নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার জোড়ালো আলোচনায় রয়েছেন সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানাগেছে। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও বেশ জনপ্রিয় এই আওয়ামীলীগ নেতা। এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝেও রয়েছে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা।
এদিকে নেতাকর্মীরা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ না কাটতেই নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে রাজনৈতিক মাঠে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে কড়া জোরে। চায়ের দোকানসহ হাটবাজারে আলোচনা চলছে কেমন হবে এ নির্বাচন, আবার কারা হচ্ছেন এ নির্বাচনের প্রার্থী এসব নিয়ে। আর তারই মধ্যে আলোচনার শীর্ষে আছেন আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া।
আরও জানাগেছে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এবার আড়াইহাজার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। যদিও ইতিমধ্যে দলীয় ফরম বিতরণ শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদেই দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামীলীগ। তবে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এমপি ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের বাছাই করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। কারন তিনি নেতাকর্মী ও স্থানীয় এমপির কাছেও গ্রহণযোগ্য একজন প্রার্থী।
স্থানীয়রা বলছেন, আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজুল ইসলামের কর্মকান্ড বেশ কৌশলী ও প্রসংশিত। রাজনীতিতে তার বিচক্ষণতার ছাপ রয়েছে। কখনও ক্ষমতার শক্তি দেখাননি। সাধারণ মানুষকে জোর জুলুম করেননি। একজন সাধারণ মানুষের মতই চলাফেরা করেছেন। মানুষের উপকারে তিনি সব সময় সজাগ ছিলেন। যে কারণে তাকে আড়াইহাজারের মানুষ মনে প্রাণে বিশ্বাস করছেন।
এছাড়াও সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া আড়াইহাজের রাজনীতিতে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছেন। একই সাথে দলের দুর্দিনে পাশে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামীলীগের হালও ধরেছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে। যা এখনও চলমান রয়েছে। তাই ভাইস চেয়ারম্যান পদে সকলের আগেই আলোচনার শীর্ষে এখন সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১) অভিযান চালিয়ে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় র্যাব-১১ এর এক বিশেষ অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন, ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে শেফালী বেগম (৫০) নামের এক মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। এই সময় তার বাসা থেকে মানব পাচারের শিকার ২২ বছর বয়সী এক যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। পরে আটককৃত শেফালী বেগমের স্বীকারোক্তি ও ভিকটিমের জবানবন্দী অনুযায়ী কদমতলী এলাকা হতে মামুন (৩৫) নামের মানব পাচারকারী চক্রের আরেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত র্যাব-১১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী (পিপিএম) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, শেফালী বেগম দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ফ্যামিলি বাসার ছদ্মবেশে পতিতাবৃত্তির ব্যবসা করে আসছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একটি সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে যুবতী মেয়েদের অধিক বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারিত করে নিয়ে এসে জিম্মি করে জোরপূর্বক অসামাজিক (পতিতাবৃত্তি) কাজে ব্যবহার করত।
তাছাড়া তার অধীনে অনেক যৌনকর্মী ও খদ্দের রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মামুন তার একজন নিয়মিত খদ্দের। পরিচয়ের সূত্রে মামুন উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে অধিক বেতনে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে। প্রথমে ভিকটিমকে ঢাকার কমলাপুর এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে রাখে। মামুন হোটেল কক্ষে জোরপূর্বক ভিকটিমের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে চাকুরী দেয়ার নামে প্রতারণা করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিকটিমকে শেফালি বেগমের হাতে তুলে দেয়। শেফালি বেগম ভিকটিমকে তার বাসায় জিম্মি ও মারধর করে নিয়মিত খদ্দেরদের সাথে অসামাজিক কাজে বাধ্য করত। গ্রেপ্তারকৃত শেফালি বেগম ও মামুনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলেও জানায় র্যাব।