নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগ মানেই ওসমান পরিবার: খোকন সাহা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ মানেই ওসমান পরিবার। অতীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল বিপদে আপদে সব সময় সবার আগে ওসমান পরিবারের সদস্যরাই এগিয়ে গিয়েছেন, আমাদের ছায়া দিয়ে সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে রেখেছেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদে বসবাস করতে পারে। ২০০১ সালের বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের অত্যাচারের কথা নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে। তাই বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপদে বসবাস করতে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ এবং শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই। আগামীতে যদি শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী না বানানো যায় তবে আমি খোকন সাহা নারায়ণগঞ্জে কেন বাংলাদেশে থাকতে পারবো কিনা জানি না, জীবিত থাকতে পারবো কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। আর যদি আপনারা মনে করেন যে আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে বিপদ সব খোকন সাহার উপর দিয়ে যাবে। তাহলে আপনারা ভুল করবেন। আগামীতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশে হিন্দুরা থাকতে পারবে কিনা সেই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে শেখ হাসিনা মনোনীত মহাজোটের প্রার্থী এমপি সেলিম ওসমানকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো জয়ী করতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই।

একই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে নারায়ণগঞ্জে অতীতে যেভাবে ওসমান পরিবারে সদস্যরা একে একে খান সাহেব ওসমান আলী, একেএম শামসুজ্জোহা, নাসিম ওসমান ও শামীম ওসমান সহ তিনি নিজে যেভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন এবং ভবিষ্যতেও ওসমান পরিবারের সকল সদস্যরা নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুখে দু:খে সব সময় পাশে থাকবেন।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী এমপি সেলিম ওসমান তথা ওসমান পরিবারের উপর আস্থা রাখতে চান নারায়ণগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়। আসন্ন নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতভাগ ভোট দিয়ে তাঁরা এমপি সেলিম ওসমানকেই পুনরায় নির্বাচিত করতে চান।

সোমবার ৩ নভেম্বর রাত ৮টায় চাষাঢ়াও অবস্থিত হীরামহলে এমপি সেলিম ওসমানের সাথে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট, হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদ সহ নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার নারী পুরুষের সাথে মত বিনিময় করেন।

উক্ত মত বিনিময় সভায় বক্তারা বাংলাদেশে বিগত সময় গুলোতে বিশেষ করে ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অমানবিক জুলুম নির্যাতন ও লুটপাটের কথা তুলে ধরেন। তারা কোন অবস্থাতেই এমন ভয়ানক আর বিভীষিকাময় অতীত স্মৃতির পুণরাবৃত্তি বা সম্মুখীন হতে চান না।

বক্তারা সেই সাথে বিগত সময় গুলোতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নেমে আসা সাম্প্রদায়িক সংকটময় পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের পর্যায়ক্রমে মরহুম খান সাহেব ওসমান আলী, মরহুম এ.কে.এম শামসুজ্জোহা, প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান, বর্তমানে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের সাহসিক ও প্রশংসনীয় ভূমিকা এবং তাদের বিপদ থেকে রক্ষার করার মত বিষয় গুলো তুলে ধরেন। সেই সাথে সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার প্রতি বছর শারদীয় দূর্গা উৎসবে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপে গত ৪ বছরে প্রায় ১ কোটি টাকার অনুদান, লাঙ্গলবন্দে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার পর তাঁর প্রশংসনীয় পদক্ষেপ এবং পরবর্তীতে লাঙ্গলবন্দের ব্যাপক উন্নয়ন এবং হাজার কোটি টাকা বাজেটে মেগা প্রকল্পের অনুমোদন, বিভিন্ন মন্দিরের উন্নয়নে কোটি টাকার আর্থিক অনুদান, বন্দরের ধামগড়ে বেদখল হয়ে যাওয়া শ্মশানের জমি উদ্ধার, বেশ কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের দীর্ঘদিন জবর দখল হয়ে থাকা বসত ভিটা উদ্ধার করে দেওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তার সহযোগীতা ও সহমর্মিতার বিষয় গুলো গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ শতকার ৯৫ ভাগ আওয়ামীলীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের দৃশ্য একটু ভিন্ন। এখানে আওয়ামীলীগ বা জাতীয় পার্টি, নৌকা অথবা লাঙ্গল মার্কা আলাদা কোন বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এমপি সেলিম ওসমানকে মনোনীত করেছেন। তাই আমরাও মার্কা কি সেটা বুঝিনা আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে সেলিম ওসমানকে লাঙ্গল মার্কায় হিন্দু সম্প্রদায়ের শতভাগ ভোট দিয়ে বিজয়ী করবো।

মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি কমান্ডার গোপি নাথ দাস, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন শীল, বিশিষ্ট হিন্দু নেতা প্রবীর কুমার সাহা, অমল কুমার পোদ্দার, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিতোষ কান্তি সাহা, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি শংকর কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার সাহা, মহানগরের সভাপতি দিপক কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার, রিপন ভাওয়াল, দিলীপ কুমার মন্ডল সহ সহস্রাধিক হিন্দু নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক চান সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের বর্তমান মহাজোটের এমপি সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি হিসেবে দেখতে চান নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু।

সোমবার ৩ নভেম্বর বিকেলে চাষাঢ়া হীরা মহলে এক সভায় তিনি উপস্থিত হয়ে সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একই অনুষ্ঠানে বিএনপির শহর কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি জমসের আলী ঝন্টুও সেলিম ওসমানকে নির্বাচিত করার ঘোষণা দেন।  তারা দুজনই সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর।

এর আগের দিন বন্দরের কাউন্সিলরদের নিয়ে সেলিম ওসমানের অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হয়ে সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি নির্বাচিত করার ঘোষণা দের মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, বিএনপির কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ, কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, কাউন্সিরর এনায়েত হোসেন, কাউন্সিলর সামসুজ্জামান। তারা বিএনপির সমর্থনে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। গত ২৬ জুন সেলিম ওসমাকে সংবর্ধধনা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনকের ছবি সম্বলিত ব্যানারে মিছিল করে জনসভায় যোগদান করেছিলেন।

এদিকে সোমবার সেলিম ওসমানের সভায় মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু বলেছেন, দল যার যার সেলিম ওসমান সবার। আমি বিএনপি একটি দলের রাজনীতি করি। ওই দলের মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক। তারপরেও আমি উনার জন্য এসেছি। সর্ব প্রথম ২০০৩ সালে উনার কাছে গিয়েছিলাম। উনি আমাকে প্রশ্ন করে ছিলেন তুই ভাল হবি কিনা? আমি বলেছিলাম ভাল হয়ে যাবো। এরপর আমাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। টানা ৩বার এই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। আমার ওয়ার্ডে তিনি নিজ তহবিল থেকে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার উন্নয়ন করেছেন। যেখানে সুপেয় বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা, রাস্তায় এলইডি লাইট, ওয়াইফাই জোনে, এলাকার নিরাপত্তায় সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, ৪টি মসজিদের উন্নয়নে অর্থায়ন করেছেন। যাকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে তাকেই আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করতে না পারলে ক্ষতি আমাদেরই হবে।

এর আগে সেলিম ওসমান বলেন, যেদিন থেকে ফজর নামাজের সময় জুম্মা নামাজের মত মসজিদ পরিপূর্ণ হবে সেদিন থেকে নারায়ণগঞ্জে কোন অশান্তি থাকবে না। নারায়ণগঞ্জ হবে শান্তিময় শহর। আর এ শহরের উন্নয়ন হবে সব থেকে বেশি।

