‘নারায়ণগঞ্জের ডিসি রাব্বী মিয়া কালো ধারার সূচনা করে দিল’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া একটি কালো ধারার সূচনা করে দিয়ে গেলো বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আবদুস সালাম। তিনি বলেছেন, জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা এমনটি আশা করিনি। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি কালো ধারার অধ্যায় সৃষ্টি করে দিয়ে গেলেন।

৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের পক্ষে আরো বলেন, চিঠিটি রেডি হয়েছে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে। জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া একটি কালো ধারার সূচনা করে দিয়ে গেলো।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের মন্তব্যে নানা আইনের ব্যাখ্যা দেন। জেলা প্রশাসক বলেন, আমি শুধু ঢাকার নির্দেশ পালন করেছি। আমার কোন অপশন নাই। আপনারা থাকলেও তাই করতেন।

এরপর আব্দুস সালাম প্রশ্ন রাখেন, আপনার কাছে নির্দেশক্রমে অনুরোধপত্র পাঠিয়েছে, ডিএফপি (চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর) পারে ডিক্লারেশন (মিডিয়া) বাতিল করতে কিন্তু কোন প্রকার শোকজ ছাড়া সরাসরি আপনি পত্রিকার বন্ধের চিঠি দিলেন। উত্তরে জেলা প্রশাসক বলেন, এটি আমি আইনগতভাবেই করেছি। আইনের কোন গ্যাপ (ফাঁক) থাকলে আপনারা পত্রিকা নিতে পারবেন।

‘প্রশাসন না চাইলে নারায়ণগঞ্জে কোন পত্রিকার প্রয়োজন নেই’ এমন আক্ষেপ করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, নারায়ণগঞ্জে কোন পত্রিকার ছাপানোর প্রেস (ডাবল ডিমাই) নেই। এখন যদি প্রশাসন বা সরকার মনে করে নারায়ণগঞ্জে কোন পত্রিকার কোন প্রয়োজন নেই। তো নেই। নারায়ণগঞ্জকে যারা জিম্মি করে রাখছে তাহলে তাদের হাতেই নারায়ণগঞ্জ থাকবে। আমাদের কি সমস্যা?

‘নারায়ণগঞ্জের সব পত্রিকা কি ঘোষিত মুদ্রিত হয়’ নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টির এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ দিতে হবে। আমি তো বিশ্বাস করবো সবাই যেখান থেকে বলেছে সেখান থেকেই ছাপে। অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনারা তো নোটিশ আগে দিতে পারতেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আশরাফের এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক বলেন, এটা তো আমার ক্ষমতা নেই, এটি ঢাকার ব্যাপার।

এরপরই কথা না বাড়িয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর স্মারকলিপি তুলে দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়েনের যৌথভাবে দেয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, নারায়গঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাব্বী মিয়া স্বাক্ষরিত একটি স্মারকের মাধ্যমে গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন (প্রামাণিকরণ) বাতিল করেন।

‘দৈনিক যুগের চিন্তা নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি জনপ্রিয় পত্রিকা এবং এটি এই অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষের কথা বলে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার কোনো অযুহাতে এমন একটি জনপ্রিয় পত্রিকা বন্ধ করতে পারেনা। আমরা নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সকল সাংবাদিক পত্রিকাটির ডিক্লেয়ারেশন বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করে পুণরায় চালু করার পদক্ষেপ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এর আগে পত্রিকাটির ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মানববন্ধন পালন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, সাবেক সভাপতি কবি হালিম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান শামীম, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আশরাফ, শরীফ উদ্দিন সবুজ, প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ নারায়ণগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জে কর্মরত জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

শিশুদের অন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করতে হবে: পারভীন ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সংদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের সহধর্মিণী পারভীন ওসমান বলেছেন, আমাদের শিশুদের স্বাধীনতা দিবসের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে এবং তাদের অন্তরে ৭১’র চেতনা জাগ্রত করতে হবে। বাংলাদেশ গড়ার রূপকার যার নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ আমাদের সন্তানদের শিখাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের শিক্ষা, বিদ্যূৎ, তথ্য প্রযুক্তি, খেলাধুলা, রাস্তাঘাটসহ সকল বিষয়ে উন্নয়ণের বিরল চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। তাই আমাদের বাচ্চাদের এখনই প্রস্তুত করতে হবে। তারা যেন বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার দেখানো পথ ধরে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে বন্দরের দেউলী চৌরাপাড়ার কবি নজরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, লেখাপড়ায় যত্মবান হলে ভবিষ্যতে তোমাদের মধ্যেই দেশ নেতৃত্ব দিবে। তোমরা ভালোকরে লেখাপড়া করবে পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোনিবেশ করবে। খেলাধুলা করলে শরীর ও মন দুটোই ভাল থাকবে। এই দেশ তোমাদের। এদেশকে সুশৃঙ্খলভাবে গড়ার দায়িত্ব তোমাদেরই। গানবাজনা ও সংস্কৃতিক চর্চাও করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ণকে বেশি বেশি প্রচার করতে হবে তবেই তোমরা একদিন এদেশের নেতৃত্ব দিয়ে গৌরবাবাম্বিত হবে।।

প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন গোল্ডেন ফাইভার ক্লাব বোর্ড ইয়ার্ডস এন্ড শিপ ইয়ার্ড এর চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল।

কবি নজরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আশ্রাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নবীগঞ্জ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, জাতীয় পার্টির নেতা আফসার হোসেন খোকন, বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি আব্দুল আলী, চৌরাপাড়া স্টার ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদ, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছায়েদ আলী মাষ্টার, সমাজ সেবক মোঃআলী, ২৫নং ওয়ার্ড যুব সংহতির সভাপতি জহিরুল ইসলাম শাওন, সাবেক ছাত্রলীগনেতা মাইকেল বাবু, আবদুল হালিম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপ্না বেগমসহ স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

