নারায়ণগঞ্জে বিএনপির আইনজীবী নেতারাও বিপর্যস্ত!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সারাদেশে যখন বিএনপি নাজেহাল অবস্থা তখন নারায়ণগঞ্জে বিএনপিরও একই অবস্থা। তবে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও নারায়ণগঞ্জের বিএনপির আইনজীবীরা ছিলেন দাপটে প্রতিবাদী। কিন্তু সেই দাপট যেনো হারিয়ে ফেলেছেন এখানকার বিএনপির আইনজীবীরাও। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবার বিএনপির আইনজীবীরা ছিলেন কোণঠাসা। কিন্তু বিএনপির উপর নির্বাচনে চাপ থাকলেও প্রতিবাদ করার সাহসটুকু দেখাতে পারেননি এখানকার বিএনপির আইনজীবীরা। যার ফলে সরকারি দলের কাছে চরম পরাজয় বহন করতে হয়। বিপর্যস্ত এখন বিএনপির আইনজীবীরা।

জানাগেছে, গত ২৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ১৭টি পদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন কার্যকরী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব ভূঞা গোপাল নির্বাচিত হন। বাকী ১৬টি পদেই জয় হয় আওয়ামীলীগ। যা ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে সমিতির নির্বাচনে সদস্য পদে জয়ী হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম হোসেন। যার পূর্নরাবৃত্তি দেখা গেল এবারের নির্বাচনে।

তবে নির্বাচনের দিন সকালে বিএনপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানকে কোর্ট থেকে সরকারি দলের লোকজন বের করে দিয়ে সন্ধা বেলায় ছেড়ে দিলেও বিএনপি টু শব্দও করতে পারেননি। একই দিন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের ছেলেকে আটক করেছিলেন ডিবি পুলিশ। যা নির্বাচন কেন্দ্রীক বলে দাবি করলেও প্রকাশ্যে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণের সময় মধ্য রাতে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট রাসেল প্রধান অমানসিক নির্যাতনের শিকার হলেও বিএনপি মুখ খুলতে সাহস করেনি। যদিও নির্বাচনের দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব অভিযোগ বিএনপির সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির মিডিয়াতে করে আসছিলেন। কিন্তু দলীয়ভাবে কোন জোড়ালো প্রতিবাদ করেনি বিএনপি।

এদিকে নির্বাচনের এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর ৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে টেক্সেস বার এসোসিয়েশন কার্যালয়ে বিএনপির আইনজীবীরা নির্বাচন পরবর্তী সভা করেছেন। ঘরোয়া এই সভায় বিএনপির আইনজীবীরা কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। সভা সূত্রে জানাগেছে, সিনিয়র আইনজীবীরা বলেছেন সমিতির নির্বাচনে নানা অভিযোগ তুলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখানের ঘোষণা করবেন।

তবে নির্বাচনের শুরুতেই বিএনপির হেভিওয়েট আইনজীবীরা নির্বাচনে দাড়াতে চাননি। অনেকটা আইনজীবীরা ধরে টেনে হেছড়ে প্রার্থী করেছেন বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীরা। নির্বাচনে অনেক টানাপোড়ানের পর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হলেও সদস্য পদে অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে অপূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি। তবে বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীদের দাবি- গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নাজেহাল অবস্থার পর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্যানেল দেয়াটাকেই সফলতা মনে করছেন। নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত বিএনপি এখানে টিকে ছিল এটাকেই তারা বড় করে দেখছেন এবং এবারের নির্বাচনে বিএনপির আইনজীবীরা ছিলেন ঐক্যবদ্ধ। ফলে এ নির্বাচনে তাদের পরাজয়ের কিছু নাই বলে দাবি করেছেন।

পূনর্বাসনের পর পূনর্গঠন: থাকবে প্রবীণ না নবীন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বিএনপিকে আগে পূনর্বাসনের কাজ করা হবে পরে হবে পূনর্গঠন। তবে এই পূনর্গঠনের পর নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে কারা থাকবেন নেতৃত্বে তা নিয়ে একই নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে নানা আলোচনা। এখানে রয়েছেন ডজন খানিক প্রবীণ বিএনপি নেতারা যারা ইতিমধ্যে বয়সের ভারে নুব্জ। আবার উদীয়মান বেশকজন নবীণ বিএনপি নেতা রয়েছেন যাদের হাতে আসতে পারে বিএনপির নেতৃত্ব। তবে গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সারাদেশের মত নারায়ণগঞ্জেও বিএনপি বিপর্যস্ত। মানসিকভাবে বেশ দূর্বল হয়ে পড়েছে বিএনপি। আশাহত হয়েছে অনেকেই রাজনীতির বাহিরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আবার প্রবীণ রাজনীতিকদের চলছে বিদায় ঘন্টা।

