কবিতা- বসন্তের ছোয়া: সুমী ধর

………………….
আমি ঝর্ণা হব,
বসন্তের ছোয়া গায়ে মেখে,
তোমারি আঁখি তটে ঝরব আমি শ্রাবণের ধারা।

আমি মেঘ হব,
ঐ নীল আকাশের দিগন্তে,
ভাসবো আমি মুক্ত হাওয়ায়।

আমি রৌদ্র হব,
অঝোরে বৃষ্টি ধারা মুছে দিয়ে,
আকাশ রাঙাবো গোধূলী রঙের মেলায়।

হাত খানি রেখে দক্ষিণের জানালায়,
বসে থাকব তোমারি পথ চেয়ে।

বসন্তের চাঁদনী রাতে,
নিদ্রায় ক্লান্ত শরীরে, তোমারি নয়নে নয়ন রাখিবো,
নিশি জাগিব একই সনে।

নিরিবিলি রাতের আকাশে সুখ তারারা উঠবে জ্বলে,
ভালোবাসার জোয়ার তখন গায়ে উঠবে শিউরে।

ক্ষুধার্ত হৃদয় যখন হাত নেড়ে ডাকবে তোমাকে,
চুপি চুপি চুম্মন করব তোমারি হৃদয় জোয়ারে।

আজ বসন্তেরই দক্ষিণা হাওয়ায়,
খুলে যাবে মনের দরজা,
দৌঁড়ে যাবো শিমুল তলে
খন্ড খন্ড মেঘগুলো
জড়ো হবে আকাশ পানে।

কোকিল কন্ঠের সূর মাধুর্য, ছুইয়ে যাবে আমারি অন্তরে।
বসন্তেরই পুষ্প গুচ্ছে,
আমার অফুরন্ত ভালোবাসাটুকু সমর্পণ
করব তোমারি হাতে হাত রেখে।

তুমি নিরবে উদাস মনে, চেয়ে থাকবে আমারি আঁখি তটে।

আশাটুকু রেখেছি জমিয়ে,
তুমি আসবে আমারি প্রাণে,
গোলাপি ঠোঁটের স্পর্শটুকু
তোমাকেই যাবে ছুইয়ে।

ফুল ফুটুক আর নাইবা ফুটুক, তবুও ছুইয়ে যাবে বসন্তের গান,
ভালোবাসার জোয়ারে ভাসবো দুজন অনন্তকাল।

‘ফুলে ফুলে ভ্রমরও করছে খেলা’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

প্রকৃতির দক্ষিণা দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া। কোকিলের কণ্ঠে আজ বসন্তের আগমনী গান। ফুলে ফুলে ভ্রমরও করছে খেলা। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। সব কিছুই জানান দিচ্ছে আজ পহেলা ফাল্গুন।

ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির আজ এত বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সাথে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা। সকল কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে বসন্তের উপস্থিতি। তাই কবির ভাষায়- ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত।

আবাল-বৃদ্ধ, তরুণ-তরুণী বসন্ত উম্মাদনায় আজকে মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যাবে রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসবে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা।

বসন্তকে সামনে রেখে গ্রাম বাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তির রঙ্গেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও।

সেই ইউএনও প্রসঙ্গে সচিব: এটায় কোন অন্যায় হয়নি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

কাজের চাপে নারায়ণগঞ্জের সন্তানসম্ভবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসনে আরা বেগম বীনার অসুস্থতা আরও বাড়তে পারে সেজন্য তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ।

ওএসডি হওয়ার পর ইউএনও’র একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ধরে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব এ কথা বলেন। সচিব বলেন, ‘যে আদেশ আমার অনুবিভাগ করেছে তা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে আমি জাস্টিফাইড মনে করেছি, এটায় কোনো অন্যায় হয়নি, যথার্থ হয়েছে।’

গত ৪ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগমকে ওএসডি করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন হোসনে আরা। স্ট্যাটাসে তিনি সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর একজন বিশেষ কর্মকর্তা তাকে অযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে বদলির পাঁয়তারা করেই চলেছিল বলে দাবি করেন।

আমার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ছিল ২০ এপ্রিল, কিন্তু ওএসডি হওয়ার খবর শুনে প্রচুর মানসিক চাপে ফুসফুসে ব্লাড সার্কুলেশন অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়, ফলে পেটের সন্তানের অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায় এবং হঠাৎ করেই পেটের বাবু নড়াচড়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় বলে জানান তিনি স্ট্যাটাসে।

৫ ফেব্রুয়ারি তার ৩১ সপ্তাহ বয়সী প্রি-ম্যাচিউর বাচ্চা সিজার করে বের করে ফেলা হয়। এখন সে স্কয়ার হাসপাতালের এনআইসিওতে বেঁচে থাকার জন্য প্রাণপণ যুদ্ধ করে যাচ্ছে বলে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন তিনি।

