আওয়ামীলীগ নেতারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে: আবুল জাহের

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বর্তমান রাজনীতিকে অশান্ত করার জন্য আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা জামাত-বিএনপির সাথে আতাত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য আবুল জাহের বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের জনগণ অনেক শান্তিতে আছে। গুটিকয়েক জন ব্যক্তিদের কুট-কৌশলে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে দেয়া যাবেনা। প্রশাসন আমাদের ভাই। প্রশাসনের সহযোগীতায় আমরা উন্নয়ন কাজ কাজ করব। প্রয়োজনে আমরা উন্নয়ন করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিব।

৭ এপ্রিল রবিবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া ও মেধাবীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির এই নেতা। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী।

আবুল জাহের আরো বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা হোক মুসলমানদের প্রথম শিক্ষা এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের সামনে এগিয়ে দিতে হবে। আজকে মাদ্রাসায় সুশৃঙ্খলভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও মেধা নির্ণয়ের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করায় আমি অত্র মাদ্রাসার সভাপতি ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান আরিফকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি অত্র মাদ্রাসার শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের পরিবারের সদস্যদের মত শিষ্টাচার শিখাবেন। যাতে ভবিষ্যতে অন্যান্য বড় বড় প্রতিষ্ঠানে গিয়েও এই মাদ্রাসার সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পারে।

বন্দর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান আরিফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম নুরুল আমিন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল হক, শাহীমসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারী আমিনুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, শাহী জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মুফতি মোহাম্মদ ইসমাঈল, ডা.নোমান ও মাওলানা আবু সাঈদ প্রমূখ। আলোচনা শেষে সকল কৃতি ও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

বন্দরে এক নারী সহ ৪ মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে এক নারী মাদক বিক্রেতা সহ ৪ মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১১৯ পিছ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়। ৬ এপ্রিল শনিবার রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মাদক বিক্রেতারা হলো- বন্দর থানার বক্তারকান্দী এলাকার কামাল উদ্দিন মিয়ার ছেলে মাহাবুব হোসেন, নবীগঞ্জ এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মাহাবুব হাসান, কেটু নাসিরের ছেলে মোক্তার হোসেন ও নয়ামাটি এলাকার আবদুল আউয়াল মিয়ার মেয়ে ফারজানা।

থানা পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে বন্দর থানার এএসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে থানার নবীগঞ্জ এলাকা হতে মাহবুবকে ২৯পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে বন্দর ফাঁড়ির এএসআই বিরাজ মিয়ার নেতৃত্বে মোক্তারকে ১০পিছ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়াও অভিযানে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই কামরুলের নেতৃত্বে নারী ব্যবসায়ী ফারজানাকে ৮০পিছ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাদক বিক্রেতাদের ৭ এপ্রিল রবিবার রোববার দুপুরেই নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে মা ও তার তিন শিশু দগ্ধ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় একটি বাসায় গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডে মা ও তার তিন শিশু দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ চারজন হলেন ফাতেমা বেগম এবং তার ৫ বছরের শিশু সাফওয়ান, ৯ বছরের শিশু ফারিয়া ও ১১ বছরের রাফি।

৬ এপ্রিল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার গিরিধারা আবাসিক এলাকার ওই বাসায় এ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরপরই দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন বলেন, তাদের ঘর থেকে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিকান্ড দেখি। তখন তাদের উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসি। ৫তলা ওই বাড়িটির ৩য় তলায় পরিবারটি ভাড়া থাকতেন। রাতে রান্না ঘরে গ্যাসের সিলিন্ডার চুলায় আগুন ধরাতে গেলে লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালা উড়ে গেছে। পরে তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের চুলা ভালোভাবে বন্ধ করা ছিল না। এতে পুরো ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে যায়। পরে চুলায় আগুন ধরাতে গেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

‘শেখ হাসিনা অসুস্থ্য বিছানা থেকে তুলে নিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

