সেই কৃতি ফুটবলার মোনেম মুন্নার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাংলাদেশের ফুটবলের সোনালী যুগের মহানায়ক, দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মোনেম মুন্নার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এদিন ভোরে মরহুমের কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধা নিবেদন, বাদ জোহর কাঙ্গালী ভোজ ও দোয়ার মাহফিল।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের এইদিনে না ফেরার দেশে চলে যান ‘কিং ব্যাক’ খ্যাত এই তারকা ফুটবলার। মোনেম মুন্না ১৯৯৯ সালের রমজান মাসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। সেখানেই তার কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। পরের বছর মার্চে বাঙ্গালোরে বোন শামসুন নাহার আইভীর কিডনি তার দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়।

২০০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরা হয়নি এই কিংবদন্তির।

১৯৮১ সালে পাইওনিয়ার লীগ দিয়ে ফুটবলে অভিষেক মোনেম মুন্নার। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে পেশাদার ফুটবলে উত্থান। প্রথম দুই মৌসুম মুক্তিযোদ্ধায়, এরপর এক মৌসুম ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলেন।

১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন। এরপর দু’একটি ম্যাচ বাদ দিলে টানা ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। ১৯৮৭ সালে তিনি যোগ দেন ঢাকা আবাহনীতে। সেখানেই গড়ে তোলেন নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আবাহনীর সঙ্গেই জড়িয়ে ছিলেন।

১৯৯১ মৌসুমের দলবদলে মুন্না আবাহনীতে খেলেছিলেন সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকে। সেই সময় প্রভাবশালী ম্যাগাজিন বিচিত্রার কাভারও হয়েছিলেন এই তারকা।
১৯৯০ সালে বেইজিং এশিয়ান গেমসে মুন্না প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার নেতৃত্বেই ১৯৯৫ সালে মিয়ানমার থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতে ঘরে ফেরে লাল-সবুজরা। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে যা প্রথম সাফল্য।

সিদ্ধিরগঞ্জে ৬টি ব্রীজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন মেয়র আইভী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিএনডি খালের উপর আধুনিক ৬টি ব্রীজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। ১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে সিটিকর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের বার্মাস্ট্যান্ড এলাকায় এ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধনের সময় স্থানীয় কাউন্সিলর, সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে মিলাদ ও দোয়া শেষে মেয়র প্রকল্পের মোড়ক উন্মোচন করে কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র আইভী। পরে তিনি ব্রীজের পাইলিং কাজ পরিদর্শনও করেন।

এছাড়াও মেয়র সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুরাতন ভবন (সুমিলপাড়া ইউনিয়ন কমিউনিটি সেন্টার) পরিদর্শন করেন। পরে নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের চরসুমিলপাড়া এলাকায় শীতলক্ষা নদীর পাড়ে ঘাট পরিদর্শনে করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতি, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুক, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাকসুদা মোজাফ্ফর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আজগর হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, সুমন চন্দ্র দেবনাথ, সহকারী প্রকৌশলী তরুণ কুমার, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হুদা বাবু প্রমুখ।

জানাগেছে, বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে কার্যনির্বাহী সংস্থা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সিটি গভর্নেন্স প্রকল্পের আওতায় এ উন্নয়নমূলক কাজগুলো বাস্তবায়ন করছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ ৪’শ ৩৯ টাকা। মীর হাবিবুল আলমের মালিকানাধীন উদয়ন বিল্ডার্স জেভি নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সিটি কর্তৃপক্ষ থেকে কার্যাদেশ পেয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

নির্বাচনে খামোখা পয়সা নষ্ট করবেন না: সেলিম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, বন্দরে আমরা সবাই এক ও অভিন্ন। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এ অঞ্চলে কোন ডিস্টার্ব হবেনা। আমি কোন জামেলা চাইনা।

