‘দুই নম্বর নেতার কাছে এক নম্বর নেতৃত্ব আশা করা যায়না’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

১৮ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ৫টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ ও সেক্রেটারি মুহাম্মাদ সুলতান মাহমুদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন-আত্মশুদ্ধির মিলনমেলা চরমোনাই ময়দান ডাকছে আমাদের। আগামী ২০ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাদ জোহর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাইয়ের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে ৩দিন ব্যাপী মাহফিলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে।

এবারের মাহফিলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি লঞ্চ যাবে চরমোনাইর মাহফিলে। নেতৃবৃন্দ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন- ‘মান্দার গাছ লাগিয়ে যেমন আম ফল আশা করা যায়না, তেমনি ২ নম্বর নেতার কাছে ১ নম্বর নেতৃত্ব আশা করা যায়না।’ তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর সদস্য, কর্মী, মুবাল্লিগ ও দায়িত্বশীলদের আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য মাহফিলে নিজে উপস্থিত থাকতে হবে। পাশাপাশি বন্ধু -বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি সবাইকে মাহফিলে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের দীপ্ত শপথ নিতে হবে। সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান মহানগর কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ বিল্লাল হোসাইন খান।

বন্দরে নির্যাতিত তিন নারীর পক্ষে আইনি লড়াই চালাবেন আনিসুর রহমান দিপু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ তুলে তিন নারীকে অমানসিক বর্বর নির্যাতনের পর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ১৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জে এসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ওই নির্যাতিতদের বক্তব্য শুনেন এবং বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা গ্রহন করবেন বলে জানান মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তাদের। পরে তিনি মামলা গ্রহণ করেন।

এ মামলায় বিনা ফিতে নির্যাতিত তিন নারীর পক্ষে আইনি লড়াই চালাবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু। এর আগে বন্দর থানা পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও নেন আনিসুর রহমান দিপু।

জানাগেছে, সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জে ওই ঘটনার তদন্তে আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম। পরে তারা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মিলনায়তনে পুলিশের মাধ্যমে ওই নির্যাতিন তিন নারীর মধ্যে একজনকে নিয়ে আসা হয়। তদন্তে এসেছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বানচিতা চাকমা, অভিযোগ ও তদন্ত পরিচালক আল মাহামুদ ফাইজুুল কবির এবং অভিযোগ ও তদন্ত উপ-পরিচালক গাজী সালাম।

এ ঘটনার পর বন্দর থানা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সোমবার মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় ৯ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

তবে ঘটনায় নির্যাতিত ফাতেমা বেগম কমিশনকে জানান, মুলত তিনি পাশ্ববর্তী উম্মেহানী নামে একজনের কাছে এক লাখ ২২ হাজার টাকা পাওয়া রয়েছেন। উম্মেহানীর ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর সময় ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ও তার মেয়ের বিয়ের সময় ২২ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই পাওনা টাকা দিয়ে তাদের সঙ্গে জগড়া হয়। কোন ধরনের স্ট্যাম্প ছিল না যে কারনে টাকা দিতে অস্বীকার করেন তারা। এ নিয়ে তুমুল জগড়া হয়। পরে পতিতা আখ্যায়িত করে তিন নারীকে নির্যাতন করা হয়। সঙ্গে ফাতেমার বোনের মেয়ে আসমা বেগম। তবে আরেকজন বানু বেগম রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে নির্যাতন করা হয় বলেও দাবি করেন ফাতেমা।

জানাগেছে, গত শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের দক্ষিণ কলাবাগ এলাকায় তিন নারীকে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ তুলে তাদের আটক করে অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়। যা বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্বর নির্যাতনের পর পুলিশ সংবাদ পেয়ে দুপুর সাড়ে ৩টায় দ্রুত ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়ে অতিউৎসাহি বর্বর লোকজনদের কাছ থেকে ৩ নারীকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

নির্যাতনের শিকার ওই তিন নারী হলেন- বন্দর ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাবাগ খালপার এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা বেগম(৫০), বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার বাছেদ আলীর মেয়ে আসমা বেগম (৩৫) ও বুরুন্দি এলাকার বকুল মিয়ার স্ত্রী বানু বেগম (৩০)।