হাসপাতালে অসুস্থ্য বিছানা থেকে তুলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়ারম্যান বানিয়েছেন বলে দাবি নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অসুস্থ্য বিছানা থেকে মানুষের কল্যাণের কাজের জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানিয়েছে। নেত্রী নিদের্শনা হলো- দলের সাথে মানুষের সেবা ও উন্নয়নে পাশে থাকতে হবে। সেই সূত্র ধরে মানুষদের সেবা দিয়ে আমি রাব্বুল আলামিনকে খুশি করে যাচ্ছি। জনগণকে খুশি করাতে পারলে আগামী দিনে আবারো শেখ হাসিনা নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে।

৭ এপ্রিল রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের সোনাখালী এলাকায় ৫০ লাখ টাকার রাস্তা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আনোয়ার হোসেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। ওই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ সভার মাধ্যমে আনোয়ার হোসেনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হলেও তাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করে মনোনয়ন দেয়া হয় আইভীকে। মনোনয়ন দেয়ার পর দিন শুক্রবার মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে হটাত পড়ে যান আনোয়ার হোসেন। তাকে দ্রুত নেয়া হয় ঢাকায় হাসপাতালে। ওই দিন রাতেই আনোয়ার হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে দলের মনোনীতি ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।

আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা অভিমানী হতে পারে কিন্তু বেঈমান নয়। তাই সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার দেয়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। আগামীতে এই উপজেলা সহ সকল উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানদের যে কোন উন্নয়নে কাজের পাশে থাকবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা হল মানুষের দোরগড়ায় উন্নয়ন পৌঁছে দেয়া। সেই প্রতিশ্রুতিতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে আজকে ৫টি উপজেলার মানুষের দুয়ারে দুয়ারে অবকাঠামো পৌঁছিয়ে দিচ্ছি। ৫০লাখ টাকার উন্নয়ন রাস্তা কাজের উদ্বোধন করা হলো। ফলে এই রাস্তা জেলা পরিষদের মাধ্যমে হওয়ায় এলাকার জনগণ জেলা পরিষদের উন্নয়নের কর্মকান্ডে খুশী হয়েছে। পাশাপাশি তাদের জীবন জীবিকায় উপকৃত হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সামসুজ্জামান খান ভাষানী, জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট নূর জাহান, মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ রহমান বাবু, সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, জেলা পরিষদের উপ-প্রকৌশলী ওয়ালী উল্লাহ ও সোনারগাঁ উপজেলার যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু প্রমুখ।

ফতুল্লা থানায় ৯৯টি মামলা, ১০ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় গত এক মাসে বিভিন্ন ঘটনায় ৯৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মাসে বিভিন্ন অভিযানে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানাগেছে, ফতুল্লার মডেল থানার মাসিক অপরাধ হালচিত্রে গত মার্চ মাসের ৩১ দিনে বিভিন্ন অপরাধে মাদকসহ মোট মামলা রুজু হয়েছে ৯৯টি। এর মধ্যে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে ৫৬টি। এই মাসে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ৯ লাখ ৭৪ হাজার ১শ‘ টাকার বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। মার্চ মাসে অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে ১৬টি। ফতুল্লা মডেল থানার সার্বিক বিষয় আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণে এমনটাই দাবী থানা পুলিশের।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান ও ষ্টেটম্যান অফিসার এএসআই মাহমুদুল ইসলাম জানান, ফতুল্লা মডেল থানায় গত মার্চ মাসের ৩১ দিনে মোট ৯৯ টি মামলা রুজু হয়েছে। মামলাগুলো হলো- দস্যূতা ১টি, ধর্ষণ ২টি, নারী নির্যাতন ও যৌতুক অপহরণসহ ১৪টি, চুরি মামলা ৪টি, পুলিশ সংক্রান্ত ২টি, মারামারি (বিভিন্ন ধারায়) মামলা ২২টি, মাদকদ্রব্য মামলা ৫৬টি।

ফতুল্লা থানা পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার জনিত মাদকদ্রব্য হলো- ১২৪২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, হেরোইন ৫৯ গ্রাম, গাঁজা ১কেজি ৯’শ গ্রাম এবং ফেন্সিডিল ২ বোতল। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ মোট ৯ লাখ ৭৪ হাজার ১’শ টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।

