এসএম আকরামকে নিয়ে মাঠে নামলেন এটিএম কামাল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে নিয়ে মাঠে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল। এসএম আকরামকে নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন তিনি।

১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের থানাপুকুরপাড় ও টানবাজার এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে গণসংযোগ করেন এটিএম কামাল। এসময় এসএম আকরামও এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় ও লিফলেট বিতরণ করেন এবং ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।

গণসংযোগে এটিএম কামাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিজাম উদ্দিন মোঃ পারভেজ, দেলোয়ার হোসেন চুন্নু, জেএসডির মহানগর সভাপতি মোশাররফ হোসেন মাস্টার, শহর ওলামাদলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শিব্বির আহমেদ, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিটন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেরদৌস রহমান, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু ও মিলন হোসেন প্রমুখ।

বিজয় দিবস পালনে প্রস্তুত গোয়ালবন্দ সমাজ উন্নয়ণ সংসদ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুরের ‘গোয়ালবন্দ সমাজ উন্নয়ণ সংসদ’ এর আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও গোয়ালবন্দ সমাজ উন্নয়ণ সংসদের আয়োজনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

আগামী মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তলন, সকাল ৭টা ১মিনিটে মিনি ম্যারাখন, সকাল ৯টা ৩১মিনিটে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, বিকেল ৩টা ১মিনিটে হা-ডু-ডু, বিকেল ৫টা ১মিনিটে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গোয়ালবন্দ সমাজ উন্নয়ণ সংসদের উপদেষ্টা কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. সাইফুল্লাহ্ বাদল। উন্নয়ণ কমিটির আহবায়ক আমির উল্লাহ রতনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গোয়ালবন্দ সমাজ উন্নয়ণ সংসদের উপদেষ্টা মুশতাক আহাম্মেদ, মোহাম্মদ হোসেন, সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামল। কর্মসূচি সফল করতে সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন উন্নয়ণ কমিটির সদস্য সচিব সোলাইমান ইমরান।

তৈমূরকে কুরবানি, এবার জোড়া কুরবানি: সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমি আবুল কালামের সাথে নির্বাচন করতে পারলে তৃপ্তি পেতাম। কেননা, উনি ৩বারের এমপি। তার মাথায় কিছু আছে। তার বাবা এমপি ছিলেন। আমার বাবাও এমপি। বিএনপির ভাইয়েরা তৈমুরকে কুরবানি দিয়েছে। এবার তারা জোড়া কুরবানি দিবে। তাই বলি এসব চিটা ধান মানুষ আর বিশ্বাস করেনা। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে আমি সম্মান করি। আমি দোয়া করি বেগম জিয়া যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে কারাভোগ কাটিয়ে আবারো আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।

১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের নোয়াদ্দা কাইতাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমান আরো বলেন, বন্দরের মানুষ আর নারায়ণগঞ্জের দ্বারস্থ হবেনা। বন্দরই হবে বন্দর নারায়ণগঞ্জ। ইনশাআল্লাহ বন্দরে কোন প্রাইমারী স্কুল আর ৪তলার নিচে থাকবেনা। স্কুলগুলোকে করা হবে ৬তলা বিশিষ্ট। তাই আবারো দরকার শেখ হাসিনা সরকার। বন্দরে কোন বেকার ছেলে যেন বাড়ীতে বসে থাকতে না পারে। প্রত্যেকটি বাড়ীর যুবক ছেলেদের কাজ করতে হবে। চেঞ্জ অর ডাই। হয় পরিবর্তন করো না হয় মরো।

সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়গঞ্জ জেলা মহিলা লীগের সভাপতি ড. শিরিন বেগম, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সালাম প্রমুখ।

মহাপ্রয়াণে বিএনপির চার রাজনৈতিক পরিবার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে মহা সংকটে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির চারটি রাজনৈতিক পরিবার। এতে উত্তরসূরীদের কেউ কেউ দাড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও সেখানেও রয়েছে সংশয়। তবে নারায়ণগঞ্জে বিএনপিতে পারিবারিক রাজনীতিতের অবসান হতেও যাচ্ছে সেটাও অনুমেয়। তবে চারটি পরিবারই ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন এবং করবেন সেটাও বুঝা যায়। তবে বিএনপির রাজনীতিতে চারটি পরিবারই রয়েছে বিশাল অবদান। কিন্তু এবারের নির্বাচনে চারটি পরিবারই হোচট খেল।

