কে এসপি, কে ডিসি, তা দেখার বিষয় না: শামীম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, কে এসপি, কে ডিসি এসব দেখার বিষয় না। এসব দেখতে গেলে টেবিলের ওপাশ ওপাস করতে করতে কাজ আর হবেনা। দেখার বিষয় হলো উন্নয়ন। আমরা সেবা করতে চাই। সবাই মিলেই করব। এসব কারনে দেশ পেছনে চলে যায়। তবে আমরা এগিয়ে যাবো। কারন যে দেশে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সে দেশ কখনও পেছনে পড়ে থাকবে না।

প্রসূতিদের চিকিৎসা সেবার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, গর্ভাবস্থায় একজন নারী সবখানে অবহেলিত। শ^শুর বাড়িতেও সে অবহেলিত হয়। তাই প্রসূতি একজন নারীকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের ব্যবস্থা আমরা করব। সকলে মিলে করব। আমি আল্লাহকে খুশি করতে চাই। আর আল্লাহকে খুশি করতে হলে মানুষকে খুশি করতে হবে। মানুষের সেবা করেই মানুষকে খুশি করতে চাই।

২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ২৪/৭ (সার্বক্ষনিক) স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমপি শামীম ওসমান।

নারায়ণগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের পরিচার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক ব্রজ গোপাল ভৌমিক, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব মিজানুর রহমান, নারায়ণগঞ্জে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-পরিচালক মখলেছুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস ও সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক। এমসিএইচ ইউনিট পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আয়োজনে সদর উপজেলা পরিষদ এই কর্মশালা বাস্তবায়ন করে।

কর্মশালার শুরুতে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস তার বক্তব্যে বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করা নাহিদা বারিককে উপজেলা পরিষদের সকল কর্মচারী কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

খুনের মামলার বাদীও খুন: আসামী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী! আতংকে রূপগঞ্জবাসী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সন্তান খুনের বিচার চেয়ে মামলাও করেছিলেন জালাল মিয়া। কিন্তু সন্তানের বিচার তো তিনি পেলেন না। উল্টো নিজেই সেই আসামীদের হাতে খুন হতে হয়েছিল তাকে। সেই খুনের আসামী যখন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তখন সাধারণ জনগণ রয়েছেন বেশ আতংকে। ভোটারদের দাবি তিনি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে রূপগঞ্জে আরও খুনের ঘটনা ঘটতে পারে।

জানাগেছে, রূপগঞ্জের মাছিমপুুর এলাকার জালাল মিয়া হত্যা মামলার আসামী মোহাম্মদ সোহেল ভূঁইয়া। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খুনের মামলার আসামী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভোট গ্রহণের আগেই আতংকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনার পর এলাকায় এক আতংকের নাম মোহাম্মদ সোহেল ভূঁইয়া। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চশমা প্রতীকে।

জানাগেছে, ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নজরুল ইসলাম বাবু হত্যা মামলার আসামী সোহেল ভূঁইয়া। বাবুকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করেছিল তাওলাদ, লতিফ, হানিফ, ইকবাল সহ ২৫ জন সন্ত্রাসী। পরবর্তীতে নিহতের বাবা জালাল মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলাটি নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিচারধীন অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৪ মে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন মামলার বাদী জালাল মিয়া। আদালতে স্বাক্ষীদের উপস্থিত করানোর আগেই খুন হন জালাল মিয়া।

এ ঘটনায় জালাল মিয়ার স্ত্রী শেলিনা বেগম বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্ল্যেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৮/১০জনকে আসামী করে আরেকটি খুনের মামলা রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করেন। এই মামলায় মিরকুটিরছেও এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে সোহেল ভূঁইয়া ১৪নং আসামী।

