বন্দরে কদমরসুল কলেজে গ্রীন-ক্লিন ক্যাম্পাস

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে সরকারি কদমরসুল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাহতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে গ্রীন ক্যাম্পাস ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সরকারি কদমরসুল কলেজ ক্যাম্পাসে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাহিদা বেগম, স্টাফ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা হোসেন, কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাসুদুর রহমান, সুফিয়া আক্তার, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জানে আলম, আলী ইসমাইল, নজরুল ইসলাম, সেলিম মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, হারুন অর রশিদ সহ কলেজের সকল শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।

বিএনপির নেতার জানাযাতেও নেই কাজী মনির মামুন, আছে সেই তৈমূর

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি নেতার জানাযাতেও আসলেন না নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সহ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বিএনপি নেতার মৃত্যুতেও কার্পন্য দেখালেন জেলা বিএনপির নেতারা। যেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ঠিকিই ঢাকা থেকে ছুটে এসেছেন। এর আগে নিজের দুটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে জামিন পান তৈমূর।

সেখান থেকে ছুটে যান রূপগঞ্জে কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অসুস্থ্য মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনুকে দেখতে। সেখানে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামের মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে যান নজরুল ইসলামের বাসা বাবুরাইল এলাকায়। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আসা নজরুল ইসলামের জানাযাতেও আসলেন না জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা। শুধুমাত্র জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে নজরুল ইসলামের জানাযায় দেখা গেল।

জানাগেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন নজরুল ইসলাম (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে, স্ত্রী সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদে তার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লাশ দেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে।

পরিবার সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজ বাসভবন বাবুরাইল এলাকায় বুকে ব্যর্থ্যা অনুুভব করেন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিলে যাওয়ার পথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও পরবর্তীতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সৈরাচারী আন্দোলনেও তিনি ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।

কিন্তু বিএনপির রাজপথের একজন সক্রিয় নেতা নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির ২৬ জনের কমিটির মাত্র একজন সহ-সভাপতি মরহুমের জানাযায় উপস্থিত হন। আসেননি জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শাহআলম, সহ-সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, আজহারুল ইসলাম মান্নান, আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লার মত শীর্ষ পদে থাকা নেতারাও নজরুল ইসলামের জানাযায় আসেননি।

এমনকি বিএনপির সাবেক ৪ এমপি রেজাউল করিম, আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, আবুল কালাম ও গিয়াসউদ্দীনও আসেননি বিএনপি নেতার জানাযায়। যদিও এর মধ্যে আবুল কালাম চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে রয়েছেন।

তবে এসব নেতারা নজরুল ইসলামের জানাযায় না আসলেও মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সহ-সভাপতি সরকার হুমায়ুন কবির, আইনজীবী ফোরামের নেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সহ মহানগর বিএনপির বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার নেতাকর্মী নজরুল ইসলামের জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।

গায়েবী মামলার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ক্ষমতা ব্যবহার করে মিথ্যা সাজানো গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হচ্ছে। এইসব গায়েবী মামলা ইতিহাস হয়ে থাকবে। জাতি কখনও ক্ষমা করবে না। একদিন এসব গায়েবী মামলার জবাব জনগণকে দিতে হবে এবং জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালত থেকে রূপগঞ্জ থানার দুটি নাশকতার মামলায় জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার।

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ইসা নবীকে ক্রুসবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছিল। ফ্রান্স রেভুলেশনের সময় ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। জার্মানিতে নাজি গ্রুপ ক্ষমতায় থাকার জন্য সেখানে গণহত্যা করেছিল। এসব কিন্তু ইতিহাসের পাতায় কাউকে ক্ষমা করেনি। এখন স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও ওই সময় কে কি করেছিল তার প্রশ্ন ওঠে। কার কি ভুমিকা ছিল এ নিয়ে আলোচনা হয়।

