বিজয় দিবসে ছাত্রদল নেতা ইব্রাহীম বাবুর শ্রদ্ধাঞ্জলী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া বিজয়ন্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আহম্মেদ বাবু।

১৬ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০টায় ইব্রাহীম আহম্মেদ বাবু ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চাষাড়া বিজয়স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কর্মসূচি শেষে ছাত্রদল নেতা ইব্রাহীম আহম্মেদ বাবু নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই বিজয়ের মাসে আমাদের সকল নেতৃবৃন্দ এক সাথে কাজ করে এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীদেরকে এক সাথে হয়ে কাজ করার আহবান জানাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর ছাত্রদল নেতা রাতুল সাহা, অনিকুল ইসলাম আতুল, রাভী আজ হাসান রবিন, জীবন মাহমুদ, সুমিত ঘোষ, আল ইমরান তুর্জ, মিরাজ হোসেন আকাশ, তানভীর তন্ময়, সিফাত, ফাহাত, রাব্বী ও মহসীন সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

সোনারগাঁয়ে হাটে ঘাটে ঘরে ঘরে মান্নানে ভোট প্রার্থনা অবিরাম

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায় হাটে ঘাটে মাঠে ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন অবিরাম। ১৭ ডিসেম্বর সোমবারও ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে ভোট প্রার্থনায় নামেন।

এর আগের দিন ১৬ ডিসেম্বর রবিবার সকাল থেকে সোনারগাঁয়ের কাচপুর বেহাকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ধানের শীষের গণসংযোগ শুরু করেন। পরে রাতে কাচপুুরে ফজলুল হক চেয়ারম্যান বাড়ীর মাঠে এসে সমাপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে।

এছাড়া ওই দিন আজহারুল ইসলাম মান্নান কাঁচপুর চেঙ্গাইন, সুখেরটেক দক্ষিণপাড়া, জনতা বাজার, বাঘরি, কাচপুর শিল্পনগরী বিসিক মাঠ সহ বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেও তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় থমকে যাননি।

আজহার ইসলাম মান্নান বলেন, হামলা মামলাকে আমি ও আমার নেতাকর্মীরা ভয় করেনা। অতীতের ন্যায় আমি আপনাদের পাশে যেভাবে ছিলাম নির্বাচিত হলেও আমি আগের মতোই আপনাদের পাশে থাকবো। ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির বিজয়ের দিন। ইনশাল্লাহ আগামী ৩০ তারিখ বিকালে জনগণের ভোটে রায় নিয়ে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে আরেকটি বিজয় ছিনিয়ে আনব। আপনারা ভোটের দিন সকাল থেকে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিবেন। আমি ও আমার দল আপনাদের আগামী ৫ বছর পাহারা দিবে। কোন হুমকি ধমকি দিয়ে আমাকে ধানের শীষের প্রচার থেকে দুরে রাখা যাবেনা।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিবার্চনকে গণতন্ত্রের জন্য ভোট যুদ্ধ হিসেবে মাঠে নেমেছি। আমি কাপুরুষ নই যে যুদ্ধের মাঝ মাঠ থেকে ফিরে যাবো। আমার নেত্রী আমার মা বেগম খালেদা জিয়া আমার প্রতি বিশ্বাস রেখে ধানের শীষের প্রতীক তুলে দিয়েছে। ইনশাহআল্লাহ আগামী ২৯ তারিখ রাত্র থেকে ৩০ তারিখ রাত্র পর্যন্ত কেন্দ্র পাহাড়া দিয়ে ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিজয় হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।

এ সময় সোনারগাঁ থানা বিএনপি ও কাঁচপুর ইউনিয়ন ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী সেলিম হকের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক মোমেন খান, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, জেলা শ্রমিক দলের সেক্রেটারী মজিবুর রহমান, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান শান্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন সালু, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি পীর মোহাম্মদ পিরু, মজিদ খান, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজল হোসেন, জেলা যুবদলের নেতা রাসেল রানা, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নাসির উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা কামাল সহ যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদলের হাজারো নেতাকর্মী।

খোকাও পাঁচ ক্লাস পাশ, মান্নানকে নিয়ে শামীম ওসমানের তিরস্কার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান ১৬ ডিসেম্বর রবিবার সোনারগাঁয়ের এক অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের কথাবার্তা ও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ ও তিরস্কার করে বক্তব্য রেখেছেন। তবে শামীম ওসমান যে মঞ্চে ওঠে যেই মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার জন্য ভোট প্রার্থনা করেছিলেন সেই এমপি খোকাও কিন্তু পাঁচ ক্লাস পাস। তবে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও আজহারুল ইসলাম মান্নান দুজনেই তাদের নির্বাচনের হলফনামায় দাবি করেছেন তারা স্বশিক্ষিত অর্থাৎ খাটি বাংলায় বলা যায় তারা মূর্খ। যদিও স্বশিক্ষিতদের সাধারণ মানুষ আবার ধরে নেন তারা প্রাইমেরী স্কুলের গন্ডি পেড়িয়েছিলেন। যে কারনে তাদেরকে সাধারণ ভোটাররা তিরস্কার করে বলছেন তারা পাঁচ ক্লাস পাস।

