নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাড়া নাচাই দিব: শামীম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাহিরের লোককে দোষ দিয়ে লাভ নাই। দোষ তো আপনার ঘরের ভিতরে। এখন কেউ যদি মনে করেন কাউকে ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নষ্ট করবে, নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পুলিশ না। হোসিয়ারী ব্যবসা করতে করতে গার্মেন্টস মালিক হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যারা দোকান চালায় তারা এখানকার স্থানীয়। যারা বাস চালায় তারা স্থানীয়। আমাদের এসব লোকদের কেউ ফোন করে বলবেন দেখা করেন, আমি বলব দেখা করার সময় শেষ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এতে উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই। মশা মারতে কামান লাগেনা।

তবে শামীম ওসমান বক্তব্য শুরুর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের এই নারায়ণগঞ্জকে আমরা গাজীপুর হতে দিব না। এসময় শামীম ওসমানের কর্মীরা পুলিশ সুপারের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে শ্লোগান দিলে শামীম ওসমান থামিয়ে দেন। এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এর আগে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বাংলা ভবনে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত জরুরী কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী পরিবারকে ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দাড়াও শ্লোগানে এই কর্র্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খেলা কোনটা? আমি কারো নাম বলব না। এগুলোকে আমি গোনায় ধরি না। সন্ত্রাসের কারনে যাকে আমি মৃত্যুর মুখ থেকে দুইবার বাচাই নিয়ে আসছি। আমার দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় শ্রমিক আন্দোলনের নামে, চাঁদাবাজির কারনে সরকারের নির্দেশে কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হলো, এইবারও নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তারের নির্র্দেশ ছিল, আমি বলেছি গ্রেপ্তার কইরেন না। অন্তত আপনি সরাই দেন। এরাও এখন দেখি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করে!

তিনি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আরেকজন মহিলা আছে নারায়ণগঞ্জে। আমি ওর নাম বলতে বলতে নাম ফুইলা গেছে। নাম আর বলতে চাইনা। যার সঙ্গে জামাতের কানেকশন প্রকাশ পেয়েছে। জামায়াতের আমির বললো জামাতের সাথে কাদের কানেকশন। পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে জামাতের আমির বললো নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে হলে, শামীম ওসমানকে ধ্বংস করতে হলে উমুক নেত্রীকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে। এই কথার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল। আওয়ামীলীকে ধ্বংস করতে ওই উমুকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে বললো। জামাতের কানেকশন প্রকাশ করায় ওসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বললো। তো মামলা করছেন না কেন? সাংবাদিক ভাইয়েরা তাকে গিযে বলেন মামলাটা করতে। সৎ সাহস থাকলে তো তাদেরই মামলা করা উচিত।

আইভীকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার বাপ দাদাকে গালি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ওসমান পরিবার খুনি পরিবার। যা বলছেন আমি বলি আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক। আমি তার জন্য দোয়া করি। কারন এই গালিটা না দিলে প্রমান হতোনা নারায়ণগঞ্জের মানুষ ওসমান পরিবারকে কতটা ভাল বাসে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৩৬জন কাউন্সিলর মধ্যে ২৯ জন কাউন্সিলরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি দেশে এমন কোন সিটি কর্পোরেশন দেখি নাই যেখানে একজন মেয়রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে স্বারকলিপি দিয়েছে ২৯ জন কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে ২৯ জন কাউন্সিলর স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছে। তার তো এতেই মাথা হেট হয়ে যাওয়া উচিত।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে এসে খালেদা জিয়াও এসে বলেছিল কোথায় আওয়ামীলীগ? কোথায় শামীম ওসমান। আমরা তখন ভাবলাম যেহেতু তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আমাদের দেখতে চায় তখন আমাদের শ্রমিক ভাইদের বললাম ভাই তোমাদের গাড়িগুলো রাস্তায় বাকা করে রাখেন, ট্রেন লাইনটা ছাত্রদের মধ্যে ফালান, খালেদা জিয়া আমাদের একটু দেখতে চায় আমরা দেখাই। উনি কিন্তু মেইন রোড দিয়ে ঢাকা যেতে পারেনি। ভিতরের রাস্তা দিয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছিল। উটা প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায়। নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিল যাকে রাতের বেলায় পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। কাউকে টেক্স দিবে না। আমার নেত্রী চায় কথা বলতে চাইলে কথা বলবে। সাংবাদিকতা করতে চাইলে সাংবাদিকতা করবে। কাউকে ভয় পাবে না। কারো উপর আঘাত আসবে না।

শামীম ওসমান এর আগে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের দেখলাম উত্তেজিত। ঠিকই আছে। আপনাদের মত এরকম বয়সে আমারও এরকম উত্তেজিত হওয়ার কথাই ছিল। আল্লাহর রহমত আমি ২০১১ সালের শামীম না এটা ২০১৯ সাল। বয়স বাড়ে ধর্য্যও বাড়ে। অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বলছেন পদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে চাই নারায়ণগঞ্জে বেটা কেডা একটু দেহি।

নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বিষয়টা আপনারা যা দেখছেন তা না। পর্দার অন্তরালে কিছু খেলা থাকে। সেই খেলায় কেউ কেউ ভুল করে পা দেয়। হয়তো নারায়ণগঞ্জে যারা হটাত করে এসছেন বিদেশী মেহমান কারো খেলাতে পা দিয়েছেন।

নেতাকর্মীদের শামীম ওসমান বলেন, এখন আপনার ভিতর থেকে যদি কেউ খেলে? কে বেশি ক্ষতিকর ছিল আমাদের জন্য? জিয়াউর রহমান নাকি খন্দকার মোস্তাক? মোস্তাকরাই খেলছে। কারন মোস্তাকেরা ধরা পড়ে গেছে। আওয়ামীলীগকে ধ্বংস কর। কিভাবে? শাহ নিজামের বিরুদ্ধে জিডি কর। আহ বাবা শাহনিজামের বিরুদ্ধে জিডি হয়ে গেছে! আওয়ামীলীগের নেতারা ধর ধর কাপতাছে! আমরা কি কাপুরুষ না? মীরুর নামে মামলা হইছে, আল্লাহ আমি ভয় পেয়ে গেছি! মীরু কাপুরুষ? আরে ভয় পাবে কে? যে খারাপ সে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চান্দাবাজ ধান্দাবাজ না। সজলের নামে বক্তব্য দেন। আহ বাবা সবাই ভয় পেয়ে গেছে! আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। ভয় পাইনা।

