বন্দর থানায় বিভিন্ন অপরাধে ৭০ মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় মার্চ মাসে বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে ৭০টি। এর মধ্যে মাদক মামলা দায়ের হয়েছে ৫২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২টি, ধর্ষণ মামলা ২টি, চুরি মামলা ২টি, অপমৃত্যু ১টি এবং অন্যান্য মামলা হয়েছে আরো ১২টি। তবে মার্চ মাসে বন্দর থানায় কোন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেনি।

থানা সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানায় দায়েরকৃত ৫২টি মাদক মামলায় ৮০জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মাদক উদ্ধার হয়েছে ৫হাজার ৭’শ ১৩ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৫কেজি ১৫০ গ্রাম গাঁজা, ১০ বোতল ফেন্সিডিল, ১২লিটার মদ ও ৬ গ্রাম হেরোইন।

বন্দর থানা পুলিশ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাঁজাপ্রাপ্ত ২ পলাতক আসামি ছাড়াও জিআর মামলার ওয়ারেন্টে ৪৩ জন এবং সিআর মামলার ওয়ারেন্টে ২০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, মার্চ মাসে বন্দর থানায় মাদক মামলা ৫২টি দায়ের হয়েছে। বন্দর থানা পুলিশ পেশাদারিত্বের সহিত কাজ করছে। আমরা চেষ্টা করছি বন্দর উপজেলাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করার জন্য। এ জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করি।

ট্রলার ডুবে নিখোঁজ নির্বাচন কর্মকর্তা, ১ লাশ উদ্ধার, আহতদের দেখতে ইসি সচিব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন শেষে ট্রলার যোগে ফেরার পথে ঝড়ের কবলে ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া আহতদের দেখতে হাসপাতালে আসেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলাল উদ্দিন। ১ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া আহত ১২ জনকে দেখতে আসেন তিনি। এসময় ইসি সচিব আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং তাদের সহানুভূতি জানান।

এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এ দূর্ঘটনা অত্যন্ত দু:খজনক। এটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ যে কোন সময়, যে কেউ এমন দূর্যোগের শিকার হতে পারেন। তবে আরো সতর্ক হলে দূর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা এড়ানো যেতো।

বিগত নির্বাচনে এখানে স্পিডবোটের ব্যবস্থা থাকলেও এ নির্বাচনে ট্রলারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। কোন অনিয়ম হলে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, দূর্ঘটনার শিকার আহত প্রত্যেককে ইসির পক্ষ থেকে ২০ হাজার ও নিহতদের পরিবারকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

এসময় ইসি সচিবের সাথে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: রাব্বী মিয়া, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার, সোনারগাঁও নির্বাচন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: হালিমা খাতুনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা।

পিতা মাতা সবচেয়ে বড় নিয়ামত: আল্লামা আহমাদ শফী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের একটি অনুষ্ঠানে শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমাদ শফী মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে বলেছেন, যারা দুনিয়াতে ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে চলাফেরা করেছেন, আল্লাহ-রাসুলের নির্দেশ মতে আমল করেছেন, হাসরের ময়দানে তারা মুমিন হয়ে তাদের সঙ্গেই সাক্ষাত হবে। শ্রেষ্ঠনবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) এর সুন্নতকে জিন্দা রেখে দাড়ি রেখে ৫ ওয়াক্ত নামাজ কাযা করে নাই তাদের নিবাস হবে জান্নাতের সুপরিসর স্থানে।

তিনি আরো বলেন, দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে নিজেকে উজার করে দিওনা। বেচে থাকতে পিতা-মাতাকে যারা অবহেলা করবে, অবজ্ঞা করবে তারা যত আমলই করুক আর যত বড় পীরের মুরিদই হোক কোন কাজে আসবেনা। পিতা-মাতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় নিয়ামত। সময় থাকতে যারা আখেরাতের জন্য সঞ্চয় করবেন পরকালে তাদের জন্য রয়েছে শান্তি আর শান্তি।

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জামিয়া হাজী শাহজাদী বাইতুল কুরআন মাদ্রাসায় অধ্যয়ণরত ফারেগীন ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান উপলক্ষে ইসলামী মহা সম্মেলণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ এপ্রিল সোমবার মাহমুদনগর হাজী তাহের আলী ডকইয়ার্ড মাঠে এই মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শাইখুল আরব ওয়াল আজম আওলাদে রাসুল আল্লামা হুসাইন আহামাদ মাদানী (রহঃ) খলিফা শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমাদ শফী দা.বা.।

