‘পুলিশ জনতা ঐক্য কুঁড়ি, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ি’ এই শ্লোগানে বন্দরে পথসভা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

‘পুলিশ জনতা ঐক্য কুঁড়ি মাদক মুক্ত সমাজ গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বন্দরে মাদক বিরোধী পথসভা করেছে বন্দর থানায় সদ্য যোগদানকারী এসআই সাধন চন্দ্র বসাক। ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে বন্দর থানার ২১নং ওয়ার্ডের শাহী মসজিদ এলাকা হতে পথসভাটি ২১নং ওয়ার্ডের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু ও হাফেজীবাগ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হাজী আবুল খায়ের এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খালিদ সাইফুল্লাহ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামীলীগ নেতা সামছুল হাসান, মেহেদী হাসান প্রমুখ।

পথসভায় বক্তারা বলেন, নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে মাদককে জিরো টলারেন্সে আনতে হবে। প্রয়োজনে মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করতে হবে। মনে রাখতে হবে মাদক আমাদের চিরশত্রু। যেকোন উপায়ে মাদককে গুডবাই জানাতে হবে।

বাংলাদেশ কালচারাল স্বর্ণপদক পলেন বন্দরের হোসেনুজ্জামান উজ্জল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ কালচারাল ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক পেলেন নারায়ণগঞ্জ বন্দরের তরুণ সমাজ সেবক হোসেনুজ্জামান উজ্জল। মানব সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় জন্য ১১ ফেব্রুয়ারী সোমবার সন্ধায় ৬টায় রাজধানীর শাহবাগের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী শওকত ওসমান মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ আমার অহংকার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মুজাফ্ফর হোসেন পল্টু ও অনুষ্ঠানটি উদ্ধোধন করেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড.মোহাম্মদ আব্দুর রহিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএ হালিম মন্টু।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ আজিম উদ্দিন, এমভি ড্রিম’র প্রোপ্রাইটর আশাররুল হাসান আশু, তাতীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ আব্দুস সাত্তার, এরিনা ইঞ্জিনিয়ার কোম্পানী লিমিটেডের চেয়াম্যান মোঃ হায়দার আলী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য জেবিন সুলতানা কান্তা। আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান, মোঃ নুরনবী, লায়ন আবুল কালাম আজাদ, মানিক রতন, জাহাঙ্গীর আলম লিটন দেওয়ান চিস্তি এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খলিলুর রহমান। পরে মনোরঞ্জন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি হয়। হোসেনুজ্জামান উজ্জল বন্দরের ইসলামপুুর এলাকার বাসিন্দা।

নারায়ণগঞ্জে নির্যাতিতদের নেতা তৈমূর আলম ও সাখাওয়াত হোসেন খান

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির যে সব নেতাকর্মী মামলায় জর্জরিত সেইসব নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নেতা এখন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। নারায়ণগঞ্জের মামলায় আসামী হওয়া নেতাকর্মীদের অন্তত আইনি লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন এই দুই নেতা। যে কারনে ওইসব নেতাকর্মীদের ভরসাও এখন তৈমূর আলম খন্দকার ও সাখাওয়াত হোসেন খান। অসহায় নেতাকর্মীরাও এই নেতার উপর আস্থা রেখেছেন। বেহাল বিএনপির জন্য নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্বে অপরিহার্য হয়ে ওঠেছেন এই দুই নেতা। এমনটাই বলছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

জানাগেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির ধানের শীষ মনোনিত প্রার্থীরা আড়ালে থাকলেও বিএনপির দুঃসময়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দাকার ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান দাড়াচ্ছেন নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে।

নেতাকর্মীরা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুপগঞ্জ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। প্রাথমিকভাবে মনোনয়নও পেয়েছিলেন তিনি। পরে জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে চূড়ান্তভাবে মনোনিত করা হয়। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকে কাজী মনিরকে আর বিএনপির রাজনীতির মাঠে কোন কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচনের পরেও আগ থেকে যারা জেলখানায় আছেন হাইকোর্ট থেকে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করছেন। তাছাড়া তিনি নির্যাতিত নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারকে বিভিন্ন সহযোগিতাও জামিন করার ব্যবস্থার আশ্বাস দিচ্ছেন এবং অনেকের জামিনও করিয়েছেন।

অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান একাদশ জাতীয় সংসদের আগেই গ্রেপ্তার হন। তিনিও নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর-বন্দর আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। পরে এসএম আকরামকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন করা হয়। বেশ কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তি পান বারবার কারানির্যাতিন এ নেতা সাখাওয়াত। মুক্তি পাওয়ার পর আবারো নারায়ণগঞ্জের মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের পক্ষে আইনি লড়াই নেমেছেন তিনি। এখনও নিয়মিত তিনি নেতাকর্মীদের দলীয় মামলাগুলো পরিচালনা করছেন। নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা মামলায় আসামী হলে সবার আগে সাখাওয়াত হোসেন খানের কাছেই দৌড়াচ্ছেন। সকলের আস্থাও অর্জন করেছেন বিএনপির এই নেতা।

আনিসুর রহমান দিপুর জন্মদিন পালন করলেন আইনজীবীরা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপুর জন্মদিন পালন করেছেন নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা। ১২ ফেব্রুয়ারি ছিল অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপুর জন্মদিন। এদিন আইনজীবীরা নারায়ণগঞ্জ কোর্ট এলাকায় তার চেম্বারে দুটি কেক নিয়ে যান। পরে আনিসুর রহমান দিপুকে নিয়ে আইনজীবীরা কেক কাটেন এবং তার জন্য শুভ কামনা ও দোয়া জানান। এতে আনিসুর রহমান দিপু সকল আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আনিসুর রহমান দিপুর জন্মদিনে এমন আকস্মিক আয়োজনে বিস্মিত হন তিনি।

১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুুরে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপুর চেম্বারে দুটি কেক নিয়ে হাজির হন শতাধিক আইনজীবী। পরে তার চেম্বারে তাকে নিয়ে কেক কাটেন। সকলকে নিয়ে আনিসুর রহমান দিপু পরে মধ্যাহ্নভোজ করেন।

এসময় আনিসুর রহমান দিপুর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে তার চেম্বারে যান নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আদালতের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি ও বন্দর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু, সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট সোহেল মিয়া, জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী, জেলা আওয়ামী আইনজীবী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ভুইয়া, জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল রোমেল মোল্লা, আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার কবিতা, অ্যাডভোকেট মুক্তি, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দীন, অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দীন,অ্যাডভোকেট আল মামুন ভুইয়া,

অ্যাডভোকেট মাহামুদুল হক মমিন, অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার ময়না, অ্যাডভোকেট দীপা ঘোষ, অ্যাডভোকেট ওয়ালিউল্লাহ, অ্যাডভোকেট নঈম উদ্দীন আহমেদ তপন, অ্যাডভোকেট ইফতেখার আলম সাগর, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, শিক্ষানবিশ আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান বাবু, কানিজ ফাতেমা সহ অন্যান্য আইনজীবীরা।

সমিতিতে নির্বাচিত চার আইনজীবীকে সংবর্ধনা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০২০ সালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত চার আইনজীবীকে সংবর্ধনা দিয়েছে আইনজীবীদের সংগঠন ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রেন্ড এসোসিয়েশন।

৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কোর্টের পার্শ্ববতী একটি রেস্তোরায় এই সংবর্ধনা পান সমিতিতে আপ্যায়ণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন, সমাজ সেবা সম্পাদক পদে নির্বাচিত অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাশেদ ভুইয়া এবং আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভুইয়া।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংগঠনটির আইনজীবীরা নির্বাচিত চার আইনজীবীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সেই সঙ্গে নির্বাচিতদের প্রতি শুভ কামনা করেন আইনজীবীরা। এসময় নির্বাচিত চার আইনজীবী সকল আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এই সংগঠনটির সভাপতি পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট ফয়সাল খন্দকার ও সেক্রেটারি পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন। অনুষ্ঠানে অন্যান্য আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম রুবেল, অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, অ্যাডভোকেট আবুল বারাকাত, অ্যাডভোকেট ফজলুুর রহমান রিপন, অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার, অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহাবুবু রহমান সহ অন্যান্য আইনজীবীরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০২০ সালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে আবারো সভাপতি ও সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। সমিতির ১৭টি পদের মধ্যে কার্যকরী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব ভূঞা বিএনপির প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র একজন। বাকি ১৬টি পদে আওয়ামী প্যানেলের প্রার্থীরা বিশাল জয় পেয়েছেন।

২৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির গঠিত নির্বাচন কমিশন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৯২৬ জন আইনজীবী। এতে ৯১০ জন আইনজীবী তাদের ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে আওয়ামীলীগ প্যানেলের প্রার্থী ও বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল পেয়েছেন ৬৯৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপির প্রার্থী সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির পেয়েছেন মাত্র ১৯৭ ভোট। হাসান ফেরদৌস জুয়েল এবার সমিতির রেকর্ড সংখ্যক ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

