সোনারগাঁয়ে চেয়ারম্যান জিন্নাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম বহির্ভূত কাজ করার জন্য সংগঠনের সদস্য সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক।

ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম না মানলে ওই সদেস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জহিরুল হক। তিনি স্থানীয় একটি অনলাইন বলেছেন, আমরা নিজেরা কিছু রাজনৈতিক বিষয়কে সামনে এসে নিজেদের মধ্যে একটি ঐক্য গড়ে তুলেছি। সোনারগাঁ উপজেলার সাধারণ নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত এমন মেয়র, চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের নিয়ে এ ফোরাম গঠন করা হয়েছে। আমাদের অভিভাবক শামীম ওসমান এ ফোরামের অন্যতম উপদেষ্টা। যার হাত ধরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি পরিচালিত হয়। এমন একজন লোকের সমন্বয়ে গঠন করা জনপ্রতিনিধি ফোরাম। যার সভাপতি সোনারগাঁয়ের ২বারের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। এ ফোরামে থেকে ফোরামের নির্দেশ না মানলে তার বিরুদ্ধে ঐক্য ফোরামের নিয়ম অনুযায়ী তার রিুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, তবে আমরা ফোরামের সব সদস্য একত্রিত হয়েই এ সিদ্ধান্ত নিবো। ফোরামে থাকবে অথচ নিজের স্বার্থে ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম মানবেনা এটা হতে পারেনা। আগামী সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য ফোরামের এক সদস্য ও সনমান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ ফোরামের নিয়ম না মেনে নিজের স্বার্থে ফোরাম সমর্থন দেয়নি এমন এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

এছাড়া জাহিদ হাসান জিন্নাহ গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও লিয়াকত হোসেন খোকার প্রচারনা তেমন দেখা যায়নি। যখন কায়সার হাসনাতের সিংহ মার্কা মাঠ ছেড়ে দেয় ঠিক তার একদিন আগে লিয়াকত হোসেন খোকার প্রচারনা নামেন তিনি এ নিয়ে ওই সময় সমালোচনার ঝড় উঠে। তার কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই জিন্নাহ আবারও পুরোনো রূপে ফিরে যান।

সংগঠনটির সূত্রে জানাগেছে, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে নারায়ণগঞ্জ- (সোনারগাঁ) আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সোনারগাঁয়ে ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ১টি পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলদের নিয়ে একটি ঐক্য গড়ে তোলেন। তার নাম দেওয়া হয় সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ফোরামের উদ্ধোধন করেন। ফোরামের সভাপতি করা হয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে। সাধারণ সম্পাদক হন বারদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল হক।

সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে ঐক্য ফোরামের সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা, মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া ও ৭ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর কালামের ঘোড়া প্রতীককে সমর্থন করে সেখানে সনমান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ মোশারফ হোসেনকে সমর্থন দেন। একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লিয়াকত হোসেন খোকাকে সমর্থন না দেওয়া ফের ঐক্য ফোরামের বাহিরে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থন দেওয়া ঐক্য জনপ্রতিনিধি ফোরামের ভবিষ্যৎ ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতি সংশ্লিষ্টরা।

‘শামীম ওসমানের হাত ধরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি পরিচালিত হয়’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের হাত ধরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি পরিচালিত হয় বলে দাবি করেছেন সোনারগাঁয়ে জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক। সংগঠনের নিয়মের বাহিরে কাজ করা সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বলতে গিয়ে এমন কথা বলেন জহিরুল হক।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম বহির্ভূত কাজ করার জন্য সংগঠনের সদস্য সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক।

ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম না মানলে ওই সদেস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জহিরুল হক। তিনি স্থানীয় একটি অনলাইন বলেছেন, আমরা নিজেরা কিছু রাজনৈতিক বিষয়কে সামনে এসে নিজেদের মধ্যে একটি ঐক্য গড়ে তুলেছি। সোনারগাঁ উপজেলার সাধারণ নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত এমন মেয়র, চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের নিয়ে এ ফোরাম গঠন করা হয়েছে। আমাদের অভিভাবক শামীম ওসমান এ ফোরামের অন্যতম উপদেষ্টা। যার হাত ধরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি পরিচালিত হয়। এমন একজন লোকের সমন্বয়ে গঠন করা জনপ্রতিনিধি ফোরাম। যার সভাপতি সোনারগাঁয়ের ২বারের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। এ ফোরামে থেকে ফোরামের নির্দেশ না মানলে তার বিরুদ্ধে ঐক্য ফোরামের নিয়ম অনুযায়ী তার রিুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, তবে আমরা ফোরামের সব সদস্য একত্রিত হয়েই এ সিদ্ধান্ত নিবো। ফোরামে থাকবে অথচ নিজের স্বার্থে ফোরামের সাংগঠনিক নিয়ম মানবেনা এটা হতে পারেনা। আগামী সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য ফোরামের এক সদস্য ও সনমান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ ফোরামের নিয়ম না মেনে নিজের স্বার্থে ফোরাম সমর্থন দেয়নি এমন এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

এছাড়া জাহিদ হাসান জিন্নাহ গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও লিয়াকত হোসেন খোকার প্রচারনা তেমন দেখা যায়নি। যখন কায়সার হাসনাতের সিংহ মার্কা মাঠ ছেড়ে দেয় ঠিক তার একদিন আগে লিয়াকত হোসেন খোকার প্রচারনা নামেন তিনি এ নিয়ে ওই সময় সমালোচনার ঝড় উঠে। তার কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই জিন্নাহ আবারও পুরোনো রূপে ফিরে যান।

সংগঠনটির সূত্রে জানাগেছে, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে নারায়ণগঞ্জ- (সোনারগাঁ) আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সোনারগাঁয়ে ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ১টি পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলদের নিয়ে একটি ঐক্য গড়ে তোলেন। তার নাম দেওয়া হয় সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ফোরামের উদ্ধোধন করেন। ফোরামের সভাপতি করা হয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে। সাধারণ সম্পাদক হন বারদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল হক।

সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে ঐক্য ফোরামের সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা, মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া ও ৭ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর কালামের ঘোড়া প্রতীককে সমর্থন করে সেখানে সনমান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ মোশারফ হোসেনকে সমর্থন দেন। একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লিয়াকত হোসেন খোকাকে সমর্থন না দেওয়া ফের ঐক্য ফোরামের বাহিরে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থন দেওয়া ঐক্য জনপ্রতিনিধি ফোরামের ভবিষ্যৎ ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতি সংশ্লিষ্টরা।

সোনারগাঁয়ে ইকবালের প্রচারণায় বাধা, থানায় অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিয়ে তার প্রচারণার সরাঞ্জামাদী ভাংচুরের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে তালা প্রতীকের প্রার্থী ইকবালের নির্বাচনী প্রচারনায় বাধা, ভাংচুর ও মারধর করেছে টিউভওয়েল প্রতীকের প্রার্থী বাবু ওমরের সমর্থকরা।

২৩ মার্চ শনিবার উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সিকদার বাড়ি এলাকায় ওই ঘটনার পর ২৪ মার্চ রবিবার সোনারগাঁ থানায় আবু নাইম ইকবাল বাদী হয়ে এই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে, আগামী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র আবু নাঈম ইকবালের তালা প্রতীকের পক্ষে প্রচারনায় যায় শাহাজাদা ও মুরাদ মাহমুদ। এসময় সাদিপুর ইউনিয়নের সিকদারবাড়ী এলাকায় পৌচ্ছালে সাদিপুর এলাকার আবদুর রব মোল্লার ছেলে পারভেজ ও মাইনুদ্দিন মোল্লার ছেলে মোস্তফা তাদের পথরোধ করে তালা প্রতীকের প্রচারনা করার জন্য নিষেধ করে। এ নিয়ে শাহাজাদা ও পারভেজের সাথে তর্কবির্তক হয়। তর্কের এক পর্যায়ে পারভেজ ও মোস্তফা তাদের শাহাজাদা ও মুরাদ মাহমুদকে মারধর করে তাদের ব্যবহৃত মাইক ও সিএনজি ভেঙ্গে দেয়। আহত শাহাজাদা ও মুরাদ স্থানীয় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবারো সীমানা নিয়ে মুখোমুখী জেলা ও মহানগর যুবদল!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যত কমিটি গঠন করা হচ্ছে ততই সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা বাড়ছে। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কমিটি গঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। যে কোন সময় নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিস্ফোরণ সৃষ্টি হতে পারে। জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিশেষ নেতাদের সুবিধার্থে মহানগরীর মুল এলাকা জেলা বিএনপিতে অন্তর্ভূক্ত করে আবার জেলা বিএনপির এলাকা মহানগরীতে অন্তর্ভূক্ত করে কমিটি গঠন করার পরে অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো সেই নির্দেশনা মানছেনা। এবার নতুন করে জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা সীমানা নিয়ে মুখোমুখী অবস্থান করছেন।