নারায়ণগঞ্জে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের কর্ণধার কচি ও এনামুল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে ফটো সাংবাদিকদের দুই কর্ণধার হলেন সিনিয়র দুই সাংবাদিক মাহামুদুল হাসান কচি ও এনামুল হক সিদ্দিকী। বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটি ২০১৯-২০২০ এর জন্য তাদের দুই নেতা নির্বাচন করেন ফটো সাংবাদিকবৃন্দ।

৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলা এলাকার হীরা ড্রাগন প্যালেসে অনুষ্ঠিত এসোসিয়েশন জেলা শাখার বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা।

প্রথমে সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাজী হাবিবুর রহমান শ্যামলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ এনামুল হক সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন এবং দৈনিক সোজা সাপটা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবু সাউদ মাসুদ।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করেন। মাহমুদুল হাসান কচিকে সভাপতি ও এনামুল হক সিদ্দিকীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে সহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভির আহম্মেদ রনি, কোষাধ্যক্ষ কাইয়ুম খান, প্রচার সম্পাদক বিশাল আহম্মেদ, ক্রীড়া সম্পাদক হাসান-উল-রাজিব, নিবার্হী সদস্য হাজী হাবিবুর রহমান শ্যামল, পাপ্পু ভটাচার্য্য, কেএইচ মিলন, আরিফুর রহমান ও কাজী আলমাছ।

কমিটি ঘোষণা ও সভায় এসোসিয়েশনের অন্যান্য সদস্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সহ-সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমএইচ নয়ন, সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল রানা, মনিরুল ইসলাম সবুজ ও শহিদ হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন, মশিউর রহমান, নাছরিন আক্তার রিয়া ও দৈনিক সোজা সাপটা প্রত্রিকার অফিস স্টাফ আব্দুল কাদির প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে এসোসিয়েশনের জেলা কমিটির সকলকে শুভেচ্ছা স্মারক ও সদস্য সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়াও অতিথিবৃন্দ ও উপদেষ্টাদেরও শুভেচ্ছা স্মারক দেয়া হয়। অতিথিরা নতুন কমিটির সাফল্য কামনা করে বক্তব্য রাখেন।

অন্যদিকে নবনির্বাচিত সভাপতি মাহামুদুল হাসান কচি ও সেক্রেটারি এনামুল হক সিদ্দিকী সহ কমিটির সকলকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’ এর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনলাইনটির প্রকাশক ও সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রোকন।

হয়তো বরফ গলবে: সেলিম ওসমান, বরফ গলার প্রশ্নই আসেনা: এসপি হারুন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের লোকজন ও তার আত্মীয়স্বজন বিভিন্ন অভিযোগে যখন আইনের ফাঁদে জড়িয়ে যাচ্ছেন এবং তা নিয়ে যখন পুুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দিয়েছে তখন এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, এখন থেকে বরফ গলবে।’ তবে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন বরফ গলার প্রশ্নই আসেনা।’

৯ এপ্রিল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে বন্দরের লাঙ্গলবন্দে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পূণ্য¯œান উদযাপন উপলক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।

প্রধান অতিথি এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের চলে যেতে হবে। আমরা প্রশাসনে অনেক দেখেছি প্রয়োজনে তিন দিনেও চলে যেতে হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার এমনও দেখেছি তিন বছর পার হয়ে গেছে আমরা যেতে দেইনি। আমরা জনপ্রতিনিধিরা আছি, ডিসি আছেন, এসপি আছেন, আমাদের আইনের মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে। আইনের মাঝে কোন রকম ঝগড়া বিবাদ হতে পারেনা। আমি যতক্ষন চেয়ারে থাকবো সেই চেয়ারকে সম্মান করতেই হবে। আজকে সাংবাদিকদের মাধ্যমেই হয়তো সাংবাদিকদের কলমেই বরফ হয়তো গলে যাবে। নয় হয়তো দেখবেন আগামীতে কোন মিটিং এ হয়তো আমি নাই, হয়তো ডিসি নাই, হয়তো এসপি নাই। যে কোন ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কালকে ক্রু হয়ে যেতে পারে।

এমপি সেলিম ওসমানের বক্তব্যের পর এমন বরফ গলার বিষয়ে এসপি হারুন অর রশীদ বলেন, আমাদের মাঝে কোন বরফই নেই। বরফ গলার কোন প্রশ্নই আসেনা। আমরা উনারকে সম্মান করি উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সেই হিসেবে উনার প্রতি আমাদের অনেক ভক্তি শ্রদ্ধা থাকবে। উনার এলাকায় আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কাউকে গ্রেপ্তারের পর উনি যদি বলেন তাহলে অবশ্যই সেটা ভেরিফাই করব এবং ব্যবস্থা নিব।

এসপি আরও হারুন আরও বলেন, আপনার সংসদীয় এলাকা সদর থানার কালিরবাজারে আমরা এক দিনে ৪১ জন জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছি। অনেকেই এঁটার সাথে জড়িত। আমরা চাই নারায়ণগঞ্জে একটা সুস্থ্য পরিবেশ বিরাজ করুক। আপনারা যারা আইন প্রেণতা রয়েছেন আমাদের কোন ভুল হলে বলবেন। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কোন দ্বন্ধ নেই, কোন কথা কাটাকাটি হয় নাই।

এর আগে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, শামীম ওসমান আমার ছোট ভাই। কিন্তু আমি যখন কোন অনুষ্ঠানে যাই তখন আমি মাননীয় সংসদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ-৪ বলেই অবহিত করি। টেবিলে এক, আর আমার বাসার ড্রয়িং রুমে আরেক। তাকে আমার সম্মানটা দিতেই হবে। সে করে আওয়ামীলীগ, আমি করি জাতীয়পার্টি। বাহিরে গেলে হয়তো দুজনে বিতর্কে অবস্থান নিতে পারি। আমি বলতে চাই যত বড় সমস্যাই হোক না কেন এক টেবিলে বসে সমাধান করা সম্ভব।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে বিনীত অনুরোধ রাখবো যতক্ষন না ঘটে ততক্ষনে ঘটাই দিয়েন না। যতখানি রটে ততখানি ঘটে না। যত গর্জে তত বর্সায় না। সাংবাদিক ভাইয়েরা এত অস্থির হবেন না। আপনাদের অনেক আপন ভেবে কথাগুলো বলি। খোচাখুচি মাইরেন না। আমাদের নারায়ণগঞ্জে শান্তির ব্যবস্থা করেন। যদি আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকে আমি আছি, এসপি সাহেব আছেন, অন্যান্য যারা আছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন। সরাসরি কথা বলেন কথা না বলে কলম চালিয়েন না। আপনারা কিন্তু আজকে চেয়েছিলেন আজকে এমন একটা কিছু ঘটুক যাতে মিটিংটা বন্ধ হয়ে যায়।