প্রধান অতিথি ও প্রধান মেহমান হিসেবে তিনি সূদুর চট্রগাম হাটহাজারী থেকে হেলিকপ্টার যোগে নারায়ণগঞ্জ বন্দর সোনাকান্দার ঐতিহ্যবাহী হাট সংলগ্ন মাঠে দুপুরে প্লেনে করেন। পরবর্তীতে প্রাইভেটকারে মাহমুদনগর জামিয়া হাজী শাহজাদী বাইতুল কুরআন মাদ্রাসায় মধ্যাহ্যভোজ শেষে মাহমুদনগর হাজী তাহের আলী ডকইয়ার্ড প্রাঙ্গন মহাসম্মেলনে অংশ নেন।

জামিয়া হাজী শাহজাদী বাইতুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সালাম মিয়ার সভাপতিত্বে মহাসম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বেফাক) আল্লামা আব্দুল কুদ্দুছ দা.বা, নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি আল্লামা আব্দুল আউয়াল দা.বা, আমলাপাড়া মাদ্রাসার মহতামিম আল্লামা আব্দুল কাদির দা.বা, জামিয়া হাজী শাহজাদী বায়তুল কুরআন মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা ছগির আহমেদ দা.বা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর্সফুলি শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, কদমতলী চাউল আড়ৎ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, অত্র মাদ্রাসার সেক্রেটারী সোহেল করিম রিপন, কদমতলী স্টীল মিলের এমডি সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্টীল এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ ফজলুল হক বকুল ও মাহমুদ নগর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমূখ।

পরিশেষে শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমাদ শফী অত্র মাদ্রাসার ১৬জন মুফতি ও ২০জন হাফেজকে পাগরী পড়িয়ে সম্মাননা প্রদান শেষে বিকেল ৪টায় হেলিকপ্টারযোগে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

সোনারগাঁয়ে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের সন্ত্রাসী হামলায় নারী সহ আহত ৫

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের সন্ত্রাসী হামলায় ৫ জন বিজয়ী নৌকা প্রার্থীর সমর্থক আহত হয়েছেন। যার মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের পরিবারের অভিযোগ- নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ায় তার সমর্থকদের বেশ কয়েকটি বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকেরা।

জানাগেছে, ৩১ মার্চ রবিবার রাতে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মান্দারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা রামদা, ছুরি, দেশীয় তৈরী পিস্তল, ককটেল ও বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে নৌকার সমর্থক জয়নাল আবেদীন, ডাঃ মোঃ বোরহান উদ্দিন, হাজী আবুল হোসেন, হাজী আব্দুস সালাম, নুরুদ্দিন, আরাফাত আলী, বিল্লাল, শরীফ, মাইনুদ্দিনের বাড়িঘর ভাংচুর করে লুটপাটসহ ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। হামলায় মোঃ নুরুদ্দিন নামে একজনের অবস্থা গুরুত্বর। তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এলাকাবাসী জানান, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গত রবিবার আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মোশারফ হোসেন বিজয়ী হন। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ায় উপজেলার বারদী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের সমর্থক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মান্দারপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবু মেম্বার ওরফে হাবু ডাকাতের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী জাকির, ফালান, ফারুক, রহিম, ডালিম ও মোতালিবসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা প্রথমে এলাকায় ককটেল ফাঁটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে হাবু ডাকাত তার সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, ছুরি, দেশীয় তৈরী পিস্তল ও বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে নৌকা প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সমর্থক জয়নাল আবেদীনসহ একই গ্রামের ডাঃ মোঃ বোরহান উদ্দিন, হাজী আবুল হোসেন, আরাফাত আলী, বিল্লাল, শরীফ, মাইনুদ্দিনের বাড়িঘর ভাংচুর করে লুটপাট। এসময় হামলাকারীরা ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। ঘটনার সময় বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারীরা নুরুদ্দিনকে একা পেয়ে তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে তার হাতে, পাঁয়ে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করে। এসময় তারা বাড়িতে বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় এসময় আহত নুরুদ্দিনের ডাক-চিৎকার শুনে তার স্বজনরা আহত নুরুদ্দিনকে উদ্ধার করে দ্রুত সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

