তৈমূর ও সাখাওয়াতের শোডাউনে ধরাশয়ী কাজী মনির ও কালাম!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তবে পৃথক পৃথক শোডাউনে কোন নেতার নেতৃত্বে সবচেয়ে বড় শোডাউন হয়েছে সেটা নিয়ে ওঠেছে নেতাকর্মীদের নানা প্রশ্ন। এই প্রশ্নে শোডাউনে দেখা গেলে নারায়ণগঞ্জে আবারো নিজের অবস্থান জানানি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

তবে কম যাননি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানও। তাদের দুজনের শোডাউনে নেতাকর্মীদের সমাগম ছিল সবচেয়ে বেশি। তাদের শোডাউনকেই টপকাতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির নেতৃত্বে একাংশের নেতারা। রীতিমত অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও সাখাওয়াত হোসেন খানের পৃথক দুটি শোডাউনে ধরাশয়ী হয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ এবং মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামাল। জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটির নেতাদের শোডাউন দেখা গেলে অনেকটা বাম পন্থী কোন রাজনৈতিক দলের র‌্যালীর মতই। যেখানে উল্টো দিকে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেছেন তৈমূর আলম খন্দকার ও সাখাওয়াত হোসেন খান।

২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনের সামনে বিভিন্ন এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হয়। সেখান থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করে এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান তুলে শহরের প্রধান সড়ক হয়ে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তৈমূর আলম খন্দকার। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের শপথ পাঠ করান তৈমূর আলম। যে শপথটি ছিল, মহান স্বাধীনতা দিবসে আমাদের একটাই দাবি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আমরা কোন পদ পদবী চাইনা। কোন চেয়ার চাইনা। কোন ক্ষমতা চাইনা। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর খন্দকার মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান মাহামুদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুইয়া, আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, বিল্লাল হোসেন, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা এমএম সাগর, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দীন, মহানগর শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন, শ্রমিকদল নেতা বিল্লাল হোসেন, লিটন মিয়া, শ্রমিকদল নেতা রবি মেম্বার, শ্রমিকদল নেতা তুষার আহমেদ মিঠু, ফতুল্লা কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি মইনুল হোসেন রতন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবু, মহানগর ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমান সহ উল্লেখ্যযোগ্য শতাধিক শীর্ষ নেতা এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে কয়েক হাজার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই শোডাউন করেন তৈমূর আলম খন্দকার।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হয়। সেখান থেকে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল র‌্যালীর মাধ্যমে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সাখাওয়াত হোসেন খান। সেখানে তিনি সংক্ষিপ্তে বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করছি। অন্যথায় এদেশের মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারের অন্যায় অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসবে। আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাহআল্লাহ।’

াখাওয়াত হোসেন খানের এই শোডাউনে ছিলেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দীন শিশির, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন মোল্লা, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি স্বপন চৌধুরী, পারভেজ মল্লিক, শহিদুল ইসলাম রিপন, শাহিন আহমেদ, জেলা যুবদল নেতা নেতা রোমান হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রতন, কাজী খোকন, সজীব খন্দকার,পাপ্পু আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম বাবু, লিংকন খান, লিংরাজ খান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, ছাত্রদল নেতা মোজ্জামেল হোসেন, আল আমিন, আবদুর রশিদ, মোক্তার হোসেন সহ মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার এলাকা থেকে মহানগর বিএনপির ব্যানারে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামাল। তাদের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, আয়সা সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট রফিক আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মোল্লা, মহানগর শ্রমিক দলের নেতা মনির মল্লিক, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব আলী আজগর প্রমুখ।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে জেলা বিএনপির ব্যানারে মাত্র কয়েকশ নেতাকর্মীদের নিয়ে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ^াস, খন্দকার আবু জাফর, মনিরুল ইসলাম রবি, আবদুল হাই রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