তিনি আরো বলেন, বন্দর থানায় সিটি কপোরেশনের সকল কাউন্সিলদের সাথে মত বিনিময় করেছি। আজকে শহরে কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবির হোসেন এসেছে। মাত্র ২জন কাউন্সিলর আসেননি। যার মধ্যে একজন মনোনয়ন জমা দিয়ে ছিলেন কিন্তু বাতিল হয়েছে। আরেকজন হচ্ছেন কাউন্সিলর অসিত বরুন বিশ্বাস। আশা করি ভবিষ্যতে উনারা দুজনেও আসবেন। প্রত্যেক জন কাউন্সিলের মাথায় নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা আছে। সবার সাথে পৃথক ভাবে আলোচনা করে সবার পরিকল্পনা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের স্বার্থে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে যাবো দেখবো উনি কিভাবে কাজ না করে পারে।

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর তাদের পরিবারের দু:সময়ের স্মৃতি তুলে ধরে সেলিম ওসমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের পরিবারকে নি:স্ব করে দেওয়া হয়। বাবা জেলে, বড় ভাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিয়ে ঘর ছাড়া। আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়। মাত্র ৩৭ হাজার টাকার জন্য আমাদের পৈত্রিক বাড়ি হীরা মহল নিলামে তোলা হয়। বাড়িটি মুক্ত করতে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন শফি হোসেন খাঁন, এরপর আসেন আমার আলী আহম্মদ চুনকা চাচা। উনি ইচ্ছে করলে একাই ওই টাকাটা দিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু উনি বলেছেন নারায়ণগঞ্জের সবাই মিলে আমরা এটা শোধ করবো। দেওভোগ এলাকার আমিনুল চাচা রাতের অন্ধকারে আমাদের বাসার সামনে চালের বস্তা ফেল যেত। যেটি তখন আমাদের খুবই উপকারে এসেছে। এমন কষ্টের সময় আমাদের পরিবারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু অতীতে কষ্ট নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। অতীতের কষ্ট দূরে ঠেলে নতুন দিনে সম্ভাবনায় সকলে মিলে কাজ করে যেতে হবে।

সভায় জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে একই স্থানে সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন এমপি সেলিম ওসমান। সভায় হিন্দু নেতৃবৃন্দরা আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে বলেন। নৌকা লাঙ্গল বুঝিনা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যাকে প্রার্থী দিবেন আমরা সবাই তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবো।

ফতুল্লায় শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির দাবিকে কেন্দ্র করে ফকির নীটওয়্যার নামের একটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্রমিকদের দাবি না মেনে গার্মেন্টসের ছুটি ঘোষণা করলে শ্রমিকরা প্রথমে গার্মেন্টস ভাংচুর করে এবং পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এতে পুলিশ এসে বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে বেপরোয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকরা। পুলিশও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।

পুলিশের লাঠিচার্জ ও শ্রমিকদের ইটের আঘাতে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্তত কর্মকর্তা (ওসি), পুলিশসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্তত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে ফকির নীটওয়্যারের মালিক পক্ষের উৎপাদন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা ছিল। আজ শ্রমিকদের দাবি না মেনে তাদেরকে ছুটি প্রদান করায় শ্রমিকরা বিক্ষুব্দ হয়ে গার্মেন্টস ভাংচুর করে ও বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। এতে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে।

রূপগঞ্জে তৈমূর আলমের ওঠান বৈঠকে পুলিশি বাধা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(রূপগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ওঠান বৈঠকে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ৩ ডিসেম্বর সকালে রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও জনগণের সঙ্গে তৈমূর আলম খন্দকারের ওঠান বৈঠকে বাধা দেয় পুলিশ। তবে পুলিশি বাধার পরেও তৈমূর আলম খন্দকার তার ওঠান বৈঠক চালিয়ে যান। তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার এবং তার বিকল্প প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম চন্দন, স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান, ইমদাদ উল্লাহ, আজম খানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এখানে মোট ১০ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যাদের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহেন আফজাল ও জাকের পার্টির প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে ৬১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। যার মধ্যে ৪৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ও ১৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া। বাতিলের মধ্যে রয়েছে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ও বিএনপির প্রার্থী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এবং গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনিত প্রার্থী বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন রয়েছেন। তবে ৫টি আসনের বর্তমান ৫ এমপির কারোরই মনোনয়ন বাতিল হয়নি।

২ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করে বৈধ প্রার্থী ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া। এ সময় জেলা নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামীলীগ বাঁচাতে লড়ছেন কায়সার হাসনাত

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। তবে আওয়ামীলীগ নেতারা আশা দেখছেন এ আসনে ৯ ডিসেম্বরের আগে নৌকার প্রার্থী কায়সার হাসনাতকে ঘোষণা করা হোক। তবে নির্বাচন কমিশন বলছেন মনোনয়ন দাখিলের পর প্রতীক জমা দেয়ার সুযোগ নেই কোন প্রার্থীদের। এক্ষেত্রে কায়সার হাসনাতকে মনোনয়ন দেয়া হলেও তাকে ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।

কিন্তু নেতাকর্মীরা প্রাণের দাবি নিয়ে বলছেন, এ আসনে এখনো নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করেনি আওয়ামীলীগ। চূড়ান্ত হয়নি মহাজোটের প্রার্থীও। নৌকার প্রার্থী না দেয়ার কারনে নেতাকর্মীরা ধরে নিয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে থাকছেন জাতীয়পার্টি থেকে মনোনিত বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাই। কিন্তু হাল ছাড়ছেন না আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। এখনো তিনি দাবি করছেন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের প্রাণের দাবি এখানে নৌকার প্রার্থী দেয়া হোক। সেটা কায়সার হাসনাত গত বুধবার মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নৌকার দাবির শ্লোগানে আর্তনাতই প্রমান করেছেন।

নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, এখানে নৌকার দাবিতে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশি থাকলেও অনেক আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন ওইসব মনোনয়ন শিকারি নেতারা। অনেকেই মনোনয়ন দাবি করেছিলেন যাদের মধ্যে গণভবনের সামনে যাওয়ার মত পজিশন নেই অনেকের। এখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগ বাঁচাতে নৌকার জন্য একাই লড়াই করছেন কায়সার হাসনাত। বাকিরা উধাও।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ ওইসব আনাড়ি মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নৌকার দাবিতে মনোনয়ন জমা দেয়ার কারনেই এখানে নৌকার প্রার্থী নিয়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও জামানত হারাবেন তারাও মনোনয়ন কিনেছেন। যে কারনে নেত্রীর কাছে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ আরও হালকা হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে কায়সার হাসনাত কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। গণহারে নৌকার দাবিতে মনোনয়ন কেনার হরিলুটের কারনেই এখানে নৌকার প্রার্থী দেয়নি আওয়ামীলীগ। মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, যেখানে অস্বাভাবিক মনোনয়ন প্রত্যাশি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছে সেখানে বুঝতে হবে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে পারেননি।

মনোনয়ন জমার দিন কায়সার হাসনাত বলেছিলেন, সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের এই যে হাজার হাজার নেতাকর্মী দেখছেন নৌকার দাবিতে জড়ো হয়েছেন। তাদেরকে গেল পাঁচটি বছর একটি আশা একটি স্বপ্ন দেখিয়ে রেখেছিলাম। এখন তাদের অস্তিত্ব, ভালোবাসা ও তাদের স্বপ্নের ঠিকানা আওয়ামীলীগকে সোনারগাঁয়ে বাঁচিয়ে রাখতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে আমাকে বাধ্য করেছে নেতাকর্মীরা।

তবে এর আগে কায়সার হাসনাত বলেছেন, আমি এমপি হতে আসিনি। আমি সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে আসছি। কেন্দ্র থেকে আমাকে বলা হয়েছে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে। এখনও এখানে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