জেলা পুলিশ সুপারকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের যদি কেউ খেলাতে চান, প্লিজ ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জে খেইলেন না। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করবে। আর প্রশ্ন করার আগে তাকে জুয়ার মামলার আসামী করে দিবেন। কইরেন না। আমার আত্মীয়স্বজনকে মদের সাপ্লাইয়ার বানাবেন। মনে করবেন আমি ভয় পেয়ে যাবো। এগুলো করে আমাকে কাবু করা মছিমত। আমাকে কাবু করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের মাঝে যদি খারাপ হয তাকে আমরা ছাড় দিব না। কিন্তু আমাদের মধ্য থেকে যদি কাউকে ইচ্ছা করে জামেলায় ফেলার চেষ্টা করা তাহলে কথা দিচ্ছি নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাড়া নাচাই দিব। এক সেকেন্ড ছাড় দিবনা, এক সেকেন্ডও না। একটা সেকেন্ড কোন নেতাকর্মীকে বিনা কারনে জামেলায় ফেলতে কেউ চেষ্টা করলে ছাড় দিব না। কোন ব্যবসায়ী মাথা নত করে ব্যবসা করবেনা। কারন এই দেশ শেখ হাসিনার। এই নারায়ণগঞ্জও শেখ হাসিনার।

তখন তিনি নেতাকর্মীদের বলেন, সমস্যা শুধু একটাই আমাদের হাত পা বাধা। কারন আমরা দল করি। আমরা নারায়ণগঞ্জে ৫ লাখ লোকের সমাবেশ কইরা দেখাইতে চাই নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতারা নেতাকর্মীদের পাশে আছে।

নেতাকর্মীদের আশ^স্থ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কি খালেদা জিয়া? না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। উনি নারায়ণগঞ্জের খোজ রাখেন কখন কি হচ্ছে। জাস্ট আগামী ১০/১২ দিনেই টের পাবেন। আপনারা শান্ত থাকুন। তবে বাহিরের মানুষকে দোষ দিতে নাই। ভুল পদক্ষেপ নেয়াইয়া বাহিরের মানুষকে ব্যবহার করতে চায়। সরকার আমাদের, প্রশাসন আমাদের, সিভিল প্রশাসন আমাদের, পুলিশ বাহিনী আমাদের, দায়িত্বও আমাদের। তাই নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে তা আমরা করব না। আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে তাও নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে দিব না।

তিনি বলেন, তবে এই নারায়ণগঞ্জকে কেউ যদি এসে মনে করে ওই কাউন্সিলরকে ফাঁসাবো, ওই চেয়ারম্যানকে ঢুকাবো, কারো সাথে কন্ট্রাকে যাবো, ওইদিক থেকে চাঁদাবাজি করব, এখান থেকে চাঁদাবাজি করব, ব্যবসায়ীদেরকে ফোন করব, শ্রমিক নামধারী শ্রমিকরা আইসা নীট গার্মেন্টস মালিকদের ভয় দেখাবেন, বাস মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলবেন, অটো রিক্সা থেকে পয়সা খাবেন, নাহ ওইটা হবে না। এই নারায়ণগঞ্জে হবে না।

কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। এ কর্মী সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশীল লোক হোক।

টিটুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের প্রতিবাদ নিন্দা, অভিযোগ প্রত্যাহার দাবি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিডেটের সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি বিতর্কিত ঘটনায় জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে দাবি তা প্রত্যাহারের দাবি করেছে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব।

৬ এপ্রিল শনিবার সন্ধায় এক প্রতিবাদ লিপিতে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গনের অবিসংবাদি ব্যক্তিত্ব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পরপর দুইবারের সাবেক সভাপতি তানভীর আহম্মেদ টিটুকে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের পরিচালনাধীন ভাসমান রেস্তোরা মেরী আন্ডারসনে পুলিশের অভিযানে মদ ও বিয়ার উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত করার চক্রান্তকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড এর পরিচালনা পরিষদ ২০১৭-২০১৮এর কর্মকর্তাগণ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড এর পরিচালনা পরিষদ ২০১৭-২০১৮ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ একেএম শফিউল আলম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবী জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে এছাড়াও বিষয়টি মিথ্যা বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া কল্প কাহিনী বলে আখ্যায়িত করে বলে অভিযোগটি প্রত্যাহারের জোর দাবী জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড এর পরিচালনা পরিষদ ২০১৭-এর সহ-সভাপতি বেগম ফরিদা আক্তার, পরিচালক খাজা এবায়দুল হক টিপু, মোঃ রশিদুজ্জামান, মোফাজ্জল হোসেন মিন্টু, মাহফুজুর রহমান খাঁন, হোসাইন মোহাম্মদ তানিম তৌহিদ, মঈনুল হাসান ও বিপ্লব কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড এর পরিচালনা পরিষদ ২০১৮এর সিনিয়র সহ সভাপতি ডাঃ একেএম শফিউল আলম, সহ সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান, পরিচালক সোহেল আক্তার,মোঃ আনোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার হোসেন মোঃ তানিম তৌহিদ, মোঃ ইদী আমিন ইব্রাহীম খলিল, মোঃ আশিকুজ্জামান, সেলিম রেজা সিরাজী ও সজল কুমার রায় প্রমূখ।

মশা মারতে কামান লাগেনা: শামীম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাহিরের লোককে দোষ দিয়ে লাভ নাই। দোষ তো আপনার ঘরের ভিতরে। এখন কেউ যদি মনে করেন কাউকে ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নষ্ট করবে, নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পুলিশ না। হোসিয়ারী ব্যবসা করতে করতে গার্মেন্টস মালিক হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যারা দোকান চালায় তারা এখানকার স্থানীয়। যারা বাস চালায় তারা স্থানীয়। আমাদের এসব লোকদের কেউ ফোন করে বলবেন দেখা করেন, আমি বলব দেখা করার সময় শেষ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এতে উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই। মশা মারতে কামান লাগেনা।

তবে শামীম ওসমান বক্তব্য শুরুর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের এই নারায়ণগঞ্জকে আমরা গাজীপুর হতে দিব না। এসময় শামীম ওসমানের কর্মীরা পুলিশ সুপারের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে শ্লোগান দিলে শামীম ওসমান থামিয়ে দেন। এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এর আগে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বাংলা ভবনে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত জরুরী কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী পরিবারকে ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দাড়াও শ্লোগানে এই কর্র্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খেলা কোনটা? আমি কারো নাম বলব না। এগুলোকে আমি গোনায় ধরি না। সন্ত্রাসের কারনে যাকে আমি মৃত্যুর মুখ থেকে দুইবার বাচাই নিয়ে আসছি। আমার দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় শ্রমিক আন্দোলনের নামে, চাঁদাবাজির কারনে সরকারের নির্দেশে কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হলো, এইবারও নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তারের নির্র্দেশ ছিল, আমি বলেছি গ্রেপ্তার কইরেন না। অন্তত আপনি সরাই দেন। এরাও এখন দেখি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করে!

