ক্ষমা চাইলেন সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

গত কয়েক দিন ধরে বিগত সাড়ে ৪ বছরে নিজের অতীত ভুলের জন্য বিভিন্ন সভায় সকলের উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে আসছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। কিন্তু তিনি হয়তো বুঝতেও পারেননি কোন প্রকার অন্যায় অপকর্মকে প্রশ্রয় না দেওয়া, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করে এলাকার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে অনেকেই আগেই বন্দরের মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন এমপি সেলিম ওসামন। আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময়কালে নিজের দোষ ভুল সম্পর্কে জানতে গিয়ে মানুষের মনে সেলিম ওসমানের প্রতি সেই ভালবাসার বহি:প্রকাশ শুরু করেছে।
৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে বন্দর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে কুশিয়ারী এলাকায় হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আগামী ১৬ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মঞ্চে সাধারণ মানুষের বক্তব্যে সেটিই স্পষ্ট হয়েছে।

নিজের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এমপি সেলিম ওসমানের আহ্বানে মঞ্চে উঠে আসেন বন্দর কুশিয়ারা এলাকার মেয়ে ও পুত্রবধূ। তিনি বলেন, আমাদের এলাকার এমপি সাহেব এলাকার গরীব মানুষের জন্য কি করছেন এখানে অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন রাজনীতি নেতারা আছেন সেটা কেউ বলেন না। আমি এই এলাকার মাইয়া, এই এলাকারই বউ। সেই সুবিধা চিন্তা করলে ব্যাগটা হাতে লইয়া, বোরকা কাচাইয়া, বাচ্চা কোলে লইয়া, কাঁচা রাস্তা দিয়া কত কষ্ট কইরা বড় রাস্তায় আসছি। রিকশা পাইনাই রাস্তা খারাপ থাকার কারনে। কিন্তু এখন এমন আরসিসি পাকা রাস্তা আমার জন্মের পর থেইক্কা আগে দেখি নাই। আগে আমাদের ছেলে মেয়েদের কলেজে পাঠাতে গেলে হাতে ১০০ টাকা দিতে হইতো আর এখন বন্দরে দুইটা সরকারী কলেজ আছে। ঈদে এখন গরীবেরাও আনন্দ করে, ঠিকমত গ্যাস থাকায় তাড়াতাড়ি রান্নার কাম শেষ করতে পারি। মহিলা গো ফ্রি সেলাই মেশিন দিছেন। এসব কিছু আমাগো কইরা দিছেন আমাদের এমপি সাহেব। সত্যি আমরা অনেক গর্বিত। এমন এমপি সাহেবকে যদি আমরা হারাই তাহলে আমরা বন্দরবাসী অনেক ভুল করমু। তাই সবার কাছে অনুরোধ মার্কা টার্কা চিনিনা সেলিম ওসমান ছাড়া কিছু বুঝি না।

মঞ্চে উঠে আসেন ৮১ বছরের একজন বৃদ্ধও। যিনি আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে সকলের প্রতি আহবান রাখেন। একই সাথে মঞ্চে উঠে আসেন কুশিয়ারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সদস্য আশরাফুনেচ্ছা বিউটি। তিনি বলেন আমার এলাকায় আমি ছোট বেলায় যা দেখেছি কিন্তু বর্তমান এমপি আমলে এলাকায় একটা রাস্তাও কাঁচা নাই। আমার বিশ্বাস আমাদের ওয়ার্ডের মত পুরো ৫ আসনেই এমন উন্নয়ন হয়েছে। আমি মুখে কিছু বলে কাজে দেখাতে চাই। এই আসন থেকে আমরা সেলিম ওসমান ভাইকে বিজয়ী করার মাধ্যমে আবারো আমাদের মাঝে ফিরে পেতে চাই।

উল্লেখ্য চারিদিকে নির্বাচনের ঢামাঢোল শুরু হয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতারা যখন প্রার্থী হতে নিজের পক্ষে শোডাউন গণসংযোগে ব্যস্ত ঠিক তখনও আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবেন না বলে ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন এমপি সেলিম ওসমান। আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির এমনকি বিএনপি দলীয় অনেক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানের প্রার্থী হওয়ার লাগাতার দাবীর পরেও প্রার্থী হতে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না।

যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ নভেম্বর বন্দরে ময়মনসিংহপট্টি মাঠে সর্বস্তরের বন্দরবাসীর পক্ষ থেকে “দল যার যার সেলিম ওসমান সবার” স্লোগানে আয়োজিত একটি সমাবেশে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে ঘোষণা দেওয়ার জন্য স্থানীয় সকল জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি সহ কয়েক হাজার স্থানীয়রা জোরালো দাবী রাখেন।

সবার সাথে সম্মতি প্রকাশ করে এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান নিজেই এমপি সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে ঘোষণা দেন, তোমাকে আর পরিবার এবং ব্যবসার কথা চিন্তা করতে হবেনা। এগুলো আমরাই দেখবো। বন্দরের মানুষ তোমাকে এতো ভালবাসে তুমি আর না করতে পারবেনা। তোমাকে নির্বাচন করতেই হবে। সকলের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন এমপি সেলিম ওসমান একাদশ জাতীয় সংসদে আবারো প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলে ছিলেন আগামী নির্বাচনে আপনাদের প্রতি সম্মান রেখে আমি আবারো আপনাদের গোলামী করতে প্রস্তুত আছি। আপনাদের দেওয়া মনোনয়নই আমার চুড়ান্ত মনোনয়ন। আমার মার্কা নৌকা, আমার মার্কা লাঙ্গল, আমার মার্কা ধানের শীষ, আমার মার্কা আনারাস আমি সবার।

প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ১১ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় পার্টির গুলশান কার্যালয় থেকে নিজের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ১২ নভেম্বর রাতে বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরুজ্জামান টাউয়ারের তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন এমপি সেলিম ওসমান। সেখানে তিনি নেতাকর্মীদের যার যার নিজ ঘর থেকেই ভোট প্রার্থনা শুরু করতে অনুরোধ রাখেন। এরপর ২০ নভেম্বর রাইফেল ক্লাবের আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি সহ মহাজোটের নেতাকর্মীদের সাথে মত বিনিময় করে তিনি কর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ রাখেন।

এদিকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ও নিজের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন আনতে যখন আওয়ামীলীগ সহ অন্যান্য দলীয় প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে লবিং ও বিভিন্ন চেষ্টায় ব্যস্ত তখন ঠিক সেই মুহুর্তে ২১ নভেম্বর ওমরা হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় চলে যান এমপি সেলিম ওসমান। হজ্জ শেষে ২৫ নভেম্বর রাতে তিনি বাংলাদেশে ফেরত আসেন। পরদিন ২৬ নভেম্বর বন্দরে সুরুজ্জামান টাউয়ারে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বন্দরের মহাজোটের প্রায় ৪ হাজার নেতাকর্মীর সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সেখানে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দায়িত্বটুকু সঠিক ভাবে পালন করবেন জয় আপনাদের নিশ্চিত। ২৭ নভেম্বর চাষাঢ়া হীরা মহলে দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষের উপস্থিতিতে দোয়া ও মতবিনিময় সভায়, আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা নির্বাচনে তাকে সমর্থন প্রদান করেন। ২৮ নভেম্বর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে মতবিনিময়কালে নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা যে কোন মূল্যে তাঁকে বিজয়ী করার ঘোষণা দেন। ২৯ নভেম্বর আবারো বন্দরে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সকাল ১১টা রাত ৮টা পর্যন্ত বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও বন্দর থানা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে পৃথক ভাবে প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মীর সাথে মেরাথন মত বিনিময় করেন। ৩০ নভেম্বর হীরামহলে আলীরটেক ও গোগনগর ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তাদের কর্মীদের সাথে মত বিনিময় করেন। ১ ডিসেম্বর চাষাঢ়া হীরা মহল ও বন্দরে সুরুজ্জামান টাউয়ারে শহর ও বন্দরের কয়েক হাজার নারীর সাথে পৃথক দুটি মতবিনিময় করেন সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। ২ ডিসেম্বর বন্দরে ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের সাথে মতবিনিময় করেন একইভাবে ৩ ডিসেম্বর চাষাঢ়া হীরা মহলে শহর এলাকার কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত দুটি মতবিনিময় সভায় কাউন্সিলরা ব্যক্ত করেন আগামীতে কেন আবারো সেলিম ওসমানকে নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরবাসীর প্রয়োজন। হীরা মহলে একই দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দদের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায় সেলিম ওসমানের প্রতি আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন।