তবে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসপি হারুন অর রশীদ বলেন, আজকে যে লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশটি স্বাধীন করেছি। মানুষ যেনো কোনভাবে কথা বলার সুযোগ না পায়, সেটা যেমন আমাদের দেখার দায়িত্ব তেমনি সাংবাদিক ভাইদেরও দায়িত্ব। আপনারা কোন বিষয়ে খোচা দিয়ে আমাদের মাঝে কারো সাথে কারো বৈরিতা সৃষ্টি করবেন না। তাহলে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ যেটা বলা যায় তাতে পুলিশ বাহিনীকে যেমন উৎসাহিত করবেন ্এবং যারা খারাপ লোক, সবচেয়ে খারাপ লোক মাদক ব্যবসায়ী, ভুমিদস্যূ, সন্তাসী চাঁদাবাজ তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে পুলিশকে উৎসাহিত করবেন।

এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক অনেক কিছুই হতে পারে। এমনও হতে পারে এখন পাশাপাশি বসে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলছি, উনি আমার রাজনৈতিক দলের নেতাকে ধরে নিয়ে গেল। উনার সাথে অবশ্যই আমার কথাবার্তা হতে পারে। হতেই পারে। মিথ্যা ভুল তথ্যে ধরে ফেললেন তাতে উনার সাথে আমার ঝগড়াঝাটি হতেই পারে। এটা আমাদের কাজ। এসপি সাহেবের ভুল হলে আমার সঙ্গে ঝগড়া হতেই পারে। ঘরের ভাই বোনের যেমন ঝগড়া হয় সেভাবে হবে। এটাকে যেনো পুুজি করে নারায়ণগঞ্জকে যেনো ক্ষতিগ্রস্থ না করা হয়। আমরা কেউ চিরজীবনের জন্য আসি না। উনি (এসপি) হয়তো নারায়ণগঞ্জে ভাল করেছেন উনাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। জাতীয় নির্বাচনে জরুরীভাবে উনাকে এখানে আনা হয়েছিল। আরেকজন এ রকম স্ট্রং এসপির প্রয়োজন আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। উনার ট্রান্সফার হতেই পারে। আমরা হয়তো ব্যবসায়ী রাজনীতিক সবাই মিলে উনাকে হয়তো সেদিন বিদায় সংবর্ধনা দিব। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। ঝগড়াও হতে পারে আবার আমরা বিদায় সংবর্ধনাও দিতে পারি।

সেলিম ওসমান আরও বলেন, আমাদের ঝগড়া বিবাদে যেনো আমাদের উন্নয়ন বন্ধ না হয়। এ ধরনের যদি কোন পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে আমি সংসদ সদস্য থাকবোনা। আমি চাইনা আমার কারনে নারায়ণগঞ্জের মানুষের অশান্তির সৃষ্টি হোক।

সভায় পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এমপি সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আজকে যে প্রবলেমটা হয়ে যায় আমি যখন কাউকে ধরে আনি, তখন কিছু লোক থাকে যাদের কোন কাজকর্ম নেই। তারাই বলবে, দেখছেন আপনার লোকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। তাকে পেয়েছে একটা জায়গায় হয়তো জুয়া খেলা ছিল, অথচা তেল চুরির সঙ্গে ছিল, অথবা মাদক ব্যবসায়ে জড়িত ছিল তাকে ধরে নিয়ে আসছে। এখন সেই লোকটা যদি কারো হয়ে যায়, তাহলে সমস্যা নেই। আপনি তাকে জামিন করাইয়া নিয়া আইসা পড়েন। তাহলে সমস্যা হতোনা কেউ জানলো না। আমি মনে করি উনি (সেলিম ওসমান) যে বক্তব্যটা রেখেছেন আইন সবার জন্য সমান। আমরা আদালতে পাঠাবো আপনারা নিয়া আসবেন।

এর আগে এসপি বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমার আড়াই হাজার পুলিশ এখানে কাজ করছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে একটা দুইটা তিনটা পুলিশ ভুল করে ফেলতে পারে। সেই ভুলটা যদি আমি জানি তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিব। ব্যবস্থা নিয়েছিও। অনেক পুলিশ সদস্যকে চাকুরীচুত্য করেছি। অনেক পুলিশ সদস্যকে আমি ক্লোজড করে রেখেছি কারন তাদের বিরুদ্ধে যখন কমপ্লেন আসছে। এটা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কোন অবসান নেই।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, উনি (সেলিম ওসমান) ব্যবসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে বলেছেন। আমি আরেকটা উনার সঙ্গে করতে চাই সেটা হলো মাদকটা নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্মূল করতে হবে। এটার সঙ্গে যদি আপনি থাকেন তাহলে এখন যেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে পুুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে আগামীতে আরও দিগুণভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। এখন মাদক ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না,ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না, আমরা খুজছি। তেল চোরদের এখন আর পাওয়া যায়না। কারন ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিয়ে পালিয়েছে।

