আমরা সন্ত্রাসী না, তাই ভোট চুরির চিন্তাও করিনা: মান্নান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেছেন, আমরা সন্ত্রাসী দল করি না। তাই আমরা ভোট চুরির চিন্তাও করিনা। আমরা জনগণের রায়ে বিশ্বাসী। যারা ভোট চুরি, ভোট বাক্স ডাকাতি, কেন্দ্র দখলের চিন্তা করে তাদের পক্ষে জনগণ নেই। তারা জনগণের রায়কে মানতে চায়না। ক্ষমতা দেখিয়ে জোর জুলুম অন্যায় অত্যাচার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু জনগণ তাদের চায়না। কিন্তু জনগণের অধিকার ভোট প্রদান করা। সেই ভোট চুরির চেষ্টা করা হলে জনগণ রুখে দাড়াবে। আমাদের উপর শত নির্যাতনেও আমরা দমে যাইনি। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।

২১ ডিসেম্বর বিকেলে সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নে গণসংযোগকালে দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকমকে এসব কথা বলেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। ওই সময় কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণ সঙ্গে ছিলেন।

মান্নান বলেন, আজ আমি শুধু নোয়াগাও ইউনিয়নে গণসংযোগ করছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নোয়াগাও ইউনিয়নে জনগণের মাঝে থাকব।

জাতীয়পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার অনুগামী আয়নাল মেম্বার ধানের শীষ প্রতীকে প্রচারনায় কিছুটা বাধা দিয়েছেন অভিযোগ করে মান্নান বলেন, আমি নোয়াগাও ইউনিয়নের মাঝে কোন বাধার সম্মুখীন হয়নি। তবে আনোয়ার মেম্বার নামে একজন সামান্য বাধার দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাছাড়া আমি কোন বাধার মুখে পড়িনি। আমরা সন্ত্রাসীদল না। আমরা সন্ত্রাসী করিনা। জনগণ আমাদের সাথে আছে। জনগণ যদি নিরাপদে আমাদের ভোট দিতে পারে তাহলে আমরা জয়ী হব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব ইনশাল্লাহ। আমরা সীল মারা, কেন্দ্র দখল, ভোট চুরিতে বিশ্বাস করি না। আমরা শান্তিপ্রিয় দল করি। আমরা এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি সোনারগায়ে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমাদের গণসংযোগকে নোয়াগাওবাসী বিপুল সাড়া দিচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রতিদিন রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা ৩০ তারিখ রাত ১২ টা পর্যন্ত মাঠে থাকব ইনশাহআল্লাহ।

এখানে উল্লেখ্যযে, এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সিংহ প্রতীকে লড়াই করছেন।

মির্জা ফখরুল আসার পথে বাঁশের বেরিগেট, দিল আগুণ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

২১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে জনসভায় বিকেলে ৩টায় যোগদানের কথা থাকলেও তিনি আসতে পেরেছেন বিকেলে সোয়া ৪টায়। কারন তিনি আসার পথেই বন্দরের মদনগঞ্জ সড়কে বাঁশের বেরিগেট দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দূর্বত্তরা। পরে জেলা পুুলিশ সুপার হারুন উর রশিদ গিয়ে বিপুল সংখ্যক পুুলিশ প্রহরায় মির্জা ফখরুর ইসলামকে নিয়ে সমাবেশে ভিন্ন পথে যোগদান করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়াও ওই জনসভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে এমপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জেলা বিএনপির সেক্রেটারী অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং এতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সেক্রেটারী এটিএম কামাল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি গ্রামে মানুষ জেগে উঠছে, যত মানুষ জেগে উঠছে, ততই নির্যাতনের মাত্রা বাড়াচ্ছে। মানুষ কখন নির্যাতন করে? যখন মানুষ একা হয়ে যায়। তাদের যে উন্নয়নের কথা বলছেন? সেটা দেশের উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই তা সরকার দলীয় নেতাদের পকেটের। দ্রব্যমূল্যের পাশাপাশি সব কিছুরই দাম বেড়েছে। বাড়ি ভাড়া বেড়েছে। অথচ, লাখ টাকা দিয়েও চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হা চাকুরী হচ্ছে। তার জন্য চাকুরীর আবেদনকারীদের ডিএনএ পরীক্ষা করে নেয়া হচ্ছে তাদের রক্তে আওয়ামীলীগ আছে কিনা।

