বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করেছে বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে কেক কাটা ও মিলাদ মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। ১৭ মার্চ রবিবার রাতে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের কার্যালয়ে এ মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্থ্যতা কামনা করে দোয়া করা হয়।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক মাহমুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মাহাবুব চৌধুরী, কৃষকলীগের সভাপতি রহমত উল্লাহ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, কার্য্যকরী সদস্য লিটন চৌধুরী, মুশফিকুর রহমান সবুজ, মোশারফ হোসেন, জহিরুল ইসলাম ও সবুজ জনি প্রমূখ।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করেছে বন্দরের নব উদ্যোগ যুব সংঘ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নবউদ্যোগ যুব সংঘের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা, আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ মার্চ রবিবার রাতে বন্দর থানার ঘারমোড়া এলাকায় নব উদ্যোগ যুব সংঘের কার্যালয়ে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের উপদেষ্টা ও দক্ষিণ ঘারমোড়া পাকা জুম্মা জামে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির পক্ষে দোয়ায় অংশ নেন মোঃ আলমাছ মিয়া, হাজী কিবরিয়া মাষ্টার, হাজী আশেক মাহমুদ, আনিছ উদ্দিন লিখন, শহিদুল্লাহ মিয়া, পিয়ার মোহাম্মদ ও চরঘারমোড়া পঞ্চায়েত কমিটির কার্যকরী সদস্য আবুল কালাম।

এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহীন তাহেরী সিনহ ছাড়াও আয়োজক কমিটির মধ্যে উপস্থিত সংগঠনটির সভাপতি মোঃশাহজালাল, সাধারণ সম্পাদক সবুজ মিয়া, কোষাধ্যক্ষ আলতা মাসুল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোমেন, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান আলামিন, সদস্য দিদার মিয়া, মোঃরাসেল, শাহ আলম, মোঃ শাহাদাত হোসেন, আব্দুস সালাম বাবু, হারেছ মোল্লা, মাসুদ, জব্বর মিয়া, মোঃহাসান, অলি আহমদ ও আহমেদ টিটু প্রমূখ।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করলো বন্দরের বিশ্বনবী (সাঃ) আলিম মাদরাসা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বিশ্বনবী (সাঃ) ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ মার্চ রবিবার সকালে থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিশ্বনবী ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার হলরুমে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশগ্রহণ করেন মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সরদার আবু তালেব মিয়া ও কমিটির সকল সদস্য ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। দোয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনাসহ তার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করা হয়।

সাকির মুক্তিপণ চাওয়া আসামী কিভাবে খালাস পায়? নাজমুল আলম সজলের প্রশ্ন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে শিশু সাদমান সাকির মুক্তিপণ চাওয়া আসামী কিভাবে খালাস পায় সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন শিশুটি নিখোঁজের ১০ মাস পর কেন তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে বক্তব্য দিচ্ছেন নিখোঁজের বাবা ওমর খালেদ এপন। এমন প্রশ্ন রেখে সাংবাদিকদের প্রতি তিনি অনুরোধ রেখে বলেছেন সঠিক সংবাদ প্রকাশ করতে এবং নিখোঁজ শিশুর মুল ঘটনা উদঘাটনে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রেখেছেন।

শিশু সাদমান সাকি নিখোঁজের বিষয়ে গত ১৬ মার্চ শনিবার এক মানববন্ধনে নিখোঁজের বাবা সৈয়দ ওমর খালেদ এপন তার বক্তব্যে কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলকে জড়িয়ে বক্তব্য রাখা ও তা পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নাজমুল আলম সজল। তিনি দাবি করেছেন সাকির বাবার সঙ্গে তার কোন ধরনের শত্রুতা নেই। তিনি আরও প্রশ্ন রেখেছেন, নিখোঁজের পর মামলায় অভিযোগে সজলের নাম আনা হয়নি। তিনজন গ্রেপ্তার হওয়া আসামীও সজলের নাম বলেনি। তিনজন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনেও সজলের নাম আসেনি। কিন্তু ১০ মাস পর কেন সাকির বাবা এপন মানববন্ধন করে সজলের নাম বলছেন সে বিষয়েও তিনি প্রশ্ন রেখেছেন।

