খোরশেদ ও মন্তুর ঘোষিত যুবদলের কমিটি ১২ ঘন্টার মধ্যে স্থগিত!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বাহিরে বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন এলাকা নিয়ে মহানগর যুবদলের ঘোষণা করা বন্দর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ১২ ঘন্টার মধ্যে তা স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। ৬ এপ্রিল শনিবার বন্দরে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দীন মন্তু। কমিটি গঠনের ১২ ঘন্টার মধ্যেই এই কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদলের কমিটি।

জানাগেছে, ২০১২ সালে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন তৎকালীন জেলা যুবদল দাবি করে আসছিল। ওই সময় কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতারা ৫টি ইউনিয়ন জেলার আওতাধীন থাকবে বলে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন। কিন্তু জেলা যুবদলের তৎকালীন সভাপতি ও সেক্রেটারি বিরোধ থেকে সরে দাড়িয়ে ৫টি ইউনিয়ন পরিচালনার জন্য মহানগর কমিটিকে সুযোগ করে দেয়। যার ফলে সেখানে বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন করেছিল মহানগর যুবদল। সেই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের ভিতরের এলাকা নিয়ে বন্দর থানা যুবদলের কমিটিও গঠন করে মহানগর যুবদল।

এর আগে জেলা যুবদলের আওতাধীন দাবি করে বন্দর উপজেলা যুবদলের ব্যানার নিয়ে ঢাকায় এক কর্মসূচিতে যোগদান করতে গেলে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীদের দ্বারা মারধরের শিকার হন বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দীন শিশির।

ওই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বন্দরে তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি বর্তমান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে জুতা ঝাড়ু মিছিল করেছিলেন কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সহ-সভাপতি মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনু ও বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম হিরন। ওইদিন বন্দরে নেতাকর্মীদের নিয়ে তাদের কুশপুত্তলিকাদাহ করেছিলেন বেনু ও হিরণ। পরবর্তীতে তৎকালীন জেলা যুবদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি বিরোধ এড়াতে মহানগর যুবদলের উপর ছেড়ে দেয় ওই ৫টি ইউনিয়ন। কিন্তু বর্তমান জেলা যুবদল সেই ৫টি ইউনিয়ন নিজেদের দাবি করায় আবারো মহানগর ও জেলা যুবদলের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকা থেকে জেলা ও মহানগর যুবদলের দুটি কমিটিতেই নেতাদের পদে রাখা হয়েছে।

কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি ও সেক্রেটারির নির্দেশ এই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের যুবদলের নেতাদের জানানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখন কাগজের মাধ্যমে এভাবে কমিটি হবেনা। সকল কমিটি এখন সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হবে।’

বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন জেলা নাকি মহানগর কমিটির আওতাধীন থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা পরে সিদ্ধান্ত জানাবো। আপাতত আমরা এ বিষয়ে কিছু বলছিনা। মহানগর যুবদল বন্দরে যে কমিটি গঠন করেছে সেটা আমরা স্থগিত করেছি।’

এদিকে জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু দাবি করেছেন- বন্দরে সিটি কর্পোরেশনের বাহিরের ৫টি ইউনিয়ন জেলা যুবদলের আওতাধীন হিসেবেই রাখা হয়েছে। ওই ৫টি ইউনিয়ন থেকে অনেক নেতাদের জেলা যুবদলে রেখেই জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে আমাদের জানানো হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে। আমরা আলোচনার মাধ্যমেই গঠন করব। আর সীমানা নিয়ে কোন জটিলতা নাই। ৫টি ইউনিয়ন মহানগর যুবদলের আওতাধীন থাকবে।’

৬ এপ্রিল শনিবার নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও শাহাদুল্লাহ মুকুলকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দীন মন্তু ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন। বন্দর উপজেলা যুবদলের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ৯০ দিনের জন্য এই ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে পারভেজ খান ও সদস্য হিসেবে রয়েছেন মনিরুল ইসলাম মনু, মোঃ রুবেল মিয়া, বাবুল হোসেন মেম্বার, আবদুস সাত্তার, মোঃ মামুন ভূইয়া, মোঃ জাহিদ খন্দকার, আল-মামুন প্রধান, মোঃ নুর হোসেন, গোলজার হোসেন ভূইয়া, মোঃ আসাবুদ্দিন, মোঃ শিপন মাহমুদ, মোঃ বর জাহান, সেলিম খন্দকার, কামরুল ইসলাম, জাহিরুল খন্দকার জনি, স¤্রাট হাসান সুজন।

আওয়ামীলীগের কর্মী সভায় বিএনপির দুই নেতার যোগদান!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবত জাতীয়পার্টির সঙ্গে কাজ করছিলেন বিএনপির এই দুই নেতা। এবার আওয়ামীলীগের কর্মসূচিতে আসলেন তারা। যদিও এর আগে জাতীয়পার্টির এমপি সেলিম ওসমানকে সংবর্ধনা দিতে জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানারে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল করে যোগদান করেছিলেন। এরা হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার ও বন্দর থানা বিএনপির সদস্য সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া।

জানাগেছে, ৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ফতুল্লার বাংলা ভবনে জরুরী কর্মী সভার আয়োজন করে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান।

এই কর্মী সভার প্রায় সকল বক্তাদের বক্তব্য ছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেই। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরাও পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছেন বারবার। এই কর্মী সভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান করেছেন বিএনপির নেতা হান্নান সরকার ও সুলতান আহমেদ ভূইয়া।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। এ কর্মী সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সমাবেশে বাধা দেয় সুলতান আহমেদ। সমাবেশটি প্রথমে সিরাজদৌল্লা ক্লাব মাঠে হওয়ার কথা থাকলেও সুলতান আহমেদ প্যান্ডল ভাংচুর করে দিলে অন্যত্র সমাবেশটি করা হয়। ওই নির্বাচনে হান্নান সরকার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেলিম ওসমানকে এমপি নির্বাচিত করতে যত টাকা লাগে তিনি খরচ করবে। কিন্তু বিএনপির পদ বহন করলেও তারা নিয়মিত জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের কর্মসূচিতে যোগদান করছেন।

কারো ক্ষমতা সর্বক্ষন থাকেনা : আনোয়ার হোসেন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, দশ জনের জন্য কাজ করলে এমনিতেই সম্মান পাওয়া যায়। কারো ক্ষমতা সর্বক্ষণ থাকেনা। আল্লাহর দেয়া চেয়ার পেয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করলে তিনি এই জীবনে এবং পরজীবনেও কল্যাণ পাবেন।