এর আগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয় বন্দরের নবাব সিরাজদ্দৌল্লা ক্লাবের মাঠে। ওই ক্লাবের সভাপতি বিএনপির নেতা ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সুুলতান আহমেদ ভুইয়া মাঠে মঞ্চ তৈরি করতে বাধা দেন। এবং সেখানে সমাবেশ করার চেষ্টা করা হলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেন বিএনপির এই নেতা। তিনি নাশকতার বেশকটি মামলার আসামী। বর্তমানে সুলতান আহমেদ নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএস সেলিম ওসমানের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে আসছেন।


আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে এসএম আকরাম অভিযোগ করে বলেন, নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের মাঠে প্যান্ডেল তৈরির সরঞ্জামাদি নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে ক্লাবের কর্মকর্তা নেয়ামত উল্লাহ হঠাৎ করে বলেন সেখানে ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হবে তারা সেখানে প্র্যাকটিস করবেন। আমার জানা মতে, সেই মাঠের নির্দিষ্ট কোন মালিক নেই। এটি হয়তো কোন খাস জমি, কিংবা দানসূত্রে জায়গার উপর অবস্থিত। আমি থানায় বলেছি, এটা আমার কোন নির্বাচনী প্রচারণাও নয়, শুধুমাত্র একটি সভা।

‘সেখানে আমি বাদেও ঐক্যফ্রন্টের আর চারপ্রার্থীও থাকবেন। কিন্তু এতো বাধা কেন দেয়া হচ্ছে সেটি বোধগম্য না। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ বলেছে, বিএনপির কোন নেতাকর্মী সে সভায় গেলে ঠ্যাং ভেঙে দেয়া হবে। আসল কথা হলো এসব করার মানে তোমাদেরকে উচিৎ শিক্ষা দিয়ে দেয়া হবে।’

কোথাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই জানিয়ে এসএম আকরাম বলেন, ‘আমার সাথে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে প্রচারণায় নামতে পারছেনা। তারপরেও প্রচারণায় অনেক লোক হচ্ছে। মহাসচিব একজন। তাকে নিয়ে এসে একটি সভা করতে চাচ্ছিলাম। সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি।’

নারায়ণগঞ্জে ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দিতে বললেন মির্জা ফখরুল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ। নির্বাচন কমিশনের কোন ক্ষমতা নাই। তারা অসহায়। আমরা কথা বললেও তারা চুপ করে বসে থাকে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে বলেন, দেশের সংবিধান আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছে। অধিকার দিয়েছে। আপনি দায়িত্ব পালন করুন। যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। নতুবা জনগণ মেনে নিবে না।

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে নাকি লেভেল প্লেং ফিন্ড আছে। এক দল হাজার হাজার মানুষ নিয়ে সভা সমাবেশ করছে। আর আমাদের মাইক লাগাতে দেয়না। ভোট চাইতে দেয়না। দেশে এক অদ্ভূদ নির্বাচন হচ্ছে। আর সিইসি বলেছেন নির্বাচনের সুবাতাস বইছে, লেভেল প্লেইং ফিল্ড আছে। এসব কি ধরনের সুবাতাস। তবুও ৩০ তারিখ আমরা মুক্তির জন্য এই নির্বাচন করবো।

‘আপনারা ভোটের আগের দিন রাত থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিবেন। ভয় পাবেন না। ভয়ের কিছু নেই। আপনি ন্যায়ের জন্য ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষের জন্য ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নেন। মানুষ একবারই মরে, বীরের মৃত্যু নেই। বারবার মরবো না।’

২১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জনসভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে এমপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জেলা বিএনপির সেক্রেটারী অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং এতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সেক্রেটারী এটিএম কামাল।

এ সময় মির্জা ফখরুল সরকার ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেয়নি দাবি করে বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে বেকারদের চাকরি দেবো। না পারলে বেকার ভাতা দেবো। দেশে শিল্প কারখানা করবো, মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করবো। ধর্মীয় কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এদেশ সব ধর্মের মানুষের দেশ, কারো উপর হাত দেবেন না।’

