সোনারগাঁয়ে কালামের ১২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সোনারগাঁকে মডেল উপজেলা গড়ার লক্ষ্যে ১২দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। নির্বাচনী প্রচারনার শেষ দিন ২৯ মার্চ শুক্রবার ১২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তিনি। সকালে সোনারগাঁ যাদুঘরের বিপরীতে অবস্থিত নিজ নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।

‘প্রতিশ্রুতি নয়, ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার, বাংলাদেশের মধ্যে মডেল উপজেলা হবে সোনারগাঁ’ এই শ্লোগানে তিনি এই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
তার ইশতেহারে ঘোষণা করেছেন- ইতিহাস, ঐতিহ্য সমৃদ্ধ সোনারগাঁ উপজেলাকে পর্যটনের রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অনুযায়ী গ্রামকে শহরে রূপান্তরের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এছাড়াও রাস্তাঘাট উন্নয়ণ, যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরের সকল সুবিধাদি দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি জানান, আওয়ামীলীগ সরকারের ইশতেহার অনুযায়ী আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে সোনারগাঁ উপজেলায় ‘যুব বিনোদন কেন্দ্র’ গড়ে তোলা হবে। যেখানে থাকবে বিভিন্ন ইনডোর গেমস এর সুবিধা, মিনি সিনেমা হল, লাইব্রেরি, মাল্টিমিডিয়া সেন্টার, ‘সাহিত্য ও সংস্কৃতি’ কর্নার, মিনি থিয়েটার ইত্যাদি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বেকারত্ব দূরীকরণে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে তরুণ উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এছাড়াও প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধ ও শিক্ষার হার শতভাগে উন্নীতকরণে ব্যবস্থা গ্রহণসহ সোনারগাঁয়ে একটি আধুনিক মানের পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে “ডোর টু ডোর মেডিকেল ক্যাম্পিং” চালু করা হবে। উন্নত জীবনের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ উপজেলা। পাশাপাশি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার কথাও বলেন তিনি।

সেই সঙ্গে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে টেন্ডারবাজি ও স্বজনপ্রীতি রোধের পাশাপাশি সকল প্রকার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। উপজেলা পরিষদে সকল প্রকারের নাগরিক সেবা নিশ্চিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশিং ও গ্রাম পুলিশের কার্যপরিধি বাড়ানোসহ শক্তিশালী করণে পদক্ষেপ নেয়া হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সকল জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সুশীল সমাজ, পেশাজীবি সংগঠনের সমন্বয়ে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কাউন্সিলিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম।

সোনারগাঁয়ে কাচপুরেও ইকবালের তালা প্রতীকের নির্বাচনী সভায় জনতার ঢল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে এখন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল। ৬ জন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর মধ্যে ভোটারদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য আবু নাইম ইকবাল। যিনি কয়েক বছর ধরে সোনারগাঁয়ে শিক্ষাঙ্গন ও ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়নে ব্যাপক ছোয়া দিয়ে সোনারগাঁয়ের মানুষের সেবা করে আসছিলেন। কাচপুর ইউনিয়নে অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে। এবার কাচপুরেই বিশাল শোডাউন করলেন আবু নাইম ইকবাল। তার নির্বাচনী পথসভায় হাজার হাজার মানুষের ঢল দেখা গেল।

নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন শুক্রবার কাচপুর ইউনিয়নে পথসভা করেন কাচপুরের মানুষ। সেখানে তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল যোগদান করেন। তিনি যোগদানের আগেই সেখানে হাজার হাজার মানুষ এসে জমায়েত হন। যেখানে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি শিল্পপতি মতিন খান, সুলতান খান, আমান খান, হাবিবুর রহমান খান, শাহআলম খান সহ স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কাচপুর ইউনিয়ন থেকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু ওমরও এত বড় জন জমায়েত ঘটাতে পারেনি তার কোন নির্বাচনী সভায়। বাবু ওমরের এলাকাতেই ইকবালের তালা প্রতীকের বিজয়ের সূর বেজে ওঠলো।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন। এই ৬ জন প্রার্থীর মাঝে শিক্ষা, ক্রীড়া ও সমাজ সেবায় কার বেশি অবদান সেটা নিয়ে ভোটারদের মাঝে আলোচনা সরগরম। এসব ভূমিকায় সবার আগে এলাকার অলিগলির চায়ের দোকান ও হাট বাজারে ভোটারদের মাঝে আলোচনায় আবু নাইম ইকবাল। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন ও শাহআলম রূপন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও ভোটারদের কাছে তারা দুজনই ব্যর্থ হিসেবে চিহ্নিত। নির্বাচিত হওয়ার পর তারা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে মিটিং ছাড়া আর কিছুতেই ভুমিকা রাখেননি। আরেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমর বাবু গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই দেখিয়েছেন তার আসল রূপ। কাচপুুরে যুবলীগ কার্যালয় ভাংচুর করে তিনি গুলিবর্ষণ করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠেছিল সে সময়।

