ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ এসআই কামরুল হাসান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

ঢাকা বিভাগীয় রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় কর্মরত এসআই কামরুল হাসান। ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ডিআইজি অফিস থেকে ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কার ও সনদ গ্রহণ করেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কামরুল হাসান ঢাকা বিভাগে ডিআাইজি অফিস থেকে ঢাকা রেঞ্জের মধ্যে সেরা পুলিশ অফিসার হিসেবে পুরস্কার লাভ করেছেন। গত নভেম্বর মাসে তিনি মাসিক হালচালে অপরাধ দমন ও ওয়ারেন্ট তামিলে সবার শীর্ষে থাকায় ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে পুরস্কার ও সনদ লাভ করেছেন। এর আগেও তিনি শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে বেশ কয়েকবার পুরস্কার পেয়েছেন।

নির্বাচনে সোনারগাঁয়ে ছাত্রলীগের সমন্বয়ক মোহাম্মদ হোসাইন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমন্বয়ক নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন।

১৭ ডিসেম্বর সোমবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোনারগাঁয়ের সন্তান মোহাম্মদ হোসাইনকে সমন্বয়ক কওে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটির অনুমোদন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এছাড়াও সমন্বয় কমিটিতে অন্যান্য সদস্য হলেন- মোঃ তুহিন, আবু সাঈদ, মোঃইমন খান জীবন, নাজির হোসেন, মোঃসম্পদ মৃধা, আশরাফুল ইসলাম তৌহিদ ও ইয়াসিন আরাফাত বাপন।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসাইন সংবাদকর্মীদের কাছে বলেন, ‘আমাদের নেত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাকে আমার নিজ এলাকা নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে আমাকে পছন্দ করে আমার উপর নির্বাচনী অনেক দায়িত্ব অর্পণ করছেন। আমি পুরো উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় করে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা ও ক্ষমতা দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে সমর্থন করে নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে জয়ী করে আসনটি উপহার দিব ইনশাহআল্লাহ। সেজন্য আমি আমার সোনারগাঁয়ের সর্বস্তরের মানুষের কাছে আমাদের নেত্রীর নির্বাচিত প্রার্থীকে নিদিষ্ট প্রতীকে তাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করার জন্য আহবান জানাই।’

নির্যাতিত চালকের দয়ায় ছাড় পেলেন মেয়র সাদেকুর রহমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নির্যাতিত নসিমন চালকের দয়ায় মামলার হাত থেকে ছাড় পেলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান ভূইয়া। ওই চালক মানবিক কারনে বৃদ্ধ সাদেকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করতে অনীহা প্রকাশ করায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে মুচলেকার মাধ্যমে তাকে মঙ্গলবার বিকেলে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে ছাড়া পাওয়ার পর মেয়র সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন তিনি মারধর করেছেন। কিন্তু কেন মারধর করেছেন ফেসবুকে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখানো হয়নি।

জানাগেছে, মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নির্যাতিত চালক জামালের বাবা ও বড় ভাই গিয়ে মেয়রের উপর তাদের কোন অভিযোগ নেই দাবি করলে তারা জিম্মা নামায় সই করে ছাড়িয়ে আনেন পৌর মেয়র সাদেকুর রহমানকে। মেয়র সাদেকুর রহমান বাংলাদেশ ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমানের বাসা ভবন গোয়ালদি এলাকা থেকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে মেয়র সাদেকুর রহমানকে নেয়া হয় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। সেখানে সাদেকুর রহমানকে ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। পরে নির্যাতিত জামালের বাবা খবিরউদ্দিন ও ভাই কামাল হোসেনকে ডেকে নেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। তাদের সাথে কথা বলেন পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা। সেখানে জামালের বাবা ও ভাই বলেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে তা নিয়ে এখন দুঃখ করে কি লাভ। মেয়র মুরুবী মানুষ তিনি নানান রোগে অসুস্থ উনার উপর আমাদের অভিযোগ নেই। আমরা তার বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেবনা। তাদের বক্তব্য শোনার পর মেয়রকে মানবিক দিক বিবেচনা করে একজনের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরের সামনে সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান তার গাড়ীতে বাঁশের আঁচড় লেগেছে এ অভিযোগে নসিমন চালক জামাল ও ছোট ভাগিনা নির্যাতন বেদম পিটিয়ে আহত করেন। আহত জামাল ও তার ভাগিনাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে পৌর মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ। সেখান থেকে সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। পরে নির্যাতিত জামালের বাবা ও ভাইকে ডাকা হয় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। সেখানে তারা জানান, নির্যাতিত মেয়রের উপর তাদের কোন ক্ষোভ ও কোন অভিযোগ নেই এবং তারা মেয়রের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ ও নিবেন না। পরে মেয়রকে বয়স ও শারীরিক দিকে চিন্তা করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মানবিক কারনে মুচলেখা দিয়ে একজনের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এনামুল হক জানান, ‘যাদের মারধর করা হয়েছিল তারা কোনো মামলা বা আইনগত ব্যবস্থা নেননি। উপরন্তু তারা আপোস করেছেন। সেই কারণেই মুচলেকায় সাদেকুর রহমানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তার শারীরিক অবস্থারও অবনতি ঘটেছিল।’

