সোনারগাঁয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে ইউপি মেম্বার সহ দুজনের কারাদন্ড

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়ের প্রতীকের প্রার্থী বাবু ওমরের পক্ষে জাল ভোট দেয়ায় অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য ও আরেকজন সমর্থককে কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুল ইসলাম তাদের এ কারাদন্ড প্রদান করেন।

জানাগেছে, রবিবার উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে বাবু ওমরের ২ সমর্থক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু ওমরের পক্ষে টিউবওয়ের প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তাদের নাম, বাবার নাম ও এলাাকা সঠিকভাবে বলতে না পারায় আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহ আলমকে একদিনের ও নিজামউদ্দিন নামের আরেকজনকে ১৫ দিনের সাজা প্রদান করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুল ইসলাম।

মহানগর বিএনপির কর্ণধার সাখাওয়াত, কমিটি নিয়ে কালাম কামালের কারসাজি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আবুল কালাম যখন শারীরিকভাবে অসুস্থ্য ও সেক্রেটারি এটিএম কামাল যখন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তখন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিকে সচল রেখে আসছেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। অনেকটা মহানগর বিএনপির রাজনীতি তিনিই সচল রেখেছেন এবং মহানগর বিএনপির কর্ণধার হিসেবে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন সেই সাখাওয়াত হোসেন খানকে নিয়ে বিএনপির মধ্যেই চলছে ষড়যন্ত্র। এমন অভিযোগ রাজপথের সক্রিয় নেতাকর্মীদের।

নেতাকর্মীদের দাবি- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে রাজনীতির হাল ধরেন দেশব্যাপী আলোচিত নারায়ণগঞ্জের এই আলোচিত আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। বয়েসের বাড়ে অসুস্থ্য সাবেক এমপি অ্যাডকোকেট আবুল কালাম যখন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির হাল ছেড়ে দেন তখন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি হয়ে পড়ে অভিভাবকহীন। ঠিক এ সময়েই দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলন সংগ্রামে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির হাল ধরেন রাজপথের সক্রিয় এই নেতা নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সফল সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। সাখাওয়াতের হাতেই এখন অভিভাবকহীন মহানগর বিএনপির নিয়ন্ত্রণ চায় তৃণমূল বিএনপি। তৃণমূলে দাবি তাদের একমাত্র ভরসা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানই।

জানাগেছে, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর থেকেই সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতি নিজের ড্রয়িং রুমে ফ্রেম বন্দির মত করে রাখেন। এক সময়কার রাজপথের নেতা এটিএম কামালও নিজেকে নেন গুটিয়ে। কমিটি গঠনের কয়েক মাসের মাথায় এটিএম কামাল ঘর থেকে বেড়িয়ে আসলেও রাতের আধারে দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান সুদূর আমেরিকায়। চলে আসেন জাতীয় নির্বাচনের আগ নাগাদ। তা নিয়ে বিষয়টি নেতাকর্মীদের কাছে রহস্যে ঘেরা।

নেতাকর্মীরা বলছেন- সভাপতি ও সেক্রেটারির নিষ্ক্রিয়তায় যখন নারায়ণগঞ্জ মহানগর অচল হয়ে যাওয়ার অবস্থা তখন বীরের বেশে এসে নেতাকর্মীদের মনে আশার আলো দেখান রাজপথ কাঁপানো সংগ্রামী কারানির্যাতিত নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান। আজ অবধি রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম আর মাথার উপর ছায়া দানের জন্য নেতাকর্মীদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে এখনো টিকে আছেন সংগ্রামী ও মামলায় জর্জরিত বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ানো সাখাওয়াত হোসেন খান। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির একমাত্র ভরসা সাখাওয়াত হোসেন খান।

