শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে ২৫ বছর এগিয়ে যাবে: সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের খানপুর এলাকায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনায় সভায় আগামী সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে সেলিম ওসমানকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহবান জানিয়ে সমর্থন প্রদান করেছে এলাকাবাসী।

১৯ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে খানপুর বার একাডেমী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় উক্ত আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।

এ সময় সেলিম ওসমান সকলের প্রতি আহবান রেখে বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলতে গেলে ১০মিনিট নয় ১০ বছর সময় লাগবে। শুধু এটুকুই বলবো আগামী ৫ বছরের জন্য যদি আবারো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানানো যায় তাহলে বাংলাদেশ আগামী ৫ বছরে ২৫ বছর এগিয়ে যাবে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, মুক্তিযোদ্ধা খবির উদ্দিন আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি এম সোলায়মান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা শামীম চৌধুরী, বিকেএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি মনসুর আহম্মেদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) হুমায়ন কবির খান শিল্পী, পরিচালক মঞ্জুরুল রাশেদ সারোয়ার, জিএম ফারুক, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন টুলু, সুজাত আলী, শামাল সরদার, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয় সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. শিরিন বেগম, জেলা সেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু, কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নী, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, শহর যুবলীগের সহ-সভাপতি আসিফ হাসান মানু প্রমুখ।

নির্বাচন বিবাহের বরযাত্রা নয়: মাহমুদুর রহমান সুমন

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন বলেছেন, একটি নির্বাচন বিবাহের বরযাত্রা নয়। একটি নির্বাচন কর্মযজ্ঞ, মহাকর্মযজ্ঞ। নির্বাচন অনেক কঠিন যা শক্ত হাতে তা পরিচালনা করতে হয়।

১৯ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মরহুম এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আড়াইহাজারের ইলমদি এলাকার বাসভবনে (নারায়ণগঞ্জ-২) জাতীয় সংসদ নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন জনসভার প্রধান অতিথি মাহমুদুর রহমান সুমন। মাহমুদুর রহমান সুমন আড়াইহাজারের ইলমদী এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমবেত হন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ সহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও। এ আসনে প্রাথমিকভাবে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনিও।

এছাড়াও প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, ধানের শীষ এবং বিএনপির জনপ্রিয়তার উপর ভর না করে নিজেকে গণসংযোগ করে মানুষের কাছে ভোট চেয়ে পরিচিত হওয়ার পরামর্শ দেন এবং নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সব ভেদাভেদ ভুলে ব্যক্তিকে না দেখে ৩০শে ডিসেম্বর ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান রাখেন। এর আগে মরহুম এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পালন করেন নেতাকর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদের পক্ষে আনুুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামেন মাহমুদুর রহমান সুমন। ওই সময় কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মাহমুদুর রহমান সুমন ওই এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমবেত হন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ সহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও। এ আসনে প্রাথমিকভাবে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনিও।


আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাশেম ফকিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান সুমন আরও বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশটাকে আমাদের উপহার দিয়েছেন তাদের রক্তের বিনিময়ে। আমি সেই বীর সেনাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমি বিশেষ করে স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযুদ্ধা, বীর সেনা, স্বাধীনতাকামী, সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠাকারী, উন্নয়নের রুপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক এই নেতা নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ নির্বাচনে হয়তো আমরা আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত ফিরে পাব। আমাদের শান্তিত প্রতিষ্ঠা করতে পারব। ঘরে ঘরে চাকুরি দেব। তবে অতীতের মত নয়। গত দশ বছরে কিছু না কিছু পেয়েছেন তা হলো যেমন মামলা খেয়েছেন। তবে আমরা এগুলো আপনাদের দিব না। আমরা শান্তিপ্রিয়। বাংলাদেশকে শান্তির রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা ক্ষমতায় এলে মানুষ শান্তিতে থাকবে। দুর্নীতি বন্ধ হবে। আমরা আমাদের দলকে সুসংগঠিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। তাই আমাদের সবাইকে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। আর এ প্রতিটা ভোট হবে গণতন্ত্রের মা, দেশমাতা, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দলিলে স্বাক্ষর ও রায় ঘোষণা।

