বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর ‘বসন্ত বরণ উৎসব’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

১৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষ্যে বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী’র উদ্যোগে বসন্ত বরণ উৎসব পালিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে পিঠা-পুলি আর সংস্কৃতি সমৃদ্ধ গান-কবিতায় উৎসবটি সাজানো হয়। সকাল ১১টায় উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধণ করেন বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি ও বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী।

একাডেমীর নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু ও সদস্য শাহী ইফাৎ জাহান মায়ার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে অংশ নেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মোঃ মোখলেছুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোঃ আবুল জাহের, বন্দর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রোমানা আক্তার, বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশীদ, বন্দর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার, বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম. নূরুল আমিন, বন্দর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী সালিমা হোসেন শান্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক সোনিয়া রহমান, বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সদস্য আশরাফ আলী, সাব্বির আমিরসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মোহাম্মদ হোসেন নূর, নাট্যাভিনেতা আল মামুন, বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ গভর্ণিং বডির সদস্য আতাউর রহমান আরজু, সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

৫ ঘন্টা ব্যাপী এ অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি মোঃ ওবায়েদউল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু, কার্যকরি সদস্য মিতু মোর্শেদ, রইস মুকুল, ফজলুল করিম, মোঃ সেলিম ও রোকসানা রহমান সামিয়া। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী নাজমা সুলতানা, হাফেজ সরকার, মোয়াজ্জেম হোসেন, সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু, মাহাবুবুল ইসলাম, সুরমি রায়, আকলিমা আক্তার রতœা, দেলোয়ার হোসেন, মনসুর সাদেক আজাদ, পিকে পারভেজ, লিজা আক্তার, পুস্পিতা রায়। নৃত্য পরিবেশণ করেন রোকসানা রহমান সামিয়া ও তার দল। কবিতা আবৃত্তি করেন রইস মুকুল,মোয়াজ্জেম হোসেন ও কবি সিরাজুল ইসলাম।

বন্দর গকুল দাসেরবাগে রাস্তা নির্মাণ ধীরগতি, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লায়ন সাইফুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম কন্ট্রাক্টরের ব্যক্তিগত অর্থায়নে অত্র ওয়ার্ডের গকুলদাসেরবাগ পূর্বপাড়া ইদ্রিছ আলীর বাড়ী থেকে শারইল লাল মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত প্রায় পৌনে ১ কিলোমিটার রাস্তাটির মাটি ভরাট কাজের ৯৫ ভাগ কাজ গত ১৫ দিনে শেষ করার পরও রাস্তার উদ্যোক্তারা অদৃশ্য কারণে রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারছেন না জানতে পেরে স্থানীয়রা তাদের পক্ষে ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

বিক্ষোভকালে স্থানীয়দের মধ্য থেকে আবদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, দ্বীন ইসলাম, শফিক, নজরুল ইসলাম, মোকাদ্দেছ, তারেক, শ্রমিক পার্টি নেতা রফিকুল ইসলাম, নূর হোসেন, হারুন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের জানান, রাস্তার অভাবে অত্র শারইল গ্রামের কয়েক শত মানুষ দীর্ঘদিন কর্মস্থলে যাওয়া নিয়ে বিশাল বিপাকে পড়ে আছেন এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও চলাচলে মারাত্মক সমস্যা মোকাবেলা করে আসছে। প্রয়োজনে উক্ত গ্রামের মানুষ অন্য এলাকা দিয়ে ঘুরে গকুলদাসেরবাগ চৌরাস্তায় আসা-যাওয়া করে যা তাদের কর্মস্পৃহাকে নষ্ট করে সময়ের যথেষ্ট অপচয় করে থাকে।

