দুই মামলায় জামিন পেলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার দুটি নাশকতার মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাষানী ভুইয়া, অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দীন সরকার, অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান খান খোকা, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু সহ বিএনপির অর্ধশতাধিক আইনজীবী।

মামলা সূত্রে জানাগেছে গত বছরের নভেম্বর মাসে রূপগঞ্জ থানার দুটি নাশকতার মামলায় তৈমুর আলম খন্দকারকে আসামী করা হয়। যার মামলা নং ২৪(৯)১৮ ও ৮(৯)১৮। এ দুটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিন পান তিনি। এবং শর্ত ছিল চার্জশিট দাখিলের ৩০ দিনের মধ্যে নিম্ম আদালতে আত্মসমর্পন করতে হবে। তাই বৃহস্পতিবার তৈমূর আলম খন্দকার আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন দেন।

সাংবাদিক মাসুদ তালুকদার ও জামাল তালুকদারের মায়ের কুলখানি, দোয়া মিলাদ মাহফিল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক মাসুদুর রহমান তালুকদার ও জামাল তালুকদারের মায়ের কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকরী ও সাংবাদিকবৃন্দ সহ মরহুমার আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার নারায়ণগঞ্জ শহরের কুমুদিনি বাগান মসজিদে বাদ জোহর নামাজের পর মরহুমার কুলখানি উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। বাদ জোহর দোয়া মাহফিলে কুলখানিতে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয়তাবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, একাত্তুর লাইভ ডটকম নিউজ এর সম্পাদক মোঃ এমরান হোসেন, যুগেরচিন্তা ডটকম এর বার্তা সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ শাওন আহম্মেদ, জেলা যুবলীগের নেতা শাহ্ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ, সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক মাজরুল ইসলাম রোকন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সজীব, ভোরের কথার সম্পাদক আরিফুজ্জামান, অপরাধ রিপোর্ট এর সম্পাদক মাসুদুর রহমান দিপু, সংবাদচর্চার সঞ্চালক ও রিপোর্টার বদিউজ্জামান, আমাদের সময় পত্রিকার জেলা ফটো সাংবাদিক রিপন আহম্মেদ, খবর নারায়ণগঞ্জ এর মশিউর রহমান, বন্দর প্রেস ক্লাবের শাহীন ও নারায়ণগঞ্জ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক রিপন মাহমুদ সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

আড়াইহাজারে অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধার পাশে বীর সেনারা, হলো মিলন মেলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দি ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছামসুজ্জামান সরকার বাবুলের বাস ভবনে বন্দর থানা মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর থানার মুক্তিযোদ্ধারা অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছামসুজ্জামান সরকার বাবুলের খোজ খবর নেন।

এ সময় অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছামসুজ্জামান সরকার বাবুলের সুস্থ্যতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়। পরে তারা দুপুরে তার বাস ভবনে মধ্যাহ্নভোজ শেষে সকল মুক্তিসেনাদের দীর্ঘায়ু কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া পাঠ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জালু, মোঃ আশাবুদ্দিন, আইয়ুব আলী, মোশারফ খান, বদরুদ্দীন(বদু), নুর হোসেন, বাদশা, আলি(পাগলা), ইউসুফ, নাজিম মাস্টার, হোসেন, মোবারক শেখ, মনজিল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন সরকার, শেখ মুজিবুর রহমান কচি, মহিউদ্দিন ও আব্দুল্লাহ বাবু প্রমুখ

প্রতিদন্ধীতা বিহীন নির্বাচনী সংস্কৃতি দৃঢ় হচ্ছে

বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল তার রাষ্ট্রীয় পরিচিতি “গণপ্রজাতন্ত্রী” এবং ১৯৭২ ইং সালে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে সংবিধান প্রনীত হয় তার পরিচিতি “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।” রাষ্ট্রীয় ভাবে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলেও এর বর্তমান অবস্থান কোথায় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষকদের মতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে তারা কি মতামত পোষন করেন এ মর্মে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষনা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হার্ডসের মন্তব্য থেকে আচ করা যায়। ফ্রিডম হাউস যে মন্তব্য করেছে তা নিম্নরূপ ঃ-