তিনি বলেন, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সব হাত খুলে দিয়েছেন। আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করে রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সেই ধারাবাহিকতায় রক্ষা এখনো বিজ্ঞানাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।

৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের হাজীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতন আয়োজনে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ, মিলাদ ও জেলা পরিষদ কর্তৃক বিজ্ঞানাগার নির্মাণের উদ্বোধনের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামীলীগের এই নেতা।

বিদ্যানিকেতনের পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা, জাতীয়পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট মজিদ খন্দকার ছাড়াও এলাকার মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সমাজসেবক, আইনজীবী ও মুরব্বীগণ।

টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভা: কথায় কথায় শ্রমিক ছাটাই

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভা অনুষ্টিত হয়েছে। যেখানে বক্তারা বলেছেন, পুজিবাদীরা কথায় কথায় শ্রমিকদের ছাটাই করছেন। আবার দ্রব্যমুল্য বাড়লেও শ্রমিকদের তেমন সেই হারে বাড়ছেনা।

জানাগেছে, ৫ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধায় নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার কে.এস টাওয়ারের ৮ম তলায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মো. জি.কে রাসেলের সভাপতিত্বে ওই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মো. নাজমুল হাসান নান্নু, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, জেলা কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মোছা: শিমুল আক্তার আঞ্জু, মহানগর কমিটির কার্যকরী পরিষদ সভাপি জীবন চন্দ্র দাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জুয়েল, বিপ্লব, হৃদয় প্রমুখ। এ সভায় সংগঠনে নতুন সদস্য হিসেবে যোগদান করায় ইউসুফ আলী প্রধানকে সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ জি.কে রাসেল তার বক্তব্যে বলেন, ‘আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন প্রমিকদের ঘাম শুকানোর আগে তাদের পারিশ্রমিক দিয়ে দাও। অথচ আজ পুজিবাদীরা শ্রমিকদেরকে কথায় কথায় ছাটাই করে। মাসের পর মাস চলে যায় বেতন দেওয়ার নাম নেয় না। বর্তমান নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবমূল্যের দাম যেই হারে বেড়ে চলছে সেই হারে শ্রমিকদের বেতন বাড়ছেনা। পুজিবাদের কাছে শ্রমিকরা অসহায়। এই জুলুম, অত্যাচার থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে।’

সেলিম ওসমানের জন্য দোয়া চাইলেন কলাগাছিয়ার জাপা নেতা বাচ্চু মিয়া প্রধান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বন্দরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বিশ্ব নবী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরুষ্কার বিতরণী ও শিক্ষকদের সম্মননা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত বিশ্বনবী (সাঃ) ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া প্রধান।

প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বাচ্চু মিয়া প্রধান বলেন, পূর্বে মানুষ মাদ্রাসা শিক্ষার কোন গুরুত্ব দিতেন না। তারা ভাবতেন মাদ্রাসা শিক্ষায় হুজুর হওয়া ছাড়া কিছুই হওয়া যায়না। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই শিক্ষা ব্যবস্থায় অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি মাদ্রাসা শিক্ষাকে সম্মান দিয়ে বৈষম্য দূর করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ভাগ্য খুবই ভালো এই আসনে এমপি সেলিম ওসমান একজন অত্যন্ত পরহেজগার ব্যক্তি। তিনি দুর্নীতি করেন না এবং প্রশ্রয়ও দেননা। তিনি এই মাদ্রাসার জন্য অনেক করেছেন ইনশাআল্লাহ তিনি এই মাদ্রাসার সকল কিছু ষোলকলায় পূরণ করে দিবেন। আপনারা এই মহান ব্যক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মাদ্রাসার দাতা সদস্য মোক্তার হোসেন মুক্তু এবং মাদ্রাসার গভনিং বডির সভাপতি সরদার আবু তালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নংওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম ইব্রাহীম কাশেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, মোঃ নুরুজ্জামান ও সমাজ সেবক নাজিম উদ্দীন মিয়া।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য লিয়াকত আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বুলবুল আহমেদ, জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুস সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ১,২,৩নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য হাসিনা আক্তার পলি, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সচিব ও অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, অভিভাবক সদস্য হাজী সাহাব উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, হুমায়ন কবির, মাসুদা বেগম, শিক্ষক প্রতিনিধি শাহজাদী ইয়াসমিন, রোজিনা আক্তার, নুরুল ইসলাম ও আব্দুল বারী প্রমূখ।

সোনারগাঁয়ে নির্বাচিত মোশারফের জন্য মসজিদে মসজিদে গিয়াসউদ্দীনের দোয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ গণআজাদীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক গাজী গিয়াসউদ্দিনের উদ্যোগে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের জন্য বন্দর ও সোনারগাঁওয়ে দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৫ এপ্রিল শুক্রবার সকালে সোনারগাঁও কাফুরদী জামে মসজিদ ও বন্দর থানার ইসলামপুর জামে মসজিদে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন রুমি আল-আবেদী ও কাফুরদী মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা শফিকুল ইসলাম। দোয়ায় অংশ গ্রহণ করেন-মোঃ আল-আমিন হোসাইন, আল আবেদী, কাফুরদী এলাকার সমাজ সেবক শাহাবুদ্দীন নুরী আল কাদরী, কাজী আব্দুল হামিদ মাস্টার, গাজী মোস্তফা প্রধান, কাজী মনির, আতাউর রহমান, বায়াতে রাসুল মুরিদ মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

আওয়ামীলীগ নেতারা থরথর কাপতাছে, এক সেকেন্ডও ছাড় দিবনা: শামীম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাহিরের লোককে দোষ দিয়ে লাভ নাই। দোষ তো আপনার ঘরের ভিতরে। এখন কেউ যদি মনে করেন কাউকে ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নষ্ট করবে, নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পুলিশ না। হোসিয়ারী ব্যবসা করতে করতে গার্মেন্টস মালিক হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যারা দোকান চালায় তারা এখানকার স্থানীয়। যারা বাস চালায় তারা স্থানীয়। আমাদের এসব লোকদের কেউ ফোন করে বলবেন দেখা করেন, আমি বলব দেখা করার সময় শেষ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এতে উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই। মশা মারতে কামান লাগেনা।