১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার বন্দর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি আরো বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান মনোনয়ন জমা দিন। পরে আমরা সবাইকে নিয়ে বসবো। তারপর ভাববো কাকে দেয়া যাবে আর কাকে দেয়া যাবেনা। আমি বন্দরে কোন গ্রুপিং হোক তা চাইনা। বন্দরে কোন দল নাই। দল একটাই আছে তা হল উন্নয়ণের দল। খামাখা পোষ্টার লাগিয়ে নিজের অর্জিত পয়সা নষ্ট করবেন না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোমানা আক্তার, বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের প্রমূখ।

ফতুল্লায় দুই হেরোইন বিক্রেতা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ১১ ফেব্রুয়ারী ফতুল্লা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুটি মাদক মামলা দায়ের করেছে মাদক বিক্রেতা মোক্তার হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে।

এ মামলা সূত্রে, ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো.ওবায়দুল কবির মাদক অভিযান চালায়। এ অভিযানে ৭ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার সহ মাদক বিক্রেতা মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। মাদক বিক্রেতা ঐ এলাকার মো. রফিক খন্দকারের ছেলে।

অপরদিকে, তাদের আরেক টীম দাপাইদ্রাকপুর এলাকা থেকে ১ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার সহ সবুজ ইসলাম নামের এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। সে ঐ এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।

পরকীয়ায় ফেঁসে তিন সন্তানের জননী ভাবীকে বিয়ে করে বিপাকে দেবর!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় তিন সন্তানের জননী ভাবীকে বিয়ে করে বিপাকে শাকিল নামের এক যুবক। এব্যাপারে এই স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় শাকিল বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ভাবীর সঙ্গে পরিনয় করতে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে পরে তিনি বিয়ে করতেও বাধ্য হন বলে জানাগেছে।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা থানাধীন এনায়েতনগর ধর্মগঞ্জ এলাকার মো.আবুল হোসেন। তার ছেলে মো. শাকিল। তার সাথে তারই ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী আফসানা আক্তারের ভাল সর্ম্পক গড়ে উঠে। আফসানা আক্তার একই এলাকার আবদুস সাত্তারের মেয়ে ও কাইয়ুম পাঠানের স্ত্রী। তাকে তালাক দিয়ে পরবর্তীতে ফারজানা শাকিলকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই শাকিল তাকে স্ত্রী হিসেবে মানতে পারেনা। তার দাবী তাকে ব্লাকম্যাইল করে বিয়ে করেছে ফারজানা। তাই ফারজানার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ফতুল্লা মডেল থানায় ফারজানার বিরুদ্ধে শাকিল বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এলাকাবাসী জানান, শাকিল ফারজানার সাজানো সংসার নষ্ট করেছেন। তার তিন সন্তান আছে জেনেও আপন ফুফাতো ভাইয়ের সংসার ভেঙ্গে সে ফারজানার সাথে পরকিয়া প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ফারজানা শাকিলের প্রেমে অন্ধ হয়ে তিন সন্তান রেখে তার স্বামীকে তালাক প্রদান করে। এরপর তিনি ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক শাকিলকে বিয়ে করেছেন।

যেসব কারনে চার উপজেলায় তারা চার হেভিওয়েট প্রার্থী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৪টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবার বেশ জোড়ালো আলোচনায় রয়েছেন চার হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশি। যাদের নাম ইতিমধ্যে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ। বিকল্প নাম পাঠানো হলেও যে যার মত করে কেন্দ্রীয়ভাবে লবিং করছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ সহ স্থানীয় এমপিদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। নারায়ণগঞ্জেও এই চার নেতা বেশ আলোচিত। তবে এই চার নেতার বাহিরেও অনেকেই লবিং করছেন। চেষ্টা করছেন নিজেদের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে। তবে সম্ভাবনা বেশ এই চার নেতার। ইতিমধ্যে তাদের অনুগামী নেতাকর্মীরা মাঠেও নেমেছেন ভোট প্রার্থনায়।