“টানা ১৩ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা কমছে। এ থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের বিবেচনায় এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্কোর আগের বছরের তুলনায় কমেছে ৪ পয়েন্ট। ডেমোক্র্যাসি ইন রিট্রিট: ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০১৯ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত সোমবার প্রকাশ করেছে ফ্রিডম হাউস। এতে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ১০০ (সবচেয়ে ভালো) এর মধ্যে ৪১। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ছিল ৪৫। তার আগের বছর ৪৭। ১৯৫টি দেশ ও ১৪ অঞ্চলের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার এ দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার স্কোর নির্ণয় করা হয়েছে। ৪১ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আছে আংশিক মুক্ত দেশের কাতারে। আগের দুই বছরও একই ক্যাটাগরিতে ছিল বাংলাদেশ। অপর দুটি ক্যাটাগরি হলো যুক্ত ও মুক্ত নয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়ন ও ভয়ভীতি দেখায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভোটের দিনও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এবং বিভিন্ন দলের মধ্যে সংঘাতের তথ্য এসেছে, ডজনখানেক লোকের প্রাণ গেছে সহিংসহায়। ১০০ এর মধ্যে ১০০ স্কোর নিয়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে তিন দেশ ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেন। বিপরীত দিকে একেবারে তলানিতে আছে সিরিয়া। দেশটির স্কোর শুন্য ” (সূত্র: জাতীয় পত্রিকা ০৭/০২/২০১৯ ইং)।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং জাতীয় নির্বাচন-২০১৮ নিয়ে শুধু আন্তর্জাতিক গবেষনামূলক সংগঠন থেকে নয় বরং বাংলাদেশের বুদ্দিজীবি সমাজ যারা সরকারের পক্ষেই একসময় সাফাই গাইতেন তারাও এখন নির্বাচনের অনিয়ম সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছেন। ইংরেজী জাতীয় দৈনিকের একটি অন-লাইন পত্রিকায় ০৬/০২/২০১৯ ইং তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তো প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন কেন উঠলো সেটিই আমার প্রশ্ন। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই বলেছেন তিনি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না। সেই ক্ষেত্রে প্রশ্ন কেন উঠলো? এটি শুধু বিএনপি বা ঐক্যজোটের প্রশ্ন নয়, দেশের ভেতরে-বাইরে থেকে এই প্রশ্ন উঠেছে। যেমন, জাসদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিকদল। তারাও তো প্রশ্ন তুলেছে। কাজেই অন্যকোনো নির্বাচন এ ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ হোক সেটি আমরা চাই না। নির্বাচন নির্বাচনের মতোই হোক।” এ বিষয়ে ১/১১ সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের মন্তব্য, “তিনি (সিইসি) যদি তার অবস্থান থেকে মনে করেন গত জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এবং তিনি যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চান তা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যে, বিগত জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র সরকার পক্ষ ও সরকার সমর্থকদের কাছ থেকে শোনা গেছে কোনো রকম অনিয়ম হয়নি। কিন্তু এর বাইরে যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি, কিংবা আমাদের ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-র প্রতিবেদন করতে গিয়ে যখন গবেষণা করতে গিয়েছি তখন বিভিন্ন সূত্র থেকে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এসেছে।”

বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে জলাঞ্জলি দেয়ার জন্য কাগজে কলমে স্বাধীন সাংবিধানীক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা যারা শপথ গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের অধিকার রক্ষায় দায়িত্ব নিয়েছেন তারাই জল্লাদের ভূমিকা পালন করেছেন। কোন সাংবিধানিক স্বাধীন নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করেন নাই। বরং জনগণের অধিকারকে কি ভাবে ক্ষুন্ন করা যায় তারই নীল নকশা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ এবং সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেছেন। ব্যতিক্রম যারা ছিলেন তারা ধোপে টিকে নাই। ভোটার বিহীন একটি নির্বাচন করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে দেশব্যাপী গায়েবী মামলা দিয়ে জনগণকে নজীর বিহীন হয়রানী করা হয়েছে যার বিবরণ প্রতিনিয়তই মিডিয়াতে প্রকাশ পেয়েছে কিন্তু সে হয়রানীর প্রতিকার কোথাও পাওয়া যায় নাই। উল্লেখ্য, “ধান বেচে জামিন নিতে ঢাকায়” শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে ০৭/০২/২০১৯ ইং তারিখে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা পাঠ করলেই দেশব্যাপী গায়েবী মামলার শিকড় কতটুকু গড়িয়েছে তা অনুধাবন করা যায়। সংবাদটি নিম্নে হুবুহু তুলে ধরা হলো ঃ-

“পাঁচ শ টাকা মণে আমন ধান বেচে মামলার আগাম জামিন নিতে ঢাকা এসে ২০ টাকা প্লেট ভাত খেতে হয়েছে। তাতেই মেজাজ গরম ফজল খানের। হিসাব কষছিলেন এক জামিনে কয় মণ ধান গেল। সত্তরের কোঠায় বয়স এই কৃষকের বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে। নির্বাচনের আগে নাশকতার মামলায় আসামি করা হয় তাঁকে। নির্বাচনের দিন জেনেছেন মামলার খবর। ফজল খান বলেন, সবই গায়েবি মামলা। আমার বাড়ি থেকে কয়েক মাইল দূরের ঘটনা সব। কেন মামলা দিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমির আইল নিয়া ঝামেলা ছিল, আর কোনো ঝামেলা তো মনে করতে পারি না। আমরা তো পার্টিও করি না। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ৭০ জনের দলটির সঙ্গে ছিলেন ফজল খান। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানায় হওয়া মামলাটিতে মোট আসামি ১০৫। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে কাগজের নৌকা প্রতীক ও পোষ্টার পোড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের সবাই কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। কয়েকজন কোনো টাকা দেননি, বাকিরা এক থেকে তিন হাজার করে টাকা দিয়েছেন আইনজীবীর খরচ হিসেবে। প্রতি ১০ জনের এক ফাইলে আইনজীবী পাঁচ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। আছে যাতায়াতের খরচও। ফজল খানের হিসাবে অন্তত সাত মণ ধানের দাম বেরিয়ে গেল এক মামলার জামিন নিতে এসে। তিনি বলেন, চাষে আর লাভ হয় না। বীজ-সার-পানি দিতে কাঠাপ্রতি দুই হাজার ছয় শ টাকা খরচ হয়। এবার আমনের দরও ভালো, মণপ্রতি পাঁচ শ টাকা। এই দরে এক কাঠা জমিতে (ওই এলাকায় ১০ শতাংশে এক কাঠা) আড়াই হাজার টাকার ধান পাওয়া যায়। কাঠাপ্রতি এক শ টাকা লোকসান। তার ওপর মামলায় অনেকগুলো টাকা বেরিয়ে গেল। খেতে আউশ ধান লাগানোর প্রস্তুতি ফেলে আসতে হয়েছে। তবে জামিনের জন্য একটি টাকাও দিতে পারেননি সবুজ মিয়া। দিনমজুর সবুজ মিয়া দলের একটু বাইরে হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনের হাঁটাপথে প্লাষ্টিকের স্যান্ডেলের ওপর বসে ছিলেন। বয়স আনুমানিক ৫৫। তবে কাঁচা-পাকা চুল-দাড়িতে আরও বয়স্ক লাগে। হাতের ১০টি আঙুলই ক্ষয়ে কালো হয়ে গেছে, কয়েকটি দাঁতও নেই। কী মামলা জিজ্ঞেস করতেই ফোকলা দাঁতে হেসে সবুজ-বলেন, দিছে একটা! আমি কিছু বুজি না। গ্রামের লোকে কইল আসামি করছে, জামিন নিতে অইব। আমি কাইজ-কাম থুইয়া আইলাম। অন্যের বাড়িত কাম করি। আমি তো কাউরে কুনো ট্যাকাও দিতে পারি নাই। হাতের ক্ষয়ে যাওয়া নখ দেখিয়ে বলেন, খেত আর গোয়ালঘরে কাজ করতে করতে হাতের আঙুল ক্ষয়ে গেছে। নেত্রকোনার দলটির মতো ব্রাক্ষ¥ণবাড়িয়ার সদর থানা ও বিজয়নগর, বগুড়ার সোনাতলা, নোয়াখালীর চরজব্বর থেকে আরও প্রায় তিন শ লোক এসেছিলেন। ব্রাক্ষ¥ণবাড়িয়া সদর থানার তিনটি মামলায় জামিন নিতে এসেছিলেন ১৫২ জন। তাঁদের কয়েকজন জানান, তাঁরা প্রায় সবাই বিএনপির রাজনীতি বা যাঁরা বিএনপি করেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত। নির্বাচনে ধানের শীষের এজেন্ট হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। আগের দিনই থানা থেকে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে এলেই গ্রেপ্তার করা হবে। তবে ব্রাক্ষ¥ণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে আসা কৃষক রফিকুল ইসলাম, সামাদ মিয়ারা জানালেন, তাঁরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁদেরও মামলায় জড়ানো হয়েছে।”