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পাইওনিয়ার স্কুলের বার্ষিক ক্রীড় প্রতিযোগিতা ও কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১১টায় সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের রাজবাড়ী পাইওনিয়ার স্কুলের অডিটরিয়ামে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং বাংলাদেশ মহিলা জজ এসোসিয়েশনের সভাপতি তানজিনা ইসমাঈল। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তানজিনা ইসমাঈল বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তিনি এই ভবিষ্যৎ নাগরিকদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রত্যেকটা শিক্ষকের সন্তানের মত আচরণ করার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, তারা যেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, লেখাপড়া শিখে শুধু সার্টিফিকেট অর্জন না করে আদর্শ মানুষ হওয়ার পরামর্শ দেন।
বন্দরে পাইওনিয়ার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবির হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী, বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু, বীরমুক্তিযোদ্ধা জব্বর সরদার, নাজিম মাষ্টার, সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া ও ব্যাংকার নুর মোহাম্মদ প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের যেদিকে তাকাই সন্ত্রাসীদের দূর্বৃত্তায়ন। যেদিকে তাকাই ভূমিদস্যূতা। শিল্পপতিরা শিল্প চালাবে, মিল-কারখানা চালাবে কিন্তু শিল্পপতিদের খেলার মাঠের প্রতি কেন এত লোভ থাকবে? যদি আশেপাশের কোন শিল্পপতি এই খেলার মাঠকে দখল করতে চায় তাহলে ওই শিল্পপতিকে এই এলাকা থেকে উৎখাত করে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন খেলার মাঠে খেলাই হবে অন্য কিছু হবেনা।
৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে বন্দর মাহমুদনগরের মাহমুদনগর প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের বর্তমান সভাপতি। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
সাংবাদিক নেতা আরো বলেন, মাহমুদনগর ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। এখানে ভাষাসৈনিক, সাহিত্যিকদের বসবাস। এখানে উন্নয়ন জরুরী। আমরা শুধু একটা জিনিস জানি যে, সারা নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মেয়র কথা বলে থাকেন। উন্নয়নের জন্য কথা বলে থাকেন। উন্নয়নই তার শেষ কথা। আমি মেয়র আইভির কথার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলতে চাই উন্নয়ন মাহমুদনগরবাসীর জন্য হোক। এখানে সুন্দর খেলার মাঠ হোক, যে মাঠে দেশ বিদেশের খেলোয়াররা এসে খেলবে। মাহমুদনগরবাসীকে বলছি আপনারা সজাগ থাকবেন এই খেলার মাঠে যদি কোন ষড়যন্ত্রকারী আসে মাঠে বিশৃঙ্খলা করতে, আপনারা তাদের হাত পা ভেঙ্গে ফেলবেন। এখানে গ্যালারী করে খেলার মাঠ কে সুন্দয্যবর্ধণের পাশাপাশি কবরস্থান সংস্কার সহ উন্নয়ন করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
কদমতলী শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, বাদামতলী চাউল আড়ৎ বনিক সমিতির সভাপতি নিজাম উদ্দিন আহমেদ, মাহমুদনগর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির, বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাব্বির আহমেদ সেন্টু, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র বিভা হাসান, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফায়সাল মোহাম্মদ সাগর ও ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ প্রমূখ।
নারায়ণগঞ্জ সিটিকর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি বলেছেন, জনশক্তিই বড় শক্তি। জনগণের উপর কোন শক্তিই টিকতে পারেনা। আমি সব সময় আপনাদের নিয়ে কাজ করতে চাই। শুধু আপনাদের সামনে নয় পিছনেও আপনাদের সমানে সমানে পা ফেলতে চাই। আপনাদের প্রাণের দাবি মাহমুদনগর কবরস্থান সংলগ্ন মাঠটি যেন কোন দখলদার এসে দখল না করতে পারে। ইনশাআল্লাাহ এটা কখনোই হবে না।
৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে বন্দর মাহমুদনগরের মাহমুদনগর প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনাদের সম্মতি থাকলে আমিও চাই এই মাঠটি ও পাশের শীতলক্ষ্যা ব্রীজটি শেখ কামালের নামে হোক। আপনাদের ছাড়া আমি কারো কথাই শুনবনা। জনগণই আমার শক্তির উৎস। এই মাঠকে আন্তর্জাতিক ষ্টেডিয়ামের মত করে গড়ে তুলতে যা যা লাগে আমি সব ব্যবস্থা করব। আশা করি আগামি ২ বছর পর এখানে আর কোন কাজই খুজে পাবোনা। মাহমুদনগরে সব রাস্তাই প্রায় হয়ে গেছে। শুধু ছোট ছোট কাজগুলো বাকি আছে।
