সোনারগাঁ পৌরবাসীর জন্য ২৫কোটি টাকা ব্যয়ে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করলেন এমপি খোকা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পৌরসভা এলাকায় আর্সেনিকমুক্ত ও বিশুদ্ধ পানি পাবে পৌরবাসী। সেই লক্ষে উপজেলা স্যানেটেশনের আওতায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসের খোকা এ প্রকল্পের উদ্ধোধন করেন।

এসময় এমপি খোকা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্ব এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। দেশের প্রতিটি স্তরেই উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। দেশ নিন্ম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় সেই উন্নয়নের ছোয়া সোনারগাঁয়ের প্রতিটি ঘরেই পৌচ্ছে যাচ্ছে। এখন থেকে সোনারগাঁও পৌরসভাবাসী বিশুদ্ধ সাপ্লাই পানি পাবে। এজন্য সরকার ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। আশা করি খুব তারাতারি পৌরবাসী বিশুদ্ধ খাবার পানির সুবিধাটি ভোগ করবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক, পিরোজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুর রউফ, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, সম্ভুপুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল রব, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম সিকদার শিপলু, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মধু ও নুরুনাহার রিতা আক্তার প্রমূখ।

সোনারগাঁয়ে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে তিন ব্যাপী মেলা শুরু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে তিনদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ১২ এপ্রিল শুক্রবার মেলার প্রথম দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু করা হয়েছে।

এই মেলা চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত। মেলা উপলক্ষে কারুপণ্যের বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র, খেলনা, মুড়ি-মুড়কি, মিঠাই মল্লার পসরা বসেছে। এতে বায়স্কোপ, পুতুলনাচ, গ্রামীণ খেলা ইত্যাদি চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।

ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবিন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষা সৈনিক কামাল লোহানী।

বন্দরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট চাইলেন আক্তার হোসেন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা পরিষদের আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেছেন, আমি আপনাদের এলাকারই সন্তান। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আমার জন্মস্থান তাই আপনাদের প্রতি আমার অধিকার আছে। সুতরাং আমি ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নয় আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের একটি মূল্যবান ভোট দাবি করছি।’

তিনি আরও বলেন, ৫’শ টাকায় নিজের ভোট বিক্রি করবেন না। মনে রাখবেন ভোট আপনার বিবেক এটাকে মূল্য দিয়ে কেনা যায় না। বন্দর উপজেলা এই কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদেই অবস্থিত কিন্তু আফসোস আমরা কখনো উপজেলা সংশ্লিষ্ট কোন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারিনি। তাই এলাকাবাসীর সকলের অনুপ্রেরণায় আমি আজ আপনাদের ধারে সে অভাবটা পূরণের অভিপ্রায় নিয়ে এসেছি। আপনারা যদি আমাকে ভালোবাসা দেন। ইনশাআল্লাহ আমি এ ভালোবাসার অমর্যাদা করবনা।’

১২ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে বন্দরের ছোনখোলা ও জিওধরায় এলাকাবাসীর আয়োজিত পৃথক মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সমাজ সেবক কামরুল হাসান জজ মিয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন এটুজেট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সভাপতি মোজাম্মেল হক মোল্লা, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন সাবেক সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মিয়া, সমাজ সেবক শাহনুর মোল্লা, হাতিম সরদার, কামরুল হাসান, সোয়েব প্রধান, বাদল মিয়া, খাজা প্রধান, হাবিবুর রহমান ও আলমগীর হোসেন প্রমূখ।

বাংলা সালের ইতিকথা, ফতেউল্লাহ সিরাজী ও কিছু ভ্রান্ত ধারণা

স্বাগতম ১৪২৬বঙ্গাব্দ। বাংলা সনের জন্মকথার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় প্রকৃতপক্ষে বাদশাহ আকবর খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য তাঁর সভাসদ (ভূমিমন্ত্রী) জ্যোতিসর্বিদ আমির ফতেউল্লাহ শিরাজীর সহযোগিতায় ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০বা ১১মার্চ থেকে ‘তারিখ-এ-এলাহি’ নামে নতুন এক বছর গণনা পদ্ধতি চালু করেন। তখন কৃষকদের কাছে এটি ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত হয়, যা পরে ‘বাংলা সন’ বা ‘বঙ্গাব্দ’ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেই সময়ে প্রচলিত রাজকীয় সন ছিল ‘হিজরি স’, যা চন্দ্রসন হওয়ার প্রতি বছর একই মাসে খাজনা আদায় সম্ভব হতো না।

এ কারণে সম্রাট আকবর একটি সৌরভিত্তিক সন প্রচলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন, যা কৃষকদের ফসল উৎপাদনের সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। নতুন এই সাল আকবরের রাজত্বের ২৯তম বর্ষে চালু হলেও তা গণনা আরম্ভ হয় ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ নভেম্বর থেকেই, কারণ একই দিনেই দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধে তিনি হিমুকে পরাজিত করেছিলেন।

