ফতুল্লা থানার ওসি সকলের আপন ভাই, খালাতো ফুফাতো ভাই না!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সবে মাত্র যোগদান করেছেন আসলাম হোসেন। এ থানায় দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। গত ২৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে জিডি করেছিলেন ওসি মঞ্জুর কাদের। তার দুইদিন পর মঞ্জুর কাদেরকে ঢাকায় বদলী করা হয়।

এদিকে ফতুল্লা থানায় যোগদান করে আসলাম হোসেন স্থানীয়দের উদ্দেশ্যেবলেছেন, সবাই আমাকে আপনাদের আপন ভাই মনে করবেন। খালাতো ফুফাতো ভাই মনে করবেন না। আমি আপনাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সহযোগিতা চাই। ফতুল্লা থানায় দালাল মুক্ত করবো। আমার কাছে আসতে কারো মাধ্যম লাগবেনা। পুলিশি সেবা নেয়ার জন্য আপনারা সরাসরি আমার কাছে যোগাযোগ করবেন।

৫ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুমা ফতুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজে আসা মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন ওসি আসলাম হোসেন। এর আগে তিনি উক্ত মসজিদে জুমা নামাজ আদায় করেন। এ সময় তিনি জঙ্গীবাদ সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, মাদক সহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রনে সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান, ফতুল্লা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী দেলোয়ার হোসাইন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এআর কুতুবে আলম, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হাজী আবু মোহাম্মদ শরিফুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক মোবারক হোসেন হান্নান চৌধুরী, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. জুয়েল চৌধুরী প্রমূখ।

মসজিদে সবাই যখন নামাজে তখন বস্তা ভরছে জুতা চোর!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

পবিত্র জুমা নামাজ আদায় করতে সকল মসজিদেই মুসুল্লীদের ভীর দেখ যায়। এমন সুযোগে ঢাকা থেকে জুতা চুরি করতে ফতুল্লায় এসেছিল শফিকুল ইসলাম। মসজিদে যখন সবাই নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এদিকে জুতা চোর শফিকুল জুতা দিয়ে তার বস্তা ভরছেন। কিন্তু মসজিদের খাদেম দেখে ফেলায় মুসুল্লীদের ধবল ধোলাই খেল জুতা চোর। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ৫ এপ্রিল শুক্রবার ফতুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে।

মুসুল্লীরা জানায়, শুক্রবার ফতুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় ৭ম তলা জামে মসজিদে এক জুতা চোর জুমা নামাজ শেষে মুসুল্লিদের চামড়ার দামী জুতা ব্যাগ ভর্তি করছিল। এসময় ঐ মসজিদের খাদেম তা দেখে ফেলেন। এরপর তাকে বস্তা ও ব্যাগ ভর্তি জুতাসহ আটক করে ২য় তলা থেকে নীচ তলায় নিয়ে আসা হয়। এরপর তার বস্তায় খুলে দেখেন মুসুল্লীদের জুতা। পরে তাকে মুসুল্লী গণধোলাই দিলে সে স্বীকার করে মসজিদে সে জুতা চুরি করতেই এসেছিল।

জুতা চোর শফিকুল জানায় সে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন মাটিভাঙ্গা গ্রামের মৃত ওয়াজেদুল্লাহর ছেলে। সে ঢাকা জেলার জুরাইন এলাকার কমিশনার সড়কের মোশাররফ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ জুতা চুরির সাথে জড়িত। ভাল হয়ে যাওয়ার শর্তে মুসল্লী শফিকুলকে ছেড়ে দেয়া হয়।

নামাজে দাড়িয়ে ওসি, পিছনে জুতা চোর!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৫ এপ্রিল শুক্রবার পবিত্র জমুা নামাজ আদায় করতে মসজিদে গিয়েছিলেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন। কিন্তু তিনি যেই মসজিদে নামাজে গেলেন সেই মসজিদেই তার পিছনের সাড়ি থেকে জুতা চুরি করে বস্তায় ভরছিল জুতা চোর। তবে মসজিদের খাদেমের কাছে ধরা খেয়ে মারধরের শিকার হতে হয়েছে ওই চোরকে।