শামীম ওসমানের ওই বক্তেব্যর সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা ফেসবুকে তোলপাড় শুরু করেন। কারন হিসেবে নেতাকর্মীরা বলছেন- শামীম ওসমান যে প্রার্থীর প্রসংশা করে মান্নানকে নিয়ে তিরস্কার করেছেন সেই প্রার্থীর কথাবার্তা প্রায় মান্নানের মতই এবং শিক্ষাগত যোগ্যতাও মান্নান ও খোকা সমানে সমান পাঁচ ক্লাস পাস। ফলে শামীম ওসমানের এমন দেড় নজরের বক্তব্য সোনারগাঁয়ের মানুষের মাঝে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। একজন স্বশিক্ষিত প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে আরেকজন স্বশিক্ষিত প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে শামীম ওসমানের এমন বক্তব্য হাস্যকর। কিন্তু এ আসনে ৮জন প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত বিএসএস পাস কিন্তু বাকিরা সবাই স্বশিক্ষিত।

১৬ ডিসেম্বর সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া এলাকায় আওয়ামীলীগের বিজয় র‌্যালী ও আলোচনা সভার প্রধান অতিথি একেএম শামীম ওসমান তার বক্তব্যে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানকে নিয়ে বলেছিলেন, বিএনপির অপজিশন প্রার্থী হচ্ছে মান্নান। সেও আমারে মানে। আমি তাকে দুশমন ভাবিনা। মান্নানের বুঝা উচিত এটা তো জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন না। জাতীয় সংসদে মানুষ যায় আইন পাশ করার জন্য। আইন পাস করতে হলে ওখানে বাংলা ইংরেজী অনেক লেখা থাকে, পড়তে হয়। আমরা এলএলবি পাস করেও পড়তে পারিনা। এখন আইন সভায় যাবো, আইন সভায় যাইয়া আমি যদি পড়তেই না পাড়ি তাহলে আইন সভায় যাইয়া করবটা কি? রাজনীতি কোন জায়গায় চলে যাচ্ছে। বিএনপি এতই অসহায় হয়ে গেছে, আমাদের শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী রেজাউল করিম ভাই, উনাকে যদি বিএনপি মনোয়ন দিতো তাহলে আমি ভাবতাম ঠিক আছে। একজন যোগ্য মানুষকে মনোনয়ন দিয়েছে। যে লেখাপড়া জানে, যার পিছনে জ্ঞান বুদ্ধি আছে। আমি মান্নানকে ছোট করে দেখছিনা। জাতীয় সংসদে কথা বলতে গেলে কিছুটা যোগ্যতা লাগে। পার্লামেন্টে কথা বলতে গেলে প্রথমে তো লিখতে হবে পার্লামেন্ট। মেম্বার অব পার্লামেন্ট লিখতেও তো কষ্ট হয় অনেকের।’

তবে পরক্ষণেই আবার আজহারুল ইসলাম মান্নানকে রীতিমত হংকার দিয়ে শামীম ওসমান বলেছেন, মান্নানকে সাহেবকে নিয়ে বলতে চাই, নির্বাচন করছেন, নির্বাচন করেন কোন আপত্তি নাই। ভোট দিলে পাস করবেন। কিন্তু আমি যা শুনি সেগুলো যদি হয়, যদি মনে করেন অন্য পথ ধরবেন, তাহলে আমি বলে যাচ্ছি দশ বছর আমরা বহু অত্যাচারিত হয়েছি। বাড়ি ঘরে হামলা হয়েছে। আমাদের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমার বাড়ি থেকে আরম্ভ করে আওয়ামীলীগের এমন কোন বাড়ি নাই যেখানে হামলা করা হয়নি। চন্দনশীলের পা নাই, ২০ জন মানুষ হারিয়েছি। মনে করিয়ে দিয়েন না। দশ বছর ক্ষমতায় আছি বিএনপির কোন নেতার গায়ে একটি ফুলের টোক্কাও দেই নাই। যদি মনে করেন এটা দূর্বলতা, তাহলে পরিষ্কারভাবে বলে যাই এটা আমাদের দুর্বলতা না। আমরা ক্ষমা করেছি। কিন্তু কেউ যদি এবার অন্য কোন পথ অবলম্বন করেন, যদি চিন্তা করেন জ্বালাও পোড়াও করবেন, ২৪ তারিখের মধ্যে ঘটনা ঘটানো হবে, ২৪ তারিখের আগেই দেশে কিছু ঘটনা ঘটানো হবে।