ঘটনাক্রমে বাংলা সনের প্রবর্তক ও সম্রাট আকবরের ভুমি মন্ত্রী জ্যোতির্বিদ আমির ফতেউল্লাহ শিরাজী শেষ জীবনে বাংলায় চলে আসেন ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। ফতেউল্লাহ শিরাজীর ইন্তেকালের পরে তাকে ঢাকার অদূরে বুড়িগংগার পাড়ে সমাহিত করা হয় এবং তার নামানুসারে অত্র অনচলের নামকরণ করা হয়। যা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা। উল্লেখ্য ভূমি পরিমাপে শিকল পদ্ধতির প্রবর্তকও আমির ফতেউল্লাহ শিরাজী।

প্রথমদিকে মাসের নাম ছিল ফারওয়ারদিন, খোরদাদ, তীর, মুরদাদ, শাহরিয়ার, আবান, আযার, দে, বাহমান ইত্যাদি। পরে নাক্ষত্রিক নিয়মে বাংলা সনের মাসগুলোর নামকরণ করা হয়। বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন এই নামগুলো নেওয়া হয়েছে ৭৮ খ্রিস্টাব্দে সাকা জাতির রাজত্বের সময় প্রচলিত শাকাব্দ থেকে:

১. বিশাখা থেকে বৈশাখ। ২. জাইষ্ঠা থেকে জৈষ্ঠ্য। ৩. আষাঢ়া থেকে আষাঢ়। ৪. শ্রাবনা থেকে শ্রাবন। ৫. ভাদ্রপাদা থেকে ভাদ্র। ৬. আশ্বিনী থেকে আশ্বিন। ৭. কৃতিকা থেকে কার্তিক। ৮. পুস্যা থেকে পৌষ। ৯. আগ্রৈহনী থেকে আগ্রহায়ণ। ১০. মাঘা থেকে মাঘ। ১১. ফাল্গুনী থেকে ফাল্গুন। ১২. চিত্রা থেকে চৈত্র।

‘তারিখ-এ-এলাহি’র আগে বাঙালিরা শকাব্দ অনুযায়ী চৈত্র মাসকে বছরের প্রথম মাস হিসেবে ব্যবহার করত। পরে যখন ৯৬৩ হিজরির প্রথম মাস মহররমকে ‘তারিখ-এ-এলাহি’র প্রথম মাস ধরে গণনা করা শুরু হয় তখন তা বৈশাখ মাসের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় বৈশাখকেই ধরা হয় “তারিখ-এ-এলাহি”র প্রথম মাস। বাংলা সনের প্রথম বছর ছিল ৯৬৩ হিজরি। এর আগে কোনো বাংলা সন নেই।

১৬০৮ সালে মোগল স¤্রাট জাহাঙ্গীররে নির্দেশে সুবেদার ইসলাম খা চিশতি ঢাকাকে যখন রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলেন, তখন থেকেই রাজস্ব আদায় ও ব্যবসা বাণিজ্যের হিসাব-নিকাশ শুরু করার জন্য বাংলা বছরের পহেলা বৈশাখকে উৎসবের দিন হিসেবে পালন শুরু করেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, স¤্রাট আকবরের অনুকরণে বৈশাখের প্রথম দিন সুবেদার ইসলাম চিশতি তাঁর বাসভবনের সামনে সব প্রজার শুভ কামনা করে মিষ্টি বিতরণ এবং আনুষাঙ্গিক উৎসব পালন করতেন। সেখানে সমাজের সকল স্তরের মানুষ উপস্থিত থাকত। প্রজাদের খাজনা আদায় ও হিসাব-নিকাশের পাশাপাশি চলত গান-বাজনা, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি খেলা ও হালখাতা অনুষ্ঠান।

প্রজারা নতুন জামাকাপড় পরে জমিদারবাড়ী খাজনা দিতে আসত। জমিদাররা আঙিনায় নেমে এসে প্রজাদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে করতেন। সবশেষে ভোজপর্ব দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হত। কালের পরিবর্তনে পহেলে বৈশাখ ‘খাজনা আদায়ে’র জন্য নির্ধারিত দিন থেকে বাঙালিদের নুতন বছরের পদার্পণের উৎসবের ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এরপর আবার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের খবর পাওয়া যায় ১৯৩৮সালে, তখন তা ছিল ব্রিটিশবিরোধী চেতনার অংশ। তবে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন এতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। ইতিহাসের কোথাও পান্তা ইলিশ বা মংগল শোভা যাত্রার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বর্ষবরণের কোন ইতিহাসও পাওয়া যায় না।

