ফতুল্লায় দুই হেরোইন বিক্রেতা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ১১ ফেব্রুয়ারী ফতুল্লা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুটি মাদক মামলা দায়ের করেছে মাদক বিক্রেতা মোক্তার হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে।

এ মামলা সূত্রে, ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো.ওবায়দুল কবির মাদক অভিযান চালায়। এ অভিযানে ৭ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার সহ মাদক বিক্রেতা মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। মাদক বিক্রেতা ঐ এলাকার মো. রফিক খন্দকারের ছেলে।

অপরদিকে, তাদের আরেক টীম দাপাইদ্রাকপুর এলাকা থেকে ১ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার সহ সবুজ ইসলাম নামের এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। সে ঐ এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।

পরকীয়ায় ফেঁসে তিন সন্তানের জননী ভাবীকে বিয়ে করে বিপাকে দেবর!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় তিন সন্তানের জননী ভাবীকে বিয়ে করে বিপাকে শাকিল নামের এক যুবক। এব্যাপারে এই স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় শাকিল বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ভাবীর সঙ্গে পরিনয় করতে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে পরে তিনি বিয়ে করতেও বাধ্য হন বলে জানাগেছে।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা থানাধীন এনায়েতনগর ধর্মগঞ্জ এলাকার মো.আবুল হোসেন। তার ছেলে মো. শাকিল। তার সাথে তারই ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী আফসানা আক্তারের ভাল সর্ম্পক গড়ে উঠে। আফসানা আক্তার একই এলাকার আবদুস সাত্তারের মেয়ে ও কাইয়ুম পাঠানের স্ত্রী। তাকে তালাক দিয়ে পরবর্তীতে ফারজানা শাকিলকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই শাকিল তাকে স্ত্রী হিসেবে মানতে পারেনা। তার দাবী তাকে ব্লাকম্যাইল করে বিয়ে করেছে ফারজানা। তাই ফারজানার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ফতুল্লা মডেল থানায় ফারজানার বিরুদ্ধে শাকিল বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এলাকাবাসী জানান, শাকিল ফারজানার সাজানো সংসার নষ্ট করেছেন। তার তিন সন্তান আছে জেনেও আপন ফুফাতো ভাইয়ের সংসার ভেঙ্গে সে ফারজানার সাথে পরকিয়া প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ফারজানা শাকিলের প্রেমে অন্ধ হয়ে তিন সন্তান রেখে তার স্বামীকে তালাক প্রদান করে। এরপর তিনি ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক শাকিলকে বিয়ে করেছেন।

যেসব কারনে চার উপজেলায় তারা চার হেভিওয়েট প্রার্থী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৪টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবার বেশ জোড়ালো আলোচনায় রয়েছেন চার হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশি। যাদের নাম ইতিমধ্যে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ। বিকল্প নাম পাঠানো হলেও যে যার মত করে কেন্দ্রীয়ভাবে লবিং করছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ সহ স্থানীয় এমপিদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। নারায়ণগঞ্জেও এই চার নেতা বেশ আলোচিত। তবে এই চার নেতার বাহিরেও অনেকেই লবিং করছেন। চেষ্টা করছেন নিজেদের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে। তবে সম্ভাবনা বেশ এই চার নেতার। ইতিমধ্যে তাদের অনুগামী নেতাকর্মীরা মাঠেও নেমেছেন ভোট প্রার্থনায়।

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া। টানা তিনি দুইবারের চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে তিনি রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন। এর আগে বর্তমান পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে তার বিরোধ থাকলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে সেই বিরোধ মিটে যায়। নির্বাচনের আগেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদে শাহজাহান ভুইয়ার সঙ্গে সমঝোতায় বিরোধ নিষ্পত্ত হয়। সেই কারনে এখানে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে নেতাকর্মীরা দেখছেন শাহজাহান ভুইয়াকেই। যদিও এখান থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতির নিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা। তিনিও কেন্দ্রীয়ভাবে চেষ্টা করছেন মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে। তবে সরাসরি স্থানীয় এমপি গাজী এ বিষয়ে কারো পক্ষেই নেই। ফলে যে যার মত করে চেষ্টা করছেন।