‘এই নিষ্ঠুর অমানবিকতার পৃথিবীতে কোনো কর্তা ব্যক্তিদের কাছে আমি এ অন্যায়ের বিচার চাই না, শুধু আমার সৃষ্টিকর্তাকে বলব তুমি এর বিচার করো!!!’ স্ট্যাটাসে লেখেন সিনিয়র সহকারী সচিব হোসনে আরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় অবহিত হয়েছে। মেয়েটি গর্ভবতী কিন্তু অসুস্থ। যখন আদেশটি হয় তখন আমি ওমরায়। ঘটনা শুনে আমি অফিসারদের ডাকি কী কারণে হয়েছে। উপ-সচিব পর্যন্ত সব সিদ্ধান্ত এপিডি (নিয়োগ পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব) নিতে পারেন এবং উনি এটা করেন।’

ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ‘মন্ত্রণালয় মনে করেছে যে সামনে নির্বাচন কিন্তু চ্যালেঞ্জিং। আর সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম সময়টা এবং শেষ সময়টায় প্রবলেম হয়, মাঝখানটা ভালো থাকে। মেয়েটা নিজেই স্বীকার করেছেন উনি অ্যাজমার রোগী এবং ঢাকায় চেকআপে যান।’

তিনি বলেন, ‘এই মায়ের প্রতি এবং তার বাচ্চার প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং পুরো ভালোবাসা রয়েছে। এই বিবেচনায় মনে করা হয়েছে যে চ্যালেঞ্জিং জবের সময় যদি এই চাপ তার অসুস্থতা আরও বাড়িয়ে দেয় এজন্য তাকে ওএসডি করে ঢাকায় রাখা হয়েছে এবং তিনি ঢাকায় ট্রিটমেন্টে আছেন।’

নির্বাচনের সময় একটা উপজেলা খালি রাখা সম্ভব কি-না প্রশ্ন রেখে সচিব বলেন, ‘তার যদি এতই আগ্রহ থাকে তবে মাতৃত্বকালীন ছুটির পর তাকে আবার ওই দায়িত্বে পাঠাব।’

তিনি বলেন, ‘বদলির এখতিয়ার এপিডির হাতে, যদি অবিচার হয়ে থাকে সে সচিবের কাছে আসতে পারে। মন্ত্রণালয় ভালো করছে না বলে মনে করলে তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। মুখ্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, সেই সুযোগ ছিল।’

‘বাস্তবতা হলো, যেখানে বিধিবদ্ধ অথরিটি আছে সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এটি কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে আমি জানি না’-যোগ করেন ফয়েজ আহম্মদ।

সচিব আরও বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তিনি নিজে নিজে এটা করেছেন কি-না, আমি সন্দেহ পোষণ করি। তাকে কেউ বিপথগ্রস্থ করার জন্য করল কি-না? আমাদের অথরিটিকে কেউ অসম্মান করার জন্য কেউ করেছে কি-না আই ডোন্ট নো।’

মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে এ বিষয়ে বলেন, ‘এটা তার (ইউএনও) পানিশমেন্ট নয়। তার তো অপরাধ নেই। তার ভালোর জন্যই এটা করা হয়েছে। অনেকদিন পর সন্তান হচ্ছে, তার বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে। সে তো নিজেই ছুটিতে যাবে। আমরা তাকে সাহায্য করেছি।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তিনি একটা নির্বাচন করেছেন, তার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, তিনি কী এই অবস্থায় আবার নির্বাচনের চাপ নিতে পারতেন? তাকে দিয়ে উপজেলা নির্বাচন করালে কোনো অঘটন ঘটলে তখন এর দায় কে নিত? আমরা তার ভালো করতে গিয়েছিলাম বিষয়টি তিনি অন্যভাবে নিয়েছেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে হোসেনে আরা বেগম বানীর মুঠোফোনে কল দেয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্র: জাগো নিউজ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কালচারাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ২১ আমার অহংকার শীর্ষক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারী সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা শাহবাগ কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীর শওকত ওসমান মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য নারায়ণগঞ্জ বন্দর মদনগঞ্জের কৃতি সন্তান হোসেনুজ্জামান উজ্জল মানব সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এসোসিয়েশনের বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান কর্তৃক সম্মাননা ক্রেস্টটি গ্রহণ করেন।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মুজাফ্ফর হোসেন পল্টু ও উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ কর্মকর্তা লায়ন গণি মিয়া বাবুল।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টেও অ্যাডভোকেট এমএ হালিম মন্টুর সভাপতিত্বে ও ড. মোহাম্মদ আব্দুর রহিম মিয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আজিম উদ্দিন, আশারাফুল হাসান আসু, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ তাঁতীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ হায়দার আলী চেয়ারম্যান, সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উ-কমিটির সদস্য লায়ণ জেবিন সুলতানা কান্তা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা মেহেদি হাসান, মোঃ নুরনবী, লায়ন আবুল কালাম আজাদ, মানিক রতন, জাহাঙ্গীর আলম ও লিটন দেওয়ান চিস্তি প্রমূখ।