তারা আরও বলেন, জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের গকুলদাসেরবাগের বাসিন্দা লায়ন সাইফুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম কন্ট্রাক্টরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও তারা রাস্তার জায়গা ক্রয় করে ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৫ ফুট প্রশস্ত করে রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ ৯৫ ভাগ শেষ করলেও স্থানীয় মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে প্রবাসী বাবুল রাস্তার জন্য তার বাড়ীর পাশে সামান্যটুকু জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় বাদবাকি ৫ ভাগ মাটি ভরাটের কাজ শেষ করা যাচ্ছেনা। প্রবাসী বাবুল একটা সময় রাস্তার জায়গা দিতে রাজি থাকলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী কুচক্রিদের প্ররোচণায় বর্তমানে সে জায়গা দিতে রাজি হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা আক্ষেপ করে জানান, ঠিক ১৫ বছর আগেও বাবুলের পিতা আবদুল হাই জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় এই রাস্তা নির্মাণ করা যায়নি এবং সে কারণে এ রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় দীর্ঘদিন আমরা চলাচলের ভোগান্তিতে পড়ে আছি। এখন যখন রাস্তার সকল কাজ শেষ এখন স্থানীয় কিছু কুচক্রি মহল প্রবাসী বাবুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে এখন রাস্তা নির্মাণকে বাধাগ্রস্থ করছে। যারা একাজ করেছে তারা চরম ঘৃণীত ও নীচু মনের পরিচয় দিয়েছেন। নির্মাণাধীন রাস্তাটি ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ পরিদর্শণ করেছেন এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি ভূঁইয়া রাস্তার জায়গা দিতে বাবুল ও তার পরিবারকে অনুরোধ জানালেও তারা তা উপেক্ষা করায় রাস্তা নির্মাণ বর্তমানে আটকে আছে।

এ বিষয়ে ধামগড় ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরে রুপান্তর করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বন্দরের প্রতিটি গ্রামে ভাল রাস্তা থাকবে যাতে রাস্তা দিয়ে জনগণ নির্বিঘেœ কর্মস্থলে যেতে পারে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার নির্বিঘেœ যেতে পারেন এমন স্বপ্ন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান দেখে যাচ্ছেন। তার স্বপ্নের আলোকে মানুষের ভোগান্তি লাঘবে আমরা রাস্তা নির্মাণের দিকে এগিয়ে গিয়েছি এবং বর্তমানে অবশিষ্ট রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের চলাচলের বিষয়টি সুগম করতে এমপি সেলিম ওসমানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বসন্তে নেতাকর্মীদের নিয়ে হারিয়ে গেলেন খোকন সাহা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। তিনি একজন আইনজীবী ও রাজনীতিক। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি। ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি পদেও। এই রাজনীতিককে সচারাচর আনন্দ উল্লাস করতে তেমন একটা দেখা যায়না। আইন পেশা ও রাজনীতির প্রতি তিনি খুব সিরিয়াস। ইদানিং জাতীয় পত্রিকায় তিনি রাজনীতি নিয়ে লেখালেখীও করছেন। কিন্তু এবার বসন্তের আগমনকে নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বাগত জানালেন এই রাজনীতিক। দেখা গেল হাস্যোজ্জল। নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করলেন আনন্দ।

জানাগেছে, পহেলা ফাল্গুনের প্রথম প্রহরে সকল ব্যস্ততাকে পদদলিত করে নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ উপভোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে তিনি বন্দরের সাবদী ফুল কাননে গিয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেন।

পহেলা ফাল্গুনের দোলা সাজানো রজনীতে খোকন সাহা বাসন্তি রঙ্গের পাঞ্জাবী ও তার সহকর্মী আওয়ামীলীগ নেত্রী মাহমুদা মালাসহ অন্যান্য নারী নেত্রীরাও লাল আর সবুজের শাড়ী পড়ে খোপায় গাদা পলাশ ফুলের মালা পড়ে আনন্দ উপভোগে খুজে নিচ্ছে শ্বাশ্বত বাঙ্গালিয়ানা। এ সময় মাতাল করা নানা ফুলের সৌরভে আওয়ামীলীগ নেতা খোকন সাহা যেন তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উৎসবের মধ্য দিয়ে ঋতুরাজকে স্বাগত জানালেন।

এ সময় খোকন সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশিদা বেগম, মায়ানুর আহমেদ মায়া, নীল আক্তার নিশি, অ্যাডভোকেট চায়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি রুহুল ও দায়েন সহ অন্যান্যরা।

