেন মামলায় আসামি হয়ে আত্মগোপনে। এমন পরিস্থিতিতে একক নিয়ন্ত্রন ছিল মুকুলের হাতেই। তবে ২০১৪ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে পড়বে এমন সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেই রাজপথে নেমেছিলেন আতাউর রহমান মুকুল। পরবর্তীতে তিনি আন্দোলন করতে গিয়ে মামলায় আসামীও হন। ওই নির্বাচনের পর তিনি আবারো বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে সরকারি দলের পক্ষে কাজ করেন। গত জাতীয় নির্বাচনে আতাউর রহমান মুকুল এ আসনের বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমানের পক্ষে সরাসরি নির্বাচনে কাজ করেন। সেলিম ওসমানের বেশকটি নির্বাচনী জনসভায় গিয়েছিলেন মাহামুদা আক্তারও। তবে দুরেই ছিলেন জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম।

গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ২০ দলীয় জোটের সমর্থন পান বর্তমান মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি নূরউদ্দীন আহমেদ। যেদিন নূরউদ্দীন আহমেদকে নিয়ে বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছিলেন ২০ দলীয় জোটের নেতারা ওইদিন সন্ধায়ই আতাউর রহমান মুকুলকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ আমান সমর্থনের ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয় বরং আতাউর রহমান মুকুলকে বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি উল্লেখ্য করে নূরউদ্দীন আহমেদকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি ঘোষণা করা হয়। অথচ মুকুল ছিলেন বিএনপির বিদ্রোহী কমিটির স্বঘোষিত সভাপতি। বিএনপির সক্রিয় রাজনীতিতেও ছিলেন না। ওই নির্বাচনে মুকুল নির্বাচিত হন। একইভাবে বিএনপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হন মাহামুদা আক্তার। অপর ভাইস চেয়ারম্যান হন জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম।

আড়াইহাজারে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রত্যাহার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজালাল মিয়া।

১৩ মার্চ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও নির্বাচনের রিটার্র্নিং অফিসার সেলিম রেজার হাতে প্রত্যাহার পত্র জমা দেন শাহজালাল মিয়া। এ সময় নৌকার প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী ও জেলা আওয়ামী আইনজীবী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ভূঁইয়া সহ স্থানীয় শীর্ষ আওয়ামীলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১ মাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের মনোনয়ন বাছাইয়ে বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৬ জন প্রার্থী আপিল বোর্ডের কাছে আপিল করলে ৪ জনের মনোনয়ন ফিরে পেলেও দুইজনের মনোনয়ন আপিল বোর্ড বাতিল করেছেন। গত ৬ মার্চ বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাখিলকৃত ৩৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচনের রির্টার্নিং অফিসার সেলিম রেজা ও মোহাম্মদ আতাউর রহমান।

যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে এনপিপি এর প্রার্থী এস আলমের মনোনয়ন পত্র যথাযথভাবে হয়নি বলে বাতিল করা হয়। সোনারগাঁয়ে চেয়ারম্যান পদে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী রহমত উল্লাহর মনোনয়ন পত্রে রিটার্ন, ট্যাক্স, জমার রশিদ, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

আড়াইহাজারে চেয়ারম্যান পদে আজাদ খান সোহাগের মনোনয়ন পতে স্থায়ী ঠিকানা ও টিন নম্বরে গড়মিল থাকায় বাতিল করা হয়। এছাড়াও গোলাম মোহাম্মদের ছবি সত্যায়িত ছিল না এবং ৫ জন ভোটারের যাছাইয়ে সঠিক না পাওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। একইভাবে আবুল হাসেমের ক্ষেত্রেও ৫ জনের ভোটারের যাচাইয়ে সঠিক না পাওয়া তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

তবে রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে সকল ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে আড়াইহাজারে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ঝর্না রহমানের নাম এসএসসি সনদপত্রে ও ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সঙ্গে মিল না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। অন্যদিকে সোনারগাঁয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনির হোসেন জামিনদার হিসেবে ঋণখেলাপী থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্র সঠিক না থাকায় শাহজালাল মিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। ২’শ ৫০ সমর্থনের তথ্য যথাযোগ্য না হওয়ায় শেখ ফরিদের মনোনয়ন বাতিল করা হয় এবং ঋণখেলাপী থাকায় নেকবর হোসেন নাহিদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

তবে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে আপিল করেছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজালাল মিয়া, মনির হোসেন, নেকবর হোসেন নাহিদ, রূপগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী এস আলম, আড়াইহাজার উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ খান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ঝর্ণা রহমান। এদের মধ্যে আপিল বোর্ড আজাদ খান ও নেকবর হোসেন নাহিদের মনোনয়ন বাতিল করে বাকিদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থীর মধ্যে তিন জনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন আড়াইহাজারের রিটার্নিং অফিসার ও নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা। ৬ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ঝর্না রহমানের প্রার্থীতাও বাতিল করেছিল রিটানির্ং অফিসার।

এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজালাল মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন মোল্লার প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাতিল করা হয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ খান সোহাগ, গোলাম মোহাম্মদ ও
আবুল হাসেমের মনোনয়ন পত্র। ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রফিকুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

ইকবাল পারভেজ নয় ‘আমার নেতা এমপি বাবু’: হেলো সরকার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

এবার ভোল পাল্টালেন মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের জন্য ইকবাল পারভেজের পক্ষে কাজ করেছিলেন হলো সরকার। ওই সময় স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে নানা ধরনের বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। তবে এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি নজরুল ইসলাম বাবুকেই তার নেতা হিসেবে দাবি করেছেন হেলো সরকার।

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজালাল মিয়া।

১৩ মার্চ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও নির্বাচনের রিটার্র্নিং অফিসার সেলিম রেজার হাতে প্রত্যাহার পত্র জমা দেন শাহজালাল মিয়া। এ সময় নৌকার প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী ও জেলা আওয়ামী আইনজীবী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ভূঁইয়া সহ স্থানীয় শীর্ষ আওয়ামীলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজালাল মিয়ার মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনার নেতা এখন কে তখন তিনি বলেন, আড়াইহাজারে আমার নেতা নজরুল ইসলাম বাবু। আর আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১ মাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের মনোনয়ন বাছাইয়ে বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৬ জন প্রার্থী আপিল বোর্ডের কাছে আপিল করলে ৪ জনের মনোনয়ন ফিরে পেলেও দুইজনের মনোনয়ন আপিল বোর্ড বাতিল করেছেন। গত ৬ মার্চ বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাখিলকৃত ৩৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচনের রির্টার্নিং অফিসার সেলিম রেজা ও মোহাম্মদ আতাউর রহমান।

যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে এনপিপি এর প্রার্থী এস আলমের মনোনয়ন পত্র যথাযথভাবে হয়নি বলে বাতিল করা হয়। সোনারগাঁয়ে চেয়ারম্যান পদে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী রহমত উল্লাহর মনোনয়ন পত্রে রিটার্ন, ট্যাক্স, জমার রশিদ, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

আড়াইহাজারে চেয়ারম্যান পদে আজাদ খান সোহাগের মনোনয়ন পতে স্থায়ী ঠিকানা ও টিন নম্বরে গড়মিল থাকায় বাতিল করা হয়। এছাড়াও গোলাম মোহাম্মদের ছবি সত্যায়িত ছিল না এবং ৫ জন ভোটারের যাছাইয়ে সঠিক না পাওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। একইভাবে আবুল হাসেমের ক্ষেত্রেও ৫ জনের ভোটারের যাচাইয়ে সঠিক না পাওয়া তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

তবে রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে সকল ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে আড়াইহাজারে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ঝর্না রহমানের নাম এসএসসি সনদপত্রে ও ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সঙ্গে মিল না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। অন্যদিকে সোনারগাঁয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনির হোসেন জামিনদার হিসেবে ঋণখেলাপী থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্র সঠিক না থাকায় শাহজালাল মিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। ২’শ ৫০ সমর্থনের তথ্য যথাযোগ্য না হওয়ায় শেখ ফরিদের মনোনয়ন বাতিল করা হয় এবং ঋণখেলাপী থাকায় নেকবর হোসেন নাহিদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

তবে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে আপিল করেছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজালাল মিয়া, মনির হোসেন, নেকবর হোসেন নাহিদ, রূপগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী এস আলম, আড়াইহাজার উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ খান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ঝর্ণা রহমান। এদের মধ্যে আপিল বোর্ড আজাদ খান ও নেকবর হোসেন নাহিদের মনোনয়ন বাতিল করে বাকিদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থীর মধ্যে তিন জনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন আড়াইহাজারের রিটার্নিং অফিসার ও নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা। ৬ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ঝর্না রহমানের প্রার্থীতাও বাতিল করেছিল রিটানির্ং অফিসার।

এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজালাল মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন মোল্লার প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাতিল করা হয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ খান সোহাগ, গোলাম মোহাম্মদ ও আবুল হাসেমের মনোনয়ন পত্র। ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রফিকুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ ডিসি কার্যালয়ে পুলিশের মারধরের শিকার নারী আইনজীবী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পুলিশের এক ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মারধরের শিকার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) যিনি একজন নারী আইনজীবী। ১৩ মার্চ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ এডিএম জ্যোতিকা যুথি সরকারের কক্ষে একটি মামলার বিষয়ে শুনানি করতে গেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা এই মারধরের শিকার হন নারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ। তবে ওই সময় এডিএম তার কক্ষে ছিলেন না। তার সহকারী আবদুর রহমান দাবি করেছেন ওই সময় এডিএমের কক্ষে কেউ ছিল না। আমি কাউকে মারধর করতে দেখিনি। এ রিপোর্ট লেখার সময় জানাগেছে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জাসমিন আহমেদ।

জানাগেছে, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আবু নকিবের স্ত্রী অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের সার্কেল অফিসার। আর স্ত্রী অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি। গত ৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে স্বামী আবু নকিবের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেন অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ। ওই মামলাটি আদালত তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ এডিএমকে দায়িত্ব দেন।

আহত জাসমিন আহমেদ দাবি করেন- বুধবার দুপুরে এডিএমের কক্ষে অন্য একটি মামলার বিষয়ে যান জাসমিন আহমেদ। সেখানে গিয়ে দেখেন স্বামী আবু নকিব বসা অবস্থায়। জাসমিন আহমেদ দাবি করেছেন তাকে দেখেই তার স্বামী আবু নকিব মারধর করেছে এবং তাকে হত্যা চেষ্টায় তার গলা চেপে ধরেছে। এডিএমের সহকারী আবদুর রহমানের সঙ্গে আবু নকিব কথা বলছিলেন বলেও অভিযোগ করেন নারী আইনজীবী। তিনি আরও অভিযোগ করেন-মামলার বিষয়ে তদবির করতে, সত্য ঘটনাকে প্রভাবিত করে ভিন্ন দিকে নিতে এবং তদন্তে প্রভাবিত করতে এডিএমের কার্যালয়ে এসেছিল নকিব।’

তবে এ বিষয়ে এডিএমের সহকারী আবদুর রহমান বলেন, আজকে কাউকেই মামলার বিষয়ে তদন্তকে ঢাকা হয়নি। ওই ভদ্র লোক এখানে এসে বলেছেন তিনি এডিএম স্যারের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। তাই তাকে বসতে দিয়েছিলাম। আমি ওই ভদ্রলোককে বসতে দিয়ে কাজে বাহিরে বের হই। একটু পরেই ওই নারী আইনজীবী চিৎকার করতে থাকেন তাকে মারধর করা হচ্ছে বলে। ওই ভদ্রলোক পরে দ্রুত বের হয়ে যান। তবে মারধরের বিষয়টি আমি দেখিনি। তবে এ বিষয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে জানাগেছে, ওই মামলায় জাসমিনের স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা আবু নকিবকে প্রধান আসামি করা হয়। নকিব ছাড়াও নকিবের ভাই মো: নাছের নিপুণ, বোন জুবরিয়া বেগম, অপর ভাই মো: আবু নোমান সজন ও ভাইয়ের স্ত্রী শিরিন আক্তার হিরাকে আসামি করেন জাসমিন আহমেদ।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সন্তানদানে অক্ষম জেনেও জাসমিন আহমেদের সঙ্গে ২০০৭ সালের ১৪ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মো: নকিব। বিয়ের পর স্ত্রীর কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তার উপর অত্যাচার করতে থাকেন স্বামী।

দাবি করা হয়- নিজ বিবাহজীবন সুখে-শান্তিতে কাটানোর জন্য স্বামীকে ১২লাখ টাকার একটি প্রাইভেটকার, ১টি মোটরসাইকেল ও ঢাকায় জমি কেনার জন্য নগদ ৫০ লাখ টাকা দেন জাসমিন।

মামলায় আরো দাবি করা হয়- জাসমিনের স্বামী নকিব সম্প্রতি চালচলন পরিবর্তন করে উগ্র জঙ্গিবাদী সংগঠনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ইসলামের অনেক অপব্যাখ্যা দিয়ে জাসমিনকে তার দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেন। এ ছাড়া প্রায়ই জাসমিনকে হত্যার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল থেকে একবার ফেলে দিয়ে, আরেকবার ঘুমের মধ্যে গলাটিপে ধরে এবং বালিশচাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।

মামলা দায়েরের পর জাসমিন আহমেদ বলেছিলেন, আমাকে না জানিয়ে আরো দুটি বিয়ে করেছে নকিব। পরে জাসমিন আহমেদের খোঁজ-খবর নেয়া বন্ধ করে দেন। ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাসমিনের সঙ্গে দেখা করেন নকিব। সে সময় মারধর করে নগদ ৫ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, দলিল ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট নিয়ে চলে যান।

সর্বশেষ সংবাদ