জাতীয় নির্বাচন ২০১৮ একটি ভোট বিহীন নির্বাচন করে সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে নাই বরং প্রতিধন্ধীতা বিহীন একটি নির্বাচনী সংস্কৃতি চালু করেছে। এ ব্যবস্থা কারণে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলি সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এখন আর মানুষ নির্ভয়ে প্রতিধন্ধীতা করতে এগিয়ে আসতে চাইবে না। স্থানীয় সরকার দলীয় মার্কায় নির্বাচন হওয়ায় সরকারী মার্কা প্রাপ্ত প্রার্থীকে পাস করানোর জন্যই পুলিশ প্রশাসন ব্যতিব্যস্থ থাকার কথা সরকার সমর্থীত এবং বাম দলগুলির পক্ষ থেকে আওয়াজ উঠেছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুর্ননির্বাচনের দাবিতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে ১১/০২/২০১৯ ইং তারিখে সাংবাদিক সম্বেলনে বাম জোট নেতা সাইফুল হক বলেন, “৩০ ডিসেম্বরের অভূতপূর্ব ভোট জালিয়াতির পর নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনি ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও জাতীয় নির্বাচনের মতো অর্থহীন ও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সরকারের শরিকরাও এ কারণে এসব নির্বাচনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছে। এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া হলো।”

প্রতিদন্ধীতা বিহীন যে নির্বাচনী সংস্কৃতি চালু হয়েছে জাতীয় ঐক্য মতের ভিত্তিতে তা প্রতিরোধ করা না হলে স্বাধীনতার চেতনা বা রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অর্থাৎ “গণতন্ত্র (সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং-৮) দিনে দিনে ধূলিস্যাতের জন্য জাতিকে আর বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা এমনিতেই চালু হয়ে গেছে, বাকী শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
বিঃ দ্রঃ কলামিষ্ট তৈমূর আলম খন্দকার প্রনীত “মিথ্যার কাছে জাতি পরাজিত” এবং “নিশি রাত্রির দ্বিপ্রহর” একুশে গ্রন্থ মেলা-২০১৯ এ প্রকাশিত হচ্ছে। তাছাড়া পূর্বে লেখক প্রনীত “মীরজাফর যুগে যুগে” “সময়-অসময়” ও “রাজনীতির ভগ্নাংশ” একুশে গ্রন্থ মেলার ৫৬২নং ষ্টলে পাওয়া যাবে।