স্থানীয়রা বলছেন, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল সোনারগাঁয়ে ভোটের মাঠে নির্বাচনী হাওয়া সৃষ্টি করেছেন। সকল প্রার্থীদের আগেই তিনি সোনারগাঁয়ে নির্বাচনী মাঠ গরম করেছিলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার একনিষ্ঠ বিশ্বস্ত এই কর্মী ইতিমধ্যে সোনারগাঁয়ের শিক্ষক সমাজ, ক্রীড়া প্রেমী, ক্রীড়া সংগঠক ও জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের একটি অংশ শুধুমাত্র মৌখিকভাবে বাবু ওমরকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু বাকী জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন গেছে ইকবালের পক্ষে। ইকবালের পক্ষেই জনপ্রতিনিধিরা পরবর্তীতে মাঠে নামেন। সোনারগাঁয়ের শিক্ষক সমাজও আনুষ্ঠানিকভাবে ইকবালকে সমর্থন ঘোষণা করেছে।

আরও জানাগেছে, সোনারগাঁয়ে যখন মাদকের ছড়াছড়িতে যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজকে গ্রাস করার পথে তখন খেলাধুলায় তাদের মনোযোগী করতে খেলাধুলায় ঝুঁকে নিয়ে আসেন আবু নাইম ইকবাল। ছাত্র ও যুব সমাজের জন্য স্থানীয় এমপিকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার পরিত্যাক্ত স্টেডিয়ামটি উদ্ধার করে সেটাকে খেলার উপযোগী করেছেন ইকবাল। উপজেলায় শিক্ষার উন্নয়নে যার ভূমিকা অনেক। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও পিছিয়ে নেই এই শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক। এসব ভাল কাজের ফলে স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার প্রিয় পাত্র হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন সোনারগাঁয়ে। শিক্ষক সমাজ ও ক্রীড়া প্রেমীরাই সবার আগে তার নির্বাচনী মাঠ গরম করেছেন। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই ভোটের মাঠে সবার আগে একমাত্র ছিলেন আবু নাইম ইকবাল। কারন উপজেলায় নির্বাচিত হতে হলে শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শ্রেণি, ক্রীড়া প্রেমী, ক্রীড়া সংগঠক ও শিক্ষকের সমর্থন তার দিকে।

সোনারগাঁবাসীর উন্নয়নে যা আছে মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী ইশতেহারে

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সোনারগাঁকে মডেল উপজেলা গড়ার লক্ষ্যে ১২দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। নির্বাচনী প্রচারনার শেষ দিন ২৯ মার্চ শুক্রবার ১২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তিনি। সকালে সোনারগাঁ যাদুঘরের বিপরীতে অবস্থিত নিজ নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।

‘প্রতিশ্রুতি নয়, ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার, বাংলাদেশের মধ্যে মডেল উপজেলা হবে সোনারগাঁ’ এই শ্লোগানে তিনি এই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
তার ইশতেহারে ঘোষণা করেছেন- ইতিহাস, ঐতিহ্য সমৃদ্ধ সোনারগাঁ উপজেলাকে পর্যটনের রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অনুযায়ী গ্রামকে শহরে রূপান্তরের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এছাড়াও রাস্তাঘাট উন্নয়ণ, যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরের সকল সুবিধাদি দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি জানান, আওয়ামীলীগ সরকারের ইশতেহার অনুযায়ী আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে সোনারগাঁ উপজেলায় ‘যুব বিনোদন কেন্দ্র’ গড়ে তোলা হবে। যেখানে থাকবে বিভিন্ন ইনডোর গেমস এর সুবিধা, মিনি সিনেমা হল, লাইব্রেরি, মাল্টিমিডিয়া সেন্টার, ‘সাহিত্য ও সংস্কৃতি’ কর্নার, মিনি থিয়েটার ইত্যাদি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বেকারত্ব দূরীকরণে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে তরুণ উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এছাড়াও প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধ ও শিক্ষার হার শতভাগে উন্নীতকরণে ব্যবস্থা গ্রহণসহ সোনারগাঁয়ে একটি আধুনিক মানের পূর্ণাঙ্গ বিশ^বিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে “ডোর টু ডোর মেডিকেল ক্যাম্পিং” চালু করা হবে। উন্নত জীবনের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ উপজেলা। পাশাপাশি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার কথাও বলেন তিনি।