মামলায় সেলিনা বেগম দাবি করেছেন- ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে নজরুল ইসলাম বাবুকে স্থানীয় ১৫ জন সন্ত্রাসী বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনায় তার স্বামী জালাল মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করানোর জন্য চেষ্টা করায় ২০১৫ সালের ১৪ মে জালাল মিয়ার তার মেয়ে মুক্তা আক্তারের সঙ্গে দাড়িয়ে থাকাকালীন সময়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় মাইক্রোবাসে করে সোহেল সহ আসামীরা জালাল মিয়াকে তুলে নিয়ে যায়। তখন সিএনজি করে তাদের মাইক্রোবাসের পিছু নেয় জালাল মিয়ার স্ত্রী ও স্বজনেরা। মাইক্রেবাসে মিরকুটিরছেও এলাকায় থামিয়ে জালাল মিয়াকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। জালাল মিয়াকে উদ্ধারে সেখানে তার স্বজনেরা গেলে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করতে করতে স্থান ত্যাগ করেছিল। পরবর্তীতে জালাল মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সেলিনা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন যেখানে আসামী হন সোহেল মিয়া।

এসব অভিযোগ ও মামলার বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল ভূঁইয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে জালাল মিয়া হত্যা মামলা রয়েছে। মামলায় আমি জামিনে আছি। এই মামলায় দুইবার তদন্ত হয়েছে যেখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা পায়নি। যে কারনে অব্যাহতি দিয়েছিল আমাকে। এখন মামলাটি পিবিআইতে তদন্তধীন রয়েছে। আমি এখান থেকেও অব্যাহতি পাবো ইনশাহআল্লাহ। কারন আমি এই হত্যাকান্ডে জড়িত নই।

তিনি আরও বলেন, আমি হলফনামায় মামলার বিষয়টি উল্লেখ্য করেছি। এর আগে কলেজ জীবনে একটি হত্যা মামলা হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আমি অব্যাহতি পেয়েছি। নির্বাচনে আমার সঙ্গে যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন আমি আশা করি তাদের ৪ জনের সমান ভোটের চেয়েও আমি বেশি ভোট পাবো ইনশাহআল্লাহ।’

ও মেয়ে, তুমি কাঁদছো কেনো—রেজওয়ানা চৌধুরী সোনিয়া

মেয়ে মানুষ,
আলাদা করে কে দিয়েছে
এই নাম তোমায়?
আজ এই নাম শুনলে
তোমার খুব কান্না পায় বুঝি?

কি মনে হয় তোমার শুনে…
এ নাম দিয়ে সমাজ
তোমায় কাঁদাচ্ছে, পোড়াচ্ছে,
জ্বলাচ্ছে প্রতিবেলা।

নাকি শুনে মনে হয়
এই নামটা কোন কারাগারের,
যার কথা শুনলেই তুমি ভাবো
এই বুঝি দম বন্ধ করে মারবে তোমায়।

চুপ কেন…, কি ভাবচ্ছো তুমি,
খুব সত্যি বলে ফেল্লাম কি!
খুব দূর্বল লাগছে নিজেকে?
নাকি আমার কথাতেও আজ
তোমার অস্বস্তি!

তোমায় এই নামটা খুব কষ্ট দেয় বুঝি!
পুুরুষেরা ছোট করে কি তোমায়?
এই বলে যে….তুমি মেয়ে মানুষ,
তুমি পারবে না
তোমার যে বারণ অনেক,

আর সেই বারণগুলো ডিঙ্গাতে গেলেই,
তুমি হয়ে যাও খারাপ, উগ্র, নির্লজ্জ
চলে যাও সমাজের বাইরের
মানুষগুলোর তালিকায়।

ও মেয়ে, তুমি কাঁদছো কেনো?
আমার কথায়…
কেন এত অশ্রু ঝরছে তোমার দু’চোখে
কিছু তো বলো…
আহ্! কিছুই বলবে না তোহ্…

তাহলে কাঁদবেও না, একটুও না,
একদম না…
তুমি শুনো আমার কথা
তুমি বলো, তুমি বলতে শেখো…

বলো…, তুমি জন্ম দাও পুরুষকে,
যে পুরুষেরা নারীকে দূর্বল ভাবে আজ।

তুমি জম্ম দাও সে পুরুষকেও,
যে কিনা উরু টান করে
কথা বলে বীরের মতন…

যে নারী বীরের জন্ম দিতে সক্ষম
সে কিভাবে দূর্বল হয় বলো?