তিনি বলেন, আমি এখানে কোন কাজের ফিরিস্তি দিতে আসি নাই। এখানে একটা খেলার মাঠ আছে সেটা শেখ কামালের নামে করতে চাই। আমি সকলের সাথে দাবী করতে চাই এই ব্রীজটা শেখ কামালের নামে নামকরণ করা হোক। কেননা, যার পুরো ফ্যামিলিই স্বপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হল অথচ তাদের সদস্যদের নামে একটা ব্রীজ করার দাবী আমরা করতেই পারি। এই দেশ যার দ্বারা স্বাধীন রাষ্ট্র পেলাম, যার কারনে একটি লাল সবুজের পতাকা পেলাম তার পরিবারের নামে এই ব্রীজ হোক এটা আমাদের সকলের দাবী।
কদমতলী শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম খানের সভাপতিত্বে ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম। এতে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বাদামতলী চাউল আড়ৎ বনিক সমিতির সভাপতি নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মাহমুদনগর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির।
বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাব্বির আহমেদ সেন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র বিভা হাসান, সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফায়সাল মোহাম্মদ সাগর, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, মাহমুদনগর এলাকার সমাজ সেবক সোহেল করিম রিপন ও জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এক বছরের মাথায় ৯ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে তার মুক্তি কামনা করে কর্মসূচি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এদিন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি এ কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের বাধায় পন্ড হয়ে যায়। তবে জেলা বিএনপি এ কর্মসূচি পালনের কোন উদ্যোগই নেয়নি।
জানাগেছে, ৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, ফখরুল ইসলাম মজনু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু সহ দলীয় নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্ত্বরের যেখানে তাদের কর্মসূচি পালন করে থাকে আমরা সেখানেই করবো। আর এটা আমাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমাদেরকে গলিতে কর্মসূচি পালন করার নির্দেশ প্রদান করেছে যা আমাদের জন্য অসম্মানজনক। প্রেসক্লাব চত্ত্বর এটি মুক্তাঙ্গন এখানে সকলের সমান অধিকার রয়েছে। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে কেন উল্টো হবে? এটা মিডিয়ার মাধ্যমে জাতির কাছে আমাদের প্রশ্ন। আমরা কর্মসূচি সকল রাজনৈতিক দলের মত প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনের যথাস্থানে করতে চাই, গলিতে করে দলীয় কর্মসূচিকে হাস্যকর করতে চাই না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট রফিক আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, অ্যাডভোকেট শহীদ সারোয়ার, অ্যাডভোকেট সুমন মোহাম্মদ মামুন মাহমুদ, ফারুক শেখ, শওকত আলী লিটন, ফেরদৌসুর রহমান, আল-আরিফ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ-রিয়ার চৌধুরী ইমন, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু প্রমুখ।
এটিএম কামাল প্রতিবাদ সমাবেশ করতে না দেয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানান, সেই সাথে উপস্থিত নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অসুস্থ্য বেশকজন নেতাদের রোগমুক্তি কামনায় নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
এক বিবৃতিতে অসুস্থ্য কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা ওলামাদলের সভাপতি মুন্সী সামছুর রহমান খান বেনু, মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ সুরুজ্জামান, মহিলা দলের নেত্রী বিনু আক্তার ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ইব্রাহীম সরদার সহ জেলায় অসুস্থ্য নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনা করে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন তিনি।
প্রায় দেড় বছর আগে ২৮৭ জন বিএনপির আইনজীবীকে নিয়ে গঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি। তারা প্রত্যেকেই নেতা। এই কমিটিকে বাতিল ভুয়া দাবি করে বিএনপির আইনজীবীদের আরেকটি গ্রুপ পাল্টা কমিটিও গঠন করেন। ফলে দুই কমিটি মিলে হয়ে যায় ২৮৭ জনেরও বেশি। যদিও ওই কমিটিতে পদ পাওয়া অনেক নেতা আবার পদত্যাগও করেছেন। সব নাটকীয়তা বাদ দিলে কমিটির ২৮৭ জনের মধ্যে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ৯০ জন আইনজীবী ভোট দিয়েছেন আওয়ামীলীগের প্যানেলের প্রার্থীদের। অথচ তারা প্রত্যেকেই বিএনপির আইনজীবী নেতা। আর এই দীর্ঘ কমিটি গঠন করার অভিযোগ ওঠেছিল কমিটি গঠন করা হয়েছে কেবল মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের প্রেসক্রিপশনে। ফলে সাখাওয়াত অনুগামী বিএনপির ৯০ আইনজীবী নেতারা ভোট এবার গেল আওয়ামীলীগের বাক্স্রে!