নেতাকর্মীরা মনে করছেন, আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াটা দলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের বিশাল জনগোষ্ঠির সমর্থন ও কর্মীদের দলের ভিতর ধরে রাখতেই বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। রবিবার তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া।

এ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুুহাম্মদ এরশাদের পালিত মেয়ে ও কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনিও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা। নৌকা প্রতীকে এখান থেকে ১০ জন নেতা মনোনয়ন চাইলেও এখনও নৌকার জন্য লড়ছেন কায়সার হাসনাত।

এদিকে রবিবার নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে জাতীয়পার্টির বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার, তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী আব্দুস সালাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সানাউল্লাহ নূরী, জেএসডির প্রার্থী ফখরুদ্দীন ইব্রাহীম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল, জাকের পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আমির ফয়সাল ও কল্যান পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌসের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এখানে ১৫ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যার মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন, জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের পালিত মেয়ে অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম, বিএনএফ প্রার্থী শাহাব উদ্দীন হোসেন ভুইয়া ও গণফোরামের প্রার্থী সিরাজুল হকের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন সোনারগাও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। ফলে এখানে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

হিরো আলমের মনোনয়ন পত্র বাতিল

সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওচিত্র তৈরি করে আলোচিত হিরো আলম ভোটে দাঁড়াতে পারছেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে এমপি হতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়েজ আহাম্মদ মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বলেন, কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন নিলে তাকে তার নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষর লাগে। তবে হিরো আলম ভোটারদের স্বাক্ষর-সম্বলিত যে তালিকা জমা দিয়েছেন তা যাচাই করা দেখা গেছে, তিনি ভুয়া ভোটারদের তালিকা জমা দিয়েছেন।

 

জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন হিরো আলম। নন্দীগ্রাম উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মোছা. শারমিন আখতারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তিনি।

বিএনপির কাউন্সিলররাও সেলিম ওসমানকে এমপি হিসেবে চাইলেন!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

সিটি কর্পোরেশনের বন্দর থানাধীন ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের সাথে মত বিনিময় করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উক্ত আসন থেকে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমান। ইতোমধ্যে জেলা রির্টানিং অফিসার রাব্বি মিঞা আগামী নির্বাচনের জন্য তাঁর দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। উক্ত মত বিনিময় সভায় কাউন্সিলরবৃন্দরা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সকলের উপস্থিতিতে কাউন্সিলররা বক্তব্যে জানালেন আগামী নির্বাচনে বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমানকে কেন আবারো বিজয়ী করতে হবে।

রবিবার ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরুজ্জামান টাওয়ারে এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে উক্ত মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল আহম্মেদ সাগর বলেন, আগে বন্দর ঘাট দিয়ে হাতে করে বাজারের ব্যাগ নিয়ে আসার সময় ১০টাকা টোল দিতে হতো। আর এখন বন্দর ঘাট দিয়ে ফ্রি যাতায়াত করা যায়। বন্দর ও নবীগঞ্জ ঘাট দিয়ে আমরা ফেরীতে নদী পারাপার হতে পারছি। মদনগঞ্জে শান্তিরচরে নীটপল্লী হলে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এসব কিছুই এমপি সেলিম ওসমানের বদৌলতে সম্ভব হয়েছে। আগামী যদি আমরা উনাকে হারাই তাহলে আমাদের বন্দরবাসীর কপাল পুড়বে। তাই উনাকে আবারো বিজয়ী করতে হবে।

