রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়ার যেভাবে উত্থান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ছাত্রলীগের একজন তৃনমূল থেকে ওঠে আসা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান এখন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রয়েছেন তিনি সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে। এর আগেও তিনি কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। এখন স্বপ্ন দেখছেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে জনগণের জন্য কাজ করার। তার স্বপ্ন রূপগঞ্জের মানুষের সেবক হতে চান। তবে এসব স্বপ্নের মাঝেও রয়েছে তার কঠোর পরিশ্রম। একজন নম্র ভদ্র সদাচারী আইনজীবী তীল তীল করে রাজনীতিতে ওঠে আসছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে একমাত্র মন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) পাট ও বস্ত্র মন্তীর সুদৃষ্টি অর্জন করেছেন স্বপন ভুইয়া।

ছবি- সান নারায়ণগঞ্জ টুযেন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে সাক্ষাতকারে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া।

জানাগেছে, ১৯৯৭ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। ওই সময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তিনি মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের জিএস প্রার্থীও ছিলেন। তবে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার কারনে নির্বাচনে তিনি দাড়াননি। তবে পদে না আসলেও তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন অগ্রভাগে। নারায়ণগঞ্জ থেকে এবার একমাত্র মন্ত্রীত্ব পাওয়া পাট ও বস্ত্রী মন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক) এর বিশ্বস্থ কর্মী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া।

নারায়ণগঞ্জ আদালতের এই নম্র ভদ্র সদাচারী আইনজীবী নেতা ২০০১ সালের পর জোট সরকার আমলে মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। তারপর রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি নির্বাচিত হন। তার কয়েক দিন পর রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে তিনি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫ জনের কমিটিতে তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ছাত্রলীগের এই শীর্ষ পদে থেকে পুরো উপজেলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় গিয়ে কমিটি গঠনে কাজ করেন। যার ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আহ্বানও রাখেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি হলে তিনিই ওই সময় সভাপতি নির্বাচিত হতেন। যা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বয়স ৩১ নির্ধারণ করায় তিনি আর সেই পদে প্রার্থী হতে পারেননি।

ছবি- রূপগঞ্জের মানুষের উন্নয়নে যা যা করতেন চান তা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সাক্ষাতকারে।

২০১০ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। এর আগে তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি পুরোদমে আইন পেশায় মনোযোগী হন। ভার্সিটি জীবনেও তিনি ভার্সিটিতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আইন পেশায় এসে তিনি ২০১৫ সালের দিকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানেও তিনি একই পদে বহাল রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন।

আরও জানাগেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালিত আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান যার বাবা আফজাল হোসেন ভূঁইয়া ছিলেন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। প্রয়াত আফজাল হোসেন ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে জনগণের সেবা করেছেন। বর্তমানে মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়ার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম দুলাল মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের জিএস। আপন বড় ভাই খোকন ভূঁইয়া আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি। এছাড়াও আরেক ছোট ভাই আবু ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত।

ছবি- নিজস্ব চেম্বারে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া।

এছাড়াও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এখন সদাচারী নম্র ভদ্র সহজ সরল আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া একই সঙ্গে রূপগঞ্জের সামাজিক কর্মকান্ডেও সক্রিয়। রয়েছেন রূপগঞ্জের স্থানীয় অনেষা জামে মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। সহযোগীতা করে আসছিলেন ছোট ছোট বিদ্যালয়ের অনেক কর্মকান্ডেও। রয়েছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও। তিনি বর্তমানে রূপগঞ্জ শিল্পগোষ্ঠী নামের একটি সংগঠনের সভাপতির পদেও রয়েছেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, আমার বাবা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (সদস্য) ছিলেন। তিনি মানুষের সেবা করেছেন। বাবার মত আমিও মানুষের সেবক হতে চাই। আমি চাই রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে। সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী।

