সোনারগাঁয়ে নৌকা নিয়ে কায়সার ও মাসুদ দুলাল: নৌকার পাশে প্রশাসন, ভয় নাই

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে মাঠে নেমেছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল সহ কেন্দ্রীয় নেতারাও। ওই সময় কেন্দ্রীয় আরও বেশকজন নেতা ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ২৪ মার্চ রবিবার বিকেলে সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার এলাকায় নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালান এসব নেতারা।

নির্বাচনী প্রচারণায় সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত বলেছেন, আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবাই একত্রে সম্মেলিতভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন।

কায়সার হাসনাত আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমাদের পাশে প্রশাসন আছে, আওয়ামীলীগ আছে, আমাদের কোন ভয় নেই। ভয়কে জয় করেই আগামী ৩১ মার্চ নৌকাকে বিজয়ী করে প্রমাণ করতে হবে আমরা আওয়ামীলীগ আমরা ঐক্যবদ্ধ। নৌকা বিজয়ী করতে যুবলীগ ছাত্রলীগ মহিলালীগ কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালাবে। যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস কওে, গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করেন তারা কখনো ভয় পায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের সেই গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েছেন। সেই গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে আমরা মাঠে আছি মাঠে থাকবো।

নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা দীপক কুমার ভৌমিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি নেকবর হোসেন নাহিদ সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

সোনারগাঁয়ে কালামের ঘোড়াকে বিজয়ী করতে নির্বাচনী মাঠে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের ঘোড়া প্রতীকের বিজয় ছিনিয়ে আনতে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম।

জানাগেছে, আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের ঘোড়া প্রতীকের বিজয় আনতে নির্বাচনী মাঠে একট্টা হয়ে নেমেছেন উপজেলার বর্তমান ও সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানেরা। নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে তারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে ২৪ মার্চ রবিবার উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মীরেরবাগ এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে নির্বাচনী বৈঠকে তারা একত্রিত হয়ে উঠান বৈঠক করেন।

উঠান বৈঠকে তারা সোনারগাঁবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, মাহফুজুর রহমান কালাম একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ও দক্ষ সংগঠক। তিনি আওয়ামীলীগকে জড়িয়ে তিনযুগ পার করেছেন। নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে তাদের পাশে গিয়ে দাড়িয়েছেন। এর আগে তিনি দুইবার নির্বাচন করেছেন। আল্লাহ তার সহায় হয়নি। তাই তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি। কারণ আল্লাহ যাকে চান তাকেই ক্ষমতায় বসান। আর আপনারা যদি চান তাহলে হয়তো আল্লাহ তার উপর সহায় হতে পারেন। সেজন্য আগামী ৩১ মার্চ ঘোড়া মার্কায় ভোট দিয়ে কালামকে সেই সুযোগ করে দিবেন এটাঁই আপনাদের কাছে আমাদের জোড়ালো অনুরোধ।’

উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বারদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল হক, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডাঃ আবদুর রব, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান টুলু চেয়ারম্যান, লিটন চেয়ারম্যান, হানিফ চেয়ারম্যান, বর্তমান চেয়ারম্যান হামীম সিকদার শিপলু, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান সামসু ও সনমান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু প্রমুখ।

প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করে ভোট দিবেন: সোনারগাঁয়ের আবু নাইম ইকবাল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সোনারগাঁয়ের মানুষ আমাকে এতো ভালোবাসে তা জানতাম না। আপনাদের এই ভালবাসাই আমার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার একমাত্র পুঁজি। আমি আপনাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। আপনারা ভোটাররা আগামী ৩১ মার্চ ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আপনার ভোট আপনি আপনার পছন্দের প্রার্থীকে দিবেন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করে ভোট দিবেন। যদি আপনারা মনে করেন আমি ভাইস-চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য তাহলে আমাকে তালা মার্কায় একটি ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।

২৩ মার্চ শনিবার স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তি ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আবু নাইম ইকবাল। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের উলুকান্দি এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী, স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ ভোটারদের সাথে এই মতবিনিময় সভাটি অনুুষ্ঠিত হয়।

সোনারগাঁয়ের এই শিক্ষানুরাগী আরও বলেন, আমি নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রসারের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় ও তাদের দুঃসময়ে পাশে থেকে মানবিক কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি। রাজনীতি মানে উন্নয়ন, রাজনীতি মানে মানবসেবা, রাজনীতি মানে দেশের সেবা করা। আর মানবতার তাগিদ নিয়ে কাজ করার জন্যই রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। আমার রাজনীতি করার মূল উদ্দেশ্য সুখে দুঃখে আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই। অনেকেই নিজের ব্যবসাকে প্রসার করার জন্য রাজনীতি করেন। কিন্তু আমি মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছি এবং সেটাই করে যেতে চাই।