সেই সঙ্গে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে টেন্ডারবাজি ও স্বজনপ্রীতি রোধের পাশাপাশি সকল প্রকার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। উপজেলা পরিষদে সকল প্রকারের নাগরিক সেবা নিশ্চিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশিং ও গ্রাম পুলিশের কার্যপরিধি বাড়ানোসহ শক্তিশালী করণে পদক্ষেপ নেয়া হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সকল জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সুশীল সমাজ, পেশাজীবি সংগঠনের সমন্বয়ে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কাউন্সিলিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম।

সোনারগাঁয়ে প্রশাসনের চাপে নৌকা, সমাবেশ পন্ড, এবার র‌্যাব পুলিশের ধাওয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

এবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণের অভিযোগে র‌্যাব, বিজিপি ও পুলিশের ধাওয়া খেয়েছে সোনারগাঁয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনর লোকজন। মুলত স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিতে গিয়ে ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রশাসনের তোপের মুখে পালিয়ে যায় নৌকার সমর্থকেরা। এর আগে গত বুধবার পৌরসভার মুন্সীরাইল বাজার এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল হোসেন নৌকা প্রতীকের সমাবেশ পন্ড করে দেন। প্রশাসনের বেশ চাপের মুখে রয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন।

জানাগেছে, আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে সামনে রেখে আচারণবিধি লঙ্ঘন করে অপর প্রার্থী কালামের সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সমর্থকদের ধাওয়া দিয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, ও বিজিবি। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় নৌকার সমর্থকদের এই ধাওয়া দেয় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম তার ঘোড়া প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহফুজুর রহমান কালাম তার সমর্থকদের নিয়ে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নে গণসংযোগে যান। এসময় সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি মিছিল সনমান্দি রাস্তা দখল করে কালামের গণসংযোগে বাধার সৃষ্টি প্রস্তুতি নেয়।

সেখানে সনমান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তার লোকজন জড়ো করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে সনমান্দির বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নৌকার সমর্থকদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে অঞ্জন কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনটা কার প্রতীক, কে সরকারের লোক আর কে সরকারের লোক না, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয় আমরা তাই করবো।’

ছবি- গত বুধবার পৌরসভায় নৌকা প্রার্থীর সমাবেশ পন্ড করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। মনোনয়ন বাছাইয়ে মোশারফ হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। কিন্তু নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তারপর নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তিনি। ওই নির্বাচনে খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন কালাম এবং মোশারফ হোসেন কাজ করেছিলেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে।

সোনারগাঁয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁঁও পৌর এলাকার দিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী ও স্কুল ড্রেস বিতরণ করা হয়েছে। ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ শিক্ষা সামগ্রী ও স্কুল ড্রেস বিতরণ করা হয়।

ট্রোমবুল রোটারি ক্লাব আমেরিকা ও এজেডএইচএন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ শিক্ষা সামগ্রী ও স্কুল ড্রেস বিতরণ করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আমেরিকা প্রবাসী আনিসুজ্জামান বকুল।

শিক্ষা সামগ্রী হিসেবে মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩০ সেট স্কুল ড্রেস, ৪০টি স্কুল ব্যাগ, ৫০টি ডিকশনারী, ৫শত ৪৪টি খাতা ও পাঁচ শত পেনসিল বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এ ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম শরফুজ্জামান, সমাজ সেবক মো. আফাজউদ্দিন, খোরশেদ আলম টগর, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার, সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ও লামিয়া আক্তার প্রমূখ।

এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য পদ পেলেন তৈমূর আলম খন্দকার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গবেষণামূলক আন্তর্জাতিক সংগঠন এশিয়াটি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্ত হলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে এপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডক্টর সাব্বির আহাম্মদ এক পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এছাড়াও তৈমুর আলম খন্দকার বাংলা একাডেমী, সাভার গলফ ক্লাব, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় এলাইমনাই এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন সহ দেশব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের জীবন সদস্যসহ সম্পৃক্ত রয়েছেন।

তিনি বাংলাদেশ জাতীয় বধির ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যণ সমিতির সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত আছেন। তার লেখা আর্টিকেল বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় দেশে/বিদেশে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বৎসরই তার লেখা বই প্রকাশিত হয়ে আসছে।

নৌকায় ভাসছেন মোশারফ, ঘোড়ায় দৌড়াচ্ছেন কালাম: কে হবে ফার্স্ট?