নারায়ণগঞ্জে ৪১ জুয়ারি সহ ৭১ জন আটক, সাধুবাদ পেল এসপি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৭১ জনকে আটক করেছে জেলা পুুলিশ। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে ৪১ জন জুয়ারীকে একটি স্পট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুুলিশ। তাদের প্রত্যেককে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে ৪১ জন জুয়ারিকে আটকের বিষয়টি নারায়ণগঞ্জে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারন এ জুয়ারীর আসরটি বিশেষ মহলে বিভিন্ন এমপিদের নাম ভাঙ্গিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন বলেও জানাগেছে। এর আগেও নারায়ণগঞ্জে ২৪ জন জুয়ারিকে আটকের ঘটনা ঘটেছিল। তারপর আবারো রহস্যজনক ক্ষমতাবলে জুয়ার আসর বসানো হয়। কিন্তু এবার ছাড় দেয়া হয়নি।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসষ্ট্যান্ড, কালীরবাজার ও আশেপাশের এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের ক্ষমতাধর দাবি করে রমরমা জুয়ার আসর পরিচালনা করছে আসছিল। যা এবার গুড়িয়ে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। নারায়ণগঞ্জের এই পুলিশ সুপার কোন ক্ষমতাধরকে তোয়াক্কা করেননি। তিনি অপরাধীদের অপরাধী হিসেবেই আটক করেছেন। তবে ধরা ছোয়ার বাহিরে রাঘববোয়ালরা।

গত ১২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাতে পুলিশের এমন কঠোর অভিযানে ৪১ জন জুয়ারীকে জুয়ার আসর থেকে আটকের পর নারায়ণগঞ্জের সকলের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। একই সাথে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে সাধুবাদ জানায় নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল। অনেকেই পুলিশ সুপারকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিনন্দনের ঝড় তুলেছেন। এদিকে আটককৃত ৪১ জুয়ারী সহ ৭১ জনকে আদালতে পাঠানোর পর আদালত জুয়ারীদের শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিলেও অন্যান্যদের বিষয়ে আদালত ভিন্ন ভিন্ন আদেশ প্রদান করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানাগেছে।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাতটি থানায় গত ১১/০২/২০১৯ খ্রিঃ ২০.০০ ঘটিকা হইতে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। গত ১২/০২/২০১৯ খ্রিঃ ২০.০০ ঘটিকা হইতে ১৩/০২/২০১৯ খ্রিঃ ০৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল থানায় অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযানে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ), (সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার)। উক্ত অভিযান পরিচালনায় কাজ করে মোট ১৪ টি টিম। প্রতি টিমে একজন করে সাব ইন্সপেক্টর সহ ৯ থেকে ১০ জন করে ফোর্স অংশগ্রহণ করে। উক্ত অভিযানে মোট ২৯ টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (জি.আর) ও ১২টি (সি.আর) তামিল করা হয় এবং ২টি সাঁজা পরোয়ানা গ্রেপ্তার করা হয়। মোট ৪৩টি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) নিষ্পত্তি করা হয়। এছাড়াও অভিযানে ১৩৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ১ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা, অভিযানে মোট ১৮টি মাদক মামলা দায়ের করা হয় এবং এ সংক্রান্ত্রে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আড়াইহাজারে সেই ব্যারিস্টার সুমনের ফেসবুক লাইভ, প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বেশকটি যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেশের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে আলোচনায় আসছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। তার প্রতিটি ফেসবুক লাইভের পর তাৎক্ষনিক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাও গ্রহণ করছেন। এবার তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের একটি অসংগতি ফেসবুকে তুলে ধরেন। যার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বাগবাড়ি এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বিকল অবস্থায় পড়ে ছিল একটি বাস। এ পথে যাওয়ার সময় আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুুমন বাসটি ৬ মাস যাবত পড়ে রয়েছেন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি লাইভ করেন। যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর বাসটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন।

ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন গত শুক্রবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাগবাড়ি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তার বাড়ি। ওই সময় তিনি ফেসবুকে একটি লাইভ ছাড়েন। যেখানে তিনি দাবি করেন মহাসড়কের পাশে একটি বাস ৬ মাসের উপরে বাসটি পড়ে আছে বলে জানান। গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-১১-১৫২২। গাড়িটি পড়ে পঁচতেছে এখন। এত ব্যস্ততম সড়ক। এমন ব্যস্ততম সড়কে রাস্তার সাইট দখল করে আছে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ নাই যেখানে গাড়ি এভাবে পড়ে থাকবে। অথচ গাড়িটি পড়ে আছে কেউ খবর নিচ্ছেনা। মহাসড়ক কি কোন পরিত্যাক্ত গ্যারেজ যেখানে গাড়ি ফেলে রাখবেন? এ রকম মহাড়কের পাশে এমন একটি গাড়ি পড়ে থাকবে সেটা কেউ সরাবে না? তাহলে আমরা কিসের মধ্যে আছি?

এছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জের ডিসি এসপি ওসির দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি হাড় জোড় করে অনুনয় বিনয় করে বলেন, এখানে আমার জান যেতে পারে। আপনার জানও যেতে পারে। ৬ মাস একটি মহাসড়কে গাড়ি পড়ে থাকতে পারে না। এটা যদি এভাবে পড়ে থাকে এটা কোন যুদ্ধবিধ্বংস্ত দেশ না। আমাদের সব কিছু আছে। এটার জন্য দায় তো অন্য কেউ নিবে না। আপনারা যারা প্রশাসন আছেন তারা যদি সরান তাহলে আমরা মারা যাবো। ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের ওই ভিডিও লাইভটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘ সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, ওই গাড়িটি মালিক সরিয়ে নিয়ে গেছে। আমার দৃষ্টিতে বিষয়টি আসার পর সঙ্গে সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে গাড়িটি সরাতে কাজ করি এবং গাড়ির মালিক গাড়িটি নিয়ে গেছেন।

বন্দরে সোনাকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল মনোনয়নের শেষ দিনে উৎসব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সারাদেশের মত নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অত্যন্ত উৎসবমূখর পরিবেশে ৫১নং সোনাকান্দা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল-২০১৯ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২০ফেব্রুয়ারী এ স্টুডেন্ট কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারবে।

আজ ছিল মনোনয়ন নেওয়ার শেষ দিন। ১৪ তারিখে মনোনয়ন বাছাই এবং ১৫ তারিখ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হবে। বুধবার মনোনয়ন সংগ্রহের সমাপনী দিনে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী মায়েদা আহম্মদ তুলি মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। শিশুকাল থেকে গণতন্ত্র চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধাশীল হতে এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠনের গুরুত্ব অপরিসীম। নির্বাচনে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল হককে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আহাম্মদ আলী, আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল হাসান মৃধা, এমএ কাইয়ুম, শারমিন শিমু, প্রধান শিক্ষক মাজেদা বেগম, শিক্ষক নুর জাহিদ বাদল, শেখ কামাল, শাহআলম, নিপা আক্তার, মেহেরুজ জাহান মীম, বিবি কুলসুম ও অনন্যা সূত্রধর প্রমুখ।

অনলাইনে কেনাকাটা: চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রতারিত ক্রেতা সাধারণ

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

অনলাইনে পণ্য ক্রয় করে ঠকছেন ক্রেতা সাধারণ। ফেসবুক ও ইউটিউবে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সহজ সরল ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে সেই পণ্য বিক্রয় করছেন প্রতারক চক্র। কিন্তু ফেসবুকে লাইভে পণ্যের মান ও গুণাগুণ যা দেখানো হচ্ছে তা পণ্য ডেলিভারির পর তার কিছুই পাওয়া যাচ্ছেনা। কিছ পণ্য বিক্রেতারা সঠিক পণ্য সরবরাহ করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরেও বিষয়টি আসছে না। অনলাইনে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে সেই সব পণ্য যখন ক্রয় করা হয় তখন দেখা যায় হাজার টাকার পণ্য একশত টাকার মুল্যের। আবার পণ্য ফেরত দেয়া হলেও সঠিক পণ্যটি সরবরাহ করছে না। পরে যোগাযোগ করা হলেও ক্রেতাদের সঙ্গে করছেন অশোভন আচরণ। এমন সব প্রতারক চক্র এখন পণ্য বিক্রয়ের নামে ফেসবুকে সক্রিয়। আবার প্রথমে সঠিক পণ্য ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করে ফাঁদ তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে পণ্য ক্রয় করা হলে দেওয়া হয় মানহীন পণ্য।