১০ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্ট এলাকায় তার নিজ চেম্বারে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে রূপগঞ্জবাসীর জন্য কি কি করতে চান তা নিয়ে খোলা মেলা আলোচনায় এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। একই সঙ্গে রূপগঞ্জের মানুষের জন্য কি কি উন্নয়ন তিনি করতে চান তারও বিস্তারিত স্বপ্নের কথা বলেছেন। বলেছেন মাদক, বাল্য বিবাহ ও ধর্ষণের মত ঘটনায় তিনি একজন আইনজীবী হিসেবে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সোচ্চার ও কঠোর থাকবেন।

আপনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাড়াতে চান এর মুল উদ্দেশ্য কি এবং কেন জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া বলেন, আমি তৃনমূল থেকে রাজনীতি করে আসছি। আমার শুরু ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে। আমি বিশ্ব মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন, আমি সেই জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভার্ড মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে চাই। রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে চাই।

এই আইনজীবী নেতা আরও বলেন, রূপগঞ্জ ঢাকার পার্শ্ববতী এলাকা। এখানে শতভাগ শিক্ষিত সমাজের খুব প্রয়োজন। শিক্ষাখাতে আমি এখানে ছোট ছোট সমস্যাগুলো নিরসন করে শতভাগ উন্নতি দেখতে চাই। গরীব অসহায় মানুষ যাতে ছোট ছোট সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পায় সেদিকে আমি কাজ করব। তাদের সচেতনতা ও সহযোগীতা করব। মোট কথা উপজেলা পরিষদ থেকে যা যা করণীয় কাজ করব। কারন একটি সমাজে শিক্ষিত সমাজ থাকলে ওই সমাজটি বেশি এগিয়ে যায়।

সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমাদের রূপগঞ্জেও মাদকের সমস্যা রয়েছে। আমাদের মাননীয় পাট ও বস্ত্র গোলাম দস্তগী গাজী (বীর প্রতীক) এমপি এর নির্দেশে মাদক নির্মূলে কাজ করব। রাস্তা ঘাট মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল সহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করব। একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের যেসব কার্যক্রম রয়েছে আমি শতভাগ করার চেষ্টা করব ইনশাহআল্লাহ। আমাকে নির্বাচিত করা হলে আমি সেভাবেই কাজ করব।

তিনি আরেক প্রশ্নে বলেন, আমি রূপগঞ্জের মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমার প্রধান লক্ষ্য হলো আমার বাবাও মানুষের সেবা করে গেছেন। আমিও রূপগঞ্জবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমার বাবা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছিলেন। বাবা সারাজীবন মানুষের সেবা করে গেছেন। আমিও বাবার মত সেবক হিসেবে কাজ করব।

তিনি নারী উন্নয়নের বিষয়ে বলেন, বাল্য বিবাহ বন্ধে কঠোরভাবে কাজ করব। এছাড়াও নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মত ঘটনায় আমি কঠোর অবস্থানে থাকবো। আমি একজন আইনজীবী হিসেবে যেভাবে শতভাগ কঠোর থাকা যায় সেভাবেই আমি এসব বিষয়ে কঠোর থাকবো। নারীদের শিক্ষিত করতে আমি কাজ করব। শিক্ষাখাতে এখন সরকার সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। আমি নারীদের অন্যান্য সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করব। যেখানে বখাটেদের ইভটিজিং এর কারনে নারীরা লেখাপড়া থেকে পিছিয়ে যায়। আর্থিক সংকটে অভাবে অনটনে অনেক মেধাবী যেনো ঝড়েনা যায় এসব বিষয়েও কাজ করব। নারীর নিরাপত্তায় কাজ করব। বিশেষ করে মাদক, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমার কঠোর অবস্থান থাকবে। উপজেলা পরিষদ থেকে নারীদের জন্য যা যা করণীয় আমি শতভাগ কাজ করব ইনশাহআল্লাহ।

অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানকে আলোকিত আইনজীবী সংঘের সংবর্ধনা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ২০১৯- ২০২০ সালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল থেকে টানা দ্বিতীয় বারের মত কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হওয়ায় অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানকে সংবর্ধনা দিয়েছে আইনজীবীদের সংগঠন আলোকিত আইনজীবী সংঘ।