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। তার আপন ভাই মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। দুই ভাই জেলার দুটি আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধানের শীষ প্রতীকে দুজনই মনোনয়ন পেলেও চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাননি দুুজনই। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে বিগত ১০টি বছরের আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপিতে এই দুই ভাইয়ের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি। দুজনই জেল খেটেছেন। তৈমূর আলম খন্দকার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এখানে মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনিত হন মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। চূড়ান্তভাবে এখানে মনোনিত হন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম। ফলে শহর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে সামনে ঘুরে দাড়াতেও খোরশেদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠবে। এছাড়াও তৈমূর আলম খন্দকারের বয়সের কারনেও হয়তো আগামী ৫ বছর পর নির্বাচন হলে সেখানে নির্বাচন করার মত শারীরিক সামর্থ নাও থাকতে পারে। ফলে খন্দকার পরিবারটি বিএনপির রাজনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা খেল।

অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। তিনি বিএনপির সাবেক তিন বারের এমপি। রয়েছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন আবুল কালামের পিতা হাজী জালালউদ্দীন। সেই থেকে এই পরিবারটি জালাল হাজীর পরিবার হিসেবেই চিনেন নেতাকর্মীরা। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। প্রাথমিক তালিকায় তিনি মনোনিত হলেও চূড়ান্তভাবে এখানে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে মনোনিত করা হয়। আবুল কালামের ছেলে মহানগর স্বেচ্ছসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা। আবুল কালাম ও আশা দুজনেই জেল খেটেছেন। আবুল কালামেরও শারীরিক পরিস্থিতি তেমন শক্তিশালী নয়। তিনি অসুস্থ্য। আগামী ৫ বছর পর তিনিও নির্বাচনে ফিট থাকবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। আবুল কাউসার আশাও তেমনভাবে গড়ে ওঠতে পারেননি। ফলে এই পরিবারটিও রাজনীতিতে হোচট খেল।

মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। তিনি বিএনপির সাবেক এমপি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনি প্রাথমিকভাবেও মনোনিত হননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও শেষ পর্যায়ে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। তার ছেলে গোলাম মুহাম্মদ কাউসারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হলে তিনি আপীলও করেননি। গিয়াসউদ্দীনের আরেক ছেলে গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে রয়েছেন। গিয়াস ও তার ছেলেই বিভিন্ন মামলায় আসামী হয়েছেন। একসময় মনে করা হতো এ আসনে গিয়াস উদ্দীন শক্তিশালী প্রার্থী। কিন্তু এ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ফলে গিয়াসের পরিবারটিও বিএনপির রাজনীতিতে হোচট খেল।

প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। যার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়। নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস পূবে কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খসরু মৃত্যুবরণ করেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদেও ছিলেন। তার মৃত্যুর পর নির্বাচনী মাঠে নামেন খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন। খসরুর মৃত্যুর পর মাহমুদুর রহমান সুমনকে আড়াইহাজার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তিনি ইতিমধ্যে মামলার শিকারও হয়েছেন। এ আসনে সুমনের চাচা বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুুরও মনোনয়ন পাননি। চাচা ভাতিজার মনোনয়ন লড়াইয়ের মাঝে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। আঙ্গুরকে একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে বিএনপিতে যোগদান করিয়ে বিএনপির মনোনয়ন দেন খসরু। পরবর্তীতে খসরুর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হলে আঙ্গুর ও খসরুর মাঝে দূরত্ব বাড়ে। ফলে আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনৈতিক এই পরিবারটিও হোচট খেল। এখানে আজাদ এমপি হলে এই পরিবারটির অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

বিএনপি প্রার্থীর উপর হামলা, আটক ছাত্রলীগ নেতা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর হামলা চালিয়েছে সোনারগাঁও পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন। ওই সময় বিল্লাল হোসেনকে আটক করেছে থানা পুুলিশ।

জানাগেছে, ১৩ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা চলা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সোনারগাঁ থানার ওসির সামনেই এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের ভেতরে নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে ইউএনও, আমি, নির্বাচন অফিসারসহ আমরা সবাই মিটিংয়ে ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করেই বিল্লাল হোসেন নামে ছেলেটি দৌড়ে এসে ওনার আজহারুল ইসলাম মান্নানের পাঞ্জাবী কলার ধরে টেনে নিচে নামিয়ে ফেলে। আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে তাকে আটক করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিল্লাল ইন্টারনেটের লাইনের কাজ করে। তবে আমি শুনেছি সে পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।’