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মাত্র দুই দিন পর সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহুর্তে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী নির্ঘুম প্রচারণা চালাচ্ছেন। নৌকার প্রার্থী নৌকায় চড়ে ভেসে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে নদীপথেও। আরেকজন স্থলপথে ঘোড়া প্রতীকে দৌড়াচ্ছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। তবে তাদের এমন প্রতিযোগীতায় কে হবেন ফার্স্ট তা দেখার অপেক্ষায় সোনারগাঁয়ের মানুষ। তা দেখতে হলে আগামী ৩১ মার্চ রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সোনারগাঁয়ের মানুষকে। এরি মধ্যে উভয় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরাই করছেন জয়ের আশা।

জানাগেছে, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন মোশারফ হোসেন। আওয়ামীলীগের এই নেতা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচাও তিনি। নৌকাকে বিজয়ী করতে পুরোদমে মাঠে নেমেছেন চাচা ও ভাতিজা।

এদিকে ঘোড়া প্রতীকে লড়ছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে রয়েছেন। তার পক্ষে রয়েছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ইতিমধ্যে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে খোকাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ—সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া।

যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা কাজ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী কালামের পক্ষে। কালামের পক্ষে কাজ করছেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জহিরুল হক, ইউসুফ দেওয়ান, আব্দুর রউফ মোল্লা, আব্দুর রব, হা-মীম শিকদার শিপলু, মোশারফ ওমর, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া এবং পৌরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডে নির্বাচিত অন্তত ৯০ জন মেম্বারগণ। এসব চেয়ারম্যানদের অনেকেই নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারা কাজ করছেন নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। মনোনয়ন বাছাইয়ে মোশারফ হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। কিন্তু নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তারপর নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তিনি। ওই নির্বাচনে খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন কালাম এবং মোশারফ হোসেন কাজ করেছিলেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে।

অন্যায়ের প্রতিবাদ করা অনেকটা চুলকানির মত, করবই: রাজীব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব বলেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা আমার কাছে অনেকটা চুলকানির মত। প্রতিবাদ আমি করবই। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর মাসুকুল ইসলাম রাজীব তার ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাজ দেন। যেখানে তিনি দাবি করেছেন তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেনই। কারন এটা তার কাছে চুলকানির মতই।

মাসুকুল ইসলাম রাজীব তার ফেসবুকে লিখেছেন, আমাদের অভিভাবক জনাব তারেক রহমান—- আপনার নির্দেশ যদি এরকম হয়, কাউকে না জানিয়ে কারো মতামত না নিয়ে, কমিটি করা যাবে। তাহলে বলার কিছু নাই। কারন আমরা জিয়া পরিবারের রাজনীতিটাই করি এবং করবো, যতদিন রাজনীতির সাথে স¤পৃক্ত থাকি। আর যদি নির্দেশনা এ রকম না থাকে- তাহলে দল দূর্বল থেকে দূর্বলতর করার এই মিশনকারীদের থামান। যারা রাতের অন্ধকারে মুচলেকা দিয়ে দিনের আলোয় বিএনপির মা বাপ সেজে যায়।

তিনি আরও লিখেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ আমার কাছে অনেকটা চুলকানির মত। চুলকালে অনেক আরাম ও প্রশান্তির। আর না করলে চরম বিরক্তিকর। মাঝে মাঝে ভাবি এই রোগ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? পরিবারের লোকজন, বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্খী অনেকেই বলে এগুলো না করলে হয়না? আর কেউ নাই খালিখালি শত্রু বাড়াও। তখনই মনে পরে যায় আমাদের আদর্শ মহান স্বাধীনতার ঘোষক সততার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কথা। যখন সবাই ভোগ বিলাস, আপোষ আর পলায়ন নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে অন্যায়ের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে একাই ঘোষণা দিলেন এদেশের মানুষের মুক্তির জন্যে। আজকে আমার মত সারা দেশবাসী যার অপেক্ষায় আমাদের অহংকার তারেক রহমান উনিও আমাকে প্রসঙ্গত একটি কথায় বলেছিলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ একাই শুরু করতে হয়। পরে সবাই যোগ দেয় যেমন তোমাদের নেতা শুরু করেছিলেন। তাই প্রতিবাদ একাই শুরু করতে হয় এবং করতে হবে।