বাংলা সংস্কৃতির ওপর কালো থাবা বিস্তারে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্রসংগীতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে। এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ১৩৭৫ বঙ্গাব্দ বা ১৯৬৫ সালে রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অয়োাজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। মূলত ছায়ানটের অনুষ্ঠানটিই ব্যাপকতা পেয়ে আজ এ পর্যন্ত এসেছে। বর্ষবরণটি জাতিগত বা ঐতিহাসিক কোন উৎসব নয়, একান্তই ছায়ানটের একান্ত ইচ্ছা। অহিদুল হক ও সানজিদা খাতুন দম্পতির আবিস্কার হচ্ছে বর্তমানের বর্ষবরণ।

১৯৭২ সালের পর থেকেই এটি নিয়মিত উৎসব হিসেবে স্বীকৃত হয়। ১৯৮০ সালে এর সঙ্গে যোগ হয় চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রকৃত পক্ষে বাংলা সনের সাথে পান্তা ইলিশ, মঙ্গল শোভাযাত্রা বা রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে বর্ষবরণ বিভ্রান্তি ছাড়া কিছু নয়।

লেখক: মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, কাউন্সিলর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন
তথ্য সূত্রঃ ‘ঐতিহ্য অন্বেষণ’–শারমিন রেজওয়ানা ও বাংলাপিডিয়া।

সোনারগাবাসীর উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

রাজনীতির মাঠে রাজনীতি। নির্বাচনের মাঠে নির্বাচনী লড়াই। কিন্তু জনগণের উন্নয়নে তারা ঐক্যবদ্ধ। নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার প্রতিষ্ঠিত জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের ভুমিকা এমনটাই। উন্নয়নে তারা সকলে ঐক্যবদ্ধ। যে সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন এমপি খোকা। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে জনপ্রতিনিধি ফোরাম নিয়ে নানা ধরনের গুজব গুঞ্জন আলোচনা সমালোচনা বিরোধ বিভক্তি থাকলেও নির্বাচনের পর তা মিউয়ে গেছে। তারা এখন আবারো মাঠে নেমেছেন জনগণের উন্নয়নে।

এদিকে গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে পর আবার একসাথে হয়েছেন সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সদস্যরা। সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী সমর্থন নিয়ে একে অপরের সাথে টানাপোড়ান থাকলেও নির্বাচনের পর এবার তারা প্রথম কোন অনুষ্ঠানে একত্রে মিলিত হয়েছেন। যেখানে তারা উন্নয়নে একসাথে সামিল হয়েছেন।

জানাগেছে, ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। উপজেলা নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামকে সমর্থন দেন জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সভাপতি এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, সাধারণ সম্পাদক ও বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক, পিরোজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, কাঁচপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুর রউফ, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, সম্ভুপুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল রব, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম সিকদার শিপলু ও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান সহ জনপ্রতিনিধিরা।

এসব জনপ্রতিনিধিদের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের মনোনয়নপত্র জমা, প্রতীক বরাদ্ধসহ বিভিন্ন সভাসমাবেশ ও গণসংযোগে দেখা যায়। কিন্তু জনপ্রতিনিধি ফোরামের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থন নিয়েও। উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে প্রতিদ্ধন্ধিতা করেন আবু নাঈম ইকবাল তালা প্রতীকে। আবার কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমরের ছোট ভাই বাবু ওমর প্রতিদ্ধন্ধিতা করেন টিউবওয়েল প্রতীকে। এ দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের পক্ষে শুরু হয় টানাপোড়ান।

জনপ্রতিনিধি ফোরামের সদস্যরা বাবু ওমরকে সমর্থন দেন অপরদিকে লিয়াকত হোসেন খোকাকে অনুরোধ করা হয় বাবু ওমরকে সমর্থন জানানোর জন্য। মনোনয়ন জামার দিন আবু নাঈম ইকবালকে লিয়াকত হোসেন খোকা নির্বাচন না করার অনুরোধ জানালেও পরে আবার তাকেই তিনি সমর্থন জানান বলে জানা যায়। এতে জনপ্রতিনিধি ফোরামের হাতেগোনা কয়েকজন সদস্য কালামকে সমর্থন জানালেও কাঁচপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহসহ গোপনে অনেক সদস্যই নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে কাজ করেন।

ফলে নির্বাচনে মাহফুজুর রহমান কালাম মোশারফ হোসেনের কাছে ও বাবু ওমরের কাছে আবু নাঈম ইকবাল বিপুল ভোটে পরাজিত হন। সেই নির্বাচনের আগে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হুশিয়ারী দিয়েছিলেন জনপ্রতিনিধি ফোরামের বাহিরে গিয়ে যারা কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, নির্বাচনে পর নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে জনপ্রতিনিধি ফোরাম তাদের কার্যক্রম পুণরায় চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মাঝে বিনামুল্যে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে সকল সদস্য উপস্থিত হন।