এদিকে হামলায় আহত ডাঃ মোঃ বোরহান উদ্দিন অভিযোগ করেন, আমি দীর্ঘ বছর ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ঘটনার দিন গত রবিবার সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা সকলে মিলে ভোট কেন্দ্রে ছিলাম। সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মক আহত নুরুদ্দিন ভোট প্রদান শেষে বাড়ীতে ফিরার পর পরই স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের ঘোড়ার প্রতীকের সমর্থক হাবিবুর রহমান হাবু মেম্বার ওরফে হাবু ডাকাত তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রথমে এলাকায় ককটেল ফাঁটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে এবং বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। সন্ত্রাসী হাবু ডাকাত দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। সে সহ তার লোকজন বিভিন্ন অপরাধ ও অপকর্মের সাথে জড়িত এবং সে কয়েকটি মামলার আসামীও। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সে আমাদেরকে দীর্ঘদিন যাবত ঘোড়া প্রতিকে ভোট দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীরা সন্ত্রাসী হাবু মেম্বার ওরফে হাবু ডাকাতের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার চান। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান হাবু মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। তবে আমার কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।

হাসনাত পরিবারেই সোনারগাঁবাসীর আস্থা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অবশেষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগ পরিবার হিসেবে পরিচিত সেই হাসনাত পরিবারের উপরই আস্থা রেখেছে সোনারগাঁবাসী। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নানা জল্পনা কল্পনা গুজব প্রপাগান্ডার পর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন হাসনাত পরিবারের সদস্য মোশারফ হোসেন। যার পক্ষে সরাসরি মাঠে কাজ করেছিলেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। মুলত হাসনাত পরিবারের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতেই এখানে নৌকা প্রতীকটি হাসনাত পরিবারের উপর তুলে দেন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে এখানে মহাজোটকে দুইবার আসনটি ছেড়ে দিলেও এবার সুযোগ করে দেয় হাসনাত পরিবারকে। আর ভোট দিয়ে হাসনাত পরিবারকেই বেছে নিয়েছেন সোনারগাঁয়ের মানুষ।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বলছেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে পরাজয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক অস্তিত্বের লড়াইয়েও হেরে গেল নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও তার সমর্থিত আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। রাজনৈতিক এই লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের পরিবার খ্যাত হাসনাত পরিবারের দুই সদস্য আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও তার চাচা মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে প্রায় ২৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মোশারফ হোসেন। এই নির্বাচনে মুল লড়াইটা ছিল স্থানীয় এমপির সঙ্গে হাসনাত পরিবারের।

জানাগেছে, ৩১ মার্চ রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ভোট গণনা শেষে রবিবার রাতে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্র্নিং অফিসার। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৩৮ ভোট এবং তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৬’শ ৫৯ ভোট। বেসরকারিভাবে মোশারফ হোসেনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে ঘিরে অস্তিত্বের লড়াইয়ে নামেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের পরিবার হিসেবে পরিচিত পাওয়া হাসনাত পরিবার। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন হাসনাত পরিবারের সদস্য মোশারফ হোসেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে লড়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম। এখানে মুলত মুল লড়াইটাই হয়েছে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের মধ্যে। খোকা ছিলেন কালামের পক্ষে আর মোশারফের পক্ষে ছিলেন কায়সার।

স্থানীয়রা আরও বলছেন, এখানে নির্বাচনে মাহফুজুর রহমান কালাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে হুমকির মুখে পড়তো হাসনাত পরিবার এবং হাসনাত পরিবারের দুই সদস্য কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। আবার মোশারফ হোসেন নির্বাচিত হওয়ায় এখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে হুমকির মুখে পড়লেন কালাম। সেই সঙ্গে চরম বিপাকে থাকবেন মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাও। সোনারগাঁয়ে তার প্রভাব বিস্তার নড়বড়ে হয়ে যাবে।