১৮মার্চ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল বলেন, ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক দেড়টায় এপনের ছেলে সাকি তার বাসার সামনে তার ভাতিজা তাসিমের সাথে খেলাধুলা করছিল। ওই সময় সাকির বাবা এপন বাসায় ছিলেন। ওই সময় এপনের ভাই সৈয়দ সাদিম আহমেদ তার ছেলে তাসিমকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় তার ছেলেও বাসায় দিয়ে যায়। আনুমানিক দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের সময় বাসা হতে বের হয়ে তার ছেলেকে খোজাখুজি করে। পরবর্তীতে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

তিনি জানান, এজাহার পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। মামলায় দুজন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রস্তম আলী ও এসআই শামীম হোসেন এবং পরবর্তীতে পিবিআই এর কর্মকর্তা আশরাফুল আলম তদন্ত করেন। তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে উল্ল্যেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সন্ধিগ্ধ আসামী জিল্লুর রহমান, সোহেল আহমেদ অররা ওও আবদুর রহমান তপনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে সাক্ষ্য প্রমান না পাওয়া উক্ত মামলায় গত বছরের ১ জুন চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল বলেন, সাকির বাবা এপন তার দায়েরকৃত অভিযোদে কোথাও আমার নাম বা আমার সংশ্লিষ্টতা উল্ল্যেখ করে নাই। এমনকি সন্দিগ্ধ ৩ জন আসামী যাদেরকে আদালত হতে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল তারাও কোথাও আমার সংশ্লিষ্টতা উল্ল্যেখ করে নাই। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল আহমেদকে অররা রিমান্ড চাওয়ার সময় তার ফরোয়াডিংয়ে উল্লেখ করা হয় যে, উক্ত আসামী ২০১৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে অভিযোগকারী ওমর খালেদ এপনের মোবাইলে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে এবং ওইদিন আসামীর দেয়া মোবাইলে সাড়ে ৪ হাজার টাকা বিকাশেও পাঠায় এপন। কিন্তু পরবর্তীতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়ায় খালাস পায়।

নাজমুল আলম সজল বলেন, এখন আমার প্রশ্ন হলো আসামী ধরার পর টাকা চাওয়ার পরও এবং আসামীর নম্বরে টাকা বিকাশ করার পরেও কিভাবে উক্ত আসামীরা খালাস পায়? নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পূর্বে মামলাটি আরো অধিক তদন্তের জন্য পিবিআই এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই এর উপ-পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল আলম আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং মোট ৭ জন সাক্ষীর জবানবন্ধি লিপিবদ্ধ করে এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে গত বছরের ১২ জুন।

নাজমুল আলম সজল বলেন, চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিলের দীর্ঘ ৪ মাস পর নিখোঁজ শিশুর বাবা এপন আমার বিরুদ্ধে অযাচিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য এবং আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে একটি মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে তার ছেলে সাকির বিষয়ে আমাকে দায়ী করে। প্রথম মানববন্ধনে সাকির বাবা এপন তার বক্তব্যে বলেছিল যে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াতে তাকে নাকি আমি হুমকি প্রদান করেছিলাম এবং নির্বাচন থেকে সড়ে না দাড়িয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তার ছেলে সাকিকে আমি অপহরণ করি।

এমন অভিযোগের বিষয়ে সজল বলেন, ১৬নং ওয়ার্ডে ৭ জন প্রতিদ্বন্ধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। নির্বাচনে আমি ৪ হাজার ৮’শ ৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হই। যেখানে ওমর খালেদ এপন ভোট প্রাপ্ত হয় ১২০টি এবং তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তার সাথে কিভাবে আমার শুত্রুতা হয় বোধগম্য নয়। তার সাথে যদি আমার শুত্রুতাই থাকে তাহলে তার অভিযোগের প্রথমেই তো আমার নাম থাকার কথা কিন্তু ১০ মাস পরে কেন?