এদিকে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদের আহবানে গত ৪ ডিসেম্বর তার বাসভবনে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী মত বিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। যেখানে তাকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করার ঘোষণা দেন। ৫, ৬, ও ৭ ডিসেম্বর যথাক্রমে ধামগড়, মুছাপুর ও কলাগাছিয়ে ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত দোয়া অনুষ্ঠান গুলোতে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষের সমাগম হয়। দোয়া অনুষ্ঠান গুলো থেকে উপস্থিত সকলেই আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানকেই বিজয়ী করবেন বলে স্বর্তস্ফূর্ত সমর্থন প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর তাঁর শূন্য আসনে ২০১৪ সালের ২৬জুন উপ-নির্বাচনে এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে আসেন তাঁরই ছোট ভাই সেলিম ওসমান উক্ত আসনে সাংসদ নির্বাচিত হোন। যিনি এর আগে দেশব্যাপী একজন সফল উদ্যোক্ত এবং দক্ষ ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

ওই উপনির্বাচনে এমপি সেলিম ওসমান তারঁ প্রতিদ্ব›দ্ধী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস.এম আকরামকে প্রায় ১৬ হাজার ভোটে পরাজিত করেন। এস.এম আকরাম যিনি ১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।

২০১৮ সালের ৮ জুলাই শপথ গ্রহনের পর থেকেই তিনি শহর-বন্দর উন্নয়নের দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান। যার পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার ফসল বন্দরে অতীতের উন্নয়নের সকল রেকর্ডকে পেছনে ফেলে ইতোমধ্যে আপামোর বন্দরবাসী মনে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

খেলাধুলায় প্রশান্তি: বন্দরে কাউন্সিলর সাগর

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর বলেছেন, খেলাধুলা করার মধ্যে যে কি প্রশান্তি তা খেলোয়ার না হলে বুঝা যায়না। আমি সব সময় আমার এলাকার যুবকদের খেলাধুলায় নিমগ্ন থাকার উৎসাহ দিয়ে থাকি। মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নাই।

বন্দরে মদনগঞ্জ লক্ষ্যারচড় যুব মধ্যপারা যুবসংঘের উদ্যোগে ডিগবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমি সবসময় খেলাধুলা আয়োজন করতে আমার ওয়ার্ডের যুবকদের প্রাধান্য দিয়ে থাকি। মধ্যপারা যুবসংঘের আয়োজকদের আমি সাধুবাদ জানাই তারা যুবকদের নিয়ে এ খেলার আয়োজন করায়। একমাত্র মন ভাল রাখতে খেলাধুলাই পারে সকল অসংগতি থেকে দূরে রাখতে। এরকম আয়োজনে আমার সর্বাত্মক সহযোগীতা থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাসিক ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, মদনগঞ্জ ১৯নং ওয়ার্ডের সমাজসেবক মোকলেছুর রহমান, মদনগঞ্জ ফাঁড়ীর ইনচার্জ তরিকুল আলম জুয়েল ও আবুল খায়েরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বন্দরে শ্রমিক লীগ নেতার নেতৃত্বে মিছিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের প্রস্তুতি সভায় মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিভাগীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি আশাদুজ্জামান খোকন। ৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে তিনি মাহমুদনগর থেকে ব্যাপারীপারা, দড়িসোনাকান্দা, সোনাকান্দা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সোনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল প্রাঙ্গন সভায় সমবেত হয়।

এ সময় মিছিলে অংশ নেন বন্দর মদনগঞ্জ শাখার আন্তঃজেলা সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল, রোমান, মিঠু, রোমান হোসেন, আরিফ, জুয়েল রানাসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

সেলিম ওসমানের জন্য ভারতে যুবলীগ নেতার দোয়া মাহফিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা যুবলীগ নেতা আবু বকর ছিদ্দিকের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমানের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা সূদুর ভারতে খাজা গরীবে নেওয়াজ হযরত মাঈনউদ্দিন চিশতি (রঃ) আজমী শরিফ দরগায় এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মহাজোট সমর্থীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান, শামীম ওসমান ও তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য বিশেষ দোয়া পাঠ করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আজমী শরিফের খাদেমসৈয়দ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চিশতী।