এদিকে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবার নির্বাচনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ভুইয়া। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তার রয়েছে ক্লিন ইমেজ। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও চান এখানে নতুন চেয়ারম্যান। এ উপজেলায় টানা দুইবারের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া। এখানেও বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু সরাসরি কারো পক্ষে অবস্থান নেননি। যে কারনে যে যার মত করে চেষ্টা করছেন মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে। যেখানে এমএ রশিদ ভুইয়াই হচ্ছেন হেভিওয়েট প্রার্থী।

সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি এখন খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিয়ে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এখানে চেয়ারম্যান ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নান। তিনি পদত্যাগ করে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এর আগের নির্বাচনে এখানে আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন ও মাহফুজুর রহমান কালাম অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন। এরও আগের নির্বাচনে এখানে চেয়ারম্যান ছিলেন মোশারফ হোসেন। পরের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন মান্নানের কাছে। তিনি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। টানা দুইবারই নির্বাচন করে পরাজিত হন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। তবে এবার তিনি হেভিওয়েট প্রার্থী। জাতীয় নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন। গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে এখানে দলীয় মনোনয়ন পান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে তিনি মহাজোটের স্বার্থে প্রত্যাহার করে নিলে এখানে এমপি নির্বাচিত হন জাতীয়পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা। এবারের নির্বাচনে মোশারফ হোসেন কাজ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাতের পক্ষে এবং কালাম কাজ করেন এমপি খোকার পক্ষে। যে কারনে এখানে এগিয়ে আছেন কালামই। যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগ তিনজনের নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বন্দর উপজেলা। এ উপজেলায় এবার সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান। গত জাতীয় নির্বাচনে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এবার তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। চেষ্টা করছেন দলের মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলয়ের রাজনীতি করেন। যে কারনে এখানে মেয়র আইভীর জনপ্রিয়তা কাজে আসবে সুফিয়ানের। কেন্দ্রীয়ভাবেও শক্ত অবস্থানে সুফিয়ান। তরুণ প্রজন্মের কাছেও সুফিয়ান বেশ জনপ্রিয়। ফলে এখানে তিনিই হেভিওয়েট প্রার্থী। যদিও এখান থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ মিয়া।তিনি এর আগে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। এবার দলীয় প্রতীকটি সুফিয়ানের হাতেই ওঠতে যাচ্ছে বলেও নেতাকর্মীদের ধারণা।

আইন শিক্ষার্থীদের পাশে অয়ন ওসমান: কাজ করছেন হাসান আমজাদ

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জের আইন শিক্ষার্থীদের মাঝেও মধ্যমণি হয়ে ওঠেছেন ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সদস্য অয়ন ওসমান। আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছেন অয়ন ওসমান। আইন শিক্ষার্থীদের নানা সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থাও করছেন তিনি। অয়ন ওসমানের এমন অবদানের পিছনে কাজ করছেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি এমএম হাসান ও আমজাদ হোসেন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী আইন কলেজের ছাত্রছাত্রী সংসদের ভিপি মাহমুদুল হাসান ও জিএস আমজাদ হোসেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমানের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এই ছাত্র নেতার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে আইন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছেন অয়ন ওসমান। একই সঙ্গে জাতীয় ও স্থানীয় কর্মসূচিগুলোও পালন করে আসছেন হাসান ও আমজাদ হেসেন। সক্রিয় রয়েছেন দলীয় কর্মকান্ডেও। অয়ন ওসমানের নির্দেশে আইন শিক্ষার্থীদের এই দুই নেতা কোন রকম বিতর্কের বাহিরে থেকে ক্লিন ইমেজ নিয়ে আইন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছেন। ফলে আইন শিক্ষার্থীদের মাঝে অয়ন ওসমানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে।

নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, আইন শিক্ষার্থীদের জন্য অয়ন ওসমানের বিভিন্ন সময়ের অবদান ও সুনাম তুলে ধরছেন হাসান ও আমজাদ হোসেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী একমাত্র আইন কলেজ নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ। দীর্ঘদিন ধরে এ কলেজের ছাত্রছাত্রী সংসদের ভিপির দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাহমুদুল হাসান। আর জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন আমজাদ হোসেন। তাদের সঙ্গে কাজ করছেন শাহাদাত হোসেন সহ বেশকজন আইন ছাত্র নেতা।

শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, ছাত্রছাত্রীদের নেতা হলেও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরন করেন দুই ছাত্র নেতা। তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারের ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মন জয় করতে পেরেছেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ভিপি হাসান ও জিএস আমজাদ। আইন শিক্ষার্থীদের যে কোন সমস্যায় এগিয়ে আসেন হাসান ও আমজাদ হোসেন। অনেক শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সমস্যায় এগিয়ে আসেন তারা। তাদের এমন আচরনের কারনে অয়ন ওসমানের সুনাম অক্ষুন্ন থাকে। যে কারনে অয়ন ওসমান এখন আইন শিক্ষার্থীদের মাঝেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছেন।

জানাগেছে, অয়ন ওসমানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের দায়িত্ব পালন করতে তারা নিষ্ঠার সাথে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে আইন কলেজের সকল প্রসাশনিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক, রাজনৈতিক ও জাতীয় দিবসগুলোতে আইন কলেজের পক্ষ থেকে অবদান রেখে রীতিমত আইন কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে আইডল হিসেবে দেখা দিয়েছেন হাসান ও আমজাদ হোসেন। দলীয় কর্মসূচিগুলোতেও আইন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যাপক অংশগ্রহণে দেখা যায় দুই ছাত্র নেতাকে। কখনও অয়ন ওসমান কিংবা ওসমান পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়ানোর অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ওঠেনি।

এছাড়াও জানাগেছে, ছাত্র সমাজের মধ্যমণি অয়ন ওসমান তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইন কলেজের ছাত্র রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখার। যার ফলে তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিজয় দিবস, বুদ্ধিজীবী দিবস, স্বাধীনতা দিবসগুলোতে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের পক্ষ থেকে র‌্যালী করে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বছরের শুরুতে নতুন ছাত্রছাত্রীদের বরণ করার জন্য আয়োজন করে থাকেন নবীন বরণ অনুষ্ঠান। বার্ষিক শিক্ষা সফরের আয়োজন করে থাকেন নান্দনিক লোকেশনে।

তাছাড়া ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার উন্নয়নের জন্য করে থাকেন মাসিক আলোচনা সভার আয়োজন করে শিক্ষকদের সাথে। যার ফলে শতভাগ পাসের হারের কৃতিত্ব অর্জন করে টানা কয়েকবার নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ। নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের প্রতি বছরের শিক্ষা সফরে সার্বিক সহযোগীতা করেন অয়ন ওসমান। যেখানে কঠোর পরিশ্রম করে শিক্ষা সফরগুলো সফল করে আসছেন হাসান ও আমজাদ হোসেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অয়ন ওসমানের নির্দেশে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আওয়ামী প্যানেলের পক্ষে কাজ করেন তারা।

তারা খালেদা জিয়ার ধানের শীষ আনলেন কিন্তু মুক্তি চাইলেন না!

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

বিএনপির দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। আর সেই দলের প্রতীক ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের ৫ জন নেতা। কিন্তু তারা কেউই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির কর্মসূচি পালন করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলেন না। যদিও এখানে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী ছিলেন দুজন। বাকি তিন জন বিএনপিও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির কর্মসূচি পালন করলেন না। এই ৫ জন নেতাই ধানের শীষ প্রতীক ছিনিয়ে এনেছিলেন। নির্বাচনও করেছিলেন। কিন্তু তার মুক্তি চাইলেন না!

৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর পূর্ণ হয়। তার প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হলেও নারায়ণগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির এই কর্মসূচি পালন করেননি গত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৫ প্রার্থী। এদিন এমনকি তাদের অনুগামী নেতাকর্মীদেরও দেখা যায়নি এই কর্মসূচি পালন করতেন। একইভাবে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে যারা মনোনিত হয়েছিলেন তারাও এই কর্মসূচি পালন করেননি। তবে মনোনয়ন বঞ্চিত মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল ঠিকই কর্মসূচি পালন করেছেন।

জানাগেছে, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাদন্ড দেন আদালত। তখন থেকে বেগম খালেদা জিয়া আছেন কারাগারে। দেখতে দেখতে পেরিয়ে যায় এক বছর। তার মুক্তির দাবিতে শনিবার ছিল সারাদেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। আর তাতে ছিলনা নারায়ণগঞ্জ জেলার ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া পাচঁ প্রার্থী। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের এসব নেতাকর্মীরা বলেন, দলের এখন দুঃসময়। এ সময় রাজপথে নেই দলের হাইকমান্ডের পছন্দের প্রার্থীরা। আর এতে বুঝা যায় ধানের শীষের প্রার্থীরা সুবিধাবাদী ছিলেন। এমনকি জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরও মনোনিত হলেও তিনিও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি পালন করেননি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার সবচেয়ে আলোচিত আসন রুপগঞ্জ। এ আসনে প্রার্থী করা হয় ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে। যদিও জেলা বিএনপির পদটিও তিনি পকেট কমিটির হাসিল করেছেন বলে দাবি করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকে যদিও একবারও রাজপথে কোন আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি তাকে। এমনকি খালেদা জিয়ার মুক্তি কামনায়ও দেখা যায় না তাকে। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে চূড়ান্ত মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে পারলেও রুপগঞ্জের রাজনীতিতে ছিলেন তিনি ব্যর্থ। নির্বাচনে তিনি পারেননি দলের হেভিওয়েট নেতাদের মাঠে নামাতে। যার ফলে ভরাডুবি হয় তার।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন নজরুল ইসলাম আজাদ। রাজনীতির শুরুতেই তিনি জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে একাধিকবার বির্তকের সৃষ্টি করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৌশলগত কারণে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেও নির্বাচনে সবচেয়ে লজ্জাজনক ভোট পান তিনি। যার ফলে জনপ্রিয়তার শূন্যে নির্বাচনের পর থেকে রাজনীতির মাঠ থেকে হঠাত হারিয়েগেছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। শনিবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশের কর্মসূচি পালন করেননি কথিত জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ কর্মী কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে মনোনয়ন পান অশিক্ষিত আজহারুল ইসলাম মান্নান। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য। একই সঙ্গে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। এতগুলো পদ বহন করলেও তিনিও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির কর্মসূচি পালন করেননি।

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পান জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হলেও লড়েছিলেন ধানের শীষ প্রতীকে। নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন তিনিও বিএনপিই করেন। ইসলামীক দল হিসেবে তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের রাজনীতি করেন। কিন্তু সেই কাসেমীর ছায়াও নির্বাচনের পর দেখা যায়নি।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন এসএম আকরাম। তিনিও ছিলেন না খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করে যোগ দেন নাগরিক ঐক্যে। নাগরিক ঐক্য নিয়ে যখন গঠিত হয় ঐক্যফ্রন্ট তখন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে ভাগিয়ে আনেন তিনি। কিন্তু ধানের শীষ প্রতীকের দল বিএনপি আর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু সেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির কর্মসূচি তিনিও পালন করেননি।

খেলাধুলা সৎ ও সাহসী করে গড়ে তোলে: কাউন্সিলর ওমর ফারুক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

‘খেলাধুলা যে মানুষকে শুধুমাত্র বিনোদন দেয় তা নয় বরং আমাদের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এর সুদূর প্রসারী প্রভাব রয়েছে। খেলাধুলার মাধ্যমে একটি শিশুর মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়, সামাজিকীকরণ সুসংহত হয়। বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বন্ধুত্ব ও আস্থার সম্পর্ক তৈরি করে।’

১০ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় অবস্থিত নলেজ আইডিয়াল স্কুলের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুহাম্মদ ওমর ফারুক এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন, নলেজ আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেকে উপস্থাপন করতে হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি শারীরিক সক্ষমতাও অর্জন করতে হবে। এজন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। কারন খেলাধুলা শরীর ও মনকে প্রফুল্ল রাখে, রাখে প্রাণবন্ত, উচ্ছল ও আনন্দময়।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নলেজ স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এক আনন্দঘন পরিবেশে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক হোসেন চিশতি শিপলু ও বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সৌরভ ইমাম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মুহাম্মদ আব্দুল করিম খান ও মুহাম্মদ আক্তার হোসেন প্রমুখ।

বন্দরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সামনে বখাটেদের উৎপাত কে রুখবে?