অথচ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাখা হয় তাকে তৃতীয় সহ-সভাপতি পদে। যদিও ওই কমিটি আটকে গেছে নানা সমালোচনার মুখে। বিগত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা সরাসরি বিএনপির দলের বাহিরে গিয়ে জাতীয় পার্টির নির্বাচন করেছিলেন আতাউর রহমান মুকুল ও শওকত হাশেম শকু। তাদেরকে সামনে এনে সেই সাখাওয়াত হোসেন খানকে পিছনে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া গঠন করে কেন্দ্রে জমা দেন কালাম ও কামাল। সরকারি দলের হয়ে কাজ করা নেতাদের সামনে রেখে কমিটি তৈরি করতে চান তারা। অথচ মহানগর বিএনপির রাজনীতিকে সচল রাখা সাখাওয়াতকে রাখতে চান পিছনে।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন দলের দুঃসময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছেন। আরও কজন নেতাকর্মী বলেন, গোল্লাছুট খেলার মত নেতা ও বিরোধীদলে থেকেও সরকার দলীয় নেতাদের সাথে আতাঁত করে ব্যবসা বানিজ্য করছেন। অথচ তাদেরকে বড় বড় পদে রেখে সক্রিয় নেতাদের পিছনে রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্তু কালাম ও কামাল। এমন নেতাকর্মীদের অভিযোগ। আরও অভিযোগ- তারা সরকারি দলের প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। সেই প্রজেক্ট বাস্তবায়নেই তারা মুকুল ও শকুদের মত নেতাদের মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সামনে রেখে সাখাওয়াতকে পিছনে রাখার মিশনে নেমেছেন।

জানাগেছে, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছিলেন। সেলিম ওসমানের জনসভায় গিয়ে সেলিম ওসমানকেই এমপি হিসেবে দেখতে চান বলেও ঘোষণা দেন তিনি। নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এসএম আকরামের এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন মুকুল। যা অভিযোগ করেছিলেন এসএম আকরাম।

মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাশেম শকু। তিনিও মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করেছিলেন। এমনকি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের পক্ষে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে মারধর ও হুমকি ধমকি দিয়েছিলেন। যা সংবাদ সম্মেলন করে কাসেমী অভিযোগ করেছিলেন। মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করতে যত টাকা লাগে তা দিবেন হান্নান সরকার। এসব নেতাদের মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে উপরের পদে রেখে সাখাওয়াত হোসেন খানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে নিচে নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন শীর্ষ দুই নেতা। এর পিছনে সরকারি দলের টাকার গন্ধ দেখছেন নেতাকর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জে তিন উপজেলায় নৌকার বিজয়, বিদ্রোহীরা ধরাশয়ী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নারায়ণগঞ্জের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। তিনটি উপজেলায় আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের তিন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তিনটি উপজেলা পরিষদেই ছিলেন আওয়ামীলীগের তিন বিদ্রোহী প্রার্থী। যারা ভোটের হিসেবে রীতিমত ধরাশয়ী হয়েছেন নৌকা প্রার্থীদের কাছে। নির্বাচনের শুরুতেই স্থানীয় তিন এমপির বিরোধীদের হাতে আওয়ামীলীগ তুলে দেয় নৌকা প্রতীক। নির্বাচন নাগাদ তিন জনের মধ্যে দুই এমপি নৌকার পক্ষে কাজ করলেও সোনারগাঁয়ে মহাজোটের এমপি ছিলেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গেই। রবিবার রাতে তিনটি উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

৩১ মার্চ রবিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের লড়াই। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন মোল্লা লড়েছেন। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হেলো সরকার পেয়েছেন ৮০ হাজার ৫৮ ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্ধি ইকবাল হোসেন মোল্লা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৭ হাজার ৮শ ৮৯ ভোট।

এখানে পরাজিত প্রার্থী ইকবাল হোসেন মোল্লা হলেন স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ভাগনে। এর আগে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহ করে মনোনয়ন দাখিল করলেও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু অনড় থাকেন ইকবাল হোসেন মোল্লা। এখানে নৌকার প্রার্থী হেলো সরকারের চেয়ে বেশি প্রচারণায় ছিলেন ইকবাল হোসেন মোল্লা। যদিও দুজনেই ঢিমেতালে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালান।

এখানে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্বন্ধি না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় অনেক আগেই নির্বাচিত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম ও ঝর্না রহমান। মুলত এখানে চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াই হলেও নির্বাচনী আমেজ ছিল অনেকটা একতরফাই। স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবু সহ আওয়ামীলীগের নেতারা ছিলেন নৌকার পক্ষেই।

এছাড়াও জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এখানে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন উপজেল আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি ৮২ হাজার ২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তাবিবুল কাদির তমাল ৮ হাজার ৯’শ ৯৫ ভোট পেয়েছেন। তবে নির্বাচনে দুপুরেই চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বাদে বাকি সাত প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ সোহেল ভূঁইয়া চশমা প্রতীকে ৭৭ হাজার ৪’শ ৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আলম নীলা হাঁস প্রতীকে ৭৩ হাজার ৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