এসপি বলেন, আমি কাজ করতে চাই। আমরা কাজের সুযোগ চাই। আশা করি নারায়ণগঞ্জ যে একটা প্রাচ্যের ডান্ডি, যে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে, যে নারায়ণগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এসেছেন। সারা পৃথিবীর মানুষ নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা বানিজ্য করেছেন, সেই নারায়ণগঞ্জকে যদি সুন্দর শহর গড়তে চাই তাহলে অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। সেই কাজটিই আমরা করছি। এখানে অনেক চাঁদাবাজ আছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ী আছে, অনেক ভূমিদস্যূ আছে, সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। আমরা শুধু সেগুলো দেখতে চাই। আপনি শুধু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন কারা ভুমিদস্যূতায় জড়িত, কারা তেল চুরির সাথে জড়িত, আপনি যেহেতু বলেছেন এগুলোর বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নিতে, আমরা পুলিশ বাহিনী আরও দিগুণ উৎসাহিত হয়ে এগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করব। তবে অবশ্যই কোন নিরীহ মানুষ যেনো হয়রানি না হয়। কোন পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসপি আরও বলেন, এখন আমাদের পুলিশকে কোন দিকে ফেলানোর কেউ যেনো চেষ্টা না করে। আমরা আমাদের ওয়ে থেকে আমরা সঠিক পথে থেকে কাজ করতে চাই।’
সেলিম ওসমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসপি বলেন, উনি পবিত্র মক্কা থেকে উনি আমাকে রিং দিয়েছেন যে, আমার সঙ্গে এক কাপ চা খাবেন। উনি আমাকে ¯েœহ করেন আদর করেন। এ কারনেই করেন উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। এসব কঠোর অবস্থানের কারনে নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশালী লোক হোক।’

এদিকে গত শনিবার ফতুল্লার বাংলা ভবনে জরুরী কর্মী সভা করেছেন শামীম ওসমান। যেখানে তিনি নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভী, এসপি হারুন অর রশীদ ও কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশকে ইঙ্গিত করে বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন। ওই কর্মী সভায় পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে শ্লোগানও দিয়েছিল নেতাকর্মীরা। পুুলিশের কঠোর অবস্থান নিয়ে বক্তারা সেদিন কঠোর সমালোচনাও করেন। এর আগে ৩ এপ্রিল ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করেন। গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানালো পরবর্তীতে আর ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপি দেননি।

সেলিম ওসমানকে এসপি: আমরা আদালতে পাঠাবো, আপনারা নিয়া আসবেন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে যদি কোন জুয়ারীর আসর পরিচালনাকারী, তেল চোর, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আর সেইসব অপরাধী যদি এমপিদের লোকজন হয় তাহলে আইন অনুযায়ী আদালত থেকে জামিন করিয়ে নিতে বললেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, ‘আইন সবার জন্য সমান।’ এসময় তার পাশেই বসা ছিলেন এমপি সেলিম ওসমান।

পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এমপি সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আজকে যে প্রবলেমটা হয়ে যায় আমি যখন কাউকে ধরে আনি, তখন কিছু লোক থাকে যাদের কোন কাজকর্ম নেই। তারাই বলবে, দেখছেন আপনার লোকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। তাকে পেয়েছে একটা জায়গায় হয়তো জুয়া খেলা ছিল, অথচা তেল চুরির সঙ্গে ছিল, অথবা মাদক ব্যবসায়ে জড়িত ছিল তাকে ধরে নিয়ে আসছে। এখন সেই লোকটা যদি কারো হয়ে যায়, তাহলে সমস্যা নেই। আপনি তাকে জামিন করাইয়া নিয়া আইসা পড়েন। তাহলে সমস্যা হতোনা কেউ জানলো না। আমি মনে করি উনি (সেলিম ওসমান) যে বক্তব্যটা রেখেছেন আইন সবার জন্য সমান। আমরা আদালতে পাঠাবো আপনারা নিয়া আসবেন।

এর আগে এসপি বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমার আড়াই হাজার পুলিশ এখানে কাজ করছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে একটা দুইটা তিনটা পুলিশ ভুল করে ফেলতে পারে। সেই ভুলটা যদি আমি জানি তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিব। ব্যবস্থা নিয়েছিও। অনেক পুলিশ সদস্যকে চাকুরীচুত্য করেছি। অনেক পুলিশ সদস্যকে আমি ক্লোজড করে রেখেছি কারন তাদের বিরুদ্ধে যখন কমপ্লেন আসছে। এটা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কোন অবসান নেই।

৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ¯œান উৎসবে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি এমপি সেলিম ওসমানের বক্তব্যের পর এমন কথা বলেন এসপি হারুন অর রশীদ। তবে সভার বেশির ভাগ বক্তব্যই ছিল নারায়ণগঞ্জে বর্তমান পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিরোধের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ নানা বক্তব্য। তবে সেলিম ওসমানও কম যাননি। তিনিও বলেছেন, ‘আজকে আমার চেয়ার আছে, কালকে নাও থাকতে পারে। এই চেয়ার কারো পৌত্রিক সম্পত্তি নয়। আগামী মিটিংয়ে হয়তো আমাকে এই চেয়ারে নাও দেখতে পারেন। হয়তো নাও থাকতে পারে ডিসি কিংবা এসপি। হয়তো আমরা এই এসপিকে বিদায় সংবর্ধনা দিব।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, উনি (সেলিম ওসমান) ব্যবসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে বলেছেন। আমি আরেকটা উনার সঙ্গে করতে চাই সেটা হলো মাদকটা নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্মূল করতে হবে। এটার সঙ্গে যদি আপনি থাকেন তাহলে এখন যেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে পুুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে আগামীতে আরও দিগুণভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। এখন মাদক ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না,ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না, আমরা খুজছি। তেল চোরদের এখন আর পাওয়া যায়না। কারন ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিয়ে পালিয়েছে।

তিনি এমপি সেলিম ওসমানকে আরও বলেন, আপনার সংসদীয় এলাকা সদর থানার কালিরবাজারে আমরা এক দিনে ৪১ জন জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছি। অনেকেই এঁটার সাথে জড়িত। আমরা চাই নারায়ণগঞ্জে একটা সুস্থ্য পরিবেশ বিরাজ করুক। আপনারা যারা আইন প্রেণতা রয়েছেন আমাদের কোন ভুল হলে বলবেন। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কোন দ্বন্ধ নেই, কোন কথা কাটাকাটি হয় নাই।