জানাগেছে, প্রায় দেড় বছর আগে জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন এককভাবে নারায়ণগঞ্জের কমিটি ঘোষণা করেন। যেখানে শুধুমাত্র অগ্রাধিকার পায় মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের অনুগামী আইনজীবীরা। কমিটি গঠনের পর দিনই কমিটি বাতিলের দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেন অপর পক্ষের আইনজীবীরা। কমিটি গঠনের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে কমিটিতে প্রত্যাখান করেন আইনজীবীদের একটি অংশ। এমনকি ১৪৪ জন পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন।
কমিটিতে রাখা উপদেষ্টা পদ থেকে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারও পদত্যাগ করেন। এ কমিটি বাতিল না হওয়ার কারনে কয়েক দিনের মাথায় অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুইয়াকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সেক্রেটারি করে পাল্টা কমিটি গঠন করেন অপর পক্ষের আইনজীবীরা। মুলত তারা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। এর আগে ২৮৭ জনের কমিটিতে অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লাকে সেক্রেটারি বিশাল এক কমিটি ঘোষণা করেন মাহবুব উদ্দীন খোকন।
জানাগেছে, গত ২৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচন করেন ওই ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির। তিনি ২৮৭ জনের কমিটির একজন নেতা যিনি সভাপতি। অথচ তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ১৯৭ জন আইনজীবীর। ফলে ২৮৭ জন আইনজীবী নেতারা ভোটের মধ্যে ১৯৭ ভোট যখন সরকার হুমায়ুন কবিরের বাক্সে তখন কমিটির আরও ৯০ জন আইনজীবী নেতার ভোট কোথায়? নির্বাচনে ৯২৬টি ভোটের মধ্যে ৯১০জন আইনজীবী ভোট প্রদান করেছেন। ফলে ওই ৯০টি ভোট আওয়ামীলীগের বাক্সে গিয়েছে। তাহলে এত দীর্ঘ ফোরামের কমিটি গঠনের স্বার্থকতা কোথায় যেখানে ফোরামের নেতাদের ভোটই পেলেন না ফোরামের সভাপতি সরকার হুমায়ুন কবির?
