বন্দরে রাস্তা দখলমুক্ত করলো সিটি কর্পোরেশন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বন্দরের ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্র্ডে রাস্তার দু’পাশের ফুটপাতে থাকা অবৈধ দখলধারীদের উচ্ছেদ করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। ১৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল থেকেই ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ টি হোসেন রোড থেকে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

পরে পর্যায়ক্রমে বন্দরের নবীগঞ্জ বাজার, কামালউদ্দিন মোড়, বাসষ্ট্যান্ড, কদমরসুুল এলাকায় রাস্তার দু’পাশের ফুটপাত দখল করে ইট বালু ও নির্মাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বুলডোজারের সাহায্যে অপসারণ ও জব্দ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটিকর্পোরেশনের স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আলমগীর হীরণের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়য়ের পিএস আবুল হোসেন, কনজারভেশন ইন্সপেক্টর রাশেদুল ইসলাম, সুপার ভাইজার মোখলেছুর রহমান ও আনিছুর রহমান।

বন্দরে অসুস্থ্য সাংস্কৃতিক কর্মীর শয্যাপাশে সহকর্মীরা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৮০ দশকের তুখোড় চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেতা প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত প্রবীণ চলচিত্র ও মোঃ শহিদুল্লাহর পাশে দাড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জের সম্মিলিত নাট্যকর্মী জোট। ১৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ১২টায় বন্দরের ফরাজীকান্দা এলাকায় শহিদুল্লাহর নিজ বাস ভবনে গিয়ে নাট্যাঙ্গনের সদস্যরা তাকে দেখতে যান।

নারায়ণগঞ্জ সম্মিলিত নাট্যকর্মী জোটের সদস্য সচিব এমআর হায়দার রানার নেতৃত্বে এসময় অসুস্থ্য শহিদুল্লাহর চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়। অনুদান প্রদানকালে এমআর হায়দার রানা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সম্মলিত নাট্যকর্মী জোটের যুগ্ম সদস্য সচিব শফিউদ্দিন আলম রেজা, আবু হানিফা মাসুম, সদস্য সামসুর রহমান ফালান, সেলিম খন্দকার খোকা, বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু, সহ-সভাপতি মোঃ ওবায়েদুল্লাহ, কার্যকরি সদস্য মিতু মোর্শেদ, রইস মুকুল, নাট্য ব্যক্তিত্ব আনোয়ারুল হক, অগ্রবাণী প্রতিদিন পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক শাহরিয়ার প্রধান ইমন ও আলমগীর হোসেন প্রমূখ।

রাজনীতিতে শুরু থেকে শেষ বিএনপির সাবেক চার এমপি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে বিদায় বেলায় বিএনপির সাবেক চার এমপি। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই চার এমপির কেউই দলীয় প্রতীক ধানের শীষ পাননি। চার জনের মধ্যে আবার তিনজনই ১/১১ এর সময় বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে দল ভাঙ্গার ষড়ন্ত্রকারী সংস্কারবাদী হিসেবে পরিচিত। রাজনীতিতে তাদের সেই প্রভাবের রেসটুকুও নেই। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির রাজপথের আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েন এই চার এমপি। কালেভদ্রে বিএনপির ঠান্ডা কর্মসূচিতে দেখা গেলেও দলের কঠোর আন্দোলন সংগ্রামে তাদের ছায়াও পড়েনি। কেবল নির্বাচন আসলেই তারা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে লবিং করে আলোচনায় আসতেন। কিন্তু এবার সেই চার এমপির রাজনীতিতে বিদায় ঘন্টা। বয়সের ভারেও নুব্জ হয়ে পড়েছেন। কর্মী সমর্থকদের আগ্রহও নেই এই চার এমপিকে নিয়ে।