ফতুল্লা থানা পুলিশ আরো জানান, গত মার্চ মাসে থানা পুলিশ জিআর ওয়ারেন্ট তামিল ৫৫টি এবং সিআর ওয়ারেন্ট তামিল করেছে ৩৫টি। আদলাত কর্তৃক সাঁজা দেয়া ওয়ারেন্ট তামিল ৫টি।

ফতুল্লা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের বদলী হয়ে যাওয়ার পরেই গত ১এপ্রিল যোগদান করেন অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন। তিনি চাকুরী জীবনে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে ৬ষ্ঠ থানা হলো ফতুল্লা মডেল থানা। তবে অল্পতেই তিনি পরিপক্ষ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ও সরকারের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন।

এ ছাড়াও তিনি দুইবার দেশের বাহিরে জাতিসংঘের মিশন খেটেছেন। ফতুল্লা থানায় যোগদান করেও তার যোগ্যতা কিছুটা হলেও মানুষের মাঝে সুনাম কুড়াতে শুরু করছেন। তিনি সাধারণ জনগণের দৃষ্টিতে পড়েছেন। তার কথাবার্তায় সবাই আকৃষ্ট হচ্ছেন। ফলে ফতুল্লাবাসী তার কথা ও কাজের মিল পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা।

ফতুল্লা মডেল থানার সদ্য যোগদান অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন বলেন, আমার কাছে থেকে ফতুল্লার সকল শ্রেণির মানুষ সমান এবং সঠিক সেবা পাবেন। আমি দুষ্টের দমন শিষ্টের পালনে বদ্ধপরিকর। আমি যেন ফতুল্লাবাসীর পুলিশি সেবা বা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি। এজন্য স্থানীয় গণ্যমান্য রাজনীতিবিদ সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা চাই। সাধারণ মানুষের ন্যায়ের পথে পুলিশিং সেবা দিতে পারি। মাদক রোধে জঙ্গি, সন্ত্রাস দমনে সবার সহযোগিতা কামনা করি।

ফতুল্লায় গামের্ন্টস শ্রমিকের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেওভোগ এলাকায় গামের্ন্টস শ্রমিক পিকিং দাস বন্যা (১৮) নামের এক যুবতি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে যে কোন সময় তিনি এই আত্মহত্যা করেন। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় বন্যার বাবা মৃদুল দাস বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।

এ মামলার অভিযোগে জানা যায়, ফতুল্লার লালখাঁ এলাকায় তিন কন্যা নিয়ে মৃদুল দাস ভাড়া থাকেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুরী থানাধীন যাদবপুরের দ্বিজয়ময় দাসের ছেলে। তার তিনটি কন্যা গামের্ন্টসে চাকুরী করেন। মেঝো মেয়ে পিংকি দাস বন্যা। তিনি গত ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে মধ্যাহ্নভোজে বাসায় এসে আর ডিউটিতে যাননি। পরে ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না জড়িয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

কাউন্ট ডাউন শুরু: ১০/১২ দিনে পারবেন তো শামীম ওসমান?

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

উত্তেজিত নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান। তিনি নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, খেলা চলবে না। আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যেই টের পাইবেন।’ তবে শামীম ওসমান আগামী ১০/১২ দিন টের পাওয়াবেন নেতাকর্মীদের সেটা খোলাসা করে না বললেও তার এমন বক্তব্যের পর প্রশ্ন ওঠেছে তিনি যা করতে চান সেটা তিনি আগামী ১০/১২ দিনে পারবেন তো? তবে তিনি তার বক্তব্যের বিকল্পও রেখেছেন। তিনি বলেছেন, যদি এ সময়ের মধ্যে না হয় তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপেও তিনি এগুবেন।

নারায়ণগঞ্জে এখন প্রকাশ্যে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মুখোমুখী হয়ে দাড়িয়েছেন এমপি শামীম ওসমান ও তার নেতাকর্মীরা। তবে শামীম ওসমান বিরোধীরাও আবার অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের পক্ষে। তাদের দাবি- পুলিশ যা করছে সঠিক করছে। পুলিশ অপরাধীদের দমনে কাজ করছে যে কারনে তারা পুলিশকে সাধুবাদও জানান।