ফোরামের শীর্ষ আইনজীবী নেতা খোরশেদ আলম মোল্লা দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচনে বিএনপির আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু ভোটের হিসেবে তার বক্তব্যের কোন প্রমান পাওয়া গেল না। যেখানে ২৮৭ জন আইনজীবী নেতার মধ্যে ৯০ জন নেতার ভোটই চলে যায় আওয়ামীলীগের বাক্সে। তাহলে ওই ৯০ জন আইনজীবী নেতা কারা এখণও খুজে বের করতে পারেননি ফোরামের শীর্ষ নেতারা। এছাড়াও কোর্টে বিএনপির অনেক সমর্থক ও ভোটারও রয়েছেন। তাহলে তাদের ভোট না হয় বাদ দেয়া হলো। তবুও ৯০ জন আইনজীবী নেতারা ভোট আওয়ামীলীগের বাক্সে সেটা হলফ করেই বলা যায়। ২৮৭ জনের কমিটির সভাপতি সরকার হুমায়ুন কবির পেলেন মাত্র ১৯৭ টি ভোট।
কেউ কেউ বলেছেন, সরকারি দল নির্বাচনে ভয় ভীতি প্রহসন করে ভোট আদায় করেছেন। কিন্তু দৃশ্যমান সে রকম কিছু দেখা যায়নি। তবে সেটা না হয় বিএনপির সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের ভোট সরকারি দল ছিনিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু ফোরামের ৯০ জন নেতার ভোট কিভাবে নিয়ে গেল তার উত্তর কারো কাছেই পাওয়া যায়নি। তবে এসব বিষয় নিয়ে এখনও বিএনপির আইনজীবীরা সংবাদ মাধ্যমে মুল খুলেননি। নির্বাচনের পর ফোরামের দুই গ্রুপের শীর্ষ নেতারা বৈঠক করলেও কোন ধরনের সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। মুুলত এসব কারনে এখন নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন ফোরামের শীর্ষ আইনজীবী নেতারা। অনেকেই বলেছেন এবারের নির্বাচনে ফোরামের শীর্ষ আইনজীবী নেতাদের অনেকেই দলীয় প্যানেলে ভোট দেয়নি। আবার যদি সরকারি দল জোর করে বিএনপি আইনজীবী নেতাদের ভোট ছিনিয়েই নেয় তাহলে তারা কিসের নেতা যারা নিজেদের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে পারেন নাা। সব মিলিয়ৈ তারা সব দিকেই ব্যর্থ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০২০ সালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে আবারো সভাপতি ও সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। সমিতির ১৭টি পদের মধ্যে কার্যকরী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব ভূঞা বিএনপির প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র একজন। বাকি ১৬টি পদে আওয়ামী প্যানেলের প্রার্থীরা বিশাল জয় পেয়েছেন।
২৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির গঠিত নির্বাচন কমিশন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৯২৬ জন আইনজীবী। এতে ৯১০ জন আইনজীবী তাদের ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে আওয়ামীলীগ প্যানেলের প্রার্থী ও বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল পেয়েছেন ৬৯৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপির প্রার্থী সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির পেয়েছেন মাত্র ১৯৭ ভোট। হাসান ফেরদৌস জুয়েল এবার সমিতির রেকর্ড সংখ্যক ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।
এদিকে একইভাবে রেকর্ড সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে সেক্রেটারি পদে আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ৬২৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির পেয়েছেন মাত্র ২৬১ ভোট।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আওয়ামীলীগ প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আলী আহাম্মেদ ভূইয়া ৫৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী ও বর্তমানে সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা পেয়েছেন ৩৩০ ভোট। সহ-সভাপতি পদে আওয়ামীলীগ প্যানেলের অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা ৪৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দীন মিয়া পেয়েছেন ৩৮৬ ভোট।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৬০ ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহিদুর ইসলাম টিটু পেয়েছেন মাত্র ২৩০ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, আমার বাবা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (সদস্য) ছিলেন। তিনি মানুষের সেবা করেছেন। বাবার মত আমিও মানুষের সেবক হতে চাই। আমি চাই রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে। সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী।
১০ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্ট এলাকায় তার নিজ চেম্বারে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে রূপগঞ্জবাসীর জন্য কি কি করতে চান তা নিয়ে খোলা মেলা আলোচনায় এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। একই সঙ্গে রূপগঞ্জের মানুষের জন্য কি কি উন্নয়ন তিনি করতে চান তারও বিস্তারিত স্বপ্নের কথা বলেছেন। বলেছেন মাদক, বাল্য বিবাহ ও ধর্ষণের মত ঘটনায় তিনি একজন আইনজীবী হিসেবে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সোচ্চার ও কঠোর থাকবেন।
আপনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাড়াতে চান এর মুল উদ্দেশ্য কি এবং কেন জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া বলেন, আমি তৃনমূল থেকে রাজনীতি করে আসছি। আমার শুরু ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে। আমি বিশ্ব মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন, আমি সেই জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভার্ড মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে চাই। রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে চাই।
এই আইনজীবী নেতা আরও বলেন, রূপগঞ্জ ঢাকার পার্শ্ববতী এলাকা। এখানে শতভাগ শিক্ষিত সমাজের খুব প্রয়োজন। শিক্ষাখাতে আমি এখানে ছোট ছোট সমস্যাগুলো নিরসন করে শতভাগ উন্নতি দেখতে চাই। গরীব অসহায় মানুষ যাতে ছোট ছোট সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পায় সেদিকে আমি কাজ করব। তাদের সচেতনতা ও সহযোগীতা করব। মোট কথা উপজেলা পরিষদ থেকে যা যা করণীয় কাজ করব। কারন একটি সমাজে শিক্ষিত সমাজ থাকলে ওই সমাজটি বেশি এগিয়ে যায়।
সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমাদের রূপগঞ্জেও মাদকের সমস্যা রয়েছে। আমাদের মাননীয় পাট ও বস্ত্র গোলাম দস্তগী গাজী (বীর প্রতীক) এমপি এর নির্দেশে মাদক নির্মূলে কাজ করব। রাস্তা ঘাট মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল সহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করব। একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের যেসব কার্যক্রম রয়েছে আমি শতভাগ করার চেষ্টা করব ইনশাহআল্লাহ। আমাকে নির্বাচিত করা হলে আমি সেভাবেই কাজ করব।
তিনি আরেক প্রশ্নে বলেন, আমি রূপগঞ্জের মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমার প্রধান লক্ষ্য হলো আমার বাবাও মানুষের সেবা করে গেছেন। আমিও রূপগঞ্জবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমার বাবা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছিলেন। বাবা সারাজীবন মানুষের সেবা করে গেছেন। আমিও বাবার মত সেবক হিসেবে কাজ করব।
তিনি নারী উন্নয়নের বিষয়ে বলেন, বাল্য বিবাহ বন্ধে কঠোরভাবে কাজ করব। এছাড়াও নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মত ঘটনায় আমি কঠোর অবস্থানে থাকবো। আমি একজন আইনজীবী হিসেবে যেভাবে শতভাগ কঠোর থাকা যায় সেভাবেই আমি এসব বিষয়ে কঠোর থাকবো। নারীদের শিক্ষিত করতে আমি কাজ করব। শিক্ষাখাতে এখন সরকার সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। আমি নারীদের অন্যান্য সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করব। যেখানে বখাটেদের ইভটিজিং এর কারনে নারীরা লেখাপড়া থেকে পিছিয়ে যায়। আর্থিক সংকটে অভাবে অনটনে অনেক মেধাবী যেনো ঝড়ে না যায় এসব বিষয়েও কাজ করব। নারীর নিরাপত্তায় কাজ করব। বিশেষ করে মাদক, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমার কঠোর অবস্থান থাকবে। উপজেলা পরিষদ থেকে নারীদের জন্য যা যা করণীয় আমি শতভাগ কাজ করব ইনশাহআল্লাহ।
এখানে উল্লেখ্যযে, ১৯৯৭ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। ওই সময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তিনি মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের জিএস প্রার্থীও ছিলেন। তবে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার কারনে নির্বাচনে তিনি দাড়াননি। তবে পদে না আসলেও তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন অগ্রভাগে। নারায়ণগঞ্জ থেকে এবার একমাত্র মন্ত্রীত্ব পাওয়া পাট ও বস্ত্রী মন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক) এর বিশ্বস্থ কর্মী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের এই নম্র ভদ্র সদাচারী আইনজীবী নেতা ২০০১ সালের পর জোট সরকার আমলে মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। তারপর রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি নির্বাচিত হন। তার কয়েক দিন পর রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে তিনি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫ জনের কমিটিতে তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ছাত্রলীগের এই শীর্ষ পদে থেকে পুরো উপজেলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় গিয়ে কমিটি গঠনে কাজ করেন। যার ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আহ্বানও রাখেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি হলে তিনিই ওই সময় সভাপতি নির্বাচিত হতেন। যা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বয়স ৩১ নির্ধারণ করায় তিনি আর সেই পদে প্রার্থী হতে পারেননি।