পবিত্র জুমা নামাজ আদায় করতে সকল মসজিদেই মুসুল্লীদের ভীর দেখ যায়। এমন সুযোগে ঢাকা থেকে জুতা চুরি করতে ফতুল্লায় এসেছিল শফিকুল ইসলাম। মসজিদে যখন সবাই নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এদিকে জুতা চোর শফিকুল জুতা দিয়ে তার বস্তা ভরছেন। কিন্তু মসজিদের খাদেম দেখে ফেলায় মুসুল্লীদের ধবল ধোলাই খেল জুতা চোর। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ৫ এপ্রিল শুক্রবার ফতুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে।

মুসুল্লীরা জানায়, শুক্রবার ফতুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় ৭ম তলা জামে মসজিদে এক জুতা চোর জুমা নামাজ শেষে মুসুল্লিদের চামড়ার দামী জুতা ব্যাগ ভর্তি করছিল। এসময় ঐ মসজিদের খাদেম তা দেখে ফেলেন। এরপর তাকে বস্তা ও ব্যাগ ভর্তি জুতাসহ আটক করে ২য় তলা থেকে নীচ তলায় নিয়ে আসা হয়। এরপর তার বস্তায় খুলে দেখেন মুসুল্লীদের জুতা। পরে তাকে মুসুল্লী গণধোলাই দিলে সে স্বীকার করে মসজিদে সে জুতা চুরি করতেই এসেছিল।

জুতা চোর শফিকুল জানায় সে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন মাটিভাঙ্গা গ্রামের মৃত ওয়াজেদুল্লাহর ছেলে। সে ঢাকা জেলার জুরাইন এলাকার কমিশনার সড়কের মোশাররফ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ জুতা চুরির সাথে জড়িত। ভাল হয়ে যাওয়ার শর্তে মুসল্লী শফিকুলকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে ৫ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুমা ফতুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান ওসি আসলাম হোসেন। তিনি উক্ত মসজিদে জুমা নামাজ আদায় করেন। এ সময় তিনি সকরের কাছে জঙ্গীবাদ সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, মাদক সহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রনে সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।

ফতুল্লা থানায় যোগদান করে আসলাম হোসেন স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সবাই আমাকে আপনাদের আপন ভাই মনে করবেন। খালাতো ফুফাতো ভাই মনে করবেন না। আমি আপনাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সহযোগিতা চাই। ফতুল্লা থানায় দালাল মুক্ত করবো। আমার কাছে আসতে কারো মাধ্যম লাগবেনা। পুলিশি সেবা নেয়ার জন্য আপনারা সরাসরি আমার কাছে যোগাযোগ করবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান, ফতুল্লা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী দেলোয়ার হোসাইন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এআর কুতুবে আলম, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হাজী আবু মোহাম্মদ শরিফুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক মোবারক হোসেন হান্নান চৌধুরী, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. জুয়েল চৌধুরী প্রমূখ।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলে ২৫ জন সহ-সভাপতি, পদ পেল নিষ্ক্রিয়রা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। গত ৩১ মার্চ এই কমিটির অনুমোদন করা হলেও ৫ এপ্রিল তা মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়। ওই দিন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের এই পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আংশিক কমিটির ৫ জন স্বপদে বহাল রয়েছেন। তবে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন নিষ্ক্রিয় বিতর্কিত অনেক লোকজন।

দীর্ঘ এই কমিটিতে ২৫ জনকে করা হয়েছে সহ-সভাপতি! ১৮ জন রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে এবং ৭জন সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন ৫ জন। এই কমিটি গঠনে এককভাবে সভাপতি ও সেক্রেটারি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। সেটাই অনুমোদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাকি তিনজনের কোন মতামত নেয়া হয়নি বলে জানাও গেল। তবে কমিটি গঠনে এখনও পর্যন্ত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অভিযোগ করেনি কেউ।