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া। টানা তিনি দুইবারের চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে তিনি রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন। এর আগে বর্তমান পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে তার বিরোধ থাকলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে সেই বিরোধ মিটে যায়। নির্বাচনের আগেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদে শাহজাহান ভুইয়ার সঙ্গে সমঝোতায় বিরোধ নিষ্পত্ত হয়। সেই কারনে এখানে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে নেতাকর্মীরা দেখছেন শাহজাহান ভুইয়াকেই। যদিও এখান থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতির নিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা। তিনিও কেন্দ্রীয়ভাবে চেষ্টা করছেন মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে। তবে সরাসরি স্থানীয় এমপি গাজী এ বিষয়ে কারো পক্ষেই নেই। ফলে যে যার মত করে চেষ্টা করছেন।

এদিকে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবার নির্বাচনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ভুইয়া। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তার রয়েছে ক্লিন ইমেজ। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও চান এখানে নতুন চেয়ারম্যান। এ উপজেলায় টানা দুইবারের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া। এখানেও বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু সরাসরি কারো পক্ষে অবস্থান নেননি। যে কারনে যে যার মত করে চেষ্টা করছেন মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে। যেখানে এমএ রশিদ ভুইয়াই হচ্ছেন হেভিওয়েট প্রার্থী।

সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি এখন খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিয়ে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এখানে চেয়ারম্যান ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নান। তিনি পদত্যাগ করে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এর আগের নির্বাচনে এখানে আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন ও মাহফুজুর রহমান কালাম অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন। এরও আগের নির্বাচনে এখানে চেয়ারম্যান ছিলেন মোশারফ হোসেন। পরের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন মান্নানের কাছে। তিনি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। টানা দুইবারই নির্বাচন করে পরাজিত হন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। তবে এবার তিনি হেভিওয়েট প্রার্থী। জাতীয় নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন। গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে এখানে দলীয় মনোনয়ন পান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে তিনি মহাজোটের স্বার্থে প্রত্যাহার করে নিলে এখানে এমপি নির্বাচিত হন জাতীয়পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা। এবারের নির্বাচনে মোশারফ হোসেন কাজ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাতের পক্ষে এবং কালাম কাজ করেন এমপি খোকার পক্ষে। যে কারনে এখানে এগিয়ে আছেন কালামই। যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগ তিনজনের নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বন্দর উপজেলা। এ উপজেলায় এবার সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান। গত জাতীয় নির্বাচনে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এবার তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। চেষ্টা করছেন দলের মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলয়ের রাজনীতি করেন। যে কারনে এখানে মেয়র আইভীর জনপ্রিয়তা কাজে আসবে সুফিয়ানের। কেন্দ্রীয়ভাবেও শক্ত অবস্থানে সুফিয়ান। তরুণ প্রজন্মের কাছেও সুফিয়ান বেশ জনপ্রিয়। ফলে এখানে তিনিই হেভিওয়েট প্রার্থী। যদিও এখান থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ মিয়া।তিনি এর আগে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। এবার দলীয় প্রতীকটি সুফিয়ানের হাতেই ওঠতে যাচ্ছে বলেও নেতাকর্মীদের ধারণা।

আইন শিক্ষার্থীদের পাশে অয়ন ওসমান: কাজ করছেন হাসান আমজাদ

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জের আইন শিক্ষার্থীদের মাঝেও মধ্যমণি হয়ে ওঠেছেন ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সদস্য অয়ন ওসমান। আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছেন অয়ন ওসমান। আইন শিক্ষার্থীদের নানা সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থাও করছেন তিনি। অয়ন ওসমানের এমন অবদানের পিছনে কাজ করছেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি এমএম হাসান ও আমজাদ হোসেন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী আইন কলেজের ছাত্রছাত্রী সংসদের ভিপি মাহমুদুল হাসান ও জিএস আমজাদ হোসেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমানের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এই ছাত্র নেতার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে আইন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছেন অয়ন ওসমান। একই সঙ্গে জাতীয় ও স্থানীয় কর্মসূচিগুলোও পালন করে আসছেন হাসান ও আমজাদ হেসেন। সক্রিয় রয়েছেন দলীয় কর্মকান্ডেও। অয়ন ওসমানের নির্দেশে আইন শিক্ষার্থীদের এই দুই নেতা কোন রকম বিতর্কের বাহিরে থেকে ক্লিন ইমেজ নিয়ে আইন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছেন। ফলে আইন শিক্ষার্থীদের মাঝে অয়ন ওসমানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে।

নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, আইন শিক্ষার্থীদের জন্য অয়ন ওসমানের বিভিন্ন সময়ের অবদান ও সুনাম তুলে ধরছেন হাসান ও আমজাদ হোসেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী একমাত্র আইন কলেজ নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ। দীর্ঘদিন ধরে এ কলেজের ছাত্রছাত্রী সংসদের ভিপির দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাহমুদুল হাসান। আর জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন আমজাদ হোসেন। তাদের সঙ্গে কাজ করছেন শাহাদাত হোসেন সহ বেশকজন আইন ছাত্র নেতা।

শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, ছাত্রছাত্রীদের নেতা হলেও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরন করেন দুই ছাত্র নেতা। তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারের ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মন জয় করতে পেরেছেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ভিপি হাসান ও জিএস আমজাদ। আইন শিক্ষার্থীদের যে কোন সমস্যায় এগিয়ে আসেন হাসান ও আমজাদ হোসেন। অনেক শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সমস্যায় এগিয়ে আসেন তারা। তাদের এমন আচরনের কারনে অয়ন ওসমানের সুনাম অক্ষুন্ন থাকে। যে কারনে অয়ন ওসমান এখন আইন শিক্ষার্থীদের মাঝেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছেন।

জানাগেছে, অয়ন ওসমানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের দায়িত্ব পালন করতে তারা নিষ্ঠার সাথে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে আইন কলেজের সকল প্রসাশনিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক, রাজনৈতিক ও জাতীয় দিবসগুলোতে আইন কলেজের পক্ষ থেকে অবদান রেখে রীতিমত আইন কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে আইডল হিসেবে দেখা দিয়েছেন হাসান ও আমজাদ হোসেন। দলীয় কর্মসূচিগুলোতেও আইন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যাপক অংশগ্রহণে দেখা যায় দুই ছাত্র নেতাকে। কখনও অয়ন ওসমান কিংবা ওসমান পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়ানোর অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ওঠেনি।

এছাড়াও জানাগেছে, ছাত্র সমাজের মধ্যমণি অয়ন ওসমান তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইন কলেজের ছাত্র রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখার। যার ফলে তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিজয় দিবস, বুদ্ধিজীবী দিবস, স্বাধীনতা দিবসগুলোতে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের পক্ষ থেকে র‌্যালী করে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বছরের শুরুতে নতুন ছাত্রছাত্রীদের বরণ করার জন্য আয়োজন করে থাকেন নবীন বরণ অনুষ্ঠান। বার্ষিক শিক্ষা সফরের আয়োজন করে থাকেন নান্দনিক লোকেশনে।

তাছাড়া ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার উন্নয়নের জন্য করে থাকেন মাসিক আলোচনা সভার আয়োজন করে শিক্ষকদের সাথে। যার ফলে শতভাগ পাসের হারের কৃতিত্ব অর্জন করে টানা কয়েকবার নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ। নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের প্রতি বছরের শিক্ষা সফরে সার্বিক সহযোগীতা করেন অয়ন ওসমান। যেখানে কঠোর পরিশ্রম করে শিক্ষা সফরগুলো সফল করে আসছেন হাসান ও আমজাদ হোসেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অয়ন ওসমানের নির্দেশে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আওয়ামী প্যানেলের পক্ষে কাজ করেন তারা।

তারা খালেদা জিয়ার ধানের শীষ আনলেন কিন্তু মুক্তি চাইলেন না!