সোনারগাঁয়ে নিউ স্টার বাংলা এন্ড চাইনিজ রেস্তোরার উদ্বোধন করলেন মোশারফ হোসেন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিউ স্টার বাংলা এন্ড চাইনিজ রেস্তোরার যাত্রা শুরু হলো। ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে এ রেস্তোরাটির যাত্রা শুরু হয়।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় রেস্তোরাটির উদ্বোধন করেন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, নিউ স্টার বাংলা এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের স্বত্তাধিকারী সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁ যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমান, সনমান্দি ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ কাইয়ুম আলী সরদার সহ আরো অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকেরা।

গানের চর্চা করে মাদককে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে: মাহামুদা মালা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা বলেছেন, আমাদের দেশ বাংলাদেশ। আমরা বাংলায় কথা বলি। তাই আমাদের দেশকে ভালবাসতে হবে। আমাদের ধর্মকে আমাদের সম্মান করতে হবে। আমাদের সন্তানদেরও বাংলা ভাষা সম্পর্কে অবগত করতে হবে। বাংলা সন পালনে অনেকে অনেক কথা বলে। কিন্তু আমাদের জানতে হবে প্রকৃত অর্থে বাংলা ভাষার সালটা প্রবর্তন করেছেন একজন মুসলিম শাসক। আমরা সকল বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ যার যার স্থান থেকে আমরা পালন করব।

১২ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে বন্দরের রুস্তমপুর এটুজেড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বথা বলেন।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশে ভাল মানুষের বড় অভাব। ভাল ছাত্র হওয়ার চেয়ে ভালা মানুষ হতে হবে। এটুজেড শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ এসে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দেখে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি গান বাজনার চর্চায় মনোনিবেশ করে মাদককেও চিরতরে বিদায় জানাতে হবে।

স্কুলের সভাপতি মোজাম্মেল হক মোল্লার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশিদা বেগম, স্থানীয় সমাজ সেবক বিউটি বেগম, আইটি কর্মকর্তা মাসুদা কামাল, জামাল মেম্বার, শফিকুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

শামীম ওসমানের ৬দিন শেষ: স্বপদে বহাল এসপি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৬ এপ্রিল ফতুল্লার বাংলা ভবনে আওয়ামীলীগের জরুরী কর্মী সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদকে ইঙ্গিত করে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছিলেন, প্লিজ ডোন্ট প্লে এই নারায়ণগঞ্জে। কারো ফাঁদে পাড়া দিয়ে খেইলেন না। তবে খেলা হবেনা। আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যেই টের পাইবেন।’ শামীম ওসমানের এমন ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা ধরে নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের এসপি অন্যত্র বদলি বা পদোন্নতি হলে এখানে তিনি থাকবেন না। ওইদিন নেতাকর্মীরা এসপির বিরুদ্ধে নানা ধরনের শ্লোগানও দিয়েছিল। তবে শামীম ওসমানের ঘোষিত ১০/১২ দিনের মধ্যে ইতিমধ্যে ৬ দিন শেষ হয়ে গেছে। এখনও বাকি রয়েছে আরও ৬ দিন। যদিও শামীম ওসমান নেতাকর্মীদের কাছে স্পষ্ট বলেননি আসলে তিনি নেতাকর্মীদের কি টের পাওয়াবেন। তবুও জরুরী সভা শেষে নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা ছিল নারায়ণগঞ্জের বর্তমান এসপি নারায়ণগঞ্জে আর থাকছেন না। কার্যত সে রকম লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছেনা।

গত ৬ এপ্রিল বাংলা ভবনে ফতুল্লা আওয়ামীলীগের জরুরী কর্মী সভায় জেলা পুলিশ সুপারকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেছিলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের যদি কেউ খেলাতে চান, প্লিজ ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জে খেইলেন না। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করবে। আর প্রশ্ন করার আগে তাকে জুয়ার মামলার আসামী করে দিবেন, কইরেন না। আমার আত্মীয়স্বজনকে মদের সাপ্লাইয়ার বানাবেন। মনে করবেন আমি ভয় পেয়ে যাবো। এগুলো করে আমাকে কাবু করা মছিমত। আমাকে কাবু করা যাবে না।’