জমিয়তের নেতাকে ধানের শীষ, শামীম ওসমানের উদ্বেগ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমান এ আসনে আবারো নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে লড়াই করছেন। এখানে ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে। এখানে হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলমকে মনোনয়ন না দিয়ে জমিয়তের নেতার হাতে ধানের শীষ তুলে দেয়ার কারনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শামীম ওসমান। বুধবার ফতুল্লার এক অনুষ্ঠানে তিনি বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, শামীম ওসমানের এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে। একই সঙ্গে বিগত হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর নির্বাচনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামীর সমন্বয়ক ও মহানগর হেফাজতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান। তবে এ আসনে প্রাথমিকভাবে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান মুহাম্মদ শাহআলম ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। এমনকি গিয়াসউদ্দীনকে প্রাথমিকভাবেও তালিকাতে রাখা হয়নি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও তা প্রত্যাহার করে নেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, আমার কাছে খবর আছে নারায়ণগঞ্জের চারদিকে জঙ্গিদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওরা জানে ভোট হলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের তাদের প্রার্থী ১০% ভোটও পাবে না। আর আমি জানি আমার সাথে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে কেন? বিএনপির মধ্যে অনেক ভাল লোক আছে। তাদের ভাল লোককে মনোনয়ন না দিয়ে জঙ্গি মতবাদের সখ্যতা রয়েছে এমন ব্যক্তিকে কেন প্রার্থী দেয়া হলো? তাদের উদ্দেশ্য খারাপ। তারা আবার নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি হামলা চালাতে চায়।

১২ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ফতুল্লার হরিহরপাড়ায় স্থানীয় যুবলীগের আয়োজনে নির্বাচনী উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। পরে এনায়েতনগর বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করেন তিনি।

শামীম ওসমান আরও বলেন, জঙ্গির বিষয়ে যাদের (আইনশৃংখলা বাহিনী) তৎপর থাকার কথা নারায়ণগঞ্জের সেই আইনশৃংখলা বাহিনীকে তৎপর দেখছি না। আমরা ভিকটিম ১৬ জুনের ভিকটিম। তাই আমরা টের পাই কোথায় কখন কি হচ্ছে। আর নারায়ণগঞ্জে কেউ কেউ জামাতকে নিয়ে জঙ্গি কানেকশনের কাজ করতাছেন। সাবধান, একদম সাবধান। এবার আর ছাড় দেয়া হবে না। সাবধান জনগণের উপর হামলা করার চেষ্টা করবেন না। হামলার চেষ্টা করলে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আপনাদের প্রতিরোধ।

শামীম ওসমান বলেন, আর নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে বলবো জনগণের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। আর খবর নেন কারা কখন নারায়ণগঞ্জে ঢুকছে আর কারা কখন বের হচ্ছে। মুচে তেল লাগিয়ে বসে থাইকেন না। আর যদি না পারেন তাহলে বলেন আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবো, সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। আর সাংবাদিক ভাইদের বলছি আপনারা চোখ কান খোলা রাখেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা পক্ষে কথা বলেছিলাম ও পতিতা পল্লী তুলে দেয়ার কারনে আমাকে হত্যার জন্য ১৬ জুনে চাষাড়া আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলা করা হয়েছিল। এ বোমা হামলায় আমার আশে পাশে যারা ছিল তারা টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। এ বোমা হামলায় ২০ জন লোক মারা গেছে। তাই বলছি ১৬ জুন আর হতে দিবো না। জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবো।

ফতুল্লার নায়েতনগর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শফিকুর রহমানের আয়োজনে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক জামাল উদ্দিন সবুজ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বিএম শফিকুল ইসলাম সফি, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সস্পাদক আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা থানা কৃষকলীগের সভাপতি আবু হানিফ, এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রাজ্জাক মাষ্টার, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রতন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন, আসমা আকতার রিতা, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর হামিদ প্রধান প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জে চারদিকে জঙ্গিদের আনাগোনা: শামীম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, আমার কাছে খবর আছে নারায়ণগঞ্জের চারদিকে জঙ্গিদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওরা জানে ভোট হলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের তাদের প্রার্থী ১০% ভোটও পাবে না। আর আমি জানি আমার সাথে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে কেন? বিএনপির মধ্যে অনেক ভাল লোক আছে। তাদের ভাল লোককে মনোনয়ন না দিয়ে জঙ্গি মতবাদের সখ্যতা রয়েছে এমন ব্যক্তিকে কেন প্রার্থী দেয়া হলো? তাদের উদ্দেশ্য খারাপ। তারা আবার নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি হামলা চালাতে চায়।

এখানে উল্লেখ্যযে, শামীম ওসমানের এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে। একই সঙ্গে বিগত হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর নির্বাচনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামীর সমন্বয়ক ও মহানগর হেফাজতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান।

১২ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ফতুল্লার হরিহরপাড়ায় স্থানীয় যুবলীগের আয়োজনে নির্বাচনী উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। পরে এনায়েতনগর বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করেন তিনি।