তবে শামীম ওসমান বক্তব্য শুরুর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের এই নারায়ণগঞ্জকে আমরা গাজীপুর হতে দিব না। এসময় শামীম ওসমানের কর্মীরা পুলিশ সুপারের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে শ্লোগান দিলে শামীম ওসমান থামিয়ে দেন। এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এর আগে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বাংলা ভবনে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত জরুরী কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী পরিবারকে ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দাড়াও শ্লোগানে এই কর্র্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খেলা কোনটা? আমি কারো নাম বলব না। এগুলোকে আমি গোনায় ধরি না। সন্ত্রাসের কারনে যাকে আমি মৃত্যুর মুখ থেকে দুইবার বাচাই নিয়ে আসছি। আমার দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় শ্রমিক আন্দোলনের নামে, চাঁদাবাজির কারনে সরকারের নির্দেশে কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হলো, এইবারও নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তারের নির্র্দেশ ছিল, আমি বলেছি গ্রেপ্তার কইরেন না। অন্তত আপনি সরাই দেন। এরাও এখন দেখি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করে!

তিনি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আরেকজন মহিলা আছে নারায়ণগঞ্জে। আমি ওর নাম বলতে বলতে নাম ফুইলা গেছে। নাম আর বলতে চাইনা। যার সঙ্গে জামাতের কানেকশন প্রকাশ পেয়েছে। জামায়াতের আমির বললো জামাতের সাথে কাদের কানেকশন। পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে জামাতের আমির বললো নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে হলে, শামীম ওসমানকে ধ্বংস করতে হলে উমুক নেত্রীকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে। এই কথার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল। আওয়ামীলীকে ধ্বংস করতে ওই উমুকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে বললো। জামাতের কানেকশন প্রকাশ করায় ওসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বললো। তো মামলা করছেন না কেন? সাংবাদিক ভাইয়েরা তাকে গিযে বলেন মামলাটা করতে। সৎ সাহস থাকলে তো তাদেরই মামলা করা উচিত।

আইভীকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার বাপ দাদাকে গালি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ওসমান পরিবার খুনি পরিবার। যা বলছেন আমি বলি আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক। আমি তার জন্য দোয়া করি। কারন এই গালিটা না দিলে প্রমান হতোনা নারায়ণগঞ্জের মানুষ ওসমান পরিবারকে কতটা ভাল বাসে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৩৬জন কাউন্সিলর মধ্যে ২৯ জন কাউন্সিলরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি দেশে এমন কোন সিটি কর্পোরেশন দেখি নাই যেখানে একজন মেয়রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে স্বারকলিপি দিয়েছে ২৯ জন কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে ২৯ জন কাউন্সিলর স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছে। তার তো এতেই মাথা হেট হয়ে যাওয়া উচিত।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে এসে খালেদা জিয়াও এসে বলেছিল কোথায় আওয়ামীলীগ? কোথায় শামীম ওসমান। আমরা তখন ভাবলাম যেহেতু তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আমাদের দেখতে চায় তখন আমাদের শ্রমিক ভাইদের বললাম ভাই তোমাদের গাড়িগুলো রাস্তায় বাকা করে রাখেন, ট্রেন লাইনটা ছাত্রদের মধ্যে ফালান, খালেদা জিয়া আমাদের একটু দেখতে চায় আমরা দেখাই। উনি কিন্তু মেইন রোড দিয়ে ঢাকা যেতে পারেনি। ভিতরের রাস্তা দিয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছিল। উটা প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায়। নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিল যাকে রাতের বেলায় পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। কাউকে টেক্স দিবে না। আমার নেত্রী চায় কথা বলতে চাইলে কথা বলবে। সাংবাদিকতা করতে চাইলে সাংবাদিকতা করবে। কাউকে ভয় পাবে না। কারো উপর আঘাত আসবে না।

শামীম ওসমান এর আগে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের দেখলাম উত্তেজিত। ঠিকই আছে। আপনাদের মত এরকম বয়সে আমারও এরকম উত্তেজিত হওয়ার কথাই ছিল। আল্লাহর রহমত আমি ২০১১ সালের শামীম না এটা ২০১৯ সাল। বয়স বাড়ে ধর্য্যও বাড়ে। অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বলছেন পদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে চাই নারায়ণগঞ্জে বেটা কেডা একটু দেহি।

নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বিষয়টা আপনারা যা দেখছেন তা না। পর্দার অন্তরালে কিছু খেলা থাকে। সেই খেলায় কেউ কেউ ভুল করে পা দেয়। হয়তো নারায়ণগঞ্জে যারা হটাত করে এসছেন বিদেশী মেহমান কারো খেলাতে পা দিয়েছেন।

নেতাকর্মীদের শামীম ওসমান বলেন, এখন আপনার ভিতর থেকে যদি কেউ খেলে? কে বেশি ক্ষতিকর ছিল আমাদের জন্য? জিয়াউর রহমান নাকি খন্দকার মোস্তাক? মোস্তাকরাই খেলছে। কারন মোস্তাকেরা ধরা পড়ে গেছে। আওয়ামীলীগকে ধ্বংস কর। কিভাবে? শাহ নিজামের বিরুদ্ধে জিডি কর। আহ বাবা শাহনিজামের বিরুদ্ধে জিডি হয়ে গেছে! আওয়ামীলীগের নেতারা ধর ধর কাপতাছে! আমরা কি কাপুরুষ না? মীরুর নামে মামলা হইছে, আল্লাহ আমি ভয় পেয়ে গেছি! মীরু কাপুরুষ? আরে ভয় পাবে কে? যে খারাপ সে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চান্দাবাজ ধান্দাবাজ না। সজলের নামে বক্তব্য দেন। আহ বাবা সবাই ভয় পেয়ে গেছে! আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। ভয় পাইনা।