তিনি বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছি।’

বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মজুমদারের আয়োজিত ও সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভায় অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহŸায়ক অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী, সোনারগাঁও পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ দুলাল মিয়া, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ মতিউর রহমান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি নবী হোসেন প্রমুখ।

আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল। এছাড়াও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন মাইক প্রতীকে, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন চশমা প্রতীকে, বাবুল ওমর বাবু টিউবওয়েল প্রতীকে, মনির হোসেন উড়োজাহাজ প্রতীকে ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

মানুষের সেবা করতেই প্রার্থী হয়েছি: ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মানুষের সেবা করতেই প্রার্থী হয়েছি। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। আমি আপনাদের সেবা করব। আপনাদের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকবো।

সোনারগাঁয়ের এই শিক্ষানুরাগী আরও বলেন, আমি নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রসারের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় ও তাদের দুঃসময়ে পাশে থেকে মানবিক কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি। রাজনীতি মানে উন্নয়ন, রাজনীতি মানে মানবসেবা, রাজনীতি মানে দেশের সেবা করা। আর মানবতার তাগিদ নিয়ে কাজ করার জন্যই রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। আমার রাজনীতি করার মূল উদ্দেশ্য সুখে দুঃখে আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই। অনেকেই নিজের ব্যবসাকে প্রসার করার জন্য রাজনীতি করেন। কিন্তু আমি মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছি এবং সেটাই করে যেতে চাই।

তিনি বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছি।’

২৩ মার্চ শনিবার স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তি ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আবু নাইম ইকবাল। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের উলুকান্দি এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী, স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ ভোটারদের সাথে এই মতবিনিময় সভাটি অনুুষ্ঠিত হয়।

সোনারগাঁও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সোনারগাঁয়ের মানুষ আমাকে এতো ভালোবাসে তা জানতাম না। আপনাদের এই ভালবাসাই আমার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার একমাত্র পুঁজি। আমি আপনাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। আপনারা ভোটাররা আগামী ৩১ মার্চ ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আপনার ভোট আপনি আপনার পছন্দের প্রার্থীকে দিবেন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করে ভোট দিবেন। যদি আপনারা মনে করেন আমি ভাইস-চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য তাহলে আমাকে তালা মার্কায় একটি ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।

বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মজুমদারের আয়োজিত ও সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভায় অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহŸায়ক অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী, সোনারগাঁও পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ দুলাল মিয়া, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ মতিউর রহমান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি নবী হোসেন প্রমুখ।

আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল। এছাড়াও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন মাইক প্রতীকে, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন চশমা প্রতীকে, বাবুল ওমর বাবু টিউবওয়েল প্রতীকে, মনির হোসেন উড়োজাহাজ প্রতীকে ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

হিউম্যান রাইটস সম্মাননা পেলেন পুুলিশ পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইও-২) মোঃ সাজ্জাদ রোমন হিউম্যান রাইটস সোসাইটি থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটি নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করেন।

২৩ মার্চ শনিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার এলাকায় অবস্থিত জেলা সরকার গ্রন্থাগারে সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে পুলিশ পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমনকে এই সম্মাননা দেয়া হয়।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির মহাসচিব রহিমা আক্তার, সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির জেলা সভাপতি মীর আনোয়ার হোসেন ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের প্রমুখ।

‘কালাম সেনারা লড়াই করে মরবে কিন্তু পুলিশের ভয়ে পালিয়ে যাবেনা’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। জেলার রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী দুই প্রার্থী কোনঠাসা হয়ে পড়লেও সোনারগাঁয়ে এখনও মাঠ চাঙ্গা রেখেছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম। উল্টো তার নির্বাচনী ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় ও জনসমর্থনের কাছে বেশ হোচট খাচ্ছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন। কারন এই নির্বাচনে স্থানীয় এমপি ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন কালামের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম সহ অন্তত ১৫ জন। কিন্তু এখানে মহাজোটের প্রার্থী দেয় আওয়ামীলীগ।

ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ে বাদ পড়ে যান মোশারফ হোসেন। নির্বাচনে সিংহ প্রতীকে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। ওই নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন মাহফুজুর রহমান কালাম। কায়সার হাসনাতের পক্ষে কাজ করেছিলেন মোশারফ হোসেন।

ওই নির্বাচনের মাত্র ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাসায় পুলিশ হানা দেয়। বেশকজন নেতাকর্মীকে আটকও করেছিল পুলিশ। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সেখানে পুলিশ হানা দেয়। সেদিন রাতেই নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান কায়সার হাসনাত। তারপর থেকে কায়সার হাসনাতের হুদিস পাওয়া যায়নি সোনারগাঁয়ে।

ওই বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম। আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে লড়াই করছেন মাহফুজুর রহমান কালাম। তার পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সহ উপজেলার সাতজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও আরও ৯০ জন জনপ্রতিনিধি।

মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম তার ফেসবুকে লিখেছেন, পুলিশের ভয়ে মাহফুজুর রহমান কালাম কখনো পিছনের দরজা দিয়ে দুই তলা থেকে চঙো বেয়ে পালিয়ে যায় নাই। কালাম সেনারা লড়াই করবে মরবে পালিয়ে যাবেনা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ সোনারগাঁয়ে একবারই ঘটেছিল, ২য় বার ঘটানোর স্বপ্ন দেখে লাভ নাই। পরিশেষে বলি পাগলের সুখ মনে মনে আন্ধার রাইতে তারা গনে……….।’ তিনি মাহফুজুর রহমান কালামের ছোট ভাই।

নারায়ণগঞ্জে নাবা স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার তল্লা এলাকায় অবস্থিত নাবা স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ২৩ মার্চ শনিবার সকাল ১১টায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া পদকপ্রাপ্ত ক্রীড়া সংগঠক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর (ঢাকা বিভাগ দক্ষিণ) কে ইউ আকসির।

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রুমীর সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ সোনিয়া আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম কর কমিশনার মর্তুজা শরীফুল ইসলাম রানা, লায়নের রিজিওনাল চেয়ারপারসন কাজী মোহাম্মদ গোলাম হোসেন, সাধারণ পাঠাগারের সভাপতি মো. জাহিদ হোসেন লাভলু ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘প্রেস নারায়ণগঞ্জ’ এর সম্পাদক প্রকাশক মো. ফখরুল ইসলাম।

নির্বাচনে অরাজকতা, অবৈধ তদবির, অস্থিরতাকে ছাড় দেয়া হবেনা: এসপি হারুন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হবে। কোন প্রকার অরাজকতা করতে দেয়া হবেনা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তার সবকিছুই করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। কোন অরাজকতা, অবৈধ তদবির, অস্থিরতাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবেনা।’

২৪ মার্চ রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে তিনটি উপজেলা পরিষদের প্রার্থীদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জের এই পুলিশ সুপার। এতে আড়াইহাজার, সোনারগাঁও ও রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন: ‘পাট মন্ত্রী প্রভাব বিস্তার করছেনা’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপি এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে অন্যান্য প্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলনের পর এবার সেই মন্ত্রীর পক্ষে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন আরও কজন প্রার্থী। আগের দিন ২৩ মার্চ শনিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। যদিও ওইদিন তারা দাবি করেছিলেন তারা ৭ জন।

আগের দিন নির্বাচনে গাজীর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকার প্রার্থী সহ তিন প্রার্থী। মূলত ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ওই প্রার্থীরা এই ধরণের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেন তাঁরা।

২৪ মার্চ রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহজাহান ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ ভূইয়া এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা এ দাবি করেন।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ২০০৯ সালে আমি প্রথম আনারস মার্কায় নির্বাচন করি। আমার প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন বিএনপির নুরুজ্জামান খান। তিনি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিলে আমি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলীয় কোন প্রতীক না পেয়ে আনারস মার্কা নিয়ে হিসেবে জয়ী হই।

তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জে সাড়ে তিন লাখ ভোটার ও কেন্দ্র রয়েছে ১৮৭টি। কেন্দ্রগুলোতে যতগুলো বুথ রয়েছে সেখানে একজন করে এজেন্ট দিলেও কমপক্ষে ৮’শ এজেন্টের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ যারা নির্বাচন করেছে তারা সমস্ত কেন্দ্রে একজন করে এজেন্ট দিতে পারবে কিনা এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ রয়েছে। যার কারণে তারা মিথ্যা অপপ্রচার করে বানোয়াট তথ্য দিয়ে এলাকার ভোটারদের বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য এ অপপ্রয়াস চালিয়েছে। সেখানে ৭ প্রার্থীর অভিযোগের কথা বললেও সবাই উপস্থিত ছিলেননা।