যারা আজ নারীকে দুর্বল ভেবে
কটাক্ষ্য করে….
দমিয়ে রাখতে চায়, পিছিয়ে দিতে চায়
ওরা তো নির্বোধ, ওরা মূর্খ,
ওরা জানে না কিছুই।

ওরা মাতৃগর্ভে জন্মায়নি,
ওরা জন্মিয়েছে ওদের মতন
কোন এক কাপুরুষের শুক্রাণুতে,

আর যদি তাই হয়
তবে তুমি বলো,
তুমি সভ্য, আমি সভ্য
সভ্য নারীরা সমাজের বাইরের কেউ নয়,

তুমি আরো বলে দাও
বরং ওদের মতো কাপুরুষেরা
অস্তিত্বের বাইরের সত্তা,
নারীর চোখে।

রচনাকাল: ২৪ মার্চ ২০১৯

ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে সোনারগাঁয়ে মোশারফের সমাবেশ পন্ড

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সমাবেশ পন্ড করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল হোসেন। ২৭ মার্চ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পৌরসভার মুন্সীরাইল বাজার এলাকায় মাইক লাগিয়ে ও প্যান্ডেল তৈরি করে সমাবেশ করতে চাইলে মোশারফ হোসেনের সমাবেশ পন্ড করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ওই সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি উপস্থিত ছিল।

জানাগেছে, বুধবার সন্ধার দিকে পৌরসভার মুন্সীরাইল বাজার এলাকায় প্যান্ডেল তৈরি এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সমাবেশের প্রস্তুতি নেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল হোসেন। ওই সময় নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেনকে ১০ মিনিট সময় বেধে দিলে তারা দ্রত প্যান্ডেল ঘুড়িয়ে নেন এবং অন্যান্য মাইক খুলে ফেলেন।

সেখানে সমাবেশ করতে না পেরে পরবর্তীতে আমিনপুর মাঠে ট্রাকের উপর মঞ্চ তৈরি পথ সভা করেন মোশারফ হোসেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

তবে এ বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জসিমউদ্দীন বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সমাবেশ করতে চাইলে সমাবেশে বাধা দেয়া হয়।

এদিকে জানাগেছে, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। তার পক্ষে কাজ করছেন সোনারগাঁয়ের সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র ও ৯০ জন ওয়ার্ড মেম্বার কাউন্সিলর। এছাড়াও তার পক্ষে স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থনও রয়েছে বলেও জানা গেল।

দীর্ঘ ৬ মাসের বেশি জেলে, ১২ দিন রিমান্ডে: ধমে যায়নি ছাত্রদলের সভাপতি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দীর্ঘ ৬ মাসের বেশি কারাগারে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি। পুলিশি রিমান্ডে ছিলেন ১২ দিন। নিয়মিত কারাগার থেকে আদালতে আসা যাওয়াই ছিল তার দীর্ঘ ৬টি মাস। বেশকটি মামলায় তিনি জামিন পেয়ে কিছুটা নীরবই ছিলেন। তবে মহান স্বাধীনতা দিবসে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করে নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে দিলেন মশিউর রহমান রনি ধমে যায়নি। দীর্ঘ কারাভোগেও তিনি ভেঙ্গে পড়েননি।

জানাগেছে, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে শোডাউন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে জেলা ছাত্রদলের সদ্য কারামুক্ত সভাপতি মশিউর রহমান রনির নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী নারায়ণগঞ্জের রাজপথে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানে গর্জন তুলেছেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মূহুর্মূহু শ্লোগানে মূখর হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া এলাকা।

বাঙ্গালী জাতির মুক্তি অর্জনের দিন ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাষাঢ়া মহিলা কলেজের সামনে এসে জড়ো হয়। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে লেখা বিভিন্ন প্লে-কার্ড শোভা পায়। সকাল সাড়ে দশটায় কয়েক হাজার নেতাকর্মীর বহর নিয়ে রাজপথে নামেন মশিউর রহমান রনি এবং শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করেন। র‌্যালী শেষে চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি টানেন তারা।