কমিটির সভাপতি পদে মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি- মনোয়ার হোসেন শোখন, সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন, রানা মজিব, আনোয়ার হোসেন আনু, আকতার হোসেন খোকন শাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, মনিরুল ইসলাম মনু, আমির হোসেন, মীর বিল্লাল হোসেন, ইছালউদ্দিন ইশা, রিটন দে, সরকার মুজিব, ইউনুছ খান বিপ্লব, নাজমুল কবীর নাহিদ, নাজমুল হক রানা, আহম্মদ আলী, জানে আলম দুলাল, আকতার হোসেন সবুজ, ফয়েজ আহম্মেদ, আব্দুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া, হারুনুর রশীদ লিটন, শেখ মোঃ সেলিম।

এদের মধ্যে মনোয়ার হোসেন শোখন বরাবরেই মতই রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। সরকারি দলের সঙ্গে আতাত করে তার ব্যবসা বানিজ্য চলচে হরদম। মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সানোয়ার হোসনকে এবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই দেয়া হয়েছে। তিনি দ্বিতীয় সহ-সভাপতি। রানা মুজিব কয়েক বছর ধরে রয়েছেন বিদেশে। আনোয়ার হোসেন আনু রাজনীতিতেই নাই কয়েক বছর ধরে। তার আপন ভাই মনিরুজ্জামান মনির করেন আওয়ামীলীগের রাজনীতি। নাজমুল হক রানাও রাজনীতিতে নেই দীর্ঘদিন যাবত। সহ-সভাপতি পদে থাকা অনেক নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক পদে মন্তাজউদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- সাগর প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আলী নওশাদ তুষার, ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, আল-আমিন খান, শেখ রুহুল আমিন রাহুল, মাহাবুব হাসান জুলহাস, মনিরুজ্জামান পিন্টু, ফিরোজ আহম্মদ, নুর এলাহী সোহাগ, কাজী সোহাগ, এমএএম সাগর, মঞ্জুরুল আলম মুসা, মোকতার ভূইয়া, সোহেল খান বাবু, মিজানুর রহমান, শেখ মোহাম্মদ অপু ও আক্তার হোসেন অপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল, শহীদুল ইসলাম, সাইফুর রহমান প্রধান, জাকির হোসেন সেন্টু, সাইদুর রহমান বাবু, আবুল হোসেন রিপন ও ফয়সাল মাহমুদ।

শেখ রুহুল আমিন রাহুলও রাজনীতিতে নেই দীর্ঘদিন যাবত। উপরের এসব নেতাদের অনেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। অনেকেই রাজনীতিতেই ছিলেন না। মহানগর যুবদলের রাজপথের আন্দোলনে এখানে বেশকজনকে দেখা যায়নি।