তিনি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আরেকজন মহিলা আছে নারায়ণগঞ্জে। আমি ওর নাম বলতে বলতে নাম ফুইলা গেছে। নাম আর বলতে চাইনা। যার সঙ্গে জামাতের কানেকশন প্রকাশ পেয়েছে। জামায়াতের আমির বললো জামাতের সাথে কাদের কানেকশন। পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে জামাতের আমির বললো নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে হলে, শামীম ওসমানকে ধ্বংস করতে হলে উমুক নেত্রীকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে। এই কথার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল। আওয়ামীলীকে ধ্বংস করতে ওই উমুকে আওয়ামীলীগে রাখতে হবে বললো। জামাতের কানেকশন প্রকাশ করায় ওসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বললো। তো মামলা করছেন না কেন? সাংবাদিক ভাইয়েরা তাকে গিযে বলেন মামলাটা করতে। সৎ সাহস থাকলে তো তাদেরই মামলা করা উচিত।

আইভীকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার বাপ দাদাকে গালি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ওসমান পরিবার খুনি পরিবার। যা বলছেন আমি বলি আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক। আমি তার জন্য দোয়া করি। কারন এই গালিটা না দিলে প্রমান হতোনা নারায়ণগঞ্জের মানুষ ওসমান পরিবারকে কতটা ভাল বাসে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৩৬জন কাউন্সিলর মধ্যে ২৯ জন কাউন্সিলরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি দেশে এমন কোন সিটি কর্পোরেশন দেখি নাই যেখানে একজন মেয়রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে স্বারকলিপি দিয়েছে ২৯ জন কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে ২৯ জন কাউন্সিলর স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছে। তার তো এতেই মাথা হেট হয়ে যাওয়া উচিত।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে এসে খালেদা জিয়াও এসে বলেছিল কোথায় আওয়ামীলীগ? কোথায় শামীম ওসমান। আমরা তখন ভাবলাম যেহেতু তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আমাদের দেখতে চায় তখন আমাদের শ্রমিক ভাইদের বললাম ভাই তোমাদের গাড়িগুলো রাস্তায় বাকা করে রাখেন, ট্রেন লাইনটা ছাত্রদের মধ্যে ফালান, খালেদা জিয়া আমাদের একটু দেখতে চায় আমরা দেখাই। উনি কিন্তু মেইন রোড দিয়ে ঢাকা যেতে পারেনি। ভিতরের রাস্তা দিয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছিল। উটা প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায়। নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিল যাকে রাতের বেলায় পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। কাউকে টেক্স দিবে না। আমার নেত্রী চায় কথা বলতে চাইলে কথা বলবে। সাংবাদিকতা করতে চাইলে সাংবাদিকতা করবে। কাউকে ভয় পাবে না। কারো উপর আঘাত আসবে না।

শামীম ওসমান এর আগে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের দেখলাম উত্তেজিত। ঠিকই আছে। আপনাদের মত এরকম বয়সে আমারও এরকম উত্তেজিত হওয়ার কথাই ছিল। আল্লাহর রহমত আমি ২০১১ সালের শামীম না এটা ২০১৯ সাল। বয়স বাড়ে ধর্য্যও বাড়ে। অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বলছেন পদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে চাই নারায়ণগঞ্জে বেটা কেডা একটু দেহি।

নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বিষয়টা আপনারা যা দেখছেন তা না। পর্দার অন্তরালে কিছু খেলা থাকে। সেই খেলায় কেউ কেউ ভুল করে পা দেয়। হয়তো নারায়ণগঞ্জে যারা হটাত করে এসছেন বিদেশী মেহমান কারো খেলাতে পা দিয়েছেন।

নেতাকর্মীদের শামীম ওসমান বলেন, এখন আপনার ভিতর থেকে যদি কেউ খেলে? কে বেশি ক্ষতিকর ছিল আমাদের জন্য? জিয়াউর রহমান নাকি খন্দকার মোস্তাক? মোস্তাকরাই খেলছে। কারন মোস্তাকেরা ধরা পড়ে গেছে। আওয়ামীলীগকে ধ্বংস কর। কিভাবে? শাহ নিজামের বিরুদ্ধে জিডি কর। আহ বাবা শাহনিজামের বিরুদ্ধে জিডি হয়ে গেছে! আওয়ামীলীগের নেতারা ধর ধর কাপতাছে! আমরা কি কাপুরুষ না? মীরুর নামে মামলা হইছে, আল্লাহ আমি ভয় পেয়ে গেছি! মীরু কাপুরুষ? আরে ভয় পাবে কে? যে খারাপ সে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চান্দাবাজ ধান্দাবাজ না। সজলের নামে বক্তব্য দেন। আহ বাবা সবাই ভয় পেয়ে গেছে! আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। ভয় পাইনা।

জেলা পুলিশ সুপারকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের যদি কেউ খেলাতে চান, প্লিজ ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জে খেইলেন না। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করবে। আর প্রশ্ন করার আগে তাকে জুয়ার মামলার আসামী করে দিবেন। কইরেন না। আমার আত্মীয়স্বজনকে মদের সাপ্লাইয়ার বানাবেন। মনে করবেন আমি ভয় পেয়ে যাবো। এগুলো করে আমাকে কাবু করা মছিমত। আমাকে কাবু করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের মাঝে যদি খারাপ হয তাকে আমরা ছাড় দিব না। কিন্তু আমাদের মধ্য থেকে যদি কাউকে ইচ্ছা করে জামেলায় ফেলার চেষ্টা করা তাহলে কথা দিচ্ছি নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাড়া নাচাই দিব। এক সেকেন্ড ছাড় দিবনা, এক সেকেন্ডও না। একটা সেকেন্ড কোন নেতাকর্মীকে বিনা কারনে জামেলায় ফেলতে কেউ চেষ্টা করলে ছাড় দিব না। কোন ব্যবসায়ী মাথা নত করে ব্যবসা করবেনা। কারন এই দেশ শেখ হাসিনার। এই নারায়ণগঞ্জও শেখ হাসিনার।

তখন তিনি নেতাকর্মীদের বলেন, সমস্যা শুধু একটাই আমাদের হাত পা বাধা। কারন আমরা দল করি। আমরা নারায়ণগঞ্জে ৫ লাখ লোকের সমাবেশ কইরা দেখাইতে চাই নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতারা নেতাকর্মীদের পাশে আছে।

নেতাকর্মীদের আশ^স্থ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কি খালেদা জিয়া? না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। উনি নারায়ণগঞ্জের খোজ রাখেন কখন কি হচ্ছে। জাস্ট আগামী ১০/১২ দিনেই টের পাবেন। আপনারা শান্ত থাকুন। তবে বাহিরের মানুষকে দোষ দিতে নাই। ভুল পদক্ষেপ নেয়াইয়া বাহিরের মানুষকে ব্যবহার করতে চায়। সরকার আমাদের, প্রশাসন আমাদের, সিভিল প্রশাসন আমাদের, পুলিশ বাহিনী আমাদের, দায়িত্বও আমাদের। তাই নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে তা আমরা করব না। আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে তাও নেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে দিব না।