‘আলোকিত আইনজীবী সংঘ’ এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান দ্বিতীয় বারের মত বিপুল ভোটে সমিতির নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় উক্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের একটি রেস্তোরায় এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। উক্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে বরন করে নেন সংগঠনের সকল সদস্য।
অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট কাজী মামুনের সঞ্চালনায় উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট হাসান তারেক, অ্যাডভোকেট ইমন, অ্যাডভোকেট আতিক, অ্যাডভোকেট ইতি, অ্যাডভোকেট শাহানাজ, অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার, অ্যাডভোকেট এখতিয়ার হাবিব, অ্যাডভোকেট মাসফিক, অ্যাডভোকেট ঝুমা, অ্যাডভোকেট মাহামুদা আক্তার, অ্যাডভোকেট রাসেল, অ্যাডভোকেট নাসির, অ্যাডভোকেট কামরুল, অ্যাডভোকেট মোজ্জামেল ও অ্যাডভোকেট নাদিরা সহ অন্যান্য আইনজীবীগণ। এ অনুষ্ঠানে সকল আইনজীবীদের প্রতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০২০ সালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে আবারো সভাপতি ও সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া।  গত ২৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির গঠিত নির্বাচন কমিশন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৯২৬ জন আইনজীবী। এতে ৯১০ জন আইনজীবী তাদের ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে আওয়ামীলীগ প্যানেলের প্রার্থী ও বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল পেয়েছেন ৬৯৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপির প্রার্থী সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির পেয়েছেন মাত্র ১৯৭ ভোট। হাসান ফেরদৌস জুয়েল এবার সমিতির রেকর্ড সংখ্যক ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।
এদিকে একইভাবে রেকর্ড সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে সেক্রেটারি পদে আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ৬২৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির পেয়েছেন মাত্র ২৬১ ভোট।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আওয়ামীলীগ প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আলী আহাম্মেদ ভূইয়া ৫৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী ও বর্তমানে সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা পেয়েছেন ৩৩০ ভোট। সহ-সভাপতি পদে আওয়ামীলীগ প্যানেলের অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা ৪৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দীন মিয়া পেয়েছেন ৩৮৬ ভোট।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৬০ ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহিদুর ইসলাম টিটু পেয়েছেন মাত্র ২৩০ ভোট।
কোষাধ্যক্ষ পদে বিএনপি প্যানেল থেকে এবার পরাজিত হয়েছেন সমিতির বর্তমান সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৪৩৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে এ পদে ৪৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ মোল্লা।
অবশেষে জয়ের দেখা পেলেন আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে আপ্যায়ণ সম্পাদক পদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল। তিনি এ পদে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ৫১৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী কাউসার আলম টুটুল চৌধুরী পেয়েছেন মাত্র ৩৬১ ভোট।
আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে লাইব্রেরী সম্পাদক পদে ৫১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট সুবাস বিশ্বাস। এ পদে বিএনপি প্যানেল থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন সমিতির বর্তমান সমাজ সেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট শারমীন আক্তার। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৬৩টি।
ক্রীড়া সম্পাদক পদে বিএনপি প্যানেল থেকে পরাজিত হয়েছেন বিএনপি প্যানেল থেকে অ্যাডভোকেট আনজুম আহমেদ রিফাত। এ পদে আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভেকেট মাসুদ রানা। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৪৫২টি। পরাজিত আনজুম আহমেদ রিফাত পেয়েছেন ৪২৪ ভোট।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন। তিনি পেয়ছেন ৪৪২টি ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেল থেকে অ্যাডভোকেট রাসেল প্রধান ৪১৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
সমাজ সেবা সম্পাদক পদে আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট রাশেদ ভুঁইয়া। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৫৫৪টি। তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আসমা হেলেন বিথি পেয়েছেন ৩১০টি ভোট।
আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে ৫২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট স্বপন ভুইয়া। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দীন বিএনপি প্যানেল থেকে পেয়েছেন ৩৩৯টি ভোট।
এছাড়াও কার্যকরী সদস্য পদে আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে ৬২৫ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন অ্যাডভোকেট হাসিব উল হাসান রনি, ৫৩৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, ৫৩২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, একই প্যানেল থেকে ৫২৪ ভোট পেয়ে ৪র্থ হয়েছেন অ্যাডভোকেট নুসরাত জাহান তানিয়া এবং বিএনপি প্যানেল থেকে একমাত্র জয়ী হয়েছেন সদস্য পদে যিনি ৪৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হলেন অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব ভূঞা গোলাপ।