২০১০ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। এর আগে তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি পুরোদমে আইন পেশায় মনোযোগী হন। ভার্সিটি জীবনেও তিনি ভার্সিটিতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আইন পেশায় এসে তিনি ২০১৫ সালের দিকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানেও তিনি একই পদে বহাল রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও জানাগেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালিত আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান যার বাবা আফজাল হোসেন ভূঁইয়া ছিলেন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। প্রয়াত আফজাল হোসেন ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে জনগণের সেবা করেছেন। বর্তমানে মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়ার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম দুলাল মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের জিএস। আপন বড় ভাই খোকন ভূঁইয়া আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি। এছাড়াও আরেক ছোট ভাই আবু ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত।
এছাড়াও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এখন সদাচারী নম্র ভদ্র সহজ সরল আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া একই সঙ্গে রূপগঞ্জের সামাজিক কর্মকান্ডেও সক্রিয়। রয়েছেন রূপগঞ্জের স্থানীয় অনেষা জামে মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। সহযোগীতা করে আসছিলেন ছোট ছোট বিদ্যালয়ের অনেক কর্মকান্ডেও। রয়েছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও। তিনি বর্তমানে রূপগঞ্জ শিল্পগোষ্ঠী নামের একটি সংগঠনের সভাপতির পদেও রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, আমার বাবা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (সদস্য) ছিলেন। তিনি মানুষের সেবা করেছেন। বাবার মত আমিও মানুষের সেবক হতে চাই। আমি চাই রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে। সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী।
১০ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্ট এলাকায় তার নিজ চেম্বারে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে রূপগঞ্জবাসীর জন্য কি কি করতে চান তা নিয়ে খোলা মেলা আলোচনায় এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। একই সঙ্গে রূপগঞ্জের মানুষের জন্য কি কি উন্নয়ন তিনি করতে চান তারও বিস্তারিত স্বপ্নের কথা বলেছেন। বলেছেন মাদক, বাল্য বিবাহ ও ধর্ষণের মত ঘটনায় তিনি একজন আইনজীবী হিসেবে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সোচ্চার ও কঠোর থাকবেন।
আপনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাড়াতে চান এর মুল উদ্দেশ্য কি এবং কেন জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া বলেন, আমি তৃনমূল থেকে রাজনীতি করে আসছি। আমার শুরু ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে। আমি বিশ্ব মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন, আমি সেই জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভার্ড মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে চাই। রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে চাই।
এই আইনজীবী নেতা আরও বলেন, রূপগঞ্জ ঢাকার পার্শ্ববতী এলাকা। এখানে শতভাগ শিক্ষিত সমাজের খুব প্রয়োজন। শিক্ষাখাতে আমি এখানে ছোট ছোট সমস্যাগুলো নিরসন করে শতভাগ উন্নতি দেখতে চাই। গরীব অসহায় মানুষ যাতে ছোট ছোট সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পায় সেদিকে আমি কাজ করব। তাদের সচেতনতা ও সহযোগীতা করব। মোট কথা উপজেলা পরিষদ থেকে যা যা করণীয় কাজ করব। কারন একটি সমাজে শিক্ষিত সমাজ থাকলে ওই সমাজটি বেশি এগিয়ে যায়।
সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমাদের রূপগঞ্জেও মাদকের সমস্যা রয়েছে। আমাদের মাননীয় পাট ও বস্ত্র গোলাম দস্তগী গাজী (বীর প্রতীক) এমপি এর নির্দেশে মাদক নির্মূলে কাজ করব। রাস্তা ঘাট মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল সহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করব। একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের যেসব কার্যক্রম রয়েছে আমি শতভাগ করার চেষ্টা করব ইনশাহআল্লাহ। আমাকে নির্বাচিত করা হলে আমি সেভাবেই কাজ করব।