এ ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রশিদুর রহমান রশু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ, আরমান হোসেন, নুর এজাজ আহম্মেদ, কাওসার আহম্মেদ, সাহেব উল্লাহ রোমান-ওয়ার্ড, কোষাধ্যক্ষ পদে জাহাঙ্গীর প্রধান, সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে জাহাঙ্গীর হোসেন জাহিদ, রুবেল হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে রাসেল আহম্মেদ মনির, সহ-প্রচার সম্পাদক- আক্তার হোসেন জিহাদ, জাকির হোসেন মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক- শওকত খন্দকার, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদ খন্দকার, সোহেল মাহমুদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- মোস্তাফিজুর রহমান বাহার, সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক এরশাদ আলী, সাদ্দাম হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শিপলু, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন মাসুম, বর জাহান, নাদিম শিকদার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আল মামুন, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ন আহমেদ, কাজী নুরে আলম, আফতাব উদ্দিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক- শফিকুজ্জামান লিমন, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিজানুর রহমান, মোঃ তৈয়ম, যোগাযোগ সম্পাদক নুর আলম খন্দকার, সহ-যোগাযোগ সম্পাদক নবী উল্লাহ নবু, আঃ মোমিন পারভেজ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ শহীদ, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নুর আলম প্রধান, নুর হোসেন, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহ-গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পনির ভূইয়া, সাঈদ খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিঠু, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক- হাফেজ আবদুর রহিম, সামসু মিয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, আল আমিন মাঝি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রানা মুন্সী, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহাদউল্লাহ মুকুল, মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, ইমরুল ভূঁইয়া, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক- দিদার খন্দকার, সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মামুন মিয়া, মোঃ বোরহান ঢালী, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এস এম মোমেন, সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক- কবির হোসেন, মোঃ সোহেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ওসমান গনি, সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শিপন মাহমুদ, ওবায়দুর রহমান দিপু, তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক পারভেজ আলম, সহ-তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক ইমরান শামী, তরিকুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সুমন ভূইয়া, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আসাবউদ্দিন, মোঃ দুলাল, ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মুসা, সহ-ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন, মীর্জা আক্তারুজ্জামান, ফারুক হোসেন, মৎস ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল সোহেল, সহ-মৎস ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক আলফু প্রধান, মানিক মন্ডল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সুমন প্রধান, মোঃ নুরুজ্জামান, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শামসুল হক, সহ-কর্ম সংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব মন্ডল, বাদশাহ মিয়া। এসব পদে আসা অধিকাংশরাই সক্রিয় রাজনীতিতে নেই কয়েক বছর ধরে। তবে ২০১৪ সালের আগে অনেককেই দেখা গিয়েছিল। তারাও ঠাঁই পেয়েছে কমিটিতে।

কমিটিতে সদস্য পদে জয়নাল আবেদীন, মাসুদ রানা, সরকার আলম, সালাউদ্দিন দেওয়ান, মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মোঃ পলাশ, সানি ভূইয়া, কবীর হোসেন, মোঃ সোহেল, মোঃ ইকবাল, আকরাম পলাশ, মোঃ খোকন, রফিক হাওলাদার, মেহেদী হাসান রাজু, জাবেদ হোসেন, নাছির হোসেন, মোঃ আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, মিলন খান, হোসাইন জনি, মোঃ ইমন, মোঃ আব্দুল হালিম, উত্তম কুমার দে, নুর মোহাম্মদ, মোঃ আল-আমিন হুসাইন, মোঃ সেলিম মিয়া, মোঃ বাদশা মিয়া, আঃ আউয়াল, মোঃ জসিম, মোঃ মতিউর রহমান মনু, মোঃ শওকত উল্ল্যা শওকত, মোঃ ইমন, হাজী আবুল হোসেন রিপন, মোঃ শাহজাহান, মোঃ হালিম, সাইফুল ইসলাম (ডেজার, মোক্তার হোসেন মন্ডল, রাশিদুজ্জামান, সাইদুল প্রধান, মোঃ ইসলাম, মজিবুর রহমান, আল-আমিন বেপারী, হৃদয় ভূইয়া ও মমিন রোমান।

এ ছাড়াও সদস্য পদে আরও রয়েছেন রাসেল সরকার, ওসমান আলী, গোলাপ, মাইনুল, মোঃ হোসেন, নুরুল কবির, আলী মোহাম্মদ, জিল্লুর রহমান, হাজী নজরুল ইসলাম, সোহেল মাহমুদ, মানিক, আতিকুর রহমান আতিক, আরিফ সাউদ, সবুজ, আলমগীর ফিরোজ, মোঃ হারুন-অর-রশিদ, আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসলাম ভূইয়া, আঃ আজিজ, তারা মিয়া, সফর আলী, সেলিম খন্দকার, নাঈম আহমেদ, মামুন হোসেন ভূইয়া, বাবুল হোসেন মেম্বার, ফরহাদ হোসেন, পনির হোসেন, আব্দুল্লাহ, তাইজুল, আশরাফুল, আমিনুল, চুন্নু মিয়া, জহিরুল খন্দকার জনি, সম্রাট হোসেন সুজন, দ্বীন ইসলাম শান্ত, এমারত, নুর মোহাম্মদ কালা, দিপু শিকদার, ইলিয়াছ, সাইফুল ইসলাম, মোঃ জেমি, ইলিয়াছ হোসেন মিন্টু, টুটুল, সাইদ হাসান রিপন, মেহেদী হাসান মাসুদ, আবু সাইদ তুহিন, বরকত উল্লাহ জনি, মঞ্জিল খান, বাদশা মোল্লা ও মোঃ সাঈদ।