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি বলেন তোমরা ঐক্যবদ্ধ থাকো এবং তোমরা জাতীয় ঐক্য গঠন করো। তাই আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করেছি।

‘৩০ তারিখ রায় দেওয়ার সময় আলোর দিকে থাকবেন নাকি অন্ধকারে থাকবেন, মুক্তির পথে থাকবেন নাকি পরাধীনতার পথে থাকবেন সেটা ভাবতে হবে।’

বিএনপির ১৬ জন প্রার্থীকে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তফসিল ঘোষণার পর হামলা-মামলা গ্রেপ্তার করা হবেনা কিন্তু হচ্ছে। তাহলে কি তাকে সত্যবাদী বলা যায়? হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, জামিন দেওয়া হচ্ছে না। প্রচারণা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটাই কি গণতন্ত্র?

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি গ্রামে মানুষ জেগে উঠছে, যত মানুষ জেগে উঠছে, ততই নির্যাতনের মাত্রা বাড়াচ্ছে। মানুষ কখন নির্যাতন করে? যখন মানুষ একা হয়ে যায়। তাদের যে উন্নয়নের কথা বলছেন? সেটা দেশের উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই তা সরকার দলীয় নেতাদের পকেটের। দ্রব্যমূল্যের পাশাপাশি সব কিছুরই দাম বেড়েছে। বাড়ি ভাড়া বেড়েছে। অথচ, লাখ টাকা দিয়েও চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হা চাকুরী হচ্ছে। তার জন্য চাকুরীর আবেদনকারীদের ডিএনএ পরীক্ষা করে নেয়া হচ্ছে তাদের রক্তে আওয়ামীলীগ আছে কিনা।

তবে বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও বন্দরের মদনপুরে মহাসড়কে কে বা কারা রাস্তায় বাশ ফেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে মির্জা ফখরুল ভিন্ন রাস্তা দিয়ে সমাবেশে প্রবেশ করেন। ওই সময় জেলা পুলিশ সুপার হারুন উর রশিদ মির্জা ফখরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বিকেলে সোয়া ৪টায় প্রবেশ করেন।

এর আগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয় বন্দরের নবাব সিরাজদ্দৌল্লা ক্লাবের মাঠে। ওই ক্লাবের সভাপতি বিএনপির নেতা ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সুুলতান আহমেদ ভুইয়া মাঠে মঞ্চ তৈরি করতে বাধা দেন। এবং সেখানে সমাবেশ করার চেষ্টা করা হলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেন বিএনপির এই নেতা। তিনি নাশকতার বেশকটি মামলার আসামী। বর্তমানে সুলতান আহমেদ নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএস সেলিম ওসমানের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে আসছেন।

স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে: ডিসি রাব্বী মিয়া

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া বলেছেন, এবারের নির্বাচন আমাদের জাতীয় জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটা আমাদের সমগ্র বাংলাদেশের নির্বাচন। অতএব এমন কিছু করা যাবেনা যেন জনগণ আমাদের কাছ থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠতা পেতে যত কিছু দরকার জেলা প্রশাসন তার ব্যবস্থা করবে। জনগণের নিরাপত্তায় যত ব্যবস্থা প্রয়োজন আমরা তা সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব।

২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন রাব্বী মিয়া।

তিনি আরো বলেন, যে কোন মূল্যে এ নির্বাচনে সকলের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে। নিজেদের পরিবারের কথা ভেবেও যার যার অবস্থান ঠিক রাখতে হবে। কোনক্রমেই নিজের অবস্থান থেকে সরে থাকা যাবেনা।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির অপারেশন অফিসার মেজর মোঃ নাসিরউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার আতাউর রহমান, নাারায়ণগেঞ্জর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) মনিরুল ইসলাম, বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আজহারুল ইসলাম সরকার ও মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তরিকুল আলম জুয়েল প্রমুখ।

ফজর নামাজ আদায় করে লাঙ্গলে ভোট প্রার্থনা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের মহাজোট সমর্থিত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমানের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন বন্দর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীরা। ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে ফজর নামায শেষে বন্দর কলাবাগ টু চৌধুরীবাড়ী এলাকায় এ গনসংযোগ করেন।