সাখাওয়াতের কন্ঠে খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানে অগ্নিঝরা গর্জন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নেত্রীর মুক্তির দাবিতে রাজপথে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজেই গলা ফাটিয়ে শ্লোগান তুলেছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি শুধু গলা ফাটিয়েই নয় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির শ্লোগানে তিনি অনেকটা চিৎকার করে ওঠেন। ওই সময় তার চোখে মুখে তীব্র ক্ষোভ আর কষ্ট শ্লোগানে ফুটে ওঠলো। সাখাওয়াত হোসেন খানের শ্লোগানে উপস্থিত নেতাকর্মীরাও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান তুলে গর্জে ওঠেন। নারায়ণগঞ্জের প্রধান সড়ক নেতাকর্মীদের শ্লোগানে বুকফাটা আর্তনাতও প্রকাশ পেয়েছে।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে তাক লাগানো শোডাউন করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে থেকে মহানগর বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেন তিনি। সেখান থেকে র‌্যালীর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিএনপি নেতাকর্মীরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কারানির্যাতিত বিএনপির এই নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করছি। অন্যথায় এদেশের মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারের অন্যায় অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসবে। আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাহআল্লাহ।

এর আগে র‌্যালীতে নারায়ণগঞ্জের এই আলোচিত আইনজীবী নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নিজেই শ্লোগান তুলেন। এসময় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের শ্লোগান ছিল একটাই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। এর আগে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুখে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক।

এই শোডাউনে ছিলেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দীন শিশির, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন মোল্লা, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি স্বপন চৌধুরী, পারভেজ মল্লিক, শহিদুল ইসলাম রিপন, শাহিন আহমেদ, জেলা যুবদল নেতা নেতা রোমান হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রতন, কাজী খোকন, সজীব খন্দকার,পাপ্পু আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম বাবু, লিংকন খান, লিংরাজ খান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, ছাত্রদল নেতা মোজ্জামেল হোসেন, আল আমিন, আবদুর রশিদ, মোক্তার হোসেন সহ মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানে সাখাওয়াতের তাক লাগানো শোডাউন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মহান স্বাধীনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে তাক লাগানো শোডাউন করলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে থেকে মহানগর বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেন তিনি। সেখান থেকে র‌্যালীর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিএনপি নেতাকর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জের এই আলোচিত আইনজীবী নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নিজেই শ্লোগান তুলেন। এসময় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের শ্লোগান ছিল একটাই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। এর আগে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুখে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক।

বক্তব্যে কারানির্যাতিত বিএনপির এই নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করছি। অন্যথায় এদেশের মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারের অন্যায় অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসবে। আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাহআল্লাহ।

এই শোডাউনে ছিলেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দীন শিশির, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন মোল্লা, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি স্বপন চৌধুরী, পারভেজ মল্লিক, শহিদুল ইসলাম রিপন, শাহিন আহমেদ, জেলা যুবদল নেতা নেতা রোমান হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রতন, কাজী খোকন, সজীব খন্দকার,পাপ্পু আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম বাবু, লিংকন খান, লিংরাজ খান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, ছাত্রদল নেতা মোজ্জামেল হোসেন, আল আমিন, আবদুর রশিদ, মোক্তার হোসেন সহ মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ। নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি এমএম হাসান ও জিএস আমজাদ হোসেনের উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আইন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের সামনে থেকে স্বাধীনতা দিবসে র‌্যালী করে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আইন কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকৃবন্দ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ বিপু, নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি এমএম হাসান, জিএস আমজাদ হোসেন, এজিএস সাহাদাত হোসেন, আইন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন, মীর শোভা, জাহেদুল ইসলাম, হিমেল, মরিয়ম বেগম শারমিন, রোকেয়া আক্তার, আলিভা শারমীন চাকলাদার, প্রশান্ত রায় সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীবৃন্দ।

তৈমূর আলমের নামের উপর হাজারো নেতাকর্মী, বিশাল শোডাউন

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির পদ হারিয়েছেন দুই বছর আগেই। কিন্তু তার পদ না থাকলেও তার নামের উপর এখনও নারায়ণগঞ্জে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি শোডাউন করতে পারেন। তেমনটাই আবারো তিনি প্রমাণ করলেন মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের দিন। এদিন নারায়ণগঞ্জে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানের রব তুলে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালনে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করে কারাবন্ধি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানে শোডাউন করেছেন তৈমূর আলম খন্দকার। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ভবনের সামনে থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কে শোডাউন করে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে চাষাড়া প্রাণ কেন্দ্র বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর শেষে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ করান তৈমূর আলম খন্দকার। শপথে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে আমাদের একটাই দাবি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আমরা কোন পদ পদবী চাইনা। কোন চেয়ার চাইনা। কোন ক্ষমতা চাইনা। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নামের ব্যানারে জেলার সাতটি থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে সকাল থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে জড়ো হন। তারপর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী নিয়ে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।