লেখক: অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার
কলামিষ্ট ও আইনজীবি (এ্যাপিলেট ডিভিশন)
বিঃদ্রিঃ এই লেখা লেখকের ব্যক্তিগত মতামত যা অনলাইন পোর্টাল ‘ সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’ এর নয়।

বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর ‘বসন্ত বরণ উৎসব’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

১৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষ্যে বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী’র উদ্যোগে বসন্ত বরণ উৎসব পালিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে পিঠা-পুলি আর সংস্কৃতি সমৃদ্ধ গান-কবিতায় উৎসবটি সাজানো হয়। সকাল ১১টায় উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধণ করেন বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি ও বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী।

একাডেমীর নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু ও সদস্য শাহী ইফাৎ জাহান মায়ার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে অংশ নেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মোঃ মোখলেছুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোঃ আবুল জাহের, বন্দর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রোমানা আক্তার, বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশীদ, বন্দর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার, বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম. নূরুল আমিন, বন্দর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী সালিমা হোসেন শান্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক সোনিয়া রহমান, বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সদস্য আশরাফ আলী, সাব্বির আমিরসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মোহাম্মদ হোসেন নূর, নাট্যাভিনেতা আল মামুন, বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ গভর্ণিং বডির সদস্য আতাউর রহমান আরজু, সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

৫ ঘন্টা ব্যাপী এ অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি মোঃ ওবায়েদউল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু, কার্যকরি সদস্য মিতু মোর্শেদ, রইস মুকুল, ফজলুল করিম, মোঃ সেলিম ও রোকসানা রহমান সামিয়া। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী নাজমা সুলতানা, হাফেজ সরকার, মোয়াজ্জেম হোসেন, সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু, মাহাবুবুল ইসলাম, সুরমি রায়, আকলিমা আক্তার রতœা, দেলোয়ার হোসেন, মনসুর সাদেক আজাদ, পিকে পারভেজ, লিজা আক্তার, পুস্পিতা রায়। নৃত্য পরিবেশণ করেন রোকসানা রহমান সামিয়া ও তার দল। কবিতা আবৃত্তি করেন রইস মুকুল,মোয়াজ্জেম হোসেন ও কবি সিরাজুল ইসলাম।

বন্দর গকুল দাসেরবাগে রাস্তা নির্মাণ ধীরগতি, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লায়ন সাইফুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম কন্ট্রাক্টরের ব্যক্তিগত অর্থায়নে অত্র ওয়ার্ডের গকুলদাসেরবাগ পূর্বপাড়া ইদ্রিছ আলীর বাড়ী থেকে শারইল লাল মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত প্রায় পৌনে ১ কিলোমিটার রাস্তাটির মাটি ভরাট কাজের ৯৫ ভাগ কাজ গত ১৫ দিনে শেষ করার পরও রাস্তার উদ্যোক্তারা অদৃশ্য কারণে রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারছেন না জানতে পেরে স্থানীয়রা তাদের পক্ষে ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

বিক্ষোভকালে স্থানীয়দের মধ্য থেকে আবদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, দ্বীন ইসলাম, শফিক, নজরুল ইসলাম, মোকাদ্দেছ, তারেক, শ্রমিক পার্টি নেতা রফিকুল ইসলাম, নূর হোসেন, হারুন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের জানান, রাস্তার অভাবে অত্র শারইল গ্রামের কয়েক শত মানুষ দীর্ঘদিন কর্মস্থলে যাওয়া নিয়ে বিশাল বিপাকে পড়ে আছেন এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও চলাচলে মারাত্মক সমস্যা মোকাবেলা করে আসছে। প্রয়োজনে উক্ত গ্রামের মানুষ অন্য এলাকা দিয়ে ঘুরে গকুলদাসেরবাগ চৌরাস্তায় আসা-যাওয়া করে যা তাদের কর্মস্পৃহাকে নষ্ট করে সময়ের যথেষ্ট অপচয় করে থাকে।