পুলিশ সদস্য মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: নারায়ণগঞ্জের এসপি

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

সদ্য যোগদানকারী নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ ৮ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে বন্দর থানা পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার থানা প্রাঙ্গনে আসলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে গার্ড অফ অনার সহ ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ বন্দর থানা ও ফাড়ি পুলিশের ইনচার্জদের সাথে কুশল বিনিময়সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোজ খবর নেন।

পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সাংবাদিক ও পুলিশ একই সুত্রে গাঁথা। আমরা একে অন্যের পরিপূরক। এক সাথে কাজ করলে দেশ ও জনগণের উপকার করা সহজ হবে। সুষ্ট, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন নারায়ণগঞ্জবাসিকে উপহার দেয়াই আমার মূল লক্ষ্য। মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমার পুলিশও যদি মাদকের সাথে জড়িত থাকে এবং কোন প্রভাবশালীও যদি মাদক ব্যবসা করে কাউকেই ছাড় দেব না। আমাকে জানাবেন। আমি সাথে সাথে ব্যবস্থা নেব। আমি চাইনা সাংবাদিকদের সাথে আমার সম্পর্ক খারাপ হউক।

তিনি আরও বলেন, যদি আমার বিরুদ্ধেও কোন সংবাদ পান, তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবেন, সত্য হলে নিউজ করবেন। আমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাকব। আমি পুলিশ, আপনারা সাংবাদিক, তাতে কি হয়েছে, আমরা তো সবাই মানুষ। আমরা ভাই ভাই হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করব। আমি সাংবাদিকদের কাছে অপরাধ দমনে সহযোগিতা কামনা করছি।

এ সময় তার সাথে জেলা পুলিশের কর্মকর্তাসহ বন্দর থানার ইন্সপেক্টও (তদন্ত) হারুনুর রশিদ, সেকেন্ড অফিসার ও চার ফাড়ির ইন্সপেক্টর এবং থানা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনার নির্দেশই শিরোধার্য্য: খোকন সাহা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আগামী ১১ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারনা সফল করার লক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রস্ততিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে বন্দরের সোনাকান্দা বালক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা।
বক্তব্যে অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, আমরা ব্যক্তি সেলিম ওসমানের দিকে তাকাবোনা, আমরা তাকাবো জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকে। আমরা আওয়ামীলীগ থেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ১০জন প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছিলাম নৌকার জন্য। জননেত্রী শেখ হাসিনা মহাজোট প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলেন। আমাদের কাছে শেখ হাসিনার নির্দেশই শিরোধার্য্য। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ১টি আসনের জন্যও আমরা ক্ষমতায় যেতে পারবনা এমন যেন না হয়। এ বিষয়গুলো আমাদের লক্ষ রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ আসনে ক্ষমতার স্বাদ থেকে বঞ্চিত। আমরা জানি এই বন্দরে আওয়ামীলীগ কতটা নির্যাতিত, নিগৃহীত। কি পেলাম আর কি পেলাম না এর হিসেব নিকেশ করার সময় এখন নাই। এখন সামনে নির্বাচন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর মহাজোটের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করতে আমরা ঝাপিয়ে পড়ব। প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা আওয়ামীলীগের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে কাজ করবেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু, বীরমুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জালু, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিয়ান আহমেদ, বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা, এসআই জুয়েল, মহানগর যুব মহিলালীগ নেত্রী নুরুন নাহার সন্ধ্যা, ঢাকা বিভাগীয় শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক আশাদুজ্জামান খোকন, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সামসুজ্জামান, মশিউর রহমান সুজু, মোকাদ্দেছ আলী আঙ্গুর, আজিজ মিয়া, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান, মোঃ ফারুক, আমজাদ, সেলিম ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ডা.শফিউল্লাহ, এমএ কাইয়ুম, আমানউল্লাহ আমান, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলী নেতা রাশিদা বেগম, সালাউদ্দিন ও নাজমুল প্রমূখ।