তারেক রহমানের বিষয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমান হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আমাদের বিএনপির সুপ্রীম কমান্ডার। আমরা তার নির্দেশে সঠিকভাবে কাজ করে বিএনপিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের জয় হবে ইনশাহআল্লাহ।


ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজাদকে পরামর্শ দিয়ে সুমন বলেন, নির্বাচনের তিন ভাগের দুই ভাগ সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। কাজ কিন্তু অনেক বাকি আছে। সবগুলো ওয়ার্ডে নির্বাচনী কমিটি করতে হবে। ১০টি ইউনিয়নের সবগুলোতে যেতে হবে। সবগুলো সেন্টারে সেন্টার কমিটি করতে হবে। তবে কমিটিগুলো অবশ্যই বিশ্বস্থ লোক দিয়ে করতে হবে যাতে ঠিকমত কাজ করে। আবার ঠিকমত কাজ করছে কিনা তার জন্য মনিটরিং কমিটি করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা জামায়তে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন ভূইয়া, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি পারভীন আক্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিক ভুইয়া, হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল্লাহ, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক নেতা জাকির হোসেন ভূইয়া, লিটন মিয়া, ছাত্রদল নেতা এরশাদ আলী, মাহমুদুর রহমান তুষার, শ্রমিকদল নেতা শানু, আবুল কালাম ও মকবুল হোসেন প্রমুখ।

নির্বাচনী মাঠ কায়সারের দখলে

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
কোন অবস্থাতেই নির্বাচন থেকে সরে যাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তার সিংহ প্রতীক বরাদ্ধের পর সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন। এখানে মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা রয়েছেন ব্যাকফুটে। মাঠ গুছাতেই পারেননি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান। তাদের চেয়ে বেশি লোক সমাগম দেখা যাচ্ছে কায়সার হাসনাতের নির্বাচনী প্রচারনায়। সোনারগাঁয়ের নির্বাচনী মাঠ এখন কায়সার হাসনাতের দখলে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সাংবাদিকদের বলেছেন, কোন অবস্থাতেই নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা নেই। দলের উপর মহল থেকে আমাকে নির্বাচন চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকছি এটাই কথা। সেই লক্ষ্যেই আমি দিন রাত প্রতিটি এলাাকায় যাচ্ছি।’

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সেতু পরিদর্শনে এসেছিলেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাযদুল কাদের। ওই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। আমি ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এর আগে বিদ্রোহী প্রার্থী যারা আছেন তারা তো প্রত্যাহার করতে পারবেন না। তারা প্রেস কনফারেন্স করে দলীয় প্রার্থীকে সমর্থনের ঘোষণা দিবেন। নতুবা আমরা পরে দলীয় ব্যবস্থা নিব।’

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সিংহ প্রতীকে লড়াই করতে যাচ্ছেন। গত ১০ ডিসেম্বর সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়ার হাত থেকে সিংহ প্রতীক তুলে নেন কায়সার হাসনাত। ফলে এ আসনে মহাজোটের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার জয় নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন এখানে লিয়াকত হোসেন খোকার জয়ের আশাই ছেড়ে দিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এদিকে এ আসনের বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর নেই মান্নানের পক্ষে।

যদিও ইতিমধ্যে মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে আনুষ্ঠানিক সমর্থন দিয়েছে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ। গত ১৬ ডিসেম্বর সোনারগাঁয়ে জনসভা করে উপজেলা আওয়ামীলীগ। ওই জনসভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমান। ওইদিন শামীম ওসমান বলেন, আমার ভাতিজা কায়সার হাসনাত আশা করছি সে এই মঞ্চে এসে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চাইবে। সে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। সে আওয়ামীলীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়ে যাকে সেটা আমরা চাইনা। তবে শামীম ওসমান এমন বক্তব্য সহ আরও কিছু বক্তব্য কায়সার হাসনাতের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কে কি বললো সেটা শোনার সময় এখন আর নাই। নির্বাচন করছি নির্বাচন করব এবং শেষ পর্যন্ত থাকবো।’