এ সময় বন্দর ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বাড়ী বাড়ী গিয়ে এমপি একেএম সেলিম ওসমানের লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

এ গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ পার্টির সভাপতি মাঈনউদ্দিন মানু, বন্দর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহাবুদ্দিন সাভা ও ২১নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির নেতা কামাল সিকদার প্রমুখ।

কোন প্রতিশ্রুতি দিতে পারবো না: সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মহাজোট মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমানকে সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ডের নন্দীপাড়া এলাকা থেকে সব থেকে বেশি ভোট দিয়ে বিজয়ী করার অঙ্গিকার করেছেন অত্র এলাকাবাসী।

২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত এলাকাবাসী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি একাদশ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমানকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন।

সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফি উদ্দিন আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান দু একটি কথা বলেই উপস্থিত সাধারণ মানুষকে মঞ্চে ডেকে তুলেন। এরপর তাদের কাছ থেকে এলাকার বিদ্যমান সমস্যা এবং বিগত সময়ে তার ভুল ভ্রুটি এবং প্রত্যাশিত উন্নয়ন করতে পেরেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চান।

এ সময় সেলিম ওসমান বলেন, এমপি হিসেবে আমি যেই কাজগুলো করতে পারবো- যেমন আপনাদের এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা, হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। আর রাস্তাঘাট ড্রেনের কাজ করতে পারবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। যার প্রতিনিধি আপনাদের এলাকার সন্তান কাউন্সিলর শফিউদ্দিন। তাই আপনাদের মধ্যে থেকে একজন আসেন যিনি এলাকার সমস্যাগুলো নিয়ে বলবেন আমাকে হুকুম করবেন।

এসময় সেলিম ওসমানের আহবানে একজন বৃদ্ধ সেলিম ওসমান মঞ্চে উঠে তাদের এলাকার ৩০নং শেরেবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকীর্ন জায়গাটিকে প্রশস্তকরন এবং তিন তলা মসজিদটির ছাদ ঢালাই সহ কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পরিপ্রেক্ষিতে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময় আমি কোন প্রতিশ্রুতি দিতে পারবো না। তবে আমি যদি আগামীতে এমপি না হতে পারলেও আপনাদের সাথে নিয়েই সকল সমস্যার সমাধান করা হবে।

এলাকার যুব সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যুবকদের ঘরে বসে থাকার দিন শেষ। তোমরা ট্রেনিং নাও, কাজ করো উপার্জন করো। তোমাদের শ্রমের ঘামে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কোনো কাজকে ছোট দেখার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি পরিবার থেকে উপার্জনক্ষম ছেলে মেয়ে গড়ে তুলতে হবে।

মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত আসনের এমপি অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএ সাত্তার, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, শামসুজ্জামান ভাষানী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. শিরীন বেগম, মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান খান স্মৃতি প্রমুখ।

ফখরুল ও মান্নার সভা ঠেকাতে সভাস্থলে ফুটবল ম্যাচ!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

আগামী শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের বন্দরের জনসভায় আসার কথা রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা মাহামুদুর রহমান মান্না। তবে যেখানে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে বাধ সেধেছে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব। ক্লাবটির দাবি তারা এখানে শুক্রবার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবেন এবং সমাবেশ করার চেষ্টা করা হলে হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হবে ঘোষণা দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ যিনি বর্তমানে মহাজোটের প্রার্থী এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষে সরাসরি সমাবেশ করে ভোট প্রার্থনা করে আসছেন।

এমনটা অভিযোগ করে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তিনি জানান, আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠে জনসভার আয়োজন করেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। এখানে বৃহস্পতিবার জনসভার সরাঞ্জাম নিয়ে গেলে বাধা দেয় সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। মঞ্চ তৈরি করতে দেননি তিনি। এখানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছে বলে দাবি করেছেন ক্লাবটির সেক্রেটারি নেয়ামত উল্লাহ। এছাড়াও নেয়ামত উল্লাহ প্যান্ডেল তৈরির সময় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন এখানে সমাবেশের চেষ্টা করা হলে হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হবে।