জেলা পুলিশ সুপারকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের যদি কেউ খেলাতে চান, প্লিজ ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জে খেইলেন না। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করবে। আর প্রশ্ন করার আগে তাকে জুয়ার মামলার আসামী করে দিবেন। কইরেন না। আমার আত্মীয়স্বজনকে মদের সাপ্লাইয়ার বানাবেন। মনে করবেন আমি ভয় পেয়ে যাবো। এগুলো করে আমাকে কাবু করা মছিমত। আমাকে কাবু করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের মাঝে যদি খারাপ হয তাকে আমরা ছাড় দিব না। কিন্তু আমাদের মধ্য থেকে যদি কাউকে ইচ্ছা করে জামেলায় ফেলার চেষ্টা করা তাহলে কথা দিচ্ছি নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাড়া নাচাই দিব। এক সেকেন্ড ছাড় দিবনা, এক সেকেন্ডও না। একটা সেকেন্ড কোন নেতাকর্মীকে বিনা কারনে জামেলায় ফেলতে কেউ চেষ্টা করলে ছাড় দিব না। কোন ব্যবসায়ী মাথা নত করে ব্যবসা করবেনা। কারন এই দেশ শেখ হাসিনার। এই নারায়ণগঞ্জও শেখ হাসিনার।

তখন তিনি নেতাকর্মীদের বলেন, সমস্যা শুধু একটাই আমাদের হাত পা বাধা। কারন আমরা দল করি। আমরা নারায়ণগঞ্জে ৫ লাখ লোকের সমাবেশ কইরা দেখাইতে চাই নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতারা নেতাকর্মীদের পাশে আছে।

নেতাকর্মীদের আশ^স্থ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কি খালেদা জিয়া? না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। উনি নারায়ণগঞ্জের খোজ রাখেন কখন কি হচ্ছে। জাস্ট আগামী ১০/১২ দিনেই টের পাবেন। আপনারা শান্ত থাকুন। তবে বাহিরের মানুষকে দোষ দিতে নাই। ভুল পদক্ষেপ নেয়াইয়া বাহিরের মানুষকে ব্যবহার করতে চায়। সরকার আমাদের, প্রশাসন আমাদের, সিভিল প্রশাসন আমাদের, পুলিশ বাহিনী আমাদের, দায়িত্বও আমাদের। তাই নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে তা আমরা করব না। আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে তাও নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে দিব না।

তিনি বলেন, তবে এই নারায়ণগঞ্জকে কেউ যদি এসে মনে করে ওই কাউন্সিলরকে ফাঁসাবো, ওই চেয়ারম্যানকে ঢুকাবো, কারো সাথে কন্ট্রাকে যাবো, ওইদিক থেকে চাঁদাবাজি করব, এখান থেকে চাঁদাবাজি করব, ব্যবসায়ীদেরকে ফোন করব, শ্রমিক নামধারী শ্রমিকরা আইসা নীট গার্মেন্টস মালিকদের ভয় দেখাবেন, বাস মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলবেন, অটো রিক্সা থেকে পয়সা খাবেন, নাহ ওইটা হবে না। এই নারায়ণগঞ্জে হবে না।

কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। এ কর্মী সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশালী লোক হোক।

প্লিজ, ডোন্ট প্লে এই নারায়ণগঞ্জে: শামীম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাহিরের লোককে দোষ দিয়ে লাভ নাই। দোষ তো আপনার ঘরের ভিতরে। এখন কেউ যদি মনে করেন কাউকে ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নষ্ট করবে, নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পুলিশ না। হোসিয়ারী ব্যবসা করতে করতে গার্মেন্টস মালিক হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যারা দোকান চালায় তারা এখানকার স্থানীয়। যারা বাস চালায় তারা স্থানীয়। আমাদের এসব লোকদের কেউ ফোন করে বলবেন দেখা করেন, আমি বলব দেখা করার সময় শেষ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এতে উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই। মশা মারতে কামান লাগেনা।

তবে শামীম ওসমান বক্তব্য শুরুর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের এই নারায়ণগঞ্জকে আমরা গাজীপুর হতে দিব না। এসময় শামীম ওসমানের কর্মীরা পুলিশ সুপারের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে শ্লোগান দিলে শামীম ওসমান থামিয়ে দেন। এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এর আগে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বাংলা ভবনে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত জরুরী কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী পরিবারকে ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দাড়াও শ্লোগানে এই কর্র্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খেলা কোনটা? আমি কারো নাম বলব না। এগুলোকে আমি গোনায় ধরি না। সন্ত্রাসের কারনে যাকে আমি মৃত্যুর মুখ থেকে দুইবার বাচাই নিয়ে আসছি। আমার দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় শ্রমিক আন্দোলনের নামে, চাঁদাবাজির কারনে সরকারের নির্দেশে কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হলো, এইবারও নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তারের নির্র্দেশ ছিল, আমি বলেছি গ্রেপ্তার কইরেন না। অন্তত আপনি সরাই দেন। এরাও এখন দেখি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করে!

তিনি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আরেকজন মহিলা আছে নারায়ণগঞ্জে। আমি ওর নাম বলতে বলতে নাম ফুইলা গেছে। নাম আর বলতে চাইনা। যার সঙ্গে জামাতের কানেকশন প্রকাশ পেয়েছে। জামায়াতের আমির বললো জামাতের সাথে কাদের কানেকশন। পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে জামাতের আমির বললো নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে হলে, শামীম ওসমানকে ধ্বংস করতে হলে উমুক নেত্রীকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে। এই কথার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল। আওয়ামীলীকে ধ্বংস করতে ওই উমুকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে বললো। জামাতের কানেকশন প্রকাশ করায় ওসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বললো। তো মামলা করছেন না কেন? সাংবাদিক ভাইয়েরা তাকে গিযে বলেন মামলাটা করতে। সৎ সাহস থাকলে তো তাদেরই মামলা করা উচিত।

আইভীকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার বাপ দাদাকে গালি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ওসমান পরিবার খুনি পরিবার। যা বলছেন আমি বলি আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক। আমি তার জন্য দোয়া করি। কারন এই গালিটা না দিলে প্রমান হতোনা নারায়ণগঞ্জের মানুষ ওসমান পরিবারকে কতটা ভাল বাসে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৩৬জন কাউন্সিলর মধ্যে ২৯ জন কাউন্সিলরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি দেশে এমন কোন সিটি কর্পোরেশন দেখি নাই যেখানে একজন মেয়রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে স্বারকলিপি দিয়েছে ২৯ জন কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে ২৯ জন কাউন্সিলর স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছে। তার তো এতেই মাথা হেট হয়ে যাওয়া উচিত।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে এসে খালেদা জিয়াও এসে বলেছিল কোথায় আওয়ামীলীগ? কোথায় শামীম ওসমান। আমরা তখন ভাবলাম যেহেতু তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আমাদের দেখতে চায় তখন আমাদের শ্রমিক ভাইদের বললাম ভাই তোমাদের গাড়িগুলো রাস্তায় বাকা করে রাখেন, ট্রেন লাইনটা ছাত্রদের মধ্যে ফালান, খালেদা জিয়া আমাদের একটু দেখতে চায় আমরা দেখাই। উনি কিন্তু মেইন রোড দিয়ে ঢাকা যেতে পারেনি। ভিতরের রাস্তা দিয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছিল। উটা প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায়। নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিল যাকে রাতের বেলায় পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। কাউকে টেক্স দিবে না। আমার নেত্রী চায় কথা বলতে চাইলে কথা বলবে। সাংবাদিকতা করতে চাইলে সাংবাদিকতা করবে। কাউকে ভয় পাবে না। কারো উপর আঘাত আসবে না।

