আড়াইহাজারে নির্বাচনী মাঠে সুমন, মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা

আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া। আর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা শেষে আড়াইহাজারের বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন তিনি। ২ ডিসেম্বর রবিবার তার মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসন থেকে মোট ৬১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এতে ৪৭ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ও ১৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া।

মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষিত হওযার পর মাহমুদুর রহমান সুমন সাংবাদিকদের বলেন, আড়াইহাজারে বিগত সময়ে যারা ত্যাগ স্বীকার করে দলের জন্য কাজ করেছেন তার মাঝে আমার প্রয়াত বাবা এএম বদরুজ্জামান খান খসরু অন্যতম ছিলেন। আমি তারই সন্তান। আমি আমার বাবার স্বপ্ন শান্তির আবাসন আড়াইহাজার গড়ে তুলতে চাই। আমার মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, গণতন্ত্রের মাকে মুক্ত করার মাধ্যমে দেশকে আবার অপশক্তির হাত থেকে নতুন করে স্বাধীন করতে চাই। নেতাকর্মীরা যদি সবাই এক সাথে মিলেমিশে কাজ করে তাহলে আমি পাড়ব ইনশাল্লাহ। আড়াইহাজারে কোন বেঈমান, সংস্কারপন্ধী খ্যাত লোকের স্থান হতে পারে না। আপনারা জানেন আড়াইহাজারবাসীর প্রাণপ্রিয় নেতা ছিলেন আমার বাবা। আমিও আমার বাবার মত সেবক হয়ে জনগণের পাশে থাকতে চাই। শুধুমাত্র সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

 

তিনি শতভাগ আশাবাদী এখানে তিনজনকে মনোনিত করা হলেও তাকেই চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, কমিউনিস্ট পাটির প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, ইসলাম আন্দোলনের নাসির উদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এখানে ৮ জনের মধ্যে ৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ও অপরজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয়ের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

বিজয় দিবস পালনে বন্দরে প্রশাসনের প্রস্তুতি গ্রহণ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে বন্দর উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারীর সভাপতিত্ব সভায় উপস্থিত ছিলেন-বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার, উপজেলা ভূমি অফিসার রোমানা আক্তার, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ফারুক আহমেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. আব্দুল কাদের, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ ক ম নুরুল আমিন, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন, বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু, বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ শিরিন সুলতানা ও মোঃ সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।

৫টি আসনে ১৪ জনের প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে ৬১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। যার মধ্যে ৪৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ও ১৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া। জেলার দুটি আসনে বিএনপির মনোনিত দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে এবং একজন মনোনয়ন পেলেও তিনি দাখিলই করেননি। এছাড়াও জাতীয়পার্টির মনোনয়ন না পেলেও দুটি আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দুইজনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

২ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করে বৈধ প্রার্থী ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া। এ সময় জেলা নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যাদের মনোনয়ন বাতিল ও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এসব বিষয়ে কোন প্রার্থী আপিল করতে পারবেন। তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহার আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে করতে হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম চন্দন, স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান, ইমদাদ উল্লাহ, আজম খানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এখানে মোট ১০ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যাদের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহেন আফজাল ও জাকের পার্টির প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, কমিউনিস্ট পাটির প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, ইসলাম আন্দোলনের নাসির উদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এখানে ৮ জনের মধ্যে ৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ও অপরজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয়ের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে জাতীয়পার্টির বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার, তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী আব্দুস সালাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সানাউল্লাহ নূরী, জেএসডির প্রার্থী ফখরুদ্দীন ইব্রাহীম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল, জাকের পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আমির ফয়সাল ও কল্যান পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌসের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এখানে ১৫ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যার মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন, জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের পালিত মেয়ে অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম, বিএনএফ প্রার্থী শাহাব উদ্দীন হোসেন ভুইয়া ও গণফোরামের প্রার্থী সিরাজুল হকের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন সোনারগাও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। ফলে এখানে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এখানে ১৬ জন মনোনয়ন দাখিলকারীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মুহাম্মদ কাউসার, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি মনোনিত প্রার্থী মামুন মাহামুদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আহমেদ পলাশ ও কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে জাতীয়পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমান, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাবেক এমপি আবুল কালাম, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এসএম আকরাম, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ কবির হোসেন, সাম্যবাদী দলের প্রার্থী সাঈদ আহমেদ, বাসদের প্রার্থী আবু নাঈম খান বিপ্লব, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মন্টু চন্দ্র ঘোষ, ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী বাহাদুর শাহ, জাকের পার্টির প্রার্থী হাসান জামাল, কল্যাণ পার্টির প্রার্থী আফতাব ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবুল কালামের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এ আসনে ১২ জন মনোনয়ন দাখিলকারীর মধ্যে একমাত্র বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের ৪৭ জনের মনোনয়ন বৈধ, ১৪ জনের প্রার্থীতা বাতিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে ৬১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। যার মধ্যে ৪৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ও ১৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া। বাতিলের মধ্যে রয়েছে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ও বিএনপির প্রার্থী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এবং গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনিত প্রার্থী বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন রয়েছেন। তবে ৫টি আসনের বর্তমান ৫ এমপির কারোরই মনোনয়ন বাতিল হয়নি।

২ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করে বৈধ প্রার্থী ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া। এ সময় জেলা নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম চন্দন, স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান, ইমদাদ উল্লাহ, আজম খানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এখানে মোট ১০ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যাদের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহেন আফজাল ও জাকের পার্টির প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, কমিউনিস্ট পাটির প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, ইসলাম আন্দোলনের নাসির উদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এখানে ৮ জনের মধ্যে ৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ও অপরজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয়ের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে জাতীয়পার্টির বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার, তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী আব্দুস সালাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সানাউল্লাহ নূরী, জেএসডির প্রার্থী ফখরুদ্দীন ইব্রাহীম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল, জাকের পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আমির ফয়সাল ও কল্যান পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌসের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এখানে ১৫ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যার মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন, জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের পালিত মেয়ে অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম, বিএনএফ প্রার্থী শাহাব উদ্দীন হোসেন ভুইয়া ও গণফোরামের প্রার্থী সিরাজুল হকের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন সোনারগাও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। ফলে এখানে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এখানে ১৬ জন মনোনয়ন দাখিলকারীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মুহাম্মদ কাউসার, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি মনোনিত প্রার্থী মামুন মাহামুদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আহমেদ পলাশ ও কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে জাতীয়পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমান, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাবেক এমপি আবুল কালাম, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এসএম আকরাম, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ কবির হোসেন, সাম্যবাদী দলের প্রার্থী সাঈদ আহমেদ, বাসদের প্রার্থী আবু নাঈম খান বিপ্লব, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মন্টু চন্দ্র ঘোষ, ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী বাহাদুর শাহ, জাকের পার্টির প্রার্থী হাসান জামাল, কল্যাণ পার্টির প্রার্থী আফতাব ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবুল কালামের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এ আসনে ১২ জন মনোনয়ন দাখিলকারীর মধ্যে একমাত্র বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যাদের মনোনয়ন বাতিল ও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এসব বিষয়ে কোন প্রার্থী আপিল করতে পারবেন। তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহার আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে করতে হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী নিহত

নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হাসান (৩৮) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় র‌্যাব’র দুই সদস্য আহত হয়েছেন। পরে তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসময় র‌্যাব অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
রোববার (২ ডিসেম্বর)ভোরে শহরের আলামিন নগর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান শহরের দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার মৃত ইয়াছিন মিয়ার ছেলে। হাসানের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা, তিনটি অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিশটি মামলা রয়েছে। প্রতিটি মামলায় সে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ছিল বলে র‌্যাব জানায়।
র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক আলেপ উদ্দিন জানান, শহরের আলামীননগর এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হাসান বিপুল পরিমান ইয়াবা নিয়ে আলামীননগর এলাকায় একটি বাড়িতে অবস্থান করছে,এই সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব রবিবার ভোরে সেখানে অভিযান চালিয়ে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির ভেতর থেকে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু হয়। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় বিশ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর র‌্যাব বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে গুলিবিদ্ধ অবস্খায় হাসানকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ ১শ’ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, বন্দুকযুদ্ধের সময় আলম ও আলামীূন নামের দুই র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব চার রাউন্ড গুলির্তি একটি বিদেশী পিস্তল ও দুই হাজার পাঁচশ’ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

সেলিম ওসমানকে প্রয়োজন মনে করলে বিজয়ী করবেন: নাসরিন ওসমান

নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন ও ভবিষ্যত প্রজেন্মর স্বপ্ন বাস্তবায়নে যদি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমানকে ভবিষ্যতেও প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হয় তবেই তাঁকে পুণরায় নির্বাচিত করার জন্য তরুণ প্রজন্ম ও নারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন মিসেস নাসরিন ওসমান।
শনিবার ১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় চাষাঢ়া হীরা মহলে এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক নারীর সাথে মত বিনিময় কালে তিনি সকলের প্রতি এ আহবান রাখেন। উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও ওসমানের পরিবারের আরেক পুত্রবধূ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস সালমা ওসমান লিপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিসেস নাসরিন ওসমান আরো বলেন, আজকে আমি সেলিম ওসমানের সাহেবের প্রশংসা করবো না। সেলিম ওসমান মাঝে মধ্যে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লেও সাধারণ মানুষের কল্যাণে সে সকল সময় চিন্তা করে থাকে। সেলিম ওসমান মনে করে মানুষের মাঝেই আল্লাহ বিরাজ মান তাই মানুষের সেবা করতে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। বিগত সাড়ে ৪ বছর নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরের উন্নয়নে সাধ্যমত তিনি চেষ্টা করেছেন। আমি তাকে সহযোগীতার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি সেলিম ওসমান এখন আর আমাদের পরিবারের সম্পত্তি নয়। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জের ১০ লাখ মানুষের সম্পত্তি। তাই নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে একজন স্ত্রী হিসেবে সেলিম ওসমানকে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য আমি উৎসর্গ করেছি। আপনারা উনার পাশে থাকবেন উনার জন্য দোয়া করবেন। উনি ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের তোমরা যারা আছো, তোমরা যদি মনে করো উনাকে দিয়ে তোমাদের কাজ হবে তাহলে তোমরা তাকে ভোট দিও। এখন থেকে উনি শুধুই জনগনের সেবা করবে। সংসার আর ব্যবসার দায়িত্ব আমাদের পরিবারের বাকী সদস্যরা পালন করবো। উনি রাজনীতিবিদ না। অন্য রাজনীতিকদের মত আপনারা উনাকে যখন তখন কাছে না পেলেও উনি আপনাদের সমস্যা গুলোতে প্রয়োজনীয় প্রত্যাশা পূরণ করেছেন।
উপস্থিত সকল নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, উনি নারায়ণগঞ্জ-বন্দরে স্কুল কলেজের উন্নয়ন করেছেন। ভবিষ্যতে শহর ও বন্দরের প্রয়োজনীয় সকল উন্নয়নই তিনি করবেন। গত সাড়ে ৪ বছর উনি যে কাজ করেছেন তা আপনারা একটু বিবেচনা করে দেখবেন। আপনারা যদি মনে করেন নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে সেলিম ওসমানের প্রয়োজন রয়েছে তাহলে আপনারা উনাকে আবারো বিজয়ী করবেন।
মুক্তিযোদ্ধা ও নারীনেত্রী ফরিদা আক্তার বলেন, নারায়ণগঞ্জের সবগুলো আসনে যদি সেলিম ওসমানের মত এমপি থাকতো তবে নারীদের উন্নয়ন আরো যেমন দ্রুত সম্ভব হতো তেমনি নারীরা পুরুষ শাসিত সমাজে স্বাবলম্বী হয়ে নিজের পায়ে দাড়াতো। তিনি সেলিম ওসমানকে আবারো নির্বাচিত করার জন্য নারীদের প্রতি আহবান জানান।
প্রফেসর শিরীন বেগম বলেন, নারায়ণগঞ্জের শিক্ষাখাতের উন্নয়নে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করে এমপি সেলিম ওসমান শিক্ষার মানোন্নয়নে যে বিপ্লব ঘটিয়েছে তা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে।
মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ছিলেন, জেলা মহিলা পার্টির সভাপতি আঞ্জুমান আরা ভুইয়া, নারী নেত্রী রোকসানা খবির, আঞ্জুমান আরা আকসির, মহানগর যুবমহিলা লীগের সভানেত্রী অ্যাডভোটেক সুইটি ইয়াসমিন সহ অন্যান্য নারী নেত্রীবৃন্দরা।