বর্বর নির্যাতনকারীদের দাবি- বন্দর দক্ষিণ কলাবাগ খালপার এলাকায় মফিজ উদ্দিনের বাড়ীতে মৃত মফিজ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ বহিরাগত পতিতা দিয়ে অসামাজিক কাজ করে আসছিলেন। এলাকাবাসী একাধিকবার সাবধাণ করলেও কাউকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন এলাকার পতিতাদের নিয়ে গোপনে তার দেহ ব্যবসা অব্যাহত রাখে। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিকেল ৩টায় গোপনে উল্লেখিত নারীদের দিয়ে অসামাজিক কাজ করার সময় ফাতেমা বেগমসহ উল্লেখিত ৩ নারীকে আটক করে চুল কর্তন করে অমানসিক নির্যাতন চালায় লোকজন।

এ সময় বন্দর দক্ষিন কলাবাগসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক লোকজন ফাতেমা বেগমকে মারধর করতে থাকলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়। খবর পেয়ে বন্দর ইউপি সদস্য ইউসুফ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করে। সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার এসআই সাফিউল দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে ৩ নারীকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

তিন নারীর উপর বর্বরতা, তদন্তে মানবাধিকার কমিশন, মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ তুলে তিন নারীকে অমানসিক বর্বর নির্যাতনের পর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ১৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জে এসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ওই নির্যাতিতদের বক্তব্য শুনেন এবং বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা গ্রহন করবেন বলে জানান মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তাদের।

জানাগেছে, সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জে ওই ঘটনার তদন্তে আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম। পরে তারা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মিলনায়তনে পুলিশের মাধ্যমে ওই নির্যাতিন তিন নারীর মধ্যে একজনকে নিয়ে আসা হয়। তদন্তে এসেছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বানচিতা চাকমা, অভিযোগ ও তদন্ত পরিচালক আল মাহামুদ ফাইজুুল কবির এবং অভিযোগ ও তদন্ত উপ-পরিচালক গাজী সালাম।

এ ঘটনার পর বন্দর থানা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সোমবার মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় ৯ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় বিনা ফিতে আইনি লড়াই চালাবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু।

তবে ঘটনায় নির্যাতিত ফাতেমা বেগম কমিশনকে জানান, মুলত তিনি পাশ্ববর্তী উম্মেহানী নামে একজনের কাছে এক লাখ ২২ হাজার টাকা পাওয়া রয়েছেন। উম্মেহানীর ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর সময় ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ও তার মেয়ের বিয়ের সময় ২২ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই পাওনা টাকা দিয়ে তাদের সঙ্গে জগড়া হয়। কোন ধরনের স্ট্যাম্প ছিল না যে কারনে টাকা দিতে অস্বীকার করেন তারা। এ নিয়ে তুমুল জগড়া হয়। পরে পতিতা আখ্যায়িত করে তিন নারীকে নির্যাতন করা হয়। সঙ্গে ফাতেমার বোনের মেয়ে আসমা বেগম। তবে আরেকজন বানু বেগম রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে নির্যাতন করা হয় বলেও দাবি করেন ফাতেমা।

জানাগেছে, গত শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের দক্ষিণ কলাবাগ এলাকায় তিন নারীকে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ তুলে তাদের আটক করে অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়। যা বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্বর নির্যাতনের পর পুলিশ সংবাদ পেয়ে দুপুর সাড়ে ৩টায় দ্রুত ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়ে অতিউৎসাহি বর্বর লোকজনদের কাছ থেকে ৩ নারীকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

নির্যাতনের শিকার ওই তিন নারী হলেন- বন্দর ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাবাগ খালপার এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা বেগম(৫০), বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার বাছেদ আলীর মেয়ে আসমা বেগম (৩৫) ও বুরুন্দি এলাকার বকুল মিয়ার স্ত্রী বানু বেগম (৩০)।

বর্বর নির্যাতনকারীদের দাবি- বন্দর দক্ষিণ কলাবাগ খালপার এলাকায় মফিজ উদ্দিনের বাড়ীতে মৃত মফিজ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ বহিরাগত পতিতা দিয়ে অসামাজিক কাজ করে আসছিলেন। এলাকাবাসী একাধিকবার সাবধাণ করলেও কাউকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন এলাকার পতিতাদের নিয়ে গোপনে তার দেহ ব্যবসা অব্যাহত রাখে। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিকেল ৩টায় গোপনে উল্লেখিত নারীদের দিয়ে অসামাজিক কাজ করার সময় ফাতেমা বেগমসহ উল্লেখিত ৩ নারীকে আটক করে চুল কর্তন করে অমানসিক নির্যাতন চালায় লোকজন।