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে তিন বারের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুুল কালাম। তিনি যদিও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতির পদে রয়েছেন। গত নির্বাচনে এখানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনয়ন পান নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি এসএম আকরাম। ফলে মনোনয়ন বঞ্চিত হন আবুল কালাম। যদিও প্রাথমিক মনোনয়ন বাছাইয়ে ছিলেন আবুল কালাম। ১/১১ এর সময় তিনি সংস্কারবাদীদের সঙ্গে ছিলেন। তারপরও তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে পরাজিত হন। তিনি শারীরিকভাবেও অসুস্থ। বর্তমানে তিনি দেশের বাহিরে চিকিৎসার জন্য রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনেরও একই অবস্থা। ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপিতে এসেই নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন আগে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৮ সালে কারাগারে থাকায় মনোনয়ন পাননি। এরপর এবারের নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন পাননি। এ আসনে ২০০৮ সালে মনোনয়ন শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম ও এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন পান জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। বিএনপির রাজনীতিতে তিনিও নিষ্ক্রিয়। আগের সেই প্রভাবও নেই তার। তারও যথেষ্ট বয়স হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে বেশকবার এমপি হয়েছিলেন রেজাউল করিম। হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীও। তিনিও ছিলেন সংস্কারবাদী। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই জোড়ালো বিরোধীতা করেছিলেন রেজাউল করিম। তারপরও ২০০৮ সালে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে পরাজিত হন। এবারের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। এ আসনে মনোনয়ন পান এবার কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে রেজাউল করিমের আগের সেই অবস্থান নেই। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসা পর দলের সক্রিয় কর্মসূচিতেও ছিলেন না তিনি। শারীরিকভাবেও এখন ফিট নন। ফলে তারও রাজনীতিতে বিদায় বেলা।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের সাবেক তিন বারের এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর। তিনিও সংস্কারবাদী নেতা। আওয়ামীলীগ থেকে এসেই বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছিলেন তার বড় ভাই প্রয়াত নেতা এএম বদরুজ্জামান খান আঙ্গুুরের ফলে। ২০০৮ সালে আতাউর রহমান খান আঙ্গুর মনোনয়ন পাননি। ওই নির্বাচনে মনোনয়ন পান এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ। বর্তমানে আড়াইহাজারের রাজনীতিতে আঙ্গুরের আগের সেই প্রভাব নেই। দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন না আঙ্গুর। যার ফলে রাজনীতিতে তারও বিদায় বেলা। বয়সও হয়েছে তার যথেষ্ট। ফলে আগামী ৫ বছর পর নির্বাচনের যথেষ্ট শারীরিক সক্ষমতা ও রাজনীতিতে প্রভাব থাকবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কাই রয়েছে বেশ।

নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইলে ইসলামী মহাসম্মেলন ও ওয়াজ মাহফিল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ শহরের ১নং বাবুুরাইল এলাকায় ইসলামী মহাসম্মেলন ও ওয়াজ মাহিফল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার মাদরাসা নূরে মদিনার উদ্যোগে ২য় বার্ষিক ইসলামী মহাসমেমলন অনুষ্ঠিত হয়। ১নং বাবুরাইল শেষ মাথা ফুলবাগ জামে মসজিদ সংলগ্ন বালুর মাঠে ওইদিন বাদ জোহর হতে গভীর রাত পর্যন্ত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা কারী আমানউল্লাহ সিদ্দিকী, বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হাফেজ মাওলানা আশরাফুল আলম শেরপুরী, মাওলানা নাজমুল হক মানিকগঞ্জ, মুফতি শরিফুল ইসলাম আশরাফী কাশিপুর, মুফতি রফিক আহমেদ ইমাম ও খতিব ফুলবাগ জামে মসজিদ।

প্রধান অতিথি আবুল কালাম মুন্সী, সম্মানিত সদস্য বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক অত্র মাদরাসার সভাপতি সোহেল মাহামুদ। উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদরাসার পরিচালক কারী মুহাম্মদ দোলায়ার হোসাইন খান, আখিরী মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি শিববির আহমেদ (দাঃবা), অএ মাদরাসার পধান মুরববী মুহাদিস দেওভোগ মাদরাসা এবং আরও উপস্থিত ছিলেন মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক সহ এলাকার যুবক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সুযোগ না দেয়ায় বন্দরের তিন নারীর উপর বর্বরতা, চুল কর্তন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