তবে শামীম ওসমান তার প্রধান বিরোধী হিসেবে পরিচিত মেয়র আইভীকে উদ্দেশ্য করে বেশকটি উক্তিও করেছেন। ছাড় দেননি পুলিশকেও। পুলিশকে তিনি ইঙ্গিত করে বলেছেন পোশাকধারী সন্ত্রাসী! ৭ এপ্রিল রবিবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও এদিন তারা স্মারকলিপি দেননি। তাহলে বুঝা যাচ্ছেনা কারাই পিছু হটছেন তাদের অবস্থান থেকে। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে শামীম ওসমানের আগামী ১০/১২ দিন। তিনি কি টের পাওয়াবেন সেটাই দেখার বিষয় এখন নেতাকর্মীদের। নেতাকর্মীরাও সেই ১০/১২ দিন কাউন্ট ডাউন শুরু করেছেন।

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাহিরের লোককে দোষ দিয়ে লাভ নাই। দোষ তো আমাদের ঘরের ভিতরে। এখন কেউ যদি মনে করেন কাউকে ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নষ্ট করবে। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পুলিশ না, হোসিয়ারী ব্যবসা করতে করতে গার্মেন্টস মালিক হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যারা দোকান চালায় তারা এখানকার স্থানীয়। যারা বাস চালায় তারা স্থানীয়। আমাদের এসব লোকদের কেউ ফোন করে বলবেন দেখা করেন, আমি বলব দেখা করার সময় শেষ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এতে উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই। মশা মারতে কামান লাগেনা।

৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বাংলা ভবনে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত জরুরী কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী পরিবারকে ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দাড়াও শ্লোগানে এই কর্র্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে শামীম ওসমান বক্তব্য শুরুর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের এই নারায়ণগঞ্জকে আমরা গাজীপুর হতে দিব না। এসময় শামীম ওসমানের কর্মীরা পুলিশ সুপারের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে শ্লোগান দিলে শামীম ওসমান থামিয়ে দেন। এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এর আগে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খেলা কোনটা? আমি কারো নাম বলব না। এগুলোকে আমি গোনায় ধরি না। সন্ত্রাসের কারনে যাকে আমি মৃত্যুর মুখ থেকে দুইবার বাচাই নিয়ে আসছি। আমার দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় শ্রমিক আন্দোলনের নামে, চাঁদাবাজির কারনে সরকারের নির্দেশে কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হলো, এইবারও নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তারের নির্র্দেশ ছিল, আমি বলেছি গ্রেপ্তার কইরেন না। অন্তত আপনি সরাই দেন। এরাও এখন দেখি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করে!

তিনি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আরেকজন মহিলা আছে নারায়ণগঞ্জে। আমি ওর নাম বলতে বলতে নাম ফুইলা গেছে। নাম আর বলতে চাইনা। যার সঙ্গে জামাতের কানেকশন প্রকাশ পেয়েছে। জামায়াতের আমির বললো জামাতের সাথে কাদের কানেকশন। পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে জামাতের আমির বললো নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে হলে, শামীম ওসমানকে ধ্বংস করতে হলে উমুক নেত্রীকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে। এই কথার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল। আওয়ামীলীকে ধ্বংস করতে ওই উমুকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে বললো। জামাতের কানেকশন প্রকাশ করায় ওসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বললো। তো মামলা করছেন না কেন? সাংবাদিক ভাইয়েরা তাকে গিযে বলেন মামলাটা করতে। সৎ সাহস থাকলে তো তাদেরই মামলা করা উচিত।

আইভীকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার বাপ দাদাকে গালি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ওসমান পরিবার খুনি পরিবার। যা বলছেন আমি বলি আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক। আমি তার জন্য দোয়া করি। কারন এই গালিটা না দিলে প্রমান হতোনা নারায়ণগঞ্জের মানুষ ওসমান পরিবারকে কতটা ভাল বাসে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৩৬জন কাউন্সিলর মধ্যে ২৯ জন কাউন্সিলরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি দেশে এমন কোন সিটি কর্পোরেশন দেখি নাই যেখানে একজন মেয়রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে স্বারকলিপি দিয়েছে ২৯ জন কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে ২৯ জন কাউন্সিলর স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছে। তার তো এতেই মাথা হেট হয়ে যাওয়া উচিত।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে এসে খালেদা জিয়াও এসে বলেছিল কোথায় আওয়ামীলীগ? কোথায় শামীম ওসমান। আমরা তখন ভাবলাম যেহেতু তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আমাদের দেখতে চায় তখন আমাদের শ্রমিক ভাইদের বললাম ভাই তোমাদের গাড়িগুলো রাস্তায় বাকা করে রাখেন, ট্রেন লাইনটা ছাত্রদের মধ্যে ফালান, খালেদা জিয়া আমাদের একটু দেখতে চায় আমরা দেখাই। উনি কিন্তু মেইন রোড দিয়ে ঢাকা যেতে পারেনি। ভিতরের রাস্তা দিয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছিল। উটা প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায়। নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিল যাকে রাতের বেলায় পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। কাউকে টেক্স দিবে না। আমার নেত্রী চায় কথা বলতে চাইলে কথা বলবে। সাংবাদিকতা করতে চাইলে সাংবাদিকতা করবে। কাউকে ভয় পাবে না। কারো উপর আঘাত আসবে না।

শামীম ওসমান এর আগে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের দেখলাম উত্তেজিত। ঠিকই আছে। আপনাদের মত এরকম বয়সে আমারও এরকম উত্তেজিত হওয়ার কথাই ছিল। আল্লাহর রহমত আমি ২০১১ সালের শামীম না এটা ২০১৯ সাল। বয়স বাড়ে ধর্য্যও বাড়ে। অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বলছেন পদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে চাই নারায়ণগঞ্জে বেটা কেডা একটু দেহি।

নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বিষয়টা আপনারা যা দেখছেন তা না। পর্দার অন্তরালে কিছু খেলা থাকে। সেই খেলায় কেউ কেউ ভুল করে পা দেয়। হয়তো নারায়ণগঞ্জে যারা হটাত করে এসছেন বিদেশী মেহমান কারো খেলাতে পা দিয়েছেন।

নেতাকর্মীদের শামীম ওসমান বলেন, এখন আপনার ভিতর থেকে যদি কেউ খেলে? কে বেশি ক্ষতিকর ছিল আমাদের জন্য? জিয়াউর রহমান নাকি খন্দকার মোস্তাক? মোস্তাকরাই খেলছে। কারন মোস্তাকেরা ধরা পড়ে গেছে। আওয়ামীলীগকে ধ্বংস কর। কিভাবে? শাহ নিজামের বিরুদ্ধে জিডি কর। আহ বাবা শাহনিজামের বিরুদ্ধে জিডি হয়ে গেছে! আওয়ামীলীগের নেতারা ধর ধর কাপতাছে! আমরা কি কাপুরুষ না? মীরুর নামে মামলা হইছে, আল্লাহ আমি ভয় পেয়ে গেছি! মীরু কাপুরুষ? আরে ভয় পাবে কে? যে খারাপ সে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চান্দাবাজ ধান্দাবাজ না। সজলের নামে বক্তব্য দেন। আহ বাবা সবাই ভয় পেয়ে গেছে! আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। ভয় পাইনা।

জেলা পুলিশ সুপারকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের যদি কেউ খেলাতে চান, প্লিজ ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জে খেইলেন না। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করবে। আর প্রশ্ন করার আগে তাকে জুয়ার মামলার আসামী করে দিবেন। কইরেন না। আমার আত্মীয়স্বজনকে মদের সাপ্লাইয়ার বানাবেন। মনে করবেন আমি ভয় পেয়ে যাবো। এগুলো করে আমাকে কাবু করা মছিমত। আমাকে কাবু করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের মাঝে যদি খারাপ হয তাকে আমরা ছাড় দিব না। কিন্তু আমাদের মধ্য থেকে যদি কাউকে ইচ্ছা করে জামেলায় ফেলার চেষ্টা করা তাহলে কথা দিচ্ছি নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাড়া নাচাই দিব। এক সেকেন্ড ছাড় দিবনা, এক সেকেন্ডও না। একটা সেকেন্ড কোন নেতাকর্মীকে বিনা কারনে জামেলায় ফেলতে কেউ চেষ্টা করলে ছাড় দিব না। কোন ব্যবসায়ী মাথা নত করে ব্যবসা করবেনা। কারন এই দেশ শেখ হাসিনার। এই নারায়ণগঞ্জও শেখ হাসিনার।