২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের থানা পুকুরপাড় এলাকায় নির্বাচনী ক্যাম্পে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এস এম আকরাম।
সংবাদ সম্মেলনে এসএম আকরাম বলেন, বন্দরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের সামনের মাঠে আয়োজিত জনসভার জন্য সিটি করপোরেশন এবং থানায় অবহিত করি। দুই জায়গা থেকেই অনুমতি পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের সভাপতিত্বে ওই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও প্রধান বক্তা থাকবেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুুর রহমান মান্না। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও এ ব্যাপারে আবেদন করেছি। কিন্তু তিনি ব্যস্ত থাকায় কি সিদ্ধান্ত নিলেন তা এখনো জানা যায়নি। সভা আয়োজনে আইনী কোন বাধা নেই। এ ব্যাপারে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি তাকে বলেছি, যদি অনুমতি দেয়া না যায় তবে সেটিও আমাকে লিখিত দেন। নাগরিক হিসেবে এটি পাওয়ার অধিকার আমার রয়েছে। সভা আয়োজনের স্বল্প সময়। রিটার্নিং কর্মকর্তা কোন সিদ্ধান্ত না জানানোর কারনে আমি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছি।

এসএম আকরাম অভিযোগ করে বলেন, নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের মাঠে প্যান্ডেল তৈরির সরঞ্জামাদি নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে ক্লাবের কর্মকর্তা নেয়ামত উল্লাহ হঠাৎ করে বলেন সেখানে ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হবে তারা সেখানে প্র্যাকটিস করবেন। আমার জানা মতে, সেই মাঠের নির্দিষ্ট কোন মালিক নেই। এটি হয়তো কোন খাস জমি, কিংবা দানসূত্রে জায়গার উপর অবস্থিত। আমি থানায় বলেছি, এটা আমার কোন নির্বাচনী প্রচারণাও নয়, শুধুমাত্র একটি সভা।

‘সেখানে আমি বাদেও ঐক্যফ্রন্টের আর চারপ্রার্থীও থাকবেন। কিন্তু এতো বাধা কেন দেয়া হচ্ছে সেটি বোধগম্য না। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ বলেছে, বিএনপির কোন নেতাকর্মী সে সভায় গেলে ঠ্যাং ভেঙে দেয়া হবে। আসল কথা হলো এসব করার মানে তোমাদেরকে উচিৎ শিক্ষা দিয়ে দেয়া হবে।’

কোথাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই জানিয়ে এসএম আকরাম বলেন, ‘আমার সাথে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে প্রচারণায় নামতে পারছেনা। তারপরেও প্রচারণায় অনেক লোক হচ্ছে। মহাসচিব একজন। তাকে নিয়ে এসে একটি সভা করতে চাচ্ছিলাম। সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি।’

শামীম ওসমান ‘চাইলেও দেন, না চাইলেও দেন’: কায়সার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আলোচিত সমালোচিত সংসদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানকে নিজের অভিভাবক দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। একই সঙ্গে কায়সার হাসনাত বলেছেন, তিনি আমার চাচা, আমার অভিভাবক। আমাকে তিনি দোয়া দেন, চাইলেও দেন, না চাইলেও দেন।

গত ১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান সোনারগাঁয়ে এক সমাবশে বলেছিলেন, কায়সার হাসনাত কোন রাজাকার আলবদর পরিবারের সন্তান নয়। সে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির পরিবারের সন্তান। আমি আশা করব কায়সার হাসনাত লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চাইবে। আমি চাইনা কায়সার হাসনাত আজীবনের জন্য আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার হয়ে যাক। এমন বিষয়টি বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারগাঁয়ে কায়সার হাসনাতের এক সংবাদ সম্মেলনে উল্ল্যেখ করে কায়সার হাসনাতের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, শামীম ওসমান আমার অভিভাবক। তিনি আমার বাবা চাচার সাথে রাজনীতি করেছেন। তো আমাকে উনি ভাতিজা হিসেবে অনেক কিছুই বলতে পারেন এটা তার অধিকার। শাসন করতেও পারেন। তিনি আমাকে দোয়া দেন, দোয়া চাইলেও দেন, না চাইলেও দেন।’

২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারগাঁও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে কেন তিনি নির্বাচন করছেন তার বিস্তারিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে সোনারগাঁবাসীকে জানান কায়সার হাসনাত।