সাকির বাবা এপনের ওই বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি সদর মডেল থানায় লিখিত দেন বলেও দাবি করেন সজল এবং ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর এপন প্রথম মানববন্ধন করে। মানববন্ধনের পর একজন সাংবাদিকের সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তার কথাও যার অডিও রেকর্ড তিনি সাংবাদিকদের শোনান। সংবাদ সম্মেলনে অহেতুক হয়রানির চেষ্টা ও সুনাম ক্ষুন্ন না করতে সাংবাদিকদের প্রতি সঠিক সংবাদ প্রকাশের জন্য অনুরোধ জানান জনপ্রিয় এই কাউন্সিলর।

জানাগেছে, গত ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে ঘরের বাহিরে খেলতে গিয়ে দেওভোগ কাঠের দোতলা বড় মসজিদ এলাকা থেকে শিশু সাদমান সাকি নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর ১৩ দিন পর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিখোঁজের বাবা সৈয়দ ওমর খালেদ এপন একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

এর আগে গত ১৬ মার্চ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এক নিখোঁজ সাকির উদ্ধার চেয়ে এক মানববন্ধনে সৈয়দ ওমর খালেদ এপন বক্তব্য দেন তার ছেলে নিখোঁজের পিছনে শামীম ওসমানের লোকজন জড়িত। কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের নাম উল্লেখ্য করে এপন দাবি করেন সজলরাই তার ছেলেকে অপহরণ করেছে। তারা শামীম ওসমানের লোক হওয়ায় পুুলিশ তাদের ধরছেনা।

তবে ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রফিউর রাব্বী, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সেক্রেটারি আবদুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদির সহ বেশকজন যারা মুুলত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর ঘনিষ্ঠ লোকজন হিসেবে পরিচিত। আর শামীম ওসমানের সঙ্গে মেয়র আইভীর রাজনৈতিক দ্বন্ধ রয়েছে। যেখানে নাজমুল আলম সজল রাজনীতি করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে।

নিখোঁজের বাবার ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ১৭ মার্চ রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে প্রতিবাদ করেছে এসোসিয়েশন। প্রতিবাদ সভায় হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কবির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ডের জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন কাউন্সিলর। কিন্তু ১৭ মার্চ রবিবার স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সাদমান সাকি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে মানববন্ধনে নিখোঁজের বাবা এপনের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।

এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানির বড় ভাই নাজমুল আলম সজল। এর আগে নাজমুল আলম সজল শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে শেখ সাফায়েত আলম সানি সারাদেশের মধ্যে তিনিই একজন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে কোন ধরনের বিতর্কের বাহিরে থেকে দায়িত্ব শেষ করেছেন। তাদের আরেক ভাই মাহাবুবুর রহমান চঞ্চল ছাত্রলীগে দায়িত্বশীল নেতা ছিলেন। আওয়ামীলীগের একট রাজনৈতিক পরিবার। এই তিন কৃতি রাজনীতিকের বাবাও একজন আওয়ামীলীগ নেতা ও জনসেবক ছিলেন। বিতর্কের বাহিরে থেকেই তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছেন। যেখানে নারায়ণগঞ্জে ছাত্র সমাজের আইডল হিসেবে খ্যাতি পেযেছেন সাফায়েত আলম সানি।