শামীম ওসমান বলেন, ওরা নির্বাচন করতে চায়না, ওরা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কোথায় কি হয় জানিনা। নারায়ণগঞ্জে কিছু হতে দেয়া হবে না। সোনারগাঁয়ের মান্নান সাহেব আপনাকে আামি চিনি, আপনার দৌড় কতটুকু আমি জানি। আমি আপনাকে পরিস্কারভাবে বলতে চাই সাবধান, একদম সাবধান। এখানে কোন খেলা খেলবেন না। ওই জায়গা থাকবে না কিন্তু, মা কইয়া গো কইতে সুযোগ দিমুনা। পরিস্কার কইয়া দিলাম। কোন ছাড় হবে না। কারন লড়াইটাই হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে লড়াই।

এসব বক্তব্যের আগে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে গিয়ে এ আসনের মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খানের লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে বিজয় র‌্যালী ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শামীম ওসমান। তবে তিনি এর আগেও গত ১৪ ডিসেম্বর শামীম ওসমান তার বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমানের পক্ষে বন্দরের সমরক্ষেত্র মাঠে গিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।

বিএনপি নির্বাচনে হামলার নাটক সাজাচ্ছে বলে মন্তব্য করে শামীম ওসমান বলেন, নাটক করতে করতে এক সময় যদি আমরা বুঝি আপনারা নাটক করছেন। তখন বলবো এরা এমনেও নাটক করে ওমনেও নাটক করে, তখন আমরা যদি ধরি, একবার যদি ধরা শুরু হয় বাংলাদেশে থাকা কিন্তু আপনাদের থাকা সম্ভব হবেনা। নাটক কইরেন না। জনগণের ভোটে পাস করেন আপত্তি নাই। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। এই নির্বাচন খোকার নির্বাচন না, কসম করে বলছি এই নির্বাচন স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে নির্বাচন। দেশটাকে বাঁচানোর নির্বাচন। নতুবা এই দেশ আফগানিস্তান হয়ে যাবে, জঙ্গীবাদের দেশ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সঙ্গে কথা বলছে। আমরা কি এখণও চুপ করে থাকবো? আমি থাকবো কিনা জানিনা। আমাকে প্রতি মুহুর্তে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০০১ সালের ১৬ জুন আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমার চোখে আমি মৃত। আমার জীবন নিয়ে চিন্তা নাই। এই লড়াই দেশ বাচাঁনোর লড়াই।

একেএম শামীম ওসমান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে বলেন, নির্বাচনে কার বিরুদ্ধে ভোট চাইবো। আজকে যাদেরকে নিয়ে নির্বাচন করছে তারা কারা? আজকে বিএনপির সঙ্গে জামাত শিবির। আমাদের শরীরের রক্ত কি পানি হয়ে গেছে? পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রে নাই রাজাকার নির্বাচন করছে। আমি অবাক হই বাংলাদেশে যখন তারা রাজনীতি করেন। কাদের নেতৃত্বে? এতদিন করেছে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, এখন করছে ওই বর্ণচোরা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে। যারা রাজনীতি করে আজকে বেশ্যায় পরিনত হয়েছে। এরা পলিটিক্যাল প্রস্টিটিউট। এরা এদেশের মানুষকে লজ্জা দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ভোট চাইতে আমার লজ্জা লাগে।

শামীম ওসমান বলেন, সোনারগাঁয়ের খবর জানি। ৩০ তারিখে বিজয় মিছিলের প্রস্তুতি নেন ইনশাহআল্লাহ। লাঙ্গল পাস করবে। আমার নির্বাচন থুইয়া আমি এখানে আসছি কেন? আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী খুইজ্জা পায়না মানুষ। দিছে কোন যোগ্য লোক, একজন দিয়েছে। আমি নির্বাচন গত ৫ বছর ধইরা করছি। চিন্তা কইরেন না আমি বলিনা যে, আমি সোনারগাঁয়ে ৮টার সময় আসবো। তবে নির্বাচনের দিন সকাল ১০টার সময় শামীম ওসমান সোনারগাঁয়ে থাববে এবং রেজাল্ট নিইে আমরা যাবো ইনশাহআল্লাহ।

এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও মহাজোটের মনোনিত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগ নেত্রী ডা. সেলিনা আক্তার, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট নূর জাহান প্রমুখ।
এতে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের সঞ্চালনা সভাপতিত্ব করেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া।

এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সোনরগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান, সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হা-মীম শিকদার শিপলু, শম্ভপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, কাচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম প্রমুখ। এর আগে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে যোগদান করেন আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

গুরুত্বর অসুস্থ্য সাবেক এমপি আবুল কালাম হাসপাতালে

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সাবেক এমপি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম গুরুত্বর অসুুস্থ্যবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন। আবুল কালামকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ার ইসলাম হার্ট সেন্টারে ভর্তি করানো হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর সোমবার সকালে আবুল কালাম হৃদযন্ত্রে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়।