তখন তিনি নেতাকর্মীদের বলেন, সমস্যা শুধু একটাই আমাদের হাত পা বাধা। কারন আমরা দল করি। আমরা নারায়ণগঞ্জে ৫ লাখ লোকের সমাবেশ কইরা দেখাইতে চাই নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতারা নেতাকর্মীদের পাশে আছে।

নেতাকর্মীদের আশ^স্থ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কি খালেদা জিয়া? না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। উনি নারায়ণগঞ্জের খোজ রাখেন কখন কি হচ্ছে। জাস্ট আগামী ১০/১২ দিনেই টের পাবেন। আপনারা শান্ত থাকুন। তবে বাহিরের মানুষকে দোষ দিতে নাই। ভুল পদক্ষেপ নেয়াইয়া বাহিরের মানুষকে ব্যবহার করতে চায়। সরকার আমাদের, প্রশাসন আমাদের, সিভিল প্রশাসন আমাদের, পুলিশ বাহিনী আমাদের, দায়িত্বও আমাদের। তাই নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে তা আমরা করব না। আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে তাও নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে দিব না।

তিনি বলেন, তবে এই নারায়ণগঞ্জকে কেউ যদি এসে মনে করে ওই কাউন্সিলরকে ফাঁসাবো, ওই চেয়ারম্যানকে ঢুকাবো, কারো সাথে কন্ট্রাকে যাবো, ওইদিক থেকে চাঁদাবাজি করব, এখান থেকে চাঁদাবাজি করব, ব্যবসায়ীদেরকে ফোন করব, শ্রমিক নামধারী শ্রমিকরা আইসা নীট গার্মেন্টস মালিকদের ভয় দেখাবেন, বাস মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলবেন, অটো রিক্সা থেকে পয়সা খাবেন, নাহ ওইটা হবে না। এই নারায়ণগঞ্জে হবে না।

কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। এ কর্মী সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশালী লোক হোক।’

সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার বিতরণে সাংবাদিক পুলিশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৭ এপ্রিল রবিবার সন্ধায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্মৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার (সোনারগাঁ) সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন তুষার ও বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ, বারদী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জিত কুমার রায়, সাংবাদিক আনিছুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাদিকুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বারদী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইতালি প্রবাসী মাহমুদুল্লাহ, বারদী হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিম মিয়া, ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান, সমাজ সেবিকা পারভীন আনোয়ার, বারদী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক নাদিয়া আফরিন, কামরুন নাহার, জিয়াসমিন, সোনিয়া আক্তার, ইসমাঈল, নুরজাহান আক্তার, বাহাউদ্দীন, শাকিল, সুজাত, আঁখি, মন্টি রানী শীল প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সুশীল সমাজের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সোনারগাঁয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় মরজিনা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরী ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ৭ এপ্রিল রবিবার সকালে সোনারগাঁও পৌরসভার টিপুরদী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহত মরজিনা আক্তার সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার কাউকান্দি গ্রামের মৃত আলী আকবরের মেয়ে।

নিহত মরজিনার মা আছমা বেগম জানান, সোনারগাঁ পৌরসভার টিপুরদী এলাকায় জাহের আলীর বাড়িতে ভাড়া করা বাসায় মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। রবিবার সকালে রান্না করতে গেলে এ ফাঁকে তার মেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। মরজিনা দীর্ঘ দিন ধরেই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আইনজীবী আমেনা আখতারের মৃত্যুতে তৈমূর আলমের শোক প্রকাশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আমেনা আখতারের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে এপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

এক শোক বার্তায় তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমেনা আখতার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শে বিশ্বাস করতেন এবং আজীবন একই আদর্শ লালন করেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী সমাজ একজন সুহৃদয় সহকর্মীকে হারালো। তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনাসহ মরহুমের পরিবারবর্গকে ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য আল্লাহপাকের সাহায্য কামনা করেন।

সর্বশেষ সংবাদ