সোনারগাঁয়ে তিন বখাটের কারাদণ্ড, ইভটিজিং প্রতিরোধে চলবে অভিযান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল কলেজের সামনে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অপরাধে তিন বখাটেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। ১৮ মার্চ সোমবার দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তিন বখাটেকে কারাদণ্ড দেন।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান, সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের সামনে ছাত্রীদের ইভটিজিং করার দায়ে সোমবার সকালে বখাটে শাহীন, শিমুল ও আবদুল্লাহকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বখাটে শাহীনকে ৩মাস, শিমুলকে ৪ মাস ও আবদুল্লাহকে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্ত বখাটে শাহীন সোনারগাঁ পৌর এলাকার দিঘীরপাড় গ্রামের ছোবহান মিয়ার ছেলে, শিমুল পৌর এলাকার আমিনপুর গ্রামের মাইনউদ্দিনের ছেলে এবং আব্দুল্লাহ দিঘীরপাড় গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, সোনারগাঁয়ে ইভটিজিং প্রতিরোধে নিয়মিত পুলিশের এই অভিযান চলবে। সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে বখাটেরা অঙ্গভঙ্গি করে ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছে। তাদের প্রতিরোধ করতে আইনের আওতায় আনা হবে।

নরসিংদীতে মা মেয়েকে গণধর্ষণ: র‌্যাবের হাতে মূল হোতা মোখলেছ গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নরসিংদী জেলার মাধবপুুর শিবপুরে আলোচিত মা ও মেয়েকে গণধর্ষণের মামলায় মূল হোতা মোখলেছকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)। র‌্যাব- ১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কাজী শামশের উদ্দীন ১৮ মার্চ সোমবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়- গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ এর একটি টিম ১৮ মার্চ ভোর ৫টায় নরসিংদী জেলার মাধবদী পৌরসভা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শিবপুরের চাঞ্চল্যকর বহুল আলোচিত মা ও মেয়েকে গণধর্ষণ মামলার মূল আসামী মোঃ মোখলেছকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মোখলেছ একই জেলার শিবপুর থানার সৃষ্টিগড় এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে।

আরও জানায়- গ্রেপ্তারকৃত মোখলেছ গত ১৬ মার্চ নরসিংদী শিবপুর থানায় দায়েরকৃত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী ও ঘটনার মূল হোতা। তার নামে ইতিপূর্বে শিবপুর থানায় ডাকাতি, অস্ত্র ও আইন শৃঙ্খলা বিঘœকারী দ্রুত বিচার আইনসহ নানা অপরাধে ৬টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে র‌্যাব চানায় গত ১৫ মার্চ মামলার ভিকটিম মা ও মেয়ে একসাথে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী বাসযোগে বাড়ি ফেরার সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় বাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের সৃষ্টিগড় বাসষ্ট্যান্ডের অদূরে বিকল হয়ে যায়। এসময় ঘটনার মূলহোতা মোখলেছ ও তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন, শফিক, বাদল, বাবু, মোঃ আলমগীর মা ও মেয়েকে বাসে উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে সৃষ্টিগড় এলাকার প্রাইম জুটমিলের মধ্যে পরিত্যক্ত কক্ষে নিয়ে সহযোগীরাসহ পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। নির্যাতনের শিকার মা ও মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে মোখলেছ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার হোসেন ও শফিককে গ্রেপ্তার করে। বর্ণিত ঘটনার প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল নজরদারী করাসহ উক্ত ঘটনার মূল হোতা মোখলেছ ও পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে। এরই প্রেক্ষিতে ১৮ মার্চ সোমবার ভোর ৫টায় নরসিংদী জেলার মাধবদী পৌর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোখলেছকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১১ দাবি করেছে- র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র‌্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের মত মানবতা বিধ্বংসী অপরাধ সমাজে মহামারী আকার ধারণ করেছে। উক্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে র‌্যাব অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

গাজীপুরে প্রতিবন্ধীদের স্কুল নির্মাণে তৈমূর আলমের ৫ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১৬ মার্চ সকাল ১১টায় গাজীপুর জেলাধীন কাপাশিয়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা হাশেম শ্রবণ ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা ড.এম.এ. হাশেম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