২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা গোলাম নবী মুরাদ বলেছেন, আমি বিএনপি করি। রাজনৈতিকভাবে যার যার দল সে সে করে। আমরা বন্দরবাসী জালাল হাজী সাহেবের আমল থেকে সেলিম ওসমান পর্যন্ত দেখেছি। কোন এমপি কি করেছেন তাও আমরা জানি। বাংলাদেশের মানুষ মনে করেন নেতা, এমপি, মন্ত্রী হওয়া হলে লুটপাট করে। কিন্তু সেলিম ওসমান নিজের পকেটের টাকা খরচ করে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। স্কুল কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করেছেন নিজ অর্থায়নে। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে জনগনের কাজ করেছেন, আমাদের জন্য কাজ করেছেন। তাহলে আমরা উনার মত একজন ভাল মানুষের জন্য কাজ করবোনা কেন? আগামী নির্বাচনে আমরা প্রমান দিবো আমরাও ভাল মানুষ। উনার ভাল কাজের পুরস্কার না দিলে আমাদের বেঈমানী করা হবে।

২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার বলেছেন, এমপি সেলিম ওসমানের মাধ্যমে আমার ওয়ার্ডে শিকদার মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩টি নতুন ভবন হয়েছে। আরো একটি ভবনের কাজ চলছে। শাহী মসজিদের পাশে প্রাইমারী স্কুলের নতুন ৪ তলা ভবন হয়েছে। যা বন্দরের অন্য কোন এলাকায় হয় নাই। বর্তমানে আওয়ামীলীগের সরকার ক্ষমতায়। আগামীতে মহাজোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। আমরা কোন দল নয় উন্নয়নকে প্রাধান্য নিয়ে বিগত দিনে উনার সাথে কাজ করেছি। আগামীতেও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে উনাকেই পুণরায় বিজয়ী করবো।

২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহম্মেদ বলেছেন, আমরা তৃনমূলের জনপ্রতিনিধি। আমাদের নির্বাচনে যেভাবে প্রতিটি ঘরে গিয়ে মানুষের পায়ে হাত দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছি। উনার পক্ষে হয়তো সবার কাছে যাওয়া সম্ভব হবে না। আমাদের প্রত্যেককে সেলিম ওসমান হয়ে মানুষের হাত-পা ধরে ভোট সংগ্রহের মাধ্যমে উনাকে বিজয়ী করতে হবে। আমাদের বক্তব্য তখনই স্বার্থক হবে যখন আমরা উনাকে আবারো বিজয়ী করে সংসদে পাঠাতে পারবো।

২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান বলেছেন, সেলিম ওসমানের মাধ্যমে বন্দরে নীটপল্লী হলে প্রায় ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বন্দরে এখনো লাখ লাখ মানুষ বেকার রয়েছে। বন্দরকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হলে আগামীতে আবারো সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করা বন্দরবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।

২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বলেছেন, বিগত দিনে আমাদের নির্বাচনে যে ভুল গুলো ছিল সেগুলোতে শুধরে নিয়ে আগামী নির্বাচনে এমপি সেলিম ওসমানের জন্য মাঠে কাজ করতে হবে। অনেকেই উনার নির্বাচন করতে আসছেন। আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই। তবে কিছু মীর জাফর ও বেঈমানদের প্রতি আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানের প্রয়োজনে নয় আমাদের বন্দরবাসীর ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য উনাকে আবারো সংসদে পাঠাতে হবে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি সেলিম ওসমান শুধু এই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনেই নয় সারা বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর যত সংসদ সদস্য হয়েছেন কেউ উনার মত নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে জনগনের কল্যাণে কাজ করেন নাই।

২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা এনায়েত হোসেন বলেছেন, সেলিম ওসমান অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। উনার সাথে অন্য কারো তুলনা হয়না। উনি গত সাড়ে ৪ বছর শুধু বন্দরবাসীকে দিয়েই গেছেন। এখন সময় এসেছে উনাকে বন্দরবাসীর পক্ষ থেকে কিছু দেওয়ার। তাই আগামী নির্বাচনে উনাকে আমরা বন্দরবাসী ভোট দিয়ে বিজয় উপহার দিবো।

