আমি বসিনি, শুইনি, দাড়িয়েই আছি: কায়সার হাসনাত

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকবেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখন থেকে আর কোন বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থাকবে না। কেউ কেউ অপপ্রচার করছিলেন আমি নির্বাচনে থাকবো কি থাকবোনা। যদি নির্বাচনে না থাকতাম তাহলে আজকে এই সংবাদ সম্মেলনেই ঘোষণা দিতাম। সুতরাং নির্বাচনে আমি থাকছি এবং শেষ পর্যন্ত।

তিনি বলেন, এতদিন ধরে কথা আসছে আমি নির্বাচন করছিনা, করব কিনা, বসে পড়ছি কিনা, শুয়ে পড়ছি কিনা। আমি যদি বলতাম তাহলে আজকেই বলতাম। আমি শুইনি বসিনি। আমি দাড়িয়েই আছি। এই নির্বাচন কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নির্বাচনের পরেই আপনারা বুঝতে পারবেন। এই নির্বাচন সোনারগাঁবাসীর জন্য একটি মাইলফলক। আমি এমপি হওয়ার জন্য নির্বাচনে আসিনি। সোনারগাঁবাসীকে নিরাপত্তা দিতে আসছি।

২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারগাঁও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে কেন তিনি নির্বাচন করছেন তার বিস্তারিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে সোনারগাঁবাসীকে জানান।

নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কোন ধরনের চাপ রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে কায়সার হাসনাত বলেন, আমার উপর কোন ধরনের উচ্চ চাপ নাই, নিম্নচাপও নাই।

এর আগে কায়সার হাসনাত তার নির্বাচনে ‘আগামী ৫ বছর কেমন সোনারগাঁও দেখতে চাই’ এমন শ্লোগানে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়ে বলেন, আমার প্রধান লক্ষ হলো সোনারগাঁবাসীকে নিরাপদ রাখতে চাই। সোনারগাঁয়ের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে চাই। এটা আমার সোনারগাঁও নয় এটা আমাদের সোনারগাঁও। এখানে শান্তির মডেল হিসেবে সোনারগাঁকে গড়তে চেয়েছিলাম। সেই লক্ষ নিয়েই এবার নির্বাচনে দাড়িয়েছি।

কায়সার হাসনাত বলেন, ৭১ সালে যুব সমাজ যুদ্ধ দেখেনি। এবার আগামী ৩০ ডিসেম্বর সেই যুদ্ধ আমরা দেখবো। সেটা হলো ভোট যুদ্ধ।

তিনি সোনারগাঁবাসীকে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে বলে আশ্বস্থ করে বলেন, কোন সন্ত্রাসীর হুমকি ধমকিতে নির্বাচন বিতর্কিত হবে না। এটা আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হতে দিবেন না।

তিনি আরেক প্রশ্নে বলেন, ভোট দেয়ার মালিক জনগণ। কেউ যদি বলে থাকেন প্রশাসন ব্যবহার করে ভোট বাক্স লুট কিংবা সীল মেরে নির্বাচনে জয়ী হবেন সেটা সম্ভব নয়। এটা ভাবাটাই বোকামী। এটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। যারা বাহিরে থেকে লোক এনে সোনারগাঁয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চায় বুঝতে হবে সোনারগাঁয়ে তাদের কোন জনসমর্থন নাই।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে কায়সার হাসনাত সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য সাংবাদিক সমাজ, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগীতা কামনা করেন। এবং সোনারগাঁবাসীর মাঝে দোয়া কামনা করে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সিংহ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এছাড়াও সোনারগাঁবাসীর জন্য কি কি কাজ করতে চান সেই সব বিষয় নিয়েও কথা বলেন। কথা বলেন নানা সমস্যা নিয়ে। তিনি গুরুত্ব দেন সোনারগাঁও হবে একটি পর্যটন নগরী।

এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান সোনারগাঁয়ে এক সমাবশে বলেছিলেন, কায়সার হাসনাত কোন রাজাকার আলবদর পরিবারের সন্তান নয়। সে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির পরিবারের সন্তান। সে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চাইবে। এবং আমি চাইনা কায়সার হাসনাত আজীবনের জন্য বহিস্কার হয়ে যাক। এমন বিষয়টি উল্ল্যেখ করে কায়সার হাসনাতের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে কায়সার হাসনাত বলেন, শামীম ওসমান আমার অভিভাবক। তিনি আমার বাবা চাচার সাথে তিনি রাজনীতি করেছেন। তো আমাকে উনি ভাতিজা হিসেবে অনেক কিছুই বলতে পারেন এটা তার অধিকার। শাসন করতেও পারেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান উদ্দিন চুন্নু, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান, সোনারগাঁ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলী আকবর, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ, সোনারগাঁ পৌরসভার দুই নারী কাউন্সিলর রীতা আক্তার, পারভীন আক্তার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সাদিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন মাসুম, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন, উপজেলা সোনারগাঁ পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফায়জুল হাসান প্রমুখ।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।

এবার মোশারফ হোসেনও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। মোশারফ হোসেন এখন মাঠে নেমেছেন ভাতিজা কায়সার হাসনাতের পক্ষে। মোশারফ হোসেন একটি সমাবেশে বলেছেন, এমপি খোকা আপনি বাড়ি গিয়ে ঘুমান। সোনারগাঁয়ে আপনার ১০ পারসেন্ট ভোটও নাই। আপনি ১০ পারসেন্ট ভোট পেলেই আমরা ধরে নিব আপনি এমপি হয়ে গেছেন। তাই খেলা বাদ দিয়ে বাড়ি গিয়ে ঘুমান। আপনি যে খেলা খেলতে চান সেই খেলা আমরা ৬০ বছর আগেই শেষ করে এসেছি।’

এ আসন থেকে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন এরশাদের পালিত মেয়ে ও কেন্দ্রীয়মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তবে তার মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আপীল করেন। আপীলেও তার মনোনয়ন বাতিল করা হলে তিনি এখন আর নির্বাচনী আলোচনায় নেই। কারো পক্ষেই এখনও তিনি মাঠে নামেননি। সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতিও ছিলেন তিনি। গত ২০ নভেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজকে কেন্দ্র করে মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামাল দায়ের করে এমপি খোকা অনুগামী উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুুল হক মাস্টার। ওই মামলার পর দিন সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টি থেকে মৌসুমীকে বাদ দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা জাতীয়পার্টি।

সোনারগাঁয়ে এখন সিংহের গর্জন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

দেখা যাচ্ছে সোনারগাঁয়ে এখন সিংহের গর্জন। নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের নির্বাচনী শোডাউন দিনকে দিন বড় হচ্ছে। ১৯ ডিসেম্বর সোনারগাঁয়ে সাদিপুর ইউনিয়নে বিশাল শোডাউন দিলেন কায়সার হাসনাত। প্রতিদিনই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার নেতাকর্মী ও স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার লোকজনদের সমাগম বাড়ছে। নির্বাচনী শোডাউন ও গণসংযোগ এবং জনপ্রিয়তায় কায়সার হাসনাতের অবস্থান দেখা যাচ্ছে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে বেশি।

গণসংযোগে কায়সার হাসনাত বলেন, আমি নির্বাচনী মাঠে ছিলাম আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত মাঠে থেকে জয় নিয়ে বাড়িতে ফিরবো। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সিংহ মার্কা ভোট দিলে সোনারগাঁও তৃনমুল আওয়ামীলীগ বাঁচাতে হবে। সেই সঙ্গে অবহেলিত সোনারগাঁয়ে উন্নয়নের জন্য সিংহ মার্কাকে ভোট দিতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, অবহেলিত সোনারগাঁয়ের পর্যটক নগরীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে সিংহকে ভোট দিতে হবে।

বুধবার দিনব্যাপী সোনারগাঁয়ের সাদিপুরে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত গণসংযোগ করেছেন। উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর, ভারগাঁও, নয়াপুর, কোনাবাড়ি, কাজিগাঁও, রতন মার্কেট, নানখী, পঞ্চমীঘাট ও কাজরদীসহ ১০টি স্পটে গণসংযোগ করেন কায়সার হাসনাত। এসময় স্থানীয় কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগ বিকেল গড়িয়ে আসলে বিশাল শোডাউনে পরিনত হয়।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।