সোনারগাঁবাসীকে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে বলে আশ্বস্থ করে কায়সার হাসনাত বলেন, কোন সন্ত্রাসীর হুমকি ধমকিতে নির্বাচন বিতর্কিত হবে না। এটা আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হতে দিবেন না। ৭১ সালে যুব সমাজ যুদ্ধ দেখেনি। এবার আগামী ৩০ ডিসেম্বর সেই যুদ্ধ আমরা দেখবো। সেটা হলো ভোট যুদ্ধ।

তিনি আরেক প্রশ্নে বলেন, ভোট দেয়ার মালিক জনগণ। কেউ যদি বলে থাকেন প্রশাসন ব্যবহার করে ভোট বাক্স লুট কিংবা সীল মেরে নির্বাচনে জয়ী হবেন সেটা সম্ভব নয়। এটা ভাবাটাই বোকামী। এটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। যারা বাহিরে থেকে লোক এনে সোনারগাঁয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চায় বুঝতে হবে সোনারগাঁয়ে তাদের কোন জনসমর্থন নাই।

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকবেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখন থেকে আর কোন বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থাকবে না। কেউ কেউ অপপ্রচার করছিলেন আমি নির্বাচনে থাকবো কি থাকবোনা। যদি নির্বাচনে না থাকতাম তাহলে আজকে এই সংবাদ সম্মেলনেই ঘোষণা দিতাম। সুতরাং নির্বাচনে আমি থাকছি এবং শেষ পর্যন্ত।

তিনি বলেন, এতদিন ধরে কথা আসছে আমি নির্বাচন করছিনা, করব কিনা, বসে পড়ছি কিনা, শুয়ে পড়ছি কিনা। আমি যদি বলতাম তাহলে আজকেই বলতাম। আমি শুইনি বসিনি। আমি দাড়িয়েই আছি। এই নির্বাচন কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নির্বাচনের পরেই আপনারা বুঝতে পারবেন। এই নির্বাচন সোনারগাঁবাসীর জন্য একটি মাইলফলক। আমি এমপি হওয়ার জন্য নির্বাচনে আসিনি। সোনারগাঁবাসীকে নিরাপত্তা দিতে আসছি।

নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কোন ধরনের চাপ রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে কায়সার হাসনাত বলেন, আমার উপর কোন ধরনের উচ্চ চাপ নাই, নি¤œচাপও নাই।

এর আগে কায়সার হাসনাত তার নির্বাচনে ‘আগামী ৫ বছর কেমন সোনারগাঁও দেখতে চাই’ এমন শ্লোগানে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়ে বলেন, আমার প্রধান লক্ষ হলো সোনারগাঁবাসীকে নিরাপদ রাখতে চাই। সোনারগাঁয়ের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে চাই। এটা আমার সোনারগাঁও নয় এটা আমাদের সোনারগাঁও। এখানে শান্তির মডেল হিসেবে সোনারগাঁকে গড়তে চেয়েছিলাম। সেই লক্ষ নিয়েই এবার নির্বাচনে দাড়িয়েছি।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে কায়সার হাসনাত সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য সাংবাদিক সমাজ, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগীতা কামনা করেন। এবং সোনারগাঁবাসীর মাঝে দোয়া কামনা করে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সিংহ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এছাড়াও সোনারগাঁবাসীর জন্য কি কি কাজ করতে চান সেই সব বিষয় নিয়েও কথা বলেন। কথা বলেন নানা সমস্যা নিয়ে। তিনি গুরুত্ব দেন সোনারগাঁও হবে একটি পর্যটন নগরী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান উদ্দিন চুন্নু, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান, সোনারগাঁ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলী আকবর, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ, সোনারগাঁ পৌরসভার দুই নারী কাউন্সিলর রীতা আক্তার, পারভীন আক্তার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সাদিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন মাসুম, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন, উপজেলা সোনারগাঁ পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফায়জুল হাসান প্রমুখ।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।