বন্দরে শ্রদ্ধা সম্মানে শিক্ষক বাবু গৌরাঙ্গ লাল সাহাকে বিদায়ী সংবর্ধনা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা বেপাড়ীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক বাবু গৌরাঙ্গ লাল সাহাকে সম্মান ও শ্রদ্ধায় বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। ৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকালে বন্দর সোনাকান্দা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপষ্ঠিত ছিলেন উপজেলা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা সুলতানা স্বপ্না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাসলিমা সুলতানা বলেন, প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে এই সম্মানটুকু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি দারুনভাবে খুশি হয়েছি আপনাদের এই আয়োজনে। তিনি গৌরাঙ্গ বাবু লাল সাহার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

সোনাকান্দা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ কামালের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন- বন্দর সোনাকান্দা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজেদা বেগম, সোনাকান্দা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শোভা পাল, বেপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান, মানপত্র পাঠ করেন নুর জাহিদ বাদল, শিক্ষক শাহ আলম, নিপা আক্তার, মেহেরুজ্জাহান মীম, বিবি কুলসুম, অনন্যা সূত্রধর, ফাতেমা বেগম, আজমুন, শায়লা, স্বর্না, নিপা, শাহাবুদ্দীন, মিতা সাহা, পাপিয়া, ফারহানা, আবেদা ও জোবেদা বেগম প্রমুখ।

হৃদয় গহীনে ——সুমী ধর

……………………………
শীতের দমকা শীতল হাওয়ায়
অবুঝ হৃদয় কুয়াশায় মাখা,
বেইন্যে থেকে বৈকাল বেলায়
বন্ধু তোমায় খুঁজে বেড়াই।

জানি একদিন এই ছিন্ন বাঁধন
ছিরে তুমি পোড়াবে এই মন,
ছিলে তুমি, থাকবে মনে
যুগ যুগান্তরে বন্ধু হয়ে।

শীতের সোনা রাঙা সকালে
অপেক্ষায় থাকি প্রতি মুহুর্তে,
হিমেল বাতাসে তোমার সান্নিধ্য
আলতোভাবে ছোয়াবে এই গায়ে।

আঁধার রাতে মিষ্টি আলোয়
তৃষ্ণার্ত ভরা আমার এই হৃদয়,
পদ্ম জলরাশি উম্মুক্ত ঢেউয়ের মত
তান্ডব তুমি শুরু যে করো।

বেদনার্ত হৃদয় আমার
কেঁদে কেঁদে বেড়ায় তখন।
নিঃষ্পাপ প্রাণ যে তোমার নিকট
নিঃস্বার্থভাবে করলাম সমর্পণ।

নির্বুদ্ধিতার মন যে আমার
বেদনা দিওনা অন্তরে জ্বালা,
আমার দেহের শ্বাস-প্রশ্বাসে
মিশে গেছো একাকার হয়ে।

আলিঙ্গন করব আমরা দুজন,
দুজন, দুজনে হৃদয় গহীনে।।

ছোট ভাইয়ের জন্য লড়লেন তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নাশকতার দুই মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের জনপ্রিয় কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তার পক্ষে আইনি লড়াইয়ে জামিন করান তার আপন বড় ভাই ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিষ্টার মার-ই-য়াম খন্দকার।

জানাগেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ আব্দুল আওয়াল ও বিচারপতি বিস্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ আদালতের ১৮নং বেঞ্চে বন্দর ও ফতুল্লা থানার দুই মামলায় মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে আগাম জামিন প্রদান করেছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে প্রাথমিক তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

জামিন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় কাউন্সিলর খোরশেদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে বছর ব্যাপী হয়রানির আপাতত সমাপ্তি ঘটলো। আশা করি সকল মামলায় জামিন থাকায় পরিবার ও ওয়ার্ডবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবো।

বন্দরে মাদক বিক্রেতা সহ ১১ জন গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরে ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুুল পরিমান মাদক উদ্ধার করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাত পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযানে পৃথক স্থান থেকে এদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন- বন্দর থানার নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকার মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে রুবেল, একই এলাকার সামছুল মিয়ার ছেলে হৃদয়, মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক শাহীন, সোনাকান্দা এলাকার মোঃ আলীর ছেলেন রাসেল ও একই এলাকার আহাম্মদ আলীর ছেলে তপু।

থানা পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে ও রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকা থেকে বন্দর থানার এসআই হামিদুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল, হৃদয় ও ওমর ফারুকের কাছ থেকে ৫৫পিছ ইয়াবা উদ্ধার করে ও তাদের আটক করে। অপরদিকে বন্দর থানার এএসআই জালাল সোনাকান্দা কবরস্থান এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী রাসেল ও তপুর কাছ থেকে ৪০পিছ ইয়াবা সহ আটক করে।

অন্যদিকে বন্দরে বিভিন্ন অপরাধে সিআর ও জিআর মামলায় যন্ত্রশিল্পীসহ ওয়ারেন্টভূক্ত ৬ পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বন্দর থানার নোয়াদ্দা এলাকার রব মিয়ার মেয়ে মমতাজ বেগম, একরামপুর সুইপার কলোনী এলাকার দুঃখী লাল মিয়ার ছেলে দিপ্তলাল সুইপার, পশ্চিম হাজীপুর এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে লিটন, ফরাজীকান্দা এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলের দিদার, একই এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে যন্ত্রশিল্পী তাফসির ও কল্যান্দি কবরস্থান রোড এলাকার মৃত মাঈনউদ্দিন মিয়ার ছেলে সামসুদ্দিন।

পরিচ্ছন্নতায় নেমেছে সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থীরা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

এবার পরিচ্ছন্নতায় নেমেছে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থীরা। এদিন তোলারাম কলেজে সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে কলেজ প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বেলা রানী সিংহ।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান রিযাদের সঞ্চালনায় সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল শাহ মো: আমিনুল ইসলাম, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ মদক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নাজমুল হুদা, বাংলা বভাগীয় প্রধান সাহেরা বেগম, সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মজিবুর রহমান, কলেজ শিক্ষার্থী পিয়াস, ফাহিম, সভ্য, তোফা, রবিন, প্রিন্স, কণা, স্বর্ণালী, নাবিলাসহ কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী বৃন্দরা।

সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধনের পূর্বে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ বেলা রানী সিংহ বলেন, নিজের কাজ নিজে করার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই। তোমরা কলেজ ক্যাম্পাসের পাশাপাশি নিজের পোষাক নিজেরাই ধুয়ে ফেলবে। বেশির ভাগ সময় তোমাদের মা তোমাদের রেখে যাওয়া ময়লা জামা-কাপড় অথবা তাদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র পরিষ্কার করেন। আজ থেকে তোমরা নিজেদের জামা-কাপড় নিজেরাই পরিষ্কার করার চেষ্টা করবে। এতে করে তোমাদের মায়ের কাজের বোঝা হালকা হবে।

ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান রিয়াদ বলেন, নারায়ণগঞ্জে সকল ভাল কাজ সরকারি তোলারাম কলেজ থেকেই শুরু হয়। সরকারি তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও ছাত্র-ছাত্রী সংসদ প্রতি সপ্তাহে একদিন করে কলেজ ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখতে কাজ করবে।