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের আলোচিত সেই পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বখাটেদের উৎপাত চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের রুখবার যেনো কেউ নেই। আলোচিত এই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কিন্তু প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ নেই। এতে অভিভাবকেরা হয়েছেন আরও উদ্বিগ্ন।

জানাগেছে, বন্দর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকের পাশে বখাটেদের উপদ্রব মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রীদের একশ্রেণির বখাটে কিশোর ও যুবকরা বিদ্যালয়ের আশেপাশে ও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ও মোটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে অশ্লীল ভাষায় কথা বলা ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেম প্রস্তাব, প্রকাশ্যে ছাত্রীদের হাত ধরে টানাসহ নানাভাবে ইভটিজিং করায় এলাকার অনেক ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। এসব ঘটনায় মেয়েদের নিয়ে পিতা-মাতাসহ পরিবারের লোকজন তাদের নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে।

আরও জানা যায়, বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, নাসিম মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কদম রসুল কলেজসহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসার সময় একশ্রেণির বখাটে কিশোর ও যুবকরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেউবা মোটরসাইকেলে আরোহী হয়ে ছাত্রীদের নানা অঙ্গভঙ্গিতে ইভটিজিং, প্রেম প্রস্তাব করাসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। বখাটেদের ভয়ে অনেক ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা ওইসব বখাটে যুবকদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। পুলিশ মাঝে মধ্যে বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও তাদের দৌড়াত্ম থামছেনা। ফলে ইভটিজার ও বখাটেদের উপদ্রব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী এক অভিভাবক জানায়, গত শনিবার দুপুর দেড় টায় সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা শেষে ৩/৪ জন ছাত্রী শাহীমসজিদ মোড়ে একটি অটো রিক্সা উঠার সময় কয়েকজন বখাটে যুবক ছাত্রীদের প্রকাশ্যে অশ্লীল কথা বার্তার মত ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বখাটে কর্তৃক মেয়ে সন্তানদের সঠিকভাবে শিক্ষাদানে চরম ব্যাহত হচ্ছেন। তারা ইভটিজারদের শায়েস্তা করতে বন্দর থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা মফিজুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে ব্যাপক কর্মসূচি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য, ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মফিজুল ইসলামের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

১০ ফেব্রুয়ারি রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী সোমবার নারায়ণগঞ্জের চাঁনমারী জামে মসজিদ, মরহুমের জন্মভূমি মাহমুদনগর জামে মসজিদ, ইসলামপুর জামে মসজিদ, মদনগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, নূরনবী জামে মসজিদ ও প্রয়াত জননেতার দিগুবাবুর বাজার মার্কেটে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়াও আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বাদ আসর জননেতা মফিজুল ইসলামের চাঁনমারীস্থ বাসভবন চত্বরে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে সকল রাজনৈতিক সহকর্মী আত্মীয় স্বজনসহ তৃণমূলের নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আইনজীবী ফোরাম কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনায় তরুণ আইনজীবী নেতারা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ২৮৭ জনের কমিটি। নতুন করে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন এখানকার বিএনপির আইনজীবী নেতারা। লম্বা এই কমিটি গঠনের পর থেকেই বিরোধ সৃষ্টি হয় বিএনপির আইনজীবীদের মাঝে। হয় পাল্টা কমিটিও। ফলে লম্বা এই কমিটির কার্যক্রমই ছিল স্থবির। এবার নতুন করে সকল বলয়ের নেতারা কমিটি গঠনের চেষ্টা করছেন বলেও জানাগেছে। যেখানে স্থান করে নিতে যাচ্ছেন তরুণ আইনজীবী নেতারা। থাকতে চাচ্ছেন না সিনিয়র আইনজীবী নেতারা।