শামীম ওসমান আরও বলেছিলেন, তবে আমাদের মাঝে যদি কেউ খারাপ হয তাকে আমরা ছাড় দিবনা। কিন্তু আমাদের মধ্য থেকে যদি কাউকে ইচ্ছা করে জামেলায় ফেলার চেষ্টা করা তাহলে কথা দিচ্ছি নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাড়া নাচাই দিব। এক সেকেন্ড ছাড় দিবনা, এক সেকেন্ডও না। একটা সেকেন্ড কোন নেতাকর্মীকে বিনা কারনে জামেলায় ফেলতে কেউ চেষ্টা করলে ছাড় দিবনা। কোন ব্যবসায়ী মাথা নত করে ব্যবসা করবেনা। কারন এই দেশ শেখ হাসিনার। এই নারায়ণগঞ্জও শেখ হাসিনার।

নেতাকর্মীদের আশ^স্থ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কি খালেদা জিয়া? না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। উনি নারায়ণগঞ্জের খোজ রাখেন কখন কি হচ্ছে। জাস্ট আগামী ১০/১২ দিনেই টের পাইবেন। আপনারা শান্ত থাকুন। তবে বাহিরের মানুষকে দোষ দিতে নাই। ভুল পদক্ষেপ নেওয়ায়ে বাহিরের মানুষকে ব্যবহার করতে চায়। সরকার আমাদের, প্রশাসন আমাদের, সিভিল প্রশাসন আমাদের, পুলিশ বাহিনী আমাদের, দায়িত্বও আমাদের। তাই নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে এমন কাজ আমরা করব না। আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে তাও নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে দিবনা।’

এসপিকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান আরও বলেছিলেন, তবে এই নারায়ণগঞ্জকে কেউ যদি এসে মনে করে ওই কাউন্সিলরকে ফাঁসাবো, ওই চেয়ারম্যানকে ঢুকাবো, কারো সাথে কন্ট্রাকে যাবো, ওইদিক থেকে চাঁদাবাজি করব, এখান থেকে চাঁদাবাজি করব, ব্যবসায়ীদেরকে ফোন করব, শ্রমিক নামধারী শ্রমিকরা আইসা নীট গার্মেন্টস মালিকদের ভয় দেখাবেন, বাস মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলবেন, অটো রিক্সা থেকে পয়সা খাবেন, নাহ ওইটা হবেনা। এই নারায়ণগঞ্জে হবেনা।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমানের এমন বক্তব্যের পর দেশে ফিরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান ৯ এপ্রিল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, হয়তো আজকের পর বরফ গলবে।’ ওই অনুষ্ঠানে এসপি হারুন বলেছেন, আমাদের মাঝে কোন বরফই নাই, বরফ গলার প্রশ্নই আসেনা।’ এসপি সেলিম ওসমানকে বলেন, ‘যদি কোন জুয়ারী, মাদক বিক্রেতা, ভূমিদস্যূ, সন্ত্রাসী, তেল চোরকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর দেখেন আপনাদের লোক হয় তাহলে সমস্যা নাই, অ্যাস পার ‘ল’ আদালত থেকে জামিন করিয়ে নিবেন।’ এসপি এও বলেছিলেন, যদি কোন পুুলিশ সদস্য ভুল করে তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন নিরীহ লোকজন যেনো হয়রানির শিকার না হন।’

তবে এই পরিস্থিতির অবসান হয়েছে কিনা তা দেখতে আরও বেশকদিন অপেক্ষা করতে হবে নারায়ণগঞ্জের মানুষকে। তবে এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি আলোচনা অপরাধীদের সঙ্গে পুুলিশ সুপার কি মিউয়ে গেলেন নাকি অপরাধী দমনে তিনি অঁটল থাকবেন এবং আছেন। যদিও এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ সুপার আরও দিগুণ পরিমানে জুয়ারী, তেল চোর, সন্ত্রাসী, মাদক বিক্রেতা, ভূমিদস্যূদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা বলছেন। নারায়ণগঞ্জে এই পুুলিশ সুুপার যোগদানের পর কয়েকশ মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেক অপকর্মের হোতাদের নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করেছেন। শহরে এখন চুরি ছিনতাই পকেটমার মাদক বিক্রি, জমি দখল, নিরীহ মানুষকে হুমকি ধমকি খুন খারাপি অনেকটাই কমে আসছে। যে কারনে পুলিশ সুুপারের কঠোর অবস্থানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের মানুষ স্বপ্ন দেখতেও শুরু করেছেন। তবে প্রভাবশালীরাও চেষ্টা করছেন পুলিশ সুপারকে কোনঠাসা করতে। অনেকেই বলছেন ম্যানেজ করারও চেষ্টা চলছে। হুমকি ধমকি আকার ইঙ্গিতে চলছে। শেষ পর্যন্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুুলিশ সুুপার তার অবস্থানে টিকে থাকবেন কিনা তা দেখার অপেক্ষায় এখন নারায়ণগঞ্জের শান্তিকামী মানুষ। শামীম ওসমানের বক্তব্য অনুযায়ী আরও দেখতে হবে আরও ৬ দিন।