এবার মোশারফ হোসেনও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। মোশারফ হোসেন এখন মাঠে নেমেছেন ভাতিজা কায়সার হাসনাতের পক্ষে। মোশারফ হোসেন একটি সমাবেশে বলেছেন, এমপি খোকা আপনি বাড়ি গিয়ে ঘুমান। সোনারগাঁয়ে আপনার ১০ পারসেন্ট ভোটও নাই। আপনি ১০ পারসেন্ট ভোট পেলেই আমরা ধরে নিব আপনি এমপি হয়ে গেছেন। তাই খেলা বাদ দিয়ে বাড়ি গিয়ে ঘুমান। আপনি যে খেলা খেলতে চান সেই খেলা আমরা ৬০ বছর আগেই শেষ করে এসেছি।’

এ আসন থেকে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন এরশাদের পালিত মেয়ে ও কেন্দ্রীয়মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তবে তার মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আপীল করেন। আপীলেও তার মনোনয়ন বাতিল করা হলে তিনি এখন আর নির্বাচনী আলোচনায় নেই। কারো পক্ষেই এখনও তিনি মাঠে নামেননি। সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতিও ছিলেন তিনি। গত ২০ নভেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজকে কেন্দ্র করে মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামাল দায়ের করে এমপি খোকা অনুগামী উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুুল হক মাস্টার। ওই মামলার পর দিন সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টি থেকে মৌসুমীকে বাদ দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা জাতীয়পার্টি।

শামীম ওসমানের পক্ষে মাঠে কাশিপুুর আওয়ামীলীগ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমানকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানিয়েছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. সাইফউল্লাহ বাদল। সেই সঙ্গে এমপি শামীম ওসমানকে বিজয়ী করতে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কাশীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে শামীম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন কালে এম. সাইফউল্লাহ বাদল এ আহবান জানান। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও কাশীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোমেন সিকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ক্যাম্প উদ্বোধন কালে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এম. সাইফউল্লাহ বাদল আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৭ বছর। এ সময়ে অনেকেই এমপি হয়েছেন কিন্তু ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার কোন উন্নয়ন হয় নাই। যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তা নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার শামীম ওসমানের হাত দিয়ে হয়েছে।

মোমেন সিকদার তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে এমপি শামীম ওসমানের বিকল্প নেই। এমপি শামীম ওসমান বিগত ৯৬ থেকে ২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হয়ে ২৬’শ কোটি টাকার উন্নয়ন করে যা রেকর্ড গড়েছিলেন। এবারও তিনি তার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে ৭ হাজার ৪’শ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। তাকে আবারো নির্বাচিত করা হলে নারায়ণগঞ্জের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত হবে।

থাবা দিব কলিজা নিয়ে আসবো: সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

যারা নাটকবাজী করেন তাদের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যারা নাটকবাজী করেন তাদের বলি, থাবা দিব কলিজা নিয়ে আসবো।
১৯ ডিসেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ড ও ১৫ ওয়ার্ড মহাজোটের উদ্যোগে আওয়ামীলীগের আয়োজনে আলোচনা সভায় এমন হুংকার দেন সেলিম ওসমান। তবে তিনি কাদের নাটকবাজ বলেছেন সেটা তিনি সুস্পষ্ট করেননি।

এর আগে সেলিম ওসমান সভায় উপস্থিত নারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের স্বামী যারা হেলে দুলে বাড়ী ফিরে আমায় জানাবেন, আমি তাঁদের ব্যবস্থা করবো। স্বামীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা পরিবার ও বউকে ভালোবাসেন।

পরে তিনি বলেন, যারা নাটকবাজী করেন ঠিক হয়ে যান। নইলে এমন থাবা দিবো কলিজা নিয়ে আসবো। সময় আছে নিজেকে পরিবর্তন করেন বলে সর্বস্তরের জনগনের প্রতি এই আহবান করেন।

সেলিম ওসমান আরও বলেন, আমাদের উন্নয়ন দেখেন আমরা কতটুকু উন্নয়ন করেছি? আমাদের আরো ৫টি বছর সময় দেন দেখবেন এই দেশ ২৫ বছর এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রী হলে ৫ বছরে ২৫ বছর এগিয়ে যাবে দেশ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দনশীল, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন টুলু, পুলক কান্তি ঘোষাল বাচ্চু, শহর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাত হসোন সাজনু, অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনি, নারায়ণগঞ্জ জেলা শিশু আদালতের পিপি ও মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি প্রমুখ।