জানাগেছে, প্রায় দেড় বছর আগে জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন এককভাবে নারায়ণগঞ্জের কমিটি ঘোষণা করেন। যেখানে শুধুমাত্র অগ্রাধিকার পায় মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের অনুগামী আইনজীবীরা। কমিটি গঠনের পর দিনই কমিটি বাতিলের দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেন অপর পক্ষের আইনজীবীরা। কমিটি গঠনের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে কমিটিতে প্রত্যাখান করেন আইনজীবীদের একটি অংশ। এমনকি ১৪৪ জন পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন।

কমিটিতে রাখা উপদেষ্টা পদ থেকে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারও পদত্যাগ করেন। এ কমিটি বাতিল না হওয়ার কারনে কয়েক দিনের মাথায় অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুইয়াকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সেক্রেটারি করে পাল্টা কমিটি গঠন করেন অপর পক্ষের আইনজীবীরা। মুলত তারা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। এর আগে ২৮৭ জনের কমিটিতে অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লাকে সেক্রেটারি বিশাল এক কমিটি ঘোষণা করেন মাহবুব উদ্দীন খোকন।

এমন পরিস্থিতিতে এ লম্বা কমিটি কোন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেননি। যে কারনে আইনজীবী ফোরামের নেতারা এবার একত্রিত হয়ে নতুন করে কমিটি গঠনের আলোচনায় রয়েছেন। ইতিমধ্যে নিজেদের মধ্যে সভাও করেছেন। নিয়মিত করছেন আলোচনা। সিনিয়র আইনজীবী নেতারা চাচ্ছেন নিজেরা নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়ে নতুন আইনজীবী নেতাদের হাতে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে। এতে অনেক তরুণ আইনজীবী নেতা সাহস পাচ্ছেন না নেতৃত্বে আসতে। আবার দুএকজন সিনিয়র নেতাও শীর্ষ পদে থাকতে চাচ্ছেন। এ নিয়ে নেতাদের মধ্যে আলোচনা চললেও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি।

জানাগেছে, এবার নতুন আইনজীবী নেতাদের মধ্যে ফোরামের পদে আসার আলোচনায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা ও অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন। তবে শীর্ষ পদে থাকবেন কি থাকবেন না এ নিয়ে দোটানায় রয়েছেন সিনিয়র নেতা অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা। আবার সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুইয়া ও অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভুইয়া। তবে কমিটিতে সংমিশ্রন থাকলে আজিজুর রহমান মোল্লা কিংবা আজিজ আল মামুনকে দেখা যেতে পারে সেক্রেটারি পদে এবং সভাপতি পদে কোন সিনিয়র নেতাই আসতে পারেন। তবে এসব নিয়ে নানা আলোচনা চললেও এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। তবে এবার দীর্ঘ কমিটি গঠনের কোন পরিকল্পনা করছেন না তারা। এখন দেখার বিষয় এই আলোচনা তারা কতটুকু ঐক্যবদ্ধভাবে শেষ করতে পারেন। নাকি আগের মতই আবারও দেখা দিবে আইনজীবী ফোরামের নেতারা বিরোধ।

নারায়ণগঞ্জের ছাত্র ও যুব সমাজের আগামীর স্বপ্ন অয়ন ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ছাত্র সমাজ ও যুব সমাজ অয়ন ওসমানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। আগামীতে অয়ন ওসমানই হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের কর্ণধার এমনটা মনে করছেন তরুণ সমাজ। যে কারনে ভবিষৎ নেতা হিসেবেও দেখছেন তাকে। তিন পুরুষ ধরে নারায়ণগঞ্জের মানুষের সেবায় নিয়োজিত ওসমান পরিবার।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী পরিবার ওসমান পরিবার। বিভিন্ন সময়ে চমকপ্রদ ও নানা ঘটন অঘটেনের জন্য খবরের শিরোনাম হওয়া ওসমানের পরিবারের তিন পুরুষের রাজনৈতিক ইতিহাসে সুদূরপ্রসারি। আর এ পরিবারেই সুযোগ্য সন্তান অয়ন ওসমান। যার ক্লিলিন ইমেজ ছাত্রসমাজকে আকৃষ্ট করেছে বেশ। নারায়ণগঞ্জের ছাত্র সমাজে ব্যাপক ভুমিকা রেখে ইতিমধ্যে ছাত্র সমাজের মধ্যমনি হয়ে ওঠেছেন অয়ন ওসমান।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক ইতিহাসে ওসমান পরিবার বিগত তিন পুরুষ ধরে অবদান রেখে আসছে। খান সাহেব ওসমান আলী থেকে শুরু করে শামসুজ্জোহা, পরবর্তীতে প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমান, বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান সেই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন। সেই ৪০-এর দশক থেকে শুরু করে অদ্যাবধি অসাময়িক চেতনার এ পরিবারটি বঙ্গন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও আওয়ামী পরিবারের সহযোদ্ধা হিসেবে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগমানেই শামীম ওসমান।

নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে আর্তমানবতার সেবায় পাশে দাঁড়িয়েছে ওসমান পরিবার। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফা, ৬৯’র গণঅভ্যত্থান, ৭০’র নির্বাচন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পাশে দাঁড়ানো, ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিশোধ, পরবর্তীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ নির্বাচনে জয়ী হওয়াসহ নির্দেশিত সকল গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনে অত্যন্ত দৃঢ় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এই ওসমান পরিবার।

এদিকে, একেএম শামীম ওসমানের একমাত্র সন্তান অয়ন ওসমান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নীতি নির্ধারক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ছাত্রসমাজের বিশাল একটি টিম কাজ করে যাচ্ছেন। তাকেও দেখা যায় বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে দাড়াতে। কখনও আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে, আবার কখনও মাথায় হাত বুলিয়ে সান্তনা দিয়ে ছাত্র সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এ ওসমান পরিবারের সুযোগ্য সন্তান অয়ন ওসমান। বেশকিছু দিন আগে ডিএনডির জলাবদ্ধতায় গিয়ে নিজে ময়লা পানিতে নেমে তাদের কষ্ট লাঘব করার আশ্বাস দিয়ে আসেন এমন একটি ছবি ফেইসবুকে পোস্ট দিলে ছবি ভাইরাল হয়ে যায়।

তাছাড়া বিভিন্ন সময় অয়ন ওসমানের পক্ষে, বিভিন্ন সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ বিশাল শোডাউন নিয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। অয়ন ওসমানের নির্দেশে ছাত্রলীগ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম ও অংশ করছেন। সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ অপেক্ষামান অভিভাবকের জন্য বসার ও খাবার পানির ব্যবস্থা করে বিপুল প্রসংশা কুড়িয়েছেন। আর এতকিছু পিছনে রয়েছে অয়ন ওসমানের ক্লিলিন ইমেজ বলে মনে করছেন সাধারণ ছাত্রসমাজ।

কয়েক বছর আগেই সরকারি তোলারাম কলেজকে ওয়াইফাই জোন করে করেছেন অয়ন ওসমান। একই সঙ্গে দুই মেধাবী অসহায় শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহযোগীতা করেছেন তিনি। একজন অসুস্থ্য শিক্ষককেও তিনি আর্থিকভাবে সহযোগীতা করেছেন। বিভিন্ন সময় তার অনুদানের অর্থ ছাত্রলীগের নেতারা পৌছে দিয়েছেন অসহায় মানুষের হাতে। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের প্রতি বছরের শিক্ষা সফরে অয়ন ওসমান আর্থিক সহযোগীতা করে আসছেন। এসব কর্মকান্ডের কারনে অয়ন ওসমানকে নিয়ে আগামীর নেতা হিসেবে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজ। ইতিমধ্যে ছাত্র সমাজকে নিয়ে বেশকটি শোডাউনও করেছেন অয়ন ওসমান। যা ছিল চোখে পড়ার মতই। আইন পেশায় নিয়োজিত হয়েই অয়ন ওসমান ঘোষণা দিয়েছেন তিনি অসহায় মানুষকে বিনা পয়সায় আইনী সহায়তা দিবেন।

সর্বশেষ সংবাদ