শোডাউনের পূর্বে নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আজকের এইদিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ করছি শহীদ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সহ সকল শহীদদের প্রতি। শ্রদ্ধা জানাই মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজকে দেশ একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশটা স্বাধীনতা হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র আজকে বিপর্যস্ত। গণতন্ত্রের মা আজকে জেলখানায়। আজকের এই দিনে আমাদের শপথ হোক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে আমরা ঘরে ফিরবো না।

তিনি আরও বলেন, কে কমিটি পেল আর কমিটি পেল না। কে পদ পেল আর কে পদ পেল না সেটা এখন বিষয় না। কে গ্রুপিং করলো, কে লবিং করে বড় পদ পেয়ে বড় নেতা হয়ে গেল সেটাও এখন দেখার বিষয় না। আমরা এখন লবিং গ্রুপিং তদবিরবাজ দল চাইনা। আমরা চাই সেটা হলো আমাদের একমাত্র দাবি, একমাত্র শপথ, একমাত্র বক্তব্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমরা আলাদাভাবে কর্মসূচি দিব। আইনে লড়াই সহ সকল কর্মসূচি থাকবে ইনশাহআল্লাহ।

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে বিশাল এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর খন্দকার মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান মাহামুদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুইয়া, আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, বিল্লাল হোসেন, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা এমএম সাগর, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দীন, মহানগর শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন, শ্রমিকদল নেতা বিল্লাল হোসেন, লিটন মিয়া, শ্রমিকদল নেতা রবি মেম্বার, শ্রমিকদল নেতা তুষার আহমেদ মিঠু, ফতুল্লা কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি মইনুল হোসেন রতন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবু, মহানগর ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমান সহ উল্লেখ্যযোগ্য শতাধিক শীর্ষ নেতা এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে কয়েক হাজার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই শোডাউন করেন তৈমূর আলম খন্দকার।

বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে যা বললেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর হোসাইন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে একেবারেই টগবগে তরুণ আলমগীর হোসাইন ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি ভোটের হিসেবে তৃতীয় হয়েছিলেন। ভোট পেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের সমর্থিত দলীয় প্রার্থীর চেয়েও বেশি। এবার তিনি তৃতীয় নয়, তিনি এবার ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ের আশা নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। নিয়মিত তিনি করছেন বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ। তরুণ বয়সে তিনি জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেই বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মত দাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। বন্দরের একটি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক পরিবার থেকে ওঠে আসা আলমগীর হোসাইন স্বপ্ন দেখেন বন্দরবাসীর উন্নয়নে। লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে তিনি মানুষের সেবার ব্রত হয়ে নির্বাচনে যাচ্ছেন।

তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা এবং নির্বাচিত হলে বন্দরবাসীর জন্য তিনি কি কি করবেন সেই সব বিষয় তিনি জানালেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন তার বন্দরবাসীকে নিয়ে স্বপ্নের কথা। সেই সঙ্গে তিনি ভোট প্রার্থনা করেছেন ভোটারদের কাছে। তিনি এও দাবি করেছেন যারা প্রার্থী হবেন তাদের মধ্যে প্রার্থীর যোগ্যতা ও প্রার্থীদের কার কি অতীত সেই সব বিষয়ও জেনে শুনে যেনো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয় সেই বিষয়েও তিনি ভোটারদের প্রতি অনুরোধ রেখেছেন।

কেন আপনি বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবারো নির্বাচনে দাড়াবেন জানতে চাইলে আলমগীর হোসাইন বলেন, কারন বন্দর ইউনিয়ন থেকে কোন প্রার্থী নাই। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও ছিল না। বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাহেবের ছেলে আমি। ২০১৪ সালেও আমি নির্বাচন করেছিলাম। সেই নির্বাচনে আমি তৃতীয় হয়েছিলাম। আওয়ামীলীগের প্রার্থী ছিলেন এবিএম কাশেম। তিনি কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি তার চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছিলাম দলীয় সমর্থন ছাড়া।