শিল্পপতি জেলা বিএনপির সভাপতির নেতৃত্বে শহীদদের প্রতি জেলা বিএনপির শ্রদ্ধা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

রাজপথের রাজনীতিতে খুব দেখাই মিলেনা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও শিল্পপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। তবে সৌখিন এই শিল্পপতি নেতা প্রচন্ড গরমে মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। কাজী মনিরুজ্জামান মনির মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ার বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাব সংলগ্ন বালুর মাঠে এসে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে একটি র‌্যালী নিয়ে চাষাড়ার বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা জানান। এর আগে র‌্যালীতে নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে শ্লোগান দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ^াস, খন্দকার আবু জাফর, মনিরুল ইসলাম রবি, আবদুল হাই রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সেক্রেটারি আশরাফুল আলম রিপন, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন, জেলা মহিলাদলের আহ্বায়ক নুরন্নাহার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের সদস্য সচিব আয়শা আক্তার দিনা, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদা খাতুন মিতা প্রমুখ।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো নারায়ণগঞ্জ মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভে ফুল নিয়ে নারী আইনজীবীরা বীর শহীদদের প্রতি এই শ্রদ্ধা জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিনা ইয়াসমিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের জিপি অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট দেলোয়ারা বেগম রীনা, অ্যাডভোকেট তানিয়া খাতুন, অ্যাডভোকেট ইন্দ্রা চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট সোনিয়া আক্তার, অ্যাডভোকেট পুজা, অ্যাডভোকেট সীমা দাস, অ্য্যাডভোকেট শিপ্রা মোদক, অ্যাডভোকেট ফাতেমা আজার পুষ্প ও অ্যাডভোকেট রেহানা আক্তার প্রমুখ।

আমাদের কাজ জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা: মন্ত্রী গাজী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্ল্যেখ করে নারায়ণগঞ্জে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক) বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্ব বাঙালী জাতিকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। আজকে যদি দেশ স্বাধীন না হতো, তাহলে আমরা বাঙালী হিসেবে বিশ্বে কোন মর্যাদা পেতামনা- এ ভূখন্ড আমরা পেতামনা- এ দেশ আমরা পেতামনা। আমরা যে বাঙালী জাতি, আমাদের যে স্বাধীন সত্তা আছে, সেই উপলব্ধিটুকুও আমাদের হতোনা- চিরদিন পরাধীনতার নাগপাশে আমাদের আবদ্ধ থাকতে হতো। আমাদের চেতনা জাগ্রত করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হবে এটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। আমাদের কাজ হচ্ছে জাতির পিতার স্বপ্নকে পূরণ করা।

এছাড়াও মন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় দেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। এজন্য দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর এই কন্যার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।

২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের বীরশহীদদের সম্মানে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এসব কথা বলেন।

এর আগে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, আওয়ামী প্রজম্মলীগ, মহিলালীগ, যুবমহিলালীগ, শ্রমিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মুড়াপাড়া স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, পুরস্কার বিতরণ, সংবর্ধনা, ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম, রূপগঞ্জ থানা পুুলিশের অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আল আমিন দুলাল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, কাঞ্চন পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মেহের, সাধারণ সম্পাদক নাঈম ভুঁইয়া, উপজেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক শিলা রানী পাল, উপজেলা যুবমহিলালীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ মাসুম প্রমূখ।

স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের শ্রদ্ধা নিবেদন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মহান স্বাধীনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়মীলীগ।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অবস্থিত জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামীলীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান প্রমূখ।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো কালাম ও কামালের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির একাংশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদদেও প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির একাংশের নেতারা। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ব্যানারে মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামালের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে এই মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি এই শ্রদ্ধা জানান আবুল কালাম ও এটিএম কামালের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। এর আগে বিশাল শোডাউন করে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, আয়সা সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট রফিক আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মোল্লা, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম সরদার, শওকত আলী লিটন প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