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।

এবার মোশারফ হোসেনও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। মোশারফ হোসেন এখন মাঠে নেমেছেন ভাতিজা কায়সার হাসনাতের পক্ষে। মোশারফ হোসেন একটি সমাবেশে বলেছেন, এমপি খোকা আপনি বাড়ি গিয়ে ঘুমান। সোনারগাঁয়ে আপনার ১০ পারসেন্ট ভোটও নাই। আপনি ১০ পারসেন্ট ভোট পেলেই আমরা ধরে নিব আপনি এমপি হয়ে গেছেন। তাই খেলা বাদ দিয়ে বাড়ি গিয়ে ঘুমান। আপনি যে খেলা খেলতে চান সেই খেলা আমরা ৬০ বছর আগেই শেষ করে এসেছি।’

এ আসন থেকে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন এরশাদের পালিত মেয়ে ও কেন্দ্রীয়মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তবে তার মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আপীল করেন। আপীলেও তার মনোনয়ন বাতিল করা হলে তিনি এখন আর নির্বাচনী আলোচনায় নেই। কারো পক্ষেই এখনও তিনি মাঠে নামেননি। সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতিও ছিলেন তিনি। গত ২০ নভেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজকে কেন্দ্র করে মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামাল দায়ের করে এমপি খোকা অনুগামী উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুুল হক মাস্টার। ওই মামলার পর দিন সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টি থেকে মৌসুমীকে বাদ দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা জাতীয়পার্টি।

মাঠ ছেড়ে দিল শামীম ওসমান, তবুও দৌড়াতে পারছেনা কাসেমী

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান তার নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দিয়ে তিনি এখন নারায়ণগঞ্জের মহাজোটের দুটি আসনের প্রার্থীদের জয়ী করতে কাজ করছেন। এমন সুযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে খালি মাঠও উত্তাপ ছড়াতে পারছেন না ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। বিএনপির কোন স্তরের নেতাকর্মীদেরই তিনি পাশে পাচ্ছেন না। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বাসায় দৌড়ালেও খালি চষে বেড়াতেও পারছেন না চমক দেখানো এমন প্রার্থী।

জানাগেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান এখন তার নিজ আসন ছেড়ে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের আরেক প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার জন্য কাজ করছেন। দুটি আসনে ইতিমধ্যে তিনি দুটি বিশাল সমাবেশও করেছেন।

জানাগেছে, এ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মুহাম্মদ শাহ আলম ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনের মত নেতাদের বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জের অপরিচিত মুখ মুফতি মনির হোসানই কাশেমীকে। তার মনোনয়ন প্রাপ্তি নারায়ণগঞ্জের মানুষের কাছে ছিল বিশাল চমক। আবার তার মনোনয়নে এ আসনের বিএনপি নেতাকর্মীরা চরম হতাশ। রীতিমত তাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা হয়েছে। শামীম ওসমানের দাবি করছেন তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীকে তিনি নিজেই চিনেন না। তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে শামীম ওসমান নির্বাচনী পরিকল্পানায় ছিলেন মুহাম্মদ শাহআলম অথবা গিয়াসউদ্দীন।

কাসেমীর হুংকার: দমানোর চেষ্টা করবেন না

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনার পর রীতিমত হুংকার দিয়েছেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। তিনি হুংকার দিয়ে বলেছেন, হামলা করে দমানোর চেষ্টা করবেন না।

১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ফতুল্লার বাংলা বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় ক্যাম্প ভাংচুরে সময় আহত নেতাকর্মীদের দেখতে যান তিনি। বুধবার তিনি নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে এমন হুংকার দেন ধানের শীষ প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। এ আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে লড়ছেন বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমান।