নেতাকর্মীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে এখণ অভিভাবকের ভুমিকায় আসতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। বর্তমান জেলা ও মহানগর বিএনপির চরম ব্যর্থতার কারনে আবারো সামনে চলে আসছে তৈমূর আলম খন্দকারের নাম। বর্তমান জেলা বিএনপির কমিটির চেয়ে তৈমূর আলমের আমলে বেশ ভালই ছিল বিএনপি। প্রতিটি কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন সক্রিয়। রাজপথে পুলিশের লাঠি পেটা কিংবা গ্রেপ্তার হলেও পিছু হটেননি এই নেতা। তবে তার যথেষ্ট বয়সও হয়েছে। সেই অনুপাতে তিনি আবারো জেলা বিএনপির কর্ণধার হলে আগের মত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও বেশ সংশয় রয়েছে। তবে মানসিকভাবে তৈমূর আলম খন্দকার বেশ শক্ত। ইতিমধ্যে তিনি নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রবীণ যে সব নেতা রয়েছেন তাদের মধ্যে তৈমূর আলম খন্দকারই বেস্ট নেতা। যদিও এবারের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি।

অধ্যাপক রেজাউল করিম যিনি অনেক আগেই রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম ও দলের কর্মকান্ড থেকে দূরে রয়েছেন। সংস্থারবাদী এই নেতা এখন শারীরিকভাবে ফিট নন। এক সময় জেলা বিএনপির সভাপতি পদে থেকে দাপটের সাথেই বিএনপির রাজনীতি করেছিলেন। বেশককবার বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে হয়েছিলেন এমপি। দায়িত্ব পালন করেছিলেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও। এক এগারোর সময় দলের বিরোধীতা করেছিলেন চরমভাবে। তারপরও ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পান এবং পরাজিতও হন। একাদশ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। তার আসনে মনোনয়ন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির রাজনীতিতে চমক নিয়ে এমপি হওয়া আসা গিয়াসউদ্দীনের রাজনীতিও কোনঠাসা। এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। তার আসনে মনোনয়ন পান ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। এ আসনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন শিল্পপতি কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম। বিএনপির রাজনীতিতে গিয়াসের সেই আগের দাপট এখন আর নেই। তার রাজনীতিও শেষের দিকে। তিনি চেষ্টা করছেন তাদের দুই ছেলেকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে। তিনিও রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন না।

বিএনপির একাধিকবার সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের রাজনীতিও শেষের দিকে। তিনিও শারীরিকভাবে ফিট নন। যদিও তিনি মহানগর বিএনপির সভাপতির পদে রয়েছেন। তার আসনে এবার মনোনয়ন পান ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক এমপি এসএম আকরাম। ক্লিন ইমেজধারী এই রাজনীতিকের এখন উদ্দেশ্য তার একমাত্র সন্তান মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশাকে প্রতিষ্ঠিত করা। নতুন কমিটি হলে তিনি স্বপদে বহাল থাকবেন কিনা তা নিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে।

বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। তিনিও সংস্কারবাদীদের একজন। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে কারনে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। তার আসনে মনোনয়ন পান তার বড় ভাই প্রয়াত বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আসনে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।

একইভাবে বয়সের ভারে নুব্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। ৯ম ও একাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন পান কাজী মনির। এ আসনে ১/১১ এর সময় কারাগারে যাওয়ার আগে মনোনয়ন পান তৈমূর আলম খন্দকার। জেলা বিএনপির দায়িত্ব পাওয়ার পর চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন কাজী মনিরুজ্জামান মনির। তিনি একজন শিল্পপতি। যে কারনে দলের রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে কখনই ছিলেন না। সাধারণ মানুষের সঙ্গেও তিনি মিশতে পারেন না। তারও রাজনীতিতে বিদায় বেলা।