অনেকেই বলছেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রতারণার বড় ধরনের ফাঁদ হল অনলাইনে পণ্য ক্রয় বিক্রয়। দিন দিন অনলাইনে কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর এ সুযোগে একটি প্রতারক চক্র গ্রাহকদের সঙ্গে করছে প্রতারণা। অনলাইনে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে অনেক সাধারণ মানুষ পণ্য কিনে নানাভাবে এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পণ্য সরবরাহ না করা এবং করলেও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। পণ্যের মূল্য পরিশোধ করলেও সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করারও অভিযোগ শোনা যায়।

তাছাড়া অনলাইন শপিং করতে এখন সকলেই কমবেশি ভালোবাসেন। সময় স্বল্পতার কারনে অনেকেই অনলাইনে পণ্য ক্রয় করে থাকেন। তবে বেশির ভাগ প্রতারণা করা হয় জামা কাপড়ের বেলায়। প্রতিনিয়তই লাফিয়ে বাড়ছে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা। ঘরে বসে ফেসবুকে ছবি ও লাইভে পণ্যের ছবি দেখে মনের মত জিনিস অর্ডার (ফরমায়েশ) করবেন মানুষ, আর তা বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। ডিজিটাল কেনাকাটা যত বাড়ছে, ততই অনলাইনে জালিয়াতির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। হ্যাকিং উত্তরোত্তর বাড়ছে।

এছাড়াও বর্তমানে অনেক শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়েরা ফেসবুকে পেজ খুলে অনলাইনে ব্যবসা চালু করে ব্যবসা করছেন। আর এ ব্যবসা যতই প্রসার লাভ করছে ততই যেন প্রতারণা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঠিক ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে ওঠেছে প্রতারক চক্রও। তাদের প্রতারণার অন্যতম মাধ্যম হল চমকপ্রদ বিঞ্জাপন। দেখানো হয় যে পণ্যটি সেই পণ্যটি আর সরবরাহ করেনা। আর এসব বিঞ্জাপনে আকর্ষিত হয়ে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ এসব প্রতারণায় বেশি শিকার হচ্ছে নারীরা। তাদের সহজ সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগাচ্ছে প্রতারক চক্র। তাই এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত বলে মনে করছেন প্রতারণার শিকার ক্রেতারা।

সোনারগাঁয়ে পুরোদমে মাঠে আবু নাঈম ইকবাল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের লক্ষ্যে পুরোদমে মাঠে নেমেছেন শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবু নাঈম ইকবাল। স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিতি আবু নাঈম ইকবাল সোনারগাঁয়ের ক্রীড়াঙ্গন ও শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপক ভুমিকা রেখে আসছেন। ইতিমধ্যে তিনি সোনারগাঁয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। নিয়মিত তিনি স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। সকলের সমর্থনও পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই নেতা। সবার আগে তিনিই এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থেকে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করেছেন।

জানাগেছে, আগামী সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও ভট্টপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু নাঈম ইকবাল উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের (মেম্বার) সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এর আগে তিনি বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তাদের সমর্থন পেতে তিনি এ মতবিনিময় সভা করেন।

১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে তিনি এ মতবিনিময় সভা করেন। পরে তিনি জামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার ছবি সম্বলিত লিফলেট বিলি করেন। তিনি সোনারগাঁও উপজেলা শিক্ষা কমিটিতেও রয়েছেন। রয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও। সোনারগাঁয়ে ছাত্র ও যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে প্রতিটি এলাকায় খেলাধুলা ছড়িয়ে দিচ্ছেন আবু নাঈম ইকবাল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহম্মদ মোল্লা বাদশা, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জামিলা খাতুন, জরিনা বেগম, নিলুফা বেগম, মোঃ ছগির হোসেন, মোঃ বদরুজ্জামান, হাজী মোঃ সানাউল্লাহ, আলীজান মিয়া, মোঃ সুজন মিয়া, মোঃ ইব্রাহিম, বকুল ভুইয়া, মোঃ লুৎফর রহমান, মোঃ কামরুজ্জামান ও সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জে ১২’শ আইনজীবীর কল্যাণে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে

সান নারায়ণগঞ্জ টুযেন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে বর্তমানে প্রায় ১২’শ আইনজীবী রয়েছেন। হাজারের অধিক এই আইনজীবীদের কল্যাণে তাদের স্বপ্ন চলছে বাস্তবায়নের পথে। বিরাট এক কাজ হাতে নিয়েছেন আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। অনেক শঙ্কা নানা আলোচনা গুঞ্জন পক্ষে বিপক্ষে নানা মতামত ষড়যন্ত্র বাধা পেরিয়ে এখন সফলতার পথে তরুণ এই দুই আইনজীবী নেতা। আইনজীবীদের কল্যাণে স্বপ্ন দেখেন এবং তা বাস্তবায়নে অটুট থাকেন সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি এটাই প্রমান করছেন। এখন শেষের পালা। বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাস্তবায়নের পথে দুই আইনজীবী নেতা। তবে সভাপতি ও সেক্রেটারির সঙ্গে গত বছরে নির্বাচিত বিএনপির ১১ আইনজীবীর সহযোগীতাও কম নয়। পুরো পরিষদই ১২’শ আইনজীবীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে কাজ করেছিলেন।

জানাগেছে, গত বছর নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির পুরাতন ভবন ভেঙ্গে সেখানে নতুন ভবন তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নেয় হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার গত বছরের পরিষদ। এর আগের বছর স্থানীয় এমপি একেএম সেলিম ওসমান এক অনুষ্ঠানে এসে আইনজীবীদের জন্য ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের কথা জানান আইন মন্ত্রীকে। ওই সময় একটি উন্নয়ন বিষয়ক আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করা হয়।

পরবর্তীতে এমপি সেলিম ওসমান আইনজীবী সমিতির ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণ্যের ৩ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করেন। এর আগে আইনজীবীদের সভায় সিদ্ধান্ত হয় পুুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে সেখানে নতুন ৮তলা বিশিষ্ট ভবন তৈরি করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি বিশদ পরিকল্পনাও আইনজীবীদের দেখান হাসান ফেরদৌস জুয়েল। আইনজীবীরা সেই বিলটি পাশ করেন। এর আগেই হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া স্থানীয় প্রশাসনিক সকল দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের অনুমতি গ্রহণের কাজগুলো সম্পন্ন করেন।

ওই পুুরাতন ভবন ভাঙ্গা ও নতুন ভবন তৈরি নিয়ে অনেক সিনিয়র আইনজীবীরা দ্বিমত পোষন করেছিলেন। অনেকেই সরাসরি বাধাও প্রদান করেছিলেন। ইজিএমে সরাসরি সমিতির পুরাতন ভবন ভেঙ্গে সেখানে নতুন ডিজিটাল ভবন যাতে না হয় সেজন্য নানা কৌশলি বক্তব্য দিয়ে আইনজীবীদের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়ান। তবে সকলেই নতুন ভবন তৈরির পক্ষে মতামত দেন।