ওই সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই আমাদের কর্মীদের উপর বিচ্ছিন্নভাবে হামলা হচ্ছে। সরকার দলের সমর্থকরা ক্যাম্পে ভাংচুর করছে। কর্মীদের নির্মমভাবে পেটাচ্ছে। পোষ্টার লাগাতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। এভাবে হামলা করে আমাদের দমানো যাবে না। আপনারা যদি এতোই উন্নয়ন করে থাকেন, এতোই সমর্থন থেকে থাকে, তাহলে নগ্ন হামলা করছেন কেন? সৎ সাহস থেকে থাকলে হামলা-মামলা নয়, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনী ময়দানে আসুন। দেখি কে জয় পায়। হামলা-মামলা করে আমার কর্মীদের মনোবল ভাঙ্গানো যাবে না। যত হামলা আসবে, আমরা তত শক্তিশালী হবো। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। ধানের শীষের সাথে নৌকা এ আসনে বিপুল ভোটে হারবে। সেটা আন্দাজ করতে পেরেই আমার প্রতিপক্ষ হামলা-ভাংচুরের পন্থা অবলম্বন করেছেন।

মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী আরও বলেন, গত এক সপ্তাহে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষ সমর্থকদের উপর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সরকার দলের ক্যাডাররা এসব হামলা করেছে বলে জানিয়েছে আহতরা। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে কাশীপুর বাংলাবাজার এলাকায় ধানের শীষের ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাংচূড় ও লুটপাট চালানো হয় এবং নির্বাচনী ক্যাম্পে তালা ঝুলিয়ে দেয় ক্যাডাররা।

তিনি আরও দাবি করেন, এর আগে মাসদাইরে কাউছার নামের এক কর্মীর উপর নগ্ন হামলা চালায় সরকার দলের সমর্থকরা। নবীনগর ও আমতলা এলাকাতেও ধানের শীষের কর্মীদের বাঁধা প্রদান করা হয় পোষ্টার ও ব্যানার লাগাতে। এসব বিষয়ে মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, অন্যান্য নির্বাচনী এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের অবস্থা খুব ভালো ছিল। আমি প্রশাসনকে এ জন্য ধন্যবাদও দিয়েছিলাম। শান্ত পরিবেশটা হঠাৎ করেই উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন আমার প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরা। নির্বাচনে পোষ্টার-ব্যানার লাগানো কিংবা ক্যাম্পে বসে নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালানা করা একটা স্বাভাবিক পক্রিয়া। অথচ এ কাজটি করতে পারছেন না আমার কর্মীরা। তাদেরকে পদে পদে হামলা-মামলার শিকার হতে হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, বাঁধা দেয়া হচ্ছে পোষ্টার লাগাতে। ক্যাম্পে বসে নির্বাচনী কাজ করতে পারছে না। শুধু সরকার দলের ক্যাডাররা না, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও আমার কর্মীদের আটকর করে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমতলা এলাকাতে গত কয়েকদিন আগে পোষ্টার লাগানো অবস্থায় সিদ্দিকুর রহমান নামের এক কর্মীদের ফতুল্লা থানা পুলিশ আটক করে। পরে এলাকাবাসীর চাপে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা নিজেদের কাজটা সূচারুরুপে পালন করুন। সবাইকে সমানভাবে কাজ করার সুযোগ দিন। আপনাদের সম্পর্কে আমাদের পজিটিভ একটা ধারণা আছে। আশাকরি সেটা ধরে রাখবেন।

গোগনগরে আকরামকে নিয়ে গণসংযোগে রানা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এসএম আকরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা করেছেন। ১৯ ডিসেম্বর বুধবার সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত এসএম আকরাম নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ড হয়ে গোগনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে ভোট প্রার্থনা করেন।

নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামের এই নির্বাচনী সংযোগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাক সাখাওয়াত ইসলাম রানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে যোগদান করেন। ওই সময় সাম্যবাদী দলের প্রধান সাঈদ আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেত্রী ফাতেমা ইসলাম, খোরশেদা আক্তার খুশি, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চুন্ন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান মাহামুদ, উপস্থিত ছিলেন।

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এসএম আকরামের এই গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন- গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম সর্দার, বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের নেতা শায়ব উল্লাহ রোমান, শাহরিয়ার ইমন, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, রোমান, যুবদল নেতা আলামিন খান, ছাত্রলের নেতা হাসান, মনির হোসেন টিপু খান রোমান শাহাকিল, গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট সোহাগ, মন্টু মিয়া, তারিকুল ইসলাম কুকিল, আবির রমজান, মেরিন কলেজের সাবেক ভিপি নজরুল ইসলাম, আদর নাছির ইমরান, আলতাব, তোফাজ্জ, মোসারফ হোসেন মশু, জুয়েল লিংখন, মোশারাফ হোসেন, আনোয়ার, জিসান আশারাফুল, আলী হোসেন ইসলাম, অভি, দিপু, পাপ্পু, ইকবাল, দিদার, বাবু, শরীফ, মজনু ও মাছুম প্রমুখ।