গত ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে বন্দরের লাঙ্গলবন্দে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পূণ্যাস্নান উদযাপন উপলক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।

প্রধান অতিথি এমপি সেলিম ওসমান বলেছিলেন, আমাদের চলে যেতে হবে। আমরা প্রশাসনে অনেক দেখেছি প্রয়োজনে তিন দিনেও চলে যেতে হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার এমনও দেখেছি তিন বছর পার হয়ে গেছে আমরা যেতে দেইনি। আমরা জনপ্রতিনিধিরা আছি, ডিসি আছেন, এসপি আছেন, আমাদের আইনের মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে। আইনের মাঝে কোন রকম ঝগড়া বিবাদ হতে পারেনা। আমি যতক্ষণ চেয়ারে থাকবো সেই চেয়ারকে সম্মান করতেই হবে। আজকে সাংবাদিকদের মাধ্যমেই হয়তো সাংবাদিকদের কলমেই বরফ হয়তো গলে যাবে। নয় হয়তো দেখবেন আগামীতে কোন মিটিং এ হয়তো আমি নাই, হয়তো ডিসি নাই, হয়তো এসপি নাই। যে কোন ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কালকে ক্রু হয়ে যেতে পারে।’

ওইদিন এসপি হারুন অর রশীদ এমপি সেলিম ওসমানকে বলেছিলেন, আপনার সংসদীয় এলাকা সদর থানার কালিরবাজারে আমরা এক দিনে ৪১ জন জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছি। অনেকেই এঁটার সাথে জড়িত। আমরা চাই নারায়ণগঞ্জে একটা সুস্থ্য পরিবেশ বিরাজ করুক। আপনারা যারা আইন প্রেণতা রয়েছেন আমাদের কোন ভুল হলে বলবেন। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কোন দ্বন্ধ নেই, কোন কথা কাটাকাটি হয় নাই।’

এর আগে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, ‘শামীম ওসমান আমার ছোট ভাই। কিন্তু আমি যখন কোন অনুষ্ঠানে যাই তখন আমি মাননীয় সংসদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ-৪ বলেই অবহিত করি। টেবিলে এক, আর আমার বাসার ড্রয়িং রুমে আরেক। তাকে আমার সম্মানটা দিতেই হবে। সে করে আওয়ামীলীগ, আমি করি জাতীয়পার্টি। বাহিরে গেলে হয়তো দুজনে বিতর্কে অবস্থান নিতে পারি। আমি বলতে চাই যত বড় সমস্যাই হোক না কেন এক টেবিলে বসে সমাধান করা সম্ভব।’

এমপি সেলিম ওসমান আরও বলেছিলেন, আমাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক অনেক কিছুই হতে পারে। এমনও হতে পারে এখন পাশাপাশি বসে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলছি, উনি আমার রাজনৈতিক দলের নেতাকে ধরে নিয়ে গেল। উনার সাথে অবশ্যই আমার কথাবার্তা হতে পারে। হতেই পারে। মিথ্যা ভুল তথ্যে ধরে ফেললেন তাতে উনার সাথে আমার ঝগড়াঝাটি হতেই পারে। এটা আমাদের কাজ। এসপি সাহেবের ভুল হলে আমার সঙ্গে ঝগড়া হতেই পারে। ঘরের ভাই বোনের যেমন ঝগড়া হয় সেভাবে হবে। এটাকে যেনো পুুজি করে নারায়ণগঞ্জকে যেনো ক্ষতিগ্রস্থ না করা হয়। আমরা কেউ চিরজীবনের জন্য আসি না। উনি (এসপি) হয়তো নারায়ণগঞ্জে ভাল করেছেন উনাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। জাতীয় নির্বাচনে জরুরীভাবে উনাকে এখানে আনা হয়েছিল। আরেকজন এ রকম স্ট্রং এসপির প্রয়োজন আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। উনার ট্রান্সফার হতেই পারে। আমরা হয়তো ব্যবসায়ী রাজনীতিক সবাই মিলে উনাকে হয়তো সেদিন বিদায় সংবর্ধনা দিব। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। ঝগড়াও হতে পারে আবার আমরা বিদায় সংবর্ধনাও দিতে পারি।’

সভায় পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এমপি সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, আজকে যে প্রবলেমটা হয়ে যায় আমি যখন কাউকে ধরে আনি, তখন কিছু লোক থাকে যাদের কোন কাজকর্ম নেই। তারাই বলবে, দেখছেন আপনার লোকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। তাকে পেয়েছে একটা জায়গায় হয়তো জুয়া খেলা ছিল, অথচা তেল চুরির সঙ্গে ছিল, অথবা মাদক ব্যবসায়ে জড়িত ছিল তাকে ধরে নিয়ে আসছে। এখন সেই লোকটা যদি কারো হয়ে যায়, তাহলে সমস্যা নেই। আপনি তাকে জামিন করাইয়া নিয়া আইসা পড়েন। তাহলে সমস্যা হতোনা কেউ জানলো না। আমি মনে করি উনি (সেলিম ওসমান) যে বক্তব্যটা রেখেছেন আইন সবার জন্য সমান। আমরা আদালতে পাঠাবো আপনারা নিয়া আসবেন।’

পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে সেলিম ওসমানকে বলেন, উনি (সেলিম ওসমান) ব্যবসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে বলেছেন। আমি আরেকটা উনার সঙ্গে করতে চাই সেটা হলো মাদকটা নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্মূল করতে হবে। এটার সঙ্গে যদি আপনি থাকেন তাহলে এখন যেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে পুুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে আগামীতে আরও দিগুণভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। এখন মাদক ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না,ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না, আমরা খুজছি। তেল চোরদের এখন আর পাওয়া যায়না। কারন ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিয়ে পালিয়েছে।’

এসপি বলেছিলেন, আমি কাজ করতে চাই। আমরা কাজের সুযোগ চাই। আশা করি নারায়ণগঞ্জ যে একটা প্রাচ্যের ডান্ডি, যে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে, যে নারায়ণগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এসেছেন। সারা পৃথিবীর মানুষ নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা বানিজ্য করেছেন, সেই নারায়ণগঞ্জকে যদি সুন্দর শহর গড়তে চাই তাহলে অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। সেই কাজটিই আমরা করছি। এখানে অনেক চাঁদাবাজ আছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ী আছে, অনেক ভূমিদস্যূ আছে, সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। আমরা শুধু সেগুলো দেখতে চাই। আপনি শুধু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন কারা ভুমিদস্যূতায় জড়িত, কারা তেল চুরির সাথে জড়িত, আপনি যেহেতু বলেছেন এগুলোর বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নিতে, আমরা পুলিশ বাহিনী আরও দিগুণ উৎসাহিত হয়ে এগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করব। তবে অবশ্যই কোন নিরীহ মানুষ যেনো হয়রানি না হয়। কোন পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসপি আরও বলেন, এখন আমাদের পুলিশকে কোন দিকে ফেলানোর কেউ যেনো চেষ্টা না করে। আমরা আমাদের ওয়ে থেকে আমরা সঠিক পথে থেকে কাজ করতে চাই।’

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। পরে ঢাকায় বদলী হন মঞ্জুর কাদেরও। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যান। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এসব ঘটনার মধ্যে দুটি ঘটনার বিষয়ে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের উদ্যোগে ৯টি জাতীয় ও ৩৩টি স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা প্রতিবাদ সভা করেছেন গত ৩ এপ্রিল বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। ৩ এপ্রিল বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছিলেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশালী লোক হোক।’

এদিকে গত ৬ এপ্রিল শনিবার ফতুল্লার বাংলা ভবনে জরুরী কর্মী সভা করেছেন শামীম ওসমান। যেখানে তিনি নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভী, এসপি হারুন অর রশীদ ও কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশকে ইঙ্গিত করে বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন। ওই কর্মী সভায় পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে শ্লোগানও দিয়েছিল নেতাকর্মীরা। পুুলিশের কঠোর অবস্থান নিয়ে বক্তারা সেদিন কঠোর সমালোচনাও করেন। এর আগে ৩ এপ্রিল ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ সভা করে গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীতে আর ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপি দেননি।

বিএনপির কর্মীদের আস্থা জেলায় কাজী মনির, মহানগরীতে সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে এখন জেলা বিএনপিতে কর্মীদের আস্থা কাজী মনিরুজ্জামান মনির। এদিকে মহানগর বিএনপিতে নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভরসা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। জেলা বিএনপির সভাপতি পদে থেকে ২০৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে নিজের যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন কাজী মনির। আবার মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে থেকে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে সকল কর্মকান্ডে রাজপথে যার সক্রিয় ভুমিকা সেই সাখাওয়াত হোসেন খানের উপর নির্ভর করে মহানগর বিএনপির সক্রিয়তা। মামলায় নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আইনি লড়াইয়েও একমাত্র ভরসা এই সাখাওয়াত হোসেন খান। আবার মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের পাশে কাজী মনিরের ভুমিকাও জোড়ালো। এসব কারনে নেতাকর্মীরা বলছেন- জেলায় কর্মীদের আস্থা কাজী মনির ও মহানগরীতে সাখাওয়াত হোসেন খান।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন- ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। যেখানে সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। দুই বছরের মাথায় তারা দুজন জেলা বিএনপির ২০৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন। কমিটি গঠনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের কমিটি বানিজ্য পদ বানিজ্যের কোন অভিযোগ ওঠেনি। এমনকি এই কমিটির বিরোধীতা করে কেউ বিদ্রোহ করেনি।