তিনি বলেন, তবে এই নারায়ণগঞ্জকে কেউ যদি এসে মনে করে ওই কাউন্সিলরকে ফাঁসাবো, ওই চেয়ারম্যানকে ঢুকাবো, কারো সাথে কন্ট্রাকে যাবো, ওইদিক থেকে চাঁদাবাজি করব, এখান থেকে চাঁদাবাজি করব, ব্যবসায়ীদেরকে ফোন করব, শ্রমিক নামধারী শ্রমিকরা আইসা নীট গার্মেন্টস মালিকদের ভয় দেখাবেন, বাস মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলবেন, অটো রিক্সা থেকে পয়সা খাবেন, নাহ ওইটা হবে না। এই নারায়ণগঞ্জে হবে না।

কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। এ কর্মী সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ২৯ মার্চ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন ওই থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। জিডির একদিন পর ভারতে চলে গেছেন শাহনিজাম। এছাড়াও এর দুইদিন পর ফতুল্লায় ভাসমান মেরী আন্ডারসন জাহাজের বার থেকে বিয়ার ও মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও ভারতে চলে গেছেন। এছাড়াও শিশু সাকি অপহরণের অভিযোগ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে। তিনিও পরবর্তীতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে চলে গেছেন। এর আগে শামীম ওসমানের আরেক কর্মী মীর হোসেন মীরুকে দুইবার মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের শ্যালক বিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি জুয়ার আসন থেকে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন সহ ২২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন গত বুধবার। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ওইদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। এর আগে গত ২ মার্চ শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনেও পুলিশের এমন প্রস্তুতি দেখা যায়। বুধবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দিব না, সে যত বড় ক্ষমতাশীল লোক হোক।

বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটি ঘোষণা: আহ্বায়ক নজরুল, সদস্য সচিব মুকুল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

রাজপথের সক্রিয় নেতাদের নেতৃত্বে রেখে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটি ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে রাজপথের সক্রিয় নেতা নজরুল ইসলামকে। একই সঙ্গে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে পারভেজ খান ও সদস্য সচিব করা হয়েছে ছাত্রদলের সাবেক নেতা শাহাদুল্লাহ মুুকুলকে। ৬ এপ্রিল শনিবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দীন মন্তু এই কমিটির অনুমোদন দেন।

জানাগেছে, বন্দর উপজেলা যুবদলের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ৯০ দিনের জন্য এই ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল।

কমিটিতে উপরোক্ত তিন নেতা ছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন মনিরুল ইসলাম মনু, মোঃ রুবেল মিয়া, বাবুল হোসেন মেম্বার, আবদুস সাত্তার, মোঃ মামুন ভূইয়া, মোঃ জাহিদ খন্দকার, আল-মামুন প্রধান, মোঃ নুর হোসেন, গোলজার হোসেন ভূইয়া, মোঃ আসাবুদ্দিন, মোঃ শিপন মাহমুদ, মোঃ বর জাহান, সেলিম খন্দকার, কামরুল ইসলাম, জাহিরুল খন্দকার জনি, সম্রাট হাসান সুজন।

নির্দেশনা দেয়া হয়- আহবায়ক কমিটি ৯০ দিনের মধ্যে বন্দরের ৫টি ইউনিয়নের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করবেন। প্রত্যেক ইউনিটের কমিটি গঠনের সময় মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অথবা তাদের প্রতিনিধি উপস্থিত রাখতে হবে। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা ছিলো এমন নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করারও নির্দেশ দেয়া হয়।

ঘুড়ি উৎসব আয়োজনে নারায়ণগঞ্জের কিল্লারপুল পঞ্চায়েত কমিটি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ শহরের নগর খানপুর এলাকায় ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। ৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে সকল ঘুড়ি উৎসব প্রেমীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে কিল্লারপুল পঞ্চায়েত কমিটির উদ্যোগে এই ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এই উৎসব চলাকালীন সময়ে এলাকাবাসীর মাঝে কিছুক্ষণের জন্য উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এদিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এলাকাবাসী খুব আনন্দ সহকারে ঘুড়ি উৎসব উপভোগ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড জাতীয় যুব সংহতির সহ-সভাপতি আবদুল আকিল করীম, সাঈফ, মামুন, হাবিব, আদর, ইমন, শাওন, মোশারফ, সাগর, মানিক, বাপ্পি, হোমেন, ইমন, সোহেল, মোশারফ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক বিপ্লব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পাবেল, হাসান ও শান্ত প্রমুখ।

মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রসঙ্গে সাগর প্রধান: এভাবে সঠিক হয়নি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। গত ৩১ মার্চ এই কমিটির অনুমোদন করা হলেও ৫ এপ্রিল তা মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়। ওই দিন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের এই পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আংশিক কমিটির ৫ জন স্বপদে বহাল রয়েছেন। তবে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন নিষ্ক্রিয় বিতর্কিত অনেক লোকজন। যেখানে সেক্রেটারি মন্তুর ভাগিনা আরমানকে নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে এলাকায়। তাকেও বড় পদে রাখা হয়েছে।

দীর্ঘ এই কমিটিতে ২৫ জনকে করা হয়েছে সহ-সভাপতি! ১৮ জন রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে এবং ৭জন সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন ৫ জন। এই কমিটি গঠনে এককভাবে সভাপতি ও সেক্রেটারি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। সেটাই অনুমোদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাকি তিনজনের কোন মতামত নেয়া হয়নি বলে জানাও গেল। তবে কমিটি গঠনে এখনও পর্যন্ত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অভিযোগ করেনি কেউ।

এই কমিটি গঠনের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শুনেছি সভাপতি ও সেক্রেটারি একটা কমিটি কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করিয়ে নিয়ে এসেছেন। কমিটি গঠনের আগে আমাদের নিয়ে বসা হয়নি। সভাপতি সেক্রেটারিই এককভাবে করেছেন। তবে এখনও কোন মন্তব্য করতে চাইনা। আগে কমিটি দেখি তারপর দেখবো কাকে কোথায় রাখা হয়েছে। তারপর মন্তব্য করব। তবে এভাবে কমিটি গঠন করা সঠিক হয়নি।’

কমিটির সভাপতি পদে মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি- মনোয়ার হোসেন শোখন, সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন, রানা মজিব, আনোয়ার হোসেন আনু, আকতার হোসেন খোকন শাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, মনিরুল ইসলাম মনু, আমির হোসেন, মীর বিল্লাল হোসেন, ইছালউদ্দিন ইশা, রিটন দে, সরকার মুজিব, ইউনুছ খান বিপ্লব, নাজমুল কবীর নাহিদ, নাজমুল হক রানা, আহম্মদ আলী, জানে আলম দুলাল, আকতার হোসেন সবুজ, ফয়েজ আহম্মেদ, আব্দুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া, হারুনুর রশীদ লিটন, শেখ মোঃ সেলিম।

