বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালনে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসটি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিবস পালন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির টানা দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতি।

গত ১৯ মার্চ দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে এই কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতির জনকের পরিবারের নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম একরামুল হক।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এই কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতি ও সেক্রেটারি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আহাম্মদ ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা, যুগ্ম সাধারণ সাধারণ অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ মোল্লা, আপ্যায়ণ বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, লাইব্রেরি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুবাস বিশ্বাস, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন, সমাজ সেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাশেদ ভূঁইয়া, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে অ্যাডভোকেট হাসিব উল হাসান রনি, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট নুসরাত জাহান তানিয়া, অ্যাডভোকে মশিউর রহমান ছাড়াও সিনিয়র আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুদ উর রউফ, নারায়ণগঞ্জ আদালতের জিপি অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট নূর জাহান বেগম ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন সহ অন্যান্য আইনজীবীরা।

টাউটের একটা সীমা থাকা দরকার: তৈমূর আলম খন্দকার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, যেখানে যে অবস্থাতেই আমরা দলটা করছি। কিন্তু দলটা নষ্ট করে দিয়েছে ঢাকার কিছু কেন্দ্রীয় নেতা। তাই মনের দুঃখে এখন আর কথা বলতে ইচ্ছে করেনা। কিছু কেন্দ্রীয় নেতা কেউ প্লেনের টিকেট পাইয়া, কেউ মধু পাইয়া, কেউ যেভাবেই হোক কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝাইয়া, ভুল পরামর্শ দিয়া, তাবেদারী করে যাদের পক্ষে কাজ করলো তারা আজকে আমাদের দলের মধ্যে নাই। তারা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে পদত্যাগ করেছে। আবার জিজ্ঞাসা করলে বলে কেন্দ্রীয় পদ রাখছি। টাউটের একটা সীমা থাকা উচিত। টাউট করা, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা, দলের লোকদের সাথে বেঈমানী করার একটা সীমা থাকা উচিত। এসব নিয়ে মনের মধ্যে কষ্ট লাগে।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমুলক সভায় ২২ মার্চ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরের মজলুম মিলনায়তনে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

তৈমূর আলম খন্দকার আরও বলেন, সেদিন নজরুল ইসলাম খানের সামনে বক্তব্যে বলেছিলাম আমি কর্মীদের পাশে আছি। আমি দায়িত্ব না নিলে, আমি না করলে প্রয়াত শ্রমিকদল নেতা নজরুলের শোকসভা হতোনা। আমি দায়িত্ব না নিলে নজরুল ইসলাম খান এখানে আসতো না। আমি দায়িত্ব না নিলে জাহাঙ্গীর কমিশনার যে নাকি ৫০/৬০টি মামলা নিয়ে মৃত্যুবরণ করলো তার শোকসভা হতো না। কেন করত না? কারন বিএনপির মধ্যে এখন আর ত্যাগ কথাটাই নাই।

তিনি কমিটি প্রসঙ্গে বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলা কমিটির ব্যাপারে আমি কোন কমিটি সাবমিট করিনি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি আমাকে বলেছিলেন এ কমিটি করতে। কিন্তু আমি বলেছিলাম ‘না’, আলোচনার মাধ্যমে কমিটি করতে চাই। আমি পত্র-পত্রিকায়ও বলেছি আলোচনার মাধ্যমে কমিটি হবে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে কমিটি না করে টাকাওয়ালা, ব্যবসায়ীরা, ব্যাংক লুটেরা যেভাবে বুদ্ধি দিয়েছে সেভাবে কমিটি করা হলো। আবার এ কমিটিতে জাতীয়পার্টির যারা বড় নেতা তারাও ছিল। আশ্চর্য বিষয় এখন জাতীয়পার্টি করেও বিএনপি করা যায়।