মনোনয়ন পায়নি বিএনপির হেভিওয়েট ও তিন সংস্কারবাদী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পায়নি বিএনপির দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত সাবেক তিন এমপি সহ বিএনপির অন্তত ৮ জন হেভিওয়েট প্রার্থী। এখানে দুটি আসনে রয়েছে জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের দুজন প্রার্থী যারা বর্তমানে এমপি। অন্যদিকে বিএনপিতে তিনটি আসনে প্রার্থী দিলেও একটি আসনে ছেড়ে দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ও আরেকটি আসনে নাগরিক ঐক্যকে। দলের দুটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে দুটি দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও হতাশা ফুঠে ওঠেছে। অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীরা মনোনিত হতে পারেননি। এর মধ্যে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে রয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীও।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে ৬১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। যার মধ্যে ৪৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ও ১৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া। বাতিলের মধ্যে রয়েছে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ও বিএনপির প্রার্থী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এবং গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনিত প্রার্থী বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন রয়েছেন। তবে ৫টি আসনের বর্তমান ৫ এমপির কারোরই মনোনয়ন বাতিল হয়নি। তারা ৫জনই আবারো মনোনিত হয়েছেন। তবে মনোনয়ন আপীল করে ফেরত পেয়েছেন মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন,মামুন মাহামুদ সহ ৭ জন।

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। প্রাথমিকভাবে চিঠি পেলেও চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাননি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া। এখানে নির্বাচনে রয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম চন্দন, স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান, ইমদাদ উল্লাহ, আজম খান। এখানে মোট ১০ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যাদের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহেন আফজাল ও জাকের পার্টির প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন। তারা আপিলেও প্রার্থীতা ফিরে পাননি।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। বিএনপির মনোনয়ন প্রাথমিকভাবে পেলেও বঞ্চিত হয়েছেন চাচা ভাতিজা বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। নির্বাচনে রয়েছেন কমিউনিস্ট পাটির প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, ইসলাম আন্দোলনের নাসির উদ্দীন।

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে জাতীয়পার্টির বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। তাকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। তবে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও সোনারগাঁও বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর মনোনয়ন পত্রই দাখিল করেননি। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার, তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী আব্দুস সালাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সানাউল্লাহ নূরী, জেএসডির প্রার্থী ফখরুদ্দীন ইব্রাহীম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল, জাকের পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আমির ফয়সাল ও কল্যান পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌস। তবে বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনিত হওয়া মোশারফ হোসেন ও এরশাদের পালিত মেয়ে অনন্যা হুসেইন মৌসুমীর মনোনয়ন আপীলেও বাতিল করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জেলার সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। প্রাথমিকভাবে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম ও জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। এখানে নির্বাচনে রয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, জাতীয়পার্টির সালাউদ্দীন খোকা মোল্লা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীন।

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে জাতীয়পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমান। তাকেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে লড়বেন। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এসএম আকরাম। এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি আবুল কালাম ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে খোরশেদের মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আপিল করেননি। এখানে নির্বাচনে রয়েছেন খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ কবির হোসেন, সাম্যবাদী দলের প্রার্থী সাঈদ আহমেদ, বাসদের প্রার্থী আবু নাঈম খান বিপ্লব, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মন্টু চন্দ্র ঘোষ, ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী বাহাদুর শাহ, জাকের পার্টির প্রার্থী হাসান জামাল, কল্যাণ পার্টির প্রার্থী আফতাব ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবুল কালাম।

কথা কম কাজ বেশি করতে চাই : সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, সবাই আমার মেয়াদকাল সাড়ে ৪ বছর বলেও আসলে আমি মাত্র ৪ বছর কাজ করতে পেরেছি। বাকি ৬ মাস একটি দলের আন্দোলনের কারনে রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিজের অসুস্থ্যতা এবং নভেম্বর, ডিসেম্বর ২ মাস কাজ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সময় নষ্ট হচ্ছে। তাই এখন থেকে কথা কম বলে আর কাজ বেশি করতে চাই। আর অতীতে আমার যে ভুল হয়েছে ভবিষ্যতে আমি আর সেই ভুল করতে চাই না। অতীতের মত ভবিষ্যতেও আমি গোলামী করে যেতে চাই। তবে আর শুধুমাত্র নেতাদের সাথে কথা বলবো না এখন থেকে যাদের জন্য গোলামী করবো সেই আপনাদের প্রত্যেকের সাথে কথা বলবো। আপনাদের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন কাজ করবো।

৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে বন্দর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে কুশিয়ারী এলাকায় হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ১৬ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পাশাপাশি অতীতে কাজ করতে গিয়ে অজান্তে কোন ভুলে কারো মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে তিনি এ জন্য সকলের উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর এমপি সেলিম ওসমানের কোন সভা মঞ্চে প্রথমবারের মত যোগ দিয়েছেন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল।

বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল আলোচনা সভায় যোগ দেওয়ায় এমপি সেলিম ওসমান তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের মধ্যে এমন সুসম্পর্ক যেন অটুট থাকে সকলের কাছে সেই দোয়া কামনা করেন। সভায় আতাউর রহমান মুকুল এসেছেন এতেই সেলিম ওসমান খুশি হয়েছেন বলে ঘোষণা দেন এবং উনাকে আজকে কোন বক্তব্য দিতে হবেনা বলে মন্তব্য করেন। কারন ২ নভেম্বর ময়মনসিংহপট্টি মাঠে বন্দরের সর্বস্তরের জনগনের উদ্যোগে ‘দল যার যার সেলিম ওসমান সবার’ স্লোগানে আয়োজিত সমাবেশে আতাউর রহমান মুকুলই নির্বাচনে প্রার্থী হতে সেলিম ওসমানকে সব থেকে বেশি চাপ দিয়ে ছিলেন তাই নতুন করে আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই। কারন যারা আমার সাথে কাজ করেছেন রশিদ ভাই, জাহের ভাই, আতাউর রহমান মুকুল কেউ আমাকে ছেড়ে যাবেন না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মিসেস নাসরিন ওসমান বলেন, আমি এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষে ভোট চাইতে আসি নাই। আপনার উনার জন্য শুধু দোয়া করবেন। উনি যেন সুস্থ্য থাকেন আল্লাহ যেন উনাকে দীর্ঘ হায়াত দান করেন। উনাদের প্রতি আপনাদের বন্দরের মানুষের ভালবাসা আমি দেখেছি। আপনারা যদি মনে করেন অতীতের মত ভবিষ্যতেও সেলিম ওসমানকে আপনারা পাশে পাবেন, উনাকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে, সাধারণ মানুষ উপকৃত হতে পারবেন তাহলে আপনারা একটু বিবেচনা করে দেখবেন, আমি বলবো না উনাকে ভোট দেন। আসলে মার্কাটাই বড় ব্যাপার না। মার্কাটা হাতে নিয়ে কে দাড়িয়ে আছেন সেটাই বিবেচনা করে দেখতে হবে। আপনার ভোট আপনি দিবেন যাকে খুশি তাকে দিবেন। আপনারা শুধু উনার জন্য দোয়া করবেন। পাশাপাশি আপনারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন উনি যেন আগামীতেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমাদের সকলের উচিত নারীদের সম্মান করা। প্রতিটি স্বামী যদি তার স্ত্রীর সাথে বন্ধুর মত সুসম্পর্ক রাখেন তাহলে দেখবেন সব কিছুতেই আপনারা সফল হবেন। আমি কখনো এলাকার মানুষের জন্য ভাল কোন কাজের জন্য অনুদান দিয়ে বাসায় ফিরলে আমার জন্য আমার স্ত্রী সহ আমার তিন মেয়ে আমার পছন্দের ভাল ভাল খাবার রান্না করে উপহার দেন। এতো ভাল ভাল খাবার উপহার পাওয়ার লোভে আমি আরো বেশি ভাল কাজ করতে চাই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। আপনারা নিজেরাই একেক জন সেলিম ওসমান হয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করবেন এবং সবাইকে বুঝাবেন আগামী আবারো কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং উনার মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করা প্রয়োজন।

মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ রশিদ, মহানগর আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, জেলা আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী ড. শিরীন বেগম, মহানগর আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, জেলা মহিলা পার্টির সভানেত্রী আঞ্জুমান আরা ভূইয়া, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।