যদি নির্বাচনের আগেই নির্বাচনী প্রচারণায় বাধার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন তাবিবুল কাদির তমাল সহ অন্যান্য প্রার্থীরা। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন স্থানীয় এমপি এবং পাট ও বস্ত্র গাজী গোলাম দস্তসীর বীর প্রতীক। তার বিরুদ্ধেই নির্বাচনে বাধার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৭ জন প্রার্থী। তাদের অভিযোগ মন্ত্রী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন এবং বাধা দিচ্ছেন। মুলত এই ঘটনার আগে থেকেই নির্বাচন থেকে ছিটকে যান তাবিবুল কাদির তমাল।

অন্যদিকে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন। আওয়ামীলীগের এই নেতা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচাও তিনি। নৌকাকে বিজয়ী করতে পুরোদমে মাঠে নেমেছিলেন চাচা ও ভাতিজা। ঘোড়া প্রতীকে লড়াই করেছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে ভোট পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৬’শ ৫৯ ভোট পেয়েছেন। যেখানে ৭৩ হাজার ৩৮ ভোট বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন। এখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৬’শ ৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বাবু ওমর ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকে ২৪ হাজার ৩’শ ৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদা ইসলাম ফেন্সী।

এখানে নির্বাচনে স্থানীয় এমপি ও জাতীয় পার্টির নেতা লিয়াকত হোসেন খোকা ছিলেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষেই। যে কারনে বিদ্রোহী প্রার্থীর ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে খোকাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে মাঠে কাজ করেছিলেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া।

যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা কাজ করেছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী কালামের পক্ষে। কালামের পক্ষে কাজ করেছিলেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জহিরুল হক, ইউসুফ দেওয়ান, আব্দুর রউফ মোল্লা, আব্দুর রব, হা-মীম শিকদার শিপলু, মোশারফ ওমর, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া এবং পৌরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডে নির্বাচিত অন্তত ৯০ জন মেম্বারগণ। এসব চেয়ারম্যানদের অনেকেই নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারা কাজ করেছিলেন নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে। কিন্তু তবুও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পারেননি তারা।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। মনোনয়ন বাছাইয়ে মোশারফ হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। কিন্তু নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তারপর নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তিনি। ওই নির্বাচনে খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন কালাম এবং মোশারফ হোসেন কাজ করেছিলেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে।

সোনারগাঁয়ে জয়ী চাচা ভাতিজা, হেরে গেল এমপি খোকা ও কালাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে পরাজয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক অস্তিত্বের লড়াইয়েও হেরে গেল নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও তার সমর্থিত আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। রাজনৈতিক এই লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের পরিবার খ্যাত হাসনাত পরিবারের দুই সদস্য আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও তার চাচা মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে প্রায় ২৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মোশারফ হোসেন। এই নির্বাচনে মুল লড়াইটা ছিল স্থানীয় এমপির সঙ্গে হাসনাত পরিবারের।

জানাগেছে, ৩১ মার্চ রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ভোট গণনা শেষে রবিবার রাতে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্র্নিং অফিসার। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৩৮ ভোট এবং তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৬’শ ৫৯ ভোট। বেসরকারিভাবে মোশারফ হোসেনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে ঘিরে অস্তিত্বের লড়াইয়ে নামেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের পরিবার হিসেবে পরিচিত পাওয়া হাসনাত পরিবার। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন হাসনাত পরিবারের সদস্য মোশারফ হোসেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে লড়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম। এখানে মুলত মুল লড়াইটাই হয়েছে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের মধ্যে। খোকা ছিলেন কালামের পক্ষে আর মোশারফের পক্ষে ছিলেন কায়সার।

স্থানীয়রা আরও বলছেন, এখানে নির্বাচনে মাহফুজুর রহমান কালাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে হুমকির মুখে পড়তো হাসনাত পরিবার এবং হাসনাত পরিবারের দুই সদস্য কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। আবার মোশারফ হোসেন নির্বাচিত হওয়ায় এখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে হুমকির মুখে পড়লেন কালাম। সেই সঙ্গে চরম বিপাকে থাকবেন মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাও। সোনারগাঁয়ে তার প্রভাব বিস্তার নড়বড়ে হয়ে যাবে।