এদিকে নবীণ রাজনীতিকদের সবচেয়ে বেশি আলোচিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় ব্যাপক আন্দোলন করে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি। যার ফলে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী করা হয় তাকে। কিন্তু মেয়র আইভীর কাছে তিনি ধুপে টিকেননি। হয়েছেন পরাজিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে আসলেও নির্বাচনের আগেই তিনি গ্রেপ্তার হয়ে বন্দি হন কারাগারে। জামিন পান নির্বাচনের পর। দলের প্রাথমিক বাছাইয়েও তাকে রাখা হয়নি।

অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। একজন রাজপথের সক্রিয় নেতা। তিনি জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদে রয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনে তিনি দলের প্রাথমিক মনোনয়ন বাছাইয়ে ছিলেন। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে তার ভুমিকা ছিল খুব নগন্য। দলের সেক্রেটারি পদে থাকলেও তিনি দলের হাল ধরেননি। নির্বাচনে তিনি একদিনও দলের প্রার্থীর পাশে এসে দাড়াননি। জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদে থাকলেও জেলার কোন প্রার্থীর পক্ষে তিনি ছিলেন না। তার ভুমিকা ছিল রহস্যজনক।

এ জেলায় নবীণ রাজনীতিকদের মধ্যে বেশ আলোচিত কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া। তিনিও দলের প্রাথমিক মনোনয়ন বাছাইয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ দেয়া হয়। তিনিও দলের আন্দোলন সংগ্রাম তো দুরের কথা দলের মানববন্ধণ কর্মসূচিতেও তিনি ছিলেন না। এমনকি তার দলের নেত্রী কারাগারে যাওয়ার পর তিনি সক্রিয় হননি। বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটি তার চাটুকার শ্রেণির কর্মীদের পদে বসিয়ে আনতে তিনি বেশ লবিং করেন জোড়ালো। কিন্তু কমিটি এনে দিলেও তিনি রাজনীতি করেন নির্বাচন কেন্দ্রীক।

জেলায় জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। আড়াইহাজারের রাজনীতিতে তিনি থাকলেও সেখানকার বিএনপির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে পারেননি তিনি। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে লবিং করে মনোনয়ন ভাগিয়ে আনলেও মাঠেই নামতে পারেননি তিনি। তার নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন আড়াইহাজারের বাহিরের নেতাকর্মীরা। জেলার আলোচিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আড়াইহাজারে তিনি প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেখানকার বিএনপির নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে নেই।

এক সময়ের কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন। তিনিও বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন বাছাইয়ে ছিলেন। তার বাবা কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর মৃত্যুর আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে তাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে বসান। চূড়ান্ত মনোনয়ন তিনি ভাগিয়ে আনতে পারেননি। আড়াইহাজারের বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন স্বপ্ন দেখছেন সুমনকে নিয়ে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তার বড় ভাই তৈমূর আলম খন্দকার। খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর আগেও একই ওয়ার্ড থেকে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনেও জয়ী হন। জনপ্রিয় এই কাউন্সিলর এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন বাছাইয়ে মনোনিত হন। ইতিমধ্যে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে সাংগঠনিক নেতা হিসেবে তিনি পরিচয় দিয়েছেন। মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বপ্ন দেখছেন তাকে নিয়ে।

সাবেক এমপিরা ইয়াবা গাঁজা ছাড়া কিছুই আনতে পারেনি: দেলোয়ার প্রধান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সাবেক এমপিরা ইয়াবা ও গাঁজা ছাড়া আর কিছুই আনতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান। তিনি বলেন, বিগত দিনে এই আসনে বহু এমপি এসেছে কিন্তু তারা কি করেছে তা আমাদের দেখা আছে। তারা আমাদের এলাকায় ইয়াবা, গাঁজা ছাড়া আর কিছুই আনতে পারেনি। আমি আকরাম সাহেবকে বাবা বলে সম্বোধন করতাম কিন্তু যে তো গিরিগিটি ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। তাই বলি যে মায়ের চরিত্র ভালোনা সেই মায়ের সন্তান কেমন হবে?