জানাগেছে, ২৩ মার্চ শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম নয়ন। এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের এই দুই নেতা। যেখানে সভাপতি করা হয় শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আমিরুল ইসলাম ইমন, হারুন অর রশিদ মিঠু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন।

শনিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহাল রেখে ১৯জনকে সহ-সভাপতি, ১০জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৩ জনকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, ৯ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও আরও ৫ জনকে সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে রাখা হয়েছে। একজন প্রচার সম্পাদক ও সহ-প্রচার সম্পাদক আরও ৪ জন। সাধারণ সদস্য পদে রাখা হয়েছে ৭৩ জন যুবদল নেতাকে।

কমিটিতে দেখা গেছে, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের অনেকেই আবার মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত। যেখানে মহানগর যুবদলের আওতাধীন কমিটির বন্দর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান রিপনকে রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পদে। আবার বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদকে রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। এদের ছাড়াও বেশকজন নেতা মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত তাদেরকেও রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের আওতাধীন কমিটিতে। অনেকেই আবার মহানগর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে জড়িত এমন নেতাদেরও রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের কমিটিতে।

তবে এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন জেলা যুবদলের আওতাধীন। যে কারনে ওই ৫টি ইউনিয়নের যুবদলের নেতারা স্বাভাবিকভাবেই জেলা যুবদলের কমিটিতে থাকবে।’ মহানগরীর রাজনীতিতে জড়িত এমন নেতাদের কেন জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের রাজনীতিটা করার সুযোগ করে দিতেই জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে।’ তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদের উদাহরণ টেনে বলেন, অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব। সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাও মহানগরীর ভিতরে। তিনিও কিন্তু জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি সে রকমই।’

এদিকে মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছেন, বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন মহানগর যুবদলের আওতাধীন ছিল এবং থাকবে। এটা নড়চড় হবে না।’

এর আগে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে রাখা হয়। আবার জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটির ক্ষেত্রে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা রাখা হয় মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে। যদিও জেলা ও মহানগর শ্রমিকদলের ক্ষেত্রেও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে নেতা রাখা হয় মহানগর শ্রমিক দলের কমিটিতে। মহানগর যুবদলের কমিটির ক্ষেত্রে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে রাখা হয় বেশকজন নেতাকে। যাদের মধ্যে সেক্রেটারি মন্তুর বসবাস সিদ্ধিরগঞ্জে। অথচ জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিবের পদে রয়েছেন। এর আগের বছর কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন জেলা ও মহানগর বিএনপির মুল দলের কমিটি যেভাবে হয়েছে সেভাবেই অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো পরিচালত হবে। কিন্তু তা কেন্দ্রীয় নেতারাই রিজভীর নির্দেশনা মানছে না। ফলে নারায়ণগঞ্জে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের মধ্যে বিরোধ বিরাট আকার ধারণ করছে।

নির্বাচনের পর কমিটি গঠনের মাধ্যমে যুবদলের জাগানিয়া!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে জেলা যুবদলের অস্তিত্বই দেখা যায়নি। যদিও গত ১৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ৮ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিটি ঘোষণা করা হলেও কমিটির নেতারা ছিলেন নিষ্ক্রিয়। শুধুমাত্র দুজন নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে দেখা গেলেও বাকি নেতাদের ‘ভাইয়েরা’ ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে তাদের নির্বাচনে ছায়াও দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের পর বিশাল এক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের মাধ্যমে জাগানিয়া দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল। যে কমিটিতে সক্রিয়দের নিচের পদে রেখে নিষ্ক্রিয়দের রাখা হয় উপরের পদে।

তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেছেন, আমরা প্রায় দুই যুগ পর নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছি। খুব সময়ের মধ্যে আমরা দ্রæত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছি। যেটা আগের কমিটিগুলো পারেনি। ফলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ছোট খাটো ভুলত্রæটি থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে নেতাকর্মীরা ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন বলে আমি বিশ^াস করি।

এদিকে জানাগেছে, ২৩ মার্চ শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম নয়ন।

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের এই দুই নেতা। যেখানে সভাপতি করা হয় শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আমিরুল ইসলাম ইমন, হারুন অর রশিদ মিঠু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন।

শনিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহাল রেখে ১৯জনকে সহ-সভাপতি, ১০জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৩ জনকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, ৯ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও আরও ৫ জনকে সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে রাখা হয়েছে। একজন প্রচার সম্পাদক ও সহ-প্রচার সম্পাদক আরও ৪ জন। সাধারণ সদস্য পদে রাখা হয়েছে ৭৩ জন যুবদল নেতাকে।

কমিটিতে দেখা গেছে, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের অনেকেই আবার মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত। যেখানে মহানগর যুবদলের আওতাধীন কমিটির বন্দর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান রিপনকে রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পদে। আবার বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদকে রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। এদের ছাড়াও বেশকজন নেতা মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত তাদেরকেও রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের আওতাধীন কমিটিতে। অনেকেই আবার মহানগর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে জড়িত এমন নেতাদেরও রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের কমিটিতে।

তবে এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন জেলা যুবদলের আওতাধীন। যে কারনে ওই ৫টি ইউনিয়নের যুবদলের নেতারা স্বাভাবিকভাবেই জেলা যুবদলের কমিটিতে থাকবে।’ মহানগরীর রাজনীতিতে জড়িত এমন নেতাদের কেন জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের রাজনীতিটা করার সুযোগ করে দিতেই জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে।’ তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদের উদাহরণ টেনে বলেন, অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব। সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাও মহানগরীর ভিতরে। তিনিও কিন্তু জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি সে রকমই।’

আবারো ইকবালের প্রচারণায় বাধা, বেপরোয়া বাবু ওমরের সন্ত্রাসী বাহিনী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণায় আবারো বাধা সৃষ্টি করেছেন অপর ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী বাবু ওমরের সন্ত্রাসী বাহিনী। এর আগে ইকবালের দুই সমর্থকের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছিল। এবার ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ি, মাইক্রোফোন, মাইকের ব্যাটারি, মেশিন ও মোবাইলে ফোন ভাংচুর করেছে বাবু ওমরের সন্ত্রাসীরা। নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে বাবু ওমরের বাহিনী।

জানাগেছে, ২৩ মার্চ শনিবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সিকদারের বাড়ির মোড় এলাকায় ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণায় এ ঘটনা ঘটিয়ে বাধা সৃষ্টি করা হয়।

তালা প্রতীকে ইকবালের প্রচারণার মাইক ব্যবসায়ী শাহজাদা ও সিএনজি অটোরিক্সার ড্রাইভার নীরব জানান, তারা সিএনজি অটোরিক্সায় মাইক লাগিয়ে সাদিপুর ইউনিয়নের সিকদার বাড়ি মোড়ে তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবালের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় ঢাকা মেট্টো-ল-৩৩-৩৪০৩ নম্বরের একটি বাইক যোগে দু’জন লোক এসে তাদেরকে তালা প্রতীকের মাইকিং করতে বাধা দেয় এবং গাড়ি থেকে মাইক্রোফোন, মেশিন, ব্যাটারী ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে।

এছাড়া ভবিষ্যতে কখনো এই ইউনিয়নে টিউবওয়েল ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর প্রচারণা চালাতে আসলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। ওই সময় হামলাকারীরা যাওয়ার সময় বলে যায় সাদিপুরে শুধু বাবু ওমরের টিউবওয়েল প্রতীকের প্রচারণাই থাকবে।

এর আগে একই ইউনিয়নে ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুই সমর্থকের উপর হামলা চালিয়েছিল বাবু ওমরের সন্ত্রাসী বাহিনী। দুজনকে পিটিয়ে আহত করেছিল। উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তা বাবু ওমরকে হুশিয়ার করলেও বাবু ওমরের সন্ত্রাসী বাহিনী আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।