এর আগে সেলিম ওসমান বলেছেন, আজকের পর থেকে বরফ গলে যাবে। সাংবাদিক ভাইয়েরা আর খোচাখুচি কইরেন না।
সেলিম ওসমানের এমন বরফ গলার বিষয়ে এসপি বলেন, আমাদের মাঝে কোন বরফই নেই। বরফ গলার কোন প্রশ্নই আসেনা। আমরা উনারকে সম্মান করি উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সেই হিসেবে উনার প্রতি আমাদের অনেক ভক্তি শ্রদ্ধা থাকবে। উনার এলাকায় আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কাউকে গ্রেপ্তারের পর উনি যদি বলেন তাহলে অবশ্যই সেটা ভেরিফাই করব এবং ব্যবস্থা নিব।

এসপি বলেন, আমি কাজ করতে চাই। আমরা কাজের সুযোগ চাই। আশা করি নারায়ণগঞ্জ যে একটা প্রাচ্যের ডান্ডি, যে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে, যে নারায়ণগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এসেছেন। সারা পৃথিবীর মানুষ নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা বানিজ্য করেছেন, সেই নারায়ণগঞ্জকে যদি সুন্দর শহর গড়তে চাই তাহলে অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। সেই কাজটিই আমরা করছি। এখানে অনেক চাঁদাবাজ আছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ী আছে, অনেক ভূমিদস্যূ আছে, সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। আমরা শুধু সেগুলো দেখতে চাই। আপনি শুধু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন কারা ভুমিদস্যূতায় জড়িত, কারা তেল চুরির সাথে জড়িত, আপনি যেহেতু বলেছেন এগুলোর বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নিতে, আমরা পুলিশ বাহিনী আরও দিগুণ উৎসাহিত হয়ে এগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করব। তবে অবশ্যই কোন নিরীহ মানুষ যেনো হয়রানি না হয়। কোন পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসপি আরও বলেন, এখন আমাদের পুলিশকে কোন দিকে ফেলানোর কেউ যেনো চেষ্টা না করে। আমরা আমাদের ওয়ে থেকে আমরা সঠিক পথে থেকে কাজ করতে চাই।’
সেলিম ওসমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসপি বলেন, উনি পবিত্র মক্কা থেকে উনি আমাকে রিং দিয়েছেন যে, আমার সঙ্গে এক কাপ চা খাবেন। উনি আমাকে ¯েœহ করেন আদর করেন। এ কারনেই করেন উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসপি বলেন, আজকে যে লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশটি স্বাধীন করেছি। মানুষ যেনো কোনভাবে কথা বলার সুযোগ না পায়, সেটা যেমন আমাদের দেখার দায়িত্ব তেমনি সাংবাদিক ভাইদেরও দায়িত্ব। আপনারা কোন বিষয়ে খোচা দিয়ে আমাদের মাঝে কারো সাথে কারো বৈরিতা সৃষ্টি করবেন না। তাহলে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ যেটা বলা যায় তাতে পুলিশ বাহিনীকে যেমন উৎসাহিত করবেন ্এবং যারা খারাপ লোক, সবচেয়ে খারাপ লোক মাদক ব্যবসায়ী, ভুমিদস্যূ, সন্তাসী চাঁদাবাজ তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে পুলিশকে উৎসাহিত করবেন।

এসময় হিন্দু নেতৃবৃন্দ সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য উর্ধ্বতম কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশালী লোক হোক।’

এদিকে গত শনিবার ফতুল্লার বাংলা ভবনে জরুরী কর্মী সভা করেছেন শামীম ওসমান। যেখানে তিনি নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভী, এসপি হারুন অর রশীদ ও কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশকে ইঙ্গিত করে বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন। ওই কর্মী সভায় পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে শ্লোগানও দিয়েছিল নেতাকর্মীরা। পুুলিশের কঠোর অবস্থান নিয়ে বক্তারা সেদিন কঠোর সমালোচনাও করেন। এর আগে ৩ এপ্রিল ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করেন। গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানালো পরবর্তীতে আর ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপি দেননি।

এমপি সেলিম ওসমানকে এসপি হারুন: আইন সবার জন্য সমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে যদি কোন জুয়ারীর আসর পরিচালনাকারী, তেল চোর, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আর সেইসব অপরাধী যদি এমপিদের লোকজন হয় তাহলে আইন অনুযায়ী আদালত থেকে জামিন করিয়ে নিতে বললেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, ‘আইন সবার জন্য সমান।’ এসময় তার পাশেই বসা ছিলেন এমপি সেলিম ওসমান।

পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এমপি সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আজকে যে প্রবলেমটা হয়ে যায় আমি যখন কাউকে ধরে আনি, তখন কিছু লোক থাকে যাদের কোন কাজকর্ম নেই। তারাই বলবে, দেখছেন আপনার লোকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। তাকে পেয়েছে একটা জায়গায় হয়তো জুয়া খেলা ছিল, অথচা তেল চুরির সঙ্গে ছিল, অথবা মাদক ব্যবসায়ে জড়িত ছিল তাকে ধরে নিয়ে আসছে। এখন সেই লোকটা যদি কারো হয়ে যায়, তাহলে সমস্যা নেই। আপনি তাকে জামিন করাইয়া নিয়া আইসা পড়েন। তাহলে সমস্যা হতোনা কেউ জানলো না। আমি মনে করি উনি (সেলিম ওসমান) যে বক্তব্যটা রেখেছেন আইন সবার জন্য সমান। আমরা আদালতে পাঠাবো আপনারা নিয়া আসবেন।

এর আগে এসপি বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমার আড়াই হাজার পুলিশ এখানে কাজ করছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে একটা দুইটা তিনটা পুলিশ ভুল করে ফেলতে পারে। সেই ভুলটা যদি আমি জানি তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিব। ব্যবস্থা নিয়েছিও। অনেক পুলিশ সদস্যকে চাকুরীচুত্য করেছি। অনেক পুলিশ সদস্যকে আমি ক্লোজড করে রেখেছি কারন তাদের বিরুদ্ধে যখন কমপ্লেন আসছে। এটা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কোন অবসান নেই।

৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ¯œান উৎসবে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি এমপি সেলিম ওসমানের বক্তব্যের পর এমন কথা বলেন এসপি হারুন অর রশীদ। তবে সভার বেশির ভাগ বক্তব্যই ছিল নারায়ণগঞ্জে বর্তমান পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিরোধের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ নানা বক্তব্য। তবে সেলিম ওসমানও কম যাননি। তিনিও বলেছেন, ‘আজকে আমার চেয়ার আছে, কালকে নাও থাকতে পারে। এই চেয়ার কারো পৌত্রিক সম্পত্তি নয়। আগামী মিটিংয়ে হয়তো আমাকে এই চেয়ারে নাও দেখতে পারেন। হয়তো নাও থাকতে পারে ডিসি কিংবা এসপি। হয়তো আমরা এই এসপিকে বিদায় সংবর্ধনা দিব।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, উনি (সেলিম ওসমান) ব্যবসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে বলেছেন। আমি আরেকটা উনার সঙ্গে করতে চাই সেটা হলো মাদকটা নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্মূল করতে হবে। এটার সঙ্গে যদি আপনি থাকেন তাহলে এখন যেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে পুুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে আগামীতে আরও দিগুণভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। এখন মাদক ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না,ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না, আমরা খুজছি। তেল চোরদের এখন আর পাওয়া যায়না। কারন ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিয়ে পালিয়েছে।

তিনি এমপি সেলিম ওসমানকে আরও বলেন, আপনার সংসদীয় এলাকা সদর থানার কালিরবাজারে আমরা এক দিনে ৪১ জন জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছি। অনেকেই এঁটার সাথে জড়িত। আমরা চাই নারায়ণগঞ্জে একটা সুস্থ্য পরিবেশ বিরাজ করুক। আপনারা যারা আইন প্রেণতা রয়েছেন আমাদের কোন ভুল হলে বলবেন। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কোন দ্বন্ধ নেই, কোন কথা কাটাকাটি হয় নাই।

এর আগে সেলিম ওসমান বলেছেন, আজকের পর থেকে বরফ গলে যাবে। সাংবাদিক ভাইয়েরা আর খোচাখুচি কইরেন না।
সেলিম ওসমানের এমন বরফ গলার বিষয়ে এসপি বলেন, আমাদের মাঝে কোন বরফই নেই। বরফ গলার কোন প্রশ্নই আসেনা। আমরা উনারকে সম্মান করি উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সেই হিসেবে উনার প্রতি আমাদের অনেক ভক্তি শ্রদ্ধা থাকবে। উনার এলাকায় আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কাউকে গ্রেপ্তারের পর উনি যদি বলেন তাহলে অবশ্যই সেটা ভেরিফাই করব এবং ব্যবস্থা নিব।

এসপি বলেন, আমি কাজ করতে চাই। আমরা কাজের সুযোগ চাই। আশা করি নারায়ণগঞ্জ যে একটা প্রাচ্যের ডান্ডি, যে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে, যে নারায়ণগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এসেছেন। সারা পৃথিবীর মানুষ নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা বানিজ্য করেছেন, সেই নারায়ণগঞ্জকে যদি সুন্দর শহর গড়তে চাই তাহলে অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। সেই কাজটিই আমরা করছি। এখানে অনেক চাঁদাবাজ আছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ী আছে, অনেক ভূমিদস্যূ আছে, সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। আমরা শুধু সেগুলো দেখতে চাই। আপনি শুধু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন কারা ভুমিদস্যূতায় জড়িত, কারা তেল চুরির সাথে জড়িত, আপনি যেহেতু বলেছেন এগুলোর বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নিতে, আমরা পুলিশ বাহিনী আরও দিগুণ উৎসাহিত হয়ে এগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করব। তবে অবশ্যই কোন নিরীহ মানুষ যেনো হয়রানি না হয়। কোন পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসপি আরও বলেন, এখন আমাদের পুলিশকে কোন দিকে ফেলানোর কেউ যেনো চেষ্টা না করে। আমরা আমাদের ওয়ে থেকে আমরা সঠিক পথে থেকে কাজ করতে চাই।’
সেলিম ওসমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসপি বলেন, উনি পবিত্র মক্কা থেকে উনি আমাকে রিং দিয়েছেন যে, আমার সঙ্গে এক কাপ চা খাবেন। উনি আমাকে ¯েœহ করেন আদর করেন। এ কারনেই করেন উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসপি বলেন, আজকে যে লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশটি স্বাধীন করেছি। মানুষ যেনো কোনভাবে কথা বলার সুযোগ না পায়, সেটা যেমন আমাদের দেখার দায়িত্ব তেমনি সাংবাদিক ভাইদেরও দায়িত্ব। আপনারা কোন বিষয়ে খোচা দিয়ে আমাদের মাঝে কারো সাথে কারো বৈরিতা সৃষ্টি করবেন না। তাহলে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ যেটা বলা যায় তাতে পুলিশ বাহিনীকে যেমন উৎসাহিত করবেন ্এবং যারা খারাপ লোক, সবচেয়ে খারাপ লোক মাদক ব্যবসায়ী, ভুমিদস্যূ, সন্তাসী চাঁদাবাজ তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে পুলিশকে উৎসাহিত করবেন।

এসময় হিন্দু নেতৃবৃন্দ সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য উর্ধ্বতম কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশালী লোক হোক।’

এদিকে গত শনিবার ফতুল্লার বাংলা ভবনে জরুরী কর্মী সভা করেছেন শামীম ওসমান। যেখানে তিনি নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভী, এসপি হারুন অর রশীদ ও কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশকে ইঙ্গিত করে বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন। ওই কর্মী সভায় পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে শ্লোগানও দিয়েছিল নেতাকর্মীরা। পুুলিশের কঠোর অবস্থান নিয়ে বক্তারা সেদিন কঠোর সমালোচনাও করেন। এর আগে ৩ এপ্রিল ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করেন। গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানালো পরবর্তীতে আর ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপি দেননি।