এদের মধ্যে মনোয়ার হোসেন শোখন বরাবরেই মতই রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। সরকারি দলের সঙ্গে আতাত করে তার ব্যবসা বানিজ্য চলচে হরদম। মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সানোয়ার হোসনকে এবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই দেয়া হয়েছে। তিনি দ্বিতীয় সহ-সভাপতি। রানা মুজিব কয়েক বছর ধরে রয়েছেন বিদেশে। আনোয়ার হোসেন আনু রাজনীতিতেই নাই কয়েক বছর ধরে। তার আপন ভাই মনিরুজ্জামান মনির করেন আওয়ামীলীগের রাজনীতি। নাজমুল হক রানাও রাজনীতিতে নেই দীর্ঘদিন যাবত। সহ-সভাপতি পদে থাকা অনেক নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক পদে মন্তাজউদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- সাগর প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আলী নওশাদ তুষার, ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, আল-আমিন খান, শেখ রুহুল আমিন রাহুল, মাহাবুব হাসান জুলহাস, মনিরুজ্জামান পিন্টু, ফিরোজ আহম্মদ, নুর এলাহী সোহাগ, কাজী সোহাগ, এমএএম সাগর, মঞ্জুরুল আলম মুসা, মোকতার ভূইয়া, সোহেল খান বাবু, মিজানুর রহমান, শেখ মোহাম্মদ অপু ও আক্তার হোসেন অপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল, শহীদুল ইসলাম, সাইফুর রহমান প্রধান, জাকির হোসেন সেন্টু, সাইদুর রহমান বাবু, আবুল হোসেন রিপন ও ফয়সাল মাহমুদ।

শেখ রুহুল আমিন রাহুলও রাজনীতিতে নেই দীর্ঘদিন যাবত। উপরের এসব নেতাদের অনেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। অনেকেই রাজনীতিতেই ছিলেন না। মহানগর যুবদলের রাজপথের আন্দোলনে এখানে বেশকজনকে দেখা যায়নি। আবার যাদেরকে জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে তাদেরকে আবার মহানগর যুবদলের কমিটিতেও দেখা গেল। বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন এলাকায় জেলা যুবদলের নিজের এলাকা দাবি করে সেখান থেকে অনেক নেতাদের মহানগর যুবদলের কমিটি রাখা হয়েছে। এর আগে জেলা যুবদলের কমিটিতেও তারা অনেক নেতাদের সেখান থেকে পদ দিয়েছেন।

এ ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রশিদুর রহমান রশু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ, আরমান হোসেন, নুর এজাজ আহম্মেদ, কাওসার আহম্মেদ, সাহেব উল্লাহ রোমান-ওয়ার্ড, কোষাধ্যক্ষ পদে জাহাঙ্গীর প্রধান, সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে জাহাঙ্গীর হোসেন জাহিদ, রুবেল হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে রাসেল আহম্মেদ মনির, সহ-প্রচার সম্পাদক- আক্তার হোসেন জিহাদ, জাকির হোসেন মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক- শওকত খন্দকার, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদ খন্দকার, সোহেল মাহমুদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- মোস্তাফিজুর রহমান বাহার, সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক এরশাদ আলী, সাদ্দাম হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শিপলু, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন মাসুম, বর জাহান, নাদিম শিকদার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আল মামুন, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ন আহমেদ, কাজী নুরে আলম, আফতাব উদ্দিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক- শফিকুজ্জামান লিমন, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিজানুর রহমান, মোঃ তৈয়ম, যোগাযোগ সম্পাদক নুর আলম খন্দকার, সহ-যোগাযোগ সম্পাদক নবী উল্লাহ নবু, আঃ মোমিন পারভেজ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ শহীদ, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নুর আলম প্রধান, নুর হোসেন, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহ-গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পনির ভূইয়া, সাঈদ খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিঠু, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক- হাফেজ আবদুর রহিম, সামসু মিয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, আল আমিন মাঝি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রানা মুন্সী, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহাদউল্লাহ মুকুল, মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, ইমরুল ভূঁইয়া, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক- দিদার খন্দকার, সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মামুন মিয়া, মোঃ বোরহান ঢালী, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এস এম মোমেন, সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক- কবির হোসেন, মোঃ সোহেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ওসমান গনি, সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শিপন মাহমুদ, ওবায়দুর রহমান দিপু, তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক পারভেজ আলম, সহ-তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক ইমরান শামী, তরিকুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সুমন ভূইয়া, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আসাবউদ্দিন, মোঃ দুলাল, ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মুসা, সহ-ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন, মীর্জা আক্তারুজ্জামান, ফারুক হোসেন, মৎস ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল সোহেল, সহ-মৎস ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক আলফু প্রধান, মানিক মন্ডল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সুমন প্রধান, মোঃ নুরুজ্জামান, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শামসুল হক, সহ-কর্ম সংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব মন্ডল, বাদশাহ মিয়া। এসব পদে আসা অধিকাংশরাই সক্রিয় রাজনীতিতে নেই কয়েক বছর ধরে। তবে ২০১৪ সালের আগে অনেককেই দেখা গিয়েছিল। তারাও ঠাঁই পেয়েছে কমিটিতে।

কমিটিতে সদস্য পদে জয়নাল আবেদীন, মাসুদ রানা, সরকার আলম, সালাউদ্দিন দেওয়ান, মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মোঃ পলাশ, সানি ভূইয়া, কবীর হোসেন, মোঃ সোহেল, মোঃ ইকবাল, আকরাম পলাশ, মোঃ খোকন, রফিক হাওলাদার, মেহেদী হাসান রাজু, জাবেদ হোসেন, নাছির হোসেন, মোঃ আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, মিলন খান, হোসাইন জনি, মোঃ ইমন, মোঃ আব্দুল হালিম, উত্তম কুমার দে, নুর মোহাম্মদ, মোঃ আল-আমিন হুসাইন, মোঃ সেলিম মিয়া, মোঃ বাদশা মিয়া, আঃ আউয়াল, মোঃ জসিম, মোঃ মতিউর রহমান মনু, মোঃ শওকত উল্ল্যা শওকত, মোঃ ইমন, হাজী আবুল হোসেন রিপন, মোঃ শাহজাহান, মোঃ হালিম, সাইফুল ইসলাম (ডেজার, মোক্তার হোসেন মন্ডল, রাশিদুজ্জামান, সাইদুল প্রধান, মোঃ ইসলাম, মজিবুর রহমান, আল-আমিন বেপারী, হৃদয় ভূইয়া ও মমিন রোমান।