এ প্রসঙ্গে তিনি তার অতীত টেনে বলেন, আমি যখন ট্রেড ইউনিয়ন করি আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে শ্রমিক সংগঠন সিরিয়াসলি করি। এক জায়গায় গেলাম এক মালিকের ছেলে বলে আমি ট্রেড ইউনিয়ন করব। আমি বললাম আপনি করতে পারবেননা। ট্রেড ইউনিয়ন করে দুটি দল করা যায়না। এখন বিএনপি করে দুটি দল করা যায়। আমি তারেক রহমানকে পরিষ্কারভাবে বলেছিলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরও বলেছিলাম, আমি টকশোতেও বলি বিএনপি হলো আমাদের অস্থিত্বের প্রশ্ন, আমাদের রক্ত। আমাদের জীবন হলো বিএনপি। এ বিএনপি রক্ষা করার জন্য তিনটা শর্ত আছে, যুদ্ধে নামতে হলে আপনাকে সেনা বাহিনী বাছাই করতে হিবে। আমি তারেক রহমানকেও বলেছি, টকশোতে একথা বলি, পত্র-পত্রিকায়ও লিখি। ওয়ান ইলেভেন থেকে বিএনপি কোন শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেনি। বিএনপি যদি গত নির্বাচন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে তাহলে বিএনপি স্বর্ণ যুগে প্রবেশ করবে।

প্রস্তুতিমুলক সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সহ-সভাপতি মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সাগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুবায়েত হাসান সায়েম, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন প্রধান প্রমূখ।

ঘনিষ্ঠ কর্মীরাই এখন মন্ত্রী গাজীর বিরুদ্ধে তুললেন অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

এক সময় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন তারা। প্রত্যেকেই আশা দেখেছিলেন মন্ত্রী তাদের সুযোগ করে দিবেন নির্বাচনে। কেউ কেউ আশা করেছিলেন কারো পক্ষে অবস্থান নিবেন। কিন্তু মন্ত্রী তা নিলেও যাদের পক্ষে অবস্থান নেননি মন্ত্রী সেই সাত প্রার্থী এখন অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তবে মন্ত্রীর সঙ্গে যার সপে নেউলে সম্পর্ক সেই শাহজাহান ভূঁইয়ার পক্ষেই কাজ করছেন তিনি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ ছাড়াও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তার সমর্থিত প্রার্থীদের বাহিরে অন্যান্য প্রার্থীর পক্ষে নেতাকর্মীরা কাজ করতে গিয়ে হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে এক জোট হয়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন সাত প্রার্থী।

নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৭ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে পাট ও বস্ত্র গাজী গোলাম দস্তগীরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন। ২৩ মার্চ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন। তবে যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন নির্বাচনে তারা সকলেই মন্ত্রী গাজীর অনুগামী নেতাকর্মী হিসেবে রাজনীতি করে আসছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীর অভিযোগ করেন- মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তসীর নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও আরও দুজন ভাইস চেয়ারম্যান পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন। ওই তিনজন প্রার্থীর বাহিরে অন্যান্য প্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করতে গেলে হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। এতে নির্বাচনী প্রচারণা বাধাগ্রস্থ করছেন মন্ত্রী গাজী। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের তাবিবুল কাদির তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, টিয়া পাখি প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, টিউবওয়েল প্রতীকে মোতাহের হোসেন নাদিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে নাসরিন আক্তার চম্পা, সেলাই মেশিন প্রতীকে হ্যাপী বেগম ও কলস প্রতীকের প্রার্থী শায়লা তাহমিন সিথী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা লিখিত অভিযোগে জানান, পাট ও বস্ত্রী মন্ত্রী গাজীর হস্তক্ষেপে নির্বাচনী প্রচারে ৩ জনের একটি প্যানেল করা হয়েছে। এই প্যানেলে তিন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসঁ প্রতীকের প্রার্থী ফেরদৌসী আক্তার নীলা রয়েছেন। এই তিন প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ ও মাইকিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে অন্য প্রার্থীরা কোন প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছেনা এবং প্রার্থীদের প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি-ধমকি, ভয়-ভীতি দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করা নেতাকর্মী সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে। প্রার্থীদের পোস্টার ছিড়ে ফেলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে আইনশঙ্খলা বাহিনী কোন সহযোগিতা করছেননা।

সংবাদ সম্মেলনে বেশকটি ছবি দেখিয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তমাল অভিযোগ করেন, তাঁর নির্বাচনী প্রচারে ৭টি মাইক ও মাইকের মেশিন ভেঙে ফেলে তাঁর গাড়ির চালককে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি তাঁর নিজের গাড়িতেও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আক্রমন করা হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান হারেজ অভিযোগ করেন, গত ১৫ মার্চ মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হামলা করেছে। নির্বাচনী সকল প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে।