তারা আরও বলেন, জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের গকুলদাসেরবাগের বাসিন্দা লায়ন সাইফুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম কন্ট্রাক্টরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও তারা রাস্তার জায়গা ক্রয় করে ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৫ ফুট প্রশস্ত করে রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ ৯৫ ভাগ শেষ করলেও স্থানীয় মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে প্রবাসী বাবুল রাস্তার জন্য তার বাড়ীর পাশে সামান্যটুকু জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় বাদবাকি ৫ ভাগ মাটি ভরাটের কাজ শেষ করা যাচ্ছেনা। প্রবাসী বাবুল একটা সময় রাস্তার জায়গা দিতে রাজি থাকলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী কুচক্রিদের প্ররোচণায় বর্তমানে সে জায়গা দিতে রাজি হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা আক্ষেপ করে জানান, ঠিক ১৫ বছর আগেও বাবুলের পিতা আবদুল হাই জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় এই রাস্তা নির্মাণ করা যায়নি এবং সে কারণে এ রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় দীর্ঘদিন আমরা চলাচলের ভোগান্তিতে পড়ে আছি। এখন যখন রাস্তার সকল কাজ শেষ এখন স্থানীয় কিছু কুচক্রি মহল প্রবাসী বাবুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে এখন রাস্তা নির্মাণকে বাধাগ্রস্থ করছে। যারা একাজ করেছে তারা চরম ঘৃণীত ও নীচু মনের পরিচয় দিয়েছেন। নির্মাণাধীন রাস্তাটি ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ পরিদর্শণ করেছেন এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি ভূঁইয়া রাস্তার জায়গা দিতে বাবুল ও তার পরিবারকে অনুরোধ জানালেও তারা তা উপেক্ষা করায় রাস্তা নির্মাণ বর্তমানে আটকে আছে।

এ বিষয়ে ধামগড় ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরে রুপান্তর করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বন্দরের প্রতিটি গ্রামে ভাল রাস্তা থাকবে যাতে রাস্তা দিয়ে জনগণ নির্বিঘেœ কর্মস্থলে যেতে পারে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার নির্বিঘেœ যেতে পারেন এমন স্বপ্ন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান দেখে যাচ্ছেন। তার স্বপ্নের আলোকে মানুষের ভোগান্তি লাঘবে আমরা রাস্তা নির্মাণের দিকে এগিয়ে গিয়েছি এবং বর্তমানে অবশিষ্ট রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের চলাচলের বিষয়টি সুগম করতে এমপি সেলিম ওসমানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বসন্তে নেতাকর্মীদের নিয়ে হারিয়ে গেলেন খোকন সাহা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। তিনি একজন আইনজীবী ও রাজনীতিক। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি। ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি পদেও। এই রাজনীতিককে সচারাচর আনন্দ উল্লাস করতে তেমন একটা দেখা যায়না। আইন পেশা ও রাজনীতির প্রতি তিনি খুব সিরিয়াস। ইদানিং জাতীয় পত্রিকায় তিনি রাজনীতি নিয়ে লেখালেখীও করছেন। কিন্তু এবার বসন্তের আগমনকে নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বাগত জানালেন এই রাজনীতিক। দেখা গেল হাস্যোজ্জল। নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করলেন আনন্দ।

জানাগেছে, পহেলা ফাল্গুনের প্রথম প্রহরে সকল ব্যস্ততাকে পদদলিত করে নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ উপভোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে তিনি বন্দরের সাবদী ফুল কাননে গিয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেন।