এ ব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল বলেন, গোটা উপজেলায় তালা প্রতীকের গণজোয়ার দেখে অন্য প্রার্থীর লোকেরা এই ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিব এবং নির্বাচন কমিশনকেও জানাবো।’

সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির জানান, ‘সাদিপুরে তালা প্রতীকের প্রচারণায় বাধা প্রদান ও মেশিন ভাংচুরের অভিযোগ পেয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ফতুল্লায় গেসু ও আজমত বাহিনীর ৫০ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বেপরোয়া আজমত আলী ও গেস ওরফে কাইল্লা গেসু বাহিনীর ৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২২ মার্চ শুক্রবার রাতে ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানোর ঘটনায় ২৩ মার্চ শনিবার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই এলাকার মফিজ উদ্দীনের ছেলে হামলায় আহত আব্দুল গফর।

এই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম হোতা চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী আজমত আলীকে। মামলায় আজমত আলী সহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ্যসহ আরও ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ- ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকার চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু ও তার ভাই আজমত আলী বাহিনী সরকারী দলের নাম ব্যবহার করে কুতুবআইলের শিল্পাঞ্চলের গার্মেন্টের ঝুট সেক্টর এককভাবে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। এলাকায় আজমত আলী ও গেসু বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যারা এলাকায় নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা ও ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে আসছে। সেখানে এককভাবে প্রভাব বিস্তার করতে বিশাল একটি বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে নাজেহালের শিকার হতে হয়। সেই বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়াও মাদক ব্যবসা করে বেড়ায় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

মামলায় আসামী করা হয় বাহিনীর প্রধান আজমত আলী ও কাইল্যা গেসু, মনির হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্রাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হ্নদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেয়মান, রহিম বাদশা, শামীম, ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানাগেছে, আসামীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শত্রুতা করে আসছিল। এর জের ধরে গত ২২ মার্চ শুক্রবার সন্ধায় আব্দুল গফুরের ছেলে আজিম রামারবাগ মসজিদ সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী হামলা চালায়। দেশী ও বিদেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আজিমকে আহতের খবর তার আত্মীয়স্বজনেরা এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় গেসু ও আজমত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় ১৫ জন আহত হন। হামলাকারীরা পরে আহতদের দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা ভাংচুর চালিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নাছিমা পেলনা এমপির সমর্থন, লড়াইয়ে ফেন্সী ও শ্যামলী চৌধুরী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৫টি বছর সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নানের চেয়ার নিয়ে দুই ভাইস চেয়ারম্যানের টানাটানি ছিল আলোচিত। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের দ্বারে কাছেও যায়নি ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন ও নাছিমা আক্তার। যদিও নাছিমা আক্তার স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার পিছনে থেকেই উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড করে আসছিলেন। কিন্তু সেই এমপি খোকার সমর্থন পায়নি নাছিমা আক্তার।

জানাগেছে, এবারের নির্বাচনে ভাইম চেয়ারম্যান পদে দাড়িয়েছেন নাছিমা আক্তার। তিনি বর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থন তিনি পাননি। এমনকি সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সমর্থনও পায়নি নাছিমা আক্তার। এখানে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সমর্থন পেয়েছেন মাহামুদা আক্তার ফেন্সী। এই জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সভাপতিও এমপি খোকা। দীর্ঘদিন এমপির রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে পিছনে থাকলেও জনপ্রিয়তা শূণ্যের কোঠায় থাকায় নাছিমা আক্তারকে সমর্থন দেয়নি এমপি।

এদিকে জানাগেছে, এবারের নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার পদ্মফুল প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের সমর্থন নিয়ে ভোটের মাঠে বেশ আলোচনায় হাঁস প্রতীকের প্রার্থী মাহামুদা আক্তার ফেন্সী। তবে তার সঙ্গে পাল্লা দেয়ার চেষ্টা করছেন ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ফরিদা পারভীন শ্যামলী চৌধুরীও। এছাড়াও নির্বাচনে হেলো আক্তার কলস প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।

সোনারগাঁয়ে ইকবালকে সমর্থন দিয়ে সরে যাচ্ছেন শাহআলম রূপন! চলছে গুঞ্জন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নানা জল্পনা কল্পনার সঙ্গে এখন সোনারগাঁয়ে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে কোন সময় মাইক প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহআলম রূপন নির্বাচনে অপর তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবালকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন। যদিও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যাহারের কোন সুযোগ নেই।