নেতাকর্র্মীরা বলছেন- প্রায় ১৭ বছর পর নারায়ণগঞ্জে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছেন কাজী মনির। এতে নেতৃত্ব বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। কাজী মনির ও মামুন মাহামুদ জেলা বিএনপিকে কুক্ষিগত করেননি যা অতীতের নেতারা করেছিলেন। এর আগে কাজী মনির সেক্রেটারি পদে থেকেও জেলা বিএনপিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে চাইলেও তিনি পারেননি। জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর কাজী মনির কোন ব্যবসায়ী কিংবা কোন দলীয় ডোনারদের কাছ থেকে তহুরী আদায় করেননি। দলের সভাপতি পদ বিক্রি করে তিনি নিজের পকেট ভারি করেননি। এমন কোন অভিযোগ ওঠেনি তার বিরুদ্ধে। তিনি নিজেই একজন শিল্পপতি। দুহাতে নেতাকর্মীদের বিপদে খরচ করেন। যে কারনে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের আস্থা কাজী মনির।

এদিকে নেতাকর্মীরা বলছেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তৃতীয় সহ-সভাপতি পদে কমিটির খসড়া জমা দেয়ার কারনে আটকে গেল মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন। মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির চেয়েও দলীয় কর্মসূচিতে যার সবচেয়ে বেশি ভুমিকা সেই সাখাওয়াত হোসেন খানকে কমিটির পদে নিচে নামিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের চেষ্টাকে দলের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র দেখছেন নেতাকর্মীরা। যেখানে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের আস্থা এখন সাখাওয়াত হোসেন খান। উল্টো সরকারি দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে রাজনীতিতে জড়িত নেতাদের সাখাওয়াতের পদের উপরে রেখে কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া জমা দেন মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা।

নেতাকর্মীরা আরও বলছেন- দলীয় কর্মকান্ডে যখন সাখাওয়াত হোসেন খানের উপর নির্ভর করছেন মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা তখন সাখাওয়াত হোসেন খানকে মাইনাসের চেষ্টা করে দলকে ধ্বংসের দিকে নিতে চেষ্টা করেছিলেন সভাপতি আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামাল। মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল সরকারি দলের পক্ষ নিয়ে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের দেন। প্রকাশ্যে জাতীয়পার্টির প্রার্থীর নির্বাচনী সমাবেশে গিয়ে বর্তমান এমপি সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করার ঘোষণা দেন আর সেই মুকুলকে সাখাওয়াত হোসেন খানের উপরের পদে রেখে কেন্দ্রে কমিটির খসড়া জমা দেয়ার হেতু কি তা নেতাকর্মীরা বুঝে গেছেন। মুলত সরকারি দলের হাতে মহানগর বিএনপিকে জিম্মি করার একটি বিরাট চেষ্টা ছিল যা কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত হয়ে সেই মহানগর বিএনপির কমিটির খসড়া আর আলোর মুখ দেখলো না।

শুধুমাত্র যুগের চিন্তার কন্ঠ কেন রোধ করা হলো? প্রশ্ন রাখলেন তরিকুল সুজন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় স্থানীয় দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম বলেছেন, শুধুমাত্র যুগের চিন্তা কন্ঠস্বরকে কেন রোধ করা হয়েছে? যুগের চিন্তা যে কারণে বন্ধ করা হলো সে কারণ দেখলে জেলার সবগুলো পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি! আসলে যুগের চিন্তা সত্য প্রকাশ করে এতেই তারা ভীত হয়ে পড়েছে।’

দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার ডিক্লারেশন (প্রামাণিকরণ) বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে ১২ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তরিকুল সুজন আরো বলেন, যুগের চিন্তার উপর আক্রমন দেখে অন্য গণমাধ্যমের খুশি হওয়ার কোন কারণ নেই। নারায়ণগঞ্জে যে সমস্ত পত্রপত্রিকা বা অনলাইন পত্রিকা আছে এক সময় সবগুলোর উপর ক্রমশ আক্রমন কিংবা যুগের চিন্তার মত ডিক্লারেশন বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই সব গণমাধ্যমকে সংগঠিত হতে হবে।
প্রতিবাদ সভায় তিনি অনতিবিলম্বে যুগের চিন্তাকে পুণরায় প্রকাশ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।

মশিউর রহমান রিচার্ডের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি, নাগরিক কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, খেলাঘর আসর নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি রথীন চক্রবর্তী ও দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার বার্তা প্রধান আনোয়ার হাসান বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ সংবাদ