এ ছাড়াও সদস্য পদে আরও রয়েছেন রাসেল সরকার, ওসমান আলী, গোলাপ, মাইনুল, মোঃ হোসেন, নুরুল কবির, আলী মোহাম্মদ, জিল্লুর রহমান, হাজী নজরুল ইসলাম, সোহেল মাহমুদ, মানিক, আতিকুর রহমান আতিক, আরিফ সাউদ, সবুজ, আলমগীর ফিরোজ, মোঃ হারুন-অর-রশিদ, আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসলাম ভূইয়া, আঃ আজিজ, তারা মিয়া, সফর আলী, সেলিম খন্দকার, নাঈম আহমেদ, মামুন হোসেন ভূইয়া, বাবুল হোসেন মেম্বার, ফরহাদ হোসেন, পনির হোসেন, আব্দুল্লাহ, তাইজুল, আশরাফুল, আমিনুল, চুন্নু মিয়া, জহিরুল খন্দকার জনি, স¤্রাট হোসেন সুজন, দ্বীন ইসলাম শান্ত, এমারত, নুর মোহাম্মদ কালা, দিপু শিকদার, ইলিয়াছ, সাইফুল ইসলাম, মোঃ জেমি, ইলিয়াছ হোসেন মিন্টু, টুটুল, সাইদ হাসান রিপন, মেহেদী হাসান মাসুদ, আবু সাইদ তুহিন, বরকত উল্লাহ জনি, মঞ্জিল খান, বাদশা মোল্লা ও মোঃ সাঈদ।

বন্দরবাসীর জন্য কিছু করে কবরে যেতে চাই: পারভীন ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টির নেত্রী পারভীন ওসমান তার স্বামী ৪ বাবের এমপি প্রয়াত নাসিম ওসমানকে স্মরণ করে বলেছেন, কিছু হই বা না হই, কোন পদে থাকি বা না থাকি তারপরও বন্দরবাসীর জন্য আমি কিছু করে কবরে যেতে চাই। তাহলে হয়ত আমার স্বামী মরহুম নাসিম ওসমানের আত্মা শান্তি পাবে।

৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সোনাকান্দা কিল্লার মাঠে মরহুম নাসিম ওসমান স্মৃতি ফুটবল টূর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পারভীন ওসমান এর আগে আরও বলেন, নাসিম ওসমানের রক্তে মিশে ছিল নারায়ণগঞ্জ-বন্দর। উনি বন্দরের মানুষকে অনেক ভালবাসতেন। তাই তো আজ সোনাকান্দা কিল্লা মাঠে নাসিম ওসমান স্বরণে ফুটবল টূর্নামেন্ট খেলার আয়োজন হয়। এসবই বন্দরের মানুষ নাসিম ওসমানের প্রতি অগাধ ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। বন্দরের মানুষের এই ভালবাসার ঋণ আমি ও আমার পরিবার কোন দিন শোধ করতে পারবনা।

তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি বলতে চাই, সবসময় লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিয়ে সৎভাবে চলার চেষ্টা করবে। আর অসৎ পথকে তিরস্কার করবে। বড়দের সম্মান করবে। কখনো অহংকার করবেনা। কেননা, অহংকার পতনের মূল। তবেই তোমরা হয়তো একদিন জাতীয় দলে খেলোয়ার হিসেবে গৌরব অর্জন করতে পারবে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকারের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল উল্লাহর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন রুপু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহআলম সবুজ, সোনাকান্দা কিল্লা জামে মসজিদের সভাপতি এবাদুল্লাহ, জাতীয় পার্টির নেত্রী শারমীন আক্তার, সাহিদা ইয়াসমিন, আওয়ামীলীগ নেত্রী সালমা চৌধুরী, ২৫নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির নেতা শরিফ, সমাজসেবক সায়েম, মোঃ শহিদ, রবিউল আউয়াল ও নয়ন সরদার প্রমূখ।

প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া চাইলেন বন্দরের এমএ রশিদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএরশিদ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের সন্তানদের সঠিকভাবে জানাতে হবে। তাদের ভেতরে সেই সময়কার চেতনা প্রবেশ করাতে হবে। তবেই আমাদের সন্তানরা বাংলার শ্রেষ্ঠ মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। আর তাতেই আমাদের সন্তানরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যত সোনার বাংলা গড়বে।

৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে বন্দর সোনাকান্দা প্রজন্ম‘৭১ আয়োজিত ২০নং ওয়ার্ডের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্মননা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশটাকে একটা আস্থাশীল পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। মানবিকতার খাতিরে হলেও আমাদের উচিত তার বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ায় সহযোগিতা করা। আপনারা তার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন আল্লাহ যেনো তাকে দীর্ঘায়ু দান করেন।

এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু।

বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল হাসান মৃধার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, ভাষা সৈনিক আহসান উল্লাহ মৃধা, বন্দর থানা সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা, সাবেক কাউন্সিলর মোঃ হোসেন নুর, ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও আওয়ামীলীগ নেত্রী সালিমা হোসেন শান্তা প্রমুখ।

মহানগর যুবদলে আমি নাই, সভাপতি দিলেও থাকমু না: সরকার আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। গত ৩১ মার্চ এই কমিটির অনুমোদন করা হলেও ৫ এপ্রিল তা মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়। ওই দিন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের এই পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আংশিক কমিটির ৫ জন স্বপদে বহাল রয়েছেন। তবে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন নিষ্ক্রিয় বিতর্কিত অনেক লোকজন।

দীর্ঘ এই কমিটিতে ২৫ জনকে করা হয়েছে সহ-সভাপতি! ১৮ জন রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে এবং ৭জন সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন ৫ জন। কমিটিতে তিন নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়েছে সরকার আলমকে। তিনি মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সময় বিরোধীতা করে জুড়া ঝাড়– মিছিল করেছিলেন। যুবদলের দুই গ্রুপের মাঝে তা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছিল। পরবর্তীতে তাকে আহ্বায়ক কমিটিতে কো-অপ্ট করে যুগ্ম আহ্বাযক হিসেবে নামকাওয়াস্তে রাখা হয়। এমনকি সদর থানা যুবদলের কমিটি গঠন করা হলে তাকে আহ্বায়ক করা হয়। তবে এবার সরকার আলম যুবদলে থাকতে চান না।

কমিটি গঠনের পর এ বিষয়ে নতুন কমিটির সদস্য সরকার আলম ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, আমি খোরশেদকে বলেছিলাম আমাকে যেনো যুবদলে না রাখা হয়। আমি মূলদলের রাজনীতি করমু। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি পদ দিলেও আমি থাকমু না।

এদিকে কমিটির সভাপতি পদে মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি- মনোয়ার হোসেন শোখন, সহ-সভাপতি- সানোয়ার হোসেন, রানা মজিব, আনোয়ার হোসেন আনু, আকতার হোসেন খোকন শাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, মনিরুল ইসলাম মনু, আমির হোসেন, মীর বিল্লাল হোসেন, ইছালউদ্দিন ইশা, রিটন দে, সরকার মুজিব, ইউনুছ খান বিপ্লব, নাজমুল কবীর নাহিদ, নাজমুল হক রানা, আহম্মদ আলী বন্দর থানা, জানে আলম দুলাল, আকতার হোসেন সবুজ, ফয়েজ আহম্মেদ, আব্দুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া, হারুনুর রশীদ লিটন, শেখ মোঃ সেলিম।