এ সময় বন্দর দক্ষিন কলাবাগসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক লোকজন ফাতেমা বেগমকে মারধর করতে থাকলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়। খবর পেয়ে বন্দর ইউপি সদস্য ইউসুফ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করে। সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার এসআই সাফিউল দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে ৩ নারীকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

রূপগঞ্জে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপন ভূঁইয়া

সান নারায়ণঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হলেও নির্বাচনী মাঠ গুছিয়ে নিচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন রূপগঞ্জের মানুষের মাঝে। বৃদ্ধ নারী পুরুষ যুবক সহ সকলের মাঝে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া।

জানাগেছে, প্রতিটি এলাকায় তিনি হাট ঘাট মাঠে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। অন্যান্য প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় সবার আগে স্বপন ভূ্ইঁয়ার জোড়ালো প্রচারণা। তার জন্য মাঠে নেমেছেন নেতাকর্মীরাও। কাজ করছেন এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিরাও। একজন সাদা মনের সহজ সরল আইনজীবী নেতা এবার রূপগঞ্জবাসীর সেবার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি এলাকায় তিনি প্রতিদিন গণসংযোগ করছেন। ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় নেতাকর্মী ও মান্যগণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে করছেন মত বিনিময় সভা। তরুণ ও যুবক ছাত্র সমাজের মাঝেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন জড়িত থাকলেও তার ইমেজ ভাল থাকায় মানুষ তাকে সহজেই গ্রহণ করছেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়ার পক্ষে প্রতিদিন কাজ করছেন আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি খোকন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল সরকার, মুড়াপাড়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের নেতা আরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল মিয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল ভূঁইয়া, তারাবো কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক রনী, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন কমিটির সহ-সভাপতি মহিউদ্দীন, আক্তার হোসেন, চনপাড়া শেখ রাসেল ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সাগর, সাধারণ সম্পাদক জলিল, কাঞ্চন পৌরসভা কমিটির সভাপতি কালাম, সাধারণ সম্পাদক মতিন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, দাউদপুর ইউনিয়ন কমিটি নেতারা সহ প্রতিটি ই্উনিয়ন ও পৌরসভার নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন।

গত বৃহস্পতিবার থেকে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে আসছেন অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া। ইতিমধ্যে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন, কাঞ্চন পৌরসভা, তাবারো পৌরসভা এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তার বাবা ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর মানুষের সেবা করেছেন। আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান স্বপন ভূঁইয়াও চান তার বাবার মত মানুষের সেবক হতে। নিজেকে রূপগঞ্জবাসীর সেবায় নিয়োজিত রাখতেই মানুষের কাছে দৌড়ে যাচ্ছেন। যে কারনে মানুষের কাছে আলোচিত হয়ে ওঠেছেন তিনি।

স্থানীয়রা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের তিন বারের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক) এর একনিষ্ঠ বিশ্বস্ত কর্মী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। এক টানা তিনবার গাজী এমপি হলেও স্বপন ভুইয়া কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়াননি। যে কারনে এমপি গাজীর সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমাজের কাছে ভদ্র সহজ সরল এই আইনজীবী নেতা। বর্তমানে গাজী গোলাম দস্তগীর পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে স্বপন ভূঁইয়া সরকারের হাজারো উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরছেন। একই সঙ্গে গাজী গোলাম দস্তগীর যে সব উন্নয়ন করছেন তাও তুলে ধরছেন। এতে মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তিনি।

দিনব্যাপী নাটকীয়তার পর কাউন্সিলর কবির ও মুন্না গ্রুপের ২২ জনের জামিন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দিনব্যাপী নানা নাটকীয়তার পর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের ২২ নেতাকর্মী আপোষ শর্তে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। তারা সবাই নারায়ণগঞ্জের এমপি একেএম শামীম ওসমানের বলয়ে রাজনীতি করেন। দুই গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি ও সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না এবং অপর গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ নেতাকবির হোসাইন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় দক্ষিণ নলুয়া জামে মসজিদ কমিটি ও মসজিদের জমাকৃত টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে দফায় দফায় কাউন্সিলর কবির হোসাইন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এ ঘটনায় বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসাইন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নাসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা আপোষ মীমাংসার শর্তে জামিনের আবেদন করলে আদালত আসামিদের সকলকে জামিন দেন।