শুভ লগ্নে —-সুমী ধর

আজ তোমার জন্ম হল শুভ লগ্নে,
জগৎ জুড়ে থাকবে তুমি সবার হৃদয়ে।

আকাশ জানে,চন্দ্র জানে,সাত আসমান জমিন জানে,,
তোমার প্রভাতে উঠবে ফোঁটে নতুন সূর্য কিরণ।

শত জনমের বন্ধ দরজা খোলে দাও আজি,
আমি দাঁড়িয়ে থাকবো সদায় তোমার অতন্ত্র প্রহরী।

অতি সংকট দিন গুলোকে রেখোনা আর মনে,
নব উদ্যেগে কাজ করো আজকের এই শুভ লগ্নে।

মনটা আমার ছন্দ ছাড়া
তোমার পানে আজ পথ হারা,
রোদেলা সকালের স্বপ্ন গুলো
তোমায় দিলাম উপহার।

সূর্য রশ্মি পরেছে ছড়ে তাকিয়ে তুমি দেখো,
তোমায় ডাকছে হাত নেড়ে ,হাত বাড়িয়ে ধরো।

স্বপ্ন গুলো আজ হোক রঙিন,
প্রত্যুষ আলো ছড়িয়ে পড়ুক তোমার চোখের কোনে।

কষ্ট আছে,দুঃখ আছে,ছেড়োনা তুমি হাল,
লাগুক ছুটার মন্দ আলো এগিয়ে তুমি চলো।

হয়তো পারবোনা মৃদ আলোতে জরিয়ে ধরে বলতে,
অনাগত ক্ষণ গুলো উজ্জ্বল হোক
আজ এই শুভ দিনে।