২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা বলেছেন, বিগত দিনে এমপি সেলিম ওসমান সরকারী অনুদানের পাশাপাশি নিজের পকেটের টাকায় এলাকার সমস্যা সমাধান করেছে, স্কুল কলেজের উন্নয়ন করেছেন। এ উন্নয়নকে অব্যাহত করতে আগামীতে অবশ্যই সেলিম ওসমানকে আবারো নির্বাচিত করতে হবে।

২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান বাবুল বলেছেন, এমপি সেলিম ওসমান নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। এমন করে অন্য কাউকে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে দেখি নাই। তাই উনার এমন কর্মকান্ড আমাকে অনুপ্রানিত করেছে। আগামী নির্বাচনে উনাকে বিজয়ী করার পরেই এলাকার মানুষের দাবী দাওয়া নিয়ে উনার সামনে যাবো।

মত বিনিময় সভায় এমপি সেলিম ওসমান ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, মহানগর আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি সহ স্থানীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

ফতুল্লা মায়ের সাথে শিশুর হাজতবাস!

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা সরবরাহ করতে এসে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের হাতে আটক হন তাসলিমা ও তার ভাই ইউনুস আলী। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
সূত্রে জানাযায়, টেকনাফ মনেরখোলা এলাকার সাইদুলের স্ত্রী তাসলিমা ও তার ভাই ইউনুস আলী শহরের তল্লা রেললাইন এলাকায় লাল মিয়ার স্ত্রীকে ইয়াবা দিতে এসে শনিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের হাতে আটক হয়। এসময় পুলিশ তাসলিমার আনুমানিক ৩ বছরের শিশু সহ মা তাসলিমাকে একই হাজতে রাখা হয়ে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সাফিউল আলম বলেন, সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাসলিমা ও তার ভাই ইউনুস ও শিশুকে সহ আটক করে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাকে তল্লাশি করে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এক মহিলার সহযোগিতায় পায়ুপথে ১১টি ক্যাপসুল কস্টেপ মোড়ানো (প্রতি ক্যাপসুলে ৫০ পিস) ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।  তিনি আরও জানায়, তাসলিমার সাথে থাকা বাচ্চাটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা কেউ বাচ্চাটিকে নিতে আসেনি।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান জানান, বাচ্চার ফ্যামেলির কেউ না থাকাতে বাচ্চাকে তার মায়ের সাথে রাখা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত তাসলিমার কাছ থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

সাখাওয়াতকে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর, হয়রানির অভিযোগ করলেন তৈমূর

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণের তীব্র নিন্দা ও অবিলম্বে মুক্তি এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করেছেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।তাছাড়া তার সব মামলা নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিচারাধীন।বিনা কারণে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগাওে প্রেরণ করা হয়েছে শুধুমাত্র হয়রানী করার জন্য।

তৈমূর বলেন, হয়রানি করে, ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে দূরে রাখা যাবে না। তৈমূর আরো বলেন। দেশ এখন গায়েবী মামলায় আছন্ন।সরকারের ইচ্ছায় আদালতে মামলা জটের সৃষ্টি হচ্ছে।যার ফল ভোগ করতে হবে দেশের সাধারন জনগণকে।জালিম সরকারের পতন আসন্ন।অচিরেই জনরোষে বাকশালী সরকার ভেসে যাবে।তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করে নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য সহকারে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার পরামর্শ দিয়েছেন।

তৈমূর আলম খন্দকার ইতিপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি নেতা মামুন মাহমুদ, সাখাওয়াত খান, আবুল হোসেন, মুহাম্মদ হোসেন কাজল, যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন, আমির হোসেন, কাজী সোহাগ, মিনহাজউদ্দিন মুন্না, রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনি, শামীম, সাইদ রেজা সহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবী করেন।

নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনে নৌকার প্রার্থী চেয়েছিলাম : সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি করছেনা। বিএনপির উপর ভর করে নির্বাচন করছেন ড. কামাল হোসেন। যাতে করে আপনাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবন জেল থেকে বের হতে না পারে। আপনাদের নেতা তারেক রহমান সারা জীবন বাংলাদেশে আসতে না পারে। তাই তারা বিএনপি নেতাদের বাদ দিয়ে বেছে বেছে বসন্তের কোকিলদের মনোনয়ন দিচ্ছেন।