প্রয়াত খসরু ও ইকবালকে স্মরণ করলেন আজাদ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য প্রয়াত এএফএম ইকবালকে স্মরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।

১৯ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদের পক্ষে আনুুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামেন মাহমুদুর রহমান সুমন। ওই সময় কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসুরুর বাসভবন আড়াইহাজারের ইলমদী এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমবেত হন মাহমুদুর রহমান সুমন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ সহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও। এ আসনে প্রাথমিকভাবে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনিও। তিনি এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

ওই অনুষ্ঠানে নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, আড়াইহাজার বিএনপি ধরে রেখেছেন খসরু সাহেব। আমি যখন থেকে বিএনপি বুঝি তখন থেকে জানি আড়াইহাজার বিএনপি ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন। সচল রেখেছেন খসরু সাহেব। সব সময় তিনি দলকে সুসংগঠিত করে রাখার চেষ্টা করেছেন। আপনারা সবাই এটা অবগত আছেন। আমি বলতে চাই বিএনপি ক্রান্তিলগ্নে কেউ কেউ দল ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। খসরু সাহেব কিন্তু কোথাও যাননি। উনি আমার অভিভাবক। আমি প্রথমে উনার কবর জিয়ারত করেছি। তারপর রোকনউদ্দিন মোল্লার কবর জিয়ারত করেছি। তারপর ইকবাল ভাইয়ের কবর জিয়ারত করেছি। তারপর আমি আমার নির্বাচনী কাজ শুরু করি।

আজাদ আরও বলেন, আমার কথা হলো যে সম্মানী লোক, আল্লাহ যাকে সম্মান দিয়েছেন তাকে আমাদের সম্মান করা উচিত। আমি বলতে চাই আমি সুমন ও আঙ্গুর সাহেবের বাসায় গিয়েছি। তিনি যদি আসেন মোস্টওয়েলকাম। সবাই মিলে নির্বাচন করব। আপনারা যদি বাবুকে না সড়ান তাহলে গত ১০ বছরে বাবু যা করেছেন। আবার আসলে কী করবে কল্পনাও করতে পারবেন না। ধানের শীষ আমার মার্কা নয়, ধানের শীষ খালেদা জিয়ার মার্কা, ধানের শীষ তারেক জিয়ার মার্কা, ধানের শীষ সুমন ভাইয়ের মার্কা, ধানের শীষ আপনাদের সবার মার্কা। ধানের শীষকে আপনাদের জয়যুক্ত করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক জিয়া দেশে আনতে হবে।

আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাশেম ফকিরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা জামায়তে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন ভূইয়া, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি পারভীন আক্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিক ভুইয়া, হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল্লাহ, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক নেতা জাকির হোসেন ভূইয়া, লিটন মিয়া, ছাত্রদল নেতা এরশাদ আলী, মাহমুদুর রহমান তুষার, শ্রমিকদল নেতা শানু, আবুল কালাম ও মকবুল হোসেন প্রমুখ।

জয় নিয়ে বাড়ি ফিরবো: বিশাল শোডাউনে কায়সার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের নির্বাচনী শোডাউন দিনকে দিন বড় হচ্ছে। ১৯ ডিসেম্বর সোনারগাঁয়ে সাদিপুর ইউনিয়নে বিশাল শোডাউন দিলেন কায়সার হাসনাত। প্রতিদিনই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার নেতাকর্মী ও স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার লোকজনদের সমাগম বাড়ছে। নির্বাচনী শোডাউন ও গণসংযোগ এবং জনপ্রিয়তায় কায়সার হাসনাতের অবস্থান দেখা যাচ্ছে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে বেশি। দেখা যাচ্ছে সোনারগাঁয়ে এখন সিংহের গর্জন।