এর কারন হিসেবে সোনারগাঁয়ের মানুষ বলছেন, এখন উপজেলা পরিষদের যাবতীয় কাজ ও নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে হাসনাত পরিবারের হাতে। স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার এখন জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়ন ছাড়া আর কিছুই থাকবেনা সোনারগাঁয়ে। এমপি খোকা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে এখন এমপি খোকা ও মোশারফ হোসেনের লোকজনদের সঙ্গে হানাহানি মারামারি কিংবা টেহুারবাজি নিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলেও সেটা অনুমেয়। এক্ষেত্রে সোনারগাঁয়ে এমপি খোকার প্রভাব একেবারেই শূণ্যের কোঠায় চলে যেতে পারে। সেই সঙ্গে এমন পরাজয়ের ফলে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বর্তমানের প্রভাব হারাবেন কালাম। এখন হয়তো আবারো তাকে হাসনাত পরিবারের ছায়াতলে আসতে হতে পারে। ভবিষৎে জাতীয় নির্বাচন কিংবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখাটাই তখন কালামের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠতে পারে। সঙ্গে সোনারগাঁয়ে আবারো প্রভাব ফিরে পেতে যাচ্ছে হাসনাত পরিবার। হয়তো সোনারগাঁও থেকে নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসতে হবে এমপি খোকাকে।

আবার অনেকেই বলছেন, যদি কালাম ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যেতো তাহলে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের ঐতিহ্যবাহী হাসনাত পরিবারের রাজনীতি শেষের দিকে চলে যেতো। তখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির একক কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রন চলে যেতো কালামের হাতে। কালামের হাত ধরে সোনারগাঁয়ে টিকে থাকতে পারতেন এমপি খোকাও। সেই লড়াইয়ের কারনেই এমপি খোকা ওঠে পড়ে লেগেছিলেন কালামের পক্ষে বিজয়ের মালা ছিনিয়ে আনতে। কালামের পক্ষেই অবস্থান নিয়ে প্রতিশোধের সুুযোগ নিতে চেয়েছিলেন গোয়ালদির সেই সাবেক এমপি আনম বাহাউল হকও। কারন ২০০১ সালে হাসনাত পরিবারের বিরোধীতার কারনেই পরাজিত হয়েছিলেন বাহাউল। যে কারনে বাহাউলের ভাই সোনারগাঁয়ের পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান, শিল্পপতি ফেরদৌস ভূঁইয়া মামুন ও জেলা পরিষদের সদস্য ফারুক ভূঁইয়া কাজ করেছিলেন কালামের পক্ষে। তবে অস্তিতের লড়াইয়ে হাল ছাড়েনি হাসনাত পরিবার। ফলের জয়ের মালা গলায় নিয়ে এখন টিকে রইলো হাসনাত পরিবার।

এদিকে ঘোড়া প্রতীকে লড়েছিলেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে ছিলেন। তার পক্ষে ছিলেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। নির্বাচনের আগে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে খোকাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে মাঠে কাজ করেছিলেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া।

যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা কাজ করেছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী কালামের পক্ষে। কালামের পক্ষে কাজ করেছিলেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জহিরুল হক, ইউসুফ দেওয়ান, আব্দুর রউফ মোল্লা, আব্দুর রব, হা-মীম শিকদার শিপলু, মোশারফ ওমর, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া এবং পৌরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডে নির্বাচিত অন্তত ৯০ জন মেম্বারগণ। এসব চেয়ারম্যানদের অনেকেই নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারা কাজ করেছিলেন নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। মনোনয়ন বাছাইয়ে মোশারফ হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। কিন্তু নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তারপর নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তিনি। ওই নির্বাচনে খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন কালাম এবং মোশারফ হোসেন কাজ করেছিলেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে।

আড়াইহাজারে ইকবাল পারভেজের রাজনৈতিক বিজয়

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অবশেষে আড়াইহাজারের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে রাজনৈতিকভাবে বিজয়ী হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ। এই রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছেন স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন নিয়ে তুমুল লড়াইয়ে ছিলেন ইকবাল পারভেজ ও নজরুল ইসলাম বাবু। তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এসে রাজনৈতিকভাবে নিজের প্রভাব জানানি দিলেন ইকবাল পারভেজ।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর আপন ভাগনে ইকবাল হোসেন মোল্লা। এখানে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। নির্বাচনে কোন রকম লড়াই করতে পারেনি এমপি বাবুর ভাগনে ইকবাল হোসেন মোল্লা। নির্বাচনে ৮০ হাজার ৫৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হেলো সরকার। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ভাগনে ইকবাল হোসেন মোল্লা পেয়েছেন মাত্র ৭ হাজার ৮শ ৮৯ ভোট।

৩১ মার্চ রবিবার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শেষে বিকেলে ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। সন্ধায় ভোট গণনায় প্রায় বেশির ভাগ ভোটের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার।