এর কারন হিসেবে সোনারগাঁয়ের মানুষ বলছেন, এখন উপজেলা পরিষদের যাবতীয় কাজ ও নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে হাসনাত পরিবারের হাতে। স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার এখন জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়ন ছাড়া আর কিছুই থাকবেনা সোনারগাঁয়ে। এমপি খোকা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে এখন এমপি খোকা ও মোশারফ হোসেনের লোকজনদের সঙ্গে হানাহানি মারামারি কিংবা টেহুারবাজি নিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলেও সেটা অনুমেয়। এক্ষেত্রে সোনারগাঁয়ে এমপি খোকার প্রভাব একেবারেই শূণ্যের কোঠায় চলে যেতে পারে। সেই সঙ্গে এমন পরাজয়ের ফলে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বর্তমানের প্রভাব হারাবেন কালাম। এখন হয়তো আবারো তাকে হাসনাত পরিবারের ছায়াতলে আসতে হতে পারে। ভবিষৎে জাতীয় নির্বাচন কিংবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখাটাই তখন কালামের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠতে পারে। সঙ্গে সোনারগাঁয়ে আবারো প্রভাব ফিরে পেতে যাচ্ছে হাসনাত পরিবার। হয়তো সোনারগাঁও থেকে নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসতে হবে এমপি খোকাকে।

আবার অনেকেই বলছেন, যদি কালাম ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যেতো তাহলে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের ঐতিহ্যবাহী হাসনাত পরিবারের রাজনীতি শেষের দিকে চলে যেতো। তখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির একক কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রন চলে যেতো কালামের হাতে। কালামের হাত ধরে সোনারগাঁয়ে টিকে থাকতে পারতেন এমপি খোকাও। সেই লড়াইয়ের কারনেই এমপি খোকা ওঠে পড়ে লেগেছিলেন কালামের পক্ষে বিজয়ের মালা ছিনিয়ে আনতে। কালামের পক্ষেই অবস্থান নিয়ে প্রতিশোধের সুুযোগ নিতে চেয়েছিলেন গোয়ালদির সেই সাবেক এমপি আনম বাহাউল হকও। কারন ২০০১ সালে হাসনাত পরিবারের বিরোধীতার কারনেই পরাজিত হয়েছিলেন বাহাউল। যে কারনে বাহাউলের ভাই সোনারগাঁয়ের পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান, শিল্পপতি ফেরদৌস ভূঁইয়া মামুন ও জেলা পরিষদের সদস্য ফারুক ভূঁইয়া কাজ করেছিলেন কালামের পক্ষে। তবে অস্তিতের লড়াইয়ে হাল ছাড়েনি হাসনাত পরিবার। ফলের জয়ের মালা গলায় নিয়ে এখন টিকে রইলো হাসনাত পরিবার।

এদিকে ঘোড়া প্রতীকে লড়েছিলেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে ছিলেন। তার পক্ষে ছিলেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। নির্বাচনের আগে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে খোকাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে মাঠে কাজ করেছিলেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া।

যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা কাজ করেছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী কালামের পক্ষে। কালামের পক্ষে কাজ করেছিলেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জহিরুল হক, ইউসুফ দেওয়ান, আব্দুর রউফ মোল্লা, আব্দুর রব, হা-মীম শিকদার শিপলু, মোশারফ ওমর, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া এবং পৌরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডে নির্বাচিত অন্তত ৯০ জন মেম্বারগণ। এসব চেয়ারম্যানদের অনেকেই নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারা কাজ করেছিলেন নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। মনোনয়ন বাছাইয়ে মোশারফ হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। কিন্তু নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তারপর নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তিনি। ওই নির্বাচনে খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন কালাম এবং মোশারফ হোসেন কাজ করেছিলেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে।

এমপি খোকা ও কালামে বলির পাঠা এবার ইকবাল!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা নিয়েই পরাজিত হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী। তারই ভাই উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষানুরাগী আবু নাইম ইকবালের ব্যাপক জনপ্রিয়তার পরেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হয়েছেন। এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য পদেও তিনি নির্বাচন করে পরাজিত হন। তাদের দুই ভাইয়ের পরাজয়ের প্রধান কারন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম।