চাচা আঙ্গুরের বিদায় ঘন্টা, আজাদ ব্যর্থ: আড়াইহাজার বিএনপির ভরসা সুমন

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আড়াইহাজার বিএনপির রাজনীতিতে ভবিষৎ ভরসা এখন মাহমুদুর রহমান সুমন। গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মনোনয়ন পেয়েও নেতাকর্মীদের মাঠে নামাতে ব্যর্থ হয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। ২০০১ সালের পর সংস্কারবাদীর কারনে আর বিএনপির মনোনয়ন পাননি বিএনপির সাবেক এমপি ও সুমনের চাচা আতাউর রহমান খান আঙ্গুর। বয়সের ভারেও তিনি অনেকটা পিছিয়ে। ফলে রাজনীতিতে এখন তার বিদায় ঘন্টা। জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে আর সুবিধা করতে পারবেন না আজাদ। ফলে আড়াইহাজার বিএনপির ভবিষৎ কর্ণধার হিসেবেই থাকছেন মাহমুদুর রহমান সুমন। এমনটাই মনে করছেন আড়াইহাজারের বিএনপির নেতাকর্মীরা।

জানাগেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। গত জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন খসরু। তার মৃত্যুর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মাহমুদুর রহমান সুমনের উপর দায়িত্ব দেন। মাহমুদুর রহমান সুমন কেন্দ্রীয় যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেও। তার বাবা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর উত্তরসূরী হিসেবে নেতাকর্মীরা সুমনকে নিয়ে এগিয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত নির্বাচনে প্রথমে তিনজনকে এখানে মনোনিত করা হলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন ভাগিয়ে আনেন আড়াইহাজারে নেতাকর্মী সংকটে থাকা নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ।

অন্যদিকে, বিএনপির একাধিক বারের সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর এখণ বয়সে কুলিয়ে ওঠতে পারছেন না। সেই সঙ্গে ২০০১ সালের পর মনোনয়ন না পাওয়ায় নেতাকর্মীরাও তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। দলের আন্দোলন সংগ্রামেও ছিলেন না। দলের বিরোধীতা করে এক এগারোর সময় হয়েছিলেন সংস্কারবাদী। মুলধারায় ফিরলেও সেই তমকা মুছতে পারেননি আঙ্গুর। যে কারনে নেতাকর্মীরা তাকে মেনে নিতে পারেনি।

এদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলেও আড়াইহাজারের বিএনপি নেতাকর্মীদের তার পক্ষে নামাতে পারেননি। কারন তার সঙ্গে আড়াইহাজার বিএনপির উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীরা ছিলেন না। তাকে দলের মনোনিত হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে লোক দেখানো ফটোসেশন করলেও নির্বাচনের পর কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না আজাদ। এমনকি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গেলেও তার মুক্তির দাবিতে কোন ভুমিকা রাখেননি। নিজেকে জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ কর্মী পরিচয় দিয়ে আড়াইহাজারের বাহিরের নেতাকর্মীদের বগল বন্দি করেছেন। জেলার বিভিন্ন থানার নেতাকর্মীদের নিয়ে আড়াইহাজারে শোডাউন করেছেন। জেলার অন্যান্য থানার নেতারা পদ পদবীর লোভে দলের কর্মকান্ড বাদ দিয়ে আজাদের পিছনে ছুটেছিলেন। কিন্তু দলের কর্মকান্ডে ছিলেন না। আড়াইহাজারের রাজনীতিতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে এখন তিনি আড়াইহাজারে নেই। ফলে আড়াইহাজারের নেতাকর্মীরা এখন কর্ণধার হিসেবে দেখছেন সুমনকেই।