এদিকে আরও জানাগেছে, আড়াইহাজারে আওয়ামীলীগ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি পক্ষের নিয়ন্ত্রনে বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাব। অপর পক্ষের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ। ইকবাল পারভেজের বলয়ে রাজনীতি করেন হেলো সরকার। এই নির্বাচনে এমপি বাবু চেয়েছিলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতো। এমপি এককভাবে কেন্দ্রে শাহজালাল মিয়ার নাম পাঠানোর প্রস্তাবও করেছিলেন। কিন্তু নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া ও মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার সহ আরও বেশকজন।

শেষবধি এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান হেলো সরকার। যেখানে পিছন থেকে কাজ করেছিলেন ইকবাল পারভেজ। তিনিই মুলত জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সেক্রেটারি আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের সুপারিশ নিয়ে হেলো সরকারের পক্ষে কাজ করেন এবং নৌকা প্রতীক পান হেলো সরকার।
নৌকা প্রতীক পেলেও আড়াইহাজারে এমপি বাবুর ইন্দনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন শাহজালাল মিয়া। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের চাপে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। এর পিছনেও কাজ করেন ইকবাল পারভেজ।

এদিকে শাহজালাল মিয়া নির্বাচনে সরে দাড়ালেও নির্বাচন থেকে সরে যায়নি এমপি বাবুর ভাগনে ইকবাল হোসেন মোল্লা। যার পিছনে উস্কানী ছিল এমপি বাবুুর। নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধের দিন ইকবাল হোসেন মোল্লা মিডিয়াতে এক বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়। তিনি বলেছিলেন, আড়াইহাজারে কেউ কিছু করতে চাইলে মাইরা ফালামু সব।’ ওই বক্তব্যে পর আতংকিত হয়ে ওঠেন আড়াইহাজারের জনগণ। শেষ পর্যন্ত নীরব ভোটে নৌকার প্রার্থী হেলো সরকারকেই বিজয়ী করেছেন আড়াইহাজারের মানুষ।

অন্যদিকে নেতাকর্মীদের দাবি- গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ইকবাল পারভেজ। নির্বাচনের কয়েক বছর আগে থেকেই আড়াইহাজারের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের তিনি গুছিয়ে এনেছিলেন। আওয়ামীলীগের বিশাল অংশের নেতারাও চলে যান ইকবাল পারভেজের দিকে। কিন্তু নির্বাচনে শুধুমাত্র এমপিত্ব থাকার কারনেই আবারো এমপি বাবুকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ। কারন এমপি হিসেবে নির্বাচনে অতিরিক্ত কিছু সুযোগ সুবিধা পাবেন নির্বাচনে। সেই হিসেবেই এমপি মনোনয়ন পান। নতুবা নির্বাচনের আগেই ইকবাল পারভেজের পক্ষে পরিরবর্তনের শ্লোগান তুলেছিল আড়াইহাজারের মানুষ। কিন্তু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইকবাল পারভেজ ঠিকই দেখালেন তার ঝলক। হেলো সরকারের নৌকার প্রার্থী ও তাকে বিজয়ের সকল পথেই কাজ করেছেন ইকবাল পারভেজ।

নির্বাচনে ব্যালটে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সীল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশকটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালটে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে সীল মেরেছেন ভোটাররা। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে রবিববার ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনার সময় অনেক ব্যালটে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শীল দেখা যায়। অনেকেই আবার ব্যালটে বিভিন্ন কলমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই লিখেছেন।

সোনারগাঁয়ে রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে ৪টা পর্যন্ত। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চললেও ভোটার উপস্থিতি খুব কম।

নির্বাচনে অনেকে ভোটার তার ব্যালট পেপারে সীল না দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করেছেন ভোটাররা। কোনো কোনো ভোটার ব্যালট পেপারে লিখেছেন ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘খালেদা জিয়া জেলে কেনো জবাব চাই’। অনেকে বলেছেন, এটা ভোটারদের নীরব প্রতিবাদ। এ ধরণের ব্যালট পেপার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। মুলত বিএনপির কর্মী সমর্থকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেই এসব ব্যালট দেখা যায়।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্র্নিং অফিসার মো: জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। যদি এমন ঘটে থাকে তাহলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’

ভোটের দিন সরেজমিনে, কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে সহকারী প্রিজাউডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা বসে বসে অলস সময় পার করছেন। ভোটার কম বিধায় তাদেরও চাপ কম। তাই বুথে বসে খোশগল্পে মজেছেন। এতে অনেক ভোটার তার তার ভোট অনেকটা চাপমুক্তভাবেই প্রয়োগ করেছেন। কেউ কেউ মনে করছেন সেই সুযোগে কোন কোন ভোটার এই কাজগুলো করেছেন।