সাধারণ সম্পাদক পদে মন্তাজউদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- সাগর প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আলী নওশাদ তুষার, ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, আল-আমিন খান, শেখ রুহুল আমিন রাহুল, মাহাবুব হাসান জুলহাস, মনিরুজ্জামান পিন্টু, ফিরোজ আহম্মদ, নুর এলাহী সোহাগ, কাজী সোহাগ, এমএএম সাগর, মঞ্জুরুল আলম মুসা, মোকতার ভূইয়া, সোহেল খান বাবু, মিজানুর রহমান, শেখ মোহাম্মদ অপু ও আক্তার হোসেন অপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক- সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল, শহীদুল ইসলাম, সাইফুর রহমান প্রধান, জাকির হোসেন সেন্টু, সাইদুর রহমান বাবু, আবুল হোসেন রিপন ও ফয়সাল মাহমুদ।

এ ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রশিদুর রহমান রশু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ, আরমান হোসেন, নুর এজাজ আহম্মেদ, কাওসার আহম্মেদ, সাহেব উল্লাহ রোমান-ওয়ার্ড, কোষাধ্যক্ষ পদে জাহাঙ্গীর প্রধান, সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে জাহাঙ্গীর হোসেন জাহিদ, রুবেল হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে রাসেল আহম্মেদ মনির, সহ-প্রচার সম্পাদক- আক্তার হোসেন জিহাদ, জাকির হোসেন মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক- শওকত খন্দকার, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদ খন্দকার, সোহেল মাহমুদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- মোস্তাফিজুর রহমান বাহার, সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক এরশাদ আলী, সাদ্দাম হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শিপলু, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন মাসুম, বর জাহান, নাদিম শিকদার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আল মামুন, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ন আহমেদ, কাজী নুরে আলম, আফতাব উদ্দিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক- শফিকুজ্জামান লিমন, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিজানুর রহমান, মোঃ তৈয়ম, যোগাযোগ সম্পাদক নুর আলম খন্দকার, সহ-যোগাযোগ সম্পাদক নবী উল্লাহ নবু, আঃ মোমিন পারভেজ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ শহীদ, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নুর আলম প্রধান, নুর হোসেন, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহ-গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পনির ভূইয়া, সাঈদ খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিঠু, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক- হাফেজ আবদুর রহিম, সামসু মিয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, আল আমিন মাঝি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রানা মুন্সী, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহাদউল্লাহ মুকুল, মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, ইমরুল ভূঁইয়া, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক- দিদার খন্দকার, সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মামুন মিয়া, মোঃ বোরহান ঢালী, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এস এম মোমেন, সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক- কবির হোসেন, মোঃ সোহেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ওসমান গনি, সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শিপন মাহমুদ, ওবায়দুর রহমান দিপু, তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক পারভেজ আলম, সহ-তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক ইমরান শামী, তরিকুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সুমন ভূইয়া, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আসাবউদ্দিন, মোঃ দুলাল, ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মুসা, সহ-ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন, মীর্জা আক্তারুজ্জামান, ফারুক হোসেন, মৎস ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল সোহেল, সহ-মৎস ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক আলফু প্রধান, মানিক মন্ডল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সুমন প্রধান, মোঃ নুরুজ্জামান, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শামসুল হক, সহ-কর্ম সংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব মন্ডল, বাদশাহ মিয়া।

কমিটিতে সদস্য পদে জয়নাল আবেদীন, মাসুদ রানা, সরকার আলম, সালাউদ্দিন দেওয়ান, মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মোঃ পলাশ, সানি ভূইয়া, কবীর হোসেন, মোঃ সোহেল, মোঃ ইকবাল, আকরাম পলাশ, মোঃ খোকন, রফিক হাওলাদার, মেহেদী হাসান রাজু, জাবেদ হোসেন, নাছির হোসেন, মোঃ আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, মিলন খান, হোসাইন জনি, মোঃ ইমন, মোঃ আব্দুল হালিম, উত্তম কুমার দে, নুর মোহাম্মদ, মোঃ আল-আমিন হুসাইন, মোঃ সেলিম মিয়া, মোঃ বাদশা মিয়া, আঃ আউয়াল, মোঃ জসিম, মোঃ মতিউর রহমান মনু, মোঃ শওকত উল্ল্যা শওকত, মোঃ ইমন, হাজী আবুল হোসেন রিপন, মোঃ শাহজাহান, মোঃ হালিম, সাইফুল ইসলাম (ডেজার, মোক্তার হোসেন মন্ডল, রাশিদুজ্জামান, সাইদুল প্রধান, মোঃ ইসলাম, মজিবুর রহমান, আল-আমিন বেপারী, হৃদয় ভূইয়া ও মমিন রোমান।

এ ছাড়াও সদস্য পদে আরও রয়েছেন রাসেল সরকার, ওসমান আলী, গোলাপ, মাইনুল, মোঃ হোসেন, নুরুল কবির, আলী মোহাম্মদ, জিল্লুর রহমান, হাজী নজরুল ইসলাম, সোহেল মাহমুদ, মানিক, আতিকুর রহমান আতিক, আরিফ সাউদ, সবুজ, আলমগীর ফিরোজ, মোঃ হারুন-অর-রশিদ, আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসলাম ভূইয়া, আঃ আজিজ, তারা মিয়া, সফর আলী, সেলিম খন্দকার, নাঈম আহমেদ, মামুন হোসেন ভূইয়া, বাবুল হোসেন মেম্বার, ফরহাদ হোসেন, পনির হোসেন, আব্দুল্লাহ, তাইজুল, আশরাফুল, আমিনুল, চুন্নু মিয়া, জহিরুল খন্দকার জনি, স¤্রাট হোসেন সুজন, দ্বীন ইসলাম শান্ত, এমারত, নুর মোহাম্মদ কালা, দিপু শিকদার, ইলিয়াছ, সাইফুল ইসলাম, মোঃ জেমি, ইলিয়াছ হোসেন মিন্টু, টুটুল, সাইদ হাসান রিপন, মেহেদী হাসান মাসুদ, আবু সাইদ তুহিন, বরকত উল্লাহ জনি, মঞ্জিল খান, বাদশা মোল্লা ও মোঃ সাঈদ।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা (তালিকাসহ)

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। গত ৩১ মার্চ এই কমিটির অনুমোদন করা হলেও ৫ এপ্রিল তা মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়। ওই দিন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের এই পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আংশিক কমিটির ৫ জন স্বপদে বহাল রয়েছেন। তবে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন নিষ্ক্রিয় বিতর্কিত অনেক লোকজন।

দীর্ঘ এই কমিটিতে ২৫ জনকে করা হয়েছে সহ-সভাপতি! ১৮ জন রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে এবং ৭জন সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন ৫ জন।