তিনি সরকারি দলের বিষয়ে বলেন, যারা এখন ক্ষমতায় আছে তারা কিভাবে ক্ষমতায় আছে সেটা ইতিহাসের পাতায় থাকবে। আমরা হয়তো তখন থাকবো কিন্তু ইতিহাস
তাদের ক্ষমা করবে না এবং গায়েবী এসব মামলার জন্য জাতির কাছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে গায়েবী মামলা রুজু করার জন্য সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা জজ। তারা জেনে শুনে গায়েবী মামলা থেকে জামিন দেয়না। ঢাকা মেট্রোপলিটন সেশন জজ জামিন দিবেনা কিন্তু তিনি তারপরেও দেড় দুই মাস পর শুনানির তারিখ ধার্য্য করেন। দুই মাস পরেও জামিন দেয়না। এর অর্থ হলো দুই মাসের মধ্যে যেনো হাইকোর্টে যেতে না পারে। এভাবে গায়েবী মোকদ্দমাকে জায়েজ করা হয়েছে। বাংলাদেশে যারা গায়েবী মামলার পক্ষে বলেন, যারা বলেন গায়েবী মামলা বুঝেন না তাদেরকেও ইতিহাসের পাতা কখনও ক্ষমা করবে না। তারা বুদ্ধিজীবী নামের কলংক। কে ক্ষমতায় থাকবে আর কে ক্ষমতায় থাকবেনা এটা বুদ্ধিজীবীর কাজ নয়। বুদ্ধিজীবীদের কাজ হলো স্বাধীনতার চেতনাকে রক্ষা করা। স্বাধীনতার চেতনা হলো মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার। এটাই হলো স্বাধীনতার অঙ্গীকার। সেই অঙ্গীকারের সাথে আমাদের সমাজের বুদ্ধিজীবীরা বৈঈমানী করেছে এইসব গায়েবী মামলাকে সমর্থন করে।

তিনি আরও বলেন, আমি তৈমূর আলম খন্দকার হয়তো বাঁচবোনা কিন্তু এসব গায়েবী মামলার জন্য এই সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে। অনেক সৈরশাসককে অনেক ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হয়েছিল।

এর আগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার দুটি নাশকতার মামলায় জামিন পান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাষানী ভুইয়া, অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দীন সরকার, অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান খান খোকা, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু সহ বিএনপির অর্ধশতাধিক আইনজীবী।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে রূপগঞ্জ থানার দুটি নাশকতার মামলায় তৈমুর আলম খন্দকারকে আসামী করা হয়। যার মামলা নং ২৪(৯)১৮ ও ৮(৯)১৮। এ দুটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিন পান তিনি এবং শর্ত ছিল চার্জশিট দাখিলের ৩০ দিনের মধ্যে নিম্ম আদালতে আত্মসমর্পন করতে হবে। তাই বৃহস্পতিবার তৈমূর আলম খন্দকার আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন দেন।

শ্রমিকদল নেতা নজরুলের মৃত্যুতে সাখাওয়াত ইসলাম রানার শোক প্রকাশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা। একই সঙ্গে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম সর্দারও গভীর শোক প্রকাশ করেন। ১৪ ফেব্রুয়অরি বৃহস্পতিবার তারা দুজনই এক বিবৃতিতে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন নজরুল ইসলাম (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে, স্ত্রী সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদে তার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লাশ দেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে।

আরও জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজ বাসভবন বাবুরাইল এলাকায় বুকে ব্যর্থ্যা অনুুভব করেন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিলে যাওয়ার পথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও পরবর্তীতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সৈরাচারী আন্দোলনেও তিনি ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।

মন্ত্রী গাজীর সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে রূপগঞ্জবাসীর সেবার ব্রত নিয়ে নির্বাচনী মাঠে স্বপন ভূঁইয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে টানা তৃতীয় বারের মত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক)। সেই গাজী গোলাম দস্তগীর এবার মন্ত্রী পরিষদে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। এই মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া। কিন্তু বিগত দশটি বছর মন্ত্রীর গাজীর সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছেন স্বপন ভূঁইয়া। কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়ায়নি তিনি।

একজন সহজ সরল নম্র ভদ্র আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসলেও কোন ধরনের কালিমা তার রাজনীতিতে নেই। যে কারনে ক্লিন ইমেজধারী মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের পছন্দের কর্মী স্বপন ভূঁইয়া। এবার সেই মন্ত্রীর অক্ষুন্ন রাখতে মন্ত্রীর কর্মী হিসেবে রূপগঞ্জবাসীর সেবা করতে চান স্বপন ভূঁইয়া। ইতিমধ্যে নির্বাচনী মাঠে নেমে তিনি রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। সাড়া ফেলেছেন সাধারণ মানুষের মাঝে। তরুণ এই আইনজীবী নেতা রূপগঞ্জের তরুণ সমাজ ও বয়বৃদ্ধদেরও পছন্দের তালিকায় চলে আসছে বিতর্কের বাহিরে থাকার কারনে।