২১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দীঘলদী এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, সেলিম ওসমান হল আমার পীর। তিনি কোন চাঁদাবাজী করে না। আমরা চেয়ারম্যানরা না খেয়ে আছি। তবুও আমাদের একটি সুনাম রয়েছে যে আমারা কোন টেন্ডারবাজ বা চাঁদাবাজ এমপির আন্ডারে নেই। পৃথিবিতে এমন কোন পীর দেখেছেন যার দরবারে টাকা দিতে হয় না? কিন্তু আমার পীর কারো কাছ থেকে টাকা নেয় না বরং টাকা দেয়। তাই সময় হয়েছে এই পীরের ঋণ শোধ করার। অতএব ভূল নয় সেলিম ওসমানকেই ভোট দিন। আর বিবেককে জয়ী করুন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মকবুল হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাস মীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, সিদ্দিকুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, তাজুল ইসলাম, কাজী নাসির, জালাল উদ্দিন জালু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, সুনিল দাস, আওয়ামীলীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাষ্টার ও আক্তার হোসেন প্রমুখ।

বিমর্ষ কর্মীদের ইকবাল পারভেজের শান্তনা: নৌকায় কাজ করো

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

দমে যায়নি আড়াইহাজারের ইকবাল পারভেজ। নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন না পেলেও তার ভালবাসার টানে ইকবাল পারভেজের বাসায় শোডাউন করে যোগদান করলেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। গত কয়েকটি বছর ধরে নিয়মিত হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে আড়াইহাজারের মাঠ চষে বেড়িয়েছিলেন ইকবাল পারভেজ। সেইসব নেতাকর্মীরা ইকবাল পারভেজের বাসায় এসে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। স্তব্ধ বিমর্ষ নেতাকর্মীদের শান্তনাও দিলেন ইকবাল পারভেজ। নেতাকর্মীদের শান্তনা দিয়ে বলেছেন, যেখানে নৌকা সেখানেই শেখ হাসিনা। আমরা শেখ হাসিনাকে চিনি। তোমরা নৌকার পক্ষে কাজ করো। নৌকার বিজয় শেখ হাসিনার বিজয়।

জানাগেছে, ২১ ডিসেম্বর শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বাড়ৈপাড়া এলাকায় নিজ বাসভবনে আসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের তথ্য যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল পারভেজ। ওই সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা শোডাউন করে তার বাসায় উপস্থিত হন। আসেন স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিরাও।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনেকটা বিমর্ষ ছিলেন ইকবাল পারভেজও। কারন এর আগেই নেতাকর্মীদের অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কয়েকটি বছর ধরে ইকবাল পারভেজকে নিয়ে আড়াইহাজারের মানুষের ঘরে ঘরে নৌকার জন্য ভোট চাইতে গিয়েছিলেন এসব নেতাকর্মীরা। কিন্তু শেষতক মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবুই।

নেতাকর্মীদের ইকবাল পারভেজ বলেন, যেখানে নৌকা সেখানেই শেখ হাসিনা। আমরা শেখ হাসিনাকে চিনি। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করব। তোমরা নৌকার পক্ষে ঝাপিয়ে পড়ো। নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে কাজ করো। এটাই বিশ্ব মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। আমি আড়াইহাজাবাসীর পাশে ছিলাম এবং থাকবো।’ ওই সময় অনেক নেতাকর্মী কথা বলতে গিয়েও স্তব্ধ হয়ে যান। তখন নেতাকর্মীদের শান্তনা দেন ইকবাল পারভেজ।

জানাগেছে, ইকবাল পারভেজকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছিলেন সাবেক এমপি এমদাদুল হক ভুইয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুজাহিদু রহমান হেলো সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা রূপ মিয়া মেম্বার ও ছাত্রলীগ নেতা রুবেল সরকার সহ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল -এ আসনে পরিবর্তনের শ্লোগান।

লাঙ্গল চষতে পারছেনা সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের একাংশ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মহাজোট মনোনিত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকাকে নিয়ে মাঠে নেমেছেন সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। কিন্তু ভোটারদের কাছে লাঙ্গল প্রতীকটি আগ্রহী করে তুলতে পারছেনা আওয়ামীলীগের এ অংশের নেতাকর্মীরা।

যে কারনে স্থানীয়রা বলছেন- সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের এসব নেতাকর্মীরা মাঠে নামলেও নির্বাচনের মাঠে লাঙ্গল চষতে পারছেনা। এখানে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় আওয়ামীলীগের সকল শ্রেণির নেতাকর্মীদের কাছে লাঙ্গলের গ্রহনের যোগ্যতা তুলে ধরতে পারেননি। এখানে লাঙ্গলের জয়ের আশা ক্ষীণ। অন্যদিকে কায়সার বলছেন, এ আসনে তিনি নির্বাচিত হয়ে ভোটের দিন রাতেই শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দিবেন।