জানাগেছে, গত সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক পান অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী। ওই নির্বাচনে ফজলে রাব্বীর পক্ষে ছিলেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের আওয়ামীলীগের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। একদিকে তারা ফজলে রাব্বীর পক্ষে নৌকা প্রতীক আনতে কাজ করেন।

অন্যদিকে প্রতীক পাওয়ার আগেই সোনারগাঁয়ের আমিনপুর মাঠে বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমানের হাতে ফুলের নৌকা তুলে দেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সহ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম। তারা চেয়েছিলেন সাদেকুর রহমানই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোনিত হোক।

কিন্তু তাদের টপকিয়ে ফজলে রাব্বীর জন্য নৌকা প্রতীক নিয়ে আসেন নজরুল ইসলাম বাবু ও কায়সার হাসনাত। প্রাথমিকভাবে নৌকা প্রতীক আনার লড়াইয়ে জয়ী হয়েছিলেন তারা। কিন্তু নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাড় করানো হয় সাদেকুর রহমানকে। যার পিছন থেকে কাজ করেছিলেন শামীম ওসমান, লিয়াকত হোসেন খোকা ও মাহফুজুর রহমান কালাম। তাদের বিরোধীতার কারনে ফজলে রাব্বীর ক্লিন ইমেজ এবং ভোটের জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও নৌকা প্রতীক নিয়েও বিজয়ী হতে পারেননি। ওই নির্বাচনে ফজলে রাব্বীর পরাজয়ের জন্য কাজ করেছিলেন এই খোকা ও কালাম।

এরপর ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচনে ছিলেন আবু নাইম ইকবাল। ওই নির্বাচনের আগেই ফজলে রাব্বী রাজনীতিতে বলয় পরিবর্তন করে কালামের বলয়ে চলে যান। কিন্তু আবু নাইম ইকবাল স্থানীয় এমপি খোকার খুব কাছের লোক হিসেবেই সকল উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভুমিকা রেখে আসছিলেন। নির্বাচনে সদস্য পদে তার প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন ফারুক হোসেন ভূঁইয়া। এই ফারুক ভুইয়া হলেন মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়ার ভাই। নির্বাচনে কায়সার হাসনাত ও সাদেকুর রহমান ভূ্্ঁইয়া এক হয়ে ইকবালকে পরাজিত করেন। এই নির্বাচনে খোকা ও কালাম ছিলেন ইকবালের পক্ষেই। কিন্তু ফজলে রাব্বী বলয় পরিবর্তন করায় কায়সার হাসনাত বলয়ের নেতারা ফারুক ভূঁইয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়। ফলে এখানে খোকা ও কালামের জন্য পরাজিত হন ইকবাল। যদিও নির্বাচনে সমান ভোট পাওয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণে পরাজিত হন ইকবাল।

অন্যদিকে ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাড়ান ইকবাল। কয়েক বছর ধরে এলাকার শিক্ষার উন্নয়ন ও ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে ভুমিকা রেখে অনেক আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে এবারও এমপি খোকা ও কালামের বলির পাঠা হয়েছেন ইকবাল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে অন্যসব প্রার্থীদের চেয়ে বেশি আলোচনায় ও কাজ কর্মেও ছিলেন এগিয়ে। কিন্তু ভোটের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মেরুকরণের কারনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে পারেননি।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই থেকে স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার আশ^াসেই মাঠে নেমেছিলেন ইকবাল। কিন্তু নির্বাচনের মুহুর্তে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন ওমর। এই বাবুল হোসেন ওমর হলেন কাচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমরের আপন ছোট ভাই। সোনারগাঁয়ে আলোচিত জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম থেকে সমর্থনের ঘোষণা দেয়া হয় বাবু ওমরের পক্ষে। কিন্তু এই ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন এমপি খোকা। সেখান থেকেই রহস্যের শুরু।

স্থানীয়রা বলছেন- নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান মোশারফ হোসেন যিনি কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। মনোনয়ন বঞ্চিত হন কালাম। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ঘোড়া প্রতীকে লড়াই করে পরাজিত হলেন। তার পক্ষে ছিলেন এমপি খোকা, পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিরা। নির্বাচনে কাচপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভোটার। যেখানে ৪৫হাজার ভোট রয়েছে। এখানকার ভোটগুলো ঘোড়া প্রতীকে নেয়ার কৌশল হিসেবে বাবু ওমরকে সমর্থন দেয় জনপ্রতিনিধি ফোরাম।