জামিন পেয়ে অসুস্থ্য নেতাদের বাসায় ছুটে গেলেন কাউন্সিলর খোরশেদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অসুস্থ নেতাকর্মীদের পাশে দাড়াতে শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের জনপ্রিয় কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ যুবদলের নেতাদের নিয়ে নির্যাতিত নিপীড়িত ও নানা সমস্যায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ানোর উদ্যোগ দেন। ওই দিন তিনি উচ্চ আদালত থেকে দুটি মামলায় জামিন পেয়েই অসুস্থ্য নেতাদের বাসায় ছুটে যান।

৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা সহ যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহিলা দলের নেত্রী বিনু আক্তার ও মৎসজীবি দলের ইব্রাহিম সরদারকে দেখতে তাদের বাসায় যান। ওই সময় যুবদল নেতারা অসুস্থ্য নেতাদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের পাশে চিকিৎসায় দাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেন যুবদল নেতারা।

এমপি সেলিম ওসমানের ধন্যবাদ পেলেন নারায়ণগঞ্জ ডিসি রাব্বী মিয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে ৩৩ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী ড্রেজার জুনিয়র হাইস্কুলটি পুণরায় চালু করার মধ্য দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩’শ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে যার মধ্য দিয়ে স্কুলটিতে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সংসদ সদস্যের আহবানে সাড়া দিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে স্কুলটি খুলে দেয়ায় ড্রেজার পরিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আহমেদ, সিবিএ নেতা রবিউল হোসেন সহ স্কুলটির সাথে সম্পৃক্ত ড্রেজার পরিদপ্তরের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

পাশাপাশি তাঁর সাথে আলোচনার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সচিবের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে স্কুলটি পুণরায় চালু করতে সর্বাত্মক সহযোগীতা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিঞাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে স্কুলটি পুণরায় চালু করার পর সন্ধ্যায় এমপি সেলিম ওসমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি আরো বলেন, স্কুলটি যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে পুণরায় যেন স্কুলটি বন্ধ না হয়ে যায় সে ব্যাপারে সবাইকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করবেন। প্রয়োজনে স্কুলটি পরিচালনার ব্যয় বহনের দায়িত্ব নারায়ণগঞ্জের মানুষই গ্রহণ করবেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, এর আগে রোববার সন্ধ্যায় রাইফেল ক্লাবে স্কুলটি পুণরায় চালু করার ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার মালার নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এমপি সেলিম ওসমানের সাথে দেখা করে বিস্তারিত বিষয়ে অবহিত করেন। এ সময় তিনি ড্রেজার পরিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আহমেদ এর মোবাইলে কথা বলে স্কুলটি খুলে দেওয়ার আহবান রাখেন। সেই সাথে মামলা বা তদন্তের কারনে যেন স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ না রাখতে আহবান রাখেন। পাশাপাশি তিনি স্কুলটি দ্রুত চালু করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক রাব্বি মিঞাকে অনুরোধ করেন।

যার ফলপ্রসূতে মাত্র ১দিন পর সোমবার সকালেই ড্রেজার পরিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আহমেদ স্কুলের তালা খুলে পুণরায় চালু করার ব্যবস্থা করেন। এমপি সেলিম ওসমানের স্কুল খুলে দেওয়ার আহবানে সোমবার সকালে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুল প্রাঙ্গনে গিয়ে উপস্থিত হয়ে ছিলেন। তালা খুলে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের নিয়ে উড়ানো হয় জাতীয় পতাকা, গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। পরে শিক্ষার্থী তাদের ক্লাসে গিয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের মধ্যে ছিল এক উচ্ছ্বাসের ঘনঘটা। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষিকারাও যেন প্রাণ ফিরে পায়।

স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার মালা জানান, ৪ ফেব্রুয়ারী থেকেই স্কুলটি পুনরায় চালু করার জন্য নির্দেশ দেন এমপি সেলিম ওসমান। এছাড়া স্কুলটির প্রতি মাসের ব্যায়ভারের বিষয়টি তিনি পরবর্তীতে দেখবেন বলেও আশ্বাস দেন।

সর্বশেষ সংবাদ