মেয়র সাদেকুর রহমানকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপারের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ জানান, পৌর মেয়র সাদেকুর ৮০ বছরের বয়স্ক লোক, বর্তমানে তিনি অসুস্থ। তাই তাঁকে মেডিকেল গ্রাউন্ডে শর্তসাপেক্ষে জিম্মা প্রদান করা হয়েছে।

কাউন্সিলর খোরশেদের বাসায় দফায় দফায় পুলিশ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর এলাকার বাসায় দফায় দফায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। তবে ওই সময় কাউন্সিলর খোরশেদ বাসায় ছিলেন না।

কাউন্সিলর খোরশেদের ব্যক্তিগত সহকারী জানিয়েছেন, গত তিন দিন যাবত সকাল দুপুর ও গভীর রাতে কয়েক দফা পুলিশ খোরশেদের বাসায় অভিযান চালিয়েছেন। তবে ওই সময় পুলিশ খোরশেদের পরিবারের লোকজনের সাথে অশোভন আচরণ করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও মঙ্গলবার গভীর রাতে ও সকালে সাদা পোশাকের পুলিশ অভিযান চালায়। ওই সময় তিনটি গাড়িতে করে পুুলিশ খোরশেদের বাসার সামনে অবস্থান। গত দিন যাবত খোরশেদের বাসায় পুলিশ কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন।

কাউন্সিলর খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে প্রাথমিক তালিকায় মনোনিত হয়েছিলেন। তবে চূড়ান্ত পর্যায়ে এখানে মনোনয়ন পান নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম। কাউন্সিলর খোরশেদ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই।

গত ১৩ ডিসেম্বর শনিবার ফতুল্লা মডেল থানার একটি নাশকতার মামলায় আসামী করা হয় কাউন্সিলর খোরশেদকে। তবে তিনি নির্বাচনের আগে থেকেই বাড়ি ছাড়া। নারায়ণগঞ্জে গত দশ বছরে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন কাউন্সিলর খোরশেদের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। প্রায় ৩০টির মত মামলায় আসামী হয়েছেন তিনি। কারাভোগ করেছেন বেশকবার। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি পেটার শিকার হয়েছেন তিনি। গত দশ বছরের বেশির ভাগ সময় খোরশেদ বাড়ি ছাড়া আত্মগোপনে কখনওবা কারাগারে ছিলেন।

ধানের শীষের ওজন নিতে ব্যর্থ আকরাম ও কাসেমী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের দুটি আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগে লোক সমাগম দেখে মনে হচ্ছে এখানকার বাম পন্থী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের প্রচারণায় অংশগ্রহণকারী লোকজনদের চেয়েও কম। দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় যে পরিমান নেতাকর্মী ও লোকজনদের দেখা যাচ্ছে তার চেয়ে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের নির্বাচনেও তাদের চেয়ে বেশি নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যায়। এই দুই প্রার্থী এখন একা হয়ে পড়েছেন। বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে একটি আওয়ামী পরিবারের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন। যে কারনে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে থাকছেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারাও। ফলে দুটি আসনে মহাজোটের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান অনেকটা নিশ্চিন্তে রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমান। এখানে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে এ আসনে লড়ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এসএম আকরাম। এখানে মহানগর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আকরাম সভা করলেও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা এসএম আকরামের গণসংযোগে যাচ্ছেন না। দুদিন মহানগর বিএনপির নেতাদের তার সঙ্গে দেখা গেলেও অনেকটা একাই হাটছেন আকরাম। এরি মধ্যে এ আসনে বিএনপির অনেক নেতাই প্রকাশ্যে সেলিম ওসমানের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। ফলে এ আসনে ধীর গতিতে এসএম আকরাম হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ নিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। মনে হচ্ছে এখানে বিএনপির কোন প্রার্থীই নাই।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মহাজোটের প্রার্থী আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে লড়ছেন বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমান। এখানে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। এখানেও একই অবস্থা। এখানে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় তো দুরের কথা মধ্যম সারির নেতারাও কাসেমীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় নেই। অনেকটা অপরিচিত কাসেমী হাতে গোনা কয়েকজন মাদরাসার ছাত্রদের দুদিন যাবত গণসংযোগ করছেন। তাও ধীর গতিতে। তার সঙ্গে হেফাজত ইসলামের বেশকজন নেতা যারা মুুলত একেএম শামীম ওসমানের কাছ থেকে আগেই বিভিন্ন সময় সুযোগ সুবিধা নিয়ে চলে আসছিলেন।