নারীদের প্রতি সেলিম ওসমানের অনুরোধ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
একজন সুশিক্ষিত মা’ই পারে একটি আধুনিক রাষ্ট্র উপহার দিতে। তাই সকল মায়েদের নিজ নিজ সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে তাদেরকে সুশিক্ষিত করতে এবং স্বামীদের পাশে থেকে তাদেরকে সহযোগীতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসামন। তিনি বলেন, প্রতিটি পরিবারে স্ত্রী যদি তার স্বামীকে অথবা মা যদি তার ছেলের পাশে দাড়িয়ে সহযোগীতা করেন তাহলে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না। সেই লক্ষ্যে তিনি নারীদেরকে সমবায় ভিত্তিতে কাজ করার আহবান জানিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার অনুরোধ জানান।
শনিবার ১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় চাষাঢ়া হীরা মহলে এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক নারীর সাথে মত বিনিময় কালে এমপি সেলিম ওসমান উপস্থিত নারীদের প্রতি এমন আহবান রাখেন। উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ওসমানের পরিবারের আরেক পুত্রবধূ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস সালমা ওসমান লিপি।
সেলিম ওসমান বক্তব্যে আরো বলেন, আমি ৭টি ইউনিয়ন এলাকায় ৭টি স্কুল নির্মাণ করেছি। কদমরসুল কলেজ সরকারী হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ কলেজে নতুন আধুনিক ভবন নির্মিত হয়েছে। আমি ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, তাদের জন্যই আমি গত সাড়ে ৪ বছর কাজ করে গেছি। ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবো। কিন্তু শুধু স্কুল কলেজ বানালেই চলবে না। সেখানে অবশ্যই আপনাদের সন্তানদের পাঠাতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে অদূর ভবিষ্যতে ওরাই দেশের দায়িত্ব নিতে পারে। আর যেন আমার মত স্বল্প শিক্ষিত কোন মানুষকে এমপি হতে না হয়। সুশিক্ষায় শিক্ষিতদের হাতেই যেন ভবিষ্যত বাংলাদেশকে তুলে দিয়ে যেতে পারি এটাই এখন একমাত্র চাওয়া।
উপস্থিত সকলের প্রতি অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, আপনারা প্রত্যেকে অবশ্যই আপনাদের স্বামীর পাশে দাড়াবেন তাদেরকে সহযোগীতা করবেন। একজন পুরুষের সব থেকে কাছের বন্ধুটি হয় তাঁর স্ত্রী। স্বামী স্ত্রী মিলে মিশে কাজ করলে পারিবারিক স্বচ্ছলতা আসবে। আর একটি এলাকার উন্নত হতে হলে আগে পারিবারের উন্নতি করতে হবে। প্রতিটি পরিবার স্বাবলম্বী হলে এলাকা এমনিতেই উন্নত হবে। আপনারা নারীরাই পারবেন একটি বাড়ি একটি খামার সম্পূর্ন রূপে বাস্তবায়ন করতে। আপনারা আপনাদের বাড়ি ছাদ, আশে পাশের জায়গা খালি না রেখে সেখানে কৃষির ব্যবস্থা করবেন। বাড়ির ছাড়ে মুরগি পালনের ব্যবস্থা করবেন। যদি এ ব্যাপারে আপনাদের জানা না থাকে তাহলে আমাকে জানাবেন আমি আপনাদের সব পদ্ধতি জানার ব্যবস্থা করে দিবো। আর আপনারা যাই করবেন সমবায় ভিত্তিতে করবেন। সমবায় ভিত্তিই হতে পারে দারিদ্রতা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ পদর্শক। নারীরা আজ আর পিছিয়ে নেই। সকল ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদের দিকে তাকালেই আপনারা বুঝতে পারবেন।
মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও নারী নেত্রী ফরিদা আক্তার, প্রফেসর শিরীন বেগম, জেলা মহিলা পার্টির সভাপতি আঞ্জুমান আরা ভুইয়া, নারী নেত্রী রোকসানা খবির, আঞ্জুমান আরা আকসির, মহানগর যুবমহিলা লীগের সভানেত্রী অ্যাডভোটেক সুইটি ইয়াসমিন সহ অন্যান্য নারী নেত্রীবৃন্দরা।