রাজীব বলেন, তাই আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে চলবে। সেটা হোক সরকার, প্রধানমন্তী, নিজ ঘর, নিজ দল, আপনজন যেখানেই অন্যায় সেখানেই প্রতিবাদ। তাই অবৈধ পন্থায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিকে দূর্বল করার এই কমিটি আমি মানতে পারিনা এবং মানবো না।’

নির্বিঘ্নে বিএনপির শোডাউন, নমনীয় আওয়ামীলীগ, অস্তিত্বহীন জাতীয়পার্টি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দীর্ঘদিন পর পুলিশি বাধাবিহীন নারায়ণগঞ্জে বিএনপির বিভিন্ন বলয়ের রাজপথে শোডাউন চোখে পড়লো। বিশেষ করে কোন ধরনের পুলিশি বাধা কিংবা বিএনপির খন্ড খন্ড শোডাউন দেখা গেলেও পুলিশের অস্তিত্বও তেমন একটা দেখা যায়নি। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসটি অনেকটা দেখা গেল বিএনপির রাজনৈতিক শোডাউনের দিবস। সরকারি দল আওয়ামীলীগের জেলা কমিটির নেতারা আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধা জানানোতেই সীমাবদ্ধ ছিল। মহানগর আওয়ামীলীগকে দেখা যায়নি। একমাত্র মহানগর ছাত্রলীগের শোডাউন দেখা গেলেও নারায়ণগঞ্জে মহান স্বাধীনতা দিবসটিতে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব দূর্বলই দেখা গেল। বিরোধী দল জাতীয়পার্টির দুজন এমপি নারায়ণগঞ্জে থাকলেও এদিনটিতে নারায়ণগঞ্জে জাতীয়পার্টির অস্তিত্বই দেখা গেল না।

জানাগেছে, ২৬ মার্চ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে ৬টি ভাগে শোডাউন করে মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামাল, জেলা যুবদল এবং জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে শোডাউন করে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনের সামনে বিভিন্ন এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হয়। সেখান থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করে এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান তুলে শহরের প্রধান সড়ক হয়ে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তৈমূর আলম খন্দকার। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের শপথ পাঠ করান তৈমূর আলম। যে শপথটি ছিল, মহান স্বাধীনতা দিবসে আমাদের একটাই দাবি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আমরা কোন পদ পদবী চাইনা। কোন চেয়ার চাইনা। কোন ক্ষমতা চাইনা। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর খন্দকার মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান মাহামুদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুইয়া, আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, বিল্লাল হোসেন, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা এমএম সাগর, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দীন, মহানগর শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন, শ্রমিকদল নেতা বিল্লাল হোসেন, লিটন মিয়া, শ্রমিকদল নেতা রবি মেম্বার, শ্রমিকদল নেতা তুষার আহমেদ মিঠু, ফতুল্লা কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি মইনুল হোসেন রতন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবু, মহানগর ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমান সহ উল্লেখ্যযোগ্য শতাধিক শীর্ষ নেতা এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে কয়েক হাজার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই শোডাউন করেন তৈমূর আলম খন্দকার।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হয়। সেখান থেকে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল র‌্যালীর মাধ্যমে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সাখাওয়াত হোসেন খান। সেখানে তিনি সংক্ষিপ্তে বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করছি। অন্যথায় এদেশের মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারের অন্যায় অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসবে। আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাহআল্লাহ।’