শামীম ওসমান এর আগে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের দেখলাম উত্তেজিত। ঠিকই আছে। আপনাদের মত এরকম বয়সে আমারও এরকম উত্তেজিত হওয়ার কথাই ছিল। আল্লাহর রহমত আমি ২০১১ সালের শামীম না এটা ২০১৯ সাল। বয়স বাড়ে ধর্য্যও বাড়ে। অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বলছেন পদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে চাই নারায়ণগঞ্জে বেটা কেডা একটু দেহি।

নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বিষয়টা আপনারা যা দেখছেন তা না। পর্দার অন্তরালে কিছু খেলা থাকে। সেই খেলায় কেউ কেউ ভুল করে পা দেয়। হয়তো নারায়ণগঞ্জে যারা হটাত করে এসছেন বিদেশী মেহমান কারো খেলাতে পা দিয়েছেন।

নেতাকর্মীদের শামীম ওসমান বলেন, এখন আপনার ভিতর থেকে যদি কেউ খেলে? কে বেশি ক্ষতিকর ছিল আমাদের জন্য? জিয়াউর রহমান নাকি খন্দকার মোস্তাক? মোস্তাকরাই খেলছে। কারন মোস্তাকেরা ধরা পড়ে গেছে। আওয়ামীলীগকে ধ্বংস কর। কিভাবে? শাহ নিজামের বিরুদ্ধে জিডি কর। আহ বাবা শাহনিজামের বিরুদ্ধে জিডি হয়ে গেছে! আওয়ামীলীগের নেতারা থরথর কাপতাছে! আমরা কি কাপুরুষ না? মীরুর নামে মামলা হইছে, আল্লাহ আমি ভয় পেয়ে গেছি! মীরু কাপুরুষ? আরে ভয় পাবে কে? যে খারাপ সে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চান্দাবাজ ধান্দাবাজ না। সজলের নামে বক্তব্য দেন। আহ বাবা সবাই ভয় পেয়ে গেছে! আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। ভয় পাইনা।

জেলা পুলিশ সুপারকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের যদি কেউ খেলাতে চান, প্লিজ ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জে খেইলেন না। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করবে। আর প্রশ্ন করার আগে তাকে জুয়ার মামলার আসামী করে দিবেন। কইরেন না। আমার আত্মীয়স্বজনকে মদের সাপ্লাইয়ার বানাবেন। মনে করবেন আমি ভয় পেয়ে যাবো। এগুলো করে আমাকে কাবু করা মছিমত। আমাকে কাবু করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের মাঝে যদি খারাপ হয তাকে আমরা ছাড় দিব না। কিন্তু আমাদের মধ্য থেকে যদি কাউকে ইচ্ছা করে জামেলায় ফেলার চেষ্টা করা তাহলে কথা দিচ্ছি নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাড়া নাচাই দিব। এক সেকেন্ড ছাড় দিবনা, এক সেকেন্ডও না। একটা সেকেন্ড কোন নেতাকর্মীকে বিনা কারনে জামেলায় ফেলতে কেউ চেষ্টা করলে ছাড় দিব না। কোন ব্যবসায়ী মাথা নত করে ব্যবসা করবেনা। কারন এই দেশ শেখ হাসিনার। এই নারায়ণগঞ্জও শেখ হাসিনার।

তখন তিনি নেতাকর্মীদের বলেন, সমস্যা শুধু একটাই আমাদের হাত পা বাধা। কারন আমরা দল করি। আমরা নারায়ণগঞ্জে ৫ লাখ লোকের সমাবেশ কইরা দেখাইতে চাই নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতারা নেতাকর্মীদের পাশে আছে।

নেতাকর্মীদের আশ^স্থ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কি খালেদা জিয়া? না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। উনি নারায়ণগঞ্জের খোজ রাখেন কখন কি হচ্ছে। জাস্ট আগামী ১০/১২ দিনেই টের পাবেন। আপনারা শান্ত থাকুন। তবে বাহিরের মানুষকে দোষ দিতে নাই। ভুল পদক্ষেপ নেয়াইয়া বাহিরের মানুষকে ব্যবহার করতে চায়। সরকার আমাদের, প্রশাসন আমাদের, সিভিল প্রশাসন আমাদের, পুলিশ বাহিনী আমাদের, দায়িত্বও আমাদের। তাই নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে তা আমরা করব না। আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে তাও নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে দিব না।

তিনি বলেন, তবে এই নারায়ণগঞ্জকে কেউ যদি এসে মনে করে ওই কাউন্সিলরকে ফাঁসাবো, ওই চেয়ারম্যানকে ঢুকাবো, কারো সাথে কন্ট্রাকে যাবো, ওইদিক থেকে চাঁদাবাজি করব, এখান থেকে চাঁদাবাজি করব, ব্যবসায়ীদেরকে ফোন করব, শ্রমিক নামধারী শ্রমিকরা আইসা নীট গার্মেন্টস মালিকদের ভয় দেখাবেন, বাস মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলবেন, অটো রিক্সা থেকে পয়সা খাবেন, নাহ ওইটা হবে না। এই নারায়ণগঞ্জে হবে না।

কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। এ কর্মী সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশালী লোক হোক।