এমন পরিস্থিতিতে এমপি খোকা মিডিয়াতে দেন দোলাবরা বক্তব্য। তিনি বলেছিলেন, বাবু ওমর ও ইকবাল দুজনই আমার লোক। আপনারা যাকে খুশি ভোট দিয়েন। এই বক্তব্যের পর কিছু জনপ্রতিনিধি ইকবালের পক্ষ নেয়। কিন্তু ভিতরে কালামকে মোশারফ ওমর মাইনাস করে কাচপুরের ভোট নৌকা প্রতীকে দেয়ার জন্য নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সঙ্গে গোপনে আতাত করেন। যেখানে নৌকার প্রার্থী বাবু ওমরের পক্ষেই গোপন সমর্থন জানান। সেই সুযোগে নৌকার সঙ্গে বিজয়ী হয়ে গেলেন বাবু ওমরও। বলির পাঠা হলেন আবু নাইম ইকবাল। মুলত কালামকে পাশ করাতে গিয়ে কাচপুরের বাবু ওমরকে সমর্থন দিয়েছিল এমপি খোকার নেতৃত্বাধীন জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম। কিন্তু সেই বাবু ওমরের ভাই চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর গোপনে ভোট আদায় করতে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে মিলে যান।

পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবায় ফতুল্লা ছাত্রলীগের আয়োজন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়ে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা এবং অপেক্ষমান অভিভাবকদের বসার স্থানের ব্যবস্থা করে দিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ১ এপ্রিল সোমবার ফতুল্লার সস্তাপুরে কমর আলী হাই স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সেবামূলক কর্মসূচিগুলো পালন করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়া রেজা হিমেলের পক্ষে ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা রেজওয়ান করিমের আয়োজনে সেবামূলক কর্মসূচিটি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা সজল, ওমর, শিমন, সাব্বির, সামির, সাকিব, লিয়ন, অলি ও সোহান প্রমূখ।

উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করাই ছাত্রলীগের কাজ। তাই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোন প্রকার অসুবিধা যাতে না হয় সেজন্য ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়া রেজা হিমেলের দিকনির্দেশনায় আমরা এই কর্মসূচি পালন করেছি।

খালেদা জিয়ার জন্য নিজের জীবন দিতে পারি: মাসুকুল ইসলাম রাজীব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারের জন্য নিজের জীবন দিতে পারেন বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। তিনি বলেছেন, আমি নিঃস্বার্থভাবে আত্মত্যাগ করার মানসিকতা রাখি। আমি দলের প্রয়োজনে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়োজনে, জিয়া পরিবারের জন্য নিজের জীবন দিতে পারি। সে কারনেই আমি প্রতিবাদ করতে পারি। সুতরাং ভয়ের কিছু নাই। আমি কারো চাকুরী করি না। কারো পয়সায় চলি না। দল করি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এবং জিয়া পরিবারের জন্য।

তিনি আরও বলেছেন, বিএনপির ব্যর্থতার জন্যই আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেল খাটছেন। আর কতদিন অন্যায় দেখে চুপ করে থাকবেন সিনিয়র নেতারা? শেখ হাসিনার সরকারের সমালোচনা করেন কিন্তু আমি সরকারের সমালোচনা করতে ইচ্ছুক নই। এই কারনেই নই সরকার আমাদের দূর্বলতা পেয়েছে, দূর্বল থেকে দূর্বলত্ব করে দেয়ার সুযোগ আমরাই করে দিয়েছি। যে কারনে সরকার আজকে আমাদের উপর জুলুম করতে পেরেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বালুর ট্রাক দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশে লাখ লাখ নেতাকর্মী ছিল। ঢাকায় হাজার হাজার নেতাকর্মী ছিল। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় গেলে তাদের জন্য নারায়ণঞ্জের নেতাকর্মীরা লাথি আর থাক্কায় দাড়াতে বসতে পারতোনা। তাদের অত্যাচারে। কিন্তু নেত্রীকে যেদিন বালুর ট্রাক দিয়ে আটকে রাখা হলো সেদিন একজন লোক, একজন বিএনপি নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্ধার করতে যাননি। তাহলে কেন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার মুল্যায়ন করবে? যারা লাখ লাখ নেতাকর্মী আছে তাকে তার বাড়ির সামনে দুই দিন বালুর ট্রাক দিয়ে আটকে রাখা হলো সেখানে একজন নেতাকর্মীরা গেল না। তাকে তো সরকারের পূজা করার কিছু নেই। সেটাই করেছে সরকার। বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল করে খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে আসলেন।

