লেখক শামসুদ্দোহা চৌধুরীর ‘সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

এবারের একুশের গ্রন্থ মেলায় বের হয়েছে বিশিষ্ট লেখক ও ইতিহাস গবেষক শামসুদ্দোহা চৌধুরীর গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস’। ঐতিহাসিকভাবে সোনারগাঁও একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ। অথচ এতদিন এ জনপদের পূর্ণাঙ্গ কোন ইতিহাস ছিলনা। সেই উপলব্দি থেকেই লেখক শামসুদ্দোহা চৌধুরী তাঁর কয়েক দশকের গবেষণায় রচনা করেছেন ‘সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস’ গ্রন্থটি। এ গ্রন্থে সোনারগাঁওয়ের হারিয়ে যাওয়া অলিখিত ইতিহাসকে বিভিন্ন প্রমান পুঞ্জির আলোকে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা দিক উঠে এসেছে বইটিতে। আফসার ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৪’শত টাকা মাত্র।

লেখক শামসুদ্দোহা চৌধুরী বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রায় দুই শতাধিক প্রবন্ধ ও নিবন্ধ লিখেছেন। পাশাপাশি তিনি সহ¯্রাধিক নানা স্বাদের ফিচার লিখে হয়েছেন প্রশংসিত। এ পর্যন্ত ইতিহাস, গল্প, কবিতা ও উপন্যাসসহ বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে ইতিহাস ভিত্তিক গ্রন্থ ‘সোনারগাঁওয়ের সন্ধানে, ঈশা খাঁর সোনারগাঁও, প্রাচীন নগরী সোনারগাঁও’ এবং সর্বশেষ ‘সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস’। গল্প গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘হিম অমানিশার ছায়াবাজি, মোনালিসার হাসি দেখেছি, ভুতেরা বাড়ীতে নেই’, প্রকাশিত কবিতা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘কমান্ডো, সোনারগাঁওয়ের সোনালী হেরেম। এছাড়াও উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘সোনারগাঁওয়ে প্রেম কস্তরির বিরহ কাল, পারু তোমায় ডেকে ছিল সোনারগাঁওয়ের নিমন্ত্রনে ও কিশোর উপন্যাস ‘গদাদার সোনারগাঁও অভিযান’।

প্রকাশতব্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘উকুন এবং উকুন বিষয়ক অবকাশ, লবনের পায়েশ, জার এবং একজন আতশ আলী ও খরকুটো’। শামসুদ্দোহা চৌধুরীর বাইরেও বেশ কিছু মঞ্চ নাটক লিখে ও নির্দেশনা দিয়ে বেশ আলোচিত হয়েছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ডাক দিয়ে যায় অচিন পাখি, ঋণ, বৈশাখে স্মৃতির মিনার, মঞ্চের খেলা, ডেগ, সূর্য গ্রহণ ও একাত্তর’।

১৯৫৫সালের ১৮মার্চ সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মোগরাপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা। বর্তমানে অবসরে আছেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি শিল্প সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। মঞ্চ নাটকে অভিনয়ও করেছেন তিনি।

শামসুদ্দোহা চৌধুরী সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য তিনি।

লেখালেখীর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০২ সালে পরিবেশ সাংবাদিকতায় (এফ.ই.জে.বি) জাতীয় পরিবেশ সাংবাদিকতায় ভূষিত হন। এছাড়া সোনারগাঁও বেনিফিট ফান্ড ও নারায়ণগঞ্জ অনন্যা শিল্পগোষ্ঠি পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক পুত্র মিনহাজ উস সিরাজ ও মেয়ে আশরাফুল আম্বিয়া মেহনাজের জনক। স্ত্রী মানসুরা বেগম তাঁর লেখালেভীতে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে সব সময়।

মাদকের বিরুদ্ধে দুলাল প্রধানের ভাষণ, তার কর্মীদের অনেকের বিরুদ্ধে বিক্রির অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটিকর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবার এখনই শ্রেষ্ঠ সময়। কেননা, মাদকের থাবায় যখন যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুচারু পদক্ষেপে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অগ্রনী ভূমিকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্সে পরিনত হয়েছে। অতএব, মাদক থেকে দূরে রাখতে যুব সমাজকে বেশি বেশি খেলাধুলা ও বিনোদনের আয়োজন করতে হবে।