এর আগে রবিবার গভীর রাতে সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রুপের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের উপর হামলা চালায়। এতে রক্তাক্ত জখম সহ অন্তত ২০/২৫ জন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী আহত হন। সংঘর্ষের পর কাউন্সিলর কবির হোসাইন ও কামরুল হাসান মুন্নার পক্ষে বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়। এর আগেই ঘটনাস্থল থেকে দুই গ্রুপের ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে সকাল ৮টার দিকেই আসামীদের আদালতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। দুপুর দুটায় আদালতে দুই গ্রুপের লোকজন আপোষনামা দাখিল করলে আদালতে শুনানি অনুষ্টিত হয়। শুনানি শেষে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পর আদালত দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের আপোষ শর্তে রিমান্ড না মঞ্জুুর ও জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কামরুল হাসান মুন্নার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া যিনি আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি।

মামলা সূত্রে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ সোমবার ভোরে নিতাইগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

স্থানীয়রা বলছেন, শহরের দক্ষিণ নলুয়া জামে মসজিদ কমিটি নিয়ে অনেকদিন থেকেই বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসাইন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম মুন্নার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। কামরুল হাসান মুন্না দীর্ঘ ৬ বছর ধরে একক ক্ষমতায় স্বঘোষিত সভাপতি হয়ে মসজিদের নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

মুন্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ- মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব একাধিকবার এলাকাবাসী ও মুসল্লিদের সাথে কথা দিয়েও বুঝিয়ে দেননি মুন্না। এ নিয়ে কাউন্সিলর কবির ও মুন্নার লোকজন ফুঁসে উঠে। রবিবার রাতে মসজিদে এ নিয়ে বৈঠকও বসেন মসজিদ কমিটির লোকজন। বৈঠকে পক্ষে বিপক্ষে তর্ক সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে রাতেই এর জের ধরেই এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

কবির হোসাইনের লোকজনদের অভিযোগ- নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমানের দেয়া অনুদানের টাকা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিলো। এমপি কত টাকা অনুদান দিয়েছেন তা এলাকাবাসীর কাছে স্পষ্ট করেননি শ্রমিকলীগ নেতা কামরুল হাসান মুন্না।

মাদক বিক্রেতা, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যূদের বিরুদ্ধে কঠোর নারায়ণগঞ্জের এসপি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে মাদক বিক্রেতা, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যূদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। সেই সঙ্গে তিনি এসব অপরাধীদের বিষয়ে কারো কোন তদবির শুনবেন না বলেও কঠোরভাবে জানিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে তিনি যোগদানের পর অপরাধীদের আস্তানায় নিয়মিত কঠোর অভিযান দিয়ে আসছেন। ইতিমধ্যে কয়েকশ মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তারও করেছেন। এক দিনেই ৪১ জন জুয়ারীকেও গ্রেপ্তার করেছেন। সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ নেতা কবির হোসাইন ও সাবেক কাউন্সিলর মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এই দুই নেতা সহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতেও পাঠিয়েছেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার রবিবার রাতে মিডিয়াতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিবৃতি দেন। যেখানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যূ কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। কারও তদবিরেই অভিযুক্ত কাউকে ছাড়া হবেনা।

এসপি আরও বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। এখানকার অধিকাংশ মানুষই শান্তিপ্রিয়। কতিপয় চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু আর মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে এ জেলার শান্তিপ্রিয় মানুষ জিম্মি হতে পারেনা। আমি পুলিশের সবাইকে নির্দেশ দিয়েছি, যেখানেই অপরাধীদের পাওয়া যাবে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে। অপরাধীদের খুঁটি যতই শক্তিশালী হোক না কেন আমি এ জেলায় যতদিন আছি তার শিকড় উপড়ে ফেলবো।

অপরাধীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পরপরই একটি মহল তৎপর হয়ে ওঠে। আগামীতে যতই তৎপরতাই তাঁরা চালুক না কেন কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা।

তৈমূর আলমের ভাই সাব্বির হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের আপন ছোট ভাই ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকারের হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের আরেক ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তিন বারের কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার। দীর্ঘ ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এই হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি।

১৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার ছিল সাব্বির আলম খন্দকারের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় তিনি সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী আন্দোলনে কঠোর অবস্থানে ছিলেন। বাংলাদেশ নীট ম্যানুফ্যাক্চারাস এন্ড এক্সপোর্টারস এসোশিয়েসনের সহ-সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক, নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষা ও ক্রীড়ানুরাগী ছিলেন সাব্বির আলম খন্দকার।

সোমবার সকাল ১০টায নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে সাব্বির আলম খন্দকারের হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার এবং নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করতে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষণার দাবি করা হয়। এর আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের শোক র‌্যালী কর্মসূচি পালন করেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।

পরে মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, নারায়ণঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সী শামছুর রহমান বেনু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজউদ্দিন মন্তু, আইনজীবী ফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভুইয়া, অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দীন সরকার, অ্যাডভোকেট শিপলু, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন, মহানগর শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন প্রমুখ।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার বলেন, ‘আমার ভাইকে কোন ব্যক্তিগত কারণে হত্যা করা হয়নি। শুধু মাত্র সমাজসেবায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাই আইনশৃঙ্খলার মিটিংয়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজীদের নাম উল্লেখ্য করে এবং তারা কে কত টাকা পায় এসব বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজও আমার ভাইয়ের হত্যা বিচার পাইনি। শুধুমাত্র টাকার কাছে হেরে গেছি। হত্যাকারীরা টাকা দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ চার্জশীট করিয়েছে। তাই আজও বিচার পাইনি। খুনিরা আবারো ঢাকায় ফিরে আমাদের খুন করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি ১৮ই ফেব্রুয়ারীকে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষণার দাবী করেন।

এছাড়াও ১৮ ফেব্রুয়ারীকে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষণার দাবী করে অন্যান্য বক্তারা বলেন, আজ যেই মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্বে সরকার সহ দেশবাসী কথা বলছে, সেই মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শহীদ শাব্বির আলম খন্দকার নব্বইয়ের দশক থেকেই সোচ্চার ছিলেন। তিনি মাঠ পর্যায়ে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় মাদক ও সন্ত্রাসের গডফাদারদের চক্ষুসূলে পরিনত হন। সমাজের ও দেশের চিন্তা করেই একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়েও অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েও তার হত্যার বিচার পাইনি তার পরিবার।

প্রয়াত সাব্বির আলম খন্দকারের ১৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার এবং নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার দাবীতে সোমবার ১৮ ফেব্র্রুয়ারী ১০টায় শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত উক্ত শোকর‌্যালীতে দল-মত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে শতশত নারায়ণগঞ্জবাসী যোগ দেয়। শোক র‌্যালী নিয়ে মাসদাইর পৌর কবরাস্থানে গিয়ে শহীদের কবর জেয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, নিহতের পরিবারের দাবি ২০০২ সালের ২২শে অক্টোবর নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস, চাঁদা ও মাদক মুক্ত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসে অনুষ্ঠিত জেলার ৩২টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সেনাবাহিনীর মতবিনিময় সভায় শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার ”আমার জানাযায় অংশ গ্রহণ করার আহবান জানিয়ে বক্তব্য শুরু করছি“ বলে নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নাম, ঠিকানা ও তাদের গডফাদারদের নাম প্রকাশ করেন এবং সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে নারায়ণগঞ্জবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেন। তখন শহীদ সাব্বিরের ব্যাপক তৎপরতায় ঝুট সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, চুন ফ্যাক্টরী ও নারায়ণগঞ্জ বাসী নিস্তার লাভ করে।

চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা কোনঠাসা হয়ে পরলে তাদের গডফাদারদের ষড়যন্ত্রে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা প্রাতঃকালীন ভ্রমনকালে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারকে গুলি করে হত্যা করে। তৎসময়ে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা দায়ের থেকে শুরু করে তদন্ত সহ সকল ক্ষেত্রে অবৈধ হস্তক্ষেপ করে। ফলে দীর্ঘ ১৪ বছরেও একটি গ্রহণ যোগ্য চার্জশীট প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি বলে নিহতের পরিবারের দাবি।