আইভী, এসপি ও পলাশকে ইঙ্গিত করে যা বললেন শামীম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাহিরের লোককে দোষ দিয়ে লাভ নাই। দোষ তো আপনার ঘরের ভিতরে। এখন কেউ যদি মনে করেন কাউকে ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নষ্ট করবে, নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পুলিশ না। হোসিয়ারী ব্যবসা করতে করতে গার্মেন্টস মালিক হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যারা দোকান চালায় তারা এখানকার স্থানীয়। যারা বাস চালায় তারা স্থানীয়। আমাদের এসব লোকদের কেউ ফোন করে বলবেন দেখা করেন, আমি বলব দেখা করার সময় শেষ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এতে উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই। মশা মারতে কামান লাগেনা।

তবে শামীম ওসমান বক্তব্য শুরুর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের এই নারায়ণগঞ্জকে আমরা গাজীপুর হতে দিব না। এসময় শামীম ওসমানের কর্মীরা পুলিশ সুপারের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে শ্লোগান দিলে শামীম ওসমান থামিয়ে দেন। এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এর আগে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বাংলা ভবনে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত জরুরী কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী পরিবারকে ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দাড়াও শ্লোগানে এই কর্র্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খেলা কোনটা? আমি কারো নাম বলব না। এগুলোকে আমি গোনায় ধরি না। সন্ত্রাসের কারনে যাকে আমি মৃত্যুর মুখ থেকে দুইবার বাচাই নিয়ে আসছি। আমার দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় শ্রমিক আন্দোলনের নামে, চাঁদাবাজির কারনে সরকারের নির্দেশে কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হলো, এইবারও নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তারের নির্র্দেশ ছিল, আমি বলেছি গ্রেপ্তার কইরেন না। অন্তত আপনি সরাই দেন। এরাও এখন দেখি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করে!

তিনি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আরেকজন মহিলা আছে নারায়ণগঞ্জে। আমি ওর নাম বলতে বলতে নাম ফুইলা গেছে। নাম আর বলতে চাইনা। যার সঙ্গে জামাতের কানেকশন প্রকাশ পেয়েছে। জামায়াতের আমির বললো জামাতের সাথে কাদের কানেকশন। পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে জামাতের আমির বললো নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে হলে, শামীম ওসমানকে ধ্বংস করতে হলে উমুক নেত্রীকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে। এই কথার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল। আওয়ামীলীকে ধ্বংস করতে ওই উমুকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে বললো। জামাতের কানেকশন প্রকাশ করায় ওসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বললো। তো মামলা করছেন না কেন? সাংবাদিক ভাইয়েরা তাকে গিযে বলেন মামলাটা করতে। সৎ সাহস থাকলে তো তাদেরই মামলা করা উচিত।

আইভীকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার বাপ দাদাকে গালি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ওসমান পরিবার খুনি পরিবার। যা বলছেন আমি বলি আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক। আমি তার জন্য দোয়া করি। কারন এই গালিটা না দিলে প্রমান হতোনা নারায়ণগঞ্জের মানুষ ওসমান পরিবারকে কতটা ভাল বাসে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৩৬জন কাউন্সিলর মধ্যে ২৯ জন কাউন্সিলরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি দেশে এমন কোন সিটি কর্পোরেশন দেখি নাই যেখানে একজন মেয়রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে স্বারকলিপি দিয়েছে ২৯ জন কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে ২৯ জন কাউন্সিলর স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছে। তার তো এতেই মাথা হেট হয়ে যাওয়া উচিত।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে এসে খালেদা জিয়াও এসে বলেছিল কোথায় আওয়ামীলীগ? কোথায় শামীম ওসমান। আমরা তখন ভাবলাম যেহেতু তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আমাদের দেখতে চায় তখন আমাদের শ্রমিক ভাইদের বললাম ভাই তোমাদের গাড়িগুলো রাস্তায় বাকা করে রাখেন, ট্রেন লাইনটা ছাত্রদের মধ্যে ফালান, খালেদা জিয়া আমাদের একটু দেখতে চায় আমরা দেখাই। উনি কিন্তু মেইন রোড দিয়ে ঢাকা যেতে পারেনি। ভিতরের রাস্তা দিয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছিল। উটা প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায়। নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিল যাকে রাতের বেলায় পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। কাউকে টেক্স দিবে না। আমার নেত্রী চায় কথা বলতে চাইলে কথা বলবে। সাংবাদিকতা করতে চাইলে সাংবাদিকতা করবে। কাউকে ভয় পাবে না। কারো উপর আঘাত আসবে না।

শামীম ওসমান এর আগে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের দেখলাম উত্তেজিত। ঠিকই আছে। আপনাদের মত এরকম বয়সে আমারও এরকম উত্তেজিত হওয়ার কথাই ছিল। আল্লাহর রহমত আমি ২০১১ সালের শামীম না এটা ২০১৯ সাল। বয়স বাড়ে ধর্য্যও বাড়ে। অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বলছেন পদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে চাই নারায়ণগঞ্জে বেটা কেডা একটু দেহি।

নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বিষয়টা আপনারা যা দেখছেন তা না। পর্দার অন্তরালে কিছু খেলা থাকে। সেই খেলায় কেউ কেউ ভুল করে পা দেয়। হয়তো নারায়ণগঞ্জে যারা হটাত করে এসছেন বিদেশী মেহমান কারো খেলাতে পা দিয়েছেন।

নেতাকর্মীদের শামীম ওসমান বলেন, এখন আপনার ভিতর থেকে যদি কেউ খেলে? কে বেশি ক্ষতিকর ছিল আমাদের জন্য? জিয়াউর রহমান নাকি খন্দকার মোস্তাক? মোস্তাকরাই খেলছে। কারন মোস্তাকেরা ধরা পড়ে গেছে। আওয়ামীলীগকে ধ্বংস কর। কিভাবে? শাহ নিজামের বিরুদ্ধে জিডি কর। আহ বাবা শাহনিজামের বিরুদ্ধে জিডি হয়ে গেছে! আওয়ামীলীগের নেতারা ধর ধর কাপতাছে! আমরা কি কাপুরুষ না? মীরুর নামে মামলা হইছে, আল্লাহ আমি ভয় পেয়ে গেছি! মীরু কাপুরুষ? আরে ভয় পাবে কে? যে খারাপ সে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চান্দাবাজ ধান্দাবাজ না। সজলের নামে বক্তব্য দেন। আহ বাবা সবাই ভয় পেয়ে গেছে! আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। ভয় পাইনা।