‘খালেদা জিয়া আগুন সন্ত্রাস’ কাজী মনিরের ছিল সমর্থন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজেএমইএ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বিএনপির টানা হরতাল অবরোধে বাসে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা করেছিল বিজেএমইএ। আর ওই প্রতিবাদ সভায় ব্যবসায়ীরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগুন সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান মনির। ওই প্রতিবাদ সভায় বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে নানা ধরণের বক্তব্য থাকলেও তাতে সম্মতি জানিয়ে চুপসে চেয়ারে বসেছিলেন কাজী মনির। এ খবরও স্থানীয় মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়।

এই ঘটনা ছাড়াও ‘বিএনপি মরে গেছে, এখন জানাযা বাকি’ এমন মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে তোলপাড় করে দিয়েছিলেন কাজী মনিরুজ্জামান মনির। অথচ সেই কাজী মনিরের হাতেই ওঠলো দলের প্রতীক। কাজী মনিরের এমন মন্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে তার পদত্যাগ করেছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের কয়েক মাস পর নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাসায় জেলা ও শহর বিএনপির যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের নারায়ণগঞ্জে সমাবেশে যোগদান উপলক্ষ্যে ওই প্রস্তুতি সভাটি করা হয়।
ওই সভার শুরুর পূর্বে বিএনপি নেতারা প্রথমে তৈমূর আলম খন্দকারের বাড়ির সামনে বাগানে জড়ো হন। ওই সময় স্থানীয় সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সামনে কাজী মনির বলেছিলেন, বিএনপি তো মরে গেছে, এখন জানাযা বাকি।’ এমন মন্তব্য পরদিন নারায়ণগঞ্জের একটি জনপ্রিয় অনলাইনে প্রকাশিত হয়। যার পরদিন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়ার নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে কাজী মনিরের পদত্যাগ দাবি করেন। যদিও কাজী মনিরের ওই মন্তব্যের বিষয়ে শহর বিএনপির তৎকালীন সেক্রেটারি এটিএম কামাল বলেছিলেন, ‘প্রস্তুতি সভায় কাজী মনির এমন কোন মন্তব্য করেননি।’ তবে কাজী মনির প্রস্তুতি সভার পূর্বে এমন মন্তব্য করেন।

২০১১ সালে বিএনপির ডাকা হরতালে রূপগঞ্জে কাজী মনিরের ফ্যাক্টরীতে হামলা চালায় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কাজী মনির আপাততমস্তক একজন ব্যবসায়ী। তার কাছে রাজনীতি কিছু না। তাই তিনি তার দলের ডাকা হরতালে তার ফ্যাক্টরী খোলা রাখতেন। যে কারন যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেছিলেন, তাদের দলের ডাকা হরতালে বিএনপি নেতা হয়ে তিনি তার ফ্যাক্টরী কেন খোলা রাখলো? এমনও অভিযোগ করেন, কাজী মনিরের ফ্যাক্টরীতে হরতালে শ্রমিকেরা উপস্থিত না হলে বেতনের দিগুন কেটে নিতেন। তবে ওই ঘটনায় জেলা বিএনপির নেতারা নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন। অথচ সেই কাজী মনির এখন বিএনপির প্রার্থী!