পরিবারিক সূত্রে জানাগেছে, এদিন সোমাবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ করে আবুল কালাম তার বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন। দ্রুত তাকে চাষাঢ়ার ইসলাম হার্ট সেন্টারে নিয়ে যায় আবুল কালামের পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির নেতাকর্মীরাও। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে পর্যবেক্ষণ করে ভর্তি করেন। তিনি এখন নিবির পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

গুরুত্বর অসুস্থ্য আবুল কালামের ছেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা তার পরিবারের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

মুসলমানদের উপর নির্যাতন: তৈমূর আলম

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

১৭ ডিসেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট অডিটরিয়ামে “অমুসলিম রাষ্ট্রে মুসলমানদের উপর নির্যাতন” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ এবং সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি রউফ বলেন, প্রতিটি অনৈসলামিক রাষ্ট্রে মুসলিমদের উপর নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার প্রতিকারের জন্য মুসলিম রাষ্ট্রের কার্যকর কোন ভূমিকা নাই। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদগণ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, অমুসলিম রাষ্ট্রে মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য তুরষ্কের রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া অন্য কারো কোন প্রকার কার্যকর কোন ভূমিকা গ্রহণ দেখা যায় নাই। ফলে দিন দিন মুসলমানদের প্রতি অত্যাচার নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গোটা বিশ্ব এখন মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু এর প্রতিকারের জন্য মুসলমান রাষ্ট্র প্রধানদের কোন প্রকার বোধদয় হচ্ছেনা। ওআইসি তাদের কার্যকারীতা হারিয়ে ফেলেছে।

‘অহিংস পরম ধর্ম’ বৌদ্দ ধর্মের মূলনীতি হলেও মিয়ানমারের মুসলমানদের হত্যা ও ধর্ষণকে তারা পূণ্যের কাজ মনে করছে। জাতিসংঘ অমুসলিমদের পক্ষ নিয়েছে বলেই একমাত্র রিলিফ প্রেরণ ও উদ্যোগে প্রকাশ ছাড়া জাতিসংঘ কোন প্রকার কার্যকর ভূমিকা রাখেনা। এর অবসানের জন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নাই। -প্রেসবিজ্ঞপ্তি

আড়াইহাজারে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বাড়ি ছাড়া!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে এখন আওয়ামীলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা রয়েছেন বাড়ি ছাড়া। প্রাণ বাচাঁনোর ভয়ে তারা এখন আত্মগোপনে চলে গেছেন। জানাগেছে, স্থানীয় আওয়ামীলীগের এমপির ভয়ে নির্যাতনের আতংকে এখন বাড়ি ছাড়া আওয়ামীলীগের এসব নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে যেসব নেতাকর্মী নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজের মনোনয়নের দাবিতে কাজ করে আসছিলেন। স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে এখন ইকবাল পারভেজের লোকজন  যারা আড়াইহাজার থেকে গাঁঢাকা দিয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম হলেন হত্যাকান্ডের শিকার পুলিশ কনেস্টবল রুবেল আহমেদ সুমনের বাবা কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রূপ মিয়া মেম্বার ও তার পরিবারের লোকজন। তারা এলাকায় থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কারন এ এলাকায় বীরদর্পে ফিরেছেন সুমন হত্যা মামলার আসামী সাইফুল ইসলাম স্বপন যাকে এমপি বাবুর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে আড়াইহাজারবাসী দাবি করেছেন।

আড়াইহাজারের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, দুই বছর পূর্বে পুলিশ কনেস্টবল রুবেল আহমেদ সুমনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে এমপি বাবুর ঘনিষ্ঠজন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন ও তার বাহিনী। সুমন হত্যাকান্ডের মামলায় স্বপনকে আসামীও করা হয়। বেশকজন আসামী গ্রেপ্তারও হয়। নিহত সুমনের বাবা আওয়ামীলীগ নেতা রূপ মিয়া মেম্বার ও নিহতের ভাই কামাল হোসেন এখন এলাকা ছাড়া। কারন দীর্ঘদিন সাইফুল ইসলাম স্বপন আত্মগোপনে থাকলেও এখন এলাকায় ফিরেছেন। এমপি বাবু তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণও করেছেন।

এদিকে কয়েক বছর নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে আসছিলেন ইকবাল পারভেজ। বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। ইকবাল পারভেজের পক্ষে মাঠে নেমেছিলেন সাবেক এমপি এমদাদুল হক ভুইয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা রূপ মিয়া মেম্বার ও ছাত্রলীগ নেতা রুবেল সরকার সহ আওয়ামীলীগের এমপির কাছ থেকে অপমানিত বঞ্চিত নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যে কয়েক মাস আগে রুবেল সরকারকে একটি মামলায় আসামী করা হয়েছে।