পরবর্তীতে আবারো শঙ্কা ও নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয় সেলিম ওসমান তার ঘোষিত টাকা পরিশোধ করবেন কিনা। জাতীয় নির্বাচনের আগে চলে নানা শঙ্কামুলক আলোচনা। সেলিম ওসমান এমপি না হতে পারলে টাকা দিবেন কিনা তা নিয়েও আইনজীবীদের মাঝে শঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু সেই সব শঙ্কা আলোচনা পিছনে ফেলে এখন নারায়ণগঞ্জের সকল আইনজীবীরাই বলছেন ভবন হয়ে যাবে। কারন ইতিমধ্যে সেলিম ওসমান তার ঘোষিত ৩ কোটি টাকার মধ্যে দেড় কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন। যেসব সিনিয়র আইনজীবীরা শঙ্কা দেখেছিলেন জুয়েল মোহসীন এমপি সেলিম ওসমানের কাছ থেকে টাকা আনতে পারবেন কিনা এবং তারা পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন তৈরি করতে পারবেন কিনা এখন সেই সিনিয়র আইনজীবীরাও বলছেন আসলেই জুয়েল মোহসীন বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজটি সফলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এখন সিনিয়র আইনজীবীদেরও বাহবাহ পেতে শুরু করেছেন দুই আইনজীবী নেতা। সেলিম ওসমানের দেড় কোটি টাকা পরিশোধের পর সকল আইনজীবীদের মধ্য থেকে নানা গুঞ্জন আলোচনা প্রচার অপপ্রচার শঙ্কা কেটে গেছে। এখণ কাজ শুরু হয়ে গেছে ১২’শ আইনজীবীর স্বপ্নের ডিজিটাল বার ভবনের কাজ।

অনেক আইনজীবীরা জুয়েল ও মোহসীন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, ভাল কাজে আলোচনা সমালোচনা থাকবে। কেউ কেউ পরামর্শের অজুহাতে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করবেন। এটাই স্বাভাবিক। যেমন আইনজীবীদের কল্যাণকর বেনাভোলেন্ড ফান্ড তৈরির সময় জুয়েলকে চরমভাবে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছিল। কিন্তু যখন সকল বাধা পেরিয়ে ফান্ডটি তৈরি করা হলো এবং নিয়ম মাফিক বাস্তবায়ন হচ্ছে তখন সকল আইনজীবীদের কাছে হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রসংশার পাচ্ছেন। তবে সকল আইনজীবীই চায় আইনজীবীদের উন্নয়ন। কাজ শুরুর আগে নানা গুঞ্জন শঙ্কা তৈরি হবে এটাই স্বাভাবিক।

আইনজীবীরা আরও বলছেন, হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রতিটি কাজ চ্যালেঞ্জ নিয়েই বাস্তবায়ন করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি যতগুলো কাজ হাতে নিয়েছেন সবগুলো কাজেই বাধা সৃষ্টি হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের পর সকলের প্রসংশা পেয়েছেন। যারা বাধাগ্রস্থ করেছেন তারাও প্রসংশা করেন হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সৃষ্টিশীলতা ও নতুন নতুন উন্নয়নমুলক কাজের উদ্ভাবনী দেখে। আইনজীবী সমিতিতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেন হাসান ফেরদৌস জুয়েল। বারকে ওয়াইফাই জোন করেন তিনি। আইনজীবীদের ডাইরেক্টরী তৈরি করেন। সকল আইনজীবীদের ছবি নিয়ে তৈরি করা হয়। সমিতির ওয়েবসাইটটি তিনি করেন যেখানে সকল আইনজীবীদের তথ্য দেয়া রয়েছে। একজন বিচারপ্রার্থী যে কোন সময় তার আইনজীবীকে সহজে তথ্য কেন্দ্র থেকে খুজে পান।

এদিকে ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার মঙ্গলবার থেকে বার ভবন তৈরিতে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে হয়েছে। তবে কয়েক মাস আগেই সমিতির পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এদিন পুরাতন ভবনের জমির স্থলে থাকা একটি বৈদ্যুতিক ট্রেন্সফরামার ও তিনটি বৈদ্যুতিক খুটি তুলে ফেলা হয়েছে। ভবনের জন্য পাইলিং করার যাবতীয় কাজ এখন শুরুর পথে। গত ২৪ জানুয়ারি হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে সমিতির নির্বাচনে ১৬ জন প্রার্থী জয়ী হন এবং বিএনপি প্যানেল থেকে শুধুমাত্র একজন কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হন।

ব্যর্থ দুই ভাইস চেয়ারম্যান, বির্তকিত বাবু ওমর: কার পক্ষে এমপি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন ৪ জন সম্ভাব্য প্রার্থী। যার মধ্যে তিনজনই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত। আরেকজন এর আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন যিনি জাকের পার্টির রাজনীতিতে জড়িত রয়েছেন বলে জানাগেছে। তবে আওয়ামীলীগের তিন প্রার্থীর মধ্যে কার দিকে থাকবে স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থন তা দেখার অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা। কারন সরকারি দল শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি পদে যে যার মত করে ছেড়ে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় এমপির সমর্থন বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। যদিও তিনজনই এমপি খোকার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