১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকাল ৫টায় বন্দরের ইস্পাহানী বাজার সংলঘœ আয়োজিত উক্ত কমিটির উদ্যোগে মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তবে এলাকাবাসীর অনেকেই অভিযোগ করে জানিয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই সাধারণ সম্পাদকের চারপাশে অনেক মাদক বিক্রেতাদের আনাগোনাই দেখা যায় বেশি। বন্দরের যে সব মাদক বিক্রেতা রয়েছে তাদের বেশির ভাগ মাদক বিক্রেতাদের দুলাল প্রধানের সভা সমাবেশে মিছিলে দেখা যায়। প্রতিটি এলাকায় তার নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে মাদকের বিক্রির ছড়াছড়ি। এমন বিষয়টি তার নজরে আসছেনা কিন্তু তিনি করছেন মাদকের বিরুদ্ধে ভাষণ! তার বক্তব্যের ওই অনুষ্ঠানের পাশেই দাড়িয়ে থাকা বেশকজন নিচু স্বরে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, আমি মাদক ব্যবসায়ীদের হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলতে চাই আজ থেকে ২৩নং ওয়ার্ডে কোন মাদক ব্যবসায়ী থাকবেনা। যদি সংবাদ পাই কেউ মাদক বিক্রি করছে তাদের পরিবারসহ অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে। আমি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমার এলাকায় মাদককে জিরো ট্রলারেন্সে পরিনত করাই আমার একমাত্র কাজ। যারা মাদকের পক্ষে সুপারিশ করবে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। মাদকের কুফল সম্পর্কে যুব সমাজকে অবগত করার জন্য যত সহযোগীতা প্রয়োজন আমি করব। কেননা,এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

ইস্পাহানী বাজার কমিটির সভাপতি ও দৈনিক স্বদেশ আমার পত্রিকার উপদেষ্টা কিতাব আলীর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বন্দর ফাড়ীর ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বীরমুক্তিযোদ্ধা মুক্তা বেগম, দৈনিক স্বদেশ আমার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক খান সোহেল, ইস্পাহানী বাজার কমিটির উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রানা প্রধান, ২৩নং ওয়ার্ড শ্রমিকপার্টির নেতা মোঃ ফরিদ হোসেন, সমাজসেবক আব্দুল বারেক, ব্যাংকার কামাল উদ্দিন, সমাজ সেবক আজিজ হালদার, হাজী মাঈন উদ্দিন, হাজী সাত্তার, আতাউর হোসেন, আসাদুল সরকার ও জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।

চিরকাল বেঁচে থাকতে চাই: বললেন এমপি খোকা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের মহাজোটের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, ভাল কর্মের মাধ্যমে মানুষ চিরদিন বেঁচে থাকে। আমিও সেই ভাল কর্মের মাধ্যমে সোনারগাঁবাসীর অন্তরে ঠাই করে চিরকাল বেঁচে থাকতে চাই।

১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম ও ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুলের তত্ত্বাবধানে নবনির্বাচিত এমপিকে সংবর্ধনা ও গোয়ালপাড়া হাইস্কুলের ভবন উদ্ধোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় এমপি খোকা এসব কথা বলেন।

মহাজোটের এই এমপি আরো বলেন, আমাদের সমাজে দুই ধরনের লোক বাস করে। এক শ্রেণি হচ্ছে যারা সমাজে মন্দ কাজ করে। মাদক ও সন্ত্রাস করে তারা হলো শয়তান। আরেক শ্রেণির লোক আছে যারা সমাজে বসবাস করে মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে। সমাজের মানুষের সুখে-দুঃখে এগিয়ে আসে তারা ভালো মানুষ। তারা দুনিয়াতে ভালো থাকে আখিরাতেও বেহেস্ত পাবেন। আমরা সমাজে সেই ভাল মানুষের মতো মানুষের কল্যাণ করে আজীবন বেঁচে থাকতে চাই।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার, সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ আবদুর রউফ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ মোল্লা বাদশা ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাঈম ইকবাল প্রমুখ।

রাজনীতিতে শামীম ওসমানের শেষ টাইম!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