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

বিএনপির দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। আর সেই দলের প্রতীক ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের ৫ জন নেতা। কিন্তু তারা কেউই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির কর্মসূচি পালন করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলেন না। যদিও এখানে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী ছিলেন দুজন। বাকি তিন জন বিএনপিও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির কর্মসূচি পালন করলেন না। এই ৫ জন নেতাই ধানের শীষ প্রতীক ছিনিয়ে এনেছিলেন। নির্বাচনও করেছিলেন। কিন্তু তার মুক্তি চাইলেন না!

৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর পূর্ণ হয়। তার প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হলেও নারায়ণগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির এই কর্মসূচি পালন করেননি গত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৫ প্রার্থী। এদিন এমনকি তাদের অনুগামী নেতাকর্মীদেরও দেখা যায়নি এই কর্মসূচি পালন করতেন। একইভাবে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে যারা মনোনিত হয়েছিলেন তারাও এই কর্মসূচি পালন করেননি। তবে মনোনয়ন বঞ্চিত মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল ঠিকই কর্মসূচি পালন করেছেন।

জানাগেছে, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাদন্ড দেন আদালত। তখন থেকে বেগম খালেদা জিয়া আছেন কারাগারে। দেখতে দেখতে পেরিয়ে যায় এক বছর। তার মুক্তির দাবিতে শনিবার ছিল সারাদেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। আর তাতে ছিলনা নারায়ণগঞ্জ জেলার ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া পাচঁ প্রার্থী। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের এসব নেতাকর্মীরা বলেন, দলের এখন দুঃসময়। এ সময় রাজপথে নেই দলের হাইকমান্ডের পছন্দের প্রার্থীরা। আর এতে বুঝা যায় ধানের শীষের প্রার্থীরা সুবিধাবাদী ছিলেন। এমনকি জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরও মনোনিত হলেও তিনিও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি পালন করেননি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার সবচেয়ে আলোচিত আসন রুপগঞ্জ। এ আসনে প্রার্থী করা হয় ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে। যদিও জেলা বিএনপির পদটিও তিনি পকেট কমিটির হাসিল করেছেন বলে দাবি করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকে যদিও একবারও রাজপথে কোন আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি তাকে। এমনকি খালেদা জিয়ার মুক্তি কামনায়ও দেখা যায় না তাকে। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে চূড়ান্ত মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে পারলেও রুপগঞ্জের রাজনীতিতে ছিলেন তিনি ব্যর্থ। নির্বাচনে তিনি পারেননি দলের হেভিওয়েট নেতাদের মাঠে নামাতে। যার ফলে ভরাডুবি হয় তার।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন নজরুল ইসলাম আজাদ। রাজনীতির শুরুতেই তিনি জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে একাধিকবার বির্তকের সৃষ্টি করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৌশলগত কারণে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেও নির্বাচনে সবচেয়ে লজ্জাজনক ভোট পান তিনি। যার ফলে জনপ্রিয়তার শূন্যে নির্বাচনের পর থেকে রাজনীতির মাঠ থেকে হঠাত হারিয়েগেছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। শনিবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশের কর্মসূচি পালন করেননি কথিত জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ কর্মী কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে মনোনয়ন পান অশিক্ষিত আজহারুল ইসলাম মান্নান। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য। একই সঙ্গে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। এতগুলো পদ বহন করলেও তিনিও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির কর্মসূচি পালন করেননি।