এছাড়াও নেতাকর্মীরা বলছেন, ইকবাল পারভেজের অনুগামী ৮ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলায় পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। ফলে যেসব নেতাকর্মীরা এমপি বাবুর বিরোধীতা করে ইকবাল পারভেজের পক্ষে মাঠে নেমেছিলেন ওইসব নেতাকর্মীরা এখন বাবুর আতংকে রয়েছে। নেতাকর্মীরা বলছেন- আড়াইহাজারে এমপি বাবু আবারো এমপি নির্বাচিত হলে বাবুর বিরোধীতাকারী নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হবেন। যার নজির ইতিমধ্যে দেখাও গেল। তারা বলেন, এমপি বাবু বিরোধী মত কখনই সহ্য করতে পারেন না। তিনি সমালোচনাও সহ্য করতে পারেননা। আবারো এখানে বাবু এমপি নির্বাচিত হলে বিএনপির চেয়ে ইকবাল পারভেজের লোকজনই বেশি নির্যাতিত হবেন। ইতিমধ্যে ইকবাল পারভেজের অনুগামী কিছু নেতাকর্মী অনেকটা বাবুর কাছে ক্ষমা চেয়ে বাবুর বলয়ে ভীড়েছেন। আবার কেউ কেউ ভয়ে আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

নেতাকর্মীরাও আরও জানিয়েছেন- ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু। তিনি মাঠ পর্যায়ের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নানা ধরনের অপমান অসম্মান করে আসছিলেন। ওই সময় থেকেই স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার দুরত্ব সৃষ্টি হয়। কিন্তু কেউ মুখ খুলে প্রতিবাদ করার সাহস দেখায়নি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নজরুল ইসলাম বাবু বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে মাঠ গুছিয়েছিলেন ইকবাল পারভেজ। কিন্তু শেষতক এখানে আবারো নজরুল ইসলাম বাবুকে মনোনিত করে আওয়ামীলীগ। এ আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। ইতিমধ্যে প্রায় প্রতিদিনই আজাদের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা করে আসছে বাবুর লোকজন। প্রতিটি এলাকায় ঘরে ঘরে এমপি বাবুর লোকজন গিয়ে তালিকা হয়েছে বলে হুমকি ধমকি ভয় ভীতি দেখাচ্ছে বলেও বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন। তবে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির ভয়ে নয় আওয়ামীলীগের এমপি ও ঘনিষ্ঠ লোকজনদের ভয়ে বাড়ি ছাড়া।

বিজয় দিবসে জেলা পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

মহান বিজয় দিবস-২০১৮ উপলক্ষে পঞ্চবটি এলাকায় ও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ।

১৬ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ৮টায় ফতুল্লার পঞ্চবটিতে বিশাল বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সুব্রত হাওলাদার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা সহ জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তারা।

এছাড়াও সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধ প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা পরিষদ ও মহানগর আওয়ামীলীগ।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের জন্য নিজের বুক ফুলে উঠে। তাদের যে অবদান রয়েছে বাংলার মাটিতে তা কখনো মুছে ফেলা যাবে না। আগামী দিনেও শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জেলা পরিষদ পাশে থাকবে।

বিজয় দিবসে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের প্রত্যাশা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

আজ ১৬ই ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা। বিজয়ের এই দিনে আমরা বিন¤্র শ্রদ্ধা জানাই আমাদের সেইসব জাতীয় বীরদের যাদের অকৃত্রিম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা। হানাদার বাহিনীর বর্বরতার দাঁতভাঙা জবাব দিয়ে বাংলার অকুতোভয় বীর যোদ্ধারা সেদিন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করেছিল। তাদের অসামান্য অবদানের ফলেই বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে আজ দাড়িয়ে আছে একটি স্বাধীন ভূ-খন্ড। আর আমরা পেয়েছি একটি লাল সবুজ পতাকা।

‘আমরা আমাদের বিজয় ছিনিয়ে এনেছি অত্যাচারী পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে। আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শোষণের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও আমাদের সকল অর্জন দুর্নীতি নামক দানবটি খেয়ে ফেলছে। মহান বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বিকাশের তবেই আমাদের স্বাধীনতা হয়ে উঠবে অর্থবহ। তবেই আমাদের বিজয় দিবস মনে উৎফুল্লতা এনে দেবে। জয় হোক বিজয় দিবসের, জয় হোক সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার।

শেখ কামাল হোসেন
লেখক: একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

শামীম ওসমানের মাথা খারাপ: মুফতি মনির

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেছেন, ধানের শীষের গণজোয়ার শুরু হয়েছে। সারা বাংলাদেশের মত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেও এর ব্যতিক্রম নয়। মানুষ মুখিয়ে আছে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য। ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে সরকার দলের নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই তারা এখন বিভিন্ন উঠান বৈঠকে পাগলের প্রলাপ বকছেন। মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। তবে এ জোয়ার কেউ প্রতিহত করতে পারবেনা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে বলেও দাবি করেন তিনি।