আগের দিন শনিবার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অংশগ্রহণকারী ৭ প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাবিবুল কাদির তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, মহিলা ভাইস চেয়াম্যান প্রার্থী হ্যাপী বেগম ও শায়লা তাহমিন সিথী। তবে ওইদিন এই তিন প্রার্থীকেই মন্ত্রী একটি প্যানেল করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন তারা।

ফতুল্লার গেসু ও আজমত বাহিনীর সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা রামারবাগ এলাকায় কাইল্লা গেসু ও আজমত আলীর সন্ত্রাসী বাহিনীর গ্রেপ্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলো। আগের দিন ফতুল্লা মডেল থানায় গেসু ও আজমত বাহিনীর ৫০ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন হামলায় আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর।

আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর দাবি করেন- নিজেরা রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও জাতীয় নির্বাচনে একটি পক্ষের হয়ে কাজ করার জেরে এই আক্রমন হয়েছে। সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার দাবি করার পাশাপাশি শান্তিপ্রিয় রামারবাগে নিরাপত্তা ও শান্তি ফেরানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।

২৪ রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতদের স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে হামলায় আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর, ফুফু সেলিনা, সিথী, আহত আকাইদের বাবা আব্দুর রাজ্জাক, খালা শাহিদা, ফুফু রওশন, চাচী রাহিমা, আহত নাজমুলের মামা রাজ্জাক এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিটি পুলিশের সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল গফুর অভিযোগ করেন, কুতুবআইল কাঠের পুল এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু দীর্ঘদিন যাবত এলাকার বাইরের স্কুল কমিটিগুলো নিয়ন্ত্রণ করতো। আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক স্পিড বোট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের পরামর্শ চলি।

আহত আকাইদের বাবা রাজ্জাক বলেন, আমরা ঝুট ব্যবসার সাথে জড়িত নই। গিয়াসউদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু, তার ছোট ভাই জুট ব্যবসায়ী আজমত, মুরাদ, রাজিব, নজরুল, জসীম ও হেলাল রামারবাগ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি বলেই দেশী ও বিদেশী অস্ত্র-সন্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। তাঁরা রামারবাগে মাদকের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে কাজ করছিল। আমার ছেলে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। সে কিংবা আমি কেউই রাজনীতির সাথে জড়িতনা। আমরা শুধু মোস্তফা কামালের পক্ষে থাকাতেই এই হামলা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি। একই সাথে রামারবাগ এলাকায় নিরাপত্তা ও শান্তি ফেরানোর দাবি জানাই।

অন্যদিকে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বেপরোয়া আজমত আলী ও গেস ওরফে কাইল্লা গেসু বাহিনীর ৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২২ মার্চ শুক্রবার রাতে ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানোর ঘটনায় ২৩ মার্চ শনিবার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই এলাকার মফিজ উদ্দীনের ছেলে হামলায় আহত আব্দুল গফর। এই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম হোতা চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী আজমত আলীকে। মামলায় আজমত আলী সহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ্যসহ আরও ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ- ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকার চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু ও তার ভাই আজমত আলী বাহিনী সরকারী দলের নাম ব্যবহার করে কুতুবআইলের শিল্পাঞ্চলের গার্মেন্টের ঝুট সেক্টর এককভাবে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। এলাকায় আজমত আলী ও গেসু বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যারা এলাকায় নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা ও ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে আসছে। সেখানে এককভাবে প্রভাব বিস্তার করতে বিশাল একটি বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে নাজেহালের শিকার হতে হয়। সেই বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়াও মাদক ব্যবসা করে বেড়ায় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

মামলায় আসামী করা হয় বাহিনীর প্রধান আজমত আলী ও কাইল্যা গেসু, মনির হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্রাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হ্নদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেয়মান, রহিম বাদশা, শামীম, ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানাগেছে, আসামীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শত্রæতা করে আসছিল। এর জের ধরে গত ২২ মার্চ শুক্রবার সন্ধায় আব্দুল গফুরের ছেলে আজিম রামারবাগ মসজিদ সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী হামলা চালায়। দেশী ও বিদেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আজিমকে আহতের খবর তার আত্মীয়স্বজনেরা এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় গেসু ও আজমত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় ১৫ জন আহত হন। হামলাকারীরা পরে আহতদের দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা ভাংচুর চালিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