পতিতাবৃত্তির অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তিন নারীর চুল কর্তন করে দিয়েছে এলাকার বর্বর পাষন্ড লোকজন। মুলত যেসব লোকজনদের সুযোগ করে দেয়নি সেইসব লোকজন ওই তিন নারীর উপর অমানসিক জাহিলিয়া যুগের ন্যায় বর্বরতা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। কিন্তু এ বিষয়ে বর্বরতা চালানো লোকজনদের কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুুলিশ।

স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন ওই তিন নারীর উপর অনেক লম্পটদের কুনজর ছিল। যারা সুযোগ পায়নি ওই সব লম্পট লোকজনই ওই তিন নারীর উপর নির্যাতন চালায় কিছু অতিউৎসাহি লোকজনদের নিয়ে। কেউ কেউ বলছেন ওই নারী পতিতাবৃত্তি করছিলেন এবং সেই সুযোগটা কেউ কেউ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন মুলত সেই কারনেই ওই নারীকে নির্যাতন করা হয়। সচেতন মানুষের দাবি- ওই তিন নারী পতিতাবৃত্তি করলেও তাদের আইনের আওতায় আনা যেতো কিন্তু এভাবে অমানসিক নির্যাতন আইনত সঠিক হয়নি। যা বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। যারা এটা করেছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা উচিত। কারন যারা এমন বর্বর নির্যাতন ওই তিন নারীর উপর চালিয়েছে তাদেরকেও যদি ওই তিন নারী বিছানায় ডাকতো তাহলে তারাও তিন নারীর বিছানায় দৌড়ে যেতো। মুুলত সুযোগ না দেয়ার কারনেই তিন নারীর উপর এমন নির্যাতন করা হয়েছে যা হিংসাত্মক।

জানাগেছে, শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের দক্ষিণ কলাবাগ এলাকায় তিন নারীকে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ তুলে তাদের আটক করে অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়। যা বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্বর নির্যাতনের পর পুলিশ সংবাদ পেয়ে দুপুর সাড়ে ৩টায় দ্রুত ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়ে অতিউৎসাহি বর্বর লোকজনদের কাছ থেকে ৩ নারীকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

নির্যাতনের শিকার ওই তিন নারী হলেন- বন্দর ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাবাগ খালপার এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা বেগম(৫০), বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার বাছেদ আলীর মেয়ে আসমা বেগম (৩৫) ও বুরুন্দি এলাকার বকুল মিয়ার স্ত্রী বানু বেগম (৩০)।

বর্বর নির্যাতনকারীদের দাবি- বন্দর দক্ষিণ কলাবাগ খালপার এলাকায় মফিজ উদ্দিনের বাড়ীতে মৃত মফিজ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ বহিরাগত পতিতা দিয়ে অসামাজিক কাজ করে আসছিলেন। এলাকাবাসী একাধিকবার সাবধাণ করলেও কাউকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন এলাকার পতিতাদের নিয়ে গোপনে তার দেহ ব্যবসা অব্যাহত রাখে। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিকেল ৩টায় গোপনে উল্লেখিত নারীদের দিয়ে অসামাজিক কাজ করার সময় ফাতেমা বেগমসহ উল্লেখিত ৩ নারীকে আটক করে চুল কর্তন করে অমানসিক নির্যাতন চালায় লোকজন।

এ সময় বন্দর দক্ষিন কলাবাগসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক লোকজন ফাতেমা বেগমকে মারধর করতে থাকলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়। খবর পেয়ে বন্দর ইউপি সদস্য ইউসুফ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করে। সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার এসআই সাফিউল দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে ৩ নারীকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার এসআই সাফিউল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ৩ নারীকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শামীম ওসমানের কঠোর হুশিয়ারী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টফোর ডটকম:

এবার নিজ দলের নেতাকর্মীদের কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান। কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে শামীম ওসমান বলেছেন, দলের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দল সৃষ্টিকারীদের কোন ছাড় দেবো না। তিনি বলেন, ‘অন্য দিক দিয়া লাইন কইরা কেউ নেতা হইতে চাইলে পারবেন না। এই হাতের ফাঁক দিয়ে বের হইয়া কেউ নেতা হইতে পারবেন না। একসাথে চলবো, একসাথে বাচবো, একসাথে মরবো।

১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার ফতুল্লায় নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচন পরবর্তী এক মতবিনিময় সভায় তিনি নেতাকর্মীদের এমন হুশিয়ারী দেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘কিছু কিছু লোক চেষ্টা করবে দ্বন্দ সৃষ্টি করার জন্য। অভিযোগ থাকলে আমাকে বলবেন। অভ্যন্তরীন দ্বন্দ কেউ করবেন না। দলের সমস্যা দলের সিনিয়র নেতারাই সমাধান করবে, বাইরের কেউ এসে সমাধান করবে না।’

তিনি অন্য এক প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি কেউ মনে করেন, শেখ হাসিনার সরকারকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছি, তাহলে তাদের বলবো, আপনারা এই কথা মনে কইরেন না। অন্তত নারায়ণগঞ্জে যেন এই কথা কেউ মনে না করেন। নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের রাজপথে দখলে রাখার ক্ষমতা পূর্বেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা কারোর উপর ভরসা করে আওয়ামীলীগ করিনা। আমরা কেবল শেখ হাসিনার নির্দেশেই চলি।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিটা ঘরে ঘরে আবার যাবো। আমরা পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নম্বরের তালিকা জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে দিয়ে আসবো। যাতে কেউ আশেপাশে কোন দুর্নীতি দেখলে তারা প্রশাসনকে দ্রুত জানাতে পারে।’

শামীম ওসমানকে মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়েছিল দাবি করেন তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ সাহেবের সামনেই আমাকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়েছিল কিন্তু আমি নেই নাই। কেননা যে মন্ত্রিসভার প্রধান শেখ হাসিনা সেখানে মন্ত্রী হবার মতো উপযুক্ততা আমার মতো নেতার হয় নাই। আমি দূরে যেতে চাইনা। আমি আমার নারায়ণগঞ্জেই থাকতে চাই। চাওয়া-পাওয়ার আশা করি না। তাই আমি কাউকে ট্যাক্স টোকেন দিয়ে রাজনীতি করবো না।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘দিনের বেলায় বিএনপি আর রাতের বেলায় জামাত করে না তারাই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগে থাকবে। এইবার আমার শেষ টাইম আগেই বলছি। তাই অরিজিনাল আওয়ামীলীগের হাতেই দায়িত্ব দিয়ে বিদায় নেবো, তার আগে না।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, জেলা আদালতের পিপি ও আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, নাসিক কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু ভূইয়া, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিমউদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, শেখ সাফায়েত আলম সানি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জে ড. ওয়াজেদ মিয়ার ৭৮তম জন্মদিন পালনে শেখ রাসেল শিশু সংসদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত পরমানু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৮তম জন্মদিন পালন করেছে শেখ রাসেল শিশু সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া শেখ রাসেল শিশু সংসদের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন।

১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধায় নারায়ণগঞ্জ কালিরবাজার এলাকায় জেলা শাখার সভাপতির কার্যালয়ে কেক কেটে ও দোয়ার মাধ্যমে তার জন্মদিন পালন করা হয়।

শেখ রাসেল শিশু সংসদের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট নুরুল হুদার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজলের পরিচালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ রাসেল শিশু সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম আক্তার হোসেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেল শেখ রাসেল শিশু সংসদের সহ-সভাপতি জেলা যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরীফ হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়ন্তু কুমার ঘোষ, অ্যাডভোকেট রনজিৎ চন্দ্র দে, অ্যাডভোকেট কার্তিক চন্দ্র দাস, অ্যাডভোকেট অঞ্জন দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন, যুদ্ধাকালীন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা গোপীনাধ দানের সন্তান মন্টি দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