১৬ ডিসেম্বর নিজ বাসায় আয়োজিত বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠককালে এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

তিনি আরো বলেন, অনেকেই বলছে আমাকে কেউ চিনেনা, অপরিচিত প্রার্থী তাকে ভোট দেয়া যাবেনা। আমি বলতে চাই আমাকে নয় আপনারা ধানের শীষে ভোট দিন। আমার পরিচয়ের দরকার নেই। আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। আমার প্রতীক ধানের শীষ। এই প্রতীক সারা দেশের আপামর জনসাধারনের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। আপনারা ধানের শীষে ভোট দেবেন।

তিনি শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ধানের শীষের জোয়ার দেখে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তিনি আবোল-তাবোল বকছেন বিভিন্ন উঠোন বৈঠকে গিয়ে। আমাকে জঙ্গী হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। আমি আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে বলতে চাই, আমার পরিচয়টা জেনে নিন এবং আমি কে? কোথা থেকে এসেছি? কি করেছি? সব রেকর্ড আছে। আমার সিএস, এসএ, আরএস এই ফতুল্লার মাটিতে। আমি অন্য জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জে এসে বসত গড়িনি। আমি এ মাটির সন্তান, এ মাটিতেই আমার বসবাস। পাস করলেও এখানেই থাকবো, ফেল করলেও এখানেই থাকবো।’

সম্প্রতি একটি উঠোন বৈঠকে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে জঙ্গী হিসেবে আখ্যায়িত করেন শামীম ওসমান। এ প্রসঙ্গে ধানের শীষের এ প্রার্থী বলেন, ‘গ্রামে একটা প্রবাদ খুব বেশী প্রচলিত আছে- ‘যার মনে যেইটা ফালদা উঠে সেইটা।’ মানুষের মনে একটা বিষয় অনেক আগেই তৈরী হয়েছে তার সম্পর্কে। এই গোলা বারুদ, এই সেই। এইগুলো নিয়েই তার জীবন। আমাদের জীবন এইগুলো নয়। আমি তাকে ভালোই মনে করতে চাই। যেহেতু আমি নিজে কখনো স্বচক্ষে খারাপ কাজ করতে দেখিনি। তাকে আমি ভদ্র হিসেবে মানতে চাই। এবং ভদ্রতা তার কাছ থেকেও আশা করবো। তিনি আমার সম্পর্কে যেগুলো বলছেন, সেগুলো বলে একটা ধু¤্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করে ভোটের বৈতরনী পাড় হতে চেষ্টা করছেন।’

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষ যেনো নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজ পছন্দে ভোট দিতে পারে সে পরিবেশ তৈরি করা। তাহলেই বুঝা যাবে কে যোগ্য। আমি আশা করবো প্রশাসন সবার জন্যই সমান সুযোগ তৈরি করে দেবে।’

কায়সারকে হুশিয়ার করে যা বললেন শামীম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সম্পর্কে শামীম ওসমান বলেন, কায়সার আমার হাতে তৈরি করা কর্মী এবং এই পরিবারের সন্তান। আমি বিশ্বাস করিনা যে কায়সার এমন কোন কর্ম করবে যে কর্মের কারনে এদেশে রাজাকার আলবদর আলসামস উপকৃত হবে। আমি বিশ্বাস করিনা যে কায়সার এমন কোন কর্মকান্ড করবে যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা উৎসাহিত হবে। যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সেতো কোন রাজাকার আলবদরের সন্তান নয়। আমি বিশ্বাস রাখছি ইনশাহআল্লাহ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেখবেন আজকে যেমন খোকন সাহা, আনিসুর রহমান দিপু, কামাল, সামসু ভাই সহ সকলে যেমন সবাই আজকে মহাজোটের প্রার্থী, শেখ হাসিনার প্রতীক লাঙ্গলের পক্ষে যখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখন আমি আশা করছি আমার ভাতিজা কায়সার হাসনাতও এখানে এসে লাঙ্গলে প্রতীকে ভোট চাইবে।

কায়সারকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান আরও বলেন, আমি চাইনা আওয়ামীলীগ পরিবারের নেতাকর্মী আজীবনের জন্য বহিস্কার হয়ে যাক। আমি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত জানি। আর জানি বলেই এখানে সবাই কিন্তু পরিষ্কারভাবে একটি কথা বলে গেছেন। এ মুহুর্তে আমাদের কায়সারকে নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই। কারন কায়সার আমাদের অপজিশন প্রার্থী না।

এর আগে শামীম ওসমান প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হাসনাতকে স্মরণ করে বলেন, আমার নেতা মোবারক ভাই, আবুল হাসনাত ভাইকে যেনো আল্লাহ বেহেসত নসিব করেন।