শামীম ওসমান আরও বলেন, জঙ্গির বিষয়ে যাদের (আইনশৃংখলা বাহিনী) তৎপর থাকার কথা নারায়ণগঞ্জের সেই আইনশৃংখলা বাহিনীকে তৎপর দেখছি না। আমরা ভিকটিম ১৬ জুনের ভিকটিম। তাই আমরা টের পাই কোথায় কখন কি হচ্ছে। আর নারায়ণগঞ্জে কেউ কেউ জামাতকে নিয়ে জঙ্গি কানেকশনের কাজ করতাছেন। সাবধান, একদম সাবধান। এবার আর ছাড় দেয়া হবে না। সাবধান জনগণের উপর হামলা করার চেষ্টা করবেন না। হামলার চেষ্টা করলে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আপনাদের প্রতিরোধ।

শামীম ওসমান বলেন, আর নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে বলবো জনগণের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। আর খবর নেন কারা কখন নারায়ণগঞ্জে ঢুকছে আর কারা কখন বের হচ্ছে। মুচে তেল লাগিয়ে বসে থাইকেন না। আর যদি না পারেন তাহলে বলেন আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবো, সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। আর সাংবাদিক ভাইদের বলছি আপনারা চোখ কান খোলা রাখেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা পক্ষে কথা বলেছিলাম ও পতিতা পল্লী তুলে দেয়ার কারনে আমাকে হত্যার জন্য ১৬ জুনে চাষাড়া আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলা করা হয়েছিল। এ বোমা হামলায় আমার আশে পাশে যারা ছিল তারা টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। এ বোমা হামলায় ২০ জন লোক মারা গেছে। তাই বলছি ১৬ জুন আর হতে দিবো না। জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবো।

ফতুল্লার নায়েতনগর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শফিকুর রহমানের আয়োজনে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক জামাল উদ্দিন সবুজ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বিএম শফিকুল ইসলাম সফি, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সস্পাদক আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা থানা কৃষকলীগের সভাপতি আবু হানিফ, এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রাজ্জাক মাষ্টার, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রতন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন, আসমা আকতার রিতা, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর হামিদ প্রধান প্রমুখ।

সেলিম ওসমানের সভায় বিএনপির সহ-সভাপতি মুকুল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের বর্তমান এমপি মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানের সভায় গিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল। যদিও এর আগেও বেশকটি সভায় মুকুল উপস্থিত ছিলেন। এমনকি সেলিম ওসমানের জনসভায় আতাউর রহমান মুকুল উপস্থিত হয়ে সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা। এ আসনে বিএনপির কোন প্রার্থী নেই। এখানে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

ওই সভায় যোগদান করায় একেএম সেলিম ওসমান বলেন, মুকুল এখানে এসেছে ভাই হিসেবে। তিনি বিএনপি নেতা হিসেবে আসেন নাই। মুকুল মনে করছেন এই নির্বাচন খালেদা জিয়ার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবেনা বরং খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতেই এই নির্বাচন।

১২ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডে ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের মিলাদ মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।

এমপি সেলিম ওসমান আরো বলেন, বিএনপির অনেক ভোট আমিই পাব কেননা ওরা আমাকে অনেক ভালবাসে। বিগত নির্বাচনে বিএনপি আমাকে ভালবেসেই ভোট দিয়েছিল। আর আমি এমন বাড়ীর সন্তান যে বাড়িতেই আওয়ামীলীগের জন্ম। অতএব আমার চেয়ে বড় আওয়ামীলীগার আর কে হতে পারে। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রতি আস্থা রেখেই এ দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।

মুচে তেল লাগিয়ে বইসা থাইকেন না: শামীম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, আমার কাছে খবর আছে নারায়ণগঞ্জের চারদিকে জঙ্গিদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওরা জানে ভোট হলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের তাদের প্রার্থী ১০% ভোটও পাবে না। আর আমি জানি আমার সাথে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে কেন দেয়া হয়েছে? বিএনপির মধ্যে অনেক ভাল লোক আছে। তাদের ভাল লোককে মনোনয়ন না দিয়ে জঙ্গি মতবাদের সখ্যতা রয়েছে এমন ব্যক্তিকে কেন প্রার্থী দেয়া হলো? তাদের উদ্দেশ্য খারাপ। তারা আবার নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি হামলা চালাতে চায়।

এখানে উল্লেখ্যযে, শামীম ওসমানের এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে। একই সঙ্গে বিগত হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর নির্বাচনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামীর সমন্বয়ক ও মহানগর হেফাজতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান।