সেলিম ওসমানকে এসপি হারুন: আপনাদের লোক হলে অ্যাস পার ‘ল’ জামিন করিয়ে নিবেন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে যদি কোন জুয়ারীর আসর পরিচালনাকারী, তেল চোর, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আর সেইসব অপরাধী যদি এমপিদের লোকজন হয় তাহলে আইন অনুযায়ী আদালত থেকে জামিন করিয়ে নিতে বললেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, ‘আইন সবার জন্য সমান।’ এসময় তার পাশেই বসা ছিলেন এমপি সেলিম ওসমান।

পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এমপি সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আজকে যে প্রবলেমটা হয়ে যায় আমি যখন কাউকে ধরে আনি, তখন কিছু লোক থাকে যাদের কোন কাজকর্ম নেই। তারাই বলবে, দেখছেন আপনার লোকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। তাকে পেয়েছে একটা জায়গায় হয়তো জুয়া খেলা ছিল, অথচা তেল চুরির সঙ্গে ছিল, অথবা মাদক ব্যবসায়ে জড়িত ছিল তাকে ধরে নিয়ে আসছে। এখন সেই লোকটা যদি কারো হয়ে যায়, তাহলে সমস্যা নেই। আপনি তাকে জামিন করাইয়া নিয়া আইসা পড়েন। তাহলে সমস্যা হতোনা কেউ জানলো না। আমি মনে করি উনি (সেলিম ওসমান) যে বক্তব্যটা রেখেছেন আইন সবার জন্য সমান। আমরা আদালতে পাঠাবো আপনারা নিয়া আসবেন।

এর আগে এসপি বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমার আড়াই হাজার পুলিশ এখানে কাজ করছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে একটা দুইটা তিনটা পুলিশ ভুল করে ফেলতে পারে। সেই ভুলটা যদি আমি জানি তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিব। ব্যবস্থা নিয়েছিও। অনেক পুলিশ সদস্যকে চাকুরীচুত্য করেছি। অনেক পুলিশ সদস্যকে আমি ক্লোজড করে রেখেছি কারন তাদের বিরুদ্ধে যখন কমপ্লেন আসছে। এটা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কোন অবসান নেই।

৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ¯œান উৎসবে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি এমপি সেলিম ওসমানের বক্তব্যের পর এমন কথা বলেন এসপি হারুন অর রশীদ। তবে সভার বেশির ভাগ বক্তব্যই ছিল নারায়ণগঞ্জে বর্তমান পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিরোধের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ নানা বক্তব্য। তবে সেলিম ওসমানও কম যাননি। তিনিও বলেছেন, ‘আজকে আমার চেয়ার আছে, কালকে নাও থাকতে পারে। এই চেয়ার কারো পৌত্রিক সম্পত্তি নয়। আগামী মিটিংয়ে হয়তো আমাকে এই চেয়ারে নাও দেখতে পারেন। হয়তো নাও থাকতে পারে ডিসি কিংবা এসপি। হয়তো আমরা এই এসপিকে বিদায় সংবর্ধনা দিব।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, উনি (সেলিম ওসমান) ব্যবসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে বলেছেন। আমি আরেকটা উনার সঙ্গে করতে চাই সেটা হলো মাদকটা নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্মূল করতে হবে। এটার সঙ্গে যদি আপনি থাকেন তাহলে এখন যেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে পুুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে আগামীতে আরও দিগুণভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। এখন মাদক ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না,ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাওয়া যায়না, আমরা খুজছি। তেল চোরদের এখন আর পাওয়া যায়না। কারন ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিয়ে পালিয়েছে।

তিনি এমপি সেলিম ওসমানকে আরও বলেন, আপনার সংসদীয় এলাকা সদর থানার কালিরবাজারে আমরা এক দিনে ৪১ জন জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছি। অনেকেই এঁটার সাথে জড়িত। আমরা চাই নারায়ণগঞ্জে একটা সুস্থ্য পরিবেশ বিরাজ করুক। আপনারা যারা আইন প্রেণতা রয়েছেন আমাদের কোন ভুল হলে বলবেন। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কোন দ্বন্ধ নেই, কোন কথা কাটাকাটি হয় নাই।

এর আগে সেলিম ওসমান বলেছেন, আজকের পর থেকে বরফ গলে যাবে। সাংবাদিক ভাইয়েরা আর খোচাখুচি কইরেন না।

সেলিম ওসমানের এমন বরফ গলার বিষয়ে এসপি বলেন, আমাদের মাঝে কোন বরফই নেই। বরফ গলার কোন প্রশ্নই আসেনা। আমরা উনারকে সম্মান করি উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সেই হিসেবে উনার প্রতি আমাদের অনেক ভক্তি শ্রদ্ধা থাকবে। উনার এলাকায় আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কাউকে গ্রেপ্তারের পর উনি যদি বলেন তাহলে অবশ্যই সেটা ভেরিফাই করব এবং ব্যবস্থা নিব।