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পান জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হলেও লড়েছিলেন ধানের শীষ প্রতীকে। নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন তিনিও বিএনপিই করেন। ইসলামীক দল হিসেবে তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের রাজনীতি করেন। কিন্তু সেই কাসেমীর ছায়াও নির্বাচনের পর দেখা যায়নি।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন এসএম আকরাম। তিনিও ছিলেন না খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করে যোগ দেন নাগরিক ঐক্যে। নাগরিক ঐক্য নিয়ে যখন গঠিত হয় ঐক্যফ্রন্ট তখন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে ভাগিয়ে আনেন তিনি। কিন্তু ধানের শীষ প্রতীকের দল বিএনপি আর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু সেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির কর্মসূচি তিনিও পালন করেননি।

খেলাধুলা সৎ ও সাহসী করে গড়ে তোলে: কাউন্সিলর ওমর ফারুক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

‘খেলাধুলা যে মানুষকে শুধুমাত্র বিনোদন দেয় তা নয় বরং আমাদের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এর সুদূর প্রসারী প্রভাব রয়েছে। খেলাধুলার মাধ্যমে একটি শিশুর মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়, সামাজিকীকরণ সুসংহত হয়। বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বন্ধুত্ব ও আস্থার সম্পর্ক তৈরি করে।’

১০ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় অবস্থিত নলেজ আইডিয়াল স্কুলের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুহাম্মদ ওমর ফারুক এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন, নলেজ আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেকে উপস্থাপন করতে হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি শারীরিক সক্ষমতাও অর্জন করতে হবে। এজন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। কারন খেলাধুলা শরীর ও মনকে প্রফুল্ল রাখে, রাখে প্রাণবন্ত, উচ্ছল ও আনন্দময়।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নলেজ স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এক আনন্দঘন পরিবেশে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক হোসেন চিশতি শিপলু ও বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সৌরভ ইমাম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মুহাম্মদ আব্দুল করিম খান ও মুহাম্মদ আক্তার হোসেন প্রমুখ।

বন্দরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সামনে বখাটেদের উৎপাত কে রুখবে?

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের আলোচিত সেই পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বখাটেদের উৎপাত চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের রুখবার যেনো কেউ নেই। আলোচিত এই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কিন্তু প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ নেই। এতে অভিভাবকেরা হয়েছেন আরও উদ্বিগ্ন।

জানাগেছে, বন্দর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকের পাশে বখাটেদের উপদ্রব মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রীদের একশ্রেণির বখাটে কিশোর ও যুবকরা বিদ্যালয়ের আশেপাশে ও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ও মোটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে অশ্লীল ভাষায় কথা বলা ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেম প্রস্তাব, প্রকাশ্যে ছাত্রীদের হাত ধরে টানাসহ নানাভাবে ইভটিজিং করায় এলাকার অনেক ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। এসব ঘটনায় মেয়েদের নিয়ে পিতা-মাতাসহ পরিবারের লোকজন তাদের নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে।

আরও জানা যায়, বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, নাসিম মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কদম রসুল কলেজসহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসার সময় একশ্রেণির বখাটে কিশোর ও যুবকরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেউবা মোটরসাইকেলে আরোহী হয়ে ছাত্রীদের নানা অঙ্গভঙ্গিতে ইভটিজিং, প্রেম প্রস্তাব করাসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। বখাটেদের ভয়ে অনেক ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা ওইসব বখাটে যুবকদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। পুলিশ মাঝে মধ্যে বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও তাদের দৌড়াত্ম থামছেনা। ফলে ইভটিজার ও বখাটেদের উপদ্রব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী এক অভিভাবক জানায়, গত শনিবার দুপুর দেড় টায় সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা শেষে ৩/৪ জন ছাত্রী শাহীমসজিদ মোড়ে একটি অটো রিক্সা উঠার সময় কয়েকজন বখাটে যুবক ছাত্রীদের প্রকাশ্যে অশ্লীল কথা বার্তার মত ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বখাটে কর্তৃক মেয়ে সন্তানদের সঠিকভাবে শিক্ষাদানে চরম ব্যাহত হচ্ছেন। তারা ইভটিজারদের শায়েস্তা করতে বন্দর থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

সর্বশেষ সংবাদ