প্রতিবন্ধীদের অভিভাবক, স্থানীয় জনগণ ও ইউনিয়ন পরিষদ এবং জেলা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, বাংলাদেশের আনাচে কানাচে যেখানেই বধির বা শ্রবণ প্রতিবন্ধী আছে তাদের সকলের নিকট শিক্ষার আলো আমরা পৌছে দিতে আপনাদের সহযোগীতা কামনা করি। আমি দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করতে চাই, বাংলাদেশের কোন শ্রবণ প্রতিবন্ধী সমাজ ও পরিবারের বোঝা হয়ে থাকবে না। তাদেরকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলবো, ইনশাআল্লাহ।

স্কুলটি ৩০ শতাংশ জায়গার উপর একটি টিনের ঘরে চলে আসছে বিধায় একটি পাকা ভবন নির্মাণের জন্য তৈমুর আলম খন্দকার সংস্থার পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের অনুকূলে পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করে। এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের স্কুলে আনা নেয়ার বিষয়ে একটি পরিবহণের ব্যবস্থা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মোঃ শফিকুল হাকিম মোল্লা হিরন, পৃষ্ঠপোষকতায় কফিল উদ্দিন প্রধান, সার্বিক তত্ত্বাবধানে মোঃ ইকবাল হোসেন প্রধান ও সার্বিক উপস্থাপনায় মোঃ রবিউল আওয়াল ও মোঃ মজিবুর রহমান প্রধান প্রমূখ।

আবু নাইম ইকবাল আমার ছোট ভাইয়ের মত: বললেন এমপি খোকা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন শিক্ষানুরাগী ক্রীড়া সংগঠক আবু নাইম ইকবাল। তার সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের মহাজোটের এমপি ব্যাপক প্রসংশা করে বলেছেন,‘আবু নাইম ইকবাল আমার ছোট ভাইয়ের মত। সে গত ৫ বছর আমার সঙ্গে রাজনীতি করেছে। আমার উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করেছে।’

১৭ মার্চ রবিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ, র‌্যালী ও কেক কাটার পর সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে এক আলোচনা সভায় উপজেলার মেম্বার ও কাউন্সিলরদের এক প্রশ্নের জবাবে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা এমন কথা বলেন।

তবে তিনি পরক্ষণেই আরেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল হোসেন ওমর সম্পর্কে বলেছেন, ‘আবার বাবু ওমরও আমার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। ওর মা আমাকে ছেলে বলে ডাকে। তাই দু’জনই আমার লোক। যাকে খুশি ভোট দিয়েন।’

তবে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিষয়টি পরিস্কার যে আবু নাইম ইকবালই এমপি খোকার প্রথম পছন্দ। কারন জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নের জবাবে সবার আগে নামটা বলেছেন আবু নাইম ইকবালের। এমনকি তিনি ওই সময় অনেকটা হাস্যোজ্জল ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, এমপির জন্য দুজনই কাজ করলেও আবু নাইম ইকবালই তার প্রথম পছন্দ। আমরা আবু নাইম ইকবালের জন্যই কাজ করবো। কারন বাবু ওমরের উত্থান বেশির দিনের নয়। যেখানে আবু নাইম ইকবাল এমপির সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছেন। একই সঙ্গে সোনারগাঁয়ের শিক্ষার ক্ষেত্রে ও ক্রীড়ার উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রেখে নির্বাচনের আগেই তিনি বিশেষ শ্রেণির কাছে সমাদৃত।

ওইসময় উপস্থিত ছিলেন- নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল হক সামসু, বৈদ্যেরবাজার ইউপির মেম্বার আব্দুল বাসেত, মোহাম্মদ উল্লাহ, সনমান্দী ইউপির মেম্বার ফিরোজ আহমেদ, তোতা মিয়া, শম্ভুপুরা ইউপির মেম্বার কবির হোসেন, পৌরসভার কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার মনি সহ আরো অনেকে।

এখানে উল্লেখ্যযে, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা শিক্ষানুরাগী আবু নাইম ইকবাল পেয়েছেন তালা প্রতীক। বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন মাইক প্রতীক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন চশমা প্রতীক, বাবুল ওমর বাবু টিউবওয়েল, মনির হোসেন উড়োজাহাজ ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া বই প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