মোনেম মুন্নার মৃত্যুবাষির্কীতে শোক র‌্যালী ও সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কিং ব্যাক খ্যাত ফুটবলার মোনেম মুন্নার ১৪তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে মোনেম মুন্নার স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে শোক র‌্যালী ও তার সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বন্দর বাজার এলাকায় মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদ থেকে শোক র‌্যালীটি বের হয়ে বন্দর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট, বন্দর খানবাড়ী হয়ে বন্দর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সমবেত হয়।

পরে সকাল ১১টায় প্রয়াত ফুটবল খেলোয়ার মোনেম মুন্নার সমাধিতে মোনেম মুন্নার স্মৃতি সংসদ, মহসিন ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ সোনালী অতীত ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন। পরিশেষে মোনেম মুন্নার আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া পাঠ করা হয়।

এ সময় দোয়ায় অংশ নেন জাতীয় ফুটবলার মোনেম মুন্নার স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মৎ আজমত হোসেন বিদ্যুৎ, সহ-সভাপতি মোনেম মুন্নার ভাই মকবুল হোসেন রতন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সুমন, আওয়ামীলীগ নেতা কাজী শহিদ আহাম্মদ, জাতীয় ফুটবলার আমান, স্বপন, হুমায়ুন, আরমান, শহিদ হোসেন স্বপন, মন্টু মিয়া, শংকর দাস, পিলু, ফুটবল কোচ গাউছ, দিলিপ, জসিমসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বন্দরে ৪ মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ৩’শ গ্রাম গাঁজা ও ৪০পিছ ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মাদক বিক্রেতারা হলো- বন্দর এনায়েতনগর এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে আবুল মিয়া ওরফে বুইট্টা আবুল, মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন, সোনারগাঁয়ের কাচপুর খানপাড়া এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে রাজু ও সোনাচরা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে আরিফ মিয়া। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মাদক আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে বন্দর থানার এএসআই শহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে থানার এনায়েতনগর হতে বুইট্টা আবুল ও আলাউদ্দিনকে ৩’শ গ্রাম গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। অপরাপর অভিযানে রাজু ও আরিফকে যথাক্রমে ৩০ ও ১০ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। মাদক বিক্রেতাদের মঙ্গলবার দুপুরেই নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

মোনেম মুন্না ছিল এক অবিস্মনীয় প্রতিভার নাম: কাউন্সিলর হান্নান সরকার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার বলেছেন, জাতীয় কিংবদন্তি ফুটবলার মোনেম মুন্নার আজ ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি আজ পৃথিবীতে না থাকলেও ফুটবল খেলার কথা মনে মোনেম মুন্নাকে অনুভব করে তার ভক্তরা। এই দিনে তাকে আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্বরণ করি।
১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বন্দর শাহীমসজিদ এলাকায় সাধারণ পাঠাগার আয়োজিত আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠীর উদ্যোগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ফুটবল জগতে মোনেম মুন্না ছিল এক অবিস্মরণীয় প্রতিভার নাম। এ প্রতিভাকে স্মরনীয় করে রাখতে অন্তত তার নামে সড়ক কিংবা সেতু নামকরণ করলে তার পরিবার তথা ভক্তরাও কিছুটা হলেও শান্তনা পাবে। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি।

বন্দর আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠীর কর্মকর্তা সম্পাদক সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও অপর কর্মকর্তা ছামসুল হাসানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু, মোনেম মুন্নার স্মৃতি সংসদের সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন রতন, সাধারণ সম্পাদক জাতীয় ফুটবলার আজমল হোসেন বিদ্যুৎ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের বন্দর থানা শাখার আহ্বায়ক শেখ কামাল, আব্দুর রউফ অন্তু, আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠীর সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ, আবু বকর ছিদ্দিক, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ নাজমুল, যুবলীগ নেতা ছানোয়ার হোসেন, আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশিদা বেগম, বাবলু, মেহেদী হাসান অভিসহ আবাহনী সমর্থকবৃন্দ।

বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে শুভেচ্ছায় বন্দর ইউএনও

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি হেলালুদ্দিন আহমদ ও মহাসচিব শেখ ইউসুফ হারুনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী। ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে এক বিবৃতিতে তিনি এ শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানান।

তিনি এ এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি ও মহাসচিবদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বলেন, হেলালুদ্দিন আহমদ ও শেখ ইউসুফ হারুন স্যারকে ২৮তম বিসিএস প্রশাসন পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। স্যারদের সুযোগ্য নেতৃত্বে সুন্দর ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রশাসন পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রত্যাশা রইল।