বিএনপির কর্মসূচিতেও পুলিশ, আওয়ামীলীগের কর্মসূচিতেও পুলিশ!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে এখণ বিএনপি ও আওয়ামীলীগের নেতাদের নানা কর্মসূচিতেই সক্রিয় থাকছেন পুলিশ বাহিনী। যেখানে পার্থক্য শুধু একটাই বিএনপির মিছিলে বাধা দিচ্ছে কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতাদের বাধা দিচ্ছেনা। যদিও আওয়ামীলীগ নেতারা মিছিল করছেন না। এর আগে যদিও গত ২মার্চ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের সমাবেশের সামনে দেখা গেল জলকামান, সাজোয়া যান ও পুলিশ আর্ম কার। সচারচর এসব প্রস্তুতি কেবল বিএনপির নাশকতা ঠেকাতেই দেখা যায়। কিন্তু এখন সরকারি দলের কর্মকান্ডের সামনেও পুলিশের নিরাপতা প্রস্তুতি দেখা যায়। ফলে নারায়ণগঞ্জে এখন বিএনপি ও আওয়ামীলীগ সমানে সমান!

৩ এপ্রিল বুধবারও নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় জলকামান, সাজোয়া যান, পুলিশ আর্ম কার দেখা যায়। ওইদিন বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ৩৩টি ব্যবসায়ী সংগঠন ও ৯টি জাতীয় সংগঠন একটি প্রতিবাদ করেছে। যেখানে মুল বিষয় ছিল পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।

এদিকে ৫ এপ্রিল শুক্রবার সকালে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মহানগর যুবদলের বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। আগের দিন রাতে শহরের জামতলা এলাকায় জেলা যুবলীগ নেতা শাহ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ এক প্রতিবাদ সভা করেছেন। হীরা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিবাদ সভা চলাকালীন সময়ে সেন্টারের সামনেই অবস্থান নেয় পুুলিশ।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের তিনবারের পরিচালক, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের দুইবারের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু এবং এনসিসিআই এর পরিচালক, বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের তিনবারের সভাপতি, সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধায় জামতলা এলাকার হীরা কমিউনিটি সেন্টারে বৃহত্তর জামতলা মাদক নির্মূূল কমিটি, প্রমিজ মাদক বিরোধী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবাদ সভা করা করে। যার মুল উদ্যোক্তা জেলা যুবলীগের নেতা মাদক নির্মূূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রমিজ মাদক বিরোধী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি শাহ্ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ।

এ প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিকেএমইয়ের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল হক, বাংলাদেশ হোসিয়ারি এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রাশেদ মোশারফ, জামতলা পঞ্চায়েত মসজিদের সভাপতি হাফেজ কামাল, ব্রাদার্স রোড পঞ্চায়েত কমিটিক সাধারণ সম্পাদক শাহ্জাদা সরকার, জামতলা পঞ্চায়েত মসজিদের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান শাহিন, মহিউদ্দিন প্রধান দেলা, আব্দুল গফুর রাজা, মুজিবুর রহমান আকন্দ প্রমূখ।

এই কর্মসূচির খবর পেয়ে পুলিশ হীরা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়। পুলিশের অবস্থান নেয়া দেখে দ্রুত প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষ করে দেন আয়োজকরা।

এদিকে গত শুক্রবার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের (সদ্য বদলী) নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কর্মী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। একদিন পর শাহনিজাম ভারতে চলে যান। তার আরেক দিন মঞ্জুর কাদেরকে ঢাকায় বদলী করা হয়।