তরুণ এই রাজনীতিক আরও বলেন, আমি আওয়ামীলীগের পরিবার থেকেই রাজনীতিতে আসছি। আমার বাবা জোহা সাহেবের রাজনীতি করেছেন। অনেকেই দাবি করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তারা। আসলেই যারা দাবি করেন- তারা কতটুকু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করেন সেটা বন্দরবাসীর জেনে নেয়ার অনুরোধ করি।

তিনি বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, দলমত নির্বিশেষে ভাল ব্যক্তিকেই ভোট দিবেন। যাতে বন্দর উপজেলাবাসীর সার্বিক উন্নয়ন হয়। মাদকমুক্ত বন্দর উপজেলা হয়। আমি এটুকুই চেষ্টা করব। আমার প্রধান কাজই হবে বন্দর উপজেলা থেকে মাদকমুক্ত করা। ইভটিজিং মুক্ত করা। মানুষের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা। আমি নির্বাচিত হলে আমার সকল কাজ হবে নিঃস্বার্থে। আমার টাকা পয়সার প্রতি কোন লোভ নাই। কখনও ছিলওনা। আমার সম্পর্কে জানতে আমার এলাকার আশপাশে যারা আছেন তাদেরকে কাছে জানতে চাইলে আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমি কেমন মানুষ।

তিনি বলেন, আমি আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছি। আইন পেশায় আমার স্যার বন্দর থানা যুবলীগ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু।

তিনি আরও বলেন, আমি চাই আগামী নির্বাচনে যারা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাড়াবেন তাদের সম্পর্কে ভোটারগণ জানুক। জেনে শুনে তারা যেনো ভোট দেয়। কে কেমন ব্যক্তি এসব জেনে শুনে যেনো ভোট প্রদান করেন সেটাই বন্দরবাসীর ভোটারদের কাছে আমার অনুরোধ।

সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর হোসাইন আওয়ামীলীগের দলীয় কোন সংগঠনের পদে না থাকলেও তিনি আওয়ামীলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত। তিনি বলেন, আমার বাবা বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় দীর্ঘ ১৭/১৮ বছর ধরে। আমার বড় ভাই অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। আমার কোন পদ না থাকলেও রাজপথে আমি সক্রিয় রাজনীতি করেছি। ২০০২ সাল থেকে বিএনপি জামাত জোটের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।

তরুণ বয়সে আপনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে গত ২০১৪ সালে নির্বাচন করেছিলেন। তরুণ বয়সে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাড়ানোর আপনার মুল উদ্দেশ্য কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিন্তু তরুণদের অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন এবং জাতীয় সংসদে গিয়েছেন। তারা এমপি হয়েছেন। তন্ময়ের মত একজন তরুণ কিন্তু এখন জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি সবচেয়ে কম বয়সে এমপি হলেন। আমি মনে করি তরুণরাই পারবে সমাজকে পরিবর্তন করতে। সমাজের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে। সমাজের মানুষকে শান্তিতে রাখতে। আমার একটাই উদ্দেশ্য মানুষের শান্তি কামনা করা। এসব কারনেই আমি উৎসাহ পেয়ে নির্বাচনে এসেছিলাম।

এছাড়াও তিনি বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে আমার একটাই কথা- গত নির্বাচনে আমাকে আপনারা ভালবেসে ভোট দিয়েছিলেন। আমি অল্পের জন্য পাস করতে পারিনি। আপনারা সকল প্রার্থীর মধ্যে বাছাই করে জেনে শুনে ভোট দিবেন এবং ভাল মানুষকে ভোট দিবেন। আমি আওয়ামীলীগের সমর্থনেই নির্বাচন করব। আওয়ামীলীগ বা অন্য কোন দল বুঝিনা। আমি বন্দরের সর্বস্তরের মানুষের ভোট প্রার্থনা করি।

ক্রীড়া প্রেমী এই তরুণ রাজনীতিক পুরান বন্দর টাইগার ক্রীড়া সংঘের সভাপতি। তিনি বলেন, সেখান থেকে আশপাশের যেসব গ্রামগুলো থাকে যারা খেলাধুলা করে। আমি আমার ব্যক্তিগতভাবে যারা অর্থের টানাপোড়ানে থেকে লেখাপড়া করে তাদের কলম খাতা ফাইল এসব দিয়ে থাকি। এটা আমার সামর্থ যতটুকু আমি করি- আর কি।