প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূইয়া অভিযোগ করেন, তাকে মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সিথি অভিযোগ করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়াম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের অংশগ্রহণ উন্মুক্ত থাকলেও মন্ত্রী বিভিন্ন গোপন বৈঠক করে আমাদের বাধা দিচ্ছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি ওই তিন প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার ব্যাপারেও নির্দেশনা দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর মনোনিত তিন প্রার্থীর নাম ও প্রতীক খচিত প্রচারপত্র তুলে ধরেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জের পালপাড়ায় সম্পত্তি নিয়ে লড়াইয়ে চাচা-ভাতিজা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে রীতিমত লড়াইয়ে নেমেছেন চাচা-ভাতিজা। সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে আপন চাচার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত সাধারণ ডায়েরীর মাধ্যমে অভিযোগ ঠুকে দিয়েছেন ভাতিজা। ভাতিজা দাবি করছেন-তার বাবার অর্জিত সম্পত্তি দখলে নিতে তার চাচারা তাদের উপর জুলুম করছেন। এমন বিষয়টি আবার অস্বীকার করে চাচা বলেছেন পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে ভাতিজা নয় তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের পুরাতন পালপাড়া এলাকার শাহেদ আলীর ছেলে মো: সোহান তার আপন চাচা মো: বাবুল হোসেন, আবুল কাশেম ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

ভাতিজার অভিযোগে জানাগেছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে আপন চাচাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল ভাতিজা সোহানের। এমন বিরোধের জের ধরে তার চাচারা বিভিন্ন সময় সোহানকে প্রাণনাশের হুমকি দিতো। এমনকি তার বাবা শাহেদ আলীকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। গত ১৯ মার্চ শহরের ফকিরটুলা মসজিদের সামনে সাড়ে ৭টার দিকে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তারই চাচা বাবুল হোসেন, আবুল কাশেম, জাকিরসহ অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজন।

ভাতিজা সোহান আরও অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার বাবার একমাত্র ছেলে। আমার আর কোন ভাই নেই। ছোটবেলা থেকেই তারা আমাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। আমার বাবার খুব কষ্টে গড়া সম্পত্তির উপর আমার চাচাদের কু-নজর পড়েছে। তারা আমাকে ও আমার বাবাকে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা পূর্বের চেয়েও আরও হিংস্র রুপ ধারণ করেছে। কারণ আমাকে মেরে ফেলতে পারলে আমার ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করতে পারবে তারা। তারই জের ধরে গত ১৯ মার্চ আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। তাদের এই আচরণে আমি সইতে না পেরে আইনের আশ্রয় নেই এবং সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি। আমি চাই প্রশাসন যেন এই বিষয়টিকে একটু গুরুত্ব সহকারে দেখে।

তবে ভাতিজাকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে চাচা মো: বাবুল হোসেন বলেন, শাহেদ আলী তো আমার বড় ভাই এবং বাবাতুল্য। বাপ-দাদার সম্পত্তি নিয়ে তার সাথে একটু কথাবার্তা হয়েছে মাত্র। এখন তিনি যদি মনে করেন আমার নামে জিডি করবে তাহলে আমার কিছু করার নাই।’ অপর চাচা আবুল কাশেম বলেন, আমাদের নামে সাধারণ ডায়েরী করেছে আমার তো জানা নাই। সব বিষয়ে তো আর মোবাইলে বলা যায় না। আমি সময় করে আপনার সাথে দেখা করবো।

