সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই ফরিদ আহমেদ। একটি কভার্ডভ্যানকে থামানোর সংকেত দিলে ওই কভার্ডভ্যানটি তার উপরে তুলে দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

১২ এপ্রিল শুক্রবার ভোরে বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কে এ দূর্ঘটনায় তিনি নিহত হন। খবর পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত এসআইয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

নিহত এসআই ফরিদ আহম্মেদ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার গেড়ারুক এলাকার মৃত মানিক জমাদারের ছেলে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আলী রেজা জানান, উপজেলার বন্দর এলাকায় ব্রক্ষ্মপুত্র স্নান উপলক্ষে ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত থেকে এসআই ফরিদ ঢাকা-চট্ট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দে দায়িত্ব পালন করছিলেন। স্নান উপলক্ষে মহাসড়কে যাতে যানজটের না সৃষ্টি না হয় সেজন্য ভোর থেকে এসআই ফরিদ লাঙ্গলবন্দ এলাকার ক্যাসেল রেস্টুরেন্টের সামনে মহাসড়কের উপর গাড়ী রেখে ঘুমিয়ে যাওয়া ট্রাক ড্রাইভারদের সজাগ করছিলেন।

এসময় ঢাকাগামী একটি কভার্ডভ্যান (ঢাকা-মেট্রো-ট-১৮-৭০৪০) দ্রুত গতিতে এসে এসআই ফরিদকে চাপা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক কভারভ্যানটিকে আটক করতে পারলেও চালক পালিয়ে যায়।

লাঙ্গলবন্দে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূণ্য কামনায় অষ্টমী স্নানোৎসব

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরের লাঙ্গলবন্দে ব্রক্ষপুত্র নদীর তীরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই দিনব্যাপী শুরু হয়েছে স্নানোৎসব। ১২ এপ্রিল শুক্রবার সকাল পৌনে ১২টা থেকে এই উৎসব শুরু হয়। তিথি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১১টা ৪৮ মিনিট থেকে শুরু হওয়া এই স্নানোৎসব শেষ হবে শনিবার সকাল ৮টা ৫৮মিনিটে। শেষ হবে অষ্টমী স্নানোৎসব।

এ বছর ব্রক্ষপুত্র নদীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূণ্যার্থীদের ঢল নামে। ১৮টি স্নানঘাটে দল বেধে, স্বপরিবারে, আবার কেউ কেউ এককভাবে ধর্মীয় রীতি মেনে স্নানে অংশ নিয়েছেন তারা। তীর্থকেন্দ্র ও স্নানঘাটগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভীড়। বিশেষ করে রাজঘাট ও গান্ধীঘাটে স্নানার্থীদের সমাগম ছিল চোখের পড়ার মত।

জগতের যাবতীয় সংকীর্ণতা ও পঙ্কিলতার আবরণে ঘেরা জীবন থেকে পাপ মুক্তির বাসনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দে আসেন। ‘হে মহা ভাগ ব্রহ্মপুত্র, ‘হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ কর’ এ মন্ত্র উচ্চারণ করে পাপ মোচনের আশায় লাখ লাখ পূণ্যার্থী আদি ব্রহ্মপুত্র নদীতে স্নানে অংশ নেন। এ সময় স্নানমন্ত্র পাঠ করে নিজ নিজ বাসনা অনুযায়ী ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরিতকি, ডাব, আম পাতা ইত্যাদি পিতৃকুলের উদ্দেশ্যে নদের জলে তর্পণ করেন পূণ্যার্থীরা।

লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের নেতা শিখন সরকার শিপন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রচুর স্নানার্থী এসেছেন, তাতে কিছুটা দুর্ভোগ মেনে নিতেই হবে। ভীড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এবার ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল থেকেও প্রচুর পূণ্যার্থী লাঙ্গলবন্দ স্নানে অংশ নিয়েছেন।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে চলছে স্নানোৎসব। বন্দর থানা পুলিশের ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, অষ্টমী স্নানকে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের দেড় সহস্রাধিক সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওায়ার ও নিরাপত্তা চেকপোস্ট। সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে তীর্থস্থানের ৩কিলোমিটার এলাকা। ২টি অস্থায়ী হাসপাতালসহ বেশ কটি মেডিক্যাল টিম স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত আছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম, সাধু নাগ মহাশয় আশ্রম, ১নং ঢাকেশ্বরী টিন লাইন ও বনগুন মিলন সংঘ, নিপসম, সেবা সংঘ, হিন্দু কল্যাণ পরিষদসহ অর্ধশত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান দর্শনাথীদের খাবার সরবরাহ ও অন্যান্য সেবা প্রদান করেছেন। অষ্টমী স্নান উপলক্ষে লাঙ্গলবন্দে দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় আবহমান বাংলার চিরায়ত রূপ ফুটে উঠেছে।

বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। সরোজ কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এমএ রশিদ প্রমুখ।

‘গডফাদার চক্রটি জনগণের মুখপাত্র যুগের চিন্তার কন্ঠ চেপে ধরতে চায়’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বহুল প্রচারিত স্থানীয় দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দূবৃত্তদের হাতে নিহত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর বাবা ও নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বী বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জের যুগের চিন্তা দৈনিকটি যেহেতু জনগণের মুখপত্র হয়ে উঠেছে, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরছে, সেহেতু এই নারায়ণগঞ্জের গডফাদার চক্রটি এই পত্রিকাটির কণ্ঠ চেপে ধরার জন্য বহুদিন ধরে তারা চেষ্টা করছে! তারা জনগণের মুখপাত্রকে দমাতে চায়। তবে সেটি তারা পারবেনা।’

দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার ডিক্লারেশন (প্রামাণিকরণ) বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে ১২ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিউর রাব্বী আরো বলেন, আপনারা শুনেছেন ঠুনকো একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তারা পত্রিকাটি বাতিল করেছে এবং যেই অভিযোগে এই যুগের চিন্তাকে বাতিল করা হলো, নারায়ণগঞ্জে এই অভিযোগ যদি ধরা হয় তাহলে একটি পত্রিকাও কি চলে? একটি পত্রিকা প্রকাশিত হতে পারে নারায়ণগঞ্জে? ওই পত্রিকাগুলো কেন বন্ধ হলোনা? ওইগুলো কেন প্রকাশিত হচ্ছে? এর অর্থ হচ্ছে যেই অভিযোগে এই পত্রিকাটি বন্ধ হয়েছে তা মূল অভিযোগ নয়।’

রাব্বি বলেন, মূল অভিযোগ হচ্ছে তাদের মদের ব্যবসা। তাদের চোরাচালান। তাদের মাদকের ব্যবসা। তাদের চাঁদাবাজি। তাদের তেল চুরির ব্যবসা। তাদের জুয়ার আড্ডা এই সমস্ত বিষয়গুলো যুগের চিন্তা তুলে ধরছে নির্ভয়ে এবং প্রশাসনের সহায়ক হিসেবে যুগের চিন্তা ভুমিকা রাখছে। এই জন্যই যুগের চিন্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা আজকে এই মানববন্ধন থেকে তাই দাবী করছি অবিলম্বে যুগের চিন্তা বন্ধের এই যে, স্বৈরতান্ত্রিক একটি ঘোষণা এটি প্রত্যাহার করে নারায়ণগঞ্জের মানুষের মুখপত্র এই পত্রিকাটিকে প্রকাশের সুযোগ করে দেয়া হোক। নতুবা এইটি সরকারের জন্য বিব্রতকর হবে এবং সরকারের মুখোশ উন্মোচন করবে। এইটি শুধু নারায়ণগঞ্জের গডফাদারদের মুখোশ উন্মোচন করবে না। সরকারের মুখোশও উন্মোচন করবে এই কালাকানুন।

তিনি আরো বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আসতেই হবে। এই কথা বলে তারা জনগণের রাগকে তারা প্রচারিত করতে চায়। তারা বিলম্বিত করে সকল ঘটনাকে মাটি চাপা দিতে চায়। ইতিপূর্বে যত ঘটনা ঘটেছে সমস্ত ঘটনাকে তারা এইভাবে মাটি চাপা দিয়েছে। তারা তাদের শাসন দুঃশাসনকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা কিছু করার দরকার তারা সবই করবেন।

গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে মশিউর রহমান রিচার্ডের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি, নাগরিক কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, খেলাঘর আসর নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি রথীন চক্রবর্তী ও দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার বার্তা প্রধান আনোয়ার হাসান বক্তব্য রাখেন।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী, দেখার কেউ নেই: আইএবি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

১২ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর (আইএবি) এর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, খাদ্য মানুষের অন্যতম একটি মৌলিক অধিকার। মানুষ বেচেঁ থাকার তাগিদে খাবার খায়। দিন দিন যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। যারা দিন আনে দিন খায় তাদের পক্ষে সাধারণ সবজি কেনাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। সবজি থেকে শুরু করে ব্রয়লার মুরগী, গরুর গোস্ত এবং আসন্ন রমজানের সামগ্রী সবকিছুর দাম হু হু করে বেড়েই চলছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সংগঠনটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ বিল্লাল হোসাইন খান।

তিনি আরও জানান শীর্ষ দুই নেতা বিবৃতিতে আরও বলেন, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষ করে সরকারের কোন সদিচ্ছা না থাকলে; সাধারণ জনগণ এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবেনা। পরিশেষে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পরিচ্ছন্ন নগর গড়ি, সুন্নতের আমল করি এই স্লোগানে ক্লিন নারায়ণগঞ্জ বির্নিমাণে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে নগরবাসীর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত আগামী ১৯ এপ্রিল ২০১৯ইং শুক্রবার নগর সম্মেলন সফল করতে হবে।

১৭ বছরের জট খুললেন কাজী মনির ও মামুন মাহামুদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অবশেষে কুক্ষিগত রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসলো নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতি। এর আগে বিএনপির রাজনীতিকে কুক্ষিগত করতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেননি শীর্ষ পদে থাকা নেতারা। তবে এবার দীর্ঘ ১৭ বছরের জট খুললেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। সেই সঙ্গে নেতৃত্বের বিকেন্দ্রীকরণ করে নারায়ণগঞ্জে শক্তিশালী একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করলেন বিএনপির এই নেতা। সর্বশেষ ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপর যারা আসছেন তারা জেলা বিএনপির নেতৃত্বে এসে রাজনীতিকে চুষে খেয়ে ফায়দা লুটেছেন। কিন্তু নেতৃত্ব সৃষ্টি করেননি। নেতৃত্ব মুঠোবন্ধি রেখেছিলেন বিগত সময়ের নেতারা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। গত ১৮মার্চ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন বিরোধ কিংবা বিদ্রোহ করতে দেখা যায়নি বিএনপি নেতাকর্মীদের। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা এই পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে শক্তিশালী কমিটি হিসেবে দেখছেন। কমিটিতে দ্এুকজন বাদে রাজপথের সক্রিয় নেতাকর্মীদের দিয়েই সাজানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটিতে রাখা হয়েছে ১৯জন আইনজীবীকেও। রয়েছেন শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধারাও।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠনের পর গত ১৮মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। শক্তিশালী একটি গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বড় ভুমিকা রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ।

এই পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে সাধুবাদ জানিয়ে নেতাকর্মী বলছেন, বিগত সময়ের কমিটিগুলোর চেয়ে খুব দ্রুতই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কোন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছেন সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। ২০০২ সালের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় কোন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতারা।

নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার বর্তমান সভাপতি কাজী মনির ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের একনিষ্ট আন্তরিক চেষ্টায় আংশিক কমিটি গঠনের মাত্র দুই বছরই তা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রুপ দিলেন। আর এ কমিটি করা হয়েছে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় নেতাকর্মীদের নিয়ে। প্রকৃত পক্ষে এ কমিটি প্রশংসার দাবিদার। এ কমিটিকে ঘিরে কোন প্রকার সমালোচনায় পড়তে হয়নি সভাপতি কাজী মনির ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বেশকজন নেতা বলেছেন, আমরা ব্যক্তিগতভাবে এ কমিটিকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আশা করি আগামী দিনে কাজী মনির ও মামুন মাহমুদের এ শক্তিশালী কমিটি আমাদের দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করবে। কমিটি গঠনে ধন্যবাদ জানাই বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে যিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির এত সুন্দর একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুুমোদন করেছেন।