তবে অতীতে অনেক প্রার্থীই নির্বাচনের আগে কাউকে সমর্থণের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন তা নজির রয়েছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে কায়সার হাসনাত নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা আগে মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সরে দাড়ান। সোনারগাঁয়ে অনেকেই বলেছেন ভোটের মাঠে নড়বড়ে অবস্থা থাকায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপনের জয়ের কোন সম্ভাবনাই নেই। তবে রূপনের বসে পড়ার এমন গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিলে সেটা হবে আবু নাইম ইকবালের জন্য সুবিধার। কারন শাহআলম রূপনের যে কটা ভোট রয়েছে তা গিয়ে পড়বে ইকবালের বাক্সে। দুজনই পৌরসভা এলাকার প্রার্থী।

তবে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টির সত্যতা জানতে ২৩ মার্চ শনিবার রাত সোয়া ৯টায় মোবাইল ফোনে শাহআলম রূপনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। যদিও শাহআলম রূপনের সমর্থকদের অনেকেই বলছেন, নির্বাচন আসলে নানা ধরনের গুজব ও গুঞ্জন ছড়ানো হয়। এসব গুঞ্জন ছড়িয়ে শাহআলম রূপনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। শাহআলম রূপন নির্বাচনে থাকবেন এবং ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল পর্যন্তই থাকবেন।

জানাগেছে, আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন তালা প্রতীকের প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল। এছাড়াও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন মাইক প্রতীকে, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন চশমা প্রতীকে, বাবুল ওমর বাবু টিউবওয়েল প্রতীকে, মনির হোসেন উড়োজাহাজ প্রতীকে ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

স্থানীয় ভোটাররা মনে করছেন নির্বাচনে জনপ্রিয়তার দিক থেকে তালা প্রতীকের আবু নাইম ইকবাল সবচেয়ে বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। যদিও নির্বাচনের শুরুর দিকে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম থেকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু ওমরকে শুধুমাত্র সমর্থনের ঘোষণা দিলেও পরবর্তীতে ফোরামের বেশির ভাগ জনপ্রতিনিধিরা এখন কাজ করছেন ইকবালের পক্ষে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে বাবু ওমরের পক্ষে মৌখিক ঘোষণার কথা বলেছিল ফোরাম। কার্যত এখন ইকবালের পক্ষে জনপ্রতিনিধিরা। এরি মাঝে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে শাহআলম রূপন নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়ে আবু নাইম ইকবালকে সমর্থণের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। যদিও এমন গুঞ্জনের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হতে শাহআলম রূপনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জাতীয়পার্টি করেও এখন বিএনপি করা যায়: বললেন তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে এখন জাতীয়পার্টির রাজনীতি করেও বিএনপির রাজনীতি করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। নারায়ণগঞ্জের বেশকজন বিএনপির পদধারী নেতা যারা জাতীয়পার্টির রাজনীতিতে জড়িত ওইসব নেতাদের ইঙ্গিত করে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমুলক সভায় ২২ মার্চ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরের মজলুম মিলনায়তনে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম বুলবুল, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, শহর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জমসের আলী ঝন্টু সহ বেশকজন বিএনপি নেতা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয়পার্টির এমপি একেএম সেলিম ওসমানের সঙ্গে কাজ করছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিরোধীতা করে এসব নেতারা প্রকাশ্যে সরকারির দলের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেন।

জাতীয় নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী অভিযোগ করেছিলেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাশেম শকু তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে হুমকি দিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমাবেশ সিরাজদৌল্লা ক্লাব মাঠে করতে দেয়নি বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ ভুইয়া। নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে সমাবেশ করে মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার ঘোষণা দিয়েছিলেন মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করতে যত টাকা লাগবে হান্নান সরকার দিবেন। নির্বাচনে দিন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুুকুল বিএনপির ধানের শীষ প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এসএম আকরাম। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিম ওসমানের জনসভায় মিছিল নিয়ে যোগদান করেছিলেন মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহামুদা আক্তার।