জানাগেছে, এমপি খোকার নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইঁয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূরজাহান বেগম লাঙ্গলের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। তবে সেটা শুধুমাত্র ফটোসেশন ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেকটা নিয়ম রক্ষার্থে তারা মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। বিশেষ করে কালামের সঙ্গে কায়সার হাসনাতের দূরত্ব থাকায় তিনি চাচ্ছেন এখানে খোকা ও কায়সার হাসনাতের দুজনেই পরাজয়। এতে কালামের রাজনীতি এখানে টিকে থাকবে।

এছাড়া সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান, পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, কাঁচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রউফ, বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল হক, নোয়াগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, জামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হা-মীম শিকদার শিপলু, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব, সনমান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ ও সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু নির্বাচনী প্রচারনায় সক্রিয় আছেন। যে কারনে এখানে আশা ছাড়েনি খোকার সমর্থকেরা। তারা এখণও শেষ চেষ্টা করছেন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ভোটের লড়াই বাড়াতে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।

এবার মোশারফ হোসেনও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। মোশারফ হোসেন এখন মাঠে নেমেছেন ভাতিজা কায়সার হাসনাতের পক্ষে। মোশারফ হোসেন একটি সমাবেশে বলেছেন, এমপি খোকা আপনি বাড়ি গিয়ে ঘুমান। সোনারগাঁয়ে আপনার ১০ পারসেন্ট ভোটও নাই। আপনি ১০ পারসেন্ট ভোট পেলেই আমরা ধরে নিব আপনি এমপি হয়ে গেছেন। তাই খেলা বাদ দিয়ে বাড়ি গিয়ে ঘুমান। আপনি যে খেলা খেলতে চান সেই খেলা আমরা ৬০ বছর আগেই শেষ করে এসেছি।’

এ আসন থেকে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন এরশাদের পালিত মেয়ে ও কেন্দ্রীয়মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তবে তার মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আপীল করেন। আপীলেও তার মনোনয়ন বাতিল করা হলে তিনি এখন আর নির্বাচনী আলোচনায় নেই। কারো পক্ষেই এখনও তিনি মাঠে নামেননি। সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতিও ছিলেন তিনি। গত ২০ নভেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজকে কেন্দ্র করে মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামাল দায়ের করে এমপি খোকা অনুগামী উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুুল হক মাস্টার। ওই মামলার পর দিন সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টি থেকে মৌসুমীকে বাদ দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা জাতীয়পার্টি।

সোনারগাঁ আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চান কায়সার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যদি আল্লাহ সহায় হন তাহলে আগামী ৩০ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতেই এই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই। সেজন্য আপনারা সকলে একত্রে কাজ করে সিংহ প্রতীককে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।

২১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের উলিপুরা বাজারে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে ভোট প্রার্থনা করেন। উঠান বৈঠক শেষেও তিনি রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন।

কায়সার হাসনাত আরো বলেন, আমি আপনাদের সুখে রাখতে চাই। আপনাদের সুখে দুঃখে সাথে থাকতে চাই। আমি যতদিন ক্ষমতায় ছিলাম ততদিন এ সোনারগাঁয়ে কাউকে হামলা মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করিনি। আমি সোনারগাঁয়ে সকল রাজনৈতিক দল মতাদর্শের মধ্যে সহাবস্থানের রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলাম। আমি যদি আগামীতে ক্ষমতায় আসি তাহলে সকল রাজনৈতিক দলের লোকদেন দিয়ে এক ছাদের নিচে বসবাস করবো। যেখানে থাকবেনা কোন হানাহানি মারামারি ও ক্ষমতার অপব্যবহার। সেজন্য আমাকে সিংহ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুর ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম রুমা ও রোকসানা মেম্বার সহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার লোকজন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।

এবার মোশারফ হোসেনও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। মোশারফ হোসেন এখন মাঠে নেমেছেন ভাতিজা কায়সার হাসনাতের পক্ষে। মোশারফ হোসেন একটি সমাবেশে বলেছেন, এমপি খোকা আপনি বাড়ি গিয়ে ঘুমান। সোনারগাঁয়ে আপনার ১০ পারসেন্ট ভোটও নাই। আপনি ১০ পারসেন্ট ভোট পেলেই আমরা ধরে নিব আপনি এমপি হয়ে গেছেন। তাই খেলা বাদ দিয়ে বাড়ি গিয়ে ঘুমান। আপনি যে খেলা খেলতে চান সেই খেলা আমরা ৬০ বছর আগেই শেষ করে এসেছি।’