আড়াইহাজারে শোচনীয়ভাবে পরাজিত এমপি বাবুর ভাগনে ইকবাল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর আপন ভাগনে ইকবাল হোসেন মোল্লা। এখানে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। নির্বাচনে কোন রকম লড়াই করতে পারেনি এমপি বাবুর ভাগনে ইকবাল হোসেন মোল্লা।

৩১ মার্চ রবিবার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শেষে বিকেলে ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। সন্ধায় ভোট গণনায় প্রায় বেশির ভাগ ভোটের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার। সকল ভোটের ফলাফল শেষে এমপি বাবুর ভাগনের জামানত থাকবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে এই নির্বাচনে।

জানাগেছে, আড়াইহাজারে আওয়ামীলীগ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি পক্ষের নিয়ন্ত্রনে বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাব। অপর পক্ষের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ। ইকবাল পারভেজের বলয়ে রাজনীতি করেন হেলো সরকার। এই নির্বাচনে এমপি বাবু চেয়েছিলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতো। এমপি এককভাবে কেন্দ্রে শাহজালাল মিয়ার নাম পাঠানোর প্রস্তাবও করেছিলেন। কিন্তু নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া ও মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার সহ আরও বেশকজন।

শেষবধি এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান হেলো সরকার। যেখানে পিছন থেকে কাজ করেছিলেন ইকবাল পারভেজ। তিনিই মুলত জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সেক্রেটারি আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের সুপারিশ নিয়ে হেলো সরকারের পক্ষে কাজ করেন এবং নৌকা প্রতীক পান হেলো সরকার।

নৌকা প্রতীক পেলেও আড়াইহাজারে এমপি বাবুর ইন্দনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন শাহজালাল মিয়া। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের চাপে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। এর পিছনেও কাজ করেন ইকবাল পারভেজ।

এদিকে শাহজালাল মিয়া নির্বাচনে সরে দাড়ালেও নির্বাচন থেকে সরে যায়নি এমপি বাবুর ভাগনে ইকবাল হোসেন মোল্লা। যার পিছনে উস্কানী ছিল এমপি বাবুুর। নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধের দিন ইকবাল হোসেন মোল্লা মিডিয়াতে এক বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়। তিনি বলেছিলেন, আড়াইহাজারে কেউ কিছু করতে চাইলে মাইরা ফালামু সব।’ ওই বক্তব্যে পর আতংকিত হয়ে ওঠেন আড়াইহাজারের জনগণ। শেষ পর্যন্ত নীরব ভোটে নৌকার প্রার্থী হেলো সরকারকেই বিজয়ী করেছেন আড়াইহাজারের মানুষ।

অন্যদিকে নেতাকর্মীদের দাবি- গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ইকবাল পারভেজ। নির্বাচনের কয়েক বছর আগে থেকেই আড়াইহাজারের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের তিনি গুছিয়ে এনেছিলেন। আওয়ামীলীগের বিশাল অংশের নেতারাও চলে যান ইকবাল পারভেজের দিকে। কিন্তু নির্বাচনে শুধুমাত্র এমপিত্ব থাকার কারনেই আবারো এমপি বাবুকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ। কারন এমপি হিসেবে নির্বাচনে অতিরিক্ত কিছু সুযোগ সুবিধা পাবেন নির্বাচনে। সেই হিসেবেই এমপি মনোনয়ন পান। নতুবা নির্বাচনের আগেই ইকবাল পারভেজের পক্ষে পরিরবর্তনের শ্লোগান তুলেছিল আড়াইহাজারের মানুষ। কিন্তু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইকবাল পারভেজ ঠিকই দেখালেন তার ঝলক। হেলো সরকারের নৌকার প্রার্থী ও তাকে বিজয়ের সকল পথেই কাজ করেছেন ইকবাল পারভেজ।

ফতুল্লার ওসির জিডির পর ভারতে যাচ্ছেন শাহ নিজাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের কর্মী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম। সেই শাহ নিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন উক্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। তার বিরুদ্ধে জিডি দায়েরের একদিন পরই ইন্ডিয়া চলে গেছেন শাহনিজাম।