পহেলা ফাল্গুনের দোলা সাজানো রজনীতে খোকন সাহা বাসন্তি রঙ্গের পাঞ্জাবী ও তার সহকর্মী আওয়ামীলীগ নেত্রী মাহমুদা মালাসহ অন্যান্য নারী নেত্রীরাও লাল আর সবুজের শাড়ী পড়ে খোপায় গাদা পলাশ ফুলের মালা পড়ে আনন্দ উপভোগে খুজে নিচ্ছে শ্বাশ্বত বাঙ্গালিয়ানা। এ সময় মাতাল করা নানা ফুলের সৌরভে আওয়ামীলীগ নেতা খোকন সাহা যেন তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উৎসবের মধ্য দিয়ে ঋতুরাজকে স্বাগত জানালেন।

এ সময় খোকন সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশিদা বেগম, মায়ানুর আহমেদ মায়া, নীল আক্তার নিশি, অ্যাডভোকেট চায়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি রুহুল ও দায়েন সহ অন্যান্যরা।

নারায়ণগঞ্জে ৪১ জুয়ারি সহ ৭১ জন আটক, সাধুবাদ পেল এসপি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৭১ জনকে আটক করেছে জেলা পুুলিশ। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে ৪১ জন জুয়ারীকে একটি স্পট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুুলিশ। তাদের প্রত্যেককে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে ৪১ জন জুয়ারিকে আটকের বিষয়টি নারায়ণগঞ্জে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারন এ জুয়ারীর আসরটি বিশেষ মহলে বিভিন্ন এমপিদের নাম ভাঙ্গিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন বলেও জানাগেছে। এর আগেও নারায়ণগঞ্জে ২৪ জন জুয়ারিকে আটকের ঘটনা ঘটেছিল। তারপর আবারো রহস্যজনক ক্ষমতাবলে জুয়ার আসর বসানো হয়। কিন্তু এবার ছাড় দেয়া হয়নি।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসষ্ট্যান্ড, কালীরবাজার ও আশেপাশের এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের ক্ষমতাধর দাবি করে রমরমা জুয়ার আসর পরিচালনা করছে আসছিল। যা এবার গুড়িয়ে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। নারায়ণগঞ্জের এই পুলিশ সুপার কোন ক্ষমতাধরকে তোয়াক্কা করেননি। তিনি অপরাধীদের অপরাধী হিসেবেই আটক করেছেন। তবে ধরা ছোয়ার বাহিরে রাঘববোয়ালরা।

গত ১২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাতে পুলিশের এমন কঠোর অভিযানে ৪১ জন জুয়ারীকে জুয়ার আসর থেকে আটকের পর নারায়ণগঞ্জের সকলের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। একই সাথে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে সাধুবাদ জানায় নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল। অনেকেই পুলিশ সুপারকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিনন্দনের ঝড় তুলেছেন। এদিকে আটককৃত ৪১ জুয়ারী সহ ৭১ জনকে আদালতে পাঠানোর পর আদালত জুয়ারীদের শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিলেও অন্যান্যদের বিষয়ে আদালত ভিন্ন ভিন্ন আদেশ প্রদান করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানাগেছে।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাতটি থানায় গত ১১/০২/২০১৯ খ্রিঃ ২০.০০ ঘটিকা হইতে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। গত ১২/০২/২০১৯ খ্রিঃ ২০.০০ ঘটিকা হইতে ১৩/০২/২০১৯ খ্রিঃ ০৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল থানায় অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযানে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ), (সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার)। উক্ত অভিযান পরিচালনায় কাজ করে মোট ১৪ টি টিম। প্রতি টিমে একজন করে সাব ইন্সপেক্টর সহ ৯ থেকে ১০ জন করে ফোর্স অংশগ্রহণ করে। উক্ত অভিযানে মোট ২৯ টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (জি.আর) ও ১২টি (সি.আর) তামিল করা হয় এবং ২টি সাঁজা পরোয়ানা গ্রেপ্তার করা হয়। মোট ৪৩টি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) নিষ্পত্তি করা হয়। এছাড়াও অভিযানে ১৩৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ১ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা, অভিযানে মোট ১৮টি মাদক মামলা দায়ের করা হয় এবং এ সংক্রান্ত্রে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আড়াইহাজারে সেই ব্যারিস্টার সুমনের ফেসবুক লাইভ, প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বেশকটি যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেশের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে আলোচনায় আসছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। তার প্রতিটি ফেসবুক লাইভের পর তাৎক্ষনিক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাও গ্রহণ করছেন। এবার তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের একটি অসংগতি ফেসবুকে তুলে ধরেন। যার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বাগবাড়ি এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বিকল অবস্থায় পড়ে ছিল একটি বাস। এ পথে যাওয়ার সময় আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুুমন বাসটি ৬ মাস যাবত পড়ে রয়েছেন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি লাইভ করেন। যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর বাসটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন।

ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন গত শুক্রবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাগবাড়ি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তার বাড়ি। ওই সময় তিনি ফেসবুকে একটি লাইভ ছাড়েন। যেখানে তিনি দাবি করেন মহাসড়কের পাশে একটি বাস ৬ মাসের উপরে বাসটি পড়ে আছে বলে জানান। গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-১১-১৫২২। গাড়িটি পড়ে পঁচতেছে এখন। এত ব্যস্ততম সড়ক। এমন ব্যস্ততম সড়কে রাস্তার সাইট দখল করে আছে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ নাই যেখানে গাড়ি এভাবে পড়ে থাকবে। অথচ গাড়িটি পড়ে আছে কেউ খবর নিচ্ছেনা। মহাসড়ক কি কোন পরিত্যাক্ত গ্যারেজ যেখানে গাড়ি ফেলে রাখবেন? এ রকম মহাড়কের পাশে এমন একটি গাড়ি পড়ে থাকবে সেটা কেউ সরাবে না? তাহলে আমরা কিসের মধ্যে আছি?

এছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জের ডিসি এসপি ওসির দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি হাড় জোড় করে অনুনয় বিনয় করে বলেন, এখানে আমার জান যেতে পারে। আপনার জানও যেতে পারে। ৬ মাস একটি মহাসড়কে গাড়ি পড়ে থাকতে পারে না। এটা যদি এভাবে পড়ে থাকে এটা কোন যুদ্ধবিধ্বংস্ত দেশ না। আমাদের সব কিছু আছে। এটার জন্য দায় তো অন্য কেউ নিবে না। আপনারা যারা প্রশাসন আছেন তারা যদি সরান তাহলে আমরা মারা যাবো। ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের ওই ভিডিও লাইভটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘ সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, ওই গাড়িটি মালিক সরিয়ে নিয়ে গেছে। আমার দৃষ্টিতে বিষয়টি আসার পর সঙ্গে সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে গাড়িটি সরাতে কাজ করি এবং গাড়ির মালিক গাড়িটি নিয়ে গেছেন।

বন্দরে সোনাকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল মনোনয়নের শেষ দিনে উৎসব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সারাদেশের মত নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অত্যন্ত উৎসবমূখর পরিবেশে ৫১নং সোনাকান্দা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল-২০১৯ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২০ফেব্রুয়ারী এ স্টুডেন্ট কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারবে।

আজ ছিল মনোনয়ন নেওয়ার শেষ দিন। ১৪ তারিখে মনোনয়ন বাছাই এবং ১৫ তারিখ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হবে। বুধবার মনোনয়ন সংগ্রহের সমাপনী দিনে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী মায়েদা আহম্মদ তুলি মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। শিশুকাল থেকে গণতন্ত্র চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধাশীল হতে এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠনের গুরুত্ব অপরিসীম। নির্বাচনে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল হককে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আহাম্মদ আলী, আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল হাসান মৃধা, এমএ কাইয়ুম, শারমিন শিমু, প্রধান শিক্ষক মাজেদা বেগম, শিক্ষক নুর জাহিদ বাদল, শেখ কামাল, শাহআলম, নিপা আক্তার, মেহেরুজ জাহান মীম, বিবি কুলসুম ও অনন্যা সূত্রধর প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