এ আসন থেকে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন এরশাদের পালিত মেয়ে ও কেন্দ্রীয়মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তবে তার মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আপীল করেন। আপীলেও তার মনোনয়ন বাতিল করা হলে তিনি এখন আর নির্বাচনী আলোচনায় নেই। কারো পক্ষেই এখনও তিনি মাঠে নামেননি। সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতিও ছিলেন তিনি। গত ২০ নভেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজকে কেন্দ্র করে মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামাল দায়ের করে এমপি খোকা অনুগামী উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুুল হক মাস্টার। ওই মামলার পর দিন সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টি থেকে মৌসুমীকে বাদ দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা জাতীয়পার্টি।

আমরা সন্ত্রাসী না, তাই ভোট চুরির চিন্তাও করিনা: মান্নান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেছেন, আমরা সন্ত্রাসী দল করি না। তাই আমরা ভোট চুরির চিন্তাও করিনা। আমরা জনগণের রায়ে বিশ্বাসী। যারা ভোট চুরি, ভোট বাক্স ডাকাতি, কেন্দ্র দখলের চিন্তা করে তাদের পক্ষে জনগণ নেই। তারা জনগণের রায়কে মানতে চায়না। ক্ষমতা দেখিয়ে জোর জুলুম অন্যায় অত্যাচার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু জনগণ তাদের চায়না। কিন্তু জনগণের অধিকার ভোট প্রদান করা। সেই ভোট চুরির চেষ্টা করা হলে জনগণ রুখে দাড়াবে। আমাদের উপর শত নির্যাতনেও আমরা দমে যাইনি। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।

২১ ডিসেম্বর বিকেলে সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নে গণসংযোগকালে দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকমকে এসব কথা বলেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। ওই সময় কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণ সঙ্গে ছিলেন।

মান্নান বলেন, আজ আমি শুধু নোয়াগাও ইউনিয়নে গণসংযোগ করছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নোয়াগাও ইউনিয়নে জনগণের মাঝে থাকব।

জাতীয়পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার অনুগামী আয়নাল মেম্বার ধানের শীষ প্রতীকে প্রচারনায় কিছুটা বাধা দিয়েছেন অভিযোগ করে মান্নান বলেন, আমি নোয়াগাও ইউনিয়নের মাঝে কোন বাধার সম্মুখীন হয়নি। তবে আনোয়ার মেম্বার নামে একজন সামান্য বাধার দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাছাড়া আমি কোন বাধার মুখে পড়িনি। আমরা সন্ত্রাসীদল না। আমরা সন্ত্রাসী করিনা। জনগণ আমাদের সাথে আছে। জনগণ যদি নিরাপদে আমাদের ভোট দিতে পারে তাহলে আমরা জয়ী হব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব ইনশাল্লাহ। আমরা সীল মারা, কেন্দ্র দখল, ভোট চুরিতে বিশ্বাস করি না। আমরা শান্তিপ্রিয় দল করি। আমরা এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি সোনারগায়ে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমাদের গণসংযোগকে নোয়াগাওবাসী বিপুল সাড়া দিচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রতিদিন রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা ৩০ তারিখ রাত ১২ টা পর্যন্ত মাঠে থাকব ইনশাহআল্লাহ।

এখানে উল্লেখ্যযে, এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সিংহ প্রতীকে লড়াই করছেন।

মির্জা ফখরুল আসার পথে বাঁশের বেরিগেট, দিল আগুণ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