১২ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ফতুল্লার হরিহরপাড়ায় স্থানীয় যুবলীগের আয়োজনে নির্বাচনী উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। পরে এনায়েতনগর বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করেন তিনি।

শামীম ওসমান আরও বলেন, জঙ্গির বিষয়ে যাদের (আইনশৃংখলা বাহিনী) তৎপর থাকার কথা নারায়ণগঞ্জের সেই আইনশৃংখলা বাহিনীকে তৎপর দেখছি না। আমরা ভিকটিম ১৬ জুনের ভিকটিম। তাই আমরা টের পাই কোথায় কখন কি হচ্ছে। আর নারায়ণগঞ্জে কেউ কেউ জামাতকে নিয়ে জঙ্গি কানেকশনের কাজ করতাছেন। সাবধান, একদম সাবধান। এবার আর ছাড় দেয়া হবে না। সাবধান জনগণের উপর হামলা করার চেষ্টা করবেন না। হামলার চেষ্টা করলে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আপনাদের প্রতিরোধ।

শামীম ওসমান বলেন, আর নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে বলবো জনগণের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। আর খবর নেন কারা কখন নারায়ণগঞ্জে ঢুকছে আর কারা কখন বের হচ্ছে। মুচে তেল লাগিয়ে বইসা থাইকেন না। আর যদি না পারেন তাহলে বলেন আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবো, সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। আর সাংবাদিক ভাইদের বলছি আপনারা চোখ কান খোলা রাখেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা পক্ষে কথা বলেছিলাম ও পতিতা পল্লী তুলে দেয়ার কারনে আমাকে হত্যার জন্য ১৬ জুনে চাষাড়া আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলা করা হয়েছিল। এ বোমা হামলায় আমার আশে পাশে যারা ছিল তারা টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। এ বোমা হামলায় ২০ জন লোক মারা গেছে। তাই বলছি ১৬ জুন আর হতে দিবো না। জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবো।

ফতুল্লার নায়েতনগর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শফিকুর রহমানের আয়োজনে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক জামাল উদ্দিন সবুজ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বিএম শফিকুল ইসলাম সফি, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সস্পাদক আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা থানা কৃষকলীগের সভাপতি আবু হানিফ, এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রাজ্জাক মাষ্টার, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রতন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন, আসমা আকতার রিতা, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর হামিদ প্রধান প্রমুখ।

ধানের শীষে ভোট দিন, মামলা হামলার রায় দিন: তৈমূর আলম

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক গায়েবি মামলা দিয়ে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুলিশ থাকার কথা থাকলেও প্রতিটি আসনেই বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। ধানের শীষের প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে।

অবিলম্বে এসব মামলা হামলা ও প্রচারে বাধা প্রদান থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন তৈমুর আলম খন্দকার। একই সাথে আগামী সংসদ নির্বাচনে মুক্তির প্রতীক ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বর্তমানের সরকার অত্যাচার নির্যাতন গুম খুন ও শিক্ষার্থীদের উপর হেলমেট বাহিনী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে জনগণের রায় দিতে আহবান জানান তৈমুর।

বুধবার ১২ ডিসেম্বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয, দুপুরে উচ্চ আদালত থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, শহর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমেদ সদর ও ফতুল্লা থানার দুটি নাশকতার মামলা জামিন পাবার পর দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তৈমূর এসব কথা বলেন।

এর আগে উচ্চ আদালতের বিচারপতি মোঃ আন্দুল হাফেজ ও মহিউদ্দিন শামীমের দ্বৈত বেঞ্চে জামিন শুনানির পর খোরশেদ ও হাসানকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন আদালত। এর মাধ্যমে সকল মামলায় জামিন নিলেন খোরশেদ। মামলায় আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

তৈমুর আলম আরও বলেন, আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি নিরপেক্ষ থাকার আহবান জানাই। আমি আশা করি তারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। নির্বাচনে বিএনপির সকল প্রার্থী ৫টি আসনেই বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে আমি আশা করি। আসুন সবাই দলমত নির্বিশেষে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে নেমে দেশকে রক্ষার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ি। গণতন্ত্রের প্রতীক ধানের শীষের ভোট দেয়ার মাধ্যমেই আমাদের মুক্তি ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। ৫টি আসনেই চলমান হামলা মামলা বন্ধে পুলিশ সুপারের কাছে তিনি আবেদন জানান।

অন্য একটি বেঞ্চে মহানগর যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীনের জামিন মঞ্জুর করেছেন উচ্চ আদালত। জয়নাল আবেদীনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। জয়নাল আবেদীন বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন।

সর্বশেষ সংবাদ