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলনে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন কাজী মনির। কমিটিতে সভাপতি হন তৈমূর আলম। সেক্রেটারি হয়েও বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম তো দুরের কথা দলের মানবনন্ধনেও উপস্থিত ছিলেন না কাজী মনির। জেলা বিএনপির রাজনীতি একাই সামাল দিয়েছিলেন তৈমূর। কিন্তু গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি কাজী মনিরকে জেলা বিএনপির সভাপতি করা হয়। বেশকটি মামলায় কাজী মনির আসামী হলেও তাকে রহস্যজনক কারনে জেল খাটতে হয়নি।

এ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসলেও তলে তলে কাজটি করেছেন কাজী মনির। দুজনকে পিছনে ফেলে মনোনয়নের কাগজটা ভাগিয়ে এনেছেন কাজী মনির। কিন্তু রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাজী মনিরের সম্পর্ক নেই। কারন তিনি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিস্যূ দিয়ে মুছেন। অনেক সময় তিনি রাস্তায় বের হলে হাতে টিস্যূ বা রুমাল হাতে রাখেন। তবে কাজী মনিরের অনুগামীরা দাবি করেন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ্য থাকায় তাকে সচ্ছভাবে চলাফেলা করতে হয়। এমনকি তাকে দেশের বাহিরের বোতলজাতকৃত পানি পান করতে হয়। যে এ বোতল পানির মূল্য ১৬শ টাকা। এমন নেতাকে নিয়ে এখন খেটে খাওয়া মানুষের কোন আগ্রহ নেই।

এমপি খোকার আমলে দুটি রাজনৈতিক কলংকজনক ঘটনা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে দুটি রাজনৈতিক কলংক সৃষ্টি হয়েছে বর্তমানের বিনা ভোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার আমনেই ঘটেছে। এর আগে সোনারগাঁয়ে কোন রাজনৈতিক শীর্ষ নেতা কোন কর্মী বা সন্ত্রাসীদের দ্বারা কোন রকম রাজপথের মুখোমুখী অবস্থান ছাড়া এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেনি। সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাসী স্টাইলের রাজনীতি কায়েম করতে চাচ্ছেন বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।

স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশার লোকজনদের হুমকি ধমকি ভয় ভীতি দেখিয়ে নিজের বগলতলায় বন্ধি করার চেষ্টা করছেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। এসব ছাড়াও সোনারগাঁয়ে দুজন প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিক প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেন। যাদের একজন আজহারুল ইসলাম মান্নান ও অপরজন কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী।

জানাগেছে, গত ১৩ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর হামলা চালিয়েছে সোনারগাঁও পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দাবিদার রনি বিল্লাহ। ওই সময় রনি বিল্লাহকে আটক করে থানা পুুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে রনি বিল্লাহকে তিন মাসের কারাদন্ডও দেন আদালত। ওইদিন বুধবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা চলা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সোনারগাঁ থানার ওসির সামনেই এ হামলা চালানো হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- রনি বিল্লাহ বর্তমান লিয়াকত হোসেন খোকার ছবি সম্বলিত ব্যানার পোস্টার ফ্যাস্টুন লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত এই রনি বিল্লাহ এক সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের মিটিং মিছিলে দেখা যেতো। তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন- সোনারগাঁও ইউএনও ও ওসির মদদে এবং এমপির নির্দেশেই মান্নানের উপর এমন হামলা চালানো হয়।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় লিয়াকত হোসেন খোকা নির্বাচিত হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় সোনারগাঁও উদ্ধবগঞ্জ এলাকায় জাতীয়পার্টির অফিসে অনন্যা হুসেইন মৌসুমীর উপর হামলা চালায় এমপি খোকার লোকজন। ওই হামলার শিকার হয়ে মৌসুমী থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তার মামলা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে মৌসুমী কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

এছাড়াও ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজকে কেন্দ্র করে অনন্যা হুসেইন মৌসুমীকে অভিযুক্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে এমপি খোকা অনুগামী ছাত্র সমাজের নেতা ফজলুুল হক মাস্টার। পরদিন সোনারগাঁও জাতীয়পার্টির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে জেলা কমিটি। যেখানে মৌসুুমীকে তার সভাপতি পদে রাখা হয়নি। এর আগে সোনারগাঁয়ে রাজনীতিকদের মাঝে এমন সব ঘটনা দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন রাজনীতিক নেতাকর্মীরা।

সূত্রমতে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও জাতীয়পার্টি থেকে মনোনয়ন পান জাতীয়পার্টির যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এতে বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে যান লিয়াকত হোসেন খোকা। এর আগে সোনারগাঁয়ের মানুষের কাছে পরিচিতই ছিলেন তিনি।

সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টির রাজনীতিকে বাচিঁয়ে রেখেছিলেন মৌসুমী। কিন্তু মৌসুমীকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। মৌসুমী ছিলেন সোনারগাঁও জাতীয়পার্টির সভাপতি। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে মনোনিত হয়েছেন এমপি খোকা। এখানে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। ফলে এখানে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে আওয়ামীলীগ ও সোনারগাঁবাসীর মাঝে উৎসাহ নেই। ধানের শীষ প্রতীকে লড়ছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। মূল লড়াইটা হবে ধানের শীষ ও সিংহ প্রতীকের। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়ে এসএম আকরামের গণসংযোগ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এসএম আকরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা করেছেন। ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুুর পর্যন্ত এসএম আকরাম নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড থেকে ১৬নং ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগ করেন।

নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামের এই নির্বাচনী সংযোগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাক সাখাওয়াত ইসলাম রানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে যোগদান করেন। ওই সময় সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় প্রধান সাঈদ আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেত্রী ফাতেমা ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চুন্ন উপস্থিত ছিলেন।

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এসএম আকরামের এই গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের নেতা শায়ব উল্লাহ রোমান, শাহরিয়ার ইমন, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, রোমান, যুবদল নেতা আলামিন খান, ছাত্রলের নেতা হাসান, মনির হোসেন টিপু খান রোমান শাহাকিল, গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট সোহাগ, মন্টু মিয়া, তারিকুল ইসলাম কুকিল, আবির রমজান, মেরিন কলেজের সাবেক ভিপি নজরুল ইসলাম, আদর নাছির ইমরান, আলতাব, তোফাজ্জ, মোসারফ হোসেন মশু, জুয়েল লিংখন, মোশারাফ হোসেন, আনোয়ার, জিসান আশারাফুল, আলী হোসেন ইসলাম, অভি, দিপু, পাপ্পু, ইকবাল, দিদার, বাবু, শরীফ, মজনু ও মাছুম প্রমুখ।

সোনারগাঁ পৌর মেয়র আটক, নেয়া হলো এসপি কার্যালয়ে

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে সোনারগাঁও গোয়ালদি এলাকার মেয়রের বাসা থেকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মেয়র সাদেকুর রহমানকে নেয়া হয়েছে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিবির পরিদর্শক এনামুল হক। তিনি জানিয়েছেন মেয়র সাদেকুর রহমানকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। আটক মেয়র একই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

জানাগেছে, গত শনিবার সোনারগাঁও পৌরসভার লোক ও কারুশিল্প যাদুঘরের সামনে নসিমন চালককে ব্যাপক মারধর করেন মেয়র সাদেকুর রহমান। ওই মারধরের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায় যা মিডিয়াতেও তোলপাড় শুরু হয়। নসিমন চালকের গাড়িতে থাকা বাঁশ মেয়র সাদেকুর রহমানের গাড়িতে ঘষা লাগে। ওই কারনে গাড়ি থেকে নেমে মেয়র সাদেকুর রহমান কয়েক দফা মারধর করেন। নির্মম নির্যাতনের ওই ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হলে মানুষ ধিক্কার জানিয়ে বিচার দাবি করেন।

ভিডিও চিত্রে দেখা যায়- হাউ মাউ করে কাঁদছে এক শিশু ও তার মামা নসিমন চালক জামাল। তবুও নাছোরবান্দা বদমেজাজী মেয়র সাদেকুর রহমান অমানবিকভাবে জনসম্মুখে নির্যাতন করে যাচ্ছেন। যা বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান চালককে লাঠি দিয়ে মারধর করছেন আর বলছেন, এমনে চালায় গাড়ি?

এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। জামাল একটি নসিমন চালক। সে কোন চোর ছিনতাইকারীও ছিল না। ভিডিওতে দেখা যায় সোনারগাঁও পৌরসভার লোক ও কারুশিল্প যাদুঘরের সামনে এই চালককে মারধর করছেন মেয়র। জামালের ভাগনে শিশুটি হাউ মাউ করে কাঁদলেও মেয়র সাদেকুর রহমান তার মারধর চালিয়ে যায়। আল্লাহগো আল্লাহগো বলে কাঁদলেও থামেনি মেয়র। এ এক বর্বরতাকে হার মানিয়েছে তার এই অমানবিক নির্যাতন। মেয়র কখনও লাথি মেরেছেন, কখনও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। আর বলছেন গাড়ি এভাবে চালায়? বিশেষ করে ওই শিশুর অসহাত্বেও কান্নাটাই প্রতিটি মানুুষের হৃদয়ে কষ্টের ছোয়া লেগে যায়। তারা চোর ছিনতাইকারী পকেটমার ছিলনা। ওই সময় আশপাশের লোকজন মেয়রকে নিবৃত করার চেষ্টা করলেও তিনি থামেননি। চালকও হাউ মাউ করে কেঁদে কেঁদে মেয়র সাদেকুর রহমানের পায়ে ধরছিল কিন্তু তবুও মেয়র মারধর করছেন। মেয়রের সঙ্গে চালককে মারতে দেখা গেল কন্ঠ শিল্প রিপনকেও। অথচ রিপন একজন সাংস্কৃতিকমনা ব্যক্তি। চালককে বাঁচানোর চেষ্টা না করে উল্টো মেয়রের নির্যাতনের দিকে ঠেলে দিতেও দেখা গেল ভিডিওতে তাকেও। এভাবেই সমাজে গরীব মার খায়। অসহায়ের অসহায়ত্বও মানুষের মনে নাড়া দেয়না।

জানাগেছে, সোনারগাঁও আমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১৮ বছর তিনি চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তারপর তিনি টানা দুই মেয়াদে মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হলেও তিনি বদমেজাজী একজন মেয়র হিসেবেই পরিচিত। তিনি আইন কানুন তোয়াক্কা করেন না। ওই সময় থেকেই তিনি বিচার শালিশির নামে দূর্বল মানুষের উপর নির্যাতন করে আসছিলেন। তবে বয়সের ভারে নুব্জ হলেও তেজ কমেনি এই মেয়রের। নিজেই এখন রাস্তা ঘাটে অসহায় শিশু কিশোরদের মারধর করতে শুরু করে দিলেন। গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তিনি মেয়র পদে নির্বাচন করে জয়ী হন। এর আগের নির্বাচনে তিনি বিএনপি জামাতের সমর্থনে মেয়র নির্বাচিত। নির্বাচিন হওয়ার পর তিনি মেয়রের চেয়ারে বসেন না। গড়ে তুলেছেন পঞ্চপান্ডব। এই পাঁচ জনের নিয়ন্ত্রনে চলে সোনারগাঁও পৌরসভা কার্যালয়টি।

আওয়ামীলীগের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপি নেতা!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক কাউন্সিলর হান্নান সরকার। ১৬ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধায় বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার মরহুম চাঁনবাদশা মিয়ার বাস ভবনে এ দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া ও আলোচনা সভায় কাউন্সিলর হান্নান সরকার বলেন, বাঙ্গালী জাতি বীরের জাতি। এ জাতি কখনো মাথা নত করতে জানেনা। ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা। এ দিনটিকে আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্বরণ করি।

বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, এটি বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জনের দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রভাতী সূর্যের আলোয় ঝলমলিয়ে উঠেছিল বাংলার রক্তস্নাত শিশির ভেজা মাটি, অবসান হয়েছিল পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর সাড়ে তেইশ বছরের নির্বিচার শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কালো অধ্যায়। নয় মাসের যন্ত্রণা শেষে এদিন জন্ম নেয়। তাই বীর শহীদদের প্রতি রইল আমাদের অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রাশিদা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন।

এ সময় দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন বীরমুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জালু, নাজিম মাষ্টার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রচার বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল হাসান রেসিন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সজিব মোল্লা, সহ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক উজ্জল চন্দ্র দে, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার, যুবলীগ নেতা আলী হোসেন, ছানোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা নুরে আলম ও শেখ সিফাতউল্লাহ প্রমূখ।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত শনিবার বিকেলে ২১নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় সভাপতিত্ব করেন পদধারী বিএনপির এই নেতা। এর আগে বন্দরের একটি অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছেন সেলিম ওসমানকে আবারো নির্বাচিত করতে যত টাকা খরচ হয় তা তিনি করবেন। হান্নান সরকার এর আগে বন্দর থানা বিএনপির বিদ্রোহী কমিটি গঠন করেছিলেন। দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে তিনি বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিজেই নিজেকে ঘোষণা দেন। তারপর থেকে তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও মহানগর বিএনপির কমিটিতে তাকে দপ্তর সম্পাদক রাখা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