রূপগঞ্জে ভোট গ্রহণের আগেই পিছু হটলেন তারা, পরাজয় অভিসম্ভাবী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও নির্বাচনী প্রচারণায় পুরোদমে নামতে পারেনি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৭ জন প্রার্থী। মুলত এখানে মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের সমর্থিত ও দলীয় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আরও দুজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে পারেনি। বর্তমান পরিস্থিতি অনুমেয় তাদের পরাজয় এখন অভিসম্ভাবী। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই তারা নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাড়িয়েছে। নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় ব্যর্থ হয়ে তারা নারায়ণগঞ্জে এসে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী গাজীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। এখন তাদের নেতাকর্মীরা পরাজয়ের দিন গুণছেন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৭ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে পাট ও বস্ত্র গাজী গোলাম দস্তগীরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন। ২৩ মার্চ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন। তবে যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন নির্বাচনে তারা সকলেই মন্ত্রী গাজীর অনুগামী নেতাকর্মী হিসেবে রাজনীতি করে আসছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীর অভিযোগ করেন- মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তসীর নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও আরও দুজন ভাইস চেয়ারম্যান পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন। ওই তিনজন প্রার্থীর বাহিরে অন্যান্য প্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করতে গেলে হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। এতে নির্বাচনী প্রচারণা বাধাগ্রস্থ করছেন মন্ত্রী গাজী। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের তাবিবুল কাদির তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, টিয়া পাখি প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, টিউবওয়েল প্রতীকে মোতাহের হোসেন নাদিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে নাসরিন আক্তার চম্পা, সেলাই মেশিন প্রতীকে হ্যাপী বেগম ও কলস প্রতীকের প্রার্থী শায়লা তাহমিন সিথী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা লিখিত অভিযোগে জানান, পাট ও বস্ত্রী মন্ত্রী গাজীর হস্তক্ষেপে নির্বাচনী প্রচারে ৩ জনের একটি প্যানেল করা হয়েছে। এই প্যানেলে তিন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসঁ প্রতীকের প্রার্থী ফেরদৌসী আক্তার নীলা রয়েছেন। এই তিন প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ ও মাইকিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে অন্য প্রার্থীরা কোন প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছেনা এবং প্রার্থীদের প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি-ধমকি, ভয়-ভীতি দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করা নেতাকর্মী সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে। প্রার্থীদের পোস্টার ছিড়ে ফেলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে আইনশঙ্খলা বাহিনী কোন সহযোগিতা করছেননা।

সংবাদ সম্মেলনে বেশকটি ছবি দেখিয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তমাল অভিযোগ করেন, তাঁর নির্বাচনী প্রচারে ৭টি মাইক ও মাইকের মেশিন ভেঙে ফেলে তাঁর গাড়ির চালককে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি তাঁর নিজের গাড়িতেও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আক্রমন করা হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান হারেজ অভিযোগ করেন, গত ১৫ মার্চ মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হামলা করেছে। নির্বাচনী সকল প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূইয়া অভিযোগ করেন, তাকে মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সিথি অভিযোগ করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়াম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের অংশগ্রহণ উন্মুক্ত থাকলেও মন্ত্রী বিভিন্ন গোপন বৈঠক করে আমাদের বাধা দিচ্ছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি ওই তিন প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার ব্যাপারেও নির্দেশনা দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর মনোনিত তিন প্রার্থীর নাম ও প্রতীক খচিত প্রচারপত্র তুলে ধরেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জে মন্ত্রী গাজীর বিরুদ্ধে ৭ প্রার্থীর অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৭ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে পাট ও বস্ত্র গাজী গোলাম দস্তগীরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন। ২৩ মার্চ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন। তবে যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন নির্বাচনে তারা সকলেই মন্ত্রী গাজীর অনুগামী নেতাকর্মী হিসেবে রাজনীতি করে আসছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীর অভিযোগ করেন- মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তসীর নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও আরও দুজন ভাইস চেয়ারম্যান পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন। ওই তিনজন প্রার্থীর বাহিরে অন্যান্য প্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করতে গেলে হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। এতে নির্বাচনী প্রচারণা বাধাগ্রস্থ করছেন মন্ত্রী গাজী। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের তাবিবুল কাদির তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, টিয়া পাখি প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, টিউবওয়েল প্রতীকে মোতাহের হোসেন নাদিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে নাসরিন আক্তার চম্পা, সেলাই মেশিন প্রতীকে হ্যাপী বেগম ও কলস প্রতীকের প্রার্থী শায়লা তাহমিন সিথী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা লিখিত অভিযোগে জানান, পাট ও বস্ত্রী মন্ত্রী গাজীর হস্তক্ষেপে নির্বাচনী প্রচারে ৩ জনের একটি প্যানেল করা হয়েছে। এই প্যানেলে তিন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসঁ প্রতীকের প্রার্থী ফেরদৌসী আক্তার নীলা রয়েছেন। এই তিন প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ ও মাইকিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে অন্য প্রার্থীরা কোন প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছেনা এবং প্রার্থীদের প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি-ধমকি, ভয়-ভীতি দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করা নেতাকর্মী সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে। প্রার্থীদের পোস্টার ছিড়ে ফেলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে আইনশঙ্খলা বাহিনী কোন সহযোগিতা করছেননা।