এদিকে একইভাবে রেকর্ড সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে সেক্রেটারি পদে আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ৬২৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির পেয়েছেন মাত্র ২৬১ ভোট।

অবশেষে জয়ের দেখা পেলেন আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে আপ্যায়ণ সম্পাদক পদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল। তিনি এ পদে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ৫১৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী কাউসার আলম টুটুল চৌধুরী পেয়েছেন মাত্র ৩৬১ ভোট।

সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন। তিনি পেয়ছেন ৪৪২টি ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেল থেকে অ্যাডভোকেট রাসেল প্রধান ৪১৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

সমাজ সেবা সম্পাদক পদে আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট রাশেদ ভুঁইয়া। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৫৫৪টি। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আসমা হেলেন বিথি পেয়েছেন ৩১০টি ভোট।

আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে ৫২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট স্বপন ভুইয়া। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দীন বিএনপি প্যানেল থেকে পেয়েছেন ৩৩৯টি ভোট।

বদলায়নি সোনারগাঁয়ের কায়সার, ভরসা কালাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২০০৮ সালে নারায়ণগঞ্জ-৩(সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁও) আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চেয়ে বিপুুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ তিনি বন্ধ করে দেন। তার দেখা পাওয়া ছিল নেতাকর্মীদের কাছে অমাবস্যার চাঁদ।

কিন্তু এবারের নির্বাচনের আগে কায়সার হাসনাতের চাচা মোশারফ হোসেন একটি সমাবেশে বলেছিলেন, কায়সার হাসনাত ভবিষৎে কোন ভুল করলে আমাদের জানাবেন। কায়সার নিজেও নেতাকর্মীদের বলেছিলেন তিনি আর অতীতের মত ভুল করবেন না। কিন্তু কার্যত সেই আগের রূপেই দেখা গেল কায়সার হাসনাতকে। সোনারগাঁয়ে এখন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের শেষ ভরসা একমাত্র মাহফুজুর রহমান কালাম।

জানাগেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে মনোনয়ন পাননি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। একই আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন তার চাচা মোশারফ হোসেন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। এখানে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনিত হন কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি অটুট থেকে কালাম মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করেন। অন্যদিকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে কায়সার হাসনাত স্বতন্ত্র সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং এতে কায়সার হাসনাতের পক্ষে কাজ করেন মোশারফ হোসেনও।

ওই নির্বাচনে অনেকটা বিরোধী দলীয় ভুমিকায় ছিলেন কায়সার হাসনাতের নেতাকর্মীরা। কায়সার হাসনাতের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হন। বেশকটি মামলায় কায়সারের নেতাকর্মীরা আসামী হন। নির্বাচনের আগে বাড়ি ছাড়া হয়ে যান নেতাকর্মীরা। কাচপুরে যুবলীগ নেতার বৃদ্ধ বাবা মা ভাই ও অন্তস্বত্তা বোনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। ওই সময় যুবলীগ নেতা মাহফুজ পারভেজ দাবি করেছিলেন লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কাজ করে সিংহ প্রতীকের পক্ষে কাজ করার কারনেই তার পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় নির্যাতনের শিকার হন নেতাকর্মীরা যারা মুলত কায়সার হাসনাতকে ভালবেসে তার পক্ষে কাজ করেছিলেন।

কিন্তু নির্বাচনের একদিন আগে নানা নাটকীয়তায় কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। ওই দিন থেকে আজোবদি সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কায়সার হাসনাত কোন ধরনের যোগাযোগ করেননি। এমনকি নির্যাতিত হামলা মামলার শিকার নেতাকর্মীদের কোন খবর রাখেননি। নির্বাচনের পর নেতাকর্মীদের নিয়ে কোন বৈঠকও তিনি করেননি। এমনকি যে সব নেতাকর্মীদের পরিবারের লোকজন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের কাছে ফোন করেও সহানুভুতিটুকুও দেখায়নি কায়সার হাসনাত। এমনকি কাচপুরের যুবলীগ নেতার বাবা মা ভাই বোন হয়রানির শিকার হলেও সেই পরিবারের খবরটুকুও নেননি তিনি। তারা জামিন নিয়েছেন কিনা তাও খবর রাখেননি। সহযোগীতা তো দুরের কথা।