নেতাকর্মীরা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হতে যাচ্ছে-২০১৯ এর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মধ্যমণি হয়ে ওঠেছেন ক্লিন ইমেজ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূইয়া।

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এ নিয়ে দিন দিন উপজেলার ভোটারদের মাঝে উৎসাহ উত্তীপনা ও আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে নির্বাচনে স্বপন ভূঁইয়া প্রার্থী হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে সাড়া ফেলেছে ব্যাপকভাবে। চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লা, মাঠঘাট, হাটবাজার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মাঝে ছুটে যাচ্ছেন স্বপন ভূঁইয়া।

এলাকাবাসীদের মতে, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া একজন অনুশীলিত, পরিশীলিত, পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক কর্মী হিসেবে রূপগঞ্জের মানুষের কাছে পরিচিত। রুপগঞ্জ উপজেলার তিনি একজন বহুল পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ। সবাই তাকে সহজ সরল নম্র ভদ্র হিসেবেই চিনেন। সাধারণ জনগণের মাঝে তিনি একজন আপন ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন তার ক্লিন ইমেজ নিয়ে। দলমত নির্বিশেষে রুপগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় এই আইনজীবীকে।

আরও জানাগেছে, ছাত্রলীগের একজন তৃনমূল থেকে ওঠে আসা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান এখন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রয়েছেন তিনি সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে। এর আগেও তিনি কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। এখন স্বপ্ন দেখছেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে জনগণের জন্য কাজ করার। তার স্বপ্ন রূপগঞ্জের মানুষের সেবক হতে চান। তবে এসব স্বপ্নের মাঝেও রয়েছে তার কঠোর পরিশ্রম। একজন নম্র ভদ্র সদাচারী আইনজীবী তীল তীল করে রাজনীতিতে ওঠে আসছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে একমাত্র মন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) পাট ও বস্ত্র মন্তীর সুদৃষ্টি অর্জন করেছেন স্বপন ভুইয়া।

এদিকে ১৯৯৭ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। ওই সময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তিনি মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের জিএস প্রার্থীও ছিলেন। তবে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার কারনে নির্বাচনে তিনি দাড়াননি। তবে পদে না আসলেও তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন অগ্রভাগে। নারায়ণগঞ্জ থেকে এবার একমাত্র মন্ত্রীত্ব পাওয়া পাট ও বস্ত্রী মন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক) এর বিশ্বস্থ কর্মী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া।

নারায়ণগঞ্জ আদালতের এই নম্র ভদ্র সদাচারী আইনজীবী নেতা ২০০১ সালের পর জোট সরকার আমলে মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। তারপর রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি নির্বাচিত হন। তার কয়েক দিন পর রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে তিনি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫ জনের কমিটিতে তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ছাত্রলীগের এই শীর্ষ পদে থেকে পুরো উপজেলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় গিয়ে কমিটি গঠনে কাজ করেন। যার ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আহ্বানও রাখেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি হলে তিনিই ওই সময় সভাপতি নির্বাচিত হতেন। যা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বয়স ৩১ নির্ধারণ করায় তিনি আর সেই পদে প্রার্থী হতে পারেননি।

২০১০ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। এর আগে তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি পুরোদমে আইন পেশায় মনোযোগী হন। ভার্সিটি জীবনেও তিনি ভার্সিটিতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আইন পেশায় এসে তিনি ২০১৫ সালের দিকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানেও তিনি একই পদে বহাল রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালিত আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান যার বাবা আফজাল হোসেন ভূঁইয়া ছিলেন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। প্রয়াত আফজাল হোসেন ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে জনগণের সেবা করেছেন। বর্তমানে মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়ার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম দুলাল মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের জিএস। আপন বড় ভাই খোকন ভূঁইয়া আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি। এছাড়াও আরেক ছোট ভাই আবু ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত।