কমিটির সভাপতি পদে মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি- মনোয়ার হোসেন শোখন, সহ-সভাপতি- সানোয়ার হোসেন, রানা মজিব, আনোয়ার হোসেন আনু, আকতার হোসেন খোকন শাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, মনিরুল ইসলাম মনু, আমির হোসেন, মীর বিল্লাল হোসেন, ইছালউদ্দিন ইশা, রিটন দে, সরকার মুজিব, ইউনুছ খান বিপ্লব, নাজমুল কবীর নাহিদ, নাজমুল হক রানা, আহম্মদ আলী বন্দর থানা, জানে আলম দুলাল, আকতার হোসেন সবুজ, ফয়েজ আহম্মেদ, আব্দুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া, হারুনুর রশীদ লিটন, শেখ মোঃ সেলিম।

সাধারণ সম্পাদক পদে মন্তাজউদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- সাগর প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আলী নওশাদ তুষার, ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, আল-আমিন খান, শেখ রুহুল আমিন রাহুল, মাহাবুব হাসান জুলহাস, মনিরুজ্জামান পিন্টু, ফিরোজ আহম্মদ, নুর এলাহী সোহাগ, কাজী সোহাগ, এমএএম সাগর, মঞ্জুরুল আলম মুসা, মোকতার ভূইয়া, সোহেল খান বাবু, মিজানুর রহমান, শেখ মোহাম্মদ অপু ও আক্তার হোসেন অপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক- সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল, শহীদুল ইসলাম, সাইফুর রহমান প্রধান, জাকির হোসেন সেন্টু, সাইদুর রহমান বাবু, আবুল হোসেন রিপন ও ফয়সাল মাহমুদ।

এ ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রশিদুর রহমান রশু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ, আরমান হোসেন, নুর এজাজ আহম্মেদ, কাওসার আহম্মেদ, সাহেব উল্লাহ রোমান-ওয়ার্ড, কোষাধ্যক্ষ পদে জাহাঙ্গীর প্রধান, সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে জাহাঙ্গীর হোসেন জাহিদ, রুবেল হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে রাসেল আহম্মেদ মনির, সহ-প্রচার সম্পাদক- আক্তার হোসেন জিহাদ, জাকির হোসেন মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক- শওকত খন্দকার, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদ খন্দকার, সোহেল মাহমুদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- মোস্তাফিজুর রহমান বাহার, সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক এরশাদ আলী, সাদ্দাম হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শিপলু, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন মাসুম, বর জাহান, নাদিম শিকদার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আল মামুন, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ন আহমেদ, কাজী নুরে আলম, আফতাব উদ্দিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক- শফিকুজ্জামান লিমন, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিজানুর রহমান, মোঃ তৈয়ম, যোগাযোগ সম্পাদক নুর আলম খন্দকার, সহ-যোগাযোগ সম্পাদক নবী উল্লাহ নবু, আঃ মোমিন পারভেজ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ শহীদ, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নুর আলম প্রধান, নুর হোসেন, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহ-গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পনির ভূইয়া, সাঈদ খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিঠু, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক- হাফেজ আবদুর রহিম, সামসু মিয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, আল আমিন মাঝি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রানা মুন্সী, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহাদউল্লাহ মুকুল, মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, ইমরুল ভূঁইয়া, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক- দিদার খন্দকার, সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মামুন মিয়া, মোঃ বোরহান ঢালী, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এস এম মোমেন, সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক- কবির হোসেন, মোঃ সোহেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ওসমান গনি, সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শিপন মাহমুদ, ওবায়দুর রহমান দিপু, তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক পারভেজ আলম, সহ-তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক ইমরান শামী, তরিকুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সুমন ভূইয়া, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আসাবউদ্দিন, মোঃ দুলাল, ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মুসা, সহ-ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন, মীর্জা আক্তারুজ্জামান, ফারুক হোসেন, মৎস ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল সোহেল, সহ-মৎস ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক আলফু প্রধান, মানিক মন্ডল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সুমন প্রধান, মোঃ নুরুজ্জামান, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শামসুল হক, সহ-কর্ম সংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব মন্ডল, বাদশাহ মিয়া।

কমিটিতে সদস্য পদে জয়নাল আবেদীন, মাসুদ রানা, সরকার আলম, সালাউদ্দিন দেওয়ান, মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মোঃ পলাশ, সানি ভূইয়া, কবীর হোসেন, মোঃ সোহেল, মোঃ ইকবাল, আকরাম পলাশ, মোঃ খোকন, রফিক হাওলাদার, মেহেদী হাসান রাজু, জাবেদ হোসেন, নাছির হোসেন, মোঃ আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, মিলন খান, হোসাইন জনি, মোঃ ইমন, মোঃ আব্দুল হালিম, উত্তম কুমার দে, নুর মোহাম্মদ, মোঃ আল-আমিন হুসাইন, মোঃ সেলিম মিয়া, মোঃ বাদশা মিয়া, আঃ আউয়াল, মোঃ জসিম, মোঃ মতিউর রহমান মনু, মোঃ শওকত উল্ল্যা শওকত, মোঃ ইমন, হাজী আবুল হোসেন রিপন, মোঃ শাহজাহান, মোঃ হালিম, সাইফুল ইসলাম (ডেজার, মোক্তার হোসেন মন্ডল, রাশিদুজ্জামান, সাইদুল প্রধান, মোঃ ইসলাম, মজিবুর রহমান, আল-আমিন বেপারী, হৃদয় ভূইয়া ও মমিন রোমান।

এ ছাড়াও সদস্য পদে আরও রয়েছেন রাসেল সরকার, ওসমান আলী, গোলাপ, মাইনুল, মোঃ হোসেন, নুরুল কবির, আলী মোহাম্মদ, জিল্লুর রহমান, হাজী নজরুল ইসলাম, সোহেল মাহমুদ, মানিক, আতিকুর রহমান আতিক, আরিফ সাউদ, সবুজ, আলমগীর ফিরোজ, মোঃ হারুন-অর-রশিদ, আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসলাম ভূইয়া, আঃ আজিজ, তারা মিয়া, সফর আলী, সেলিম খন্দকার, নাঈম আহমেদ, মামুন হোসেন ভূইয়া, বাবুল হোসেন মেম্বার, ফরহাদ হোসেন, পনির হোসেন, আব্দুল্লাহ, তাইজুল, আশরাফুল, আমিনুল, চুন্নু মিয়া, জহিরুল খন্দকার জনি, স¤্রাট হোসেন সুজন, দ্বীন ইসলাম শান্ত, এমারত, নুর মোহাম্মদ কালা, দিপু শিকদার, ইলিয়াছ, সাইফুল ইসলাম, মোঃ জেমি, ইলিয়াছ হোসেন মিন্টু, টুটুল, সাইদ হাসান রিপন, মেহেদী হাসান মাসুদ, আবু সাইদ তুহিন, বরকত উল্লাহ জনি, মঞ্জিল খান, বাদশা মোল্লা ও মোঃ সাঈদ।

সর্বশেষ সংবাদ