শামীম ওসমান যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বলেন, কেউ যদি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেন তাহলে কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হবে। আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না। আর যদি কেউ মনে করেন বিএনপিকে সাহায্য করবেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিলাম এই নির্বাচন খোকার নির্বাচন না। এই নির্বাচন শেখ হাসিনার নির্বাচন। শেখ হাসিনার সন্তান আমরা বেচেঁ আছি। প্রয়োজনে আমার নির্বাচন ছেড়ে দিয়ে সোনারগাঁয়ে এসে নির্বাচন করব। দেখতে চাই কার কত মাথা আছে। কোন ছাড় দেয়া হবে না। এই লড়াই দেশ বাচাঁনোর লড়াই। এই লড়াইয়ে কোন পরিবারকে বেঈমানী করার সুযোগ দেয়া হবে না। ভাল করে বললাম ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, নেত্রীর পক্ষে অবস্থান নেন। খোকা কোন সাবজেক্ট না। সাবজেক্ট একটাই শেখ হাসিনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। এই সাবজেক্টের সাথে যদি কেউ পিছন থেকে ছুড়ি মারার চেষ্টা করে মনে রাখবেন নারায়ণগঞ্জের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে যাবেন। পরে কিন্তু দরজা বন্ধ হয়ে গেলে ওই দরজা আর খোলা হবে না। এই মুহুর্তে ফাইনাল সিদ্ধান্তের কথা বললাম না। আশা করি সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন। ভুল হতে পারে সবারই। রাগ অভিমান থাকতে পারেনা। কিন্তু এমন কিছু করবেন না দেশের জন্য ক্ষতি হয়ে যায়। যারা সারাজীবন একটা পতাকার নিজে রাজনীতি করেছেন, শেখ মুজিবের আদর্শের পক্ষে রাজনীতি করেছেন, সেই সকল কিছু অম্লান করে দিবেন না। যেখানে মানুষের মুখের বুর্লি হতেন সেখানে কিন্তু মানুষের মুখের গালি হইয়েন না। জামাত শিবির রাজাকাররা উস্কানি দিবে। ওই উস্কানীতে কান দিয়েন না। সামনে থাকা কিছু লোক হয়তো বলবে আপনিই সব। ধান্ধা করবে টাকা খাবে। এদের সাফাইয়ে কান দিয়েন না। কয়দিন পর একা হয়ে গেছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে গিয়ে এ আসনের মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে বিজয় র‌্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শামীম ওসমান। তবে তিনি এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর শামীম ওসমান তার বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমানের পক্ষে বন্দরের সমরক্ষেত্র মাঠে গিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

একেএম শামীম ওসমান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে বলেন, নির্বাচনে কার বিরুদ্ধে ভোট চাইবো। আজকে যাদেরকে নিয়ে নির্বাচন করছে তারা কারা? আজকে বিএনপির সঙ্গে জামাত শিবির। আমাদের শরীরের রক্ত কি পানি হয়ে গেছে? পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রে নাই রাজাকার নির্বাচন করছে। আমি অবাক হই বাংলাদেশে যখন তারা রাজনীতি করেন। কাদের নেতৃত্বে? এতদিন করেছে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, এখন করছে ওই বর্ণচোরা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে। যারা রাজনীতি করে আজকে বেশ্যায় পরিনত হয়েছে। এরা পলিটিক্যাল প্রস্টিটিউট। এরা এদেশের মানুষকে লজ্জা দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ভোট চাইতে আমার লজ্জা লাগে।

শামীম ওসমান বলেন, সোনারগাঁয়ের খবর জানি। ৩০ তারিখে বিজয় মিছিলের প্রস্তুতি নেন ইনশাহআল্লাহ। লাঙ্গল পাস করবে। আমার নির্বাচন থুইয়া আমি এখানে আসছি কেন? আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী খুইজ্জা পায়না মানুষ। দিছে কোন যোগ্য লোক, একজন দিয়েছে। আমি নির্বাচন গত ৫ বছর ধইরা করছি। চিন্তা কইরেন না আমি বলিনা যে, আমি সোনারগাঁয়ে ৮টার সময় আসবো। তবে নির্বাচনের দিন সকাল ১০টার সময় শামীম ওসমান সোনারগাঁয়ে থাববে এবং রেজাল্ট নিইে আমরা যাবো ইনশাহআল্লাহ।