সোনারগাঁয়ে বাবু ওমর বাহিনীর সন্ত্রাসী শুরু, দুজনকে পিটিয়ে আহত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল হোসেন ওমরের সন্ত্রাসী বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছেন। নির্বাচনে জয়ের আগেই তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবালের দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠলো। এর আগে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২৫ ডিসেম্বর কাচপুুর যুবলীগ কার্যালয় ভাংচুর ও গুলিবর্ষণ করে আতংকের নাম হয়ে ওঠে বাবু ওমর।

এদিকে জানাগেছে, সোনারগাঁয়ে তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যাপক আলোচনায় থাকা আবু নাইম ইকবালের পোষ্টার লাগানোয় টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী বাবু ওমরের সমর্থকরা দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৭ মার্চ রবিবার দপুরে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কোনাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিবার উপজেলার কোনাবাড়ি এলাকায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাইম ইকবালের সমর্থকরা তালা প্রতীকের পোস্টার লাগায়। এসময় টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমর বাবুর সমর্থক স্থানীয় সন্ত্রাসী মাসুদুজ্জামান মাসুদ তালা প্রতীকের সকল পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং মজিবুর ও এমদাদুল নামে আবু নাইম ইকবালের দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে।

এসময় সন্ত্রাসী মাসদু টিউবওয়েলের পোস্টার ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর পোস্টার লাগালে অথবা কেউ অন্য প্রার্থীর এজেন্ট হলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে মাসুদুজ্জামান মাসুদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, নির্বাচনকে ঘিরে কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এখানে উল্লেখ্যযে, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা শিক্ষানুরাগী আবু নাইম ইকবাল পেয়েছেন তালা প্রতীক। বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন মাইক প্রতীক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর হোসেন চশমা প্রতীক, বাবুল ওমর বাবু টিউবওয়েল, মনির হোসেন উড়োজাহাজ ও সাংবাদিক শাহজালাল মিয়া বই প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

 

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানালো শিশু শিক্ষার্থী ওয়াইস কারনী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিশ্লেষকেরা বলেন, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান রাজনীতির মতাদর্শেই বড় হয়। মহান স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতিতে জড়িত নারায়ণগঞ্জের একটি পরিবারের সদস্য ওয়াইস কারনী আল ওয়াকী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে সেটা হয়তো শিশুটি জানেওনা। কিন্তু জাতির জনকের ৯৯তম জন্মদিনে সেও সম্মান শ্রদ্ধার সাথে বঙ্গবন্ধুকে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। ওয়াইস কারনী আল ওয়াকী চেইঞ্জেস স্কুলের নার্সারীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী।

জানাগেছে, ১৭ মার্চ রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে শহরের চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্যরা। ওই সময় এসব জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিল ওয়াইস কারনী আল ওয়াকী। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার শ্রদ্ধা জানানোর ভঙ্গি ও সম্মানর প্রদর্শন দেখে বুঝার উপায় ছিল না সে একটি ছোট্ট শিশু। আবার ফটোসেশনেও তাকে বিচলিত দেখা যায়নি। সকলের সঙ্গে সে একই ভঙ্গিমায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। পরে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে শিশুটিও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কেক কেটে জন্মদিন পালন করে। শিশুটির এমন আচরণে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন উপস্থিতিরা। তাকে দিয়েই কেক কাটানো হয়। তখন সবাই হাস্যোজ্জলও ছিলেন।

জানাগেছে, ওয়াইস কারনী আল ওয়াকীর বাবা নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির একজন সুপরিচিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ। অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। ওয়াইস কারনী আল ওয়াকীর দাদা আলাউদ্দীন আহমেদ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য। মুলত তার দাদার সঙ্গেই তার দাদার মত করে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে পুস্পস্তবক অর্পন ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

সর্বশেষ সংবাদ