বিজয় দিবসে জেলা আইনজীবী সমিতির শ্রদ্ধাঞ্জলি

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেছে। জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান রেজার নেতৃত্বে সমিতির আইনজীবীগণ ১৬ ডিসেম্বর রবিবার সকালে চাষাড়া বিজয়স্তম্ভে এ শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, আপ্যায়ণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল, লাইব্রেরী সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, সমাজ সেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট শারমীন আক্তার, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, সাবেক আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, কার্যকরী সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুুল মান্নান, অ্যাডভোকেট রাশেদ ভূইয়া, অ্যাডভোকেট আল আমিন সবুজ, অ্যাডভোকেট আমেনা প্রধান শিল্পী ও অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আনু সহ জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য আইনজীবীগণ।

তৈমূরের নেতৃত্বে ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আন্দোলন’

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার রায়, দেশব্যাপী বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের প্রতি হামলা ও মামলার প্রতিবাদে ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আন্দোলন’ এর উদ্যোগে ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও কালো পতাকা মিছিল সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের কো-চেয়ারম্যান আবেদ রাজা, সানাউল্ল্যাহ মিয়া, এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, আনিছুর রহমান খান, আইয়ুব আলী আশ্রাফী, শাহাজাদী পাপড়ি প্রমূখ আইনজীবি নেতৃবৃন্দ। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও জানানো হয়- বক্তাগণ দেশব্যাপী সরকারী পেটোয়া বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদে বক্তব্য রেখে সুপ্রীম কোর্ট দিবসের কর্মসূচিকে প্রত্যাখান করেন। সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, সরকারের এজেন্ডাই এখন বিচার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, তাদের অবশ্যই যে কোন উপায়ে পুনরায় ক্ষমতায় যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাস্তবায়ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।

তৈমূর আলম আরও বলেন, এমতাবস্থায় একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের কোন প্রকার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ড. কামাল হোসেনের গাড়ী বহর যখন আক্রান্ত হয় তখন নির্বাচন কমিশন তাদের উপর তদন্তের ভার অর্পন করে যাদের মদদে এ হামলা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সুপ্রীম কোর্ট দিবস অনুষ্ঠান যোগদান প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা প্রদান করেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন যে, যেহেতু সরকার ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সন্ত্রাস দমনে সুপ্রীম কোর্টের কার্যতঃ কোন ভূমিকা নাই সেহেতু সুপ্রীম কোর্ট দিবস উৎযাপন অনুষ্ঠান বর্জন করা হলো। সভা শেষে একটি কালো পতাকা মিছিল সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গন প্রদক্ষিণ করে।

লাঙ্গলে ভোট প্রার্থনায় বন্দরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শিপন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শিপন প্রধান। ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনব্যাপী বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকমীদের নিয়ে বন্দরের সাবদী-দীঘলদী এলাকায় এ গণসংযোগ করেন তিনি।

বন্দরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শিপন প্রধানের নেতৃত্বে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় প্রতিটি বাড়ী বাড়ী গিয়ে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী সেলিম ওসমানের পক্ষে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

এ সময় বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শিপন প্রধান ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কলাগাছিয়া ইউনিয়ন সেস্বচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান জিএম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, মোঃ সোহাগ মিয়া, মোঃ শামীম সাচ্চু মিয়া, রবিন মিয়াসহ কলাগাছিয়া স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীরা।

যুবদল নেতার বাবার মৃত্যুতে মহানগর যুবদলের শোক প্রকাশ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন ১৬নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা রাসেল আহম্মেদ মনিরের বাবার মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।

এক শোকবার্তায় আরও জানানো হয়- যুবদল নেতার বাবার মৃত্যুতে আরো শোক জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সানোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু।

সর্বশেষ সংবাদ