জনগণের সেবায় স্বামীকে উৎসর্গ করলেন নাসরিন ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
বন্দরের মানুষের ভালবাসার টানে মৃত্যুর পর নিজের লাশটি বন্দরের মাটিতেই দাফন করার ঘোষণা বহু আগেই দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। বন্দরবাসীর ভালবাসার সেই ধারাবাহিকতায় গত ২ নভেম্বর ময়মনসিংহপট্টি মাঠে সর্বস্তরের বন্দরবাসীর পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি সমাবেশে পারিবারিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ভার থেকে মুক্ত করে জনগণের সেবার জন্য স্বামী সেলিম ওসমানকে উৎসর্গ করেন তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। তার ঠিক এক মাসের মাথায় এসে অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে জনম জনম পাশে থাকার কর্তব্য পরিপূর্ণ করলেন তিনি। যতদিন বাঁচবেন ততদিন স্বামী সেলিম ওসমানের পাশে তো থাকবেনই এমনকি মৃত্যুর পরেও বন্দরে স্বামী সেলিম ওসমানের শয্যা পাশেই নিজের শায়িত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মিসেস নাসরিন ওসমান।
শনিবার ১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরুজ্জামান টাওয়ারের তৃতীয় তলায় রাত্রি কমিউনিটি সেন্টারে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকার নারী জনপ্রতিনিধি সহ সহস্রাধিক সাধারণ নারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ এবং বন্দরের মাটি ও মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া নেতা নাসিম ওসমান ভাইয়ার মৃত্যুর পর আমার শ্বাশুড়ি সেলিম ওসমান সাহেবকে নারায়ণগঞ্জের মানুষের সেবা করার জন্য নির্বাচন করার নির্দেশ দেন। মানুষের সেবা করতে গিয়ে যদি উনার মৃত্যুও হয় তাতে তিনি একজন মা হিসেবে গর্বিত হবেন বলে আপনাদের সেবায় ছেলেকে উৎসর্গ করেন। কিছুদিন আগে উনার প্রতি আপনাদের ভালবাসা দেখে আমি আপনাদের কাছে উনাকে উৎসর্গ করেছি আপনাদের সেবা করতে আপনাদের ভালবাসা পেতে। আজকে এখানে আপনাদের এতো সমাগম দেখে আমি উপলদ্ধি করতে পারছি আমার শ্বাশুরি কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন। উনার এই সিদ্ধান্তকে আমিও অনুসরন করেছি।
তিনি বলেন, একজন স্ত্রী হিসেবে সারাজীবন স্বামীর পাশে থেকে সহযোগীতা করা আমার কর্তব্য। সেই কর্তব্য থেকে আমি সারাজীবনে উনার পাশে থেকে আপনাদের সেবায় সহযোগীতা করে যাবো। মানুষের বাঁচা মরা সব আল্লাহ হাতে। আমাদের সবাইকেই একদিন মরতে তো হবেই। উনি অনেক আগে ঘোষণা দিয়েছেন উনার মৃত্যুর পর যেন লাশটি বন্দরের মাটিতে দাফন করা হয়। উনার সহধর্মিনী হিসেবে আমি মৃত্যুর পরেও উনার পাশেই থাকতে চাই। তাই আমার মৃত্যুর পরেও যেন এই বন্দরের মাটিতে উনার পাশেই আমার লাশটি দাফন করা হয়।
আপনাদের কাছে আমার আর কি চাওয়ার থাকতে পারে। আপনাদের কাছে আর ভোটই বা কি চাইবো। আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের প্রতি আপনাদের ভালবাসা সেই ভালবাসার ঋন কোন কিছু দিয়েই শোধ করা যাবে না। শুধু এইটুকুই বলবো আগামীতেও আপনাদের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করে যাওয়ার সুযোগটুকু উনাকে আবারো দিবেন। আগামীতে উনি যদি এমপি নাও হতে পারেন তবুও আপনাদের পাশে থাকবেন। শরীরের শেষ বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত সেলিম ওসমান আমাদের পাশে থেকে কাজ করে যাবেন এটা আপনাদের কাছে আমি ওয়াদা দিয়ে গেলাম।
মতবিনিময় সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আগামী নির্বাচনে কাকে ভোট দিবেন সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ন আপনাদের উপর নির্ভর করে। আমি শুধু আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখবো শুধু একটি বারের জন্য চিন্তা করে দেখবেন গত সাড়ে ৪ বছরে আমি আপনাদের উন্নয়নের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছি কিনা। আগামী নির্বাচনে আমাকে দেন বা নাদেন সে ব্যাপারে আমার কোন কথা নাই। আপনাদের কাছে শুধু এইটুকু আহবান রাখবো আপনারা কোন বসন্তের কোকিলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন না। যাদেরকে সারা বছর এলাকায় দেখা যায় না। শুধু নির্বাচনের সময় বসন্তের কোকিল হয়ে আপনাদের সামনে আসে। নির্বাচন শেষে আবার নাই হয়ে যায় তেমন ব্যক্তিকে ভোট দিলে জনগন কতটুকু উপকৃত হবে সে বিষয়ে বিবেচনা করে নিজের ভোটটি প্রদান করবেন।
মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী মহিলালীগ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভানেত্রী ইসরাত জাহান স্মৃতি, সিটি কর্পোরেশনের নারী কাউন্সিলর শিউলি নওশাদ, ১৯নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি পলি বেগম সহ অন্যান্য নারী নেত্রীরা। মত বিনিময় সভায় সহস্রাধিক নারী অংশ উপস্থিত হয়ে নির্বাচনে সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করে তাঁকে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে সুরুজ্জামান টাওয়ারের রাত্রি কমিউনিটি সেন্টারে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে নির্বাচনে করনীয় সম্পর্কে আরো একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকুসদ হোসেন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম সহ প্রতিটি ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আমরা পিতৃহারা: আওয়ামীলীগ সভাপতি এমএ রশিদ