এ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানকে নিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আর মান্নানকে সাহেবকে নিয়ে বলতে চাই, নির্বাচন করছেন নির্বাচন করেন কোন আপত্তি নাই। ভোট দিলে পাস করবেন। কিন্তু আমি যা শুনি সেগুলো যদি হয়, যদি মনে করেন অন্য পথ ধরবেন, তাহলে আমি বলে যাচ্ছি দশ বছর আমরা বহু অত্যাচারিত হয়েছি। বাড়ি ঘরে হামলা হয়েছে। আমাদের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমার বাড়ি থেকে আরম্ভ করে আওয়ামীলীগের এমন কোন বাড়ি নাই যেখানে হামলা করা হয়নি। চন্দনশীলের পা নাই, ২০ মানুষ হারিয়েছি। মনে করিয়ে দিয়েন না। দশ বছর ক্ষমতায় আছি বিএনপির নেতার গায়ে একটি ফুলের টোক্কা দেই নাই। যদি মনে করেন এটা দূর্বলতা তাহলে পরিষ্কারভাবে বলে যাই এটা আমাদের দুর্বলতা না। আমরা ক্ষমা করেছি। কিন্তু কেউ যদি এবার অন্য কোন পথ অবলম্বন করেন, যদি চিন্তা করেন জ্বালাওপোড়াও করবেন, ২৪ তারিখের মধ্যে ঘটনা ঘটানো হবে, ২৪ তারিখের আগেই দেশে কিছু ঘটনা ঘটানো হবে। ওরা নির্বাচন করতে চায়না, ওরা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কোথায় কি হয় জানিনা। নারায়ণগঞ্জে কিছু হতে দেয়া হবে না। সোনারগাঁয়ের মান্নান সাহেব আপনাকে আামি চিনি, আপনার দৌড় কতটুকু আমি জানি। আমি আপনাকে পরিস্কারভাবে বলতে চাই সাবধান, একদম সাবধান। এখানে কোন খেলা খেলবেন না। ওই জায়গা থাকবে না কিন্তু, মা কইয়া গো কইতে সুযোগ দিমুনা। পরিস্কার কইয়া দিলাম। কোন ছাড় হবে না। কারন লড়াইটাই হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে লড়াই।

শামীম ওসমান বলেন, বিএনপির অপজিশন প্রার্থী হচ্ছে মান্নান। সেও আমারে মানে। আমি তাকে দুশমন ভাবিনা। মান্নানের বুঝা উচিত এটা তো জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন না। জাতীয় সংসদে মানুষ যায় আইন পাশ করার জন্য। আইন পাস করতে হলে ওখানে বাংলা ইংরেজী অনেক লেখা থাকে, পড়তে হয়। আমরাও এলএলবি পাস করেও পড়তে পারিনা। এখন আইন সভায় যাবো, আইন সভায় যাইয়া আমি যদি পড়তেই না পাড়ি তাহলে আইন সভায় যাইয়া করবটা কি আমরা? রাজনীতি কোন জায়গায় চলে যাচ্ছে। বিএনপি এতই অসহায় হয়ে গেছে, আমাদের শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী রেজাউল করিম ভাই উনাকে যদি বিএনপি মনোয়ন দিতো তাহলে আমি ভাবতাম ঠিক আছে। একজন যোগ্য মানুষকে মনোনয়ন দিয়েছে। যে লেখাপড়া জানে, যার পিছনে জ্ঞান বুদ্ধি আছে।

তিনি আরও বলেন, আমি মান্নানকে ছোট করে দেখছিনা। জাতীয় সংসদে কথা বলতে গেলে কিছুটা যোগ্যতা লাগে। পার্লামেন্টে কথা বলতে গেলে প্রথমে তো লিখতে হবে পার্লামেন্ট। মেম্বার অব পার্লামেন্ট লিখতেও তো কষ্ট হয় অনেকের।

বিএনপি নির্বাচনে হামলার নাটক সাজাচ্ছে বলে মন্তব্য করে শামীম ওসমান বলেন, নাটক করতে করতে এক সময় যদি আমরা বুঝি আপনারা নাটক করছেন। তখন বলবো এরা এমনেও নাটক করে ওমনেও নাটক করে, তখন আমরা যদি ধরি, একবার যদি ধরা শুরু হয় বাংলাদেশে থাকা কিন্তু আপনাদের থাকা সম্ভব হবেনা। নাটক কইরেন না। জনগণের ভোটে পাস করেন আপত্তি নাই। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। এই নির্বাচন খোকার নির্বাচন না, কসম করে বলছি এই নির্বাচন স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে নির্বাচন। দেশটাকে বাঁচানোর নির্বাচন। নতুবা এই দেশ আফগানিস্তান হয়ে যাবে, জঙ্গীবাদের দেশ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সঙ্গে কথা বলছে। আমরা কি এখণও চুপ করে থাকবো? আমি থাকবো কিনা জানিনা। আমাকে প্রতি মুহুর্তে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০০১ সালের ১৬ জুন আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমার চোখে আমি মৃত। আমার জীবন নিয়ে চিন্তা নাই। এই লড়াই দেশ বাচাঁনোর লড়াই।

এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও মহাজোটের মনোনিত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগ নেত্রী ডা. সেলিনা আক্তার, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট নূর জাহান প্রমুখ।

এতে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের সঞ্চালনা সভাপতিত্ব করেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া।

এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সোনরগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান, সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হা-মীম শিকদার শিপলু, শম্ভপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, কাচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম প্রমুখ। এর আগে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে যোগদান করেন আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ সংবাদ