রবিবার ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরুজ্জামান টাওয়ারে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সিটি কর্পোরেশনের বন্দর থানাধীন ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, জনপ্রতিনিধিরা নেতা নন। জনপ্রতিনিধিরা জনগণের গোলাম। আর জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়ন কাজ করতে যারা সহযোগীতা করেন তারাই হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের নেতা। জনপ্রতিনিধি হতে গেলে অবশ্যই জনগণের গোলাম হতে হবে। কারন আপনার দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার আপনাকে সম্মানী ভাতা প্রদান করেন। আর সেই সম্মানী ভাতা আপনি কাউকে দেন না। তাই জনপ্রতিনিধিরা দেশের পাবলিক সার্ভেন্ট।

তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই যেনো আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী দেওয়া হয়। তিনি আমাকে বলেছেন, আমার বিশ্বস্ত লোক দরকার। তিনি আমাকে মহাজোট থেকেই নির্বাচন করার জন্য বলেন। প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০২১ এর ঘোষণা দিয়েছেন। আর আমি নারায়ণগঞ্জ বন্দরের উন্নয়নের জন্য ভিশন ২০২০ ঘোষণার প্রেক্ষিতে আপনাদের কাছে ২ বছরের সময় চাই।

সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই নৌকা প্রতীক দেওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। উনার সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। সেই সুবাদে আমি উনাকে আপা বলি। কিন্তু উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেখানে আছি সেখানেই থাকতে। আমি উনার নির্দেশ অনুসরন করেছি। কারন আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শ এবং শেখ হাসিনা ছাড়া কিছু বুঝি না। বঙ্গবন্ধুর পায়ে অস্ত্র জমা দিয়ে দেশের উন্নয়নে নেমেছিলাম।

মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে আবারো নিজের রাজনৈতিক গুরু সম্বোধন করে তিনি বলেন, গতকাল আনোয়ার ভাই ও রশিদ ভাই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে মিটিং করেছেন। আনোয়ার ভাই বলেছেন সেলিম ওসমান যদি আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেন তাহলেও উনি সেলিম ওসমানের নির্বাচন করবেন। আনোয়ার ভাই রশিদ ভাই আমাকে দাওয়াত দিয়েছেন। আমি অবশ্যই তাদের কাছে যাবো। সবাইকে একত্রে নিয়ে মিলেমিশে সম্মিলিত ভাবে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করে যাবো জীবনে শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত।

জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগে সভাপতি এম.এ রশিদ এবং বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সেলিম ওসমান বলেন, বিগত সাড়ে ৪ বছরে বন্দরে আপনাদের সকলের সহযোগীতায় বন্দরে যে উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের যতটুকুই করতে পেরেছি তার সম্পূর্ন কৃতিত্ব এই তিনজন মানুষের আমি উনাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অপরদিকে শনিবার বন্দরে নারীদের সাথে মতবিনিমিয়কালে এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান মৃত্যুর পর তাঁর বন্দরে স্বামী পাশে দাফন করার যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সেটিকে এমপি সেলিম ওসমান তাঁর জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন আমার জীবনে এর থেকে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। আমার স্ত্রী সারা জীবন একজন বন্ধুর মত আমার ছিল আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এমনকি আমার মৃত্যুর পরেও আমি একা থাকবো না। সেখানেও আমার স্ত্রী আমার পাশে থাকবে। একজন স্বামী হিসেবে এর থেকে সৌভাগ্যের আর কিছু হতে পারে না।

মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল সাগর, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, ২৩নং নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, ২৬ ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর শিউলী নওশেদ, ও হুসনে আরা বেগম, মহানগর আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।

সর্বশেষ সংবাদ