শামীম ওসমান কাউকে ট্যাক্স টোকেন দিয়ে রাজনীতি করবেনা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি ও দেশব্যাপী আলোচিত আওয়ামীলীগ নেতা একেএম শামীম ওসমান কাউকে ট্যাক্স টোকেন দিয়ে রাজনীতি করবেনা বলে মন্তব্য করেছেন শামীম ওসমান নিজেই। শনিবার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ওই অনুষ্ঠানে শামীম ওসমানকে মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়েছিল দাবি করেন তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ সাহেবের সামনেই আমাকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়েছিল কিন্তু আমি নেই নাই। কেননা যে মন্ত্রিসভার প্রধান শেখ হাসিনা সেখানে মন্ত্রী হবার মতো উপযুক্ততা আমার মতো নেতার হয় নাই। আমি দূরে যেতে চাইনা। আমি আমার নারায়ণগঞ্জেই থাকতে চাই। চাওয়া-পাওয়ার আশা করি না। তাই আমি কাউকে ট্যাক্স টোকেন দিয়ে রাজনীতি করবো না।’

এদিকে এবার নিজ দলের নেতাকর্মীদের কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান। কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে শামীম ওসমান বলেছেন, দলের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দল সৃষ্টিকারীদের কোন ছাড় দেবো না। তিনি বলেন, ‘অন্য দিক দিয়া লাইন কইরা কেউ নেতা হইতে চাইলে পারবেন না। এই হাতের ফাঁক দিয়ে বের হইয়া কেউ নেতা হইতে পারবেন না। একসাথে চলবো, একসাথে বাচবো, একসাথে মরবো।

১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার ফতুল্লায় নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচন পরবর্তী এক মতবিনিময় সভায় তিনি নেতাকর্মীদের এমন হুশিয়ারী দেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘কিছু কিছু লোক চেষ্টা করবে দ্বন্দ সৃষ্টি করার জন্য। অভিযোগ থাকলে আমাকে বলবেন। অভ্যন্তরীন দ্বন্দ কেউ করবেন না। দলের সমস্যা দলের সিনিয়র নেতারাই সমাধান করবে, বাইরের কেউ এসে সমাধান করবে না।’

তিনি অন্য এক প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি কেউ মনে করেন, শেখ হাসিনার সরকারকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছি, তাহলে তাদের বলবো, আপনারা এই কথা মনে কইরেন না। অন্তত নারায়ণগঞ্জে যেন এই কথা কেউ মনে না করেন। নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের রাজপথে দখলে রাখার ক্ষমতা পূর্বেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা কারোর উপর ভরসা করে আওয়ামীলীগ করিনা। আমরা কেবল শেখ হাসিনার নির্দেশেই চলি।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিটা ঘরে ঘরে আবার যাবো। আমরা পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নম্বরের তালিকা জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে দিয়ে আসবো। যাতে কেউ আশেপাশে কোন দুর্নীতি দেখলে তারা প্রশাসনকে দ্রুত জানাতে পারে।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘দিনের বেলায় বিএনপি আর রাতের বেলায় জামাত করে না তারাই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগে থাকবে। এইবার আমার শেষ টাইম আগেই বলছি। তাই অরিজিনাল আওয়ামীলীগের হাতেই দায়িত্ব দিয়ে বিদায় নেবো, তার আগে না।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, জেলা আদালতের পিপি ও আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, নাসিক কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু ভূইয়া, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিমউদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, শেখ সাফায়েত আলম সানি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।