এদিকে ওই ঘটনার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজে শাহ নিজাম জানিয়েছেন তিনি ভারতে চলে যাচ্ছেন। তিনি সেখানে লিখেছেন, ‘সকল নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি আমার আহবান, এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি মনে হয়। এমন কোন মন্তব্য করা উচিৎ নয় যা একি সরকারের মধ্যে কোন বিভেদ সৃষ্টি হয়। যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ভুল করে তাহলে তার সাজা সেই পাবে। আমি এতোটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি আমি কোন ভুল কিছু বলিনি, যদি বর্তমান শ্লোগান হয় পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। আমি সকলকে ধৈর্য্য ধরার আহবান করছি। আমি আগামীকাল ইন্ডিয়া যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ ফিরে এসে কথা হবে। দোয়া চাই সবার।’

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। আওয়ামীলীগ নেতা শাহনিজাম নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় শাহনিজামের বিরুদ্ধে এই জিডি দায়ের করা হয়। ২৯ মার্চ শুক্রবার ফতুল্লা মডেল থানায় এ জিডি করেন মঞ্জুর কাদের। যার জিডি নম্বর ১৫৭৯। এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিব করেননি।

তবে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুুলিশ পরিদর্শক (ডিআইও-২) সাজ্জাদ রোমন বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে নিয়ে শাহনিজাম বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন।

জিডি দায়েরের পর ওইদিন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজাম বলেন, আমি শুনেছি জিডি করা হয়েছে। তবে আমি পুুলিশের বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করিনি। আমি বলেছি আমাদের নেতা জননেতা একেএম শামীম ওসমান মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ভূমিদস্যূ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এসবের বিরুদ্ধে আমরা যদি কাজ করি তাহলে প্রশাসনের প্রয়োজন হয়না। আমি প্রশাসনের পক্ষেই বলেছি। বিরুদ্ধে বলিনি। কিন্তু মিডিয়াতে হয়তো আমার কথাটাকে ঘুরিয়ে প্রকাশ হয়েছে নতুবা পুলিশ বুঝতে ভুল করেছে।

তিনি একটি প্রশ্ন রেখে বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেকেই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে, প্রশাসনকে নিয়ে কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়না। অথচ আমি পুলিশের পক্ষে বলেছি সেখানে আমার বিরুদ্ধে জিডি কেন হলো সেটাই বুঝতে পারছিনা। আমি খুব অবাক হয়েছি। বিষয়টি শুনে আমি খুবি বিস্মিত হয়েছি। আমি মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক। আমি কিভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে মন্তব্য করব?

এদিকে জানাগেছে, গত ২৬ মার্চ ফতুল্লার সিসিলি কমিউনিটি সেন্টারে স্থানীয় একটি অনলাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শাহনিজাম বক্তব্য রেখেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওসি মঞ্জুর কাদের।

থানায় ঢুকে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের তাফালিং, এএসআই ক্লোজড

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার পুুলিশ স্টেশনে ঢুকে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তাফালিংয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে থানার ভিতরে ঢুকে পুলিশ কর্মকর্তাদে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে এ ঘটনায় একজন এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে। একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করাকে কেন্দ্র করে থানার ভিতরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এমন লংকান্ড ঘটেছিল বলে জানাগেল।

জানাগেছে, ২৯ মার্চ শুক্রবার রাতে আড়াইহাজার থানা পুুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের কর্মীদের তুমুল বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে থাকে। পরবর্তীতে বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদকে জানানো হলে এএসআই শরিফকে রাতেই ক্লোজড করা হয়।

আড়াইহাজার সরকারি সফর আলী কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের নামধারী জিএস আল-আমিন এ ঘটনার মূল হোতা। ঘটনার সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে থানার বাইরে পেলে দেখে নেবে হুমকি ধমকি দিয়ে যায় আল আমিনের সঙ্গে থাকা কয়েকজন ছাত্রলীগের উচ্ছঙ্খল কর্মী।

ওই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন- এসআই মোস্তাফিজ, এসআই হেলাল, এএসআই আউয়াল ও এএসআই মোস্তফা। এসআই মোস্তাফিজ ঘটনার সময় আল-আমিনের শার্টের কলারে ধরে টানাটানি করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে আল-আমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আক্তার হোসেন ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলামনা। আমি এসপি স্যারের সঙ্গে একটি মিটিংয়ে ছিলাম। কে দোষী এখনই আমি বলতে পারছিনা। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমার দৃষ্টিতে আল আমিন ছেলেটি ভাল। আমি এ বিষয়টি মাননীয় এমপি মহোদয়ের সঙ্গেও শেয়ার করেছি।’

সোনারগাঁয়ে প্রতিশোধের অপেক্ষায় তারা চার ভাই!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দীর্ঘ কাল ধরে সোনারগাঁয়ে মোগড়াপাড়া এলাকার লোকজন পুুরো সোনারগাঁবাসীকে নিয়ন্ত্রণ করতে আসছিল। সেই আওয়ামীলীগের রাজনীতিও মুঠোবন্ধি করেছিল মোগড়াপাড়া এলাকার লোকজন। সোনারগাঁয়ের উত্তর এলাকার লোকজনদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার স্টীম রোলার চালিয়েছিল মোগড়াপাড়া এলাকার লোকজন। বিচার শালিসির নামে মানুষের উপর চলতো অত্যাচার নির্যাতন। পান থেকে চুন খসলেই মোগড়াপাড়ার উত্তর এলাকার অর্থাৎ নিচু এলাকার লোকজনদের উপর তাদের অত্যাচার শুরু হতো। কেউ মুখ ফুটে প্রতিবাদ করারও সাহস পায়নি।

মোগড়াপাড়া এলাকার লোকজনদের অত্যাচারের সীমা ঠেকাতে এক সময়কার প্রভাবশালী সাবেক এমপি আবু নূর মোহাম্মদ বাহাউল হক জাতীয়পার্টির রাজনীতি ছেড়ে যোগদান দেন আওয়ামীলীগে। মুলত সোনারগাঁয়ের গোয়ালদির প্রভাবশালীরা ছেয়েছিল মোগড়াপাড়া এলাকা থেকে প্রভাব ছিনিয়ে নিতে। কিন্তু বাহাউল হক প্রভাবশালী এমপি এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেও তিনি সোনারগাঁয়ের নিচু এলাকার মানুষকে মোগড়াপাড়ার নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে পারেননি। যে কারনে তিনি যোগদান করেছিলেন আওয়ামীলীগে। ওই সময় থেকেই মোগড়াপাড়ার নিয়ন্ত্রন ও মোগড়াপাড়া থেকে প্রভাব ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন সোনারগাঁয়ের ভূঁইয়া বংশের বাহাউল হক।

স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে মোগড়াপাড়ার প্রভাব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও তার চাচা মোশারফ হোসেন। তবে মোগড়পাড়ার সঙ্গে টক্কর দিয়ে একা বাহাউল হক না পাড়লেও এবার মোগড়াপাড়াকে কুপোকাত করতে পরোক্ষভাবে মাঠে রয়েছেন গোয়ালদির প্রভাবশালী তারা চার ভাই। যাদের মধ্যে একজন শিল্পপতি আবার আরেকজন পৌর মেয়র। ২০০১ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন বাহাউল হক। ওই নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিরোধীতা করেছিলেন কায়সার হাসনাতের বাবা আবুল হাসনাত ও মোশারফ হোসেন সহ মোগড়াপাড়া। যার ফলে বাহাউল হক নির্বাচনে পরাজিত হন। তবে সেই প্রতিশোধ নিতে যাচ্ছেন বাহাউলরা চার ভাই। মোগড়াপাড়ার মানুষের নির্যাতন থেকে আগেই তারা মানুষকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছিলেন। এবার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিতে যাচ্ছেন ওরা চার ভাই।

জানাগেছে,৩১ মার্চ রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেই মোগড়াপাড়ার হাসনাত পরিবারের সদস্য মোশারফ হোসেন। চাচার পক্ষেই কাজ করছেন কায়সার হাসনাতও। তবে নির্বাচনে পরোক্ষভাবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের পক্ষেই কাজ করছেন আবু নূর মোহাম্মদ বাহাউল হক, শিল্পপতি ফেরদৌস ভূঁইয়া মামুন, সোনারগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান ও জেলা পরিষদের সদস্য ফারুক ভূঁইয়া। তাদের মধ্যে সাহসী আবার সাদেকুর রহমান প্রকাশ্যেই হাসনাত পরিবারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কালামের পক্ষেই কাজ করছেন। এই নির্বাচনে কালামের পক্ষে রয়েছেন বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। এবার মোশারফ হোসেন পরাচিত হলে মোগড়াপাড়া থেকে সোনারগাঁও নিয়ন্ত্রনের সকল রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে হাসনাত পরিবারের অস্তিত্বও সংকেটের দিকে যাবে। যে কারনে হাসনাত পরিবারও এবার টিকে থাকার লড়াইয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে ২০০১ সালের সেই প্রতিশোধের অপেক্ষার সুযোগ খুজছেন গোয়ালদির প্রভাবশালী চার ভাই।

সর্বশেষ সংবাদ