রাজনীতিতে চলছে শামীম ওসমানের শেষ টাইম। এমনটা তিনি নিজেও দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তার শেষ টাইম। তবে তিনি কি কারনে রাজনীতিতে শেষ টাইম বলছেন সেটা তিনি এখনও পরিষ্কার করেননি। যদিও অনেকের ধারণা তার একমাত্র পুত্র অয়ন ওসমানকে রাজনীতিতে পাকাপোক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করেই তিনি রাজনীতিকে বিদায় জানাবেন। তবে আদৌ তিনি রাজনীতিকে শেষ টাইম বলছেন নাকি তিনি নির্বাচনকে শেষ টাইম বলছেন সেটাও পরিষ্কার করেননি। শনিবার শামীম ওসমান এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘দিনের বেলায় বিএনপি আর রাতের বেলায় জামাত করে না তারাই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগে থাকবে। এইবার আমার শেষ টাইম আগেই বলছি। তাই অরিজিনাল আওয়ামীলীগের হাতেই দায়িত্ব দিয়ে বিদায় নেবো, তার আগে না।’

এদিকে এবার নিজ দলের নেতাকর্মীদের কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান। কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে শামীম ওসমান বলেছেন, দলের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দল সৃষ্টিকারীদের কোন ছাড় দেবো না। তিনি বলেন, ‘অন্য দিক দিয়া লাইন কইরা কেউ নেতা হইতে চাইলে পারবেন না। এই হাতের ফাঁক দিয়ে বের হইয়া কেউ নেতা হইতে পারবেন না। একসাথে চলবো, একসাথে বাচবো, একসাথে মরবো।

১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার ফতুল্লায় নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচন পরবর্তী এক মতবিনিময় সভায় তিনি নেতাকর্মীদের এমন হুশিয়ারী দেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘কিছু কিছু লোক চেষ্টা করবে দ্বন্দ সৃষ্টি করার জন্য। অভিযোগ থাকলে আমাকে বলবেন। অভ্যন্তরীন দ্বন্দ কেউ করবেন না। দলের সমস্যা দলের সিনিয়র নেতারাই সমাধান করবে, বাইরের কেউ এসে সমাধান করবে না।’

তিনি অন্য এক প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি কেউ মনে করেন, শেখ হাসিনার সরকারকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছি, তাহলে তাদের বলবো, আপনারা এই কথা মনে কইরেন না। অন্তত নারায়ণগঞ্জে যেন এই কথা কেউ মনে না করেন। নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের রাজপথে দখলে রাখার ক্ষমতা পূর্বেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা কারোর উপর ভরসা করে আওয়ামীলীগ করিনা। আমরা কেবল শেখ হাসিনার নির্দেশেই চলি।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিটা ঘরে ঘরে আবার যাবো। আমরা পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নম্বরের তালিকা জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে দিয়ে আসবো। যাতে কেউ আশেপাশে কোন দুর্নীতি দেখলে তারা প্রশাসনকে দ্রুত জানাতে পারে।’

শামীম ওসমানকে মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়েছিল দাবি করেন তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ সাহেবের সামনেই আমাকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়েছিল কিন্তু আমি নেই নাই। কেননা যে মন্ত্রিসভার প্রধান শেখ হাসিনা সেখানে মন্ত্রী হবার মতো উপযুক্ততা আমার মতো নেতার হয় নাই। আমি দূরে যেতে চাইনা। আমি আমার নারায়ণগঞ্জেই থাকতে চাই। চাওয়া-পাওয়ার আশা করি না। তাই আমি কাউকে ট্যাক্স টোকেন দিয়ে রাজনীতি করবো না।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, জেলা আদালতের পিপি ও আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, নাসিক কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু ভূইয়া, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিমউদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, শেখ সাফায়েত আলম সানি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।

বস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খালেদ হায়দার খান কাজলের মতবিনিময়

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজার এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কাপড়ের মার্কেট হিসেবে পরিচিত ফ্রেন্ডস্ মার্কেট বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির মতবিনিময় সভা শুক্রবার সন্ধ্যায় মার্কেটের ৪র্থ তলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল ও বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্টস্ এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, পরিচালক জাকারিয়া ওয়াহিদ ও বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্টস্ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো:সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো:নজরুল ইসলাম খান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো:আমির হোসেন বাদশা। অনুষ্ঠানে বস্ত্র ব্যবসায়ীরা সপ্তাহের শুক্রবার মার্কেট খোলা এবং সপ্তাহের যেকোন দিন সাপ্তাহিক ছুটি রাখার দাবি জানান।