গণসংযোগে কায়সার হাসনাত বলেন, আমি নির্বাচনী মাঠে ছিলাম আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত মাঠে থেকে জয় নিয়ে বাড়িতে ফিরবো। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সিংহ মার্কা ভোট দিলে সোনারগাঁও তৃনমুল আওয়ামীলীগ বাঁচাতে হবে। সেই সঙ্গে অবহেলিত সোনারগাঁয়ে উন্নয়নের জন্য সিংহ মার্কাকে ভোট দিতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, অবহেলিত সোনারগাঁয়ের পর্যটক নগরীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে সিংহকে ভোট দিতে হবে।

বুধবার দিনব্যাপী সোনারগাঁয়ের সাদিপুরে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত গণসংযোগ করেছেন। উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর, ভারগাঁও, নয়াপুর, কোনাবাড়ি, কাজিগাঁও, রতন মার্কেট, নানখী, পঞ্চমীঘাট ও কাজরদীসহ ১০টি স্পটে গণসংযোগ করেন কায়সার হাসনাত। এসময় স্থানীয় কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগ বিকেল গড়িয়ে আসলে বিশাল শোডাউনে পরিনত হয়।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।

এবার মোশারফ হোসেনও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। মোশারফ হোসেন এখন মাঠে নেমেছেন ভাতিজা কায়সার হাসনাতের পক্ষে। মোশারফ হোসেন একটি সমাবেশে বলেছেন, এমপি খোকা আপনি বাড়ি গিয়ে ঘুমান। সোনারগাঁয়ে আপনার ১০ পারসেন্ট ভোটও নাই। আপনি ১০ পারসেন্ট ভোট পেলেই আমরা ধরে নিব আপনি এমপি হয়ে গেছেন। তাই খেলা বাদ দিয়ে বাড়ি গিয়ে ঘুমান। আপনি যে খেলা খেলতে চান সেই খেলা আমরা ৬০ বছর আগেই শেষ করে এসেছি।’

এ আসন থেকে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন এরশাদের পালিত মেয়ে ও কেন্দ্রীয়মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তবে তার মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আপীল করেন। আপীলেও তার মনোনয়ন বাতিল করা হলে তিনি এখন আর নির্বাচনী আলোচনায় নেই। কারো পক্ষেই এখনও তিনি মাঠে নামেননি। সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতিও ছিলেন তিনি। গত ২০ নভেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজকে কেন্দ্র করে মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামাল দায়ের করে এমপি খোকা অনুগামী উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুুল হক মাস্টার। ওই মামলার পর দিন সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টি থেকে মৌসুমীকে বাদ দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা জাতীয়পার্টি।

তিন ঘন্টা পর আজাদ: নেতাকর্মীরা বললেন ‘ভোটই দিমুনা’

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন কয়েক হাজার বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনকে নিয়ে সকাল ১০টা থেকে অবস্থান নেন। সকাল ১০টায় বিএনপির মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ আসার কথা থাকলেও তিনি সভাস্থলে উপস্থিত হন তিন ঘন্টা পর দুপুর ১টায়। ফলে নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘ভোটই দিমুনা’।

উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, তিন ঘন্টা আতংকে কাটিয়েছেন নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের হুমকি ধমকি ছিল অব্যাহত। অনেক নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোনে সরকারি দলের লোকজন ভয় ভীতি দেখিয়ে সভাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। সকাল ১০টায় এখানে আজাদকে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজাদ সভাস্থলে আসলেন তিন ঘন্টা পর। যে নেতা আজাদ নেতাকর্মীদের সমস্যা বুঝেনা এবং সময় মেইনটেন করতে পারেনা এমন নেতাকে আমরা ভোট দিমুনা।

১৯ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আড়াইহাজারের ইলুমদি এলাকার বাসভবনে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের বাসায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় তিন ঘন্টা পর আজাদ সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার কারনে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেক নেতাকর্মীরা চলে যান।