তিনি বলেন, আমার অতীত কোন খারাপ রেকর্ড নেই। আপনারা কোন খারাপ রেকর্ড আমার খুজে পাবেন না। এমনকি আমার বাবা যখন চেয়ারম্যান ছিলেন উনারও কোন খারাপ রেকর্ড নেই। তিনি কোন বিচার শালিশি করে টাকা পয়সা খাইছেন এসব কেউ বলতে পারবেন না। আমি আমার বাবার মতই মানুষের সেবা করতে চাই। সর্বপরি বলতে পারি আমাদের বংশে কারো সম্পর্কে কোন খারাপ রেকর্ড নেই ইনশাহআল্লাহ। যদি কোন খারাপ দিক কেউ বের করতে পারেন তাহলে যেনো তারা আমাকে ভোট না দেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আইন সম্পাদক নির্বাচিত অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দীন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আইন বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির একজন ন¤্র ভদ্র আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দীন। ২৩ মার্চ শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাকে সোনারগাঁয়ের এই কৃতি সন্তানকে আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।

জানাগেছে, ২৩ মার্চ শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম নয়ন। কমিটিতে আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দীন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সুফিয়ান দিপু ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সজীবকে নির্বাচিত করা হয়।

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের এই দুই নেতা। যেখানে সভাপতি করা হয় শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আমিরুল ইসলাম ইমন, হারুন অর রশিদ মিঠু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন।

শনিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহাল রেখে ১৯জনকে সহ-সভাপতি, ১০জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৩ জনকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, ৯ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও আরও ৫ জনকে সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে রাখা হয়েছে। একজন প্রচার সম্পাদক ও সহ-প্রচার সম্পাদক আরও ৪ জন। সাধারণ সদস্য পদে রাখা হয়েছে ৭৩ জন যুবদল নেতাকে।

আজাদের কর্মীদের নাই কদর, আগের মত নাই তহরী!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে আলোচিত তরুণ রাজনীতিক নজরুল ইসলাম আজাদ। মুলত জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে জেলার রাজনীতিতে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তিনি। সেই সুবাদে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে দলীয় মনোনয়নও ভাগিয়ে আনেন। কিন্তু নির্বাচনে তিনি মাঠেই দাড়াতে পারেননি।

নেতাকর্মীরা বলছেন, এর আগে শুধু আড়াইহাজার নয় জেলার অন্যান্য থানার নেতারাও আজাদের পিছনে ঘুরেছেন। কেউবা পদ পদবীর লোভে কেউবা মাসিক তহুরী বিনিময়ে। মহানগরীর অনেক নেতাও আজাদের পিছনে রাজনীতি করেছেন। তবে জাতীয় নির্বাচনের পর আজাদের কাছে তার কর্মীদের কদর কমে গেছে। অনেকেই পদ পদবী পাবার আশায় ঘুরেও পদ না পেয়ে এখন আজাদের বিরুদ্ধে বিষোধগার করেন নেতাকর্মীরা। মাসিক তহরীও আজাদ তার বলয়ের কর্মীদের দিচ্ছেন না। যে কারনে আজাদের পিছনে আগের মত নেতাকর্মীদের ঢল দেখা যায়না।

নেতাকর্মীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীরা আন্দোলনে না থাকলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের পিছনে ঠিকই দৌড়াতেন। এমনকি যেদিন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি সেইদিন কর্মসূচি পালন না করলেও নারায়ণগঞ্জ কোর্টে আজাদের হাজিরার দিন কোর্টে গিয়ে কর্মীরা দেয় শোডাউন। অথচ ওইদিন খালেদা জিয়ার মুক্তির কর্মসূচিতে ছিলেন না।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদের আশায় মহানগরীর রাজনীতি ছেড়ে আড়াইহাজারে রাজনীতি করেছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি। কিন্তু মহানগর যুবদলের কমিটি হলেও সেখানে কোন পদেই ঠাঁই পাননি তিনি। একই পদের লোভে মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজলও মহানগরীর রাজনীতি ছেড়ে আড়াইহাজারে গিয়ে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু তিনিও পাননি মহানগর কমিটিতে পদ। জেলা যুবদলের সেক্রেটারি পদে আসতে চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক। তিনি শুধুমাত্র আড়াইহাজার কেন্দ্রীক রাজনীতিতে ছিলেন। মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ পেয়েও আড়াইহাজারে গিয়ে রাজনীতি করেছেন রাফিউদ্দীন রিয়াদ। একই সঙ্গে মহানগর ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন ও এরশাদ আলীও মহানগরীর রাজনীতি ছেড়ে আজাদের পিছনেই দৌড়ালেন। এদের ছাড়াও অন্যান্য থানার বেশকজন নেতা আড়াইহাজার মুখী রাজনীতি করেছিলেন।