এ ছাড়াও ফতুল্লার মেরী আন্ডারসন জাহাজের বারে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। বিপুল পরিমান বিয়ার ও মদও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। টিটুও ইতিমধ্যে দেশ ছেড়েছেন বলে জানাগেছে। কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের বিরুদ্ধে শহরের দেওভোগ এলাকার এপন তার শিশু ছেলে সাকিকে অপহরণের অভিযোগ করে জেলা পুলিশের কাছে লিখিত দিয়েছেন। ইতিমধ্যে সজল ওমরাহ পালনে সৌদি আরব চলে গেছেন।

অগ্নিঝুঁকিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির বাসভবন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ শহরের অধিকাংশ বহুতল ভবনগুলোকে অগ্নিকান্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে রয়েছে শহরে অবস্থিত মার্ক টাওয়ার। এই মার্ক টাওয়ারের একটি ফ্লাটে বাস করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই।

৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর থেকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে বহুতল ভবনগুলো ঘুরে ঘুরে এসব ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে নোটিশ টানিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের চাষাঢ়া মার্ক টাওয়ারসহ কয়েকটি বহুতল ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ লিখিত নোটিশ টানিয়ে দেন। এছাড়াও ভবনগুলোতে ফায়ার এক্সিটসহ বিভিন্ন বিষয় ঠিকঠাকভাবে রয়েছে কিনা সেটির তল্লাশি করেন তারা।

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ১২টি বহুতল ভবনকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি এবং ভবনগুলোর বাইরে ঝুঁকিপূর্ণ নোটিশ টানিয়ে দিয়েছি। শহরের বহুতল ভবনগুলোর অধিকাংশই একটি সিড়ি যেখানে অন্তর দুটি সিড়ির প্রয়োজন। ভবনগুলোতে নেই অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা, নেই পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। কিছু ভবনগুলোতে আলো বাতাসের আসা যাওয়ারও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।

তিনি আরও বলেন, এসব ভবনকে আমরা আমাদের মহাপরিচালকের নির্দেশে শনাক্ত করে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা টানিয়ে দিচ্ছি। আমরা আগামীকালও পুরোদমে শহরব্যাপী এ কার্যক্রম পরিচালনা করবো।

কাজলকে ইঙ্গিত ‘রাজাকারের উত্তরসূরী পুলিশকে দেয় আল্টিমেটাম হুমকি’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি খালিদ হায়দার খান কাজলকে ইঙ্গিত করে নারায়ণগঞ্জ সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে এখনও স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের সেই শান্তি বাহিনীর উত্তরসূরীরা বীরদর্পে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেয়। তারা হুমকি দেয় বিভিন্ন প্রশাসনকে। তারা হুমকি দেয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের। তাদের মুখে স্বাধীনতার কথা শোনা যায়। এটা আমাদের কাছে খুবই লজ্জার। রাজাকারের উত্তরসূরীরা আজ স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে সামনে এগিয়ে আসতে চায়। পুলিশকে হুমকি স্বরুপ আল্টিমেটাম দেয়। স্বাধীনতার এত বছরেও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা পাই নাই।

৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দরে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে বিনম্র শ্রদ্ধায় ৭১’র গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান উদ্বোধক হিসেবে এসব কথা বলেন রফিউর রাব্বী।

এখানে উল্লেখ্যযে, সম্প্রতি আলোচনায় চলে আসেন খালিদ হায়দার খান কাজল। যার বাবা শান্তি বাহিনীতে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি বইয়ে লেখা হয়। এদিকে এমপি শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগী হিসেবে একটি মামলায় অভিযুক্ত করে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুুলিশকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন কাজল। একই সঙ্গে গত বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা করা হয় যেখানে সভাপতিত্ব করেন কাজল।