জেলা পুলিশ সুপারকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের যদি কেউ খেলাতে চান, প্লিজ ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জে খেইলেন না। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করবে। আর প্রশ্ন করার আগে তাকে জুয়ার মামলার আসামী করে দিবেন। কইরেন না। আমার আত্মীয়স্বজনকে মদের সাপ্লাইয়ার বানাবেন। মনে করবেন আমি ভয় পেয়ে যাবো। এগুলো করে আমাকে কাবু করা মছিমত। আমাকে কাবু করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের মাঝে যদি খারাপ হয তাকে আমরা ছাড় দিব না। কিন্তু আমাদের মধ্য থেকে যদি কাউকে ইচ্ছা করে জামেলায় ফেলার চেষ্টা করা তাহলে কথা দিচ্ছি নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাড়া নাচাই দিব। এক সেকেন্ড ছাড় দিবনা, এক সেকেন্ডও না। একটা সেকেন্ড কোন নেতাকর্মীকে বিনা কারনে জামেলায় ফেলতে কেউ চেষ্টা করলে ছাড় দিব না। কোন ব্যবসায়ী মাথা নত করে ব্যবসা করবেনা। কারন এই দেশ শেখ হাসিনার। এই নারায়ণগঞ্জও শেখ হাসিনার।

তখন তিনি নেতাকর্মীদের বলেন, সমস্যা শুধু একটাই আমাদের হাত পা বাধা। কারন আমরা দল করি। আমরা নারায়ণগঞ্জে ৫ লাখ লোকের সমাবেশ কইরা দেখাইতে চাই নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতারা নেতাকর্মীদের পাশে আছে।

নেতাকর্মীদের আশ^স্থ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কি খালেদা জিয়া? না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। উনি নারায়ণগঞ্জের খোজ রাখেন কখন কি হচ্ছে। জাস্ট আগামী ১০/১২ দিনেই টের পাবেন। আপনারা শান্ত থাকুন। তবে বাহিরের মানুষকে দোষ দিতে নাই। ভুল পদক্ষেপ নেয়াইয়া বাহিরের মানুষকে ব্যবহার করতে চায়। সরকার আমাদের, প্রশাসন আমাদের, সিভিল প্রশাসন আমাদের, পুলিশ বাহিনী আমাদের, দায়িত্বও আমাদের। তাই নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে তা আমরা করব না। আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে তাও নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে দিব না।

তিনি বলেন, তবে এই নারায়ণগঞ্জকে কেউ যদি এসে মনে করে ওই কাউন্সিলরকে ফাঁসাবো, ওই চেয়ারম্যানকে ঢুকাবো, কারো সাথে কন্ট্রাকে যাবো, ওইদিক থেকে চাঁদাবাজি করব, এখান থেকে চাঁদাবাজি করব, ব্যবসায়ীদেরকে ফোন করব, শ্রমিক নামধারী শ্রমিকরা আইসা নীট গার্মেন্টস মালিকদের ভয় দেখাবেন, বাস মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলবেন, অটো রিক্সা থেকে পয়সা খাবেন, নাহ ওইটা হবে না। এই নারায়ণগঞ্জে হবে না।

কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। এ কর্মী সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশালী লোক হোক।

আমাকে কাবু করা মছিবত: শামীম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাহিরের লোককে দোষ দিয়ে লাভ নাই। দোষ তো আপনার ঘরের ভিতরে। এখন কেউ যদি মনে করেন কাউকে ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নষ্ট করবে, নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পুলিশ না। হোসিয়ারী ব্যবসা করতে করতে গার্মেন্টস মালিক হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যারা দোকান চালায় তারা এখানকার স্থানীয়। যারা বাস চালায় তারা স্থানীয়। আমাদের এসব লোকদের কেউ ফোন করে বলবেন দেখা করেন, আমি বলব দেখা করার সময় শেষ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এতে উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই। মশা মারতে কামান লাগেনা।

তবে শামীম ওসমান বক্তব্য শুরুর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের এই নারায়ণগঞ্জকে আমরা গাজীপুর হতে দিব না। এসময় শামীম ওসমানের কর্মীরা পুলিশ সুপারের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে শ্লোগান দিলে শামীম ওসমান থামিয়ে দেন। এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এর আগে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বাংলা ভবনে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত জরুরী কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী পরিবারকে ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দাড়াও শ্লোগানে এই কর্র্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খেলা কোনটা? আমি কারো নাম বলব না। এগুলোকে আমি গোনায় ধরি না। সন্ত্রাসের কারনে যাকে আমি মৃত্যুর মুখ থেকে দুইবার বাচাই নিয়ে আসছি। আমার দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় শ্রমিক আন্দোলনের নামে, চাঁদাবাজির কারনে সরকারের নির্দেশে কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হলো, এইবারও নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তারের নির্র্দেশ ছিল, আমি বলেছি গ্রেপ্তার কইরেন না। অন্তত আপনি সরাই দেন। এরাও এখন দেখি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করে!

তিনি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আরেকজন মহিলা আছে নারায়ণগঞ্জে। আমি ওর নাম বলতে বলতে নাম ফুইলা গেছে। নাম আর বলতে চাইনা। যার সঙ্গে জামাতের কানেকশন প্রকাশ পেয়েছে। জামায়াতের আমির বললো জামাতের সাথে কাদের কানেকশন। পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে জামাতের আমির বললো নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে হলে, শামীম ওসমানকে ধ্বংস করতে হলে উমুক নেত্রীকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে। এই কথার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল। আওয়ামীলীকে ধ্বংস করতে ওই উমুকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে বললো। জামাতের কানেকশন প্রকাশ করায় ওসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বললো। তো মামলা করছেন না কেন? সাংবাদিক ভাইয়েরা তাকে গিযে বলেন মামলাটা করতে। সৎ সাহস থাকলে তো তাদেরই মামলা করা উচিত।

আইভীকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার বাপ দাদাকে গালি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ওসমান পরিবার খুনি পরিবার। যা বলছেন আমি বলি আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক। আমি তার জন্য দোয়া করি। কারন এই গালিটা না দিলে প্রমান হতোনা নারায়ণগঞ্জের মানুষ ওসমান পরিবারকে কতটা ভাল বাসে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৩৬জন কাউন্সিলর মধ্যে ২৯ জন কাউন্সিলরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি দেশে এমন কোন সিটি কর্পোরেশন দেখি নাই যেখানে একজন মেয়রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে স্বারকলিপি দিয়েছে ২৯ জন কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে ২৯ জন কাউন্সিলর স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছে। তার তো এতেই মাথা হেট হয়ে যাওয়া উচিত।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে এসে খালেদা জিয়াও এসে বলেছিল কোথায় আওয়ামীলীগ? কোথায় শামীম ওসমান। আমরা তখন ভাবলাম যেহেতু তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আমাদের দেখতে চায় তখন আমাদের শ্রমিক ভাইদের বললাম ভাই তোমাদের গাড়িগুলো রাস্তায় বাকা করে রাখেন, ট্রেন লাইনটা ছাত্রদের মধ্যে ফালান, খালেদা জিয়া আমাদের একটু দেখতে চায় আমরা দেখাই। উনি কিন্তু মেইন রোড দিয়ে ঢাকা যেতে পারেনি। ভিতরের রাস্তা দিয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছিল। উটা প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায়। নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিল যাকে রাতের বেলায় পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। কাউকে টেক্স দিবে না। আমার নেত্রী চায় কথা বলতে চাইলে কথা বলবে। সাংবাদিকতা করতে চাইলে সাংবাদিকতা করবে। কাউকে ভয় পাবে না। কারো উপর আঘাত আসবে না।

শামীম ওসমান এর আগে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের দেখলাম উত্তেজিত। ঠিকই আছে। আপনাদের মত এরকম বয়সে আমারও এরকম উত্তেজিত হওয়ার কথাই ছিল। আল্লাহর রহমত আমি ২০১১ সালের শামীম না এটা ২০১৯ সাল। বয়স বাড়ে ধর্য্যও বাড়ে। অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বলছেন পদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে চাই নারায়ণগঞ্জে বেটা কেডা একটু দেহি।

নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বিষয়টা আপনারা যা দেখছেন তা না। পর্দার অন্তরালে কিছু খেলা থাকে। সেই খেলায় কেউ কেউ ভুল করে পা দেয়। হয়তো নারায়ণগঞ্জে যারা হটাত করে এসছেন বিদেশী মেহমান কারো খেলাতে পা দিয়েছেন।

নেতাকর্মীদের শামীম ওসমান বলেন, এখন আপনার ভিতর থেকে যদি কেউ খেলে? কে বেশি ক্ষতিকর ছিল আমাদের জন্য? জিয়াউর রহমান নাকি খন্দকার মোস্তাক? মোস্তাকরাই খেলছে। কারন মোস্তাকেরা ধরা পড়ে গেছে। আওয়ামীলীগকে ধ্বংস কর। কিভাবে? শাহ নিজামের বিরুদ্ধে জিডি কর। আহ বাবা শাহনিজামের বিরুদ্ধে জিডি হয়ে গেছে! আওয়ামীলীগের নেতারা ধর ধর কাপতাছে! আমরা কি কাপুরুষ না? মীরুর নামে মামলা হইছে, আল্লাহ আমি ভয় পেয়ে গেছি! মীরু কাপুরুষ? আরে ভয় পাবে কে? যে খারাপ সে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চান্দাবাজ ধান্দাবাজ না। সজলের নামে বক্তব্য দেন। আহ বাবা সবাই ভয় পেয়ে গেছে! আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। ভয় পাইনা।

জেলা পুলিশ সুপারকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের যদি কেউ খেলাতে চান, প্লিজ ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জে খেইলেন না। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করবে। আর প্রশ্ন করার আগে তাকে জুয়ার মামলার আসামী করে দিবেন। কইরেন না। আমার আত্মীয়স্বজনকে মদের সাপ্লাইয়ার বানাবেন। মনে করবেন আমি ভয় পেয়ে যাবো। এগুলো করে আমাকে কাবু করা মছিমত। আমাকে কাবু করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের মাঝে যদি খারাপ হয তাকে আমরা ছাড় দিব না। কিন্তু আমাদের মধ্য থেকে যদি কাউকে ইচ্ছা করে জামেলায় ফেলার চেষ্টা করা তাহলে কথা দিচ্ছি নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাড়া নাচাই দিব। এক সেকেন্ড ছাড় দিবনা, এক সেকেন্ডও না। একটা সেকেন্ড কোন নেতাকর্মীকে বিনা কারনে জামেলায় ফেলতে কেউ চেষ্টা করলে ছাড় দিব না। কোন ব্যবসায়ী মাথা নত করে ব্যবসা করবেনা। কারন এই দেশ শেখ হাসিনার। এই নারায়ণগঞ্জও শেখ হাসিনার।

তখন তিনি নেতাকর্মীদের বলেন, সমস্যা শুধু একটাই আমাদের হাত পা বাধা। কারন আমরা দল করি। আমরা নারায়ণগঞ্জে ৫ লাখ লোকের সমাবেশ কইরা দেখাইতে চাই নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতারা নেতাকর্মীদের পাশে আছে।

নেতাকর্মীদের আশ^স্থ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কি খালেদা জিয়া? না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। উনি নারায়ণগঞ্জের খোজ রাখেন কখন কি হচ্ছে। জাস্ট আগামী ১০/১২ দিনেই টের পাবেন। আপনারা শান্ত থাকুন। তবে বাহিরের মানুষকে দোষ দিতে নাই। ভুল পদক্ষেপ নেয়াইয়া বাহিরের মানুষকে ব্যবহার করতে চায়। সরকার আমাদের, প্রশাসন আমাদের, সিভিল প্রশাসন আমাদের, পুলিশ বাহিনী আমাদের, দায়িত্বও আমাদের। তাই নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে তা আমরা করব না। আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে তাও নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে দিব না।

তিনি বলেন, তবে এই নারায়ণগঞ্জকে কেউ যদি এসে মনে করে ওই কাউন্সিলরকে ফাঁসাবো, ওই চেয়ারম্যানকে ঢুকাবো, কারো সাথে কন্ট্রাকে যাবো, ওইদিক থেকে চাঁদাবাজি করব, এখান থেকে চাঁদাবাজি করব, ব্যবসায়ীদেরকে ফোন করব, শ্রমিক নামধারী শ্রমিকরা আইসা নীট গার্মেন্টস মালিকদের ভয় দেখাবেন, বাস মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলবেন, অটো রিক্সা থেকে পয়সা খাবেন, নাহ ওইটা হবে না। এই নারায়ণগঞ্জে হবে না।

কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। এ কর্মী সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশীল লোক হোক।

সর্বশেষ সংবাদ