২১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে জনসভায় বিকেলে ৩টায় যোগদানের কথা থাকলেও তিনি আসতে পেরেছেন বিকেলে সোয়া ৪টায়। কারন তিনি আসার পথেই বন্দরের মদনগঞ্জ সড়কে বাঁশের বেরিগেট দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দূর্বত্তরা। পরে জেলা পুুলিশ সুপার হারুন উর রশিদ গিয়ে বিপুল সংখ্যক পুুলিশ প্রহরায় মির্জা ফখরুর ইসলামকে নিয়ে সমাবেশে ভিন্ন পথে যোগদান করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়াও ওই জনসভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে এমপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জেলা বিএনপির সেক্রেটারী অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং এতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সেক্রেটারী এটিএম কামাল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি গ্রামে মানুষ জেগে উঠছে, যত মানুষ জেগে উঠছে, ততই নির্যাতনের মাত্রা বাড়াচ্ছে। মানুষ কখন নির্যাতন করে? যখন মানুষ একা হয়ে যায়। তাদের যে উন্নয়নের কথা বলছেন? সেটা দেশের উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই তা সরকার দলীয় নেতাদের পকেটের। দ্রব্যমূল্যের পাশাপাশি সব কিছুরই দাম বেড়েছে। বাড়ি ভাড়া বেড়েছে। অথচ, লাখ টাকা দিয়েও চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হা চাকুরী হচ্ছে। তার জন্য চাকুরীর আবেদনকারীদের ডিএনএ পরীক্ষা করে নেয়া হচ্ছে তাদের রক্তে আওয়ামীলীগ আছে কিনা।

এর আগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয় বন্দরের নবাব সিরাজদ্দৌল্লা ক্লাবের মাঠে। ওই ক্লাবের সভাপতি বিএনপির নেতা ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সুুলতান আহমেদ ভুইয়া মাঠে মঞ্চ তৈরি করতে বাধা দেন। এবং সেখানে সমাবেশ করার চেষ্টা করা হলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেন বিএনপির এই নেতা। তিনি নাশকতার বেশকটি মামলার আসামী। বর্তমানে সুলতান আহমেদ নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএস সেলিম ওসমানের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে আসছেন।


আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে এসএম আকরাম অভিযোগ করে বলেন, নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের মাঠে প্যান্ডেল তৈরির সরঞ্জামাদি নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে ক্লাবের কর্মকর্তা নেয়ামত উল্লাহ হঠাৎ করে বলেন সেখানে ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হবে তারা সেখানে প্র্যাকটিস করবেন। আমার জানা মতে, সেই মাঠের নির্দিষ্ট কোন মালিক নেই। এটি হয়তো কোন খাস জমি, কিংবা দানসূত্রে জায়গার উপর অবস্থিত। আমি থানায় বলেছি, এটা আমার কোন নির্বাচনী প্রচারণাও নয়, শুধুমাত্র একটি সভা।

‘সেখানে আমি বাদেও ঐক্যফ্রন্টের আর চারপ্রার্থীও থাকবেন। কিন্তু এতো বাধা কেন দেয়া হচ্ছে সেটি বোধগম্য না। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ বলেছে, বিএনপির কোন নেতাকর্মী সে সভায় গেলে ঠ্যাং ভেঙে দেয়া হবে। আসল কথা হলো এসব করার মানে তোমাদেরকে উচিৎ শিক্ষা দিয়ে দেয়া হবে।’

কোথাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই জানিয়ে এসএম আকরাম বলেন, ‘আমার সাথে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে প্রচারণায় নামতে পারছেনা। তারপরেও প্রচারণায় অনেক লোক হচ্ছে। মহাসচিব একজন। তাকে নিয়ে এসে একটি সভা করতে চাচ্ছিলাম। সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি।’

নারায়ণগঞ্জে ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দিতে বললেন মির্জা ফখরুল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ। নির্বাচন কমিশনের কোন ক্ষমতা নাই। তারা অসহায়। আমরা কথা বললেও তারা চুপ করে বসে থাকে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে বলেন, দেশের সংবিধান আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছে। অধিকার দিয়েছে। আপনি দায়িত্ব পালন করুন। যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। নতুবা জনগণ মেনে নিবে না।

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে নাকি লেভেল প্লেং ফিন্ড আছে। এক দল হাজার হাজার মানুষ নিয়ে সভা সমাবেশ করছে। আর আমাদের মাইক লাগাতে দেয়না। ভোট চাইতে দেয়না। দেশে এক অদ্ভূদ নির্বাচন হচ্ছে। আর সিইসি বলেছেন নির্বাচনের সুবাতাস বইছে, লেভেল প্লেইং ফিল্ড আছে। এসব কি ধরনের সুবাতাস। তবুও ৩০ তারিখ আমরা মুক্তির জন্য এই নির্বাচন করবো।

‘আপনারা ভোটের আগের দিন রাত থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিবেন। ভয় পাবেন না। ভয়ের কিছু নেই। আপনি ন্যায়ের জন্য ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষের জন্য ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নেন। মানুষ একবারই মরে, বীরের মৃত্যু নেই। বারবার মরবো না।’