এসব চাটুকার দলের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচি পালন না করলেও আজাদের পিছনে দাড়ানোই ছিল তাদের প্রধান কাজ। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় না থাকলেও তারা আজাদ কোর্টে হাজিরা দিতে আসলেই তাদের শোডাউন দেখা যেতে। কিন্তু বর্তমানে আজাদের সেই শোডাউনে ভাটা পড়েছে। এসব কর্মীদের আগের মত আজাদের কাছে কদর নেই। নেতাকর্মীদের খোজ খবরও রাখছেন না আগের মত। যে কারনে এসব কর্মীদের অনেকেই আজাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। আগের মত তাদের তহুরীও দিচ্ছেন না আজাদ।

আড়াইহাজার-রূপগঞ্জে কোণঠাসা বিদ্রোহী: সোনারগাঁয়ে লড়ছেন কালাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয়পার্টি অংশগ্রহণ করেনি। ফলে দুটি দলের কোন প্রার্থীও নেই। তিনটি উপজেলায় রয়েছে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। কিন্তু জেলার আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জে ইতিমধ্যে কোণঠাসা অবস্থায় আছেন বিদ্রোহী প্রার্থী ইকবাল হোসেন মোল্লা ও তাবিবুল কাদির তমাল। যেখানে সোনারগাঁয়ে অনেকটা পুরোদমে বুক ফুলিয়েই নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। দুটি উপজেলায় নৌকা প্রার্থীদের পক্ষে রয়েছেন স্থানীয় দুই এমপি। কিন্তু সোনারগাঁয়ে মহাজোটের এমপি রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে। ফলে বেশ ভিন্নতা সৃষ্টি হয়েছে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন পরিষদের টানা দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। এক সময় তার সঙ্গে বর্তমান এমপি এবং পাট ও বস্ত্র গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে সাপে নেউলে সম্পর্ক থাকলেও সেই বিরোধ চুকিয়ে এখন তারা একজোট হয়েছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও গাজীর মনোনয়ন ঠেকাতে ৩০ জনের বেশি মনোনয়ন ক্রয় করেছিলেন।

এখানে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তাবিবুল কাদির তমাল আনারস প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। কিন্তু তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামতেই পারছেন না। প্রচারণা চালানোর মত নেতাকর্মীও তিনি পাচ্ছেন না। ফলে বেশ বেকায়দায় পরে গত ২৩ মার্চ নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী গাজীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় বাধা ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেন তমাল। তারপর তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে শাহজাহান ভূঁইয়া বলেছেন, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর প্রতিটি কেন্দ্রে ও বুথে এজেন্ট দেয়ার সামর্থ্য আছে কিনা সন্দেহ হয়।

এদিকে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। এখানে টানা দুইবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও পরবর্তীতে তিনি কেন্দ্রীয় চাপে তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। এখানে মনোনয়ন চেয়েছিলেন শাহজালাল মিয়া ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ভূঁইয়াও। তবে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আনারস প্রতীকে নির্বাচনে দাড়িয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন মোল্লা। তিনি স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ভাগিনা। এখানে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় দুই ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আড়াইহাজারে নির্বাচনী কোন আমেজই নেই। আনারস প্রতীকে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ইকবাল হোসেন মোল্লা নির্বাচনী প্রচারণায়ই চালাতে পারছেন না। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীও তেমন একটা প্রচারণায় নেই। নির্বাচনের আগেই মনে হচ্ছে এখানে নৌকার বিজয় নিশ্চিত।

অন্যদিকে ভিন্ন চিত্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। এখানে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। তিনি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। চাচা ভাতিজা এবার একজোট হয়ে নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। তবে এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম।

আরও জানাগেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম সহ অন্তত ১৫ জন। কিন্তু এখানে মহাজোটের প্রার্থী দেয় আওয়ামীলীগ।

ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ে বাদ পড়ে যান মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে সিংহ প্রতীকে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। ওই নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন মাহফুজুর রহমান কালাম। কায়সার হাসনাতের পক্ষে কাজ করেছিলেন মোশারফ হোসেন।

ওই নির্বাচনের মাত্র ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাসায় পুলিশ হানা দেয়। বেশকজন নেতাকর্মীকে আটকও করেছিল পুলিশ। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সেখানে পুলিশ হানা দেয়। সেদিন রাতেই নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান কায়সার হাসনাত। তারপর থেকে কায়সার হাসনাতের হুদিস পাওয়া যায়নি সোনারগাঁয়ে। আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে লড়াই করছেন মাহফুজুর রহমান কালাম। তার পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সহ উপজেলার সাতজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও আরও ৯০ জন জনপ্রতিনিধি।

মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে তৈমূরের জাগানিয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে সরেছেন প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্তিত্ব বলতে এখনও সেই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারই। কমিটিতে না থাকলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নামকাওয়াস্তে কমিটি গঠন করা হলেও তৈমূর আলমের সঙ্গে শোডাউনে পাল্লা দিতে পারেনি দলের কোন কর্মকান্ডেই। এবারও তৈমূর আলম খন্দকার তার অস্তিত্বের জাগানিয়া দিতে আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস মঙ্গলবার শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।

জানাগেছে, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন মঙ্গলবার বিশাল শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এ উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যে গত ২২ মার্চ শুক্রবার বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে মাসদাইরে তার মজলুম মিলনায়তনে প্রস্তুতিমুলক সভাও করেছেন। যেখানে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। জেলা কমিটিতে সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ এবং মহানগর বিএনপির কমিটিতে সাবেক এমপি আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সেক্রেটারি করা হয়। এর আগে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার ও কাজী মনির ছিলেন সেক্রেটারি। মহানগর কমিটির আগে ছিল শহর বিএনপির কমিটি। শহর বিএনপির কমিটিতে সভাপতি ছিলেন প্রয়াত জাহাঙ্গীর আলম ও বতর্মান মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল ছিলেন সেক্রেটারি। ওই সময় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একক নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব ছিল তৈমূর আলমের হাতে।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার সভাপতি নির্বাচিত হন। কাজী মনিরকে সেক্রেটারি করা হলেও তিনি দলীয় কর্মকান্ড ও রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন নিষ্ক্রিয়। যে কারনে তৈমূর আলম খন্দকার পুরো জেলার নেতাদের চাঙ্গা রাখতে নিজে একাই বিএনপির কর্মকান্ডকে সামনে নিয়ে গেছেন। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা নির্বাচিত হন তৈমূর আলম খন্দকার।

কিন্তু রহস্যজনক কারনে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তৈমূর আলম খন্দকারকে বাদ দিয়ে জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কমিটিতে তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে যেসব নেতারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন সেইসব নেতাদের বাদ দেয়া হয়। দুএকজনকে কমিটিতে নামকাওয়াস্তে রাখা হলেও অপরিিিচত কিংবা নিষ্ক্রিয় নেতাদের রাখা হয় রাজপথের নেতাদের সামনে। রীতিমত রাজপথের নেতাকর্মীদের অপমান অপদস্থ করা হয় ওই কমিটি গঠনের মাধ্যমে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়েননি তৈমূর আলম খন্দকার ও তার নেতাকর্মীরা। জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হলেও এই কমিটির চেয়ে বড় শোডাউন এখনও দিতে পারেন তৈমূর আলম খন্দকার। কারন তিনি যখন জেলা বিএনপির রাজনীতিতে নেতৃত্বে ছিলেন তখন তিনি পুুরো জেলার অলিগলিতেও নেতাকর্মী সৃষ্টি করেছেন। এতে তার বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে। ফলে এখনও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্তিত্ব বলতে তৈমূর আলম খন্দকার ও তার বিশাল কর্মী বাহিনীকেই বুঝায়। তেমনি আবারো তিনি জাগানিয়া দিবেন মহান স্বাধীনতা দিবসে। যদিও তিনি এসব দিবসগুলোতে প্রতি বছরই বিশাল শোডাউন করে থাকেন।

সর্বশেষ সংবাদ