মুুলত ওইসব বিষয়কে ইঙ্গিত করে তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, সেদিন নজরুল ইসলাম খানের সামনে বক্তব্যে বলেছিলাম আমি কর্মীদের পাশে আছি। আমি দায়িত্ব না নিলে, আমি না করলে প্রয়াত শ্রমিকদল নেতা নজরুলের শোকসভা হতোনা। আমি দায়িত্ব না নিলে নজরুল ইসলাম খান এখানে আসতো না। আমি দায়িত্ব না নিলে জাহাঙ্গীর কমিশনার যে নাকি ৫০/৬০টি মামলা নিয়ে মৃত্যুবরণ করলো তার শোকসভা হতো না। কেন করত না? কারন বিএনপির মধ্যে এখন আর ত্যাগ কথাটাই নাই।

তিনি কমিটি প্রসঙ্গে বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলা কমিটির ব্যাপারে আমি কোন কমিটি সাবমিট করিনি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি আমাকে বলেছিলেন এ কমিটি করতে। কিন্তু আমি বলেছিলাম ‘না’, আলোচনার মাধ্যমে কমিটি করতে চাই। আমি পত্র-পত্রিকায়ও বলেছি আলোচনার মাধ্যমে কমিটি হবে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে কমিটি না করে টাকাওয়ালা, ব্যবসায়ীরা, ব্যাংক লুটেরা যেভাবে বুদ্ধি দিয়েছে সেভাবে কমিটি করা হলো। আবার এ কমিটিতে জাতীয়পার্টির যারা বড় নেতা তারাও ছিল। আশ্চর্য বিষয় এখন জাতীয়পার্টি করেও বিএনপি করা যায়।

এ প্রসঙ্গে তিনি তার অতীত টেনে বলেন, আমি যখন ট্রেড ইউনিয়ন করি আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে শ্রমিক সংগঠন সিরিয়াসলি করি। এক জায়গায় গেলাম এক মালিকের ছেলে বলে আমি ট্রেড ইউনিয়ন করব। আমি বললাম আপনি করতে পারবেননা। ট্রেড ইউনিয়ন করে দুটি দল করা যায়না। এখন বিএনপি করে দুটি দল করা যায়। আমি তারেক রহমানকে পরিষ্কারভাবে বলেছিলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরও বলেছিলাম, আমি টকশোতেও বলি বিএনপি হলো আমাদের অস্থিত্বের প্রশ্ন, আমাদের রক্ত। আমাদের জীবন হলো বিএনপি। এ বিএনপি রক্ষা করার জন্য তিনটা শর্ত আছে, যুদ্ধে নামতে হলে আপনাকে সেনা বাহিনী বাছাই করতে হিবে। আমি তারেক রহমানকেও বলেছি, টকশোতে একথা বলি, পত্র-পত্রিকায়ও লিখি। ওয়ান ইলেভেন থেকে বিএনপি কোন শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেনি। বিএনপি যদি গত নির্বাচন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে তাহলে বিএনপি স্বর্ণ যুগে প্রবেশ করবে।

তিনি আরও বলেন, যেখানে যে অবস্থাতেই আমরা দলটা করছি। কিন্তু দলটা নষ্ট করে দিয়েছে ঢাকার কিছু কেন্দ্রীয় নেতা। তাই মনের দুঃখে এখন আর কথা বলতে ইচ্ছে করেনা। কিছু কেন্দ্রীয় নেতা কেউ প্লেনের টিকেট পাইয়া, কেউ মধু পাইয়া, কেউ যেভাবেই হোক কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝাইয়া, ভুল পরামর্শ দিয়া, তাবেদারী করে যাদের পক্ষে কাজ করলো তারা আজকে আমাদের দলের মধ্যে নাই। তারা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে পদত্যাগ করেছে। আবার জিজ্ঞাসা করলে বলে কেন্দ্রীয় পদ রাখছি। টাউটের একটা সীমা থাকা উচিত। টাউট করা, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা, দলের লোকদের সাথে বেঈমানী করার একটা সীমা থাকা উচিত। এসব নিয়ে মনের মধ্যে কষ্ট লাগে।

প্রস্তুতিমুলক সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সহ-সভাপতি মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সাগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুবায়েত হাসান সায়েম, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন প্রধান প্রমূখ।

সর্বশেষ সংবাদ