দুই মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে ছাত্রদল সভাপতি: রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির আন্দোলনে সংগ্রামের সময় হওয়া দুই নাশকতার মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি। ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শতাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি আদালতে হাজিরা দিতে যান।

হাজিরা শেষে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মশিউর রহমান রনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা নির্যাতন নিপীড়ন করে এই অবৈধ সরকার আর বেশী দিন টিকে থাকতে পারবেনা। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ জেগে উঠবে।

বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত এর আদালতে হাজিরা দেন রনি। ওই সময় আদালতপাড়ায় শতশত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দেখা যায়।

মশিউর রহমান রনির পক্ষে আদালতে আইনি লড়াইয়ে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান সহ অন্যান্য আইনজীবীগণ।

প্রায় ৭ মাস কারাভোগ করা ও ১২ দিন রিমান্ডে থাকা কারামুক্ত মশিউর রহমান রনি আরও বলেন, আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আছি থাকবো। কোন রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনা। নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদল রাজপথের আন্দোলনে আছে এবং থাকবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর যতই মিথ্যা মামলা দেওয়া হোক না কেন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আগামী নির্বাচনে পুণরায় ক্ষমতায় এসে এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির শীর্ষ পদে মাহমুদুর রহমান সুমন

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। গত মাসের ১৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ২০৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর কমিটির তালিকা ১০ এপ্রিল মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়। কমিটির সভাপতি পদে কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ।

গত বছর কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি এএম বদরুজ্জামান খান খসরু পরলোক গমন করেন। তারপর আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা এক সভার মাধ্যমে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মাহমুদুর রহমান সুমনকে দায়িত্ব দেন। তিনি বদরুজ্জামান খান খসরুর ছেলে। খসরুও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। সেই পিতার স্থান দখল করছেন মাহমুদুর রহমান সুমন। এর আগে মাহমুদুর রহমান সুমন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদলের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদেও ছিলেন।

নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রয়াত নেতা খসুরুর মৃত্যুর পর আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে মাঠে নামেন সুমন। দলীয় কর্মসূচিও পালন করেন তিনি। যার ফলে তিনি নাশকতার মামলায় আসামীও হয়েছেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পান মাহমুদুর রহমান সুমন। যেখানে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। এখানে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর তার বয়সের কারনে রাজনীতি থেকে বিদায়ের পথে। গত নির্বাচনে আজাদ দলীয় প্রতীক পেলেও নেতাকর্মী শূন্যতায় ভুগেন। যার ফলে নির্বাচনের পর আড়াইহাজারে আজাদের কোন অবস্থান নেই। আড়াইহাজার বিএনপির এখন কর্ণধার মাহমুদু রহমান সুমন।

র‌্যাবের অভিযানে সিদ্ধিরগঞ্জে চোরাই তেল উদ্ধার, একজন গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান দিয়ে বিপুল পরিমান চোরাই তেল উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)। এ সময় এক তেল চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের টের পেয়ে আরও ৪ তেল চোর পালিয়ে যায়। ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এর অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিমউদ্দীন চৌধুরী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়- গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল ১০ এপ্রিল সাতটায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল পদ্মা ডিপো রোডে ৪টি চোরাই তেলের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ২৩টি তেলের ড্রামে ডিজেল-১৮৬০লিটার, অকটেন-৬৬০ লিটার, এটিএফ-১৭২০ লিটার, পেট্রোল-৪৪০ লিটার ও কেরোসিন-২২০ লিটারসহ সর্বমোট ৪ হাজার ৯০০ লিটার চোরাই তেল উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭’শ ৮০ টাকা।

এসময় চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চলাকালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাই চক্রের সদস্য মোঃ আউয়াল, বাচ্ছু মিয়া, নূর হোসেন ও কাসেম কৌশলে পালিয়ে যায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা পেট্রোলিয়াম লিঃ এর সামনে ছোট ছোট দোকান বসিয়ে চোরাই তেলের ব্যবসা করে আসছে। তাদের এই চোরাই তেল ঢাকার বিভিন্ন তেল ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করত।