পাশাপাশি মার্কেটে সকল সমস্যা সমাধানে চেম্বার সভাপতিকে নজর রাখার আহবান জানান। পরে মার্কেট পরিচালনার জন্য মো: আমির হোসেন বাদশাকে সভাপতি ও মো: নজরুল ইসলাম খানকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি খন্ডকালীন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বন্দরে কয়েল কারখাঁনার বিষাক্ত বর্জ্যে পাঁচ লাখ টাকার মাছের মৃত্যু!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মশার কয়েল কারখাঁনার বিষাক্ত বর্জ্যে মৎস খামারের পাঁচ লাখ টাকার মাছের মৃত্যুতে ক্ষতিসাধনের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা সাব্বির ক্যামিকেল নামে মশার কয়েল কারখাঁনার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের গকুলদাশের বাঁগ এলাকার আমিজুদ্দিন মৎস খামারের প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছের মৃত্যুতে এমন ক্ষমিসাধিত হয়েছে বলেও অভিযোগ।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গকুলদাসের বাগ আমিজুদ্দিন মৎস খামারের পাশেই অবৈধভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন বিহীন একটি মশার কয়েল কারখাঁনা গড়ে তুলেন আমির হোসেন। তারই কয়েল কারখাঁনার বিষাক্ত বর্জ্যরে কারনে মাছ নিধন হওয়াসহ পরিবেশ বিপর্যয় হওয়ার অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপরে মৎস খামারের মালিক নূর হোসেন গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘এই মশার কয়েল কারখাঁনার লোকজন সোমবার দিবাগত রাতে আমার মৎস খামারে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। ইতিপূর্বেও ওই কয়েল কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যরে কারনে আমার মৎস খামারের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছিল। বিষয়টি তাদের একাধিকবার জানিয়েও কোন সাড়া পাই নাই।’

এদিকে ঘটনায় স্থানীয়রা এই অবৈধ মশার কয়েল কারখাঁনার মালিকের হাত থেকে পরিবেশ দুষণকে রক্ষা করতে অনতিবিলম্বে ওই কয়েল কারখাঁনা বন্ধের দাবীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।

কর্মশালার মাধ্যমে দক্ষ গণমাধ্যমকর্মী সৃষ্টি করতে হবে: বন্দর ইউএনও পিন্টু বেপারী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ‘গণমাধ্যমে বাঙলা ভাষা ব্যবহার’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক দিনের সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯টায় বন্দর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে দিনভর কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বাংলাদেশ মিডিয়া ইনস্টিটিউট সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু হানিফ খান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী।

মিডিয়া ভিশন কালচারাল একাডেমীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির আহমেদ সেন্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কদমরসুল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহমদ হালিম মজহার, শিক্ষাবিদ এম কবির ইউ চৌধূরী, দৈনিক মানব জমিন পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার বিল্লাল হোসেন রবিন, বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ, দৈনিক বিজয় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আনোয়ারুল হক, রেডিও নারায়ণগঞ্জের ইনচার্জ মোঃ ইসলাম উদ্দিন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর অভিনয় প্রশিক্ষক আবু হানিফা মাসুম প্রমূখ।

পরিশেষে ৩৫জন প্রশিক্ষণার্থীকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিন্টু বেপারী বলেন, কর্মশালা মানেই দক্ষতা। সাংবাদিকতায় যিনি যত জানবেন তিনি তত ভাল করতে পারবেন। বেশি বেশি কর্মশালার মাধ্যমে দক্ষ গণমাধ্যমকর্মী সৃষ্টি করতে হবে। কর্মশালা হলে আর যাই হোক অন্তত সঠিক শিক্ষার্জন করা যায়।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতা খুব মহৎ পেশা। আমার ঘরের মানুষেরও এ পেশার উপর ডিগ্রী নেয়া আছে। কাজেই এ পেশার প্রতি অনেকটা ধারণা রয়েছে। তবে একটি বিষয় পরিস্কার পেশাকে কলুষিত করা যাবেনা। অতিরঞ্জিত কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্প্রতি একটি ঘটনার কথাই বলা যায় যেখানে আমি কোন বক্তব্য দেইনি সেখানে আমার বক্তব্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা খুবই হাস্যকর। এ ধরণের সংবাদ পরিবেশন থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।

অয়ন ওসমানের সহযোগীতায় আইন কলেজের সফল শিক্ষা সফর

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের পুত্র ছাত্র সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয় অয়ন ওসমানের সার্বিক সহযোগীতায় নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের আরও একটি সফল শিক্ষা সফর অনুুষ্টিত হয়েছে। এতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ভিপি এমএম হাসান ও জিএস আমজাদ হোসেন সহ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের নেতৃবৃন্দ। সফল এই শিক্ষা সফরটি বাস্তবায়ন করায় অয়ন ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আইন কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ পান এমএম হাসান ও আমজাদ হোসেন। একেএম অয়ন ওসমান প্রতি বছর আইন কলেজের শিক্ষা সফর থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সকল কার্যক্রমে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করে আসছেন।

জানাগেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের উদ্যোগে এক আনন্দঘন শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা কোটবাড়ি বৈদ্ধ বিহার, সালবন, বৈদ্ধ মন্দির, রূপবান বাড়িতে দিনব্যাপী আনন্দঘণ পরিবেশে কাটিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ভূঁইয়া। কয়েকশ আইন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই শিক্ষা সফর অনুুষ্ঠিত হয়। এতে অারও সঙ্গে ছিলেন অনেক শিক্ষার্থীদের পরিবার পরিজনও।

শুক্রবার সকাল ৮টায় নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজের সামনে থেকে বাস ছাড়া হয়। এ শিক্ষা সফরের যাত্রা শুরু করেন আইন কলেজের অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ভুঁইয়া ও নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি এমএম হাসান এবং জিএস আমজাদ হোসেন।

জানাগেছে, কুমিল্লা কোটবাড়েতে যেতে কয়েকশ আইন শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। বাসে চড়ে যাত্রার সময় সহপাঠীদের আনন্দফুর্তিতে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। যাত্রা শেষ হয় দুপুর বারোটায়। এক প্রাকৃতিক পরিবেশে সকলেই নিজেদের উজার করে দেন। আর এ শিক্ষা সফরে সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল রুপবানের বাড়ি। প্রতিটা স্থানে দাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের চলেছে সেলফি পাগলামীও। এ যেনো হারিয়ে যাওয়ার একটি দিন ছিল। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের পরে সবাই মিলে যাদুঘরে যাওয়া হয়। ছিল দর্শনীয় স্থান প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির। শীতল বাতাসে শেষ বিকেলে বাসে চড়ে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজে শিক্ষার্থীদের ফিরে আসা। সারাদিনের শিক্ষা সফর শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয় আইন কলেজের শিক্ষা সফর। তবে ক্লান্তিতেও থেমে থাকেনি শিক্ষার্থীদের আনন্দ। ফেরার পথে বাসে চড়ে গেয়েছেন গান। কেউ কেউ গানের তালে নেচেছেন।

নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মোঃ সাখাওয়াত হোসেন খান ভূইয়া বলেন, ২০১৯ সালের নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের শিক্ষা সফর একটি স্মরণীয় শিক্ষা সফর হয়েছে থাকবে আইন কলেজের স্মৃতির পাতায়। শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগীতায় এমন সুন্দর একটি শিক্ষা সফর উপহার দেওয়ার জন্য কলেজের ছাত্র নেতা এমএম হাসান ও আমজাদ হোসেন সহ সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।

নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ভিপি এমএম হাসান ও জিএস আমজাদ হোসেন বলেন, এই সুন্দর শিক্ষা সফরে যাদের সবচেয়ে বেশি অবদান কলেজের পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও নারায়নগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য, উন্নয়নের রূপকার জননেতা একেএম শামীম ওসমান ও তার সুযোগ্য উত্তরসূরি ছাত্র সমাজের নয়নের মণি একেএম অয়ন ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

একই সঙ্গে শিক্ষা সফর সফল করায় সকল সহযোগি ও ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান ছাত্রনেতা এমএম হাসান ও আমজাদ হোসেন। শিক্ষাসফরে আরও সহযোগীতা করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ বিপু, আইন কলেজের এজিএস শাহাদাৎ হোসেন, মীর শোভা, জাহিদুল ইসলাম, দেবাষিশ, ইকবাল হোসেন, প্রশান্ত, হাসান, বিপ্লব, সাফায়েত, উর্মি, লিজা, শান্ত, শুভ, মেহেদি, মুশফিক, রবিন, টিটু, জাহানারা, মনিরা, লিজা, জুমা, সুমা, ইতি, সাথী, বীথি, তুলসি সহ আরও অনেকেই।

এছাড়াও এমন সফল শিক্ষা সফরে ছিলেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা তামিম ইসলাম জয়, ঢাকা টাইসের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ও সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রোকন এবং সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমের বিশেষ প্রতিবেদক আবদুল্লাহ আল মামুন। তারা সবাই আইন কলেজের শিক্ষার্থী। শিক্ষা সফরের যাত্রার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন আরেক আইন শিক্ষার্থী ও দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার সাংবাদিক বদিউজ্জামান।