সভাস্থলে আসা নেতাকর্মীরা ক্ষোপ প্রকাশ করে আরও বলেন, নির্বাচিত হওয়ার আগেই যে নেতা আমাদের এত দীর্ঘ সময় ধরে বসিয়ে রেখে উপস্থিত হন। নির্বাচিত হলে না জানি আর কত কিছু দেখতে হয়। আজাদ নাকি তার নির্বাচিনী প্রচারনা শুরুই করেন বিকেল থেকে। যা শেষ হয়ে থাকে সন্ধ্যায়। যার ফলে নেতাকর্মীরা বাড়ী ফিরতে রাত হয়ে যায়। আর রাতের বেলা বাড়ী ফিরতে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকেন ক্ষমতাসীনদল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর দ্বারা। আবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা দল নেত্রী বলেন, আজাদ সব সময়ই সব ধরনের প্রোগ্রামে দেরী করে আসেন। শোডাউনেও আসেন অনেক দেরী করে। ফিরেনও রাত করে। যার ফলে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা তার গাড়ীতে হামলা করার সুযোগ পায়।

বন্দরে বিএনপি-জামাতের দুই কর্মী কারাগারে

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় সন্দেহভাজন বিএনপি-জামাতের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে পৃথক স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো আদালত আসামীদের কারাগাওে পাঠান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বন্দরে সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের ৫৫৮ উইলসনরোড এলাকার মৃত আমানউল্লাহ ভূইয়ার ছেলে ইমরুল ভূইয়া ও গকুলদাসেরবাগ এলাকার মৃত আবু সাঈদ মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক। তাদের পরিবারের দাবি তারা বিএনপি জামাতের কোন কর্মী নয়। তারা সমর্থক মাত্র।

থানা পুলিশের দাবি- বিএনপির নাশকতা পরিকল্পনার এজাহারভূক্ত আসামী বিএনপি-জামাত কর্মী ইমরুল ভূইয়া ও মোজাম্মেল হক পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বন্দর থানার এসআই সাইয়েদুল ও মোহাম্মদ আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পৃথক অভিযান চালায়। অভিযানে বন্দর উইলসনরোড এলাকায় নিজ বাড়ী থেকে ইমরুল ভূইয়াকে ও গকুলদাসের বাগ এলাকা থেকে মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজাদকে নিয়ে নামলেন সুমন, দিলেন পরামর্শ

আবদুল্লাহ অল মামুন, বিশেষ প্র্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামলেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। একই সঙ্গে তিনি এ আসনে বিএনপির প্রার্থীকে জয়ী করতে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। বিএনপির প্রার্থী নজরুর ইসলাম আজাদকে তার নির্বাচনী কৌশলী কিছু পরামর্শও দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান সুমন। বক্তব্য শেষে নেতাকর্মীদের কাছে আজাদের হাত উচিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন।

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজাদকে পরামর্শ দিয়ে মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, নির্বাচনের তিন ভাগের দুই ভাগ সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। কাজ কিন্তু অনেক বাকি আছে। সবগুলো ওয়ার্ডে নির্বাচনী কমিটি করতে হবে। ১০টি ইউনিয়নের সবগুলোতে যেতে হবে। সবগুলো সেন্টারে সেন্টার কমিটি করতে হবে। তবে কমিটিগুলো অবশ্যই বিশ্বস্থ লোক দিয়ে করতে হবে যাতে ঠিকমত কাজ করে। আবার ঠিকমত কাজ করছে কিনা তার জন্য মনিটরিং কমিটি করতে হবে।

আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, একটি নির্বাচন বিবাহের বরযাত্রা নয়। একটি নির্বাচন কর্মযজ্ঞ, মহাকর্মযজ্ঞ। নির্বাচন অনেক কঠিন যা শক্ত হাতে তা পরিচালনা করতে হয়।’

১৯ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদের পক্ষে আনুুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামেন মাহমুদুর রহমান সুমন। ওই সময় কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মরহুম এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আড়াইহাজারের ইলমদি এলাকার বাসভবনে (নারায়ণগঞ্জ-২) জাতীয় সংসদ নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন জনসভার প্রধান অতিথি মাহমুদুর রহমান সুমন। মাহমুদুর রহমান সুমন আড়াইহাজারের ইলমদী এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমবেত হন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ সহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও। এ আসনে প্রাথমিকভাবে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনিও।

এছাড়াও প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, ধানের শীষ এবং বিএনপির জনপ্রিয়তার উপর ভর না করে নিজেকে গণসংযোগ করে মানুষের কাছে ভোট চেয়ে পরিচিত হওয়ার পরামর্শ দেন এবং নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সব ভেদাভেদ ভুলে ব্যক্তিকে না দেখে ৩০শে ডিসেম্বর ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান রাখেন। এর আগে মরহুম এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পালন করেন নেতাকর্মীরা।

আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাশেম ফকিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে মাহমুদুর রহমান সুমন আরও বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশটাকে আমাদের উপহার দিয়েছেন তাদের রক্তের বিনিময়ে। আমি সেই বীর সেনাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমি বিশেষ করে স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযুদ্ধা, বীর সেনা, স্বাধীনতাকামী, সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠাকারী, উন্নয়নের রুপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে।


কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক এই নেতা নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ নির্বাচনে হয়তো আমরা আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত ফিরে পাব। আমাদের শান্তিত প্রতিষ্ঠা করতে পারব। ঘরে ঘরে চাকুরি দেব। তবে অতীতের মত নয়। গত দশ বছরে কিছু না কিছু পেয়েছেন তা হলো যেমন মামলা খেয়েছেন। তবে আমরা এগুলো আপনাদের দিব না। আমরা শান্তিপ্রিয়। বাংলাদেশকে শান্তির রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা ক্ষমতায় এলে মানুষ শান্তিতে থাকবে। দুর্নীতি বন্ধ হবে। আমরা আমাদের দলকে সুসংগঠিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। তাই আমাদের সবাইকে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। আর এ প্রতিটা ভোট হবে গণতন্ত্রের মা, দেশমাতা, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দলিলে স্বাক্ষর ও রায় ঘোষণা।

তারেক রহমানের বিষয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমান হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আমাদের বিএনপির সুপ্রীম কমান্ডার। আমরা তার নির্দেশে সঠিকভাবে কাজ করে বিএনপিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের জয় হবে ইনশাহআল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা জামায়তে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন ভূইয়া, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি পারভীন আক্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিক ভুইয়া, হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল্লাহ, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক নেতা জাকির হোসেন ভূইয়া, লিটন মিয়া, ছাত্রদল নেতা এরশাদ আলী, মাহমুদুর রহমান তুষার, শ্রমিকদল নেতা শানু, আবুল কালাম ও মকবুল হোসেন প্রমুখ।

সেই ‘তেলাপোকা পাখি’ পার্টির লাঙ্গলের পক্ষে মাহামুদা মালা!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

গত বছর ওসমান পরিবারের সমর্থকদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহামুদা আক্তার মালা। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মাহামুদা মালা এক সভায় বলেছিলেন, ‘তেলাপোকা একটি পাখি আর জাতীয় পার্টিও একটি পার্টি।’এমন বক্তব্যের প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন এমপি সেলিম ওসমান। তবে সেই ‘তেলাপোকা পাখি’ পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের মহাজোট সমর্থিত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন মহানগর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। ১৯ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে নারায়লগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট, উকিলপাড়া, নন্দীপাড়া, ডিআইটি বানিজ্যিক এলাকা, নিতাইগঞ্জ, কালীবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের লিফলেটসহ লাঙ্গল মার্কার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন নেতাকর্মীরা। এ গণসংযোগের নেতৃত্ব দেন অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা নিজেই।

গণসংযোগকালে ভোটারদের উদ্দেশ্য করে মাহমুদা মালা বলেন, যোগ্যপ্রার্থী নির্বাচিত করতে কখনো বিচলিত হবেন না। কেননা, এদেশটা আপনার আমার সকলের। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুচারু পদক্ষেপই আজ আমরা সুশৃংঙ্খল একটি রাষ্ট্রে বসবাস করছি। আজ দেশ ধীরে ধীরে উন্নয়ণশীল রাষ্ট্রে পরিনত হচ্ছে। অতএব আপনাদের সামান্য ভুলের কারনে যাতে দেশের নেতৃত্ব যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর কাছে চলে না যায়।

তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে। কেননা, উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ৩০ ডিসেম্বর আপনারা ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত করুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশিদা বেগম, চায়না সুলতানা, মায়ানুর বেগম মায়া, নিলা আহমেদ নিশি, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান খোকন, সুজিত সরকার, আল আমিন, ইকবাল হোসেন, শাহজাহান ও জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