এসপি বলেন, আমি কাজ করতে চাই। আমরা কাজের সুযোগ চাই। আশা করি নারায়ণগঞ্জ যে একটা প্রাচ্যের ডান্ডি, যে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে, যে নারায়ণগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এসেছেন। সারা পৃথিবীর মানুষ নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা বানিজ্য করেছেন, সেই নারায়ণগঞ্জকে যদি সুন্দর শহর গড়তে চাই তাহলে অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। সেই কাজটিই আমরা করছি। এখানে অনেক চাঁদাবাজ আছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ী আছে, অনেক ভূমিদস্যূ আছে, সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। আমরা শুধু সেগুলো দেখতে চাই। আপনি শুধু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন কারা ভুমিদস্যূতায় জড়িত, কারা তেল চুরির সাথে জড়িত, আপনি যেহেতু বলেছেন এগুলোর বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নিতে, আমরা পুলিশ বাহিনী আরও দিগুণ উৎসাহিত হয়ে এগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করব। তবে অবশ্যই কোন নিরীহ মানুষ যেনো হয়রানি না হয়। কোন পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসপি আরও বলেন, এখন আমাদের পুলিশকে কোন দিকে ফেলানোর কেউ যেনো চেষ্টা না করে। আমরা আমাদের ওয়ে থেকে আমরা সঠিক পথে থেকে কাজ করতে চাই।’
সেলিম ওসমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসপি বলেন, উনি পবিত্র মক্কা থেকে উনি আমাকে রিং দিয়েছেন যে, আমার সঙ্গে এক কাপ চা খাবেন। উনি আমাকে ¯েœহ করেন আদর করেন। এ কারনেই করেন উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসপি বলেন, আজকে যে লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশটি স্বাধীন করেছি। মানুষ যেনো কোনভাবে কথা বলার সুযোগ না পায়, সেটা যেমন আমাদের দেখার দায়িত্ব তেমনি সাংবাদিক ভাইদেরও দায়িত্ব। আপনারা কোন বিষয়ে খোচা দিয়ে আমাদের মাঝে কারো সাথে কারো বৈরিতা সৃষ্টি করবেন না। তাহলে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ যেটা বলা যায় তাতে পুলিশ বাহিনীকে যেমন উৎসাহিত করবেন ্এবং যারা খারাপ লোক, সবচেয়ে খারাপ লোক মাদক ব্যবসায়ী, ভুমিদস্যূ, সন্তাসী চাঁদাবাজ তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে পুলিশকে উৎসাহিত করবেন।

এসময় হিন্দু নেতৃবৃন্দ সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য উর্ধ্বতম কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশালী লোক হোক।’

এদিকে গত শনিবার ফতুল্লার বাংলা ভবনে জরুরী কর্মী সভা করেছেন শামীম ওসমান। যেখানে তিনি নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভী, এসপি হারুন অর রশীদ ও কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশকে ইঙ্গিত করে বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন। ওই কর্মী সভায় পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে শ্লোগানও দিয়েছিল নেতাকর্মীরা। পুুলিশের কঠোর অবস্থান নিয়ে বক্তারা সেদিন কঠোর সমালোচনাও করেন। এর আগে ৩ এপ্রিল ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করেন। গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানালো পরবর্তীতে আর ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপি দেননি।

বন্দরের ধামগড়ে পানির নিচে ৫শতাধিক পরিবারের বসবাস

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মালামত এলাকায় কৃত্তিম বন্যা দেখা দিয়েছে। পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বর্তমানে সামান্য বৃষ্টি এলেই হাঁটু পানিতে তলিয়ে গোটা গ্রাম। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবগত করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা ভুক্তভোগীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মালামত এলাকার স্থানীয়রা বলেন- পানি বন্দী থাকার মতো ভোগান্তি মালামতবাসীর জন্য নতুন কিছু নয়। শীত মৌসুমটি কোনক্রমে কাটে ঠিকই কিন্তু বর্ষাকাল এলেই শুরু হয় দুুর্ভোগ। সামান্য বৃৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে হাঁটু পানি। আর ঘর-বাড়ি তলিয়ে যায় কোমড় পানিতে। এ কারণে বসবাসের অযোগ্য হয়ে প্রায় ৫০০ পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।

ভুক্তভোগী ওই এলাকার মানুষ আরও জানান, ধামগড় ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়ক ও অঞ্চলগুলো মোটামুটি উচু কিংবা কিছুটা উন্নত হলেও মালামত এলাকাটি অবহেলিত আর নিন্মাঞ্চল হওয়ায় মানুুষের কষ্টের সীমা নেই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সংসদ সদস্যের আশু পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে ভুক্তভোগীদের জোরালো দাবি।

আমলাতান্ত্রিক বিচার বিভাগের উপর একটি অনাস্থা: তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চাহিদামত সুচিকিৎসার দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ‘গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলন’ কমিটির উদ্যোগে সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গনে আইনজীবীগণ ৭ এপ্রিল রবিবার প্রতিকী অনশন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আন্দোলনের কো-চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহাম্মদ, মহাসচিব এ.বি.এম রফিকুল ইসলাম রাজা, ব্যারিষ্টার মীর হেলাল, কামরুল ইসলাম সজল প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গনে আইনজীবীদের অনশন আমলাতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্থার উপরে একটি অনাস্থা।’

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চাহিদা মোতাবেক চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী প্রতিটি আদালতে ‘আইনজীবী অনশন’ সহ আইনজীবীদের রাজপথের কর্মসূচি প্রদান করা হবে এবং মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।’

অ্যাডভোকেট আমেনা আক্তারের মৃত্যু, আইনজীবী সমিতির শোক সভা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট আমেনা আক্তারের মৃত্যুতে শোক সভা করেছে আইনজীবী সমিতি। সিনিয়র এই আইনজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশে আদালতের সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আইনজীবী আমেনা আক্তারের আত্মার মাগফেরাত কামনা, দোয়া মাহফিল ও শোক সভা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি। এ নিয়ে টানা দুইদিনে দুই আইনজীবীর মৃত্যুতে শোকাহত আইনজীবী সমাজ।

শোক সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন- আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ উর রউফ, আদালতের জিপি অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম, সমিতির সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আহম্মদ ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবদুর রউফ মোল্লা, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট দেলোয়ারা বেগম রীনা, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা সহ আইনজীবী সমিতির আপ্যায়ণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, লাইব্রেরী সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুবাস বিশ্বাস, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদ ভূঁইয়া, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, কার্যকরী সদস্য অ্যাডভোকেট হাবিব উল হাসান রনি, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট নুসরাত জাহান তানিয়া, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান সহ অন্যান্য সিনিয়র ও জুনিয়র আইনজীবীগণ।

জানাগেছে, গত ৭ এপ্রিল রবিবার বিকেলে অ্যাডভোকেট আমেনা আক্তার তার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি তার স্বামী, ছেলে মেয়ে সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