অনুষ্ঠানে রাব্বী এর আগে বলেন, ৪ এপ্রিল গণহত্যা দিবস। এই দিনেই পাকসেনারা বন্দরে দুই দিক থেকে প্রবেশ করে সিরাজদৌল্লাহ ক্লাব মাঠে ৫৪ জনকে হাজির করে ব্রাশ ফায়ার করে পরে আশপাশের বাড়ী থেকে কাপর এনে গান পাউডার দিয়ে জ¦ালিয়ে গণহত্যা করে গণকবর দিয়েছিল। আজ সেই স্থানে দাড়িয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাসহ প্রতিজ্ঞা করতে চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন আমরা সেই বাংলাদেশ চাই।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার অধিকার আমরা পাই নাই। আমরা পশ্চিমাদের বিতারিত করেছি, আমরা মানচিত্র পেয়েছি, একটি ভূখন্ড পেয়েছি, আমরা জাতীয় সঙ্গীত গাইছি। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা কাকে বলে? যদি মানুষের বেচে থাকার নিরাপত্তা না থাকে। নিশ্চয়তা না থাকে। তাহলে তাকে স্বাধীনতা বলার কোন কারন নাই। সেজন্যই উচ্চারণ করতে হয় পূর্ণ স্বাধীনতা মিলল কই। এখনও আমাদের আতংকে দিন যাপন করতে হয়।

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, বাসদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা তরিকুল সুজন, নারায়ণগঞ্জ সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, ওয়াকার্স পার্টি জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান, ন্যাপ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আওলাদ হোসেন, বন্দর গণহত্যা দিবস উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ ভূইয়া ননী, নাগরিক কমিটির বন্দর শাখার সাধারণ সম্পাদক একেএম শাহআলম প্রমূখ।

নারায়ণগঞ্জে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিলে পুলিশের বাধা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে বের হওয়া একটি বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। তবে কাউকে আটক করা হয়নি। পুলিশি বাধায় ছল্ফভঙ্গ হয়ে যায় মিছিলটি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল এই মিছিল বের করে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় যুবদলের ঘোষিত কর্মসূচি পালনে ৫ এপ্রিল শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া বালুর মাঠের গলি থেকে হটাত করে মিছিল বের করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। এর আগে যুবদলের নেতাকর্মীরা বালুর মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

সমাবেশ শেষে যুবদলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রধান সড়কে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাক-বিতন্ডতা ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে মারমুখী অবস্থান নিলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

মিছিলে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সাধারন সম্পাদক জুয়েল প্রধান, বন্দর থানা সভাপতি আমির হোসেন, বন্দর উপজেলার সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

জামানত হারালো তারা, মান্নানের চেয়ার ইস্যূতে রূপনের পরিনতি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করেছেন। যেখানে সাবেক দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৪ জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত বাঁচানোর ভোটও পায়নি এই ৪ প্রার্থী।

দলীয় রাজনীতিতে ক্লিন ইমেজধারী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন বিএনপি নেতা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নানের চেয়ার টানাটানিতেই ব্যস্ত ছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার মানুষের সামনে গিয়ে নিজের চেহারাও দেখাননি তিনি। যে কারনে তারও জামানত টিকলো না। মান্নানকে একাধিকবার বরখাস্ত করার পিছনে রূপনেরও হাত ছিল বলে বিএনপি নেতাদের দাবি। যে কারনে এটিও তার জন্য বড় কাল হয়ে দাড়িয়ে গেছে এবারের নির্বাচনে। নির্বাচনের আগেই তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় সেটা অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’ একাধিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছিল।