৩১ মার্চ রবিবার বিকেলে মাসদাইরে মজলুম মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা: গণতন্ত্র দেশনেত্রীর মুক্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মাসুকুল ইসলাম রাজীব।

এর আগে তিনি বলেন, স্বাধীনতায় অবদান রেখেছিলেন আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। তিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই গণতন্ত্র আজকে বাংলাদেশ থেকে বিলিন হয়ে গেছে।


আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা গুলি খেয়েছেন, মামলা খেয়েছেন এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারাও দলের পদ পদবী পায়না। কিন্তু যারা প্রকাশ্যে সরকারি দলের রাজনীতি করে, আওয়ামীলীগ করে, জাতীয়পার্টি করে তারাই দলের কমিটিতে বড় বড় পদ পদবী পায়। বিস্ময় প্রকাশ করে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

তিনি বলেছেন, আমার মত যারা গুলি খেয়েছেন তারাও এখন দলের পদ পদবী পায়না। তারপরেও আমরা রাজনীতিটা করি দলকে ভালবাসি বলেই।

তিনি দাবি করেন-দলটা এখন কোন সাংগঠনিক নিয়মে চলছে না। চলছে এখন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাধ্যমে। দল তিনটি ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নাই। এক এগারো থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করে নাই। দলের দুঃসময় আসবে। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করেনি। আমি বলেছিলাম দলে তিনটি তালিকা করতে হবে। যেখানে একটা তালিকায় থাকবেন যারা ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন। আরেকটা তালিকা হবে যারা নির্বাচনটা করে নাই। তৃতীয় তালিকায় থাকবে যারা নির্বাচন করছে কিন্তু দলের বিরোধীতা করে আওয়ামীলীগ জাতীয়পার্টির পক্ষে কাজ করেছেন তাদের একটা তালিকা।

আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, যারা হামলা মামলা নির্যাতনের ঝুকি নিয়ে নির্বাচনটা করেছে আমি মনে করি তাদের হাতেই দলের দায়িত্বটা দিতে হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যারা প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের মঞ্চে ওঠে নৌকার পক্ষে কাজ করেছে, যারা জাতীয়পার্টির মঞ্চে ওঠে লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করেছে তাদেরকে দিয়েই কমিটি হচ্ছে। আমি বিএনপি করব। নিজস্ব স্টাইলে করব। কিন্তু এদের সঙ্গে কোন রাজনীতি করবনা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে এ ছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, প্রবীণ বিএনপি নেতা জামাল উদ্দীন কালু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খাজা, মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সহ-সভাপতি মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনু, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভূঁইয়া, আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান খান খোকা, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাছির উদ্দীন, জেলা শ্রমিকদল নেতা রবি মেম্বার, মহানগর বিএনপি নেতা শাহজাহান খন্দকার, আবুল কালাম আজাদ, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন আহমেদ রিয়াদ, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, মহানগর যুবদল নেতা সরকার আলম, আল আমিন খান, সরকার মুজিব, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, বন্দর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতা শাহাদুল্লাহ মুকুল প্রমূখ।

গুলি খেয়েও পদ পায়না কিন্তু সরকারি দল করে পদ পায়: তৈমূর

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা গুলি খেয়েছেন, মামলা খেয়েছেন এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারাও দলের পদ পদবী পায়না। কিন্তু যারা প্রকাশ্যে সরকারি দলের রাজনীতি করে, আওয়ামীলীগ করে, জাতীয়পার্টি করে তারাই দলের কমিটিতে বড় বড় পদ পদবী পায়। বিস্ময় প্রকাশ করে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

তিনি বলেছেন, আমার মত যারা গুলি খেয়েছেন তারাও এখন দলের পদ পদবী পায়না। তারপরেও আমরা রাজনীতিটা করি দলকে ভালবাসি বলেই।