ফতুল্লায় ১২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ২৪ ঘন্টায় ফতুল্লা মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক বিরোধী অভিযানে চালিয়ে ৪১৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১১০ পুরিয়া হেরোইনসহ ১২ মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টার অভিযানে ফতুল্লার মডেল থানা পুলিশ ফতুল্লা এলাকা থেকে ৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মৃত সুরুজ্জামানের ছেলে সুমন, কাশিপুর এলাকা থেকে সেলিমের ছেলে বিপ্লবকে ৩২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করেছে। পিলকুনি এলাকা থেকে ৩০ পুরিয়া হেরোইনসহ খোরশেদ মিয়ার ছেলে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে। একই এলাকা থেকে মজিবুরের ছেলে আল আমিনকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করেছে।

মাদক দ্রব্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে পিলকুনি এলাকা থেকে মৃত মজিবুর হাজীর ছেলে দ্বীন ইসলামকে ৩০ পুরিয়া হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করেছে। আলীগঞ্জ এলাকা থেকে মৃত সাদেকের ছেলে খলিলকে ৫০ পুরিয়া হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করেছে।

গত ২৪ ঘন্টায় নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে জামতলা এলাকা থেকে ৫৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আনিসুল ইসলাম ভূট্টোকে গ্রেপ্তার করেছে। মাসদাইর এলাকা থেকে মৃত হাজী গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মেসবাহ উদ্দিন ভূইয়াকে, মৃত ফয়েজ ফকিরের ছেলে মামুনকে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করেছে। চাঁনমারী এলাকা থেকে আকবর আলীর ছেলে আবুল হোসেন ও বিল্লাল হোসেনকে ৫৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করেছে। শিবু মার্কেট এলাকা থেকে মৃত আ.আউয়াল মিয়ার ছেলে আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে।

ফতুল্লায় সাংবাদিক পিতার ৮ম মৃত্যুবাষির্কী পালিত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি, সাংবাদিক, শিক্ষক এ.আর কুতুবে আলমের পিতা মরহুম দেলোয়ার হোসেন মৃধার ১৬ ফেব্রুয়ারি ৮ম মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষ্যে নিজ বাস ভবনে ও গ্রামের বাড়িতে দোয়া মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে পালিত হয়েছে।

মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা ধানখালী পাঁচজুনিয়া গ্রামের সমাজ সেবক ক্রীড়াবিদ, ধানখালী ডিগ্রী কলেজের জমিদাতা সদস্য মরহুম সিরাজ উদ্দিন মৃধার বড় ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন মৃধা। সবাই তাকে আদর করে বড়মিয়া বলে ডাকতেন। তিনি ছিলেন সহজ সরল একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি ধানখালী পাঁচজুনিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ছোট বড় সবার প্রিয় মানুষ ছিলেন।

তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১১ইং, ৪ ফাল্গুন ১৪১৭ বাংলা ১২ মহরম ১৪৩২ হিজরী রাত ৯টা ৫মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। মরহুম দেলোয়ার হোসেন মৃধার এক ছেলে সাংবাদিক এ.আর কুতুবে আলম। তাঁর ছেলে ছোট বেলা থেকেই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বসবাস করে আসছেন। পিতার সংস্পর্শ তেমন পাননি তিনি। তবুও তাঁর সরল বাবার জন্য ছিল গভীর ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা। মরহুমের পাঁচ মেয়ে রয়েছে বনানী আক্তারপলি, ছবি আক্তার, রেজমিন আক্তার, জুলিয়া আক্তার জুলি ও ইতি আক্তার।

এদের মধ্যে মেয়ের জামাতারা সরকারী চাকুরীজীবীও রয়েছেন। পারিবারিক সূত্রে তার পরিবারের সকল সদস্যরা সুখি পরিবার। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারী তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ি এলাকায় বাদ এশা সাংবাদিক এ.আর. কুতুবে আলমের বাসায় দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। এ দোয়া পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মাওলানা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। এ সময় সৌরভ স্বাধীন কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল। মরহুমের জন্য প্রায়ই ফতুল্লা ৭ম তলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ পড়ানো হয়। মরহুমের ছেলে কুতুবে আলম ও পুত্রবধূ কবি. সাংবাদিক মুন্নি আলম মনি সকলের কাছে মরহুমের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