বন্দর থানা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে নির্বাচন শীর্ষক প্রস্তুতি মুলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ১ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে বন্দর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি এমএ রশিদের বাসভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভায় বন্দর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ বলেছেন, আজকে পিতৃত্বের পরিচয় আমরা দিতে পারি না। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আমরা অনেকদিন ধরেই পিতৃহারা। তবে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিভিন্ন সময় আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষের পক্ষে কথা বলতাম। নৌকা মার্কার কথা আমি বলতাম। আজকে আমি গর্ব করে বলতে পারি, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নামে কোন দূর্নাম নাই। তারা অত্যন্ত নম্র, ভদ্র স্বভাবের। তাদের নামে আজ পর্যন্ত কোন চাদাবাজী, টেন্ডারবাজীর কলংক নাই। আজকে আমি আহ্বান করলাম বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে লড়াই করে রাজনীতির মাঠে থাকব।  আমার কর্মীদের সকল সুখ-দুঃখে আমি অংশীদার হব।
তিনি আরো বলেন, আপনারা আমার কাছে যে দাবী রেখেছেন তার জন্য যদি আমার প্রতি ১’শ পার্সেন্ট বিশ্বাস রাখেন তাহলে আমি আপনাদের নিয়ে লড়াই করব।  আপনারা বলেছেন নির্বাচন পূর্বমুহুর্তে এমপি সেলিম ওসমানের সঙ্গে কথা বলতে চান।  গত নির্বাচনে আমরা চ্যালেন্স করে জান-প্রাণ দিয়ে মহাজোটের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছি। এবারও চেষ্টা করব মহাজোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করার।  আমি এমপি সেলিম ওসমানকে সামনে রাখব আপনারা সামনে থাকবেন। আপনাদের সকল দুঃখ কষ্ট আপনারা এমপির সাথে শেয়ার করবেন। আপনারা জেনে রাখেন পীর ছাড়া যেমন মুরিদ অচল তেমনী দলের প্রধাণ ছাড়াও দল অচল।
বন্দর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি এমএ রশিদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি শফিউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির এলিন, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ভোলানাথ দাস, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল হাসান মৃধা, বন্দর থানা সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা  বন্দর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাতেম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসআই জুয়েল, মদনপুর ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সালাম, ধামগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধাণ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুর রহমান কমল, বন্দর থানা আওয়ামীলীগ নেতা ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, বন্দর ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ প্রমূখ।

সর্বশেষ সংবাদ