এবার মোশারফ হোসেনও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। মোশারফ হোসেন এখন মাঠে নেমেছেন ভাতিজা কায়সার হাসনাতের পক্ষে। মোশারফ হোসেন একটি সমাবেশে বলেছেন, এমপি খোকা আপনি বাড়ি গিয়ে ঘুমান। সোনারগাঁয়ে আপনার ১০ পারসেন্ট ভোটও নাই। আপনি ১০ পারসেন্ট ভোট পেলেই আমরা ধরে নিব আপনি এমপি হয়ে গেছেন। তাই খেলা বাদ দিয়ে বাড়ি গিয়ে ঘুমান। আপনি যে খেলা খেলতে চান সেই খেলা আমরা ৬০ বছর আগেই শেষ করে এসেছি।’

এ আসন থেকে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন এরশাদের পালিত মেয়ে ও কেন্দ্রীয়মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তবে তার মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আপীল করেন। আপীলেও তার মনোনয়ন বাতিল করা হলে তিনি এখন আর নির্বাচনী আলোচনায় নেই। কারো পক্ষেই এখনও তিনি মাঠে নামেননি। সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতিও ছিলেন তিনি। গত ২০ নভেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজকে কেন্দ্র করে মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামাল দায়ের করে এমপি খোকা অনুগামী উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুুল হক মাস্টার। ওই মামলার পর দিন সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টি থেকে মৌসুমীকে বাদ দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা জাতীয়পার্টি।

ড্রামের ভিতর থেকে মাছ বিক্রেতার লাশ উদ্ধার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ড্রামের ভিতর থেকে এক মাছ বিক্রেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে পুরাতন বন্দরের মহিউদ্দীন প্রধানের বাড়ির পাশ থেকে এই অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

থানা পুলিশ সুত্রে, গত ১৭ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন পুরাতন বন্দরের গণপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাশেমের ছেলে মাছ বিক্রেতা মোক্তার হোসেন। নিখোঁজের পর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন নিহতের স্ত্রী শিল্পী আক্তার।

নিখোঁজের ৪দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে পুরাতন বন্দরের মহিউদ্দীন প্রধানের বাড়ির পাশ থেকে একটি ড্রামের ভিতর থেকে মোক্তার হোসেনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ।

লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যাওয়া এসআই সাখাওয়াত হোসেন জানান, লাশটি অর্ধগলিত। জিব বের হয়ে ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ড্রামের ভিতরে রাখা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

সেলিম ওসমানকে আইনজীবী সমিতির সমর্থন

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী ও এমপি একেএম সেলিম ওসমানকে সমর্থন জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমানকে ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি সহ মহাজোটের শরীক দলগুলো পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। সেই সঙ্গে সমর্থন জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একটি অংশ। জাতীয় ও জেলা ভিত্তিক প্রায় ৪৩টি ব্যবসায়ী সংগঠন সহ নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায় স্বর্তস্ফূর্ত সমর্থন জানিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার ঘোষণা দিয়েছেন।

সেই ধারাবাহিকতায় ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া হীরা মহলে মহান বিজয় দিবস ১৬ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এমপি সেলিম ওসমানকে সমর্থন দিয়ে আবারো বিজয়ী করে ঘরে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবী নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, আইনজীবীরা অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া আপনাদের কাজ না। আপনারা শুধু আপনাদের বাড়ির ভোটটি নিশ্চিত করুন। আমার নির্বাচন করার কোন ইচ্ছা ছিল না। গতবার নির্বাচন করেছি আমার মায়ের ইচ্ছায় আর এবার প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় যাকে আমি আপা ডাকি। তিনি আমাকে নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য লাঙল প্রতীক দিয়েছেন। সুতরাং তার সরকারকে আবারো ক্ষমতায় নিয়ে আসা আমাদের কর্তব্য।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভেকোটে হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে ও সমিতির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন বাশার রুবেল, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আমিনুল হক, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ উর রউফ, জেলা আদালতের পাবলিক (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, জিপি অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ভূইয়া, অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন কাবলু, অ্যাডভোকেট সুলতান উদ্দিন নান্নু, অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক তারাজ উদ্দিন, সমিতির কার্যকরী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট রাশেদ ভূইয়া, অ্যাডভোকেট অঞ্জন দাস, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, অ্যাডভোকেট সেলিনা ইয়াসমিন, অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন সহ প্রায় ৫ শতাধিক আইনজীবী মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