ফতুল্লায় ৭ মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ২৪ ঘন্টায় ফতুল্লা মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পৃথক অভিযানে ১৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৭ মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ সূত্রে, ফতুল্লা থানা পুলিশ গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাতে লামাপাড়া এলাকা থেকে ৩০পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মৃত লুতু মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন, সবর আলীর ছেলে রহিম। গত ১২ ফেব্রুয়ারী সকালে পশ্চিম মাসদাইর এলাকা থেকে ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আমির হোসেনের ছেলে সিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারী রাতে শিবু মার্কেট এলাকা থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মৃত বোরহান উদ্দিনের ছেলে ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাতে বাবুরাইল এলাকা থেকে ৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আবুল কালামের ছেলে সহিদ ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযানে চাষাড়া এলাকা থেকে গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাতে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ জামতলা এলাকার আবদুস সালামের ছেলে রানা, জাকির হোসেনের ছেলে মাঈনুদ্দিন শুভকে গ্রেপ্তার করেছে।

ফতুল্লায় পরকীয়া: শ্বাশুড়ি নিয়ে পালিয়েছে ভাগ্নে জামাতা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম

ফতুল্লার লালপুর পৌষার পুকুরপাড় এলাকায় পরকিয়া প্রেমের টানে মামি শ্বাশুড়িকে নিয়ে ভাগ্নে জামাই উধাও। এই ঘটনাটি ঘটেছে ১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার লালপুর পৌষার পুকুরপাড় এলাকায় ভাড়া থাকেন শাহিন মিয়া। তার ছোট বোনের মেয়ে সীমা সীমা ও তার স্বামী বাবুল একই এলাকায় ভাড়া থাকে। শাহিনের ভাগ্নি সীমা ও তার স্বামী দুই মাস হয় গ্রাম থেকে ফতুল্লা আসছে। তারা দুইজনেই একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করে। সীমার স্বামী বাবুলের সাথে একই গামের্ন্টসে চাকুরী করে মামী শ্বাশুড়ি স্বপ্না বেগম। তিনি শাহিনের স্ত্রী। শাহিন জামালপুর মেলান্দ থানাধীন এলাকার মৃত মফু মিয়ার ছেলে। তিনি ইসলামের শরীয়াহ মোতাবেক স্বপ্না বেগমকে বিবাহ করেছেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান রয়েছে। এক ৮ বছরের ছেলে স্বপন, ১২ বছরের মেয়ে সালমা আক্তার। সন্তানরা গ্রামের বাড়িতে থাকে।

শাহিন ও তার স্ত্রী ফতুল্লা বসবাস করে আসছে। শাহিন ইলেক্টনিক্স মিস্ত্রী। তিনি বিসিক এলাকায় চাকুরী করে আসছেন। ভাগ্নি জামাই মো. বাবুলের সাথে মামী শ্বাশুড়ি প্রতিনিয়ত একই রিক্সায় চলাচল করে তারা ডিউটিতে যায়। একপর্যায় তাদের মধ্যে পরকিয়া ভালবাসার বন্ধন সৃষ্টি হয়। মাত্র দুই মাস হয় সীমা ও তার স্বামী বাবুল ফতুল্লায় আসেন। স্বপ্না বেগম বগুড়া জেলা ও থানাধীন এলাকার মৃত শামসুল হকের মেয়ে। শাহিন ও স্বপ্নারও ভালবাসা করে তাদের বিবাহ হয়েছে। এখন স্বামী শাহিনের ভাগ্নি সীমার জামাইর সাথে পরকিয়া করে স্বপ্না বেগম গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ডিউটির কথা বলে তারা পালিয়ে যায়। বাবুল ও তার মামী শ্বাশুড়ি স্বপ্না বেগম ১০ ফেব্রুয়ারী বেতন পায়। এই দুইজনেই বেতন পেয়ে ভালবাসার টানে পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে শাহিন বলেন, আমার কোন অভিযোগ নাই, যাকে ভালবেসে বিয়ে করেছি সে দুই সন্তান রেখে চলে গেলো। আমি আর কোন দিনই তাকে ঘরে উঠাবো না। এদিকে, সীমা কান্না করে বলে আমিও এই লম্পটের সংসার করবোনা। আমি চাকুরী করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরে নতুন সংসার করবো। বিয়ের পর থেকেই এই লম্পট বিভিন্ন মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়ে। তা জেনে আমি তাকে নিষেধ করলে মারধর করতো। আমার শ্বাশুড়ির জন্য আমি কিছু বলতে পারিনি। তার অতি আদরে এই বাবুল নষ্ট হয়েছে। অবশেষে আমার ছোট মামীর সাথে পরকিয়া করে পালালো এই নেক্কার কাজ করে আমার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে মান খুন্ন করেছে।

সর্বশেষ সংবাদ