তিনি আরেক প্রশ্নে বলেন, আমি রূপগঞ্জের মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমার প্রধান লক্ষ্য হলো আমার বাবাও মানুষের সেবা করে গেছেন। আমিও রূপগঞ্জবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমার বাবা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছিলেন। বাবা সারাজীবন মানুষের সেবা করে গেছেন। আমিও বাবার মত সেবক হিসেবে কাজ করব।
তিনি নারী উন্নয়নের বিষয়ে বলেন, বাল্য বিবাহ বন্ধে কঠোরভাবে কাজ করব। এছাড়াও নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মত ঘটনায় আমি কঠোর অবস্থানে থাকবো। আমি একজন আইনজীবী হিসেবে যেভাবে শতভাগ কঠোর থাকা যায় সেভাবেই আমি এসব বিষয়ে কঠোর থাকবো। নারীদের শিক্ষিত করতে আমি কাজ করব। শিক্ষাখাতে এখন সরকার সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। আমি নারীদের অন্যান্য সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করব। যেখানে বখাটেদের ইভটিজিং এর কারনে নারীরা লেখাপড়া থেকে পিছিয়ে যায়। আর্থিক সংকটে অভাবে অনটনে অনেক মেধাবী যেনো ঝড়ে না যায় এসব বিষয়েও কাজ করব। নারীর নিরাপত্তায় কাজ করব। বিশেষ করে মাদক, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমার কঠোর অবস্থান থাকবে। উপজেলা পরিষদ থেকে নারীদের জন্য যা যা করণীয় আমি শতভাগ কাজ করব ইনশাহআল্লাহ।
এখানে উল্লেখ্যযে, ১৯৯৭ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। ওই সময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তিনি মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের জিএস প্রার্থীও ছিলেন। তবে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার কারনে নির্বাচনে তিনি দাড়াননি। তবে পদে না আসলেও তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন অগ্রভাগে। নারায়ণগঞ্জ থেকে এবার একমাত্র মন্ত্রীত্ব পাওয়া পাট ও বস্ত্রী মন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক) এর বিশ্বস্থ কর্মী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের এই নম্র ভদ্র সদাচারী আইনজীবী নেতা ২০০১ সালের পর জোট সরকার আমলে মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। তারপর রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি নির্বাচিত হন। তার কয়েক দিন পর রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে তিনি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫ জনের কমিটিতে তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ছাত্রলীগের এই শীর্ষ পদে থেকে পুরো উপজেলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় গিয়ে কমিটি গঠনে কাজ করেন। যার ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আহ্বানও রাখেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি হলে তিনিই ওই সময় সভাপতি নির্বাচিত হতেন। যা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বয়স ৩১ নির্ধারণ করায় তিনি আর সেই পদে প্রার্থী হতে পারেননি।
২০১০ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। এর আগে তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি পুরোদমে আইন পেশায় মনোযোগী হন। ভার্সিটি জীবনেও তিনি ভার্সিটিতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আইন পেশায় এসে তিনি ২০১৫ সালের দিকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানেও তিনি একই পদে বহাল রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও জানাগেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালিত আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান যার বাবা আফজাল হোসেন ভূঁইয়া ছিলেন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। প্রয়াত আফজাল হোসেন ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে জনগণের সেবা করেছেন। বর্তমানে মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়ার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম দুলাল মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের জিএস। আপন বড় ভাই খোকন ভূঁইয়া আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি। এছাড়াও আরেক ছোট ভাই আবু ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত।
এছাড়াও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এখন সদাচারী নম্র ভদ্র সহজ সরল আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া একই সঙ্গে রূপগঞ্জের সামাজিক কর্মকান্ডেও সক্রিয়। রয়েছেন রূপগঞ্জের স্থানীয় অনেষা জামে মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। সহযোগীতা করে আসছিলেন ছোট ছোট বিদ্যালয়ের অনেক কর্মকান্ডেও। রয়েছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও। তিনি বর্তমানে রূপগঞ্জ শিল্পগোষ্ঠী নামের একটি সংগঠনের সভাপতির পদেও রয়েছেন।