এছাড়াও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এখন সদাচারী নম্র ভদ্র সহজ সরল আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া একই সঙ্গে রূপগঞ্জের সামাজিক কর্মকান্ডেও সক্রিয়। রয়েছেন রূপগঞ্জের স্থানীয় অনেষা জামে মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। সহযোগীতা করে আসছিলেন ছোট ছোট বিদ্যালয়ের অনেক কর্মকান্ডেও। রয়েছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও। তিনি বর্তমানে রূপগঞ্জ শিল্পগোষ্ঠী নামের একটি সংগঠনের সভাপতির পদেও রয়েছেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, আমার বাবা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (সদস্য) ছিলেন। তিনি মানুষের সেবা করেছেন। বাবার মত আমিও মানুষের সেবক হতে চাই। আমি চাই রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে। সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী।

প্রধানমন্ত্রীর ’সেবা পদক’ পেলেন বন্দরের কামরুন্নাহার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ‘সেবা পদক’ গ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ বন্দরের আনসার ভিডিপির দলনেত্রী কামরুন্নাহার লিপি। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, বাল্যবিবাহ এবং যৌতুক বিরোধী আন্দোলনসহ বেকার নারীদের কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূূমিকা পালন করায় সম্প্রতি গাজীপুরের সফিপুুর আনসার ভিডিপি একাডেমীর প্যারেড স্কোয়াডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে ওই পদক তুলে দেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রী পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, কামরুন্নাহার লিপি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের বন্দর শাহী মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য জান মোহাম্মদের মেয়ে। ৩ ভাই বোনের মধ্যে কামরুন্নাহারের অবস্থান তৃতীয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আনসার ভিডিপির ২১নং ওয়ার্ডের দলনেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার নেতৃত্বে ২১নং ওয়ার্ডে বাল্যবিবাহ, মাদকের অপব্যবহার প্রতিরোধসহ সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড রোধ করা হয়।

দুই মামলায় জামিন পেলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার দুটি নাশকতার মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাষানী ভুইয়া, অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দীন সরকার, অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান খান খোকা, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু সহ বিএনপির অর্ধশতাধিক আইনজীবী।

মামলা সূত্রে জানাগেছে গত বছরের নভেম্বর মাসে রূপগঞ্জ থানার দুটি নাশকতার মামলায় তৈমুর আলম খন্দকারকে আসামী করা হয়। যার মামলা নং ২৪(৯)১৮ ও ৮(৯)১৮। এ দুটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিন পান তিনি। এবং শর্ত ছিল চার্জশিট দাখিলের ৩০ দিনের মধ্যে নিম্ম আদালতে আত্মসমর্পন করতে হবে। তাই বৃহস্পতিবার তৈমূর আলম খন্দকার আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন দেন।

সাংবাদিক মাসুদ তালুকদার ও জামাল তালুকদারের মায়ের কুলখানি, দোয়া মিলাদ মাহফিল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক মাসুদুর রহমান তালুকদার ও জামাল তালুকদারের মায়ের কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকরী ও সাংবাদিকবৃন্দ সহ মরহুমার আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার নারায়ণগঞ্জ শহরের কুমুদিনি বাগান মসজিদে বাদ জোহর নামাজের পর মরহুমার কুলখানি উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। বাদ জোহর দোয়া মাহফিলে কুলখানিতে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয়তাবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, একাত্তুর লাইভ ডটকম নিউজ এর সম্পাদক মোঃ এমরান হোসেন, যুগেরচিন্তা ডটকম এর বার্তা সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ শাওন আহম্মেদ, জেলা যুবলীগের নেতা শাহ্ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ, সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক মাজরুল ইসলাম রোকন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সজীব, ভোরের কথার সম্পাদক আরিফুজ্জামান, অপরাধ রিপোর্ট এর সম্পাদক মাসুদুর রহমান দিপু, সংবাদচর্চার সঞ্চালক ও রিপোর্টার বদিউজ্জামান, আমাদের সময় পত্রিকার জেলা ফটো সাংবাদিক রিপন আহম্মেদ, খবর নারায়ণগঞ্জ এর মশিউর রহমান, বন্দর প্রেস ক্লাবের শাহীন ও নারায়ণগঞ্জ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক রিপন মাহমুদ সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

আড়াইহাজারে অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধার পাশে বীর সেনারা, হলো মিলন মেলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দি ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছামসুজ্জামান সরকার বাবুলের বাস ভবনে বন্দর থানা মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর থানার মুক্তিযোদ্ধারা অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছামসুজ্জামান সরকার বাবুলের খোজ খবর নেন।