সংবাদ সম্মেলনে বেশকটি ছবি দেখিয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তমাল অভিযোগ করেন, তাঁর নির্বাচনী প্রচারে ৭টি মাইক ও মাইকের মেশিন ভেঙে ফেলে তাঁর গাড়ির চালককে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি তাঁর নিজের গাড়িতেও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আক্রমন করা হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান হারেজ অভিযোগ করেন, গত ১৫ মার্চ মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে সোহেল আহম্মেদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হামলা করেছে। নির্বাচনী সকল প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে।

প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূইয়া অভিযোগ করেন, তাকে মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সিথি অভিযোগ করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়াম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের অংশগ্রহণ উন্মুক্ত থাকলেও মন্ত্রী বিভিন্ন গোপন বৈঠক করে আমাদের বাধা দিচ্ছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি ওই তিন প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার ব্যাপারেও নির্দেশনা দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর মনোনিত তিন প্রার্থীর নাম ও প্রতীক খচিত প্রচারপত্র তুলে ধরেন তিনি।

অন্যদিকে প্রার্থীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান সংবাদকর্মীদের কাছে বলেন, ‘রূপগঞ্জের ৭ প্রার্থীর দেয়া লিখিত অভিযোগ কমিশনে পাঠানো হয়েছে। একটি ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেয়া হবে। হামলা-মামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

নৌকার পক্ষে আব্দুল হাই, প্রমাণ চাইলেন সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের ঘাটি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে মাঠে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই। ১৮ মার্চ সোমবার সোনারগাঁয়ে এক অনুষ্ঠানে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের ঘাটি সেটারও প্রমাণ দিতে বলেছেন তিনি। আগামী ৩১ মার্চ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রমান দিতে চান সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের ঘাটি। তবে এই নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির আওতাধীন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে লড়ছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেছেন, আমরা সবাই নৌকার কর্মী এবং নৌকাকে বিজয়ী করাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। জননেত্রী শেখ হাসিনা সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের ভুলে যাননি। তাই তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সোনারগাঁয়ে নৌকার প্রার্থী দিয়েছেন। নির্বাচনটি একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে নেত্রীকে নৌকার বিজয় উপহার দিতে চাই।

১৮ মার্চ সোমবার দুপুরে সোনারগাঁয়ে কাচপুুর শিল্পনগীর এলাকায় নৌকার প্রতীকের এক কর্মী সভায় এসব কথা বলেন আব্দুল হাই।

কর্মী সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরও বলেছেন, ৩১ মার্চ’ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করে আবারও আমাদের প্রমাণ করতে হবে সোনারগাঁয়ের মাটি সর্বদা নৌকার ঘাঁটি।

কর্মী সভায় কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সবুর খাঁনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামীলীগের আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ হোসাইন প্রমুখ।

হাত পা ভেঙ্গে গলায় ঝুঁলিয়ে দিবেন সোনারগাঁ থানা পুলিশের ওসি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচনে জাল ভোট দিতে আসলে তার হাত পা ভেঙ্গে গলায় ঝুঁলিয়ে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘আগের দিন রাতে কেউ যদি চিন্তা করেন জাল ভোট দিতে আসবেন। তবে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসবেন। তাদের আর বাড়ি ফিরে যেতে দেওয়া হবেনা। সোজা জেল হাজতে পাঠানো হবে।’

১৮ মার্চ সোমবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সভায় ওসি মনিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করলে যে প্রার্থীই যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। কোন প্রার্থী এলাকায় প্রতিপক্ষের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হতে পারবেন না। যদি কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটান তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোশারফ হোসেনের পক্ষে তার ভাই মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল, শাহজালাল মিয়া, বাবুল হোসেন বাবু ওমর, এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া, শাহ আলম রূপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার, মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, হেলেনা আক্তার ও ফরিদা পারভীন শ্যামলী চৌধুরী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) খোরশেদ আলম, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মো. জসিমউদ্দিন, সোনারগাঁ থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশ) আলমগীর হোসেন।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) খোরশেদ আলম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন জনগণকে উপহার দেওয়ার জন্য অঙ্গীকার করেছেন। আমরা তার দায়িত্ব পালন করছি।

ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমরের বিরুদ্ধে পোস্টার ছেড়া, অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা। ওসি অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

সোনারগাঁয়ে ঘোড়া নিয়ে মাঠে ৭ চেয়ারম্যান, এক মেয়র ও ওয়ার্ডে নির্বাচিত ৯০ জনপ্রতিনিধি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৩১ মার্চ। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সঙ্গে একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম। কালাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে দাড়িয়েছেন। তার পক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সোনারগাঁও পৌর মেয়র সহ উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত মেম্বারগণ সহ পৌরসভার কাউন্সিলররাও। এসব জনপ্রতিনিধিরা এখন ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এদের সঙ্গে পিছন থেকে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী কালামের পক্ষে সমর্থন জুগিয়েছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।

জানাগেছে, সোনারগাঁও উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা রয়েছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে ৭ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দুই জন জাতীয় পার্টি ও আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এসব চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৭ জন রয়েছেন নৌকার প্রতীকের বিরুদ্ধে অর্থাৎ কালামের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে। একই সঙ্গে সোনারগাঁও পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র সাদেকুর রহমানও কাজ করছেন কালামের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে। এমনকি পৌরসভা নির্বাচনে যিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন সেই অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বীও কাজ করছেন ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে।

মাহফুজুর রহমান কালামের পক্ষে কাজ করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান কালাম, নূরে আলম ও ফারুক ভূঁইয়াও। শুধু এসব চেয়ারম্যানরাই নয় তার পক্ষে কাজ করছেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানেরাও। যাদের মধ্যে জানপ্রাণ দিয়ে মাঠে নেমেছেন সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দীন সাবু, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব রহমান সরকার সহ অন্যান্য সাবেক চেয়ারম্যানরাও। ঘোড়া নিয়ে পুরোদমে মাঠে রয়েছেন বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুর রউফ, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হা-মীম সিকদার শিপলু, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ও কাচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর।

এসব জনপ্রতিনিধি ছাড়াও কালামের পক্ষে কাজ করছেন পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচিত ৯০ জন জনপ্রতিনিধি। সোনারগাঁয়ে ব্যাপক আলোচিত জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম। এই ফোরাম থেকে কালামকেই প্রার্থী হিসেবে সমর্থন ঘোষণা করা হয়। এই ফোরামের সভাপতি স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও সেক্রেটারি হিসেবে রয়েছেন চেয়ারম্যান জহিরুল হক। এসব পর্যবেক্ষনে দেখা যায় এসব জনপ্রতিনিধিরা যখন নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তখন মাঠে নৌকার প্রচারে বেশ প্রভাব পড়েছে। সেই সঙ্গে সোনারগাঁয়ে হাসনাত পরিবারের পরিবার কেন্দ্রীক রাজনীতি থেকে নেতাকর্মীরাও মুক্তি চায়। যে কারনে স্থানীয় আওয়ামীলীগের বিরাট অংশ এখন প্রকাশ্যেই নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কালামের পক্ষে কাজ করছেন।

বন্দরে ইয়াবা উদ্ধার, ৩ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অভিযান চালিয়ে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১’শ ৩০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ১৭ মার্চ রবিবার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মাদক ব্যবসায়ীরা হলো- বন্দর থানার মদনপুর আন্দিরপাড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল, ছালেনগর এলাকার ছোবহান মিয়ার ছেলে সজিব ও একই এলাকার মাছুম মিয়ার ছেলে হৃদয়।

জানাগেছে, রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণ?গঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি পুলিশের এসআই আতাউর রহমান আফাদ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মদনপুর নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া ডিগ্রী কলেজের সামনে থেকে মাদক ব্যবসায়ী রাসেলকে ১’শ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

অপরদিকে একই রাতে বন্দর ফাঁড়ীর এএসআই রাশিদুল ইসলাম শাহীমসজিদ খালপাড় থেকে ৩০পিছ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী সজিব ও হৃদয়কে আটক করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের সোমবার দুপুরেই নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