আড়াইহাজারে পরিবর্তনের শ্লোগানে এগিয়ে রশিদ ভূঁইয়া, মুখোমুখী শাহজালাল মিয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ভূঁইয়া। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তিনি জড়িত। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে আসেন। একজন ক্লিন ইমেজধারী আবদুর রশিদ ভুইয়াকেই চায় উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের মুখে এবার পরিবর্তনের শ্লোগান। কারন এখানে টানা দুইবার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া। তবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন যুদ্ধে এবার মুখোমুখী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি।

জানাগেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ভূঁইয়া নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পর নেতাকর্মীদের মাঝে চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। রশিদ ভূঁইয়ার পক্ষে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মাঠ গুছাতেও শুরু করেছেন। এখানে টানা দুইবার শাহজালাল মিয়া চেয়ারম্যান পদে থাকায় নেতাকর্মীরা চরম ক্ষুব্দ এবং তীক্ত হয়ে ওঠেছেন। যে কারনে নেতাকর্মীরা এখন আবদুর রশিদ ভূঁইয়ার পক্ষে মাঠে নেমেছেন।

আরও জানাগেছে,এবারের নির্বাচনে কারো পক্ষ নিচ্ছেন না স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। যে কারনে উপজেলা থেকে নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাজালাল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ভূঁইয়ার নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে থাকার কারনেই শাহজালাল মিয়ার নাম রশিদ ভূঁইয়ার সঙ্গে পাঠানো হয়। নতুন এককভাবে আব্দুর রশিদ ভূঁইয়াকেই চেয়েছিলেন নেতাকর্মীরা। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের মধ্যে রশিদ ভুঁইয়ার নাম এরই মাঝে সামনে চলে এসেছে। তৃনমূল নেতাকর্মীরাও চায় এবার আড়াইহাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান হোক নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুুর রশিদ ভূঁইয়া। তবে আবারো হাল ছাড়ছেন না আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাজালাল মিয়া।

আড়াইহাজারের সাধারণ মানুষ বলছেন, টানা দুইবার আড়াইহাজারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন শাহজালাল মিয়া। এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের চেয়ে বিতর্কিত হয়েছেন বেশি। পাওয়া না পাওয়া নিয়ে শাহজালাল মিয়ার প্রতি নেতাকর্মীরা চরম ক্ষুব্দ। আর টানা দুইবার চেয়ারম্যান পদে থাকায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষও বিষিয়ে ওঠেছেন। যে কারনে রশিদ ভূঁইয়ার প্রতি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সমর্থন দেখা যাচ্ছে বেশি।

অ্যাডভোকেট রশিদ ভূঁইয়াকে এগিয়ে রাখার কারন হিসেবে নেতাকর্মীরা বলছেন, আড়াইহাজার উপজেলায় ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমএ রশিদ ভূঁইয়া। তিনি দীর্ঘদিন আইন পেশায় লাগতে দেননি কোন কলংকের কালিমা। নারায়ণগঞ্জ আদালতে যে দুচারজন আইনজীবী মামলা ট্রালায়ে গিয়ে সাক্ষ্য জেরা যুক্তিতর্কে পারদর্শী তাদের মধ্যে অন্যতম অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ভূঁইয়া।

র‌্যাবের অভিযানে সাড়ে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার, নারী মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে সাড়ে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)। এসময় এক মাদক বিক্রেতা নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিমউদ্দীন চৌধুরী (পিপিএম) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সোয়া দুটার দিকে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলায় রূপগঞ্জ থানাধীন সুলতানা কামাল ব্রীজ তারাবো রোডের এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে মোছাঃ জোসনা বেগম নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ সময় আটককৃত ব্যক্তির নিকট থেকে সাড়ে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোছাঃ জোসনা বেগম(৪৩), স্বামী- মোঃ দেলোয়ার হোসাইন ওরফে দুলাল ওরফে দুলাল মোল্লা। সে বরখার চর এলাকার, থানা- কুলিয়ারচর, জেলা- কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা। সে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা বিভিন্ন কৌশলে নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী সহ এর আশপাশ এলাকায় সরবরাহ করে আসছে। উল্লেখ্য যে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোছাঃ জোসনা বেগমের বিরুদ্ধে ব্রাক্ষণবাড়ীয়া সদর মডেল থানা ও কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