এ সময় অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছামসুজ্জামান সরকার বাবুলের সুস্থ্যতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়। পরে তারা দুপুরে তার বাস ভবনে মধ্যাহ্নভোজ শেষে সকল মুক্তিসেনাদের দীর্ঘায়ু কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া পাঠ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জালু, মোঃ আশাবুদ্দিন, আইয়ুব আলী, মোশারফ খান, বদরুদ্দীন(বদু), নুর হোসেন, বাদশা, আলি(পাগলা), ইউসুফ, নাজিম মাস্টার, হোসেন, মোবারক শেখ, মনজিল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন সরকার, শেখ মুজিবুর রহমান কচি, মহিউদ্দিন ও আব্দুল্লাহ বাবু প্রমুখ

প্রতিদন্ধীতা বিহীন নির্বাচনী সংস্কৃতি দৃঢ় হচ্ছে

বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল তার রাষ্ট্রীয় পরিচিতি “গণপ্রজাতন্ত্রী” এবং ১৯৭২ ইং সালে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে সংবিধান প্রনীত হয় তার পরিচিতি “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।” রাষ্ট্রীয় ভাবে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলেও এর বর্তমান অবস্থান কোথায় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষকদের মতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে তারা কি মতামত পোষন করেন এ মর্মে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষনা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হার্ডসের মন্তব্য থেকে আচ করা যায়। ফ্রিডম হাউস যে মন্তব্য করেছে তা নিম্নরূপ ঃ-

“টানা ১৩ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা কমছে। এ থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের বিবেচনায় এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্কোর আগের বছরের তুলনায় কমেছে ৪ পয়েন্ট। ডেমোক্র্যাসি ইন রিট্রিট: ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০১৯ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত সোমবার প্রকাশ করেছে ফ্রিডম হাউস। এতে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ১০০ (সবচেয়ে ভালো) এর মধ্যে ৪১। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ছিল ৪৫। তার আগের বছর ৪৭। ১৯৫টি দেশ ও ১৪ অঞ্চলের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার এ দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার স্কোর নির্ণয় করা হয়েছে। ৪১ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আছে আংশিক মুক্ত দেশের কাতারে। আগের দুই বছরও একই ক্যাটাগরিতে ছিল বাংলাদেশ। অপর দুটি ক্যাটাগরি হলো যুক্ত ও মুক্ত নয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়ন ও ভয়ভীতি দেখায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভোটের দিনও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এবং বিভিন্ন দলের মধ্যে সংঘাতের তথ্য এসেছে, ডজনখানেক লোকের প্রাণ গেছে সহিংসহায়। ১০০ এর মধ্যে ১০০ স্কোর নিয়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে তিন দেশ ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেন। বিপরীত দিকে একেবারে তলানিতে আছে সিরিয়া। দেশটির স্কোর শুন্য ” (সূত্র: জাতীয় পত্রিকা ০৭/০২/২০১৯ ইং)।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং জাতীয় নির্বাচন-২০১৮ নিয়ে শুধু আন্তর্জাতিক গবেষনামূলক সংগঠন থেকে নয় বরং বাংলাদেশের বুদ্দিজীবি সমাজ যারা সরকারের পক্ষেই একসময় সাফাই গাইতেন তারাও এখন নির্বাচনের অনিয়ম সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছেন। ইংরেজী জাতীয় দৈনিকের একটি অন-লাইন পত্রিকায় ০৬/০২/২০১৯ ইং তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তো প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন কেন উঠলো সেটিই আমার প্রশ্ন। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই বলেছেন তিনি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না। সেই ক্ষেত্রে প্রশ্ন কেন উঠলো? এটি শুধু বিএনপি বা ঐক্যজোটের প্রশ্ন নয়, দেশের ভেতরে-বাইরে থেকে এই প্রশ্ন উঠেছে। যেমন, জাসদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিকদল। তারাও তো প্রশ্ন তুলেছে। কাজেই অন্যকোনো নির্বাচন এ ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ হোক সেটি আমরা চাই না। নির্বাচন নির্বাচনের মতোই হোক।” এ বিষয়ে ১/১১ সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের মন্তব্য, “তিনি (সিইসি) যদি তার অবস্থান থেকে মনে করেন গত জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এবং তিনি যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চান তা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যে, বিগত জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র সরকার পক্ষ ও সরকার সমর্থকদের কাছ থেকে শোনা গেছে কোনো রকম অনিয়ম হয়নি। কিন্তু এর বাইরে যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি, কিংবা আমাদের ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-র প্রতিবেদন করতে গিয়ে যখন গবেষণা করতে গিয়েছি তখন বিভিন্ন সূত্র থেকে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এসেছে।”

বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে জলাঞ্জলি দেয়ার জন্য কাগজে কলমে স্বাধীন সাংবিধানীক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা যারা শপথ গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের অধিকার রক্ষায় দায়িত্ব নিয়েছেন তারাই জল্লাদের ভূমিকা পালন করেছেন। কোন সাংবিধানিক স্বাধীন নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করেন নাই। বরং জনগণের অধিকারকে কি ভাবে ক্ষুন্ন করা যায় তারই নীল নকশা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ এবং সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেছেন। ব্যতিক্রম যারা ছিলেন তারা ধোপে টিকে নাই। ভোটার বিহীন একটি নির্বাচন করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে দেশব্যাপী গায়েবী মামলা দিয়ে জনগণকে নজীর বিহীন হয়রানী করা হয়েছে যার বিবরণ প্রতিনিয়তই মিডিয়াতে প্রকাশ পেয়েছে কিন্তু সে হয়রানীর প্রতিকার কোথাও পাওয়া যায় নাই। উল্লেখ্য, “ধান বেচে জামিন নিতে ঢাকায়” শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে ০৭/০২/২০১৯ ইং তারিখে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা পাঠ করলেই দেশব্যাপী গায়েবী মামলার শিকড় কতটুকু গড়িয়েছে তা অনুধাবন করা যায়। সংবাদটি নিম্নে হুবুহু তুলে ধরা হলো ঃ-

“পাঁচ শ টাকা মণে আমন ধান বেচে মামলার আগাম জামিন নিতে ঢাকা এসে ২০ টাকা প্লেট ভাত খেতে হয়েছে। তাতেই মেজাজ গরম ফজল খানের। হিসাব কষছিলেন এক জামিনে কয় মণ ধান গেল। সত্তরের কোঠায় বয়স এই কৃষকের বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে। নির্বাচনের আগে নাশকতার মামলায় আসামি করা হয় তাঁকে। নির্বাচনের দিন জেনেছেন মামলার খবর। ফজল খান বলেন, সবই গায়েবি মামলা। আমার বাড়ি থেকে কয়েক মাইল দূরের ঘটনা সব। কেন মামলা দিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমির আইল নিয়া ঝামেলা ছিল, আর কোনো ঝামেলা তো মনে করতে পারি না। আমরা তো পার্টিও করি না। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ৭০ জনের দলটির সঙ্গে ছিলেন ফজল খান। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানায় হওয়া মামলাটিতে মোট আসামি ১০৫। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে কাগজের নৌকা প্রতীক ও পোষ্টার পোড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের সবাই কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। কয়েকজন কোনো টাকা দেননি, বাকিরা এক থেকে তিন হাজার করে টাকা দিয়েছেন আইনজীবীর খরচ হিসেবে। প্রতি ১০ জনের এক ফাইলে আইনজীবী পাঁচ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। আছে যাতায়াতের খরচও। ফজল খানের হিসাবে অন্তত সাত মণ ধানের দাম বেরিয়ে গেল এক মামলার জামিন নিতে এসে। তিনি বলেন, চাষে আর লাভ হয় না। বীজ-সার-পানি দিতে কাঠাপ্রতি দুই হাজার ছয় শ টাকা খরচ হয়। এবার আমনের দরও ভালো, মণপ্রতি পাঁচ শ টাকা। এই দরে এক কাঠা জমিতে (ওই এলাকায় ১০ শতাংশে এক কাঠা) আড়াই হাজার টাকার ধান পাওয়া যায়। কাঠাপ্রতি এক শ টাকা লোকসান। তার ওপর মামলায় অনেকগুলো টাকা বেরিয়ে গেল। খেতে আউশ ধান লাগানোর প্রস্তুতি ফেলে আসতে হয়েছে। তবে জামিনের জন্য একটি টাকাও দিতে পারেননি সবুজ মিয়া। দিনমজুর সবুজ মিয়া দলের একটু বাইরে হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনের হাঁটাপথে প্লাষ্টিকের স্যান্ডেলের ওপর বসে ছিলেন। বয়স আনুমানিক ৫৫। তবে কাঁচা-পাকা চুল-দাড়িতে আরও বয়স্ক লাগে। হাতের ১০টি আঙুলই ক্ষয়ে কালো হয়ে গেছে, কয়েকটি দাঁতও নেই। কী মামলা জিজ্ঞেস করতেই ফোকলা দাঁতে হেসে সবুজ-বলেন, দিছে একটা! আমি কিছু বুজি না। গ্রামের লোকে কইল আসামি করছে, জামিন নিতে অইব। আমি কাইজ-কাম থুইয়া আইলাম। অন্যের বাড়িত কাম করি। আমি তো কাউরে কুনো ট্যাকাও দিতে পারি নাই। হাতের ক্ষয়ে যাওয়া নখ দেখিয়ে বলেন, খেত আর গোয়ালঘরে কাজ করতে করতে হাতের আঙুল ক্ষয়ে গেছে। নেত্রকোনার দলটির মতো ব্রাক্ষ¥ণবাড়িয়ার সদর থানা ও বিজয়নগর, বগুড়ার সোনাতলা, নোয়াখালীর চরজব্বর থেকে আরও প্রায় তিন শ লোক এসেছিলেন। ব্রাক্ষ¥ণবাড়িয়া সদর থানার তিনটি মামলায় জামিন নিতে এসেছিলেন ১৫২ জন। তাঁদের কয়েকজন জানান, তাঁরা প্রায় সবাই বিএনপির রাজনীতি বা যাঁরা বিএনপি করেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত। নির্বাচনে ধানের শীষের এজেন্ট হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। আগের দিনই থানা থেকে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে এলেই গ্রেপ্তার করা হবে। তবে ব্রাক্ষ¥ণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে আসা কৃষক রফিকুল ইসলাম, সামাদ মিয়ারা জানালেন, তাঁরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁদেরও মামলায় জড়ানো হয়েছে।”