২১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জনসভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে এমপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জেলা বিএনপির সেক্রেটারী অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং এতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সেক্রেটারী এটিএম কামাল।

এ সময় মির্জা ফখরুল সরকার ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেয়নি দাবি করে বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে বেকারদের চাকরি দেবো। না পারলে বেকার ভাতা দেবো। দেশে শিল্প কারখানা করবো, মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করবো। ধর্মীয় কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এদেশ সব ধর্মের মানুষের দেশ, কারো উপর হাত দেবেন না।’

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি বলেন তোমরা ঐক্যবদ্ধ থাকো এবং তোমরা জাতীয় ঐক্য গঠন করো। তাই আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করেছি।

‘৩০ তারিখ রায় দেওয়ার সময় আলোর দিকে থাকবেন নাকি অন্ধকারে থাকবেন, মুক্তির পথে থাকবেন নাকি পরাধীনতার পথে থাকবেন সেটা ভাবতে হবে।’

বিএনপির ১৬ জন প্রার্থীকে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তফসিল ঘোষণার পর হামলা-মামলা গ্রেপ্তার করা হবেনা কিন্তু হচ্ছে। তাহলে কি তাকে সত্যবাদী বলা যায়? হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, জামিন দেওয়া হচ্ছে না। প্রচারণা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটাই কি গণতন্ত্র?

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি গ্রামে মানুষ জেগে উঠছে, যত মানুষ জেগে উঠছে, ততই নির্যাতনের মাত্রা বাড়াচ্ছে। মানুষ কখন নির্যাতন করে? যখন মানুষ একা হয়ে যায়। তাদের যে উন্নয়নের কথা বলছেন? সেটা দেশের উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই তা সরকার দলীয় নেতাদের পকেটের। দ্রব্যমূল্যের পাশাপাশি সব কিছুরই দাম বেড়েছে। বাড়ি ভাড়া বেড়েছে। অথচ, লাখ টাকা দিয়েও চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হা চাকুরী হচ্ছে। তার জন্য চাকুরীর আবেদনকারীদের ডিএনএ পরীক্ষা করে নেয়া হচ্ছে তাদের রক্তে আওয়ামীলীগ আছে কিনা।

তবে বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও বন্দরের মদনপুরে মহাসড়কে কে বা কারা রাস্তায় বাশ ফেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে মির্জা ফখরুল ভিন্ন রাস্তা দিয়ে সমাবেশে প্রবেশ করেন। ওই সময় জেলা পুলিশ সুপার হারুন উর রশিদ মির্জা ফখরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বিকেলে সোয়া ৪টায় প্রবেশ করেন।

এর আগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয় বন্দরের নবাব সিরাজদ্দৌল্লা ক্লাবের মাঠে। ওই ক্লাবের সভাপতি বিএনপির নেতা ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সুুলতান আহমেদ ভুইয়া মাঠে মঞ্চ তৈরি করতে বাধা দেন। এবং সেখানে সমাবেশ করার চেষ্টা করা হলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেন বিএনপির এই নেতা। তিনি নাশকতার বেশকটি মামলার আসামী। বর্তমানে সুলতান আহমেদ নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএস সেলিম ওসমানের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে আসছেন।

স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে: ডিসি রাব্বী মিয়া

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া বলেছেন, এবারের নির্বাচন আমাদের জাতীয় জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটা আমাদের সমগ্র বাংলাদেশের নির্বাচন। অতএব এমন কিছু করা যাবেনা যেন জনগণ আমাদের কাছ থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠতা পেতে যত কিছু দরকার জেলা প্রশাসন তার ব্যবস্থা করবে। জনগণের নিরাপত্তায় যত ব্যবস্থা প্রয়োজন আমরা তা সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব।

২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন রাব্বী মিয়া।

তিনি আরো বলেন, যে কোন মূল্যে এ নির্বাচনে সকলের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে। নিজেদের পরিবারের কথা ভেবেও যার যার অবস্থান ঠিক রাখতে হবে। কোনক্রমেই নিজের অবস্থান থেকে সরে থাকা যাবেনা।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির অপারেশন অফিসার মেজর মোঃ নাসিরউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার আতাউর রহমান, নাারায়ণগেঞ্জর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) মনিরুল ইসলাম, বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আজহারুল ইসলাম সরকার ও মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তরিকুল আলম জুয়েল প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