গত ৫ বছরে একাধিকবার আজহারুল ইসলাম মান্নান বরখাস্ত হয়েছিলেন। প্রথমবার বরখাস্ত হলে রূপন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান। তা নিয়ে বিরোধীতা করে এবারের নির্বাচনে আরেক পরাজিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী যিনি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই মামলায় নাছিমার পিটিশন খারিজ করে দিলে রূপন দায়িত্বে বহাল থাকেন। পরবর্তীতে মান্নান দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার তিন মাসের মাথায় আবারো মান্নান বরখাস্ত হলে এবার দায়িত্ব পান নাছিমা। এর বিরোধীতা করে রিট করেন রূপন। এবার নাছিমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন। এবাবেই দুই ভাইস চেয়ারম্যান মান্নানের চেয়ার টানাটানিতেই ব্যস্ত ছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দাড়ানো কিংবা ভোটারদের কোন খোজ খবরও রাখেননি। ফলে জনগণের মন থেকে ছিটকে পড়েন রূপন। রাজনীতিতে তিনি বিতর্কিত কর্মকান্ডে না থাকলেও তিনি জনগণের কাছ থেকে দুরে সরে থাকায় তাকে এমন লজ্জাজনক পরাজয় বহন করতে হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

জানাগেছে, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী বাবু ওমর ও তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল ছাড়া বাকি সবার জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়। উপজেলার ১১৮টি কেন্দ্রে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪শত ৫৬ ভোট। এই ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট এককভাবে না পাওয়ায় জামানত হারান সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম রূপন ও এসএম জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক শাহজালাল ও মনির হোসেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের সংখ্যার অনুপাতে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত নির্ধারণ করা হয়।

এ নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ধন্ধিতা করেন। নির্বাচনে মোশারফ হোসেন ৭৩ হাজার ৩৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম পান ৪৫ হাজার ৫৪০ ভোট।

অপরদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন সাবেক ২ ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্দিতা করেন। এরমধ্যে টিউবওয়েল প্রতীকে বাবু ওমর ৫৮ হাজার ৯শত ৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি তালা প্রতীকে আবু নাইম ইকবাল পান ৩৫ হাজার ৫শত ৩৩ ভোট।

এছাড়া বাকি ৪ প্রার্থী জামানত হারান। এরা হলেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম রূপন মাইক প্রতীকে পান ৬ হাজার ৭৯৩ ভোট, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর চশমা প্রতীকে পান ৫ হাজার ২৬০ ভোট, সাংবাদিক শাহজালাল বই প্রতীকে পান ৩ হাজার ৩শত ৬১ ভোট এবং উড়োজাহাজ প্রতীকে মনির হোসেন পান ৩ হাজার ৩৬৩ ভোট।

নারায়ণগঞ্জে তারা খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি চায়নি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ্য তার চিকিৎসার প্রয়োজন বলে দাবি করে আসছে বিএনপি। সেই দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে সারাদেশে দোয়া মাহফিল কর্মসূচি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিএনপি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে সেই কর্মসূচিটিও পালন করেনি আন্দোলন সংগ্রামে বিমুখ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত তিন নেতা। এই তিন নেতার মধ্যে দুজনই গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। একজন প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া। তিনি কখনই দলের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন না। কেন্দ্রীয়ভাবে লবিং করে বিশেষ সুবিধায় তিনি তার চাটুকার শ্রেণির কর্মীদের বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পদে বসিয়ে বড় বড় নেতা বানিয়েছেন। এটাই তার একমাত্র রাজনীতি। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর একটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতেও ছিলেন না দিপু ভূঁইয়া। এবার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া মাহফিল কর্মসুচিটিও তিনি পালন করেননি।

একইভাবে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে চূড়ান্তভাবে দলের ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। তিনিও রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। ২০১৪ সালের আগে তিনি ফটোসেশন করেই আলোচনায় আসেন। কেন্দ্রীয় কোন কর্মসুচি তিনি নারায়ণগঞ্জে পালন করেন না। ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলেও তিনি তার দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলটিও করেননি।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। দলের একাধিক পদ বহন করলেও তিনিও রাজপথ থেকে সরে গেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পদ ছাড়াও তিনি সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদও আকড়ে আছেন। ২০১৪ সালের আগে তাকে রাজপথে দেখা গেলেও তারপর থেকে তিনি মাঠের রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছেন। এবার বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি দোয়া মাহফিলটিও করেন মান্নান।

সর্বশেষ সংবাদ