জাতীয় নির্বাচন ২০১৮ একটি ভোট বিহীন নির্বাচন করে সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে নাই বরং প্রতিধন্ধীতা বিহীন একটি নির্বাচনী সংস্কৃতি চালু করেছে। এ ব্যবস্থা কারণে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলি সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এখন আর মানুষ নির্ভয়ে প্রতিধন্ধীতা করতে এগিয়ে আসতে চাইবে না। স্থানীয় সরকার দলীয় মার্কায় নির্বাচন হওয়ায় সরকারী মার্কা প্রাপ্ত প্রার্থীকে পাস করানোর জন্যই পুলিশ প্রশাসন ব্যতিব্যস্থ থাকার কথা সরকার সমর্থীত এবং বাম দলগুলির পক্ষ থেকে আওয়াজ উঠেছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুর্ননির্বাচনের দাবিতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে ১১/০২/২০১৯ ইং তারিখে সাংবাদিক সম্বেলনে বাম জোট নেতা সাইফুল হক বলেন, “৩০ ডিসেম্বরের অভূতপূর্ব ভোট জালিয়াতির পর নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনি ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও জাতীয় নির্বাচনের মতো অর্থহীন ও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সরকারের শরিকরাও এ কারণে এসব নির্বাচনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছে। এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া হলো।”

প্রতিদন্ধীতা বিহীন যে নির্বাচনী সংস্কৃতি চালু হয়েছে জাতীয় ঐক্য মতের ভিত্তিতে তা প্রতিরোধ করা না হলে স্বাধীনতার চেতনা বা রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অর্থাৎ “গণতন্ত্র (সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং-৮) দিনে দিনে ধূলিস্যাতের জন্য জাতিকে আর বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা এমনিতেই চালু হয়ে গেছে, বাকী শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
বিঃ দ্রঃ কলামিষ্ট তৈমূর আলম খন্দকার প্রনীত “মিথ্যার কাছে জাতি পরাজিত” এবং “নিশি রাত্রির দ্বিপ্রহর” একুশে গ্রন্থ মেলা-২০১৯ এ প্রকাশিত হচ্ছে। তাছাড়া পূর্বে লেখক প্রনীত “মীরজাফর যুগে যুগে” “সময়-অসময়” ও “রাজনীতির ভগ্নাংশ” একুশে গ্রন্থ মেলার ৫৬২নং ষ্টলে পাওয়া যাবে।

লেখক: অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার
কলামিষ্ট ও আইনজীবি (এ্যাপিলেট ডিভিশন)
বিঃদ্রিঃ এই লেখা লেখকের ব্যক্তিগত মতামত যা অনলাইন পোর্টাল ‘ সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’ এর নয়।

সর্বশেষ সংবাদ