প্রশাসন নিয়ে শামীম ওসমানের সমালোচনায় নানা প্রশ্ন!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত দুইদিন যাবত নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান প্রশাসনকে নিয়ে বক্তব্য রাখছেন। তাতে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে আসলে শামীম ওসমানের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের কি তাহলে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে কিনা। শনিবার শামীম ওসমান বলছেন যদি কেউ মনে করেন আওয়ামীলীগকে তারা ক্ষমতায় এনেছে তাহলে নারায়ণগঞ্জে অন্তত ভুল সেটা। আবার রবিবার বলেছেন প্রশাসনের কেউ কেউ জনপ্রতিনিধিদের চেয়েও বেশি পাওয়ারফুল মনে করে। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রশাসনের অনেকেই এখন নিজেদেরকে জনপ্রতিনিধিদের চেয়েও অনেক বেশি পাওয়ারফুল পার্সন মনে করছেন। শামীম ওসমানের এমন বক্তব্যে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তাহলে প্রশাসন জনপ্রতিনিধিদের চেয়েও কি কোন কারনে বেশি পাওয়ার দেখিয়েছে কিনা। আবার শামীম ওসমানের এসব বক্তব্যের কারন কি হতে পারে।

১৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এমন একটি মন্তব্য করেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুন উর রশিদ যোগদানের পর নারায়ণগঞ্জ শহরের হকার উচ্ছেদ করে দেন। এই হকার উচ্ছেদের পক্ষে ছিলেন মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী এবং হকারদের পক্ষে ছিলেন শামীম ওসমান। এছাড়াও ফতুল্লায় কুতুবপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মীর হোসেন মীরুকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই মীরু শামীম ওসমানের কর্মী হিসেবে পরিচিত। এদিকে নারায়ণগঞ্জে ৪১ জুয়ারীকে একটি জুয়ার স্পট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই জুয়ার আসরটি স্থানীয় এমপিদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছেও বলে অভিযোগ রয়েছে।

আগের দিন শনিবার ফতুল্লায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা সভায় শামীম ওসমান বলেছিলেন, ‘যদি কেউ মনে করেন, শেখ হাসিনার সরকারকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছি, তাহলে তাদের বলবো, আপনারা এই কথা মনে কইরেন না। অন্তত নারায়ণগঞ্জে যেন এই কথা কেউ মনে না করেন। নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের রাজপথে দখলে রাখার ক্ষমতা পূর্বেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা কারোর উপর ভরসা করে আওয়ামীলীগ করিনা। আমরা কেবল শেখ হাসিনার নির্দেশেই চলি।’ অনেকেই বলছেন বর্তমান পুলিশ সুপারের সঙ্গে শামীম ওসমানের হৃদ্যতাপূর্ন সম্পর্ক নেই।

রবিবার প্রশাসনের সমালোচনা করে এমপি শামীম ওসমান বলেন, প্রশাসন এখন মনে করছে তারা জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে অনেক উপরে উঠে গেছেন। তাই ছাত্র সমাজ চুপ থাকার কারনে আজ দেশে শিক্ষকদের উপর নির্যাতন হচ্ছে, ছাত্রীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাজাকার আল বদররা দেশকে ধমক দেয়।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, প্রশাসনের দায়িত্ব আছে। তবে প্রশাসন তোমাদের মালিক না। তোমার ট্যাক্সের টাকায় প্রশাসন লালিত পালিত হয়। তবে সমস্যা হয়ে গেছে, প্রশাসনের অনেকেই এখন মনে করে তারা জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে অনেক পাওয়ারফুল পার্সন। তাই আমি চাই দেশের পক্ষে কথা বলার জন্য কিছু যোগ্য নাগরিক সৃষ্টি হোক। তোমরা নিজেদেরকে যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে দেশের দায়িত্ব নাও। এছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ছাত্রসমাজের প্রতি জোর আহবান রাখেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার সময় শেষ হয়ে আসছে। প্রতিবাদ করার লোক আমি নারায়ণগঞ্জে পাচ্ছিনা। তাই সকল অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে তোমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। তোমাদের অধিকার তোমাদেরকেই আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে হবে।

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি বিশ্বাস করি সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্ররা যদি রাস্তায় নামে তাহলে নারায়ণগঞ্জে মাদক, ইভটিজিং, ধর্ষণ, চাঁদাবাদি কোন কিছুই থাকবেনা। তোমরা যদি চাও নারায়ণগঞ্জে কোন অন্যায়, অবিচার, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি হবেনা, তাহলে হবেনা। তবে তোমাদেরকে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আমার ছাত্রসমাজ কোথায়? তোমরা ঘুমিয়ে গেছো? তোমরা ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছ? আমার লজ্জা লাগে। তোমরা বেরিয়ে আসো। প্রতিবাদ করতে শেখো।

সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ বেলা রাণী সিংহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-উপাধ্যাক্ষ আমিনুল ইসলাম, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ মোদক। অনুষ্ঠানে শেষে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

প্রয়াত নজরুলের স্মরণ সভায় সাখাওয়াত: বিএনপি সাচ্চা সৈনিক হারালো

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে স্মরণ করে দোয়া মাহফিল করেছে শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা। এ স্মরণ সভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নজরুল ইসলামকে স্মরণ করে বলেছেন, বিএনপির এমন দুঃসময়ে নজরুল ইসলামের মত সাচ্চা সৈনিক হারালো বিএনপি। ১৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধায় বন্দর থানা শ্রমিকদলের উদ্যোগে বন্দরের ফরাজিকান্দা এলাকায় প্রয়াত নজরুল ইসলামের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বন্দর থানা শ্রমিকদলের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, বন্দর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসাসের আহ্বায়ক স্বপন চৌধুরী, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দীন শিশির, যুবদল নেতা স্বপন চৌধুরী, বন্দর থানা শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন শাহ, বিএনপি নেতা ওবায়দুল হক, হাফিজউদ্দীন, আল আমিন, নজরুল ইসলাম সহ অন্যান্য বিএনপি ও শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা।

জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন নজরুল ইসলাম (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে, স্ত্রী সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদে তার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লাশ দেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে।

আরও জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজ বাসভবন বাবুরাইল এলাকায় বুকে ব্যর্থ্যা অনুুভব করেন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিলে যাওয়ার পথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও পরবর্তীতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সৈরাচারী আন্দোলনেও তিনি ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।

প্রশাসনের অনেকেই জনপ্রতিনিধিদের চেয়েও বেশি শক্তিধর মনে করছে: শামীম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বর্তমানে প্রশাসনের অনেকেই এখন নিজেদেরকে জনপ্রতিনিধিদের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিধর (পাওয়ারফুল) পার্সন মনে করছেন বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। ১৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শামীম ওসমান প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেন, প্রশাসন এখন মনে করছে তারা জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে অনেক উপরে উঠে গেছেন। তাই ছাত্র সমাজ চুপ থাকার কারনে আজ দেশে শিক্ষকদের উপর নির্যাতন হচ্ছে, ছাত্রীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাজাকার আল বদররা দেশকে ধমক দেয়।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, প্রশাসনের দায়িত্ব আছে। তবে প্রশাসন তোমাদের মালিক না। তোমার ট্যাক্সের টাকায় প্রশাসন লালিত পালিত হয়। তবে সমস্যা হয়ে গেছে, প্রশাসনের অনেকেই এখন মনে করে তারা জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে অনেক পাওয়ারফুল পার্সন। তাই আমি চাই দেশের পক্ষে কথা বলার জন্য কিছু যোগ্য নাগরিক সৃষ্টি হোক। তোমরা নিজেদেরকে যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে দেশের দায়িত্ব নাও। এছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ছাত্রসমাজের প্রতি জোর আহবান রাখেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার সময় শেষ হয়ে আসছে। প্রতিবাদ করার লোক আমি নারায়ণগঞ্জে পাচ্ছিনা। তাই সকল অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে তোমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। তোমাদের অধিকার তোমাদেরকেই আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে হবে।

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি বিশ্বাস করি সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্ররা যদি রাস্তায় নামে তাহলে নারায়ণগঞ্জে মাদক, ইভটিজিং, ধর্ষণ, চাঁদাবাদি কোন কিছুই থাকবেনা। তোমরা যদি চাও নারায়ণগঞ্জে কোন অন্যায়, অবিচার, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি হবেনা, তাহলে হবেনা। তবে তোমাদেরকে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আমার ছাত্রসমাজ কোথায়? তোমরা ঘুমিয়ে গেছো? তোমরা ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছ? আমার লজ্জা লাগে। তোমরা বেরিয়ে আসো। প্রতিবাদ করতে শেখো।

সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ বেলা রাণী সিংহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-উপাধ্যাক্ষ আমিনুল ইসলাম, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ মোদক। অনুষ্ঠানে শেষে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

সর্বশেষ সংবাদ