তিনি দাবি করেন-দলটা এখন কোন সাংগঠনিক নিয়মে চলছে না। চলছে এখন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাধ্যমে। দল তিনটি ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নাই। এক এগারো থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করে নাই। দলের দুঃসময় আসবে। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করেনি। আমি বলেছিলাম দলে তিনটি তালিকা করতে হবে। যেখানে একটা তালিকায় থাকবেন যারা ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন। আরেকটা তালিকা হবে যারা নির্বাচনটা করে নাই। তৃতীয় তালিকায় থাকবে যারা নির্বাচন করছে কিন্তু দলের বিরোধীতা করে আওয়ামীলীগ জাতীয়পার্টির পক্ষে কাজ করেছেন তাদের একটা তালিকা।

৩১ মার্চ রবিবার বিকেলে মাসদাইরে মজলুম মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা: গণতন্ত্র দেশনেত্রীর মুক্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার।

আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, যারা হামলা মামলা নির্যাতনের ঝুকি নিয়ে নির্বাচনটা করেছে আমি মনে করি তাদের হাতেই দলের দায়িত্বটা দিতে হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যারা প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের মঞ্চে ওঠে নৌকার পক্ষে কাজ করেছে, যারা জাতীয়পার্টির মঞ্চে ওঠে লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করেছে তাদেরকে দিয়েই কমিটি হচ্ছে। আমি বিএনপি করব। নিজস্ব স্টাইলে করব। কিন্তু এদের সঙ্গে কোন রাজনীতি করবনা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে এ ছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, প্রবীণ বিএনপি নেতা জামাল উদ্দীন কালু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খাজা, মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সহ-সভাপতি মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনু, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভূঁইয়া, আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান খান খোকা, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাছির উদ্দীন, জেলা শ্রমিকদল নেতা রবি মেম্বার, মহানগর বিএনপি নেতা শাহজাহান খন্দকার, আবুল কালাম আজাদ, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন আহমেদ রিয়াদ, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, মহানগর যুবদল নেতা সরকার আলম, আল আমিন খান, সরকার মুজিব, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, বন্দর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতা শাহাদুল্লাহ মুকুল প্রমূখ।

সোনারগাঁয়ে ঝড়ের কবলে ট্রলার ডুবিতে নির্বাচন কর্মকর্তারা, পুলিশ সহ নিখোঁজ ৩

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে নদী পথে ফেরার সময় ট্রলার ডুবির ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা সহ তিন নির্বাচন কর্মকর্তারা নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মেঘনা শাখার ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন, পুলিশের পিএসআই সেলিম মিয়া এবং অজ্ঞাত একজন নারী আনসার সদস্য।

ট্রলার ডুবির পর নিখোঁজের সন্ধানে কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রবিবার ছিল সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। বিকেলে ভোট গণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, আনসার ও পুলিশ সদস্য সহ ১৯জন চর কিশোরগঞ্জ বাজার থেকে উপজেলা রিটার্নিং অফিসের উদ্দেশ্যে একটি ট্রলারে চড়ে মেঘনা নদী পার হচ্ছিল। ট্রলারটি গলাটি এলাকায় পৌঁছালে নদীর মধ্যে হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা ১৬জন সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ৩জন।

বন্দরের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্বাচনী দায়িত্ব শেষে নদী পথে চর কিশোরগঞ্জের বালুর ঘাট থেকে সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ট্রলারটি। ট্রলারটি মাঝ নদীতে আসার কিছুক্ষণ পরই ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযানে কাজ শুরু করেছে। তবে ওই ট্রলারে কতজন ছিল তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ট্রলারটি উল্টে যাওয়ার কারণে অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। তবে নদী উত্তাল থাকায় ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সামগ্রী, আনসার সদস্য ও পুলিশের অস্ত্রের খোয়া গিয়েছি কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফতুল্লা পাগলার কোস্টগার্ডের সাব লেঃ এম মমতাজুল আসিফ জানান, নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে মেঘনা নদীতে ট্রলার উল্টে যাওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোষ্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা ১৬ জনকে অখ্যাত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৬জন তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তার মধ্যে একজন পুলিশের সদস্য রয়েছেন। অস্ত্র ও গুলির ও ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সামগ্রী কি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