র‌্যাব আরও জানায়- গ্রেপ্তারতারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় অবস্থিত পদ্মা ও মেঘনা ডিপো। অত্র এলাকায় ডিপো কেন্দ্রীক বেশ কয়েকটি চোরাই তেলের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে যা বিভিন্ন সময় পত্র পত্রিকায় খবর ও অনুসন্ধান রিপোর্টে উঠে আসে। এই ডিপো হতে প্রতিদিন শতশত তেলের লরী তেল ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। এই সেন্ডিকেটের কাছে কিছু অসাধু লরীর ড্রাইভার ও হেলপার নামে মাত্র মূল্যে তেল ভর্তি লরী থেকে চুরি করে তেল বিক্রি করে। চোরাই চক্র এই তেলের সাথে ভেজাল তেল মিশিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে এই তেল সরবরাহ করে। এই তেল ব্যবহার করে গাড়ীর ইঞ্জিন ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এই চোরাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যহত থাকবে।

জেলা বিএনপির শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ কমিটি, আপাতত সফল কাজী মনির ও মামুন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। গত ১৮মার্চ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন বিরোধ কিংবা বিদ্রোহ করতে দেখা যায়নি বিএনপি নেতাকর্মীদের। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা এই পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে শক্তিশালী কমিটি হিসেবে দেখছেন। কমিটিতে দ্এুকজন বাদে রাজপথের সক্রিয় নেতাকর্মীদের দিয়েই সাজানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটিতে রাখা হয়েছে ১৯জন আইনজীবীকেও। রয়েছেন শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধারাও।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠনের পর গত ১৮মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। শক্তিশালী একটি গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বড় ভুমিকা রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ।

এই পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে সাধুবাদ জানিয়ে নেতাকর্মী বলছেন, বিগত সময়ের কমিটিগুলোর চেয়ে খুব দ্রুতই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কোন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছেন সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। ২০০২ সালের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় কোন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতারা।

নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার বর্তমান সভাপতি কাজী মনির ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের একনিষ্ট আন্তরিক চেষ্টায় আংশিক কমিটি গঠনের মাত্র দুই বছরই তা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রুপ দিলেন। আর এ কমিটি করা হয়েছে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় নেতাকর্মীদের নিয়ে। প্রকৃত পক্ষে এ কমিটি প্রশংসার দাবিদার। এ কমিটিকে ঘিরে কোন প্রকার সমালোচনায় পড়তে হয়নি সভাপতি কাজী মনির ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বেশকজন নেতা বলেছেন, আমরা ব্যক্তিগতভাবে এ কমিটিকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আশা করি আগামী দিনে কাজী মনির ও মামুন মাহমুদের এ শক্তিশালী কমিটি আমাদের দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করবে। কমিটি গঠনে ধন্যবাদ জানাই বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে যিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির এত সুন্দর একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুুমোদন করেছেন।

লাঙ্গলবন্দে স্নান উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তৈমূর আলমের শুভেচ্ছা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

হিন্দু সম্প্রদায়ের স্নান উৎসব উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সহ সারাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। স্নান উৎসবে সর্ব প্রকার সহযোগিতার জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

অন্যদিকে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মহা অষ্টমী স্নান উৎসবে এবার কঠোর নিরাপত্তায় থাকবে জেলা পুলিশের ১৬’শ পুলিশ সদস্য। উৎসবকে ঘিরে নেয়া হয়েছে অন্যান্য ব্যবস্থাও। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে এই উৎসবে। আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে স্নান উৎসব।

১০ এপ্রিল বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকার বেশকটি স্নান ঘাট পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটা তীর্থস্থান। তাই ভারত এবং বিভিন্ন স্থান থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে এখানে। সেই কারণে প্রতি বছরের মতো এবারও সিকিউরিটি প্লান রয়েছে আমাদের।

তিনি বলেন, এবার বেশী গুরুত্ব দিচ্ছি যেহেতু, ২০১৫ সালে একটি ঘটনা ঘটেছে! সে কারণে এবার তিনটি শিফটে ১৬’শ এর মত পুলিশ এখানে কাজ করবে এবং এখানে ১৮টি স্নান ঘাট রয়েছে প্রত্যেকটিতে আমাদের নিরাপত্তাকর্মী থাকবে।

সর্বশেষ সংবাদ