হবে নতুনের জয়গান : সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

২০১৯ সালের জানুয়ারীর প্রথম দিনের সূর্যটা যেন নতুন হয়। পুরনো দিনের গ্লানি ভুলে হবে নতুনের জয়গান। নতুনদের নিয়েই আমি কাজ করবো। আগামীতে নতুনদেরই হবে জয়গান। ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়তে এই নতুনরাই হবে অগ্র সৈনিক।

৮ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরুজ্জামান টাওয়ারে এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান এ আহবান করেন।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা তরুণ এখন তোমাদের রক্ত গরম। এই রক্ত যেন ঠান্ডা না হয়। ১৭১টি ভোট কেন্দ্র তোমাদেরকেই পাহাড়া দিয়ে নিরাপধ রাখতে হবে। আমি এমপি না হলে কিছু হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। জনগন কেন সেলিম ওসমানকে ভোট দিবে সেটা তাদের বুঝাতে হবে। নির্বাচন নিয়ে যেন কোন বাড়াবাড়ি না হয়। শুধুমাত্র যার যার বাড়ির ভোটটা নিশ্চিত করবে। আবার এমন যেন না হয় তোমাদের অপরিকল্পিত লাগাতার মিছিল মিটিংয়ের কারনে তোমাদের বাবা-মা বিরক্ত হয়ে আমাকে অভিশপ না দেন। যেটাই করবে প্লানিংয়ের মাধ্যমে করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লাঙ্গল। যেখানে নৌকা নাই সেখানে লাঙ্গলই শেখ হাসিনার মার্কা।

অতীতের ভুলের জন্য সকলের উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে তিনি বলেন, অতীতে যদি আমার কাছে কোন ভূল থেকে থাকে তাহলে আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই। অতীত ভুলে আমরা ভবিষ্যত নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে যাই। ভবিষ্যতে বন্দরের উন্নয়নে আমরা প্রতিটি এলাকায় তোমাদের নিয়ে ৫০ সদস্যের একটি উন্নয়ন কমিটি করবো এবং সেই কমিটির মাধ্যমেই তোমাদের মাধ্যমেই আমি ভবিষ্যত উন্নয়ন কাজ পরিচালাতি করবো।

মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক রানা প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল সহ সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মফিজুল ইসলাম ছিলেন রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ: আবদুল হাই

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল হাই প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা মফিজুুল ইসলাম সম্পর্কে বলেছেন, মফিজুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের আওয়ামী রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ। তার মহানুভবতা আর ভালবাসায় আওয়ামীলীগ আজকে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তাদের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়।

৮ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় আমরা মুজিব সেনা বন্দর থানা শাখার উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির অন্যতম সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক মহান ভাষা সৈনিক মফিজুল ইসলামের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও হতদরিদ্রদের মাাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রবীণ এ আওয়ামীলীগ নেতা আরো বলেন, ৩০ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের ভোটের লড়াই হবে। সেই লড়াইয়ে দেশের স্বার্থে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ম্যান্ডেট দিয়ে পূণরায় প্রধাণমন্ত্রী করতে হবে। শেখ হাসিনা প্রধাণমন্ত্রী হলে এদেশ উন্নয়নে পরিপূর্ণ হবে। শীতলক্ষ্যা সেতু, নীটপল্লীসহ সকল প্রকল্প দ্রুত বাস্তবাায়ন হবে।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে ইসলামপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন ময়দানে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু।

বন্দর থানা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহজাহান মিয়া ও আবদুল মতিন মাতবরের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত মফিজুল ইসলামের মেয়ে আলেয়া মফিজ, সোনিয়া মফিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী আমজাদ হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিমউদ্দিন, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা হাজী হাবিব আহাম্মদ সরদার, আবদুল বাতেন সরদার, হারুন অর রশীদ, হাজী আইয়ুব আলী, রতন খান, দীল মোহাম্মদ, শওকত আলী, মোবারক হোসেন, নুরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মোঃ মহিউদ্দিন প্রমুখ।

এতে দোয়া পরিচালনা করেন ইসলামপুর জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা হাজী মোঃ মহিউদ্দিন রুমি। অনুষ্ঠানে প্রায় ৩শতাধিক দরিদ্রের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