জানাগেছে, ইতিমধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভায় সিদ্ধান্ত হয় তিন জনের নাম। যেখানে প্রথমে রাখা হয় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপনের নাম। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সেক্রেটারি। এরপর রাখা হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শিক্ষানুরাগী আবু নাঈম ইকবাল ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু ওমর। তবে ইমেজের দিক থেকে আবু নাঈম ইকবালকেই এগিয়ে রাখছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যে ইকবাল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তার পক্ষে আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের সমর্থন দেখা যাচ্ছে। রয়েছে উপজেলার শিক্ষক সমাজ ও ক্রীড়া সংগঠকের নেতৃবৃন্দরাও।

এদের মধ্যে আবু নাঈম ইকবাল বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সবচেয়ে কাছের ব্যক্তির হিসেবে পরিচিত। তিনি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক। গত পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন এটি ফজলে রাব্বী। এর আগে আবু নাঈম ইকবাল জেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। ওই সময় তিনি তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ফারুক ভূইয়ার সঙ্গে সমান ভোট পান। পরে লটারির মাধ্যমে তিনি ফারুক ভুইয়ার কাছে পরাজিত হন। ইতিমধ্যে তিনি গণসংযোগে নেমে গেছেন।

বাবু ওমর কাচপুর এলাকায় ব্যাপক বিতর্কিত। তার ভাই মোশারফ ওমর কাচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্যাম্প ভাংচুর গুলিবর্ষণের অভিযোগ ওঠেছিল বাবু ওমরের বিরুদ্ধে। এছাড়াও স্থানীয়দের মাঝে আতংকের নাম বাবু ওমর। যে কারনে স্থানীয় জনগণের মাঝে তাকে নিয়ে তেমন কোন আগ্রহ নাই বলে দাবি করেছেন সাধারণ মানুষ।

এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গত বছর নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নান। বিভিন্ন নাশকতার মামলায় মান্নান অভিযুক্ত হলে চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। শাহআলম রূপন ভাইস চেয়ারম্যান থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন। এ নিয়ে অপর ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তারও দাবি করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আজহারুল ইসলাম মান্নান যতবার বরখাস্ত হয়েছেন ততবারই দুই ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এমনকি উপজেলা পরিষদের কক্ষ তালা লাগিয়ে দেয়ার মত ঘটনাও ঘটিয়েছিলেন দুই ভাইস চেয়ারম্যান। তা নিয়ে দুজনেই বিতর্কিত হয়েছেন। এনিয়ে শাহআলম রূপন তার আগের ইমেজ ধরে রাখতে পারেননি।

অন্যদিকে আবারও নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি এবারও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে তিনি গত নির্বাচনের পর সোনারগাঁয়ের মানুষের আসেননি। এমনিক নির্বাচনের পর তিনি নির্বাচিত হলেও উপজেলার উন্নয়নে দৃশ্যমান কোন উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে পারেননি। উল্লেখ্যযোগ্য তার কোন ভুমিকা নেই যখন তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। একইভাবে শাহআলম রূপনের ভুমিকা নিয়েও মানুষ সুন্তুষ্ট নয়। দুই ভাইস চেয়ারম্যানই নির্বাচিত হওয়ার পর সোনারগাঁয়ের মানুষের সঙ্গে দূরত্ব রেখেছেন। ফলে দুজনকে মানুষ পরীক্ষা করেছেন। সাধারণ ভোটারা তাদের দুই ভাইস চেয়ারম্যানকে ব্যর্থ হিসেবে দাবি করেছেন। তাদের নিয়ে সোনারগাঁয়ের মানুষের মাঝে আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা। নতুনদের মাঝে আবু নাঈম ইকবালকেই দেখছেন সবার আগে সবদিক থেকে। ফলে আবু নাঈম ইকবালের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে আগামী নির্বাচনে।

সর্বশেষ সংবাদ