াখাওয়াত হোসেন খানের এই শোডাউনে ছিলেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দীন শিশির, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন মোল্লা, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি স্বপন চৌধুরী, পারভেজ মল্লিক, শহিদুল ইসলাম রিপন, শাহিন আহমেদ, জেলা যুবদল নেতা নেতা রোমান হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রতন, কাজী খোকন, সজীব খন্দকার,পাপ্পু আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম বাবু, লিংকন খান, লিংরাজ খান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, ছাত্রদল নেতা মোজ্জামেল হোসেন, আল আমিন, আবদুর রশিদ, মোক্তার হোসেন সহ মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার এলাকা থেকে মহানগর বিএনপির ব্যানারে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামাল। তাদের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, আয়সা সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট রফিক আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মোল্লা, মহানগর শ্রমিক দলের নেতা মনির মল্লিক, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব আলী আজগর প্রমুখ।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে জেলা বিএনপির ব্যানারে মাত্র কয়েকশ নেতাকর্মীদের নিয়ে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ^াস, খন্দকার আবু জাফর, মনিরুল ইসলাম রবি, আবদুল হাই রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

এছাড়াও সকাল থেকে জেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের মিশনপাড়া এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন। সেখান থেকে জেলা বিএনপির ব্যানারে বিশাল শোডাউন করে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মাসুকুল ইসলাম রাজীব। চাষাড়া ফুল দিয়ে আবারও শোডাউন করে মিশনপাড়ায় গিয়ে শেষ হয় তার কর্মসূচি।

উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এসএম শৈবাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএস শাহ আলম ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর জব্বা, শাহাজাদা আলম রতন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান রবিন, জেলা ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম লিংকন, সামাউল ইসলাম স্বর্ণা, মোঃ ওমর ফারুক শোভন, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জুয়েল রানা, সহ-সভাপতি নাজিম পারভেজ অন্তু, সহ সভাপতি মোঃ সুমন, জেলা ছাত্রদল নেতা মোঃ তপু ভূঁইয়া, রুবেল কিবরিয়া, জহিরুল ইসলাম রনি, মোঃ সুজন, রাজ মৃধা, শ্যামল মাহমুদ, মোঃ জুয়েল, সোনারগাঁও থানা ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, কাজী হিমেল, সাইফুল ইসলাম, তারেক মাহমুদ, পলাশ, বন্দর থানা ছাত্রদল নেতা মাসুদ রানা, রনি, সোহেল, রাব্বী, শাকিল, নয়ন, তোলারাম কলেজ ছাত্রদল নেতা মোঃ আজিজুল ইসলাম রাজিব, মোঃ মজিবুল ইসলাম ও মোঃ ফয়সাল সহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই: ইউএনও নাহিদা বারিক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন নাহিদা বারিক। যোগদানের প্রথম দিনে তিনি বলেছেন, সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেনো সকলকে নিয়ে কাজ করতে পারি। আমি সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই।

২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ২৪/৭ (সার্বক্ষনিক) স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কর্মশালায় বিশেষে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নাহিদা বারিক।

কর্মশালার শুরুতে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস তার বক্তব্যে বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করা নাহিদা বারিককে উপজেলা পরিষদের সকল কর্মচারী কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

সদ্য যোগদান করা নাহিদা বারিক এর আগে নারায়ণগঞ্জে সহকারী কমিশনার হিসেবে কাজ করেছিলেন। সেই সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফতুল্লা শাখায় দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জে সুনামের সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিলেন সরকারের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তাগণ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, কে এসপি, কে ডিসি এসব দেখার বিষয় না। এসব দেখতে গেলে টেবিলের ওপাশ ওপাস করতে করতে কাজ আর হবেনা। দেখার বিষয় হলো উন্নয়ন। আমরা সেবা করতে চাই। সবাই মিলেই করব। এসব কারনে দেশ পেছনে চলে যায়। তবে আমরা এগিয়ে যাবো। কারন যে দেশে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সে দেশ কখনও পেছনে পড়ে থাকবে না।

প্রসূতিদের চিকিৎসা সেবার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, গর্ভাবস্থায় একজন নারী সবখানে অবহেলিত। শ্বশুর বাড়িতেও সে অবহেলিত হয়। তাই প্রসূতি একজন নারীকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের ব্যবস্থা আমরা করব। সকলে মিলে করব। আমি আল্লাহকে খুশি করতে চাই। আর আল্লাহকে খুশি করতে হলে মানুষকে খুশি করতে হবে। মানুষের সেবা করেই মানুষকে খুশি করতে চাই।

নারায়ণগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের পরিচার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক ব্রজ গোপাল ভৌমিক, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব মিজানুর রহমান, নারায়ণগঞ্জে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-পরিচালক মখলেছুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ^াস ও সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক। এমসিএইচ ইউনিট পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আয়োজনে সদর উপজেলা পরিষদ এই কর্মশালা বাস্তবায়ন করে।

সর্বশেষ সংবাদ