এমন পরিস্থিতিতে মোশারফ হোসেন এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জাতীয় নির্বাচনের পর নেতাকর্মীদের কোন ধরনের খোজ খবর রাখেননি মোশারফ হোসেনও। কায়সার হাসনাত এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তৃনমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ওই সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখেন মাহফুজুর রহমান কালাম। নির্বাচন আসলেই চাচা ভাতিজা নেতাকর্মীদের নানা প্রলোভন স্বপ্ন দেখিয়ে নিজেদের বগলে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তরী পাড় হয়ে গেলে আর নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন না এই চাচা ভাতিজা। কিন্তু ভিন্ন কেবল কালাম। যিনি নেতাকর্মীদের যে কোন সময় মোবাইল কল রিসিভ করেন এবং কালামের বিরোধী বলয়ের রাজনীতি করলেও ওইসব কর্মীদের বিপদেও তিনি পাশে দাড়ান। না দাড়াতে পারলেও তিনি বিপদগ্রস্থ নেতাকর্মীদের কথা শুনেন এবং মোবাইল ফোন রিসিভ করেন। এটাই তার সবচেয়ে বড় গুণ। যে কারনে কালাম সোনারগাঁয়ে সাংগঠনিক নেতা হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন। সোনারগাঁয়ে এখন নেতাকর্মীদের ভরসা কালাম।

অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমানের মৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক ও দোয়া মাহফিল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ খলিলুর রহমানের মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির শোক প্রকাশ ও মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল করা হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে সমিতির অফিস কক্ষে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আহাম্মদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র আইনজীবী শাহজাহান মোড়ল, খলিলুর রহমান, একেএম একরামুল হক, হুমায়ূন কবির, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ কুমার, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রউফ মোল্লা, আপ্যায়ন সম্পাদক মনিরুজ্জামান কাজল, ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদ রানা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাজ্জাদুল হক সুমন, সমাজসেবা সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ ভূঁইয়া, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া প্রমুখ সহ কার্যকরী পরিষদের সদস্য সহ অন্যান্য সদস্যরা।

আবারো আদালতে ছাত্রদল সভাপতি রনি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২০১৩ সালের একটি ভাঙচুর মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি। ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ হাজিরা দেন মশিউর রহমান রনি।

মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, ২০১৩ সালে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি ভাংচুর মামলায় মশিউর রহমান রনিকে আসামী করা হয়। মামলায় ৯ জন আসামী রয়েছেন। আদালত মামলায় পরবর্তী দিন ধার্য্য করেছেন।

এখানে উল্লেখ্যে যে, গত ৫ ফ্রেব্রুয়ারি দীর্ঘ পাচ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান মশিউর রহমান রনি। এর মধ্যে তাকে তিন দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়।

বড়াই দেখানোর আগে মনে করে নিবেন বন্দরে কোন দল নেই: সেলিম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, বন্দরে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমি সর্বদা প্রস্তুত। উন্নয়নের ব্যাপারে আমি কোন মুখাপেক্ষী নই। আজকের মত আমি বারবার আপনাদের সাথে মিলিত হতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বন্দরকে আরো এগিয়ে নিতে চাই।

১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে বন্দর উপজেলা অডিটিউরিয়ামে আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ইদানিং মদনপুরের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে যে তান্ডবলীলা চলছে তা সত্যিই লজ্জাজনক। আমি মদনপুরে কোন স্ট্যান্ড দেখতে চাইনা। কোন পেশীশক্তি ওয়ালার কাছে স্ট্যান্ড থাকবেনা, থাকবে জনগণের কাছে। এ নিয়ে আর কোন সহিংসতা বরদাস্ত করা হবেনা। কোন দলের বড়াই দেখানোর আগে মনে করে নিবেন বন্দরে কোন দল নেই।

বন্দর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত এ সভার সভাপতিত্ব করেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী। এতে উপস্থিত ছিলেন- বন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোমানা আক্তার, বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের ও বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ উপজেলার সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বন্দরে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষচারী মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সাবদী দিঘলদী এলাকায় শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করা হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহা।

এসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগ নেতা শিখন সরকার শিপনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সুশীল দাস, পূজা বিষয়ক সম্পাদক রাজ প্রসাদ চক্রবর্তী, প্রচার সম্পাদক তপন গোপ সাধু, বন্দর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন দাস, বিধু হাওলাদার, নরেশ মাত্তাব্বর, রমেশ বাবু, সুনীল হাওলাদার প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