সোনারগাঁয়ে অস্তিত্বের লড়াইয়ে এমপি খোকা ও হাসনাত পরিবার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৩১ মার্চ রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে ঘিরে অস্তিত্বের লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের পরিবার হিসেবে পরিচিত পাওয়া হাসনাত পরিবার। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন হাসনাত পরিবারের সদস্য মোশারফ হোসেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে লড়বেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম। এখানে মুলত মুল লড়াইটাই হবে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের মধ্যে। খোকা রয়েছেন কালামের পক্ষে আর মোশারফের পক্ষে কায়সার।

স্থানীয়রা বলছেন, এখানে নির্বাচনে মাহফুজুর রহমান কালাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে হুমকির মুখে পড়বে হাসনাত পরিবার এবং হাসনাত পরিবারের দুই সদস্য কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। আবার মোশারফ হোসেন নির্বাচিত হলে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে হুমকির মুখে পড়বেন কালাম। সেই সঙ্গে চরম বিপাকে থাকবেন মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।

এর কারন হিসেবে তারা বলছেন, উপজেলা পরিষদের যাবতীয় কাজ ও নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে হাসনাত পরিবারের হাতে। স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার তখন জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়ণ ছাড়া আর কিছুই থাকবে না সোনারগাঁয়ে। এমপি খোকা ও মোশারফ হোসেনের লোকজনদের সঙ্গে হানাহানি মারামারি কিংবা টেহুারবাজি নিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলেও সেটা অনুমেয়। এক্ষেত্রে সোনারগাঁয়ে এমপি খোকার প্রভাব একেবারেই শূণ্যের কোঠায় চলে যাবে। সেই সঙ্গে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বর্তমানের প্রভাব হারাবেন কালাম। তখন আবারো তাকে হাসনাত পরিবারের ছায়াতলে আসতে হবে। ভবিষৎে জাতীয় নির্বাচন কিংবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখাটাই তখন কালামের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠবে। সঙ্গে সোনারগাঁয়ে আবারো প্রভাব ফিরে পাবে হাসনাত পরিবার। সোনারগাঁও থেকে নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসতে হবে এমপি খোকাকে।

আবার অনেকেই বলছেন, যদি কালাম ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যান তাহলে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের ঐতিহ্যবাহী হাসনাত পরিবারের রাজনীতি শেষের দিকে চলে যাবে। তখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির একক কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রন চলে যাবে কালামের হাতে। কালামের হাত ধরে সোনারগাঁয়ে টিকে থাকবেন এমপি খোকাও। সেই লড়াইয়েই এমপি খোকা ওঠে পড়ে লেগেছেন কালামের পক্ষে বিজয়ের মালা ছিনিয়ে আনতে। কালামের পক্ষেই অবস্থান নিয়ে প্রতিশোধের সুুযোগ নিতে চাচ্ছেন গোয়ালদির সেই সাবেক এমপি আনম বাহাউল হকও। কারন ২০০১ সালে হাসনাত পরিবারের বিরোধীতার কারনেই পরাজিত হয়েছিলেন বাহাউল। যে কারনে বাহাউলের ভাই সোনারগাঁয়ের পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান, শিল্পপতি ফেরদৌস ভূঁইয়া মামুন ও জেলা পরিষদের সদস্য ফারুক ভূঁইয়া কাজ করছেন কালামের পক্ষে। তবে অস্তিতের লড়াইয়ে হাল ছাড়ছেনা হাসনাত পরিবার। এখন দেখার বিষয় রবিবার ভোট গ্রহণ শেষে কে বিজয়ের মালা পড়েন।

৩১ মার্চ রবিবার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহুর্তে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী নির্ঘুম প্রচারণা চালিয়েছিলেন। নৌকার প্রার্থী নৌকায় চড়ে ভেসে গিয়েছিলেন ভোটারদের কাছে নদীপথেও। আরেকজন স্থলপথে ঘোড়া প্রতীকে দৌগে গিয়েছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। তাদের এমন প্রতিযোগীতায় কে হবেন ফার্স্ট তা দেখার অপেক্ষায় সোনারগাঁয়ের মানুষ। তা দেখতে হলে ৩১ মার্চ রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সোনারগাঁয়ের মানুষকে। এরি মধ্যে উভয় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরাই করছেন জয়ের আশা।

জানাগেছে, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন মোশারফ হোসেন। আওয়ামীলীগের এই নেতা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচাও তিনি। নৌকাকে বিজয়ী করতে পুরোদমে মাঠে নেমেছেন চাচা ও ভাতিজা।

এদিকে ঘোড়া প্রতীকে লড়ছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে রয়েছেন। তার পক্ষে রয়েছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ইতিমধ্যে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে খোকাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া।

যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা কাজ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী কালামের পক্ষে। কালামের পক্ষে কাজ করছেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জহিরুল হক, ইউসুফ দেওয়ান, আব্দুর রউফ মোল্লা, আব্দুর রব, হা-মীম শিকদার শিপলু, মোশারফ ওমর, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া এবং পৌরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডে নির্বাচিত অন্তত ৯০ জন মেম্বারগণ। এসব চেয়ারম্যানদের অনেকেই নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারা কাজ করছেন নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। মনোনয়ন বাছাইয়ে মোশারফ হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। কিন্তু নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তারপর নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তিনি। ওই নির্বাচনে খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন কালাম এবং মোশারফ হোসেন কাজ করেছিলেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে।

নারায়ণগঞ্জে তিনটি উপজেলায় রবিবার ভোটের লড়াইয়ে ২৬ প্রার্থী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৩১ মার্চ রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা পরিষেেদর নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তিনটি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। যদিও আড়াইহাজার উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় অনেক আগেই নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে তিনটি উপজেলায় আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়ছেন আওয়ামীলীগের তিন বিদ্রোহী প্রার্থী। এই নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয়পার্টি সহ অন্যান্য কোন বড় কোন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহন করেনি। যদিও এনপিপিএর একজন প্রার্থী ছিলেন তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন না। ফলে তিনটি উপজেলায় তিনটি পদে মোট ২৬ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে নামবেন রবিবার সকাল ৯টা থেকে। শেষ হাসি কে হাসবে তা দেখার অপেক্ষায় ভোটাররা।

জানাগেছে, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পাওয়া মোশারফ হোসেন নির্বাচনে লড়াই করছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে লড়ছেন মাহফুজুর রহমান কালাম। এখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা শিক্ষানুরাগী আবু নাইম ইকবাল তালা প্রতীকে, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন মাইক প্রতীকে, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন চশমা প্রতীকে, বাবুল ওমর বাবু টিউবওয়েল, মনির হোসেন উড়োজাহাজ ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া বই প্রতীকে ভোটের লড়াইয়ে রবিবার নামবেন। এ ছাড়াও এখানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার পদ্ম ফুল প্রতীকে, হেলেনা আক্তার কলস প্রতীকে, ফরিদা পারভীন শ্যামলী চৌধুরী ফুটবল প্রতীকে ও মাহমুদা আক্তার ফেন্সী হাঁস প্রতীকে লড়বেন।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে লড়বেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি শাহজাহান ভূ্ইঁয়া। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তাবিবুল কাদির তমাল আনারস প্রতীকে লড়াই করবেন। এখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া টিয়া পাখি প্রতীকে, মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ভূঁইয়া চশমা প্রতীকে, মোতাহার হোসেন নাদিম টিউবওয়েল প্রতীকে, আবদুল আলীম সরকার বই প্রতীক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ তালা প্রতীকে নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে নামবেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নীলা হাঁস প্রতীক, নাসরিন আক্তার চম্পা ফটুবল প্রতীক, সায়লা তাহসিন সিথি কলস প্রতীক ও হ্যাপী বেগম সেলাই মেশিন প্রতীকে নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে নামবেন।

তবে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ঝর্না রহমান। এখানে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান প্রতীকে ভোটে গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে রয়েছেন মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকে যুবলীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন মোল্লা।

ভোটের লড়াইয়ে নৌকা বনাম বিদ্রোহী: কার গলায় জয়ের মালা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৩১ মার্চ রবিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের লড়াই। তিনটি উপজেলায় আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের তিন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন বিদ্রোহী তিন প্রার্থী। নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয়পার্টি সহ অন্যান্য কোন দলের আর কেউ প্রার্থী নেই। ফলে নির্বাচনে লড়াই হবে নৌকা বনাম নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীদের। তবে কার গলায় বিজয়ের মালা তা দেখতে হলে রবিবার রাত অবধি অপেক্ষা করতে হবে ভোটারদের। যদিও তিনটি উপজেলার মধ্যে রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে নৌকার দুই প্রার্থীর বিজয় অনেকটাই অনুমেয়। কারন এখানে দুই প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণাতেই তেমন একটা ছিলেন না। ভিন্ন পরিস্থিতি সোনারগাঁয়ে। এখানে নৌকার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন মোল্লা লড়ছেন আনারস প্রতীকে। তিনি স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ভাগনে। এর আগে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহ করে মনোনয়ন দাখিল করলেও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু অনড় থাকেন ইকবাল হোসেন মোল্লা। এখানে নৌকার প্রার্থী হেলো সরকারের চেয়ে বেশি প্রচারণায় ছিলেন ইকবাল হোসেন মোল্লা। যদিও দুজনেই ঢিমেতালে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালান।

এখানে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্বন্ধি না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় অনেক আগেই নির্বাচিত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম ও ঝর্না রহমান। মুলত এখানে চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াই হলেও নির্বাচনী আমেজ ছিল অনেকটা একতরফাই। স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবু সহ আওয়ামীলীগের নেতারা রয়েছেন নৌকার পক্ষেই। ফলে এখানে নৌকার প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।

একই পরিস্থিতি জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও। এখানে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন উপজেল আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে লড়ছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তাবিবুল কাদির তমাল। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন তাবিবুল কাদির তমাল। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় এমপি এবং পাট ও বস্ত্র গাজী গোলাম দস্তসীর বীর প্রতীক। তার বিরুদ্ধেই নির্বাচনে বাধার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৫ জন প্রার্থী। তাদের অভিযোগ মন্ত্রী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন এবং বাধা দিচ্ছেন। মুলত এই ঘটনার আগে থেকেই নির্বাচন থেকে ছিটকে যান তাবিবুল কাদির তমাল।

অন্যদিকে ভিন্ন পরিস্থিতি সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন মোশারফ হোসেন। আওয়ামীলীগের এই নেতা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচাও তিনি। নৌকাকে বিজয়ী করতে পুরোদমে মাঠে নেমেছেন চাচা ও ভাতিজা।

এদিকে ঘোড়া প্রতীকে লড়ছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে রয়েছেন। তার পক্ষে রয়েছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ইতিমধ্যে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে খোকাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া।

যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা কাজ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী কালামের পক্ষে। কালামের পক্ষে কাজ করছেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জহিরুল হক, ইউসুফ দেওয়ান, আব্দুর রউফ মোল্লা, আব্দুর রব, হা-মীম শিকদার শিপলু, মোশারফ ওমর, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া এবং পৌরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডে নির্বাচিত অন্তত ৯০ জন মেম্বারগণ। এসব চেয়ারম্যানদের অনেকেই নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারা কাজ করছেন নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। মনোনয়ন বাছাইয়ে মোশারফ হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। কিন্তু নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তারপর নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তিনি। ওই নির্বাচনে খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন কালাম এবং মোশারফ হোসেন কাজ করেছিলেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে।

সন্ত্রাসীকে ভয় করিনা, আঁচর দিলে তারা দাড়িয়ে থাকতে পারবেনা: সুফিয়ান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম আবু সুফিয়ান বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমি কোন সন্ত্রাসী ক্যাডারকে ভয় করি না। আমি ভয় করি একমাত্র আল্লাহকে। যদি বন্দরবাসীর উপর কেউ আঁচর দেয় তাহলে তারা দাড়িয়ে থাকতে পারবেনা। ২৯ মার্চ শুক্রবার বন্দরের একটি নির্বাচনী প্রস্তুতির অনুষ্ঠানে অনেকটা হুংকার দিয়ে এমনটাই বলেছেন সুফিয়ান।

একেএম আবু সুফিয়ান বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমি কোন সন্ত্রাসী, ক্যাডারকে ভয় করি না। না কোন নেতাকে ভয় করি। আমি ভয় করি পরাক্রমশালী আল্লাহকে। আপনাদের বলে যাই আপনারা আমার জন্য কাজ করুন। যদি কেউ আপনাদের গাঁয়ে নির্বিচারে একটা আচঁর দেয় তাহলে তারা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেনা। অতএব চিন্তা করবেননা সৎ ও সত্যের জয় হবেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি আমার দ্বারা এই বিশ্বনেত্রীর সুনামে একটু আচর লাগতে দিবনা।

তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের কাছে এসেছি আপনাদের মতামত জানতে। আপনারা যদি আমাকে গ্রীন সিগনাল দেন তাহলে আমি নির্বাচন করব৷ আমি কোন ক্ষমতা লোভী নেতা হতে চাইনা। আমি গণমানুষের নেতা হতে চাই।

সুফিয়ান বলেন, আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। অর্থ সম্পদের লোভ করে কি হবে? টাকা পয়সা তো আর পরকালে কাজে আসবেনা৷ ইনশাআল্লাহ আমাকে যদি আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দেন তাহলে কথা দিচ্ছি আপনাদের নিরাশ করবানা।

২৯ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলা পরিষদের আগামী নির্বাচন উপলক্ষে বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চরঘারমোড়া এলাকার ব্যবসায়ী শাহজালাল মিয়ার বাড়িতে ক্ষিণঘারমোড়া ও চরঘারমোড়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চরঘারমোড়া ও ক্ষিণ ঘারমোড়া এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক এটিএম গোলাম কিবরিয়া, ক্ষিণ ঘারমোড়া পাকা জুম্মা মসজিদেত সভাপতি আলমাছ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশেক মাহমুদ, সমাজ সেবক আলকাছ সরদার, শহিদুল্লাহ মিয়া, লিখন, জয়নাল উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন তাহেরী সিনহা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক শাহজালাল মিয়া, আলতা মাসুল ইসলাম মিলন, আমানউল্লাহ, মোঃ শাহাদাত, মোমেন, আশিক, জানে আলম, সবুজ, শাহ আলম ও অপু প্রমূখ।

বঙ্গবন্ধুর বাংলায় মাদকের ঠাই নাই: কাউন্সিলর ফয়সাল সাগর

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর বলেছেন, জাতির পিতার কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামীতে তারই নেতৃত্বে এদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনিত হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন ৷ তাই আমাদের মাদককে চিরতরে গুডবাই জানাতে খেলাধুলা কোন বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় মাদকের ঠাঁই নাই।

২৯ মার্চ শুক্রবার বিকেলে বন্দরের মদনগঞ্জ টিক্কারমোড় এলাকায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী ও আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাউন্সিলর এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোখলেছুর রহমান চৌধুরী এবং এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শিউলী নওশাদ।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন- বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর হোসেন কমান্ডার, এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমজাদ হোসন ও সমাজ সেবক আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

বন্দরে রেফারেন্স সঙ্গীত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে রেফারেন্স সঙ্গীত বিদ্যালয়ের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণী ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী ক্লাব প্রাঙ্গনে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি কাজিমউদ্দিন প্রধান ও প্রধান অলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু।

বন্দর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বন্দর জোনাল অফিসের ডিজিএম আশরাফুল আলম খান, বন্দর থানা পুলিশের এসআই আবু হানিফ, যুবলীগ নেতা লাইক আহমেদ সিদ্দিকী বাবু।

রেফারেন্স সঙ্গীত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মিতু মোর্শেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিদ্যালয়ের নাচের শিক্ষক রোকসানা বেগম ও মিডিয়া ভিশন কালচারাল একাডেমির পরিচালক সোনিয়া আহমেদ সহ অন্যান্যরা।

কর্মীর শক্তিতে কালাম, ভোটেও কালাম, নৌকার শক্তিতে মোশারফ!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম

আর মাত্র একদিন পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ভাইস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীকে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছেন মোশারফ হোসেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তবে নির্বাচনের আগেই দুজনের শক্তিমত্তা দেখেছে সাধারণ ভোটাররা। যেখানে মোশারফ হোসেনের আগের সেই জৌলুশ নির্বাচনে দেখা যায়নি। ভোটের শক্তিতেও এগিয়ে কালাম আবার কর্মীর শক্তিতেও এগিয়ে কালাম। যেখানে মোশারফ হোসেনের একমাত্র শক্তি সরকারি দলের দলীয় প্রতীক নৌকাটিই।

জানাগেছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচাও তিনি। নৌকাকে বিজয়ী করতে পুরোদমে মাঠে নেমেছেন চাচা ও ভাতিজা। কিন্তু গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী কায়সার হাসনাত নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে সরে দাড়ান। নেতাকর্মীরা হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হলেও তিনি তাদের কোন খোজ খবর রাখেননি। যে কারনে ওইসব নেতাকর্মীরা এবার তীর ভীড়িয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী কালামের দিকে। কায়সার হাসনাত এবার চাচার পক্ষে মাঠে নেমেও মাঠ গরম করতে পারেননি।

নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের শক্তি দুদিকেই। তিনি ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে রয়েছেন। তার পক্ষে রয়েছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ইতিমধ্যে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে খোকাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
যদিও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ—সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া।

যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা কাজ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী কালামের পক্ষে। কালামের পক্ষে কাজ করছেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জহিরুল হক, ইউসুফ দেওয়ান, আব্দুর রউফ মোল্লা, আব্দুর রব, হা-মীম শিকদার শিপলু, মোশারফ ওমর, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া এবং পৌরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডে নির্বাচিত অন্তত ৯০ জন মেম্বারগণ। এসব চেয়ারম্যানদের অনেকেই নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারা কাজ করছেন নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে। এসব কারনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী কালামেরই কর্মীদের শক্তি বেশি দেখা যাচ্ছে। আবার ভোটের হিসেবেও তিনিও এগিয়ে রয়েছেন।

এদিকে শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারণার শেষে দিনে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন দুই প্রার্থী। দীর্ঘ প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে দিন রাত সোনারগাঁয়ের অলিগলি ঘুরেছেন দুই প্রার্থী। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহুর্তে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী নির্ঘুম প্রচারণা চালিয়েছেন। নৌকার প্রার্থী নৌকায় চড়ে ভেসে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে নদীপথেও। আরেকজন স্থলপথে ঘোড়া প্রতীকে দৌড়াচ্ছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। তবে তাদের এমন প্রতিযোগীতায় কে হবেন ফার্স্ট তা দেখার অপেক্ষায় সোনারগাঁয়ের মানুষ। তা দেখতে হলে আগামী ৩১ মার্চ রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সোনারগাঁয়ের মানুষকে। এরি মধ্যে উভয় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরাই করছেন জয়ের আশা।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। মনোনয়ন বাছাইয়ে মোশারফ হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। কিন্তু নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তারপর নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তিনি। ওই নির্বাচনে খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন কালাম এবং মোশারফ হোসেন কাজ করেছিলেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে।

ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীর: নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের গভীর সম্পর্কে রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের দেশের মানুষদের আশ্রয় দিয়েছিল এবং আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল। তাদের সাথে আমাদের সম্পর্কও অনেক গভীর।’

২৯ মার্চ শুক্রবার সন্ধায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে প্রথমবারের মত নারায়ণগঞ্জ-কলকাতা নৌ সার্ভিস চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
শুক্রবার রাত ৯টায় সার্ভিসটির প্রথম যাত্রা অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ক্রুজ শীপ এমভি মধুমতি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলায় অবস্থিত মেরিএন্ডারসনের ভিআইপি ঘাট থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে ভারতের সাথে গঙ্গা প্রবাহ চুক্তি করেন। এবার উন্মোচিত হচ্ছে নৌ পথে দেশের বাইরে ভ্রমণের এক অন্য দিগন্ত। ২০১৯ আমাদের এই সাফল্যের বাতিঘর হয়ে থাকবে। এ ক্রুস শীপ এ অঞ্চলে যোগাযোগের এক নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই যোগাযোগ আঞ্চলিক ও সৌহার্দ্যের এক নতুন
মাত্রা। দেশি বিদেশি পর্যটকরা এর মাধ্যমে দেশের সুন্দরবন সহ নানা পর্যটন স্পট দেখতে পারবে যাত্রাপথে।

একই সময়ে ভারতের ক্রুজ শিপ মেসার্স আরভি বেঙ্গল গঙ্গা কলকাতা থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। জাহাজটি বরিশাল, বাগেরহাটের মংলা, সুন্দরবন, খুলনার আন্টিহারা-ভারতের হলদিয়া রুট হয়ে কলকাতায় যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে নারায়ণগঞ্জ-কলকাতা রুটে চালু হচ্ছে ও নৌযান যাত্রীসেবা।

বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ সেবা চালু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে সফল হলে ঢাকা থেকে কলকাতায় নিয়মিতভাবে নৌযান চলবে। রুটটির পরিধি বাড়িয়ে উত্তর ভারতের আসামের গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। এ জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সুন্দরবন, বরিশাল, চাঁদপুরের মতো আকর্ষণীয় এলাকার ওপর দিয়ে নৌযানগুলো ঘুরে যাবে।

এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল ৫টায় নারায়ণগঞ্জের পাগলা এলাকার ভিআইপি ঘাটে (মেরিএন্ডারসন) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থেকে নৌ পথে কলকাতা যাত্রা শুরু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২৯ মার্চ শুক্রবার সন্ধায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে প্রথমবারের মত নারায়ণগঞ্জ-কলকাতা নৌ সার্ভিস চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। শুক্রবার রাত ৯টায় সার্ভিসটির প্রথম যাত্রা অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ক্রুজ শীপ এমভি মধুমতি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলায় অবস্থিত মেরিএন্ডারসনের ভিআইপি ঘাট থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।

একই সময়ে ভারতের ক্রুজ শিপ মেসার্স আরভি বেঙ্গল গঙ্গা কলকাতা থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। জাহাজটি বরিশাল, বাগেরহাটের মংলা, সুন্দরবন, খুলনার আন্টিহারা-ভারতের হলদিয়া রুট হয়ে কলকাতায় যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে নারায়ণগঞ্জ-কলকাতা রুটে চালু হচ্ছে ও নৌযান যাত্রীসেবা।

বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ সেবা চালু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে সফল হলে ঢাকা থেকে কলকাতায় নিয়মিতভাবে নৌযান চলবে। রুটটির পরিধি বাড়িয়ে উত্তর ভারতের আসামের গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। এ জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সুন্দরবন, বরিশাল, চাঁদপুরের মতো আকর্ষণীয় এলাকার ওপর দিয়ে নৌযানগুলো ঘুরে যাবে।

এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল ৫টায় নারায়ণগঞ্জের পাগলা এলাকার ভিআইপি ঘাটে (মেরিএন্ডারসন) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

অনুষ্ঠানে ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের গভীর সম্পর্কে রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের দেশের মানুষদের আশ্রয় দিয়েছিল এবং আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল। তাদের সাথে আমাদের সম্পর্কও অনেক গভীর।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে ভারতের সাথে গঙ্গা প্রবাহ চুক্তি করেন। এবার উন্মোচিত হচ্ছে নৌ পথে দেশের বাইরে ভ্রমণের এক অন্য দিগন্ত। ২০১৯ আমাদের এই সাফল্যের বাতিঘর হয়ে থাকবে। এ ক্রুস শীপ এ অঞ্চলে যোগাযোগের এক নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই যোগাযোগ আঞ্চলিক ও সৌহার্দ্যের এক নতুন মাত্রা। দেশি বিদেশি পর্যটকরা এর মাধ্যমে দেশের সুন্দরবন সহ নানা পর্যটন স্পট দেখতে পারবে যাত্রাপথে।

শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে ওসির জিডি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজামের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। আওয়ামীলীগ নেতা শাহনিজাম নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় শাহনিজামের বিরুদ্ধে এই জিডি দায়ের করা হয়। ২৯ মার্চ শুক্রবার ফতুল্লা মডেল থানায় এ জিডি করেন মঞ্জুর কাদের। যার জিডি নম্বর ১৫৭৯।

এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিব করেননি।

তবে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুুলিশ পরিদর্শক (ডিআইও-২) সাজ্জাদ রোমন বলেন, নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে নিয়ে শাহনিজাম বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজাম বলেন, আমি শুনেছি জিডি করা হয়েছে। তবে আমি পুুলিশের বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করিনি। আমি বলেছি আমাদের নেতা জননেতা একেএম শামীম ওসমান মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ভূমিদস্যূ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এসবের বিরুদ্ধে আমরা যদি কাজ করি তাহলে প্রশাসনের প্রয়োজন হয়না। আমি প্রশাসনের পক্ষেই বলেছি। বিরুদ্ধে বলিনি। কিন্তু মিডিয়াতে হয়তো আমার কথাটাকে ঘুরিয়ে প্রকাশ হয়েছে নতুবা পুলিশ বুঝতে ভুল করেছে।

তিনি একটি প্রশ্ন রেখে বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেকেই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে, প্রশাসনকে নিয়ে কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়না। অথচ আমি পুলিশের পক্ষে বলেছি সেখানে আমার বিরুদ্ধে জিডি কেন হলো সেটাই বুঝতে পারছিনা। আমি খুব অবাক হয়েছি। বিষয়টি শুনে আমি খুবি বিস্মিত হয়েছি। আমি মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক। আমি কিভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে মন্তব্য করব?

এদিকে জানাগেছে, গত ২৬ মার্চ ফতুল্লার সিসিলি কমিউনিটি সেন্টারে স্থানীয় একটি অনলাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শাহনিজাম বক্তব্য রেখেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওসি মঞ